কুরআনুল কারীমের অর্থসমূহের অনুবাদ - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। * - অনুবাদসমূহের সূচী


অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা: সূরা আল-জীন   আয়াত:

সূরা আল-জীন

সূরার কতক উদ্দেশ্য:
إبطال دين المشركين، ببيان حال الجنّ وإيمانهم بعد سماع القرآن.
কুরআনের উপর জিনদের ঈমান এবং তাদের ব্যাপারে মুশরিকদের ধারণা অপসারণের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে তা অবতীর্ণ হওয়ার সত্যায়ন।

قُلۡ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ ٱسۡتَمَعَ نَفَرٞ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَقَالُوٓاْ إِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡءَانًا عَجَبٗا
১. হে রাসূল! আপনি নিজ উম্মতকে বলে দিন, আমাকে ওহীযোগে অবগত করা হয়েছে যে, নাখলা উপত্যকায় জিনদের এক দল আমার কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করেছে। অতঃপর তারা নিজেদের জাতির নিকট আগমন করে বলে: আমরা এমন বাণী শ্রবণ করেছি যা তার বর্ণনা ও সাবলীলতায় অতি চমৎকার।
আরবি তাফসীরসমূহ:
يَهۡدِيٓ إِلَى ٱلرُّشۡدِ فَـَٔامَنَّا بِهِۦۖ وَلَن نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَآ أَحَدٗا
২. আমরা যে বাণী শ্রবণ করেছি তা প্রমাণ করে যে, এটি আক্বীদা, কথা ও কাজে সঠিক। তাই আমরা এর উপর ঈমান এনেছি। আর আমাদের যে রব এটি অবতীর্ণ করেছেন তাঁর সাথে আমরা কাউকে শরীক করি না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّهُۥ تَعَٰلَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا ٱتَّخَذَ صَٰحِبَةٗ وَلَا وَلَدٗا
৩. আমরা আরো ঈমান এনেছি যে, আমাদের রবের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা সমুন্নত। তিনি স্ত্রী কিংবা সন্তান গ্রহণ করেন নি যেমনটি মুশরিকরা বলে থাকে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّهُۥ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى ٱللَّهِ شَطَطٗا
৪. এদিকে ইবলীস মহান আল্লাহর প্রতি স্ত্রী ও সন্তানের সম্বন্ধ জুড়ে দিয়ে তাঁর সাথে বক্রতার অচরণ দেখায়।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا ظَنَنَّآ أَن لَّن تَقُولَ ٱلۡإِنسُ وَٱلۡجِنُّ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗا
৫. আমরা ধারণা করতাম যে, জিন ও ইনসানের মধ্যকার মুশরিকরা তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যাপারে যে ধারণা পোষণ করতো তারা এতে মিথ্যাবাদী নয়। ফলে তাদের অন্ধ অনুকরণে আমরা তাদেরকে সত্য বলে জানতাম।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّهُۥ كَانَ رِجَالٞ مِّنَ ٱلۡإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٖ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَزَادُوهُمۡ رَهَقٗا
৬. জাহেলী যুগে এমন কিছু মানুষ ছিলো যারা ভয়ানক কোন জায়গায় অবতরণ করলে জিনদের আশ্রয় কামনা করতো এই বলে যে, আমি এ উপত্যকার সর্দারের নিকট তার জাতির বখাটেদের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় কামনা করছি। এর কারণে মানুষ শ্রেণীর পুরুষেরা জিন শ্রেণীর পুরুষদেরকে আরো বেশী ভয় করতে লাগলো।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّهُمۡ ظَنُّواْ كَمَا ظَنَنتُمۡ أَن لَّن يَبۡعَثَ ٱللَّهُ أَحَدٗا
৭. হে জিনরা! তোমাদের মতো কিছু মানুষও এ ধারণা করে যে, আল্লাহ কাউকে তার মৃত্যুর পর হিসাব ও প্রতিদানের জন্য পুনরুত্থিত করবেন না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا لَمَسۡنَا ٱلسَّمَآءَ فَوَجَدۡنَٰهَا مُلِئَتۡ حَرَسٗا شَدِيدٗا وَشُهُبٗا
৮. আমরা আসমানের সংবাদ জানতে চাইলে সেটিকে চোরাই পথে আমাদের শ্রবণ থেকে রক্ষী বাহিনী ফিরিশতাদের মাধ্যমে এবং প্রজ্বলিত আগুন দিয়ে ভরপুর পেলাম। যে কেউ আসমানের নিকটবর্তী হতে চাইলে তাকে সেটি ছুঁড়ে মারা হয়।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا كُنَّا نَقۡعُدُ مِنۡهَا مَقَٰعِدَ لِلسَّمۡعِۖ فَمَن يَسۡتَمِعِ ٱلۡأٓنَ يَجِدۡ لَهُۥ شِهَابٗا رَّصَدٗا
৯. ইতিপূর্বে আমরা আসমানে এমন একটি স্থান বের করে নিতাম যেখান থেকে ফিরিশতাদের আদান-প্রদানকৃত সংবাদগুলো আমরা জেনে নিতে পারতাম। অতঃপর আমরা যমীনের গণকদেরকে এর সংবাদ অবিহিত করতাম। কিন্তু বর্তমানে তা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাই এখন যে শ্রবণ করে সে নিজের জন্য প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা প্রস্তুত দেখতে পায়। যখনই সে নিকটবর্তী হয় তখনই তার দিকে এটি প্রেরণ করা হয় এবং এটি তাকে জ্বালিয়ে ফেলে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا لَا نَدۡرِيٓ أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَن فِي ٱلۡأَرۡضِ أَمۡ أَرَادَ بِهِمۡ رَبُّهُمۡ رَشَدٗا
১০. আমরা এ কঠোর পাহারার কারণ কী তা জানি না। এর মাধ্যমে কি যমীনবাসীর কোন অকল্যাণ কামনা করা হয়েছে, না কি আল্লাহ তাদের ব্যাপারে কোন কল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। বস্তুতঃ আমাদের থেকে আসমানবাসীর সংবাদ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا مِنَّا ٱلصَّٰلِحُونَ وَمِنَّا دُونَ ذَٰلِكَۖ كُنَّا طَرَآئِقَ قِدَدٗا
১১. হে জিন সম্প্রদায়! আমাদের মধ্যে রয়েছে পুণ্যবান মুত্তাকী। আবার রয়েছে পাপিষ্ঠ কাফির। আমরা মূলতঃ বিভিন্নরূপী ও বিপরীত প্রবৃত্তিপরায়ণ।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا ظَنَنَّآ أَن لَّن نُّعۡجِزَ ٱللَّهَ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَن نُّعۡجِزَهُۥ هَرَبٗا
১২. আমরা এ দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, আল্লাহ যখন আমাদের ব্যাপারে কোন কিছুর ইচ্ছা পোষণ করেন তখন তা থেকে আমরা রেহাই পাবো না, না তা থেকে আমরা পালাতে পারবো। কেননা, তিনি আমাদের ব্যাপারে সম্যক অবগত।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّا لَمَّا سَمِعۡنَا ٱلۡهُدَىٰٓ ءَامَنَّا بِهِۦۖ فَمَن يُؤۡمِنۢ بِرَبِّهِۦ فَلَا يَخَافُ بَخۡسٗا وَلَا رَهَقٗا
১৩. আমরা যখন কুরআন শ্রবণ করলাম যা সর্বাপেক্ষা সঠিক পথের দিশা প্রদান করে তখনই এর উপর ঈমান আনলাম। তাই যে ব্যক্তি স্বীয় রবের উপর ঈমান আনলো সে তার পুণ্যের প্রতিদানে কোনরূপ ঘাটতির ভয় করবে না। না তার পূর্বের কৃত পাপের সাথে কোন নতুন পাপ যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা করবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:
• تأثير القرآن البالغ فيمَنْ يستمع إليه بقلب سليم.
ক. সুস্থ অন্তর নিয়ে শ্রবণকারীর উপর কুরআনের অসাধারণ প্রভাব।

• الاستغاثة بالجن من الشرك بالله، ومعاقبةُ فاعله بضد مقصوده في الدنيا.
খ. জিনদের সাহায্য কামনা আল্লাহর সাথে শিরক করার অন্তর্ভুক্ত। এর কর্তাকে দুনিয়াতে তার উদ্দেশ্যের বিপরীত ফলাফল দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হবে।

• بطلان الكهانة ببعثة النبي صلى الله عليه وسلم.
গ. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নবুওয়াত প্রাপ্তির মাধ্যমে জ্যোতিষ বিদ্যা বাতিল হওয়া প্রমাণিত হয়েছে।

• من أدب المؤمن ألا يَنْسُبَ الشرّ إلى الله.
ঘ. মুমিনের শিষ্টাচার হলো এই যে, সে আল্লাহর দিকে মন্দ বিষয় সম্বন্ধ করবে না।

وَأَنَّا مِنَّا ٱلۡمُسۡلِمُونَ وَمِنَّا ٱلۡقَٰسِطُونَۖ فَمَنۡ أَسۡلَمَ فَأُوْلَٰٓئِكَ تَحَرَّوۡاْ رَشَدٗا
১৪. আমাদের মধ্যে রয়েছে এমন মুসলিম যারা আল্লাহর আনুগত্যে অবনমিত। তেমনিভাবে আমাদের মধ্যে সরল সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতও রয়েছে। বস্তুতঃ যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে আনুগত্য ও নেক আমলের মাধ্যমে অনুগত হবে তারাই মূলতঃ হিদায়েত ও সরল পথ অন্বেষণকারী।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَمَّا ٱلۡقَٰسِطُونَ فَكَانُواْ لِجَهَنَّمَ حَطَبٗا
১৫. পক্ষান্তরে সরল সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতরা জাহান্নামের ইন্ধন হবে। যদ্বারা মনুষ্য শ্রেণীর মধ্য হতে তাদের সদৃশদেরসহ জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَلَّوِ ٱسۡتَقَٰمُواْ عَلَى ٱلطَّرِيقَةِ لَأَسۡقَيۡنَٰهُم مَّآءً غَدَقٗا
১৬. যেভাবে তাঁর নিকট এ ওহী করা হয়েছে যে, জিনদের একদল কুরআন শ্রবণ করেছে তেমনিভাবে তাঁর নিকট এ ওহীও করা হয়েছে যে, যদি জিন ও মানুষরা ইসলামের পথে অটল থেকে এর উপর আমল করে তাহলে আল্লাহ তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাবেন এবং নানাবিধ নিয়ামত দ্বারা তাদেরকে ধন্য করবেন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
لِّنَفۡتِنَهُمۡ فِيهِۚ وَمَن يُعۡرِضۡ عَن ذِكۡرِ رَبِّهِۦ يَسۡلُكۡهُ عَذَابٗا صَعَدٗا
১৭. যাতে করে আমি তাদেরকে এ বিষয়ে পরীক্ষা করতে পারি যে, তারা কি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে, না কি তারা এর নাশুকরি করে? বস্তুতঃ যে কুরআন ও তাতে বিদ্যমান উপদেশাবলী থেকে বিমুখ হয় তাকে তার প্রতিপালক এমন কঠিন শাস্তিতে প্রবিষ্ট করবেন যা সে সহ্য করতে অপারগ।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّ ٱلۡمَسَٰجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدۡعُواْ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدٗا
১৮. বস্তুতঃ মসজিদসমূহ আল্লাহর জন্য নির্ধারিত; অন্য কারো নয়। তাই তোমরা তাতে তাঁর সাথে অন্য কাউকে আহŸান করো না। এতে করে তোমরা গির্জা ও চার্চের ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের ন্যায় হয়ে যাবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَأَنَّهُۥ لَمَّا قَامَ عَبۡدُ ٱللَّهِ يَدۡعُوهُ كَادُواْ يَكُونُونَ عَلَيۡهِ لِبَدٗا
১৯. যখন আল্লাহর বান্দাহ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) আল্লাহর এবাদতের উদ্দেশ্যে নাখলা উপত্যকায় দÐায়মান হলেন তখন জিনরা তাঁর কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণের জন্যে প্রচÐ ভিড় জমিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ার উপক্রম হয়।
আরবি তাফসীরসমূহ:
قُلۡ إِنَّمَآ أَدۡعُواْ رَبِّي وَلَآ أُشۡرِكُ بِهِۦٓ أَحَدٗا
২০. হে রাসূল! আপনি এ সব মুশরিককে বলে দিন, আমি তো কেবল আমার প্রতিপালককে ডাকি; তাঁর ইবাদাতে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। সে যে কেউই হোক না কেন?
আরবি তাফসীরসমূহ:
قُلۡ إِنِّي لَآ أَمۡلِكُ لَكُمۡ ضَرّٗا وَلَا رَشَدٗا
২১. আপনি তাদেরকে বলে দিন যে, আমি তোমাদের উপর আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কোন বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম নই। না এমন কোন উপকার সাধন করতে সক্ষম যা আল্লাহ তোমাদের থেকে বারণ করেন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
قُلۡ إِنِّي لَن يُجِيرَنِي مِنَ ٱللَّهِ أَحَدٞ وَلَنۡ أَجِدَ مِن دُونِهِۦ مُلۡتَحَدًا
২২. আপনি তাদেরকে বলে দিন যে, আমি আল্লাহর অবাধ্য হলে আমাকে কেউ তাঁর পাকড়াও থেকে রক্ষা করতে পারবে না। আর না আমি তিনি ব্যতীত অন্য কোন আশ্রয়স্থল খুঁজে পাবো।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِلَّا بَلَٰغٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِسَٰلَٰتِهِۦۚ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا
২৩. তবে আমি যতটুকু পারি তা হলো এই যে, আল্লাহ তোমাদের নিকট আমাকে যা পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং যে বার্তা দিয়ে তিনি আমাকে তোমাদের নিকট পাঠিয়েছেন আমি তা পৌঁছে দেবো। বস্তুতঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের অবাধ্যতা করে তার ঠিকানা হবে জাহান্নামের আগুন। তথায় সে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে। তা থেকে সে কখনো বের হতে পারবে না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
حَتَّىٰٓ إِذَا رَأَوۡاْ مَا يُوعَدُونَ فَسَيَعۡلَمُونَ مَنۡ أَضۡعَفُ نَاصِرٗا وَأَقَلُّ عَدَدٗا
২৪. আর কাফিররা তাদের কুফরীর উপর অটল থাকবে। অবশেষে যখন তারা কিয়ামত দিবসে দুনিয়াতে কৃত আযাবের অঙ্গীকারের বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা অবশ্যই জানবে, কে সর্বাপেক্ষা দুর্বল এবং কে সর্বাপেক্ষা নিঃসঙ্গ।
আরবি তাফসীরসমূহ:
قُلۡ إِنۡ أَدۡرِيٓ أَقَرِيبٞ مَّا تُوعَدُونَ أَمۡ يَجۡعَلُ لَهُۥ رَبِّيٓ أَمَدًا
২৫. হে রাসূল! আপনি পুনরুত্থান অস্বীকারকারী এ সব মুশরিককে বলুন, আমি জানি না তোমাদের সাথে যে শাস্তির অঙ্গীকার করা হচ্ছে তা কি নিকটবর্তী, না কি এর জন্য সুনির্ধারিত এমন কোন সময় রয়েছে যা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
عَٰلِمُ ٱلۡغَيۡبِ فَلَا يُظۡهِرُ عَلَىٰ غَيۡبِهِۦٓ أَحَدًا
২৬. কেবল তিনিই সকল অদৃশ্যের খবর রাখেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না। ফলে তাঁর গাইবের সন্ধান কারো কাছে নেই। বরং তিনি এ সম্পর্কীয় জ্ঞানে এককভাবে বিভূষিত।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِلَّا مَنِ ٱرۡتَضَىٰ مِن رَّسُولٖ فَإِنَّهُۥ يَسۡلُكُ مِنۢ بَيۡنِ يَدَيۡهِ وَمِنۡ خَلۡفِهِۦ رَصَدٗا
২৭. তবে আল্লাহ তাঁর রাসূলদের মধ্যে যাঁকে ইচ্ছা তাঁকে যতটুকু চান অবগত করেন এবং তিনি রাসূলের সামনে ফিরিশতাদেরকে প্রেরণ করেন যারা তাঁকে হেফাজত করেন। যেন রাসূল ব্যতীত অন্য কেউ এ ব্যাপারে অবগত না হতে পারে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
لِّيَعۡلَمَ أَن قَدۡ أَبۡلَغُواْ رِسَٰلَٰتِ رَبِّهِمۡ وَأَحَاطَ بِمَا لَدَيۡهِمۡ وَأَحۡصَىٰ كُلَّ شَيۡءٍ عَدَدَۢا
২৮. যাতে করে রাসূল জানতে পারেন যে, তাঁর পূর্বে যতো রাসূল ছিলেন তাঁরা নিজেদের রবের বার্তাসমূহ পৌঁছে দিয়েছেন যা পৌঁছে দেয়ার জন্য তাঁরা আদিষ্ট হোন। কেননা, আল্লাহ সে ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন এবং আল্লাহ রাসূল ও ফিরিশতাদের নিকট থাকা সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত। ফলে তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না। আর তিনি সর্ব বিষয়কে গণনা করে রেখেছেন। ফলে তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:
• الجَوْر سبب في دخول النار.
ক. অবিচার জাহান্নামে প্রবেশের কারণ।

• أهمية الاستقامة في تحصيل المقاصد الحسنة.
খ. উত্তম লক্ষ্য অর্জনে সরল পথে অটল থাকার গুরুত্ব।

• حُفِظ الوحي من عبث الشياطين.
গ. ঐশী বাণীকে শয়তানের ছলনা থেকে রক্ষা করা হয়েছে।

 
অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা: সূরা আল-জীন
সূরাসমূহের সূচী পৃষ্ঠার নাম্বার
 
কুরআনুল কারীমের অর্থসমূহের অনুবাদ - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। - অনুবাদসমূহের সূচী

বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। মারকাযু তাফসীর লিদ-দিরাসাতিল কুরআনিয়্যাহ থেকে প্রকাশিত।

বন্ধ