কুরআনুল কারীমের অর্থসমূহের অনুবাদ - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। * - অনুবাদসমূহের সূচী


অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা: সূরা আল-ইনসান   আয়াত:

সূরা আল-ইনসান

সূরার কতক উদ্দেশ্য:
تذكير الإنسان بأصل خلقه، ومصيره، وبيان ما أعد الله في الجنة لأوليائه.
মানুষকে তার আসল পরিচয়, সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও উভয় জগতে তার পরিণতি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়া। আর মুমিনদেরকে দৃঢ়করণ ও কাফিরদেরকে আহŸান জানানোর উদ্দেশ্যে জান্নাতের নিয়ামতের বহিঃপ্রকাশ করা।

هَلۡ أَتَىٰ عَلَى ٱلۡإِنسَٰنِ حِينٞ مِّنَ ٱلدَّهۡرِ لَمۡ يَكُن شَيۡـٔٗا مَّذۡكُورًا
১. মানুষের উপর এমন এক সুদীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে যাতে সে অনুল্লেখযোগ্য নিরুদ্দেশ ছিলো।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّا خَلَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ مِن نُّطۡفَةٍ أَمۡشَاجٖ نَّبۡتَلِيهِ فَجَعَلۡنَٰهُ سَمِيعَۢا بَصِيرًا
২. আমি মানুষকে পুরুষ ও নারীর মিশ্রিত বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি। আমি তার উপর যে সব বিধিবিধান আরোপ করি এ সবের মাধ্যমে আমি তাকে পরীক্ষা করে থাকি। ফলে আমার অবধারিত শরীয়তের বিধান পালনের উদ্দেশ্যে আমি তাকে শ্রবণকারী ও দর্শনকারী বানিয়েছি।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّا هَدَيۡنَٰهُ ٱلسَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرٗا وَإِمَّا كَفُورًا
৩. আমি তাকে আমার রাসূলগণের যবানীতে হিদায়েতের পথ সুস্পষ্টরূপে বাতলে দিয়েছি। যার মাধ্যমে তার নিকট ভ্রষ্টতার পথ পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। ফলে সে হয় সরল পথ অনুসরণ করে হিদায়েত লাভ করতঃ আল্লাহর শোকরগুজার মুমিন বান্দায় পরিণত হবে। না হয় সে তা থেকে ভ্রষ্ট হয়ে আল্লাহর আয়াতগুলো অস্বীকারকারী কাফির ও আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত হবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّآ أَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ سَلَٰسِلَاْ وَأَغۡلَٰلٗا وَسَعِيرًا
৪. আমি আল্লাহ ও তদীয় রাসূলদেরকে অবিশ্বাসকারীদের জন্য শিকল তৈরি করেছি। যদ্বারা টেনে-হেঁচড়ে তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে। আরো তৈরি করেছি লাগাম। যদ্বারা তাদেরকে বেঁধে রাখা হবে। আরো প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে প্রজ্বলিত আগুন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّ ٱلۡأَبۡرَارَ يَشۡرَبُونَ مِن كَأۡسٖ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا
৫. আল্লাহর অনুগত মুমিনরা কিয়ামত দিবসে সুগন্ধিযুক্ত কাফুর মিশ্রিত সুরাপূর্ণ গøাস থেকে পান করবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:
• خطر حب الدنيا والإعراض عن الآخرة.
ক. দুনিয়ার মোহ ও পরকাল থেকে বিমুখ থাকার ভয়াবহতা।

• ثبوت الاختيار للإنسان، وهذا من تكريم الله له.
খ. মানুষের জন্য ইচ্ছা শক্তি সাব্যস্ত। যা হলো তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান।

• النظر لوجه الله الكريم من أعظم النعيم.
গ. আল্লাহর মর্যাদাপূর্ণ চেহারার দর্শন সর্বাপেক্ষা বড় নিয়ামত।

عَيۡنٗا يَشۡرَبُ بِهَا عِبَادُ ٱللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفۡجِيرٗا
৬. অনুগতদের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত এ সুরা হবে সহজলভ্য ঝর্নার। যার পরিমাণ হবে এতো বেশী যে, তা কখনো শুকাবে না। এ থেকে আল্লাহর বান্দারা পিপাসা নিবারণ করবে। তারা এটিকে যথেচ্ছ গতিশীল ও প্রবাহিত করবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
يُوفُونَ بِٱلنَّذۡرِ وَيَخَافُونَ يَوۡمٗا كَانَ شَرُّهُۥ مُسۡتَطِيرٗا
৭. যে সব বান্দা তা পান করবে তাদের বৈশিষ্ট্য হলো, তারা আনুগত্যের কাজে নিজেদের মানত পূর্ণ করে এবং এমন এক দিনকে ভয় করে যার অনিষ্ট হলো অনেক বিস্তীর্ণ। আর তা হলো কিয়ামত দিবস।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَيُطۡعِمُونَ ٱلطَّعَامَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ مِسۡكِينٗا وَيَتِيمٗا وَأَسِيرًا
৮. তারা নিজেদের প্রয়োজন ও আশক্তি সাপেক্ষে আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও মুখাপেক্ষী ফকীর, ইয়াতীম ও বন্দীদেরকে খাবার খাওয়ায়।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّمَا نُطۡعِمُكُمۡ لِوَجۡهِ ٱللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنكُمۡ جَزَآءٗ وَلَا شُكُورًا
৯. তারা নিজেদের মনে এ বাসনা গোপন রাখে যে, তারা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে খাবার খাওয়ায়। তারা ওদের নিকট কোন প্রতিদান কামনা করে না। না তাদেরকে খাবার খাওয়ানোর পর তাদের নিকট কোন প্রতিদান কিংবা প্রশংসা কামনা করে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّا نَخَافُ مِن رَّبِّنَا يَوۡمًا عَبُوسٗا قَمۡطَرِيرٗا
১০. তারা বলে: আমরা এমন এক দিনকে ভয় করি যে দিনের কাঠিন্য ও ভয়াবহতার ফলে হতভাগাদের চেহারা বীভৎস হয়ে যাবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
فَوَقَىٰهُمُ ٱللَّهُ شَرَّ ذَٰلِكَ ٱلۡيَوۡمِ وَلَقَّىٰهُمۡ نَضۡرَةٗ وَسُرُورٗا
১১. তাই আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে এ কঠিন দিবসের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং তাদের সম্মানার্থে ও অন্তরের আনন্দের স্বার্থে তাদের চেহারায় উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য দিয়ে দিলেন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَجَزَىٰهُم بِمَا صَبَرُواْ جَنَّةٗ وَحَرِيرٗا
১২. আনুগত্য ও ভাগ্যে নির্ধারিত কষ্টকর বস্তুর উপর এবং পাপ থেকে বাঁচার জন্য ধৈর্য ধারণের ফলে আল্লাহ তাদেরকে এমন জান্নাত দান করেছেন যথায় তারা উপভোগে মত্ত থাকবে এবং রেশমী কাপড় পরবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
مُّتَّكِـِٔينَ فِيهَا عَلَى ٱلۡأَرَآئِكِۖ لَا يَرَوۡنَ فِيهَا شَمۡسٗا وَلَا زَمۡهَرِيرٗا
১৩. তারা তথায় সুসজ্জিত পালঙ্কে হেলান দিয়ে থাকবে। তারা সে জান্নাতে কষ্টদায়ক সূর্যের কিরণ কিংবা কঠিন শীতল জাতীয় কোন কিছুই দেখতে পাবে না। বরং তারা স্থায়ী ছায়াতলে থাকবে। যথায় না কোন ঠাÐা থাকবে। আর না কোন গরম থাকবে। তথা তা হবে মূলতঃ নাতিশীতোষ্ণ।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَدَانِيَةً عَلَيۡهِمۡ ظِلَٰلُهَا وَذُلِّلَتۡ قُطُوفُهَا تَذۡلِيلٗا
১৪. এর ছায়া তাদের অতি নিকটবর্তী থাকবে এবং গ্রহণকারীর উদ্দেশ্যে এর ফলফলাদি সর্বদা সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ফলে সে তা অতি সহজে গ্রহণ করতে পারবে। বলতে কি সে শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে তথা সর্বাবস্থায় তা গ্রহণ করতে পারবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَيُطَافُ عَلَيۡهِم بِـَٔانِيَةٖ مِّن فِضَّةٖ وَأَكۡوَابٖ كَانَتۡ قَوَارِيرَا۠
১৫. যখনই তারা পান করতে চাইবে তখনই তাদের পাশ দিয়ে সেবকরা রুপার পেয়ালা ও স্বচ্ছ পান পাত্র নিয়ে প্রদক্ষিণ করবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
قَوَارِيرَاْ مِن فِضَّةٖ قَدَّرُوهَا تَقۡدِيرٗا
১৬. এটি নিজ স্বচ্ছতায় কাচের ন্যায়। তবে সেটি হবে রুপার। তাদের চাহিদামতোই তা পরিবেশন করা হবে। তাতে কোনরূপ কম-বেশী করা হবে না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَيُسۡقَوۡنَ فِيهَا كَأۡسٗا كَانَ مِزَاجُهَا زَنجَبِيلًا
১৭. এ সম্মানীদেরকে আদা মিশ্রিত সুরার পেয়ালা থেকে পান করানো হবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
عَيۡنٗا فِيهَا تُسَمَّىٰ سَلۡسَبِيلٗا
১৮. তারা জান্নাতের সালসাবীল নামক ঝর্না থেকে পান করবে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
۞ وَيَطُوفُ عَلَيۡهِمۡ وِلۡدَٰنٞ مُّخَلَّدُونَ إِذَا رَأَيۡتَهُمۡ حَسِبۡتَهُمۡ لُؤۡلُؤٗا مَّنثُورٗا
১৯. তাদের পাশ দিয়ে প্রদক্ষিণ করবে নব যৌবনপ্রাপ্ত কিশোররা। আপনি যখন তাদের দিকে তাকাবেন তখন তাদের চেহারার সজীবতা, বর্ণের শুভ্রতা, সংখ্যাধিক্য ও বিক্ষিপ্ত থাকা পরিদৃষ্টে মনে হবে তারা যেন ছড়ানো মুক্তাদানা।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَإِذَا رَأَيۡتَ ثَمَّ رَأَيۡتَ نَعِيمٗا وَمُلۡكٗا كَبِيرًا
২০. আপনি জান্নাতে সেখানকার এমন নিয়ামত প্রদর্শন করবেন যা বর্ণনাতীত। এমনকি আপনি এমন রাজত্ব দেখবেন যার সাথে কোন রাজত্বের তুলনা নেই।
আরবি তাফসীরসমূহ:
عَٰلِيَهُمۡ ثِيَابُ سُندُسٍ خُضۡرٞ وَإِسۡتَبۡرَقٞۖ وَحُلُّوٓاْ أَسَاوِرَ مِن فِضَّةٖ وَسَقَىٰهُمۡ رَبُّهُمۡ شَرَابٗا طَهُورًا
২১. তাদের শরীরের উপর উন্নত মানের সবুজ চিকন ও মোটা রেশমী জামা শোভা পাবে। তথায় তাদেরকে আরো পরানো হবে রুপার চুড়িসমূহ এবং আল্লাহ তাদেরকে পান করাবেন নিষ্কলুষ পানীয়।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّ هَٰذَا كَانَ لَكُمۡ جَزَآءٗ وَكَانَ سَعۡيُكُم مَّشۡكُورًا
২২. আর তাদের সম্মানার্থে বলা হবে: তোমাদেরকে যে নিয়ামত প্রদান করা হয়েছে তা মূলতঃ তোমাদের নেক আমলের বিনিময় স্বরূপ। বস্তুতঃ তোমাদের আমলসমূহ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ছিলো।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡقُرۡءَانَ تَنزِيلٗا
২৩. হে রাসূল! আমি আপনার উপর কুরআনকে একবারে নয় বরং বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু করে অবতীর্ণ করেছি।
আরবি তাফসীরসমূহ:
فَٱصۡبِرۡ لِحُكۡمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعۡ مِنۡهُمۡ ءَاثِمًا أَوۡ كَفُورٗا
২৪. তাই আল্লাহর শরীয়ত ও অমীয় বিধানগুলোর উপর ধৈর্য ধারণ করুন। আর আপনি পাপ ও কুফরীর প্রতি আহŸানে কোন পাপী কিংবা কাফিরের ডাকে সাড়া দিবেন না।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَٱذۡكُرِ ٱسۡمَ رَبِّكَ بُكۡرَةٗ وَأَصِيلٗا
২৫. আর আপনি ফজরের নামাযের মাধ্যমে দিনের শুরুতে এবং জোহর ও আসরের নামাযের মাধ্যমে দিনের শেষে নিজ প্রতিপালককে স্মরণ করুন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:
• الوفاء بالنذر وإطعام المحتاج، والإخلاص في العمل، والخوف من الله: أسباب للنجاة من النار، ولدخول الجنة.
ক. মানত পূর্ণ করা, মুখাপেক্ষীকে খাবার দেয়া, আমলে একনিষ্ঠতা ও আল্লাহর ভয় জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়।

• إذا كان حال الغلمان الذين يخدمونهم في الجنة بهذا الجمال، فكيف بأهل الجنة أنفسهم؟!
খ. জান্নাতে জান্নাতীদের সেবায় নিয়োজিত সেবকরা যদি এতো সুন্দর হয় তাহলে জান্নাতীরা কেমন সুন্দর হবে?!

وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَٱسۡجُدۡ لَهُۥ وَسَبِّحۡهُ لَيۡلٗا طَوِيلًا
২৬. আপনি রাতের দু’ নামায তথা মাগরিব ও এশার মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করুন এবং এতদুভয়ের পর রাতে দীর্ঘ সময় তাহাজ্জুদের নামায পড়–ন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ يُحِبُّونَ ٱلۡعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَآءَهُمۡ يَوۡمٗا ثَقِيلٗا
২৭. এ সব মুশরিক দুনিয়ার জীবনকে ভালোবাসে ও এর ব্যাপারে অনুরাগী হয়। আর নিজেদের পেছনে কিয়ামত দিবসকে ফেলে রাখে। অথচ কাঠিন্য ও ভয়াবহতার দিক দিয়ে সেটি হলো একটি ভারী কঠিন দিন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
نَّحۡنُ خَلَقۡنَٰهُمۡ وَشَدَدۡنَآ أَسۡرَهُمۡۖ وَإِذَا شِئۡنَا بَدَّلۡنَآ أَمۡثَٰلَهُمۡ تَبۡدِيلًا
২৮. আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং তাদের জোড়া, অঙ্গ ইত্যাদিকে দৃঢ় করার মাধ্যমে তাদের অবয়বকে সুদৃঢ় করেছি। আমি যদি চাই, তাদেরকে ধ্বংস করে তাদের পরিবর্তে অনুরূপ জাতি সৃষ্টি করতে তাহলে আমি তা করতে পারি।
আরবি তাফসীরসমূহ:
إِنَّ هَٰذِهِۦ تَذۡكِرَةٞۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ سَبِيلٗا
২৯. এ সূরাটি উপদেশ ও শিক্ষা মূলক। তাই যে স্বীয় রবের সন্তুষ্টি লাভের পথ ধরতে ইচ্ছে করে সে যেন তা অবলম্বন করে।
আরবি তাফসীরসমূহ:
وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمٗا
৩০. তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ ধরতে চাইলেও তা পারবে না যদি আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে তা না চান। বস্তুতঃ সকল বিষয় আল্লাহর প্রতি ন্যস্ত। আল্লাহ বান্দাদের জন্য কোন্ বস্তু সুবিধাজনক আর কোন্টি অসুবিধাজনক সে ব্যাপারে অবগত। তিনি তাঁর সৃষ্টি, ফায়সালা ও বিধান রচনায় প্রজ্ঞাবান।
আরবি তাফসীরসমূহ:
يُدۡخِلُ مَن يَشَآءُ فِي رَحۡمَتِهِۦۚ وَٱلظَّٰلِمِينَ أَعَدَّ لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمَۢا
৩১. তিনি নিজ বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা তাঁর রহমতে প্রবিষ্ট করেন। ফলে তাদেরকে ঈমান ও নেক আমলের তাওফীক প্রদান করেন। আর নিজেদের উপর কুফরী ও পাপের মাধ্যমে অবিচারকারীদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন পরকালের কষ্টদায়ক শাস্তি। যা হলো জাহান্নামের আগুন।
আরবি তাফসীরসমূহ:
এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:
• خطر التعلق بالدنيا ونسيان الآخرة.
ক. দুনিয়ার মোহ এবং পরকাল থেকে উদাসীন থাকার ভয়াবহতা।

• مشيئة العبد تابعة لمشيئة الله.
খ. বান্দার ইচ্ছা মূলতঃ আল্লাহর ইচ্ছাধীন।

• إهلاك الأمم المكذبة سُنَّة إلهية.
গ. মিথ্যারোপকারী জাতিকে ধ্বংস করা আল্লাহর অমোঘ নিয়ম।

 
অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা: সূরা আল-ইনসান
সূরাসমূহের সূচী পৃষ্ঠার নাম্বার
 
কুরআনুল কারীমের অর্থসমূহের অনুবাদ - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। - অনুবাদসমূহের সূচী

বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। মারকাযু তাফসীর লিদ-দিরাসাতিল কুরআনিয়্যাহ থেকে প্রকাশিত।

বন্ধ