অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা সূরা আল-ইনফিতার - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। - আল-কুরআনুল কারীম বিশ্বকোষ

সূরা আল-ইনফিতার

সূরার কতক উদ্দেশ্য:

تحذير الإنسان من الاغترار ونسيان يوم القيامة.

সুবিন্যস্ত সৃষ্টিকুলের হজবরল অবস্থা এবং তার গতি ও প্রকৃতির পরিবর্তন দ্বারা কিয়ামতের চিত্রাঙ্কন।

---

আয়াত: 1

إِذَا ٱلسَّمَآءُ ٱنفَطَرَتۡ

১. যখন আসমান থেকে ফিরিশতাদের অবতরণের ফলে তা বিদীর্ণ হবে।

আয়াত: 2

وَإِذَا ٱلۡكَوَاكِبُ ٱنتَثَرَتۡ

২. যখন নক্ষত্ররাজি বিক্ষিপ্তভাবে ঝরে পড়বে।

আয়াত: 3

وَإِذَا ٱلۡبِحَارُ فُجِّرَتۡ

৩. যখন সমুদ্রগুলোকে একটির উপর অপরটিকে খুলে দেয়ার ফলে উদ্বেলিত হবে।

আয়াত: 4

وَإِذَا ٱلۡقُبُورُ بُعۡثِرَتۡ

৪. যখন মৃতদেরকে পুনরুত্থান দেয়ার ফলে কবরের মাটি উলট-পালট হবে।

আয়াত: 5

عَلِمَتۡ نَفۡسٞ مَّا قَدَّمَتۡ وَأَخَّرَتۡ

৫. তখন সবাই জানতে পারবে যে, সে পূর্বে কী আমল প্রেরণ করেছে। আর পেছনে কী আমল ছেড়ে এসেছে।

আয়াত: 6

يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡإِنسَٰنُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ ٱلۡكَرِيمِ

৬. হে রবকে অস্বীকারকারী মানুষ! কোন্ বস্তু তোমাকে তোমার সেই মহামহিম রবের নির্দেশ লঙ্ঘন করতে বাধ্য করলো। যখন তিনি অনুগ্রহপূর্বক তোমাকে পাকড়াও না করে অবকাশ দিলেন?!

আয়াত: 7

ٱلَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّىٰكَ فَعَدَلَكَ

৭. যিনি তোমাকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন এবং তোমাকে সুবিন্যস্ত ও সুসামঞ্জস্য করেছেন।

আয়াত: 8

فِيٓ أَيِّ صُورَةٖ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ

৮. তিনি নিজ পছন্দসই আকৃতিতে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাকে গাধা, বানর কিংবা কুকুর প্রভৃতির আকৃতিতে না বানিয়ে তোমার উপর অনুগ্রহ করেছেন।

আয়াত: 9

كَلَّا بَلۡ تُكَذِّبُونَ بِٱلدِّينِ

৯. হে ধোকাগ্রস্তরা! ব্যাপারটি তোমরা যেমন ধারণা করেছো তেমন নয়। বরং তোমরা পরকাল দিবস সস্পর্কে বিশ্বাস রাখো না বিধায় তোমরা এর উদ্দেশ্যে আমল করো না।

আয়াত: 10

وَإِنَّ عَلَيۡكُمۡ لَحَٰفِظِينَ

১০. অবশ্যই তোমাদের উপর সংরক্ষক ফিরিশতাগণ নিযুক্ত রয়েছেন।

আয়াত: 11

كِرَامٗا كَٰتِبِينَ

১১. তাঁরা আল্লাহর নিকট সম্মানিত। তাঁরা তোমাদের আমলসমূহ লিপিবদ্ধ করেন।

আয়াত: 12

يَعۡلَمُونَ مَا تَفۡعَلُونَ

১২. তোমরা যা করো তারা তা জানার ভিত্তিতেই লিপিবদ্ধ করে।

আয়াত: 13

إِنَّ ٱلۡأَبۡرَارَ لَفِي نَعِيمٖ

১৩. নিশ্চয়ই যারা বেশী বেশী পুণ্য ও আনুগত্যের কাজ করে তারা কিয়ামত দিবসে স্থায়ী উপভোগে থাকবে।

আয়াত: 14

وَإِنَّ ٱلۡفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٖ

১৪. পক্ষান্তরে পাপীরা প্রজ্জ্বলিত আগুনে থাকবে।

আয়াত: 15

يَصۡلَوۡنَهَا يَوۡمَ ٱلدِّينِ

১৫. তারা প্রতিদান দিবসে তাতে প্রবেশ করবে এবং এর উত্তাপ আস্বাদন করবে।

আয়াত: 16

وَمَا هُمۡ عَنۡهَا بِغَآئِبِينَ

১৬. তারা সেখান থেকে বের হবে না। বরং তারা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে।

আয়াত: 17

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا يَوۡمُ ٱلدِّينِ

১৭. হে রাসূল! আপনি কি জানেন, বিচার দিবস কী?!

আয়াত: 18

ثُمَّ مَآ أَدۡرَىٰكَ مَا يَوۡمُ ٱلدِّينِ

১৮. আবার বলছি! আপনি কি জানেন, বিচার দিবস কী?!

আয়াত: 19

يَوۡمَ لَا تَمۡلِكُ نَفۡسٞ لِّنَفۡسٖ شَيۡـٔٗاۖ وَٱلۡأَمۡرُ يَوۡمَئِذٖ لِّلَّهِ

১৯. সে দিন কেউ কারো উপকার করতে সক্ষম হবে না। বরং সে দিনের সকল কর্তৃত্ব হবে কেবল আল্লাহর। তিনি সে দিন তাঁর ইচ্ছা মাফিক তসরুপ করবেন।

এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:

• التحذير من الغرور المانع من اتباع الحق.

ক. সত্যকে মানার পথে বাধা সৃষ্টিকারী অহমিকা থেকে সতর্কীকরণ।

• الجشع من الأخلاق الذميمة في التجار ولا يسلم منه إلا من يخاف الله.

খ. অত্যধিক লোভ ব্যবসায়ীদের একটি নিন্দনীয় স্বভাব। যা থেকে আল্লাহভীরু ব্যতীত আর কেউই রক্ষা পায় না।

• تذكر هول القيامة من أعظم الروادع عن المعصية.

গ. কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করা পাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার সর্ব বৃহৎ উপায়।