অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা সূরা আত-তারেক - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। - আল-কুরআনুল কারীম বিশ্বকোষ

সূরা আত-তারেক

সূরার কতক উদ্দেশ্য:

بيان قدرة الله وإحاطته في خلق الإنسان وإعادته.

আল্লাহর বাস্তবমুখী পর্যবেক্ষণ এবং তাঁর চুড়ান্ত ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

---

আয়াত: 1

وَٱلسَّمَآءِ وَٱلطَّارِقِ

১. আল্লাহ আসমান ও রাতে আবির্ভূত নক্ষত্রের শপথ করলেন।

আয়াত: 2

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا ٱلطَّارِقُ

২. হে রাসূল! আপনি কি জানেন এ মহা তারকা সম্পর্কে?!

আয়াত: 3

ٱلنَّجۡمُ ٱلثَّاقِبُ

৩. এটি দীপ্তিমান নক্ষত্র।

আয়াত: 4

إِن كُلُّ نَفۡسٖ لَّمَّا عَلَيۡهَا حَافِظٞ

৪. প্রত্যেকের জন্যে একজন ফিরিশতা নিয়োজিত রয়েছেন যিনি কিয়ামত দিবসের হিসাবের জন্য আমল সংরক্ষণ করেন।

আয়াত: 5

فَلۡيَنظُرِ ٱلۡإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ

৫. সুতরাং মানুষের ভেবে দেখা উচিৎ যে, তাকে কী বস্তু থেকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। যেন তার নিকট আল্লাহর অপার ক্ষমতা এবং মানুষের দীনতা প্রকাশ পায়।

আয়াত: 6

خُلِقَ مِن مَّآءٖ دَافِقٖ

৬. আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন গর্ভাশয়ে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।

আয়াত: 7

يَخۡرُجُ مِنۢ بَيۡنِ ٱلصُّلۡبِ وَٱلتَّرَآئِبِ

৭. উক্ত পানি নির্গত হয় পুরুষের মেরুদÐ ও পিঞ্জরাস্থির মধ্য হতে।

আয়াত: 8

إِنَّهُۥ عَلَىٰ رَجۡعِهِۦ لَقَادِرٞ

৮. যিনি তাকে এ অবহেলিত পানি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তিনি তাকে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে তার মৃত্যুর পর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।

আয়াত: 9

يَوۡمَ تُبۡلَى ٱلسَّرَآئِرُ

৯. সে দিন গোপন বিষয়াদি নিরীক্ষণ করা হবে। ফলে অন্তরগুলো যে সব কামনা ও বিশ্বাস প্রভৃতি পোষণ করতো তা প্রকাশ পাবে। তাতে এগুলোর মধ্যকার ভালো-মন্দের পার্থক্য হবে।

আয়াত: 10

فَمَا لَهُۥ مِن قُوَّةٖ وَلَا نَاصِرٖ

১০. তখন কোন মানুষের পক্ষে আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যেমন সম্ভব হবে না তেমনিভাবে তাকে সহযোগিতাকারীও কেউ থাকবে না।

আয়াত: 11

وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلرَّجۡعِ

১১. আল্লাহ বারংবার বর্ষণশীল আসমানের শপথ করলেন। বস্তুতঃ আসমান থেকে বারংবার বারি বর্ষিত হয়।

আয়াত: 12

وَٱلۡأَرۡضِ ذَاتِ ٱلصَّدۡعِ

১২. তিনি শপথ করলেন সে যমীনের যা বিদীর্ণ হয়ে শস্যাদি, ফলফলাদি ও বৃক্ষরাজি উৎপন্ন করে।

আয়াত: 13

إِنَّهُۥ لَقَوۡلٞ فَصۡلٞ

১৩. নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর অবতীর্ণ এ বাণী হক বাতিল এবং সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী।

আয়াত: 14

وَمَا هُوَ بِٱلۡهَزۡلِ

১৪. এটি তামাশা কিংবা প্রহসন নয়। বরং তা হলো বাস্তব ও চিরসত্য।

আয়াত: 15

إِنَّهُمۡ يَكِيدُونَ كَيۡدٗا

১৫. নিশ্চয়ই রাসূলের আনিত বিষয়ে মিথ্যারোপকারীরা তাঁর দাওয়াতকে প্রতিহত ও ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে ভীষণ চক্রান্ত করে।

আয়াত: 16

وَأَكِيدُ كَيۡدٗا

১৬. আর আমি ধর্মকে বিজয়ী এবং বাতিলকে প্রতিহত করার জন্য ভীষণ কৌশল অবলম্বন করি।

আয়াত: 17

فَمَهِّلِ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَمۡهِلۡهُمۡ رُوَيۡدَۢا

১৭. অতএব, হে রাসূল! আপনি এ সকল কাফিরকে অবকাশ দিন। মাত্র কিছু দিনের অবকাশ। তাদের শাস্তি ও ধ্বংসের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না।

এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:

• تحفظ الملائكة الإنسان وأعماله خيرها وشرها ليحاسب عليها.

ক. ফিরিশতাগণ মানুষ ও তার ভালো-মন্দ সকল আমল সংরক্ষণ করেন। যাতে করে এগুলোর হিসাব নেয়া হয়।

• ضعف كيد الكفار إذا قوبل بكيد الله سبحانه.

খ. মহান আল্লাহর কৌশলের সামনে কাফিরদের কূটকৌশল অতি দুর্বল।

• خشية الله تبعث على الاتعاظ.

গ. আল্লাহর ভয় উপদেশ গ্রহণে শক্তি যোগায়।