অর্থসমূহের অনুবাদ সূরা সূরা আশ-শামস - বাংলা ভাষায় আল-কুরআনুল কারীমের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের অনুবাদ। - আল-কুরআনুল কারীম বিশ্বকোষ

সূরা আশ-শামস

সূরার কতক উদ্দেশ্য:

التأكيد بأطول قسم في القرآن، على تعظيم تزكية النفس بالطاعات، وخسارة دسّها بالمعاصي.

এটি আত্মশুদ্ধি ও পাপাচার থেকে সতর্কীকরণের মানসে দিগন্তে, ব্যক্তিসত্তায় ও বিভিন্ন অবস্থায় আল্লাহর আয়াত ও নিয়ামতসমূহের বহিঃপ্রকাশের প্রতি গুরুত্বারোপ করে।

---

আয়াত: 1

وَٱلشَّمۡسِ وَضُحَىٰهَا

১. আল্লাহ সূর্যের শপথ করলেন এবং শপথ করলেন পূর্ব দিক থেকে তা উদয়ের পর উঁচু হওয়ার সময়ের।

আয়াত: 2

وَٱلۡقَمَرِ إِذَا تَلَىٰهَا

২. তিনি শপথ করলেন চন্দ্রের যখন সূর্যাস্ত হওয়ার পর তা আবির্ভূত হয়।

আয়াত: 3

وَٱلنَّهَارِ إِذَا جَلَّىٰهَا

৩. তিনি শপথ করলেন দিবসের যখন তার আলো দিয়ে ভ‚পৃষ্ঠের সব কিছু প্রকাশিত হয়।

আয়াত: 4

وَٱلَّيۡلِ إِذَا يَغۡشَىٰهَا

৪. শপথ করলেন রজনীর যখন তার অন্ধকার ভূপৃষ্ঠকে ঢেকে দেয়। ফলে সে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।

আয়াত: 5

وَٱلسَّمَآءِ وَمَا بَنَىٰهَا

৫. আরো শপথ করলেন আসমান ও তার নিপুণ নির্মাণের।

আয়াত: 6

وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا طَحَىٰهَا

৬. আবার তিনি পৃথিবী ও তার বিস্তীর্ণতার শপথ করলেন। যাতে মানুষ সেখানে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে।

আয়াত: 7

وَنَفۡسٖ وَمَا سَوَّىٰهَا

৭. তিনি সকল আত্মা ও সেগুলোকে সুবিন্যস্তভাবে গঠন করার শপথ করলেন।

আয়াত: 8

فَأَلۡهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقۡوَىٰهَا

৮. অতঃপর তাকে শিক্ষাদান ব্যতিরেকেই তাতে করণীয় সৎকর্ম ও বর্জনীয় অসৎকর্মের মানসিকতা ঢেলে দিলেন।

আয়াত: 9

قَدۡ أَفۡلَحَ مَن زَكَّىٰهَا

৯. অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হবে যে নিজ আত্মাকে উন্নত স্বভাব দিয়ে সমৃদ্ধ করবে এবং বাজে স্বভাব থেকে পবিত্র রাখবে।

আয়াত: 10

وَقَدۡ خَابَ مَن دَسَّىٰهَا

১০. আর সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে যে নিজ আত্মায় পাপ-পঙ্কিলতা সেঁটে দিয়ে সেটিকে কলুষিত করেছে।

আয়াত: 11

كَذَّبَتۡ ثَمُودُ بِطَغۡوَىٰهَآ

১১. সামূদ সম্প্রদায় নিজেদের নবী সালিহ (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে এ জন্য যে, তারা অবাধ্যতা ও পাপাচারে সীমালঙ্ঘন করেছে।

আয়াত: 12

إِذِ ٱنۢبَعَثَ أَشۡقَىٰهَا

১২. যখন তাদের মধ্যকার সর্বাপেক্ষা হতভাগা নিজ সম্প্রদায়ের আহŸানে সাড়া দিলো।

আয়াত: 13

فَقَالَ لَهُمۡ رَسُولُ ٱللَّهِ نَاقَةَ ٱللَّهِ وَسُقۡيَٰهَا

১৩. তখন তাদেরকে আল্লাহর রাসূল সালেহ (আলাইহিস-সালাম) বললেন: তোমরা আল্লাহর উষ্ট্রীকে ছেড়ে দাও এবং তাকে তার পালার দিবসে পান করতে দাও। তাকে কোনরূপ কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকো।

আয়াত: 14

فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمۡدَمَ عَلَيۡهِمۡ رَبُّهُم بِذَنۢبِهِمۡ فَسَوَّىٰهَا

১৪. তখন তারা উষ্ট্রীর ব্যাপারে নিজেদের রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করলো। ফলে তাদের মধ্যকার সর্বাপেক্ষা হতভাগা লোকটিই তাদের সম্মতিতে সেটিকে হত্যা করলো। এতে করে তারা পাপের অংশিদার হলো। যার ফলে আল্লাহ তাদের সবাইকে শাস্তি দিয়ে পাকড়াও করলেন এবং তাদের পাপের দরুন তাদেরকে চিৎকার ধ্বনি দিয়ে ধ্বংস করলেন। উপরন্তু তিনি সবাইকে শাস্তিতে সমান বলে পরিগণিত করলেন।

আয়াত: 15

وَلَا يَخَافُ عُقۡبَٰهَا

১৫. আল্লাহ তাদেরকে এ ধ্বংসাত্মক শাস্তি প্রদানে কোন পরিণামকে ভয় করেন না।

এই পৃষ্ঠার আয়াতগুলোর কতক ফায়দা:

• أهمية تزكية النفس وتطهيرها.

ক. আত্মশুদ্ধি ও একে পরিচ্ছন্ন করার গুরুত্ব।

• المتعاونون على المعصية شركاء في الإثم.

খ. পাপ কাজের সহযোগীরা পাপে একে অপরের অংশীদার।

• الذنوب سبب للعقوبات الدنيوية.

গ. পাপাচার ইহকালীন শাস্তিরও কারণ।

• كلٌّ ميسر لما خلق له فمنهم مطيع ومنهم عاصٍ.

ঘ. যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য তাই সহজ। তাই তাদের কেউ বাধ্য আর কেউ অবাধ্য।