Traduction des sens Sourate AL-HÂQQAH - Traduction bengalaise du résumé de l'exégèse du Noble Coran - Encyclopédie du Noble Coran

সূরা আল-হাক্কাহ

Parmi les objectifs de la sourate:

إثبات أن وقوع القيامة والجزاء فيها حقٌّ لا ريب فيه.

বিশেষভাবে কুরআনের সত্যতা প্রমাণ এবং মুমিনদেরকে খুশি করার অঙ্গীকার উপরন্তু মিথ্যারোপকারীদেরকে শাস্তি প্রদানের হুমকির লক্ষ্যে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হওয়া অতীব জরুরী।

---

Verset: 1

ٱلۡحَآقَّةُ

১. আল্লাহ কিয়ামতের এমন সময়ের কথা উল্লেখ করছেন যা সবার জন্য অবধারিত।

Verset: 2

مَا ٱلۡحَآقَّةُ

২. অতঃপর তিনি এ বিষয়ের ভয়াবহতার মাত্রা বৃদ্ধি করতঃ বলেন, অবধারিত ব্যাপারটি কী?

Verset: 3

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا ٱلۡحَآقَّةُ

৩. আর আপনাকে কে জানাবে, অবধারিত বিষয়টি কী?

Verset: 4

كَذَّبَتۡ ثَمُودُ وَعَادُۢ بِٱلۡقَارِعَةِ

৪. সালেহ (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় সামূদ মিথ্যারোপ করেছে। আরো মিথ্যারোপ করেছে হূদ (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় আদ সেই কিয়ামতকে যা তার বিভীষিকা দিয়ে মানুষের কানে বিকট শব্দ করবে।

Verset: 5

فَأَمَّا ثَمُودُ فَأُهۡلِكُواْ بِٱلطَّاغِيَةِ

৫. সামূদ সম্প্রদাকে আল্লাহ চূড়ান্ত পর্যায়ের বিকট ও ভয়ানক ধ্বনি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন।

Verset: 6

وَأَمَّا عَادٞ فَأُهۡلِكُواْ بِرِيحٖ صَرۡصَرٍ عَاتِيَةٖ

৬. আর আদ সম্প্রদায়কে আল্লাহ প্রচÐ ও কঠিন প্রকারের শৈত্য আবহাওয়া দিয়ে বিনাশ করে দিয়েছেন।

Verset: 7

سَخَّرَهَا عَلَيۡهِمۡ سَبۡعَ لَيَالٖ وَثَمَٰنِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومٗاۖ فَتَرَى ٱلۡقَوۡمَ فِيهَا صَرۡعَىٰ كَأَنَّهُمۡ أَعۡجَازُ نَخۡلٍ خَاوِيَةٖ

৭. আল্লাহ তাদের উপর সাত রাত ও আট দিনের জন্য তা প্রেরণ করেন। যা তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করে দেয়। ফলে আপনি তাদেরকে দেখতে পাবেন, তারা নিজেদের ভ‚মিতে ধ্বংস ও আছাড় খেয়ে পড়ে আছে। ধ্বংসের পর তারা যেন পুরনো খেজুর বৃক্ষের শিকড়ের ন্যায় পড়ে আছে।

Verset: 8

فَهَلۡ تَرَىٰ لَهُم مِّنۢ بَاقِيَةٖ

৮. তাদেরকে শাস্তি দেয়ার পর আপনি কি তাদের কাউকে অবশিষ্ট দেখতে পাচ্ছেন?!

Parmi les bénéfices ( méditations ) des versets de cette page:

• الصبر خلق محمود لازم للدعاة وغيرهم.

ক. ধৈর্য একটি প্রশংসনীয় স্বভাব যা আল্লাহর প্রতি আহŸানকারী ও অন্যান্যদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

• التوبة تَجُبُّ ما قبلها وهي من أسباب اصطفاء الله للعبد وجعله من عباده الصالحين.

খ. তাওবা এর পূর্বের পাপসমূহ মোচন করে। যা আল্লাহ কর্তৃক বান্দাকে চয়ন করার উপায় এবং এটি তাকে তাঁর নেক বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে।

• تنوّع ما يرسله الله على الكفار والعصاة من عذاب دلالة على كمال قدرته وكمال عدله.

গ. আল্লাহ কাফির ও অবাধ্যদের উপর বিভিন্নরূপী যে সব শাস্তি প্রেরণ করেন তাতে তাঁর ক্ষমতা ও ইনসাফের পূর্ণতার প্রমাণ নিহিত রয়েছে।

Verset: 9

وَجَآءَ فِرۡعَوۡنُ وَمَن قَبۡلَهُۥ وَٱلۡمُؤۡتَفِكَٰتُ بِٱلۡخَاطِئَةِ

৯. ফিরাউন, তার পূর্বের জাতিরা এবং ওই সব গ্রামবাসী যাদেরকে যমীন উল্টে দিয়ে শাস্তি দেয়া হয় যারা হলো লুত সম্প্রদায় তারা শিরক ও পাপাচারের মাধ্যমে অপরাধ করে বসে।

Verset: 10

فَعَصَوۡاْ رَسُولَ رَبِّهِمۡ فَأَخَذَهُمۡ أَخۡذَةٗ رَّابِيَةً

১০. তাদের প্রত্যেকেই নিজেদের প্রতি প্রেরিত রাসূলের অবাধ্যতা ও তাঁকে অবিশ্বাস করলো। ফলে আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করতে যা প্রয়োজন তদাপেক্ষা কঠোর শাস্তি কর্তৃক পাকড়াও করলেন।

Verset: 11

إِنَّا لَمَّا طَغَا ٱلۡمَآءُ حَمَلۡنَٰكُمۡ فِي ٱلۡجَارِيَةِ

১১. যখন পানি উচ্চতায় তার সীমা অতিক্রম করলো তখন আমি নূহ (আলাইহিস-সালাম) কর্তৃক আমার নির্দেশে প্রস্তুতকৃত কিশতীতে তোমাদের পিতামহদেরকে আরোহণ করাই। যা তোমাদেরকে আরাহন করানোর নামান্তর।

Verset: 12

لِنَجۡعَلَهَا لَكُمۡ تَذۡكِرَةٗ وَتَعِيَهَآ أُذُنٞ وَٰعِيَةٞ

১২. যাতে করে আমি কিশতী ও তার কাহিনীকে এমন উপদেশে পরিণত করি যা কাফিরদেরকে ধ্বংস ও ঈমনদারদেরকে রক্ষার নিদর্শন হিসাবে রয়ে যায় এবং সেটিকে শ্রবণকারী কান স্মরণ রাখে।

Verset: 13

فَإِذَا نُفِخَ فِي ٱلصُّورِ نَفۡخَةٞ وَٰحِدَةٞ

১৩. যখন নিয়োজিত ফিরিশতা শিঙ্গায় প্রথম ফুৎকার দিবেন যা হবে দ্বিতীয় ফুৎকার।

Verset: 14

وَحُمِلَتِ ٱلۡأَرۡضُ وَٱلۡجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةٗ وَٰحِدَةٗ

১৪. আর যমীন ও পাহাড়গুলোকে উত্তোলন করা হবে তখন উভয়টি পরস্পর এক কঠিন ধাক্কা খেয়ে যমীন ও পাহাড়ের অংশগুলো একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

Verset: 15

فَيَوۡمَئِذٖ وَقَعَتِ ٱلۡوَاقِعَةُ

১৫. যে দিন এ সব কিছু সংঘটিত হবে সে দিন কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে।

Verset: 16

وَٱنشَقَّتِ ٱلسَّمَآءُ فَهِيَ يَوۡمَئِذٖ وَاهِيَةٞ

১৬. সে দিন আসমান থেকে ফিরিশতাগণের আগমনে তা ফেটে যাবে। ফলে তা ভারসাম্যপ‚র্ণ শক্তিশালী থাকার পরও আজ দুর্বল হয়ে পড়বে।

Verset: 17

وَٱلۡمَلَكُ عَلَىٰٓ أَرۡجَآئِهَاۚ وَيَحۡمِلُ عَرۡشَ رَبِّكَ فَوۡقَهُمۡ يَوۡمَئِذٖ ثَمَٰنِيَةٞ

১৭. ফিরিশতাগণ এর কিনারা ও পার্শ্বদেশে অবস্থান করবে। সে দিন আপনার রবের আরশ বহন করবে তাঁর নিকটে থাকা আটজন ফিরিশতা।

Verset: 18

يَوۡمَئِذٖ تُعۡرَضُونَ لَا تَخۡفَىٰ مِنكُمۡ خَافِيَةٞ

১৮. হে লোক সকল! সে দিন তোমাদেরকে আল্লাহর সামনে পেশ করা হবে। আল্লাহর নিকট তোমাদের কোন গোপন বিষয়ই গোপন থাকবে না। বরং আল্লাহ সে সব ব্যাপারে জ্ঞাত ও অবগত।

Verset: 19

فَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَيَقُولُ هَآؤُمُ ٱقۡرَءُواْ كِتَٰبِيَهۡ

১৯. যার আমলনামা ডান হাতে প্রদান করা হবে সে আনন্দ ও খুশিতে বলবে: এই নাও আমার আমলনামা পড়ে দেখো।

Verset: 20

إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَٰقٍ حِسَابِيَهۡ

২০. আমি দুনিয়াতে জেনেছি ও এ ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করেছি যে, আমি অবশ্যই পুনরুত্থিত হবো এবং আমার প্রতিদান লাভ করবো।

Verset: 21

فَهُوَ فِي عِيشَةٖ رَّاضِيَةٖ

২১. ফলে সে স্থায়ী নিয়ামত প্রত্যক্ষ করার কারণে আনন্দময় জীবনে অবস্থান করবে।

Verset: 22

فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٖ

২২. উন্নত মর্যাদা ও অবস্থানসম্পন্ন জান্নাতে।

Verset: 23

قُطُوفُهَا دَانِيَةٞ

২৩. যার ফলমূল তা ভক্ষণকারীদের হাতের নাগালে থাকবে।

Verset: 24

كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ هَنِيٓـَٔۢا بِمَآ أَسۡلَفۡتُمۡ فِي ٱلۡأَيَّامِ ٱلۡخَالِيَةِ

২৪. তাদেরকে সম্মান প্রদর্শনমূলকভাবে বলা হবে, তোমরা দুনিয়ার বিগত দিন গুলোতে যে সব নেক আমল করেছো তার বিনিময়ে কষ্টবিহীনভাবে খাও এবং পান করো।

Verset: 25

وَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِشِمَالِهِۦ فَيَقُولُ يَٰلَيۡتَنِي لَمۡ أُوتَ كِتَٰبِيَهۡ

২৫. আর যার আমলনামা বাম হাতে প্রদান করা হবে সে চরম অনুশোচনা করে বলবে, হায় আমার আক্ষেপ! আমাকে যদি আমলনামা না দেয়া হতো। কেননা, এতে রয়েছে আমার জন্য শাস্তি অবধারিত করার মতো পাপ কর্মসমূহ।

Verset: 26

وَلَمۡ أَدۡرِ مَا حِسَابِيَهۡ

২৬. হায় আমার আক্ষেপ! আমি যদি আমার হিসাব নামক কোন বিষয় সম্পর্কে অবগত না হতাম।

Verset: 27

يَٰلَيۡتَهَا كَانَتِ ٱلۡقَاضِيَةَ

২৭. হায় আক্ষেপ! আমার মৃত্যুটি যদি এমন হতো যার পর আমাকে আর কখনো পুনরুত্থিত করা না হতো।

Verset: 28

مَآ أَغۡنَىٰ عَنِّي مَالِيَهۡۜ

২৮. আমার সম্পদ আমার শাস্তিকে এতটুকুও প্রতিহত করতে পারে নি।

Verset: 29

هَلَكَ عَنِّي سُلۡطَٰنِيَهۡ

২৯. আমার নিকট থেকে আমার সকল প্রমাণ এবং যে সব ক্ষমতা ও মর্যাদার উপর আমি প্রতিষ্ঠিত ছিলাম তা সবই হারিয়ে গেছে।

Verset: 30

خُذُوهُ فَغُلُّوهُ

৩০. তখন বলা হবে, হে ফিরিশতারা! তোমরা একে ধরো এবং এর হাতকে তার ঘাড়ে নিয়ে বেঁধে রাখো।

Verset: 31

ثُمَّ ٱلۡجَحِيمَ صَلُّوهُ

৩১. অতঃপর তাকে অগ্নিতে প্রবিষ্ট করো। যাতে সে এর তাপে কষ্ট পায়।

Verset: 32

ثُمَّ فِي سِلۡسِلَةٖ ذَرۡعُهَا سَبۡعُونَ ذِرَاعٗا فَٱسۡلُكُوهُ

৩২. অতঃপর তাকে সত্তর হাত লম্বা শিকলে প্রবিষ্ট করো।

Verset: 33

إِنَّهُۥ كَانَ لَا يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ ٱلۡعَظِيمِ

৩৩. সে মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতো না।

Verset: 34

وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ

৩৪. আর অন্যদেরকে মিসকীনদের খাবার খাওয়ানোর উৎসাহ দিতো না।

Verset: 35

فَلَيۡسَ لَهُ ٱلۡيَوۡمَ هَٰهُنَا حَمِيمٞ

৩৫. তাই কিয়ামত দিবসে তার শাস্তি প্রতিহত করার জন্য কোন নিকটাত্মীয় থাকবে না।

Parmi les bénéfices ( méditations ) des versets de cette page:

• المِنَّة التي على الوالد مِنَّة على الولد تستوجب الشكر.

ক. পিতার উপর কৃত অনুগ্রহ সন্তানের উপর অনুগ্রহের নামান্তর। যা শুকরিয়া আদায়কে অপরিহার্য করে তোলে।

• إطعام الفقير والحض عليه من أسباب الوقاية من عذاب النار.

খ. ফকীরদেরকে খাবার খাওয়ানো এবং তাতে উৎসাহ প্রদান করা জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষার কারণ।

• شدة عذاب يوم القيامة تستوجب التوقي منه بالإيمان والعمل الصالح.

গ. কিয়ামত দিবসের কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈমান ও নেক আমলের উপায় অবলম্বন করা অপরিহার্য।

Verset: 36

وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنۡ غِسۡلِينٖ

৩৬. তার খাবারের জন্য জাহান্নামীদের শরীরের পুঁজ ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য থাকবে না।

Verset: 37

لَّا يَأۡكُلُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡخَٰطِـُٔونَ

৩৭. এ সব খাবার পাপাচারী ও অবাধ্যজন ব্যতীত অন্য কেউ ভক্ষণ করবে না।

Verset: 38

فَلَآ أُقۡسِمُ بِمَا تُبۡصِرُونَ

৩৮. আল্লাহ দৃশ্যমান বস্তুর শপথ করলেন।

Verset: 39

وَمَا لَا تُبۡصِرُونَ

৩৯. তিনি আরো শপথ করলেন সে সব বস্তুর যা তোমরা দেখো না।

Verset: 40

إِنَّهُۥ لَقَوۡلُ رَسُولٖ كَرِيمٖ

৪০. নিশ্চয়ই কুরআন আল্লাহর কালাম। যা তদীয় সম্মানিত রাসূল মানুষের সামনে তিলাওয়াত করেন।

Verset: 41

وَمَا هُوَ بِقَوۡلِ شَاعِرٖۚ قَلِيلٗا مَّا تُؤۡمِنُونَ

৪১. এটি কোন কবির কথা নয়। কেননা, এটিকে কবিতার ছন্দে সাজানো হয় নি। এরপরও তোমাদের মধ্যকার অল্প সংখ্যক লোকই ঈমান গ্রহণ করে থাকে।

Verset: 42

وَلَا بِقَوۡلِ كَاهِنٖۚ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ

৪২. না এটি কোন গণকের কথা। কেননা, গণকদের কথা এর বিপরীত। এরপরও তোমাদের মধ্যকার অল্প সংখ্যক লোকই উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।

Verset: 43

تَنزِيلٞ مِّن رَّبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

৪৩. বরং এটি সকল মাখলুকের প্রতিপালক আল্লাহর পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ।

Verset: 44

وَلَوۡ تَقَوَّلَ عَلَيۡنَا بَعۡضَ ٱلۡأَقَاوِيلِ

৪৪. যদি মুহাম্মদ আমার ব্যাপারে এমন কিছু বানিয়ে বলে যা আমি বলি নি।

Verset: 45

لَأَخَذۡنَا مِنۡهُ بِٱلۡيَمِينِ

৪৫. তাহলে আমি এর প্রতিশোধ নেবো এবং স্বীয় ক্ষমতাবলে আমি তাঁকে শক্তভাবে পাকড়াও করবো।

Verset: 46

ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡهُ ٱلۡوَتِينَ

৪৬. অতঃপর তার অন্তরের নাড়ি কেটে ফেলবো।

Verset: 47

فَمَا مِنكُم مِّنۡ أَحَدٍ عَنۡهُ حَٰجِزِينَ

৪৭. ফলে তোমাদের কেউ আমাকে তাঁর থেকে বারণকারী হবে না। তাই তোমাদের উদ্দেশ্যে আমার নামে মিথ্যা রটনা করা তাঁর পক্ষে দুরূহ ব্যাপার।

Verset: 48

وَإِنَّهُۥ لَتَذۡكِرَةٞ لِّلۡمُتَّقِينَ

৪৮. বস্তুতঃ কুরআন আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করে চলা মুত্তাকীদের জন্যই উপদেশ।

Verset: 49

وَإِنَّا لَنَعۡلَمُ أَنَّ مِنكُم مُّكَذِّبِينَ

৪৯. আমি অবশ্যই জানি, তোমাদের মাঝে এমন লোকও রয়েছে যে এ কুরআনের প্রতি মিথ্যারোপ করে।

Verset: 50

وَإِنَّهُۥ لَحَسۡرَةٌ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ

৫০. বস্তুতঃ কুরআনকে অবিশ্বাস করা কিয়ামত দিবসে মহা অপমানের কারণ।

Verset: 51

وَإِنَّهُۥ لَحَقُّ ٱلۡيَقِينِ

৫১. কুরআন এমন এক দৃঢ়তর সত্য যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসার ব্যাপারে কোন সন্দেহ কিংবা সংশয় নেই।

Verset: 52

فَسَبِّحۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلۡعَظِيمِ

৫২. তাই হে রাসূল! আপনি নিজ প্রতিপালককে তাঁর সাথে বেমানন সব কিছু থেকে পবিত্র ঘোষণা এবং আপনার মহান প্রতিপালকের নাম স্মরণ করুন।

Parmi les bénéfices ( méditations ) des versets de cette page:

• تنزيه القرآن عن الشعر والكهانة.

ক. কুরআনকে কবিতা ও জ্যোতির্বিদ্যা থেকে মুক্ত ঘোষণা করা।

• خطر التَّقَوُّل على الله والافتراء عليه سبحانه.

খ. মহান আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ ও বানিয়ে কথা বলার ভয়াবহতা।

• الصبر الجميل الذي يحتسب فيه الأجر من الله ولا يُشكى لغيره.

গ. সুন্দরভাবে ধৈর্য ধারণ করা। যাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদানের আশা রাখবে এবং অন্য কারো নিকট অভিযোগ করবে না।