Fassarar Ma'anonin Alqura'ni - Fassarar Takaitaccen Tafsirin Alqurani maigirma da Yaren Bangaliyanci * - Teburin Bayani kan wasu Fassarori


Fassarar Ma'anoni Sura: Suratu Al'shuraa   Aya:

সূরা আশ-শুরা

daga cikin abunda Surar ta kunsa:
بيان كمال تشريع الله، ووجوب متابعته، والتحذير من مخالفته.
ওহী ও মুহাম্মাদী রিসালাতের হাকীকতের বর্ণনা এবং তা হলো নবীদের প্রতি ওহীর ধারাবাহিকতা মাত্র।

حمٓ
১-২. হা-মীম। আইন-সীন-ক্বাফ, এ সব যুক্তাক্ষরের ব্যাপারে আলোচনা সূরা বাকারার শুরুতেই করা হয়েছে।
Tafsiran larabci:
عٓسٓقٓ
১-২. হা-মীম। আইন-সীন-ক্বাফ, এ সব যুক্তাক্ষরের ব্যাপারে আলোচনা সূরা বাকারার শুরুতেই করা হয়েছে।
Tafsiran larabci:
كَذَٰلِكَ يُوحِيٓ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ ٱللَّهُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ
৩. হে মুহাম্মদ! এ ধরনের ওহী তোমার ও তোমার পূর্ববর্তী নবীদের উপর অবতীর্ণ করে থাকেন যিনি শত্রæদের উপর থেকে প্রতিশোধ গ্রহণে পরাক্রমশালী এবং তাঁর পরিচালনা ও সৃষ্টিতে প্রজ্ঞাবান।
Tafsiran larabci:
لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۖ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ
৪. আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে এ সবের সৃষ্টি, রাজত্ব ও পরিচালনা এককভাবে আল্লাহর। তিনি তাঁর সত্তা, ক্ষমতা ও প্রতাপে সর্বোচ্চ। তিনি নিজ সত্তায় চির মহান।
Tafsiran larabci:
تَكَادُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ يَتَفَطَّرۡنَ مِن فَوۡقِهِنَّۚ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يُسَبِّحُونَ بِحَمۡدِ رَبِّهِمۡ وَيَسۡتَغۡفِرُونَ لِمَن فِي ٱلۡأَرۡضِۗ أَلَآ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ
৫. তাঁর মহত্তে¡র কারণে আসমানসমূহ এত বিশাল ও উঁচু হওয়া সত্তে¡ও যমীনের উপর পড়ে যেতে চায়। আর ফিরিশতারা স্বীয় প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করেন। তাঁর সম্মানে বিনয়াবনত হয়ে প্রশংসাপূর্ণ মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন। আর তাঁরা যমীনবাসীর জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। জেনে রেখো, আল্লাহ তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়াবান।
Tafsiran larabci:
وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ ٱللَّهُ حَفِيظٌ عَلَيۡهِمۡ وَمَآ أَنتَ عَلَيۡهِم بِوَكِيلٖ
৬. পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর পরিবর্তে দেবতাদেরকে ভালোবাসে ও তাদের ইবাদাত করে আল্লাহ তাদের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তিনি তাদের পাপ লিপিবদ্ধ করছেন এবং তিনি এর প্রতিদান দিবেন। আর হে রাসূল! আপনি তাদের আমল সংরক্ষণের দায়িত্বশীল নন। আপনাকে তাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন না। আপনি কেবল একজন প্রচারক মাত্র।
Tafsiran larabci:
وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ قُرۡءَانًا عَرَبِيّٗا لِّتُنذِرَ أُمَّ ٱلۡقُرَىٰ وَمَنۡ حَوۡلَهَا وَتُنذِرَ يَوۡمَ ٱلۡجَمۡعِ لَا رَيۡبَ فِيهِۚ فَرِيقٞ فِي ٱلۡجَنَّةِ وَفَرِيقٞ فِي ٱلسَّعِيرِ
৭. হে রাসূল! আমি যেভাবে আপনার পূর্বে নবীদের নিকট ওহী অবতীর্ণ করেছি তেমনিভাবে আপনার নিকট আরবী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করেছি। যেন আপনি মক্কা ও তার পার্শ্ববর্তী আরবের অন্যান্যদেরকে সতর্ক করতে পারেন। অতঃপর অন্য মানুষদেরকে সতর্ক করবেন কিয়ামত দিবস সম্পর্কে যে দিন আল্লাহ প্রথম ও শেষের সকল মানুষকে এক মাটিতে হিসাব ও প্রতিদানের জন্য সমবেত করবেন। সে দিন সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। মানুষ সে দিন দু’ দলে বিভক্ত হবে। একদল হবে জান্নাতী মু’মিন সম্প্রদায়। আর অপর দল হবে জাহান্নামী কাফির সম্প্রদায়।
Tafsiran larabci:
وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَهُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَلَٰكِن يُدۡخِلُ مَن يَشَآءُ فِي رَحۡمَتِهِۦۚ وَٱلظَّٰلِمُونَ مَا لَهُم مِّن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٍ
৮. আল্লাহ চাইলে সকল মানুষকে এক জাতিতে পরিণত করে ইসলাম ধর্মে ঐক্যবদ্ধ করতে পারতেন এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করতেন। কিন্তু তাঁর হেকমতের দাবি হলো তিনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা ইসলামে দীক্ষিত করে জান্নাতে প্রবিষ্ট করবেন। পক্ষান্তরে কুফরী ও পাপাচারের মাধ্যমে নিজের উপর অবিচারকারীদের জন্য কোন দায়িত্বশীল নেই। আর না তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করার জন্য কোন সাহায্যকারী রয়েছে।
Tafsiran larabci:
أَمِ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَۖ فَٱللَّهُ هُوَ ٱلۡوَلِيُّ وَهُوَ يُحۡيِ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ
৯. বরং এ সব মুশরিকরা আল্লাহর প্ররিবর্তে অন্যদেরকে দায়িত্বশীল বানিয়েছে। অথচ প্রকৃত দায়ত্বশীল হলেন আল্লাহ। কেননা, তিনি ব্যতীত অন্যরা না উপকার করতে পারে, না অপকার। তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তাদেরকে হিসাব ও প্রতিদানের জন্য পুনরুত্থিত করবেন। তাকে কোন জিনিস অপারগ করতে পারে না।
Tafsiran larabci:
وَمَا ٱخۡتَلَفۡتُمۡ فِيهِ مِن شَيۡءٖ فَحُكۡمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبِّي عَلَيۡهِ تَوَكَّلۡتُ وَإِلَيۡهِ أُنِيبُ
১০. হে মানব সমাজ! তোমরা দ্বীনের মৌলিক কিংবা শাখাগত যে বিষয়েই মতানৈক্য করো না কেন তার বিধায়ক মূলতঃ আল্লাহ। তাই তোমাদেরকে তাঁর কিতাব কিংবা তদীয় রাসূলের সুন্নতের প্রতি ফিরে যেতে হবে। এই গুণে গুণান্বিত সত্তা হচ্ছেন আমার রব। তাঁর উপরই আমি আমার সকল বিষয়ে ভরসা করি। আর তাঁর প্রতিই তাওবার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন করি।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• عظمة الله ظاهرة في كل شيء.
ক. আল্লাহর মাহাত্ম্য প্রত্যেকটি বস্তুর মধ্যে প্রতিভাত হয়।

• دعاء الملائكة لأهل الإيمان بالخير.
খ. ফিরিশতারা ঈমানদারদের জন্য কল্যাণের দু‘আ করে।

• القرآن والسُنَّة مرجعان للمؤمنين في شؤونهم كلها، وبخاصة عند الاختلاف.
গ. কুরআন-সুন্নাহ হলো মু’মিনদের সকল কাজে সমাধানের উৎস। বিশেষ করে মতানৈক্যের সময়।

• الاقتصار على إنذار أهل مكة ومن حولها؛ لأنهم مقصودون بالرد عليهم لإنكارهم رسالته صلى الله عليه وسلم وهو رسول للناس كافة كما قال تعالى: ﴿وَمَآ أَرسَلنُّكَ إلَّا كافةً لِّلنَّاس...﴾، (سبأ: 28).
ঘ. মক্কা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য সতর্কবাণী সীমাবদ্ধ হওয়ার কারণ হলো তারা যেহেতু রাসূলের রিসালতকে অবিশ্বাস করে তাই তাদের প্রতিবাদ উদ্দেশ্য। অথচ তিনি হলেন সকল মানুষের জন্য আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ বলেন অর্থ: “আমি তোমাকে সকল মানুষের জন্য প্রেরণ করেছি”।

فَاطِرُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ جَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا وَمِنَ ٱلۡأَنۡعَٰمِ أَزۡوَٰجٗا يَذۡرَؤُكُمۡ فِيهِۚ لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ
১১. আল্লাহ কোনরূপ উপমা ব্যতিরেকে আসমান ও যমীনের ¯্রষ্টা। তিনি তোমাদের উদ্দেশ্যে তোমাদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের উদ্দেশ্যে উট, গরু ও ছাগলের মধ্যেও জোড়া সৃষ্টি করেছেন। যাতে করে তোমাদের উপরকারার্থে তারা বৃদ্ধি পায়। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের জোড়ার সাথে বিবাহের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের চতুস্পদ জন্তুর সাহায্যে তোমাদের মাংস ও দুধের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর সাথে তাঁর সৃষ্টির কোন উপমা নেই। তিনি স্বীয় বান্দাদের কথাগুলো শুনেন ও তাদের আচরণগুলো দেখেন। তাঁর থেকে এ সবের কোন কিছুই উধাও হয় না এবং অচিরেই তিনি এ সবের ভালো-মন্দের প্রতিদান দিবেন।
Tafsiran larabci:
لَهُۥ مَقَالِيدُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقۡدِرُۚ إِنَّهُۥ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ
১২. আসমান ও যমীনের ভাÐারসমূহ একা তাঁরই। বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি পরীক্ষামূলকভাবে তার রিযিক বৃদ্ধি করেন। যে সে এর শুকরিয়া আদায় করে না কি না শুকরী করে? আবার কারো উপর তা সংকীর্ণ করেন এ কথা যাচাই করার জন্য যে, সে ধৈর্য ধারণ করে না কি আল্লাহর ফায়সালার উপর অসন্তুষ্ট হয়? তিনি প্রতিটি বিষয়ে পরিজ্ঞাত। তাঁর নিকট নিজ বান্দাদের কোন উপকারী বিষয় গোপন নয়।
Tafsiran larabci:
۞ شَرَعَ لَكُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِۦ نُوحٗا وَٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ وَمَا وَصَّيۡنَا بِهِۦٓ إِبۡرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰٓۖ أَنۡ أَقِيمُواْ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُواْ فِيهِۚ كَبُرَ عَلَى ٱلۡمُشۡرِكِينَ مَا تَدۡعُوهُمۡ إِلَيۡهِۚ ٱللَّهُ يَجۡتَبِيٓ إِلَيۡهِ مَن يَشَآءُ وَيَهۡدِيٓ إِلَيۡهِ مَن يُنِيبُ
১৩. তোমাদের উদ্দেশ্যে দ্বীনের এমন সব বিধান বিধিবদ্ধ করা হয়েছে যার প্রচার ও আমলের জন্য আমি নির্দেশ করেছিলাম নূহকে। আর যে ব্যাপারে হে নবী! আমি আপনার উপর ওহী অবতীর্ণ করেছি। আর আপনাদের উদ্দেশ্যে এমন বিষয় বিধিবদ্ধ করা হয়েছে যে বিষয়ের উপর আমল ও প্রচারের জন্য ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে নির্দেশ দেই। যার সার সংক্ষেপ হলো আপনারা দ্বীন প্রতিষ্ঠা করুন এবং এতে বিভক্তি পরিহার করুন। আপনারা যে একত্ববাদ ও অন্যের ইবাদাত পরিহারের প্রতি আহŸান করেছেন তা মুশরিকদের জন্য খুবই ভারি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা নির্বাচন করেন। ফলে তাকে তাঁর ইবাদাত ও আনুগত্যের উদ্দেশ্যে তাওফীক প্রদান করেন এবং তাঁর প্রতি তাওবার মাধ্যমে যে ফিরে আসতে চায় তাকে পথ প্রদর্শন করেন।
Tafsiran larabci:
وَمَا تَفَرَّقُوٓاْ إِلَّا مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلۡعِلۡمُ بَغۡيَۢا بَيۡنَهُمۡۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةٞ سَبَقَتۡ مِن رَّبِّكَ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗى لَّقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُورِثُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ لَفِي شَكّٖ مِّنۡهُ مُرِيبٖ
১৪. কাফির ও মুশরিকদের মধ্যকার বিভক্তি তাদের প্রতি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রেরণের মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করার পর সৃষ্টি হয়েছে। আর তাদের মধ্যকার বিভক্তি কেবল সীমালঙ্ঘন ও অবিচারের পরেই হয়েছে। যদি আল্লাহর জ্ঞানে পূর্বেই এ কথা না থাকতো যে, তাদের শাস্তি নির্ধারিত সময় তথা কিয়ামত পর্যন্ত বিলম্বিত হবে তাহলে তিনি এখনই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে ফেলতেন। ফলে আল্লাহকে অবিশ্বাস ও তদীয় রাসূলদেরকে মিথ্যারোপ করার কারণে তাদের শাস্তি তরান্বিত করতেন। বস্তুতঃ যে সব ইহুদি তাদের পূর্বসূরী ও এ সব মুশরিকদের পর তাওরাতের উত্তরাধিকারী হয়েছে এবং যে সব খ্রীষ্টান ইঞ্জিলের উত্তরাধিকারী হয়েছে তারা মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্র্তৃক আনিত এই কুরআন নিয়ে নির্ঘাত সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।
Tafsiran larabci:
فَلِذَٰلِكَ فَٱدۡعُۖ وَٱسۡتَقِمۡ كَمَآ أُمِرۡتَۖ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡۖ وَقُلۡ ءَامَنتُ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِن كِتَٰبٖۖ وَأُمِرۡتُ لِأَعۡدِلَ بَيۡنَكُمُۖ ٱللَّهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمۡۖ لَنَآ أَعۡمَٰلُنَا وَلَكُمۡ أَعۡمَٰلُكُمۡۖ لَا حُجَّةَ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَكُمُۖ ٱللَّهُ يَجۡمَعُ بَيۡنَنَاۖ وَإِلَيۡهِ ٱلۡمَصِيرُ
১৫. এই সরল দ্বীনের দাও‘য়াত দিন এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী এর উপর অটল থাকুন। আর তাদের বাতিল মনোবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। বরং তাদের সাথে বিতর্কের সময় বলুন: আমি আল্লাহ ও তদীয় রাসূলদের উপর অবতীর্ণ কিতাবাদির উপর ঈমান এনেছি। আল্লাহ আমাকে মানুষের মাঝে ইনসাফ সহকারে ফায়সালা করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আমি যে আল্লাহর ইবাদাত করি তিনি আমার ও তোমাদের তথা সকলের রব। আর আমলের ভালো-মন্দ যা কিছু হয় তোমাদের আমল তোমাদের আর আমাদের আমল আমাদের। দলীল-প্রমাণ সুস্পষ্ট ও প্রতিভাত হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ও তোমাদের মাঝে কোন বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সমবেত করবেন। আর কিয়ামত দিবসে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি আমাদের সবাইকে যার যার পাওনা অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন। তখন সত্যবাদী আর মিথ্যাবাদী এবং হকপন্থী আর বাতিলপন্থীদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণিত হবে।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• دين الأنبياء في أصوله دين واحد.
ক. নবীগণের ধর্ম তথা এর মৌলিক বিষায়াদি মূলতঃ এক।

• أهمية وحدة الكلمة، وخطر الاختلاف فيها.
খ. ঐক্যের গুরুত্ব আর মতানৈক্যের ভয়াবহতা।

• من مقومات نجاح الدعوة إلى الله: صحة المبدأ، والاستقامة عليه، والبعد عن اتباع الأهواء، والعدل، والتركيز على المشترك، وترك الجدال العقيم، والتذكير بالمصير المشترك.
গ. আল্লাহর প্রতি আহŸানের কাজে সফলতার উপায়সমূহের মধ্যে রয়েছে আদর্শের সঠিকতা ও এর উপর অটল থাকা এবং মনোবৃত্তির অনুসরণ থেকে দূরে অবস্থান করা। যৌথ বিষয়াদিতে ইনসাফ ও যতœশীল হওয়া এবং জটিল বিতর্ক পরিহার করা সর্বোপরি যৌথ পরিণতির ব্যাপারে সতর্কী করণ।

وَٱلَّذِينَ يُحَآجُّونَ فِي ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مَا ٱسۡتُجِيبَ لَهُۥ حُجَّتُهُمۡ دَاحِضَةٌ عِندَ رَبِّهِمۡ وَعَلَيۡهِمۡ غَضَبٞ وَلَهُمۡ عَذَابٞ شَدِيدٌ
১৬. যারা মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ দ্বীনকে মানুষ গ্রহণ করে নেয়ার পর এ ব্যাপারে বাতিল প্রমাণাদি দ্বারা বিতর্কে লিপ্ত হয় তাদের প্রমাণাদি তাদের রব ও মু’মিনদের নিকট নিগৃহিত ও নিপতিত। এর কোন প্রভাব নেই। বরং তাদের কুফরী ও হক প্রত্যাখ্যান করার ফলে তাদের উপর রয়েছে আল্লাহর গজব এবং কিয়ামত দিবসে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
Tafsiran larabci:
ٱللَّهُ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ وَٱلۡمِيزَانَۗ وَمَا يُدۡرِيكَ لَعَلَّ ٱلسَّاعَةَ قَرِيبٞ
১৭. আল্লাহ সত্যসহকারে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। যাতে কোনরূপ সন্দেহ নেই। আর তিনি ন্যায় বিচার অবতীর্ণ করেছেন যাতে করে মানুষের মাঝে ইনসাফ সহকারে ফায়সালা করা হয়। হতে পারে তারা যে সময়কে মিথ্যারোপ করছে তা অত্যাসন্ন। বস্তুতঃ প্রত্যেক আগন্তুকই নিকটবর্তী।
Tafsiran larabci:
يَسۡتَعۡجِلُ بِهَا ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِهَاۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مُشۡفِقُونَ مِنۡهَا وَيَعۡلَمُونَ أَنَّهَا ٱلۡحَقُّۗ أَلَآ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُمَارُونَ فِي ٱلسَّاعَةِ لَفِي ضَلَٰلِۭ بَعِيدٍ
১৮. যারা এর উপর ঈমান রাখে না তারা একে খুব তাড়াতাড়ি কামনা করে। কেননা, তারা হিসাব, প্রতিদান ও শাস্তিতে বিশ্বাসী নয়। পক্ষান্তরে যারা এতে বিশ্বাসী তারা পরিণতির কারণে এ ব্যাপারে ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। তারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে যে, এটি এমন চিরসত্য যাতে কোনরূপ সন্দেহের অবকাশ নেই। জেনে রেখো, যারা কিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক ও ঝগড়া করে এবং তা সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে তারা নিশ্চিত হক থেকে দূরবর্তী ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত।
Tafsiran larabci:
ٱللَّهُ لَطِيفُۢ بِعِبَادِهِۦ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُۖ وَهُوَ ٱلۡقَوِيُّ ٱلۡعَزِيزُ
১৯. আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের ব্যাপারে করুণাশীল। তিনি যাকে ইচ্ছা জীবিকা দিয়ে তার জীবিকায় প্রাচুর্য প্রদান করেন। আবার যার উপর ইচ্ছা রহমত স্বরূপ তা সংকীর্ণ করেন। যদিও দেখতে অন্য কিছু মনে হয়। তিনি সেই ক্ষমতাবান যাকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না। এমন পরাক্রমশালী যিনি তাঁর শত্রæদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে সমর্থ।
Tafsiran larabci:
مَن كَانَ يُرِيدُ حَرۡثَ ٱلۡأٓخِرَةِ نَزِدۡ لَهُۥ فِي حَرۡثِهِۦۖ وَمَن كَانَ يُرِيدُ حَرۡثَ ٱلدُّنۡيَا نُؤۡتِهِۦ مِنۡهَا وَمَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِن نَّصِيبٍ
২০. যে পরকালের কাজ করার সাথে সাথে তার প্রতিদান কামনা করে আমি তার প্রতিদান বহুগুণ বৃদ্ধি করি। বস্তুতঃ পুণ্য দশ থেকে সাত শত এমন কি আরো বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শুধু দুনিয়া কামনা করে আমি তাকে এর নির্ধারিত অংশ প্রদান করি। পরকালে তার জন্য কোন অংশ অবিশিষ্ট থাকবে না। কেননা, সে ইহকালকে পরকালের উপর প্রাধান্য দিয়েছে।
Tafsiran larabci:
أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْ شَرَعُواْ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمۡ يَأۡذَنۢ بِهِ ٱللَّهُۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةُ ٱلۡفَصۡلِ لَقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۗ وَإِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ
২১. না কি এ সব মুশরিকের জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মা‘বূদ রয়েছে। যে তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে শিরক এবং হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে দ্বীন প্রবর্তন করবে? যদি আল্লাহ মতানৈক্যকারীদের বিচার ফায়সালার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত মেয়াদ নির্ণয় না করতেন ও তাকে পিছিয়ে না দিতেন তাহলে অবশ্যই তিনি তাদের মধ্যে এখনই ফায়সালা করে ফেলতেন। বস্তুতঃ নিজেদের নফসের উপর শিরক ও পাপাচারের মাধ্যমে অবিচারকারীদের জন্য কিয়ামত দিবসে কষ্টদায়ক শাস্তি অপেক্ষমাণ রয়েছে।
Tafsiran larabci:
تَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ مُشۡفِقِينَ مِمَّا كَسَبُواْ وَهُوَ وَاقِعُۢ بِهِمۡۗ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فِي رَوۡضَاتِ ٱلۡجَنَّاتِۖ لَهُم مَّا يَشَآءُونَ عِندَ رَبِّهِمۡۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَضۡلُ ٱلۡكَبِيرُ
২২. হে রাসূল! আপনি শিরক ও পাপাচারের মাধ্যমে অবিচারকারীদেরকে অর্জিত পাপের শাস্তির ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত দেখবেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য শাস্তি অবধারিত। ফলে তাওবামুক্ত ভয় তাদের কোন উপকারে আসবে না। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহ ও তদীয় রাসূলগণে বিশ্বাসী ও নেক আমলকারী তারা সম্পূর্ণ এর বিপরীত। কেননা, তারা জান্নাতের উদ্যানসমূহে উপভোগে নিমগ্ন থাকবে। তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট উপভোগ্য যা চাইবে অবারিত ধারায় তা থাকবে। এটি হলো সেই মহা অনুগ্রহ যার সাথে অন্য কোন অনুগ্রহের তুলনা হয় না।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• خوف المؤمن من أهوال يوم القيامة يعين على الاستعداد لها.
ক. মু’মিন ব্যক্তি কর্তৃক কিয়ামত দিবসের বিভীষিকাময় অবস্থাকে ভয় করা তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়ক।

• لطف الله بعباده حيث يوسع الرزق على من يكون خيرًا له، ويضيّق على من يكون التضييق خيرًا له.
খ. বান্দাদের ব্যাপারে আল্লাহর করুণা যে, তিনি ধন-সম্পত্তির প্রাচুর্য কেবল তাকে প্রদান করেন যার জন্য তা কল্যাণকর হয়। পক্ষান্তরে যার ব্যাপারে তা সংকীর্ণ করা কল্যাণকর তার জন্য তা সঙ্কুচিত করেন।

• خطر إيثار الدنيا على الآخرة.
গ. পরকালের উপর ইহকালকে প্রাধান্য দেয়ার পরিণাম ভয়াবহ।

ذَٰلِكَ ٱلَّذِي يُبَشِّرُ ٱللَّهُ عِبَادَهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِۗ قُل لَّآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ أَجۡرًا إِلَّا ٱلۡمَوَدَّةَ فِي ٱلۡقُرۡبَىٰۗ وَمَن يَقۡتَرِفۡ حَسَنَةٗ نَّزِدۡ لَهُۥ فِيهَا حُسۡنًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ شَكُورٌ
২৩. আল্লাহ তদীয় রাসূল মারফত এই মহা সুসংবাদ দ্বারা তাদেরকে সুসংবাদ দেন যারা আল্লাহ ও তদীয় রাসূলগণের উপর ঈমান আনয়ন পূর্বক নেক আমল করে। হে রাসূল! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট হক পৌঁছে দেয়ার জন্য কোন প্রতিদান চাই না। কেবল একটি মাত্র প্রতিদান ব্যতীত যার উপকারিতা তোমাদের প্রতি প্রত্যাবর্তিত হবে। আর তা হলো এই যে, তোমরা আমাকে তোমাদের সাথে জ্ঞাতি বন্ধনের ফলে ভালোবাসবে। বস্তুতঃ যে পুণ্য অর্জন করবে তার প্রতিদান বহুগুণে বৃদ্ধি করা হবে। একটি হবে দশগুণ সমান। অবশ্যই আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে তাওবাকারীদের পাপ ক্ষমাকারী ও তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নেক আমলকারীদের মূল্যায়নকারী।
Tafsiran larabci:
أَمۡ يَقُولُونَ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗاۖ فَإِن يَشَإِ ٱللَّهُ يَخۡتِمۡ عَلَىٰ قَلۡبِكَۗ وَيَمۡحُ ٱللَّهُ ٱلۡبَٰطِلَ وَيُحِقُّ ٱلۡحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ
২৪. মুশরিকদের ধারণা ছিলো যে, মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই কুরআন নিজে রচনা করে একে স্বীয় রবের প্রতি সম্পর্কিত করেছে। আল্লাহ তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যদি আপনি মিথ্যা রচনার কথা মনে মনে ভাবতেন তাহলে আমি আপনার অন্তরে মোহর লাগিয়ে দিতাম এবং রচিত বাতিলকে মিটিয়ে দিতাম আর হক অবশিষ্ট রেখে দিতাম। যেহেতু বিষয়টি এমন ছিলো না তাই এ কথা প্রমাণ হলো যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ কর্তৃক ওহীপ্রাপ্ত। তিনি বান্দাদের অন্তরের খবর রাখেন। তাঁর নিকট কিছুই গোপন থাকে না।
Tafsiran larabci:
وَهُوَ ٱلَّذِي يَقۡبَلُ ٱلتَّوۡبَةَ عَنۡ عِبَادِهِۦ وَيَعۡفُواْ عَنِ ٱلسَّيِّـَٔاتِ وَيَعۡلَمُ مَا تَفۡعَلُونَ
২৫. তিনি স্বীয় বান্দারা কুফরী ও শিরকের পাপ হতে তাওবা করলে তখন তা কবুল করেন এবং তাদের কৃতপাপ মার্জনা করেন। তিনি তোমাদের কৃতকর্ম সবই জানেন। তাঁর নিকট তোমাদের কোন আমলই গোপন থাকে না এবং তিনি এর প্রতিদান দিবেন।
Tafsiran larabci:
وَيَسۡتَجِيبُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضۡلِهِۦۚ وَٱلۡكَٰفِرُونَ لَهُمۡ عَذَابٞ شَدِيدٞ
২৬. তিনি আল্লাহ ও তদীয় রাসূলদের উপর ঈমান আনয়নকারী ও নেক আমলকারীদের দু‘আ কবুল করেন। তিনি তাদের জন্য আপন অনুগ্রহ তাদের চাওয়ার তুলনায় আরো বেশী প্রদান করেন। পক্ষান্তরে আল্লাহকে অবিশ্বাসকারীদের জন্য রয়েছে কিয়ামত দিবসে অপেক্ষমাণ কঠিন শাস্তি।
Tafsiran larabci:
۞ وَلَوۡ بَسَطَ ٱللَّهُ ٱلرِّزۡقَ لِعِبَادِهِۦ لَبَغَوۡاْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِن يُنَزِّلُ بِقَدَرٖ مَّا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرُۢ بَصِيرٞ
২৭. আল্লাহ তাঁর সকল বান্দার জীবিকা প্রশস্ত করলে তারা যমীনে অবিচারমূলক উৎপাত চালাবে। তাই তিনি পরিমাণ মত প্রশস্ত কিংবা সংকীর্ণ করে জীবিকা অবতীর্ণ করেন। তিনি স্বীয় বান্দাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত ও তিনি তাদের পরিদর্শক। ফলে তিনি হেকমত সাপেক্ষে প্রদান ও বারণ করেন।
Tafsiran larabci:
وَهُوَ ٱلَّذِي يُنَزِّلُ ٱلۡغَيۡثَ مِنۢ بَعۡدِ مَا قَنَطُواْ وَيَنشُرُ رَحۡمَتَهُۥۚ وَهُوَ ٱلۡوَلِيُّ ٱلۡحَمِيدُ
২৮. তিনিই সেই আল্লাহ যিনি স্বীয় বান্দারা নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তাদের উদ্দেশ্যে বৃষ্টি বর্ষান। ফলে যমীন উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। তিনি বান্দাদের সকল কাজ আঞ্জাম দেন। তিনি সর্বাবস্থায় প্রশংসিত।
Tafsiran larabci:
وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦ خَلۡقُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَآبَّةٖۚ وَهُوَ عَلَىٰ جَمۡعِهِمۡ إِذَا يَشَآءُ قَدِيرٞ
২৯. আল্লাহর ক্ষমতা ও তাঁর একত্ববাদের উপর প্রমাণ বহনকারী নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং এতে যে সব আশ্চর্যজনক সৃষ্টিকে ছড়িয়ে রেখেছেন। তিনি যখন ইচ্ছা তাদেরকে সমবেত করতে ও প্রতিদান দিতে সক্ষম। তিনি যেমন প্রথমবার তাদেরকে সৃষ্টি করতে অপারগ হন নি তেমনি উপরোক্ত কাজেও অপারগ হবেন না।
Tafsiran larabci:
وَمَآ أَصَٰبَكُم مِّن مُّصِيبَةٖ فَبِمَا كَسَبَتۡ أَيۡدِيكُمۡ وَيَعۡفُواْ عَن كَثِيرٖ
৩০. হে মানব সমাজ! তোমাদের ব্যক্তি সত্তায় কিংবা সম্পদে যে বিপদ নেমে আসে তা তোমাদের হাতেরই অর্জন তথা পাপের কারণেই হয়ে থাকে। বরং আল্লাহ তোমাদের অনেক পাপ ক্ষমার মাধ্যমে পাকড়াও থেকে রক্ষা দেন।
Tafsiran larabci:
وَمَآ أَنتُم بِمُعۡجِزِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۖ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٖ
৩১. আল্লাহ যখন তোমাদেরকে শাস্তি দিতে চান তখন তোমরা পালিয়ে গিয়ে তা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখো না। আর না তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক রয়েছে যে তোমাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। আর না এমন কোন সাহায্যকারী রয়েছে যে তোমাদের থেকে শাস্তি সরাতে সক্ষম। যদি তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দিতে চান।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• الداعي إلى الله لا يبتغي الأجر عند الناس.
ক. আল্লাহর প্রতি আহŸানকারী মানুষের নিকট কোন প্রতিদান কামনা করে না।

• التوسيع في الرزق والتضييق فيه خاضع لحكمة إلهية قد تخفى على كثير من الناس.
খ. জীবিকায় প্রশস্ততা কিংবা সংকীর্ণতার বিষয়টি আল্লাহর হেকমত সাপেক্ষে হয়ে থাকে। যা কখনো বহু মানুষের নিকট গোপন থেকে যায়।

• الذنوب والمعاصي من أسباب المصائب.
গ. বিপদাপদের কারণের মধ্যে রয়েছে পাপাচার ও অবাধ্যতা।

وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلۡجَوَارِ فِي ٱلۡبَحۡرِ كَٱلۡأَعۡلَٰمِ
৩২. আল্লাহর ক্ষমতা ও একত্ববাদের উপর প্রমাণ বহনকারী নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে সমুদ্রে অবস্থানরত উচ্চতায় পাহাড় সদৃশ জাহাজসমূহ।
Tafsiran larabci:
إِن يَشَأۡ يُسۡكِنِ ٱلرِّيحَ فَيَظۡلَلۡنَ رَوَاكِدَ عَلَىٰ ظَهۡرِهِۦٓۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّكُلِّ صَبَّارٖ شَكُورٍ
৩৩. আল্লাহ ইচ্ছা করলে সেই বায়ু থামিয়ে দিতে পারেন যে বায়ু এগুলোকে চালায়। ফলে সেগুলো নড়াচড়া না করে সমুদ্রে থেমে থাকবে। উপরোল্লেখিত এই জাহাজ সৃষ্টি ও বায়ু পরিচালনার মধ্যে বিপদ ও পরীক্ষায় দৃঢ়তার সাথে ধৈর্য ধারণকারী ও আল্লাহর নি‘আমতের শুকরিয়া আদায়কারীদের জন্য আল্লাহর ক্ষমতার সুস্পষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে।
Tafsiran larabci:
أَوۡ يُوبِقۡهُنَّ بِمَا كَسَبُواْ وَيَعۡفُ عَن كَثِيرٖ
৩৪. কিংবা তিনি যদি এ সব মানুষের উপর্জিত পাপের কারণে জাহাজগুলো ঝড় হাওয়া প্রেরণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে চাইলে তিনি তা করতে পারেন এবং স্বীয় বান্দাদের বহু পাপের হিসাব না করে তাদেরকে ক্ষমাও করতে পারেন।
Tafsiran larabci:
وَيَعۡلَمَ ٱلَّذِينَ يُجَٰدِلُونَ فِيٓ ءَايَٰتِنَا مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٖ
৩৫. ঝড় হাওয়ার মাধ্যমে জাহাজগুলোকে ধ্বংস করার পর আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে বাতিল করার মানসে তাতে বিতর্ককারীরা জানতে পারবে যে, আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদের বাঁচার কোন উপায় নেই। ফলে তারা সকল গাইরুল্লাহকে বাদ দিয়ে কেবল আল্লাহকে ডাকবে।
Tafsiran larabci:
فَمَآ أُوتِيتُم مِّن شَيۡءٖ فَمَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۚ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ خَيۡرٞ وَأَبۡقَىٰ لِلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ
৩৬. হে মানব সমাজ! তোমাদেরকে সম্পদ, সম্মান ও সন্তান হিসেবে যা কিছু প্রদান করা হয়েছে তা হলো দুনিয়ার জীবনের উপকরণ মাত্র। যা নিঃশেষযোগ্য ও ক্ষণস্থায়ী। পক্ষান্তরে স্থায়ী নি‘আমত হলো জান্নাতের ভোগসামগ্রী। যা আল্লাহ তাঁর উপর ও তদীয় রাসূলদের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী এবং সর্ববিষয়ে স্বীয় রবের উপর ভরসাকারীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন।
Tafsiran larabci:
وَٱلَّذِينَ يَجۡتَنِبُونَ كَبَٰٓئِرَ ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡفَوَٰحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُواْ هُمۡ يَغۡفِرُونَ
৩৭. আর যারা বড় ও জঘন্য পাপ থেকে বিরত থাকে এবং কারো কথা ও কাজে রাগান্বিত হলে শাস্তি না দিয়ে তাদের ভ্রমকে কল্যাণ ও সুবিধা সাপেক্ষে অনুগ্রহ পূর্বক ক্ষমা করে।
Tafsiran larabci:
وَٱلَّذِينَ ٱسۡتَجَابُواْ لِرَبِّهِمۡ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَمۡرُهُمۡ شُورَىٰ بَيۡنَهُمۡ وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ
৩৮. পক্ষান্তরে যারা আদেশ নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে স্বীয় রবের ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে নামায আদায় করেছে আর যারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে পরস্পর পরামর্শ করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনান্তে আমার প্রদত্ত রিযিক ব্যয় করে।
Tafsiran larabci:
وَٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَابَهُمُ ٱلۡبَغۡيُ هُمۡ يَنتَصِرُونَ
৩৯. আর যারা নির্যাতিত হলে অত্যাচারী ক্ষমাযোগ্য না হওয়া অবস্থায় নিজের নফসের মান সম্মান রক্ষার্থে প্রতিশোধ নেয় যা তার ন্যায্য অধিকার। বিশেষতঃ যখন ক্ষমার মধ্যে কোন সুবিধা না থাকে।
Tafsiran larabci:
وَجَزَٰٓؤُاْ سَيِّئَةٖ سَيِّئَةٞ مِّثۡلُهَاۖ فَمَنۡ عَفَا وَأَصۡلَحَ فَأَجۡرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ
৪০. অতিরঞ্জন ও সীমালঙ্ঘন না করে কেউ তার অধিকার আদায় করতে চাইলে তার সে অধিকার রয়েছে। তবে যে তার প্রতি অসদাচরণকারীকে পাকড়াও না করে ক্ষমা করে দেয় এবং তার ও তার ভাইয়ের মাঝে মীমাংসা করে এর প্রতিদান আল্লাহর নিকট রক্ষিত থাকবে। বস্তুতঃ যারা মানুষের ব্যক্তিসত্তা, সম্পদ কিংবা সম্ভ্রমে অবিচার করে আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন না। বরং ঘৃণা করেন।
Tafsiran larabci:
وَلَمَنِ ٱنتَصَرَ بَعۡدَ ظُلۡمِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَا عَلَيۡهِم مِّن سَبِيلٍ
৪১. যারা তাদের নিজের অধিকার আদায় করেছে তাদেরকে পাকড়াও করা হবে না। কেননা, তারা নায্য অধিকার আদায় করেছে।
Tafsiran larabci:
إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَظۡلِمُونَ ٱلنَّاسَ وَيَبۡغُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّۚ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ
৪২. কিন্তু অন্যায়ভাবে মানুষকে নির্যাতনকারীদেরকে পাকড়াও করা হবে এবং যমীনে পাপাচার করে বেড়ায় এমন লোকদের জন্য রয়েছে পরকালে কষ্টদায়ক শাস্তি।
Tafsiran larabci:
وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنۡ عَزۡمِ ٱلۡأُمُورِ
৪৩. তবে যে ব্যক্তি অন্যের কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করে তাকে মার্জনা করে এই ধৈর্য তার ও সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। বস্তুতঃ এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ। যে জন্য মহা ভাগ্যবান ব্যতীত অন্য কাউকে তাওফীক প্রদান করা হয় না।
Tafsiran larabci:
وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن وَلِيّٖ مِّنۢ بَعۡدِهِۦۗ وَتَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ لَمَّا رَأَوُاْ ٱلۡعَذَابَ يَقُولُونَ هَلۡ إِلَىٰ مَرَدّٖ مِّن سَبِيلٖ
৪৪. আর যাকে আল্লাহ হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে অপমান করতঃ হক থেকে ভ্রষ্ট করেন তার জন্য তিনি ব্যতীত অন্য কোন অভিভাবক নেই। আর আপনি নিজেদের উপর কুফরী ও পাপাচারের মাধ্যমে অবিচারকারীদেরকে যখন তারা কিয়ামত দিবসে শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তাদেরকে আকাঙ্খা করে বলতে দেখবেন, দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তনের কোন পথ আছে কি? তাহলে আমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করতাম।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• الصبر والشكر سببان للتوفيق للاعتبار بآيات الله.
ক. ধৈর্য ও শুকরিয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলী থেকে উপদেশ গ্রহণের দু’টি উপায়।

• مكانة الشورى في الإسلام عظيمة.
খ. ইসলামে পরামর্শের মর্যাদা মহান।

• جواز مؤاخذة الظالم بمثل ظلمه، والعفو خير من ذلك.
গ. অত্যাচারীকে তার অত্যাচারের জন্য পাকড়াও করা বৈধ। তবে ক্ষমা করা তদপেক্ষা অনেক উত্তম।

وَتَرَىٰهُمۡ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا خَٰشِعِينَ مِنَ ٱلذُّلِّ يَنظُرُونَ مِن طَرۡفٍ خَفِيّٖۗ وَقَالَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ وَأَهۡلِيهِمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ أَلَآ إِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ فِي عَذَابٖ مُّقِيمٖ
৪৫. হে রাসূল! আপনি এ সব জালিমদেরকে দেখতে পাবেন যখন তাদেরকে অপমান-অপদস্ত অবস্থায় আগুনের সামনে উপস্থাপন করা হবে। তারা তখন এর ভয়ে মানুষের প্রতি অজানা দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। আর যারা আল্লাহ ও তদীয় রাসূলদের প্রতি ঈমান আনয়ন করে তারা বলবে, যারা কিয়ামত দিবসে আল্লাহর শাস্তিতে নিপতিত হওয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে ও আপনজনদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তারাই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত। জেনে রেখো, কুফরী ও পাপাচারের মাধ্যমে নিজেদের উপর অবিচারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন স্থায়ী শাস্তিতে নিমজ্জিত থাকবে।
Tafsiran larabci:
وَمَا كَانَ لَهُم مِّنۡ أَوۡلِيَآءَ يَنصُرُونَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِۗ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن سَبِيلٍ
৪৬. কিয়ামত দিবসে তাদের এমন কোন অভিভাবক থাকবে না যারা তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে উদ্ধার করার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ হক থেকে ভ্রষ্ট করার মাধ্যমে অপমান করেন তার হকের প্রতি পথ পাওয়ার কোন উপায় নেই।
Tafsiran larabci:
ٱسۡتَجِيبُواْ لِرَبِّكُم مِّن قَبۡلِ أَن يَأۡتِيَ يَوۡمٞ لَّا مَرَدَّ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِۚ مَا لَكُم مِّن مَّلۡجَإٖ يَوۡمَئِذٖ وَمَا لَكُم مِّن نَّكِيرٖ
৪৭. হে লোক সকল! তোমরা গড়িমসি না করে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করতে অপ্রতিরুদ্ধ কিয়ামত দিবস আসার পূর্বেই তোমাদের রবের ডাকে জলদি সাড়া দাও। তোমাদের এমন কোন আশ্রয়স্থল নেই যেখানে তোমরা আশ্রয় গ্রহণ করবে। আর না তোমাদের এমন কোন সুযোগ রয়েছে যার ফাঁকে তোমরা দুনিয়াতে তোমাদের কৃত পাপের কথা অস্বীকার করবে।
Tafsiran larabci:
فَإِنۡ أَعۡرَضُواْ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظًاۖ إِنۡ عَلَيۡكَ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُۗ وَإِنَّآ إِذَآ أَذَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ مِنَّا رَحۡمَةٗ فَرِحَ بِهَاۖ وَإِن تُصِبۡهُمۡ سَيِّئَةُۢ بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيهِمۡ فَإِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ كَفُورٞ
৪৮. হে রাসূল! তারা আপনাকে দেয়া আমার নির্দেশিত বিষয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আপনি জেনে রাখুন, আমি আপনাকে তাদের উপর রক্ষক হিসাবে প্রেরণ করি নি যে, আপনি তাদের আমলগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। আপনার দায়িত্ব হলো কেবল নির্দেশিত বিষয় পৌঁছে দেয়া। আর হিসাবের ভার আল্লাহর উপর। আমি যখন মানুষকে আমার পক্ষ থেকে সুস্থতা কিংবা সচ্ছলতা স্বরূপ রহমত আস্বাদন করাই তখন সে আনন্দিত হয়। পক্ষান্তরে পাপের কারণে তাদের উপর কষ্টকর আপদ আসলে তাদের স্বভাব হলো এই যে, তারা আল্লাহর নি‘আমত অস্বীকার ও এর না শুকরি করে। এমনকি আল্লাহ তাঁর হেকমত সাপেক্ষে যে ফায়সালা করেন তার উপরও তারা অসন্তুষ্ট হয়।
Tafsiran larabci:
لِّلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ يَخۡلُقُ مَا يَشَآءُۚ يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثٗا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ
৪৯-৫০. আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহর। তিনি তাঁর ইচ্ছা মাফিক ছেলে কিংবা মেয়ে সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা ছেলে দিয়ে মেয়ে থেকে বঞ্চিত রাখেন। আবার যাকে ইচ্ছা মেয়ে দিয়ে ছেলে থেকে বঞ্চিত রাখেন। আবার যাকে ইচ্ছা দু’টোই দান করেন। আর যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে রাখেন। ফলে তার কোন সন্তানই হয় না। তিনি যা কিছু হয়েছে আর যা কিছু ভবিষ্যতে হবে সে ব্যাপারে পরিজ্ঞাত। বস্তুতঃ এটি তাঁর জ্ঞানের পূর্ণতা ও প্রজ্ঞার পরিপক্কতার প্রমাণ। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না। আর না তাঁর জন্য কোন অপারগকারী আছে।
Tafsiran larabci:
أَوۡ يُزَوِّجُهُمۡ ذُكۡرَانٗا وَإِنَٰثٗاۖ وَيَجۡعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًاۚ إِنَّهُۥ عَلِيمٞ قَدِيرٞ
৪৯-৫০. আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহর। তিনি তাঁর ইচ্ছা মাফিক ছেলে কিংবা মেয়ে সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা ছেলে দিয়ে মেয়ে থেকে বঞ্চিত রাখেন। আবার যাকে ইচ্ছা মেয়ে দিয়ে ছেলে থেকে বঞ্চিত রাখেন। আবার যাকে ইচ্ছা দু’টোই দান করেন। আর যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে রাখেন। ফলে তার কোন সন্তানই হয় না। তিনি যা কিছু হয়েছে আর যা কিছু ভবিষ্যতে হবে সে ব্যাপারে পরিজ্ঞাত। বস্তুতঃ এটি তাঁর জ্ঞানের পূর্ণতা ও প্রজ্ঞার পরিপক্কতার প্রমাণ। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না। আর না তাঁর জন্য কোন অপারগকারী আছে।
Tafsiran larabci:
۞ وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحۡيًا أَوۡ مِن وَرَآيِٕ حِجَابٍ أَوۡ يُرۡسِلَ رَسُولٗا فَيُوحِيَ بِإِذۡنِهِۦ مَا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ عَلِيٌّ حَكِيمٞ
৫১. কোন মানুষের জন্য এ কথা মানায় না যে, তার সাথে আল্লাহ ওহী কিংবা দৈব ইঙ্গিত ব্যতীত অন্য কোনভাবে কথা বলবেন অথবা তার সাথে দেখা না দিয়ে শুধু শ্রবণযোগ্য কথা বলবেন কিংবা ফিরিশতা প্রেরণের মাধ্যমে যেমন জিবরীল রয়েছেন তাঁকে দিয়ে মানবীয় রাসূলের নিকট তাঁর ইচ্ছায় ওহী পৌঁছাবেন। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলীতে সমুন্নত এবং তাঁর সৃষ্টি, তাকদীর ও ক্ষমতায় প্রজ্ঞাবান।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• وجوب المسارعة إلى امتثال أوامر الله واجتناب نواهيه.
ক. আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করার প্রতি তরান্বিত হওয়া অপরিহার্য।

• مهمة الرسول البلاغ، والنتائج بيد الله.
খ. রাসূলের দায়িত্ব কেবল পৌঁছে দেয়া আর ফলাফলের মালিক হলেন আল্লাহ।

• هبة الذكور أو الإناث أو جمعهما معًا هو على مقتضى علم الله بما يصلح لعباده، ليس فيها مزية للذكور دون الإناث.
গ. ছেলে কিংবা মেয়ে অথবা উভয় প্রকার সন্তান প্রদানের বিষয়টি আল্লাহর জ্ঞানে তদীয় বান্দাদের সুবিধা অনুযায়ী নিরূপণ হয়ে থাকে। এতে মেয়ে সন্তান অপেক্ষা ছেলে সন্তানের কোনরূপ প্রাধান্যের স্থান নেই।

• يوحي الله تعالى إلى أنبيائه بطرق شتى؛ لِحِكَمٍ يعلمها سبحانه.
ঘ. আল্লাহ স্বীয় নবীদের নিকট বিভিন্নভাবে ওহী অবতীর্ণ করেন। তাতে এমন বহু রহস্য নিহিত থাকে যা কেবল আল্লাহই জানেন।

وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحٗا مِّنۡ أَمۡرِنَاۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورٗا نَّهۡدِي بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَاۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ
৫২. হে রাসূল! আমি যেভাবে আপনার পূর্বেকার নবীদের নিকট ওহী অবতীর্ণ করেছি ঠিক তেমনিভাবে আমার পক্ষ থেকে আপনার নিকট কুরআন অবতীর্ণ করেছি। ইতিপূর্বে আপনি জানতেন না, রাসূলদের উপর অবতীর্ণ আসমানী কিতাবই বা কী, আর ঈমানই বা কী? হ্যাঁ, আমি এই কুরআনকে জ্যোতি স্বরূপ অবতীর্ণ করেছি। যার মাধ্যমে আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। বস্তুতঃ আপনি মানুষকে সরল পথ তথা দ্বীন ইসলামের সন্ধান দিয়ে থাকেন।
Tafsiran larabci:
صِرَٰطِ ٱللَّهِ ٱلَّذِي لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ أَلَآ إِلَى ٱللَّهِ تَصِيرُ ٱلۡأُمُورُ
৫৩. তা হলো সেই আল্লাহর পথ যার জন্য রয়েছে সৃষ্টি, রাজত্ব ও পরিচালনার দিক থেকে আসমান ও যমীনের সব কিছু নির্ধারণ ও পরিচালনার ভার। মূলতঃ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তিত হবে।
Tafsiran larabci:
daga cikin fa'idodin Ayoyin wannan shafi:
• سمي الوحي روحًا لأهمية الوحي في هداية الناس، فهو بمنزلة الروح للجسد.
ক. ওহীকে রূহ দ্বারা এজন্য আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেহেতু মানুষের পথ প্রদর্শনে এর তেমনই গুরুত্ব রয়েছে যেমন শরীরের ক্ষেত্রে রয়েছে প্রাণের গুরুত্ব।

• الهداية المسندة إلى الرسول صلى الله عليه وسلم هي هداية الإرشاد لا هداية التوفيق.
খ. রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি সম্পর্কিত হেদায়েত দ্বারা পথ দেখানোর হেদায়েত উদ্দেশ্য; পথ পাইয়ে দেয়ার হেদায়েত নয়।

• ما عند المشركين من توحيد الربوبية لا ينفعهم يوم القيامة.
গ. মুশরিকদের মধ্যে বিদ্যমান রুবূবিয়্যাতের একত্ববাদ কিয়ামত দিবসে তাদের কোন উপকার সাধন করবে না।

 
Fassarar Ma'anoni Sura: Suratu Al'shuraa
Teburin Jerin Sunayen Surori Lambar shafi
 
Fassarar Ma'anonin Alqura'ni - Fassarar Takaitaccen Tafsirin Alqurani maigirma da Yaren Bangaliyanci - Teburin Bayani kan wasu Fassarori

Fassarar Takaitaccen Tafsirin Alqurani maigirma da Yaren Angalanci wanda cibiyar Tafsiri ta Iliman Alurani

Rufewa