அல்குர்ஆன் மொழிபெயர்ப்பு - அல்முக்தஸர் பீ தப்ஸீரில் குர்ஆனில் கரீமுக்கான bபங்காளி மொழிபெயர்ப்பு * - மொழிபெயர்ப்பு அட்டவணை


மொழிபெயர்ப்பு அத்தியாயம்: ஸூரா தாஹா   வசனம்:

সূরা ত্বা-হা

சூராவின் இலக்குகளில் சில:
السعادة باتباع هدى القرآن وحمل رسالته، والشقاء بمخالفته.
এর মাধ্যমে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রিসালাত বহন এবং সে ব্যাপারে ধৈর্য ধারণের জন্য শক্তিশালী করা হচ্ছে।

طه
১. ত্বা-হা। সূরা বাকারাহর শুরুতে এ জাতীয় অক্ষরগুলোর উপর কথা হয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
مَآ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡقُرۡءَانَ لِتَشۡقَىٰٓ
২. হে রাসূল! আমি আপনার উপর এ কুর‘আন এ জন্য নাযিল করিনি যে, তা আপনার সম্প্রদায় আপনার উপর ঈমান আনা থেকে বিমুখতার দরুন দীর্ঘ আপসোসবশতঃ নিজকে ক্লান্ত করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِلَّا تَذۡكِرَةٗ لِّمَن يَخۡشَىٰ
৩. বরং আমি কুর‘আন নাযিল করেছি, যেন তা ওদের জন্য উপদেশ হয় যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে ভয় করার তাওফীক দিয়েছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
تَنزِيلٗا مِّمَّنۡ خَلَقَ ٱلۡأَرۡضَ وَٱلسَّمَٰوَٰتِ ٱلۡعُلَى
৪. আল্লাহ তা‘আলাই তা নাযিল করেছেন যিনি জমিন ও উঁচু আকাশমÐলী সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তা এক মহিমান্বিত কুর‘আন। কারণ, তা নিশ্চয়ই মহান সত্তার নিকট থেকেই নাযিলকৃত।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱلرَّحۡمَٰنُ عَلَى ٱلۡعَرۡشِ ٱسۡتَوَىٰ
৫. দয়ালু প্রভু আরশের উপরই সমুন্নত হয়েছেন এমনভাবে যা তাঁর মহত্তে¡র সাথে একান্ত মানানসই।
அரபு விரிவுரைகள்:
لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَمَا تَحۡتَ ٱلثَّرَىٰ
৬. একমাত্র তাঁর জন্যই আকাশ, জমিন ও মাটির নিচে যে সকল সৃষ্টি রয়েছে তা সবই। তিনি সেগুলোর ¯্রষ্টা, মালিক ও পরিচালক।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَإِن تَجۡهَرۡ بِٱلۡقَوۡلِ فَإِنَّهُۥ يَعۡلَمُ ٱلسِّرَّ وَأَخۡفَى
৭. হে রাসূল! আপনি যদি উঁচু কিংবা নিচু স্বরে বলেন তা সবই আল্লাহ তা‘আলা জানেন। তিনি সংগোপন এবং তার চেয়েও আরো বেশি গোপন ব্যাপারও জানেন। যেমন: অন্তরের ভাব ও কল্পনা। এসবের কোন কিছুই তাঁর নিকট গোপন নয়।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ لَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ
৮. আল্লাহ মহান। তিনি ছাড়া সত্য মা’বূদ আর কেউ নেই। কেবল তাঁর জন্যই সুন্দরতম ও পরিপূর্ণ নামসমূহ।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَهَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ
৯. হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার নিকট মূসা ইবনু ইমরান (আলাইহিস-সালাম) এর সংবাদ এসেছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِذۡ رَءَا نَارٗا فَقَالَ لِأَهۡلِهِ ٱمۡكُثُوٓاْ إِنِّيٓ ءَانَسۡتُ نَارٗا لَّعَلِّيٓ ءَاتِيكُم مِّنۡهَا بِقَبَسٍ أَوۡ أَجِدُ عَلَى ٱلنَّارِ هُدٗى
১০. যখন তিনি তাঁর সফরে আগুন দেখতে পেলেন তখন তিনি নিজ পরিবারকে বললেন: তোমরা এ জায়গায় অবস্থান করো। আমি নিশ্চয়ই আগুন দেখতে পেয়েছি। আশা তো আমি তোমাদের নিকট এ আগুন থেকে একটি জ্বলন্ত অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নিয়ে আসবো অথবা সেখানে এমন কাউকে পাবো যে আমাকে পথ দেখাবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَلَمَّآ أَتَىٰهَا نُودِيَ يَٰمُوسَىٰٓ
১১. যখন তিনি আগুনের নিকট আসলেন তখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে ডেকে বললেন: হে মূসা!
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنِّيٓ أَنَا۠ رَبُّكَ فَٱخۡلَعۡ نَعۡلَيۡكَ إِنَّكَ بِٱلۡوَادِ ٱلۡمُقَدَّسِ طُوٗى
১২. নিশ্চয়ই আমি আপনার প্রতিপালক। তাই আমার সাক্ষাতের প্রস্তুতি স্বরূপ আপনি নিজের জুতো দু’টি খুলে ফেলুন। নিশ্চয়ই আপনি পবিত্র তুয়া উপত্যকায় রয়েছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• ليس إنزال القرآن العظيم لإتعاب النفس في العبادة، وإذاقتها المشقة الفادحة، وإنما هو كتاب تذكرة ينتفع به الذين يخشون ربهم.
ক. নিশ্চয়ই ইবাদাতে নিজকে অধিক ক্লান্ত ও কঠিন কষ্ট আস্বাদন করানোর জন্য এ সুমহান কুর‘আন নাযিল করা হয়নি। বরং এটি এক উপদেশমূলক কিতাব। যা দ্বারা ওরাই লাভবান হবে যারা নিজেদের প্রতিপালককে ভয় করে।

• قَرَن الله بين الخلق والأمر، فكما أن الخلق لا يخرج عن الحكمة؛ فكذلك لا يأمر ولا ينهى إلا بما هو عدل وحكمة.
খ. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টি ও আদেশকে একই সাথে উল্লেখ করেছেন। তাই যেমনিভাবে তাঁর সৃষ্টি তাঁর হিকমতের বাইরে নয় তেমনিভাবে তাঁর আদেশ-নিষেধ সবই ইনসাফ ও হিকমত পরিপূর্ণ।

• على الزوج واجب الإنفاق على الأهل (المرأة) من غذاء وكساء ومسكن ووسائل تدفئة وقت البرد.
গ. স্বামীর উপর নিজ স্ত্রীর সকল খরচ বহন করা ওয়াজিব। যেমন: তার খাদ্য, পোশাক, ও থাকার ঘর এবং ঠাÐার সময়কার তাপের উপকরণ ইত্যাদি।

وَأَنَا ٱخۡتَرۡتُكَ فَٱسۡتَمِعۡ لِمَا يُوحَىٰٓ
১৩. হে মূসা! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বেছে নিয়েছি আমার রিসালাত পৌঁছানোর জন্য। তাই আপনার উপর আমি যা ওহী করছি তা আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّنِيٓ أَنَا ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعۡبُدۡنِي وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِذِكۡرِيٓ
১৪. নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ। আমি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তাই তুমি এককভাবে আমারই ইবাদাত করো। আর আমাকে স্মরণ করার জন্য পরিপূর্ণরূপে সালাত আদায় করো।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّ ٱلسَّاعَةَ ءَاتِيَةٌ أَكَادُ أُخۡفِيهَا لِتُجۡزَىٰ كُلُّ نَفۡسِۭ بِمَا تَسۡعَىٰ
১৫. নিশ্চয়ই কিয়ামত আসা অবশ্যম্ভাবী ও তা অতি বাস্তব। কিন্তু আমি তা গোপন রেখেছি। তাই তার সময় আমার কোন সৃষ্টি জানে না। তবে তারা তার আলামতগুলো জানে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে সে ব্যাপারে সংবাদ দেয়ার দরুন। যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্মের প্রতিদান দেয়া যায়। চাই তা ভালো হোক কিংবা মন্দ।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنۡهَا مَن لَّا يُؤۡمِنُ بِهَا وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ فَتَرۡدَىٰ
১৬. তাই যে কাফির একে বিশ্বাস করে না এবং সে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়ে হারাম কাজের অনুসরণ করে নিজকে ধ্বংস করে দেয় সে যেন আপনাকে পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং নেক আমলের মাধ্যমে তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা থেকে ফিরিয়ে না রাখে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَمَا تِلۡكَ بِيَمِينِكَ يَٰمُوسَىٰ
১৭. হে মূসা! তোমার ডান হাতের এটি কী?
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّؤُاْ عَلَيۡهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَىٰ غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَـَٔارِبُ أُخۡرَىٰ
১৮. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: এটি আমার লাঠি। চলার সময় আমি তার উপর ভর দেই। আর আমি এটিকে দিয়ে গাছকে ঝাড়া দেই। যাতে তার পাতাগুলো আমার চাগলের জন্য ঝরে পড়ে। এ ছাড়াও তাতে আমার অনেক ফায়েদা রয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ أَلۡقِهَا يَٰمُوسَىٰ
১৯. আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে মূসা! আপনি এটিকে নিক্ষেপ করুন।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأَلۡقَىٰهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٞ تَسۡعَىٰ
২০. মূসা (আলাইহিস-সালাম) লাঠিটিকে নিক্ষেপ করলে তা সাপে রূপান্তরিত হয়। যা দ্রæত ও ক্ষিপ্র বেগে চলতে থাকে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ خُذۡهَا وَلَا تَخَفۡۖ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا ٱلۡأُولَىٰ
২১. আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে বললেন: আপনি লাঠি ধরুন। তা সাপে রূপান্তরিত হওয়াতে আপনি একটুও ভয় পাবেন না। আপনি তাকে ধরলেই আমি অচিরেই তাকে প্রথম অবস্থায় ফিরিয়ে দেবো।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَٱضۡمُمۡ يَدَكَ إِلَىٰ جَنَاحِكَ تَخۡرُجۡ بَيۡضَآءَ مِنۡ غَيۡرِ سُوٓءٍ ءَايَةً أُخۡرَىٰ
২২. আর আপনি নিজের হাতকে আপনার পার্শ্ব দেশের সাথে মিলান। দেখবেন তা কোন শ্বেত রোগ ছাড়াই সাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে। যা আপনার জন্য দ্বিতীয় আলামত।
அரபு விரிவுரைகள்:
لِنُرِيَكَ مِنۡ ءَايَٰتِنَا ٱلۡكُبۡرَى
২৩. হে মূসা! আমি আপনাকে এ দু’টি আলামত দেখালাম। যাতে আমি আপনাকে আমার কুদরত এবং আপনি যে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রাসূল তা বুঝায় এমন কিছু মহান নিদর্শনাবলী দেখাতে পারি।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ
২৪. হে মূসা! আপনি ফির‘আউনের নিকট যান। কারণ, সে আল্লাহর সাথে কুফরি ও গাদ্দারি করার ব্যাপারে সীমাতিক্রম করেছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ رَبِّ ٱشۡرَحۡ لِي صَدۡرِي
২৫. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার অন্তরকে প্রশস্ত করুন। যাতে আমি কষ্ট সইতে পারি।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَيَسِّرۡ لِيٓ أَمۡرِي
২৬. আর আমার ব্যাপারটিকে সহজ করে দিন।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَٱحۡلُلۡ عُقۡدَةٗ مِّن لِّسَانِي
২৭. আর আমাকে সুস্পষ্ট কথা বলার শক্তি দিন।
அரபு விரிவுரைகள்:
يَفۡقَهُواْ قَوۡلِي
২৮. যাতে আমি যখন আপনার রিসালাত তাদের নিকট পৌঁছিয়ে দেবো তখন তারা যেন আমার কথা বুঝতে পারে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَٱجۡعَل لِّي وَزِيرٗا مِّنۡ أَهۡلِي
২৯. উপরন্তু আপনি আমার পরিবারবর্গ থেকে আমার একজন সহযোগী বানিয়ে দিন যে আমার বিষয়াবলীতে আমাকে সহযোগিতা করবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
هَٰرُونَ أَخِي
৩০. তথা আমার ভাই হারূন ইবনু ইমরানকে।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱشۡدُدۡ بِهِۦٓ أَزۡرِي
৩১. আপনি তারই মাধ্যমে আমার পিঠকে শক্তিশালী করুন।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَأَشۡرِكۡهُ فِيٓ أَمۡرِي
৩২. আর আপনি তাকে রিসালাতের ক্ষেত্রে আমার অংশীদার বানিয়ে দিন।
அரபு விரிவுரைகள்:
كَيۡ نُسَبِّحَكَ كَثِيرٗا
৩৩. যাতে আমরা আপনার বেশি বেশি পবিত্রতা বর্ণনা করতে পারি।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَنَذۡكُرَكَ كَثِيرًا
৩৪. আর আপনাকে বেশি বেশি স্মরণ করতে পারি।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّكَ كُنتَ بِنَا بَصِيرٗا
৩৫. নিশ্চয়ই আপনি আমাদেরকে দেখছেন। আমাদের কোন ব্যাপারই আপনার নিকট গোপন নয়।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ قَدۡ أُوتِيتَ سُؤۡلَكَ يَٰمُوسَىٰ
৩৬. আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে মূসা! তুমি যা চেয়েছো আমি তোমাকে তাই দিয়েছি।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَقَدۡ مَنَنَّا عَلَيۡكَ مَرَّةً أُخۡرَىٰٓ
৩৭. আমি তোমাকে দ্বিতীয়বার আরো নিয়ামত দিয়েছি।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• وجوب حسن الاستماع في الأمور المهمة، وأهمها الوحي المنزل من عند الله.
ক. গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো ভালোভাবে শুনা ওয়াজিব। বিশেষ করে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ওহী।

• اشتمل أول الوحي إلى موسى على أصلين في العقيدة وهما: الإقرار بتوحيد الله، والإيمان بالساعة (القيامة)، وعلى أهم فريضة بعد الإيمان وهي الصلاة.
খ. মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতি অবতীর্ণ সর্বপ্রথম ওহী আক্বীদার দু’টি মৌলিক বিষয়কে শামিল করেছে। সেগুলো হলো: আল্লাহর তাওহীদের স্বীকৃতি এবং কিয়ামতের প্রতি ঈমান। তেমনিভাবে তা ঈমানের পরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরযকেও শামিল করেছে। যা হলো সালাত।

• التعاون بين الدعاة ضروري لإنجاح المقصود؛ فقد جعل الله لموسى أخاه هارون نبيَّا ليعاونه في أداء الرسالة.
গ. উদ্দেশ্য সফলের জন্য দা’য়ীদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর জন্য তাঁর ভাই হারূনকে নবী বানিয়েছেন। যাতে তিনি রিসালাত আদায়ে মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর সহযোগিতা করতে পারেন।

• أهمية امتلاك الداعية لمهارة الإفهام للمدعوِّين.
ঘ. যাদেরকে উদ্দেশ্য করে দা’ওয়াত দেয়া হচ্ছে তাদেরকে বুঝানোর দক্ষতা একজন দা’য়ীর নিকট থাকার গুরুত্ব অনেক।

إِذۡ أَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰٓ أُمِّكَ مَا يُوحَىٰٓ
৩৮. যখন আমি আপনার মাকে যা ইলহাম করা দরকার তা ইলহাম করেছি। যার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে ফিরআউনের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
أَنِ ٱقۡذِفِيهِ فِي ٱلتَّابُوتِ فَٱقۡذِفِيهِ فِي ٱلۡيَمِّ فَلۡيُلۡقِهِ ٱلۡيَمُّ بِٱلسَّاحِلِ يَأۡخُذۡهُ عَدُوّٞ لِّي وَعَدُوّٞ لَّهُۥۚ وَأَلۡقَيۡتُ عَلَيۡكَ مَحَبَّةٗ مِّنِّي وَلِتُصۡنَعَ عَلَىٰ عَيۡنِيٓ
৩৯. যখন আমি তাঁকে ইলহাম করেছি তখন আমি তাঁকে এ মর্মে আদেশ করেছি যে, আপনি তাকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সিন্দুকে নিক্ষেপ করে সিন্দুকটিকে সাগরে ভাসিয়ে দিন। অতঃপর সাগর অচিরেই তাকে আমার আদেশে পাড়ে নিক্ষেপ করবে। পরিশেষে আমার ও তার শত্রæ ফিরআউন তাকে উঠিয়ে নিবে। বস্তুতঃ আমি তোমার উপর আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছি। ফলে মানুষ তোমাকে ভালোবেসেছে। যাতে তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার হিফাযতে এবং আমার তত্ত¡াবধানে লালিত-পালিত হও।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِذۡ تَمۡشِيٓ أُخۡتُكَ فَتَقُولُ هَلۡ أَدُلُّكُمۡ عَلَىٰ مَن يَكۡفُلُهُۥۖ فَرَجَعۡنَٰكَ إِلَىٰٓ أُمِّكَ كَيۡ تَقَرَّ عَيۡنُهَا وَلَا تَحۡزَنَۚ وَقَتَلۡتَ نَفۡسٗا فَنَجَّيۡنَٰكَ مِنَ ٱلۡغَمِّ وَفَتَنَّٰكَ فُتُونٗاۚ فَلَبِثۡتَ سِنِينَ فِيٓ أَهۡلِ مَدۡيَنَ ثُمَّ جِئۡتَ عَلَىٰ قَدَرٖ يَٰمُوسَىٰ
৪০. যখন আপনার বোন ঘর থেকে বের হয়ে চলতে শুরু করলো। যে দিকেই সিন্দুকটি ভেসে যায় সে দিকেই সে তার অনুসরণ করে। অতঃপর যারা আপনাকে উঠিয়ে নিয়েছে তাদেরকে সে বললো: আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেবো যে তাকে হিফাযত করবে, দুধ খাওয়াবে ও প্রতিপালন করবে? আমি আপনাকে আপনার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিয়ে আপনার উপর দয়া করেছি। যাতে তিনি আপনার ফিরে আসায় খুশি হন এবং আপনার জন্য চিন্তিত না হন। আপনি ঘুষি মেরে সেই ক্বিবতীকে হত্যা করেছেন। অতঃপর আমি আপনাকে শাস্তি থেকে রক্ষা করে আপনার উপর দয়া করলাম। আর আমি আপনাকে একের পর এক সে সকল পরীক্ষা থেকে রক্ষা করলাম যেগুলোর সম্মুখীন আপনি হয়েছেন। অতঃপর আপনি নিজ দেশ থেকে বের হয়ে মাদয়ানবাসীদের নিকট কয়েকটি বছর অবস্থান করেছেন। এরপর হে মূসা! আপনি এমন সময়ে এসে গেলেন যে সময় আপনার সাথে কথা বলার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَٱصۡطَنَعۡتُكَ لِنَفۡسِي
৪১. আর আমি আপনাকে আমার পক্ষ থেকে রাসূল হওয়ার জন্য বাছাই করেছি। আমি আপনার নিকট যা ওহী করবো তা আপনি লোকদের নিকট পৌঁছিয়ে দিবেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱذۡهَبۡ أَنتَ وَأَخُوكَ بِـَٔايَٰتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكۡرِي
৪২. হে মূসা! আপনি ও আপনার ভাই হারূন আল্লাহর ক্ষমতা ও একত্ববাদ বুঝায় এমন সকল আয়াত নিয়ে রওয়ানা হোন। আর আমার দিকে দা’ওয়াত দিতে ও আমাকে স্মরণ করতে আপনারা দুর্বল হবেন না।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱذۡهَبَآ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ
৪৩. আপনারা ফিরআউনের নিকট যান। কারণ, সে আল্লাহর সাথে কুফরি ও গাদ্দারি করার ব্যাপারে সীমাতিক্রম করেছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَقُولَا لَهُۥ قَوۡلٗا لَّيِّنٗا لَّعَلَّهُۥ يَتَذَكَّرُ أَوۡ يَخۡشَىٰ
৪৪. আপনারা তার সাথে ন¤্র কথা বলুন। যার মাঝে কোন কঠোরতা নেই। যাতে সে উপদেশ গ্রহণ ও আল্লাহকে ভয় করে তাঁর নিকট তাওবা করতে পারে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَا رَبَّنَآ إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفۡرُطَ عَلَيۡنَآ أَوۡ أَن يَطۡغَىٰ
৪৫. মূসা ও হারূন (আলাইহিমাস-সালাম) বললেন: আমরা এ ব্যাপারে ভয় পাচ্ছি যে, তাকে পরিপূর্ণরূপে দা’ওয়াত দেয়ার আগেই সে আমাদেরকে দ্রæত শাস্তি দিবে অথবা হত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের উপর যুলুম করতে গিয়ে সে সীমাতিক্রম করবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ لَا تَخَافَآۖ إِنَّنِي مَعَكُمَآ أَسۡمَعُ وَأَرَىٰ
৪৬. আল্লাহ তা‘আলা তাঁদেরকে বললেন: আপনারা ভয় পাবেন না। নিশ্চয়ই আমি সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে আপনাদের সাথেই রয়েছি। আপনাদের ও তার মাঝে যা কিছু ঘটবে আমি তা সবই দেখাশুনা করবো।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأۡتِيَاهُ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ فَأَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ وَلَا تُعَذِّبۡهُمۡۖ قَدۡ جِئۡنَٰكَ بِـَٔايَةٖ مِّن رَّبِّكَۖ وَٱلسَّلَٰمُ عَلَىٰ مَنِ ٱتَّبَعَ ٱلۡهُدَىٰٓ
৪৭. অতঃপর তাঁরা উভয়েই তার নিকট এসে তাকে বললেন: হে ফিরআউন! নিশ্চয়ই আমরা উভয়ই তোমার প্রতিপালকের রাসূল। তাই তুমি আমাদের সাথে বনী ইসরাঈলকে পাঠিয়ে দাও। তাদের ছেলেদেরকে হত্যা করে এবং মেয়েদেরকে বাঁচিয়ে রেখে তাদেরকে আর শাস্তি দিয়ো না। আমরা তোমার নিকট আমাদের সত্যতার ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ নিয়ে এসেছি। যে ব্যক্তি ঈমান এনে আল্লাহর হিদায়েতের অনুসরণ করবে তার জন্য রয়েছে আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপত্তা।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّا قَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡنَآ أَنَّ ٱلۡعَذَابَ عَلَىٰ مَن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ
৪৮. আল্লাহ তা‘আলা আমাদের নিকট এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছেন যে, নিশ্চয়ই দুনিয়া ও আখিরাতের শাস্তি ওর জন্য, যে আল্লাহর আয়াতসমূহের প্রতি মিথ্যারোপ করে এবং রাসূলগণ যা নিয়ে এসেছেন তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ فَمَن رَّبُّكُمَا يَٰمُوسَىٰ
৪৯. ফিরআউন তাঁদের আনীত বিধানকে অস্বীকার করে বললো: হে মূসা! তোমাদের সেই প্রতিপালক কে যে তোমাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়েছেন বলে তোমরা ধারণা করছো?
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ رَبُّنَا ٱلَّذِيٓ أَعۡطَىٰ كُلَّ شَيۡءٍ خَلۡقَهُۥ ثُمَّ هَدَىٰ
৫০. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার জন্য উপযুক্ত আকৃতি ও অবয়ব দিয়েছেন। অতঃপর তিনি সকল সৃষ্টিকে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্যের পথ দেখিয়েছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ فَمَا بَالُ ٱلۡقُرُونِ ٱلۡأُولَىٰ
৫১. ফিরআউন বললো: তাহলে পূর্বের জাতিগুলোর কী অবস্থা হবে যারা কুফরির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলো?
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• كمال اعتناء الله بكليمه موسى عليه السلام والأنبياء والرسل، ولورثتهم نصيب من هذا الاعتناء على حسب أحوالهم مع الله.
ক. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে কথোপকথনকারী মূসা (আলাইহিস-সালাম) এবং অন্যান্য নবী ও রাসূলগণের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছেন। উপরন্তু তাঁদের ওয়ারিশদের জন্যও আল্লাহর সাথে তাদের অবস্থার পরিপেক্ষিতে এ গুরুত্বের ধারা অব্যাহত রয়েছে ।

• من الهداية العامة للمخلوقات أن تجد كل مخلوق يسعى لما خلق له من المنافع، وفي دفع المضار عن نفسه.
খ. সৃষ্টির প্রতি ব্যাপক হিদায়েতের একটি দিক হলো এই যে, আপনি প্রতিটি সৃষ্টিকে তার জন্য সৃষ্ট লাভের প্রতি ধাবিত হতে এবং সমূহ ক্ষতি থেকে দূরে থাকতে দেখবেন।

• بيان فضيلة الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر، وأن ذلك يكون باللين من القول لمن معه القوة، وضُمِنَت له العصمة.
গ. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধের বিশেষ ফযীলতের বর্ণনা। আর সেটি হতে হবে শক্তিধর ও নিরাপত্তায় বেষ্টিত লোকদের সাথে ন¤্র কথার মাধ্যমে।

• الله هو المختص بعلم الغيب في الماضي والحاضر والمستقبل.
ঘ. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল গাইবের জ্ঞান বিশেষভাবে রাখেন।

قَالَ عِلۡمُهَا عِندَ رَبِّي فِي كِتَٰبٖۖ لَّا يَضِلُّ رَبِّي وَلَا يَنسَى
৫২. মূসা (আলাইহিস-সালাম) ফিরআউনকে বললেন: সে জাতিগুলোর সার্বিক অবস্থা ও পরিস্থিতির জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। যা লাওহে মাহফ‚যে লিপিবদ্ধ। আমার প্রতিপালক সেগুলো জানতে কোন ভুল করেন না এবং যা জানেন তাও ভুলেন না।
அரபு விரிவுரைகள்:
ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلۡأَرۡضَ مَهۡدٗا وَسَلَكَ لَكُمۡ فِيهَا سُبُلٗا وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَأَخۡرَجۡنَا بِهِۦٓ أَزۡوَٰجٗا مِّن نَّبَاتٖ شَتَّىٰ
৫৩. আমার সেই প্রতিপালকের নিকট যিনি তোমাদের জীবন যাপনের জন্য জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছেন। আর তোমাদের চলার উপযুক্ত কিছু পথও সেখানে তৈরি করেছেন। উপরন্তু আকাশ থেকে বৃষ্টির পানি নাযিল করেছেন। অতঃপর আমি সে পানি দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ জন্ম দিয়েছি।
அரபு விரிவுரைகள்:
كُلُواْ وَٱرۡعَوۡاْ أَنۡعَٰمَكُمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّأُوْلِي ٱلنُّهَىٰ
৫৪. হে মানুষ! আমি তোমাদের জন্য যে পবিত্র রিযিকের ব্যবস্থা করেছি তা থেকে তোমরা খাও এবং তোমাদের গৃহপালিত পশুগুলোকে সেখানে চরাও। এ উল্লিখিত নিয়ামতগুলোতে বুদ্ধিমানদের জন্য আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও তাঁর এককত্বের বিশেষ প্রমাণ রয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
۞ مِنۡهَا خَلَقۡنَٰكُمۡ وَفِيهَا نُعِيدُكُمۡ وَمِنۡهَا نُخۡرِجُكُمۡ تَارَةً أُخۡرَىٰ
৫৫. জমিনের মাটি থেকে আমি তোমাদের পিতা আদম (আলাইহিস-সালাম) কে সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা মারা গেলে সেখানেই দাফনের মাধ্যমে তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেবো। উপরন্তু কিয়ামতের দিন পুনরুত্থানের জন্য দ্বিতীয়বার তোমাদেরকে সেখান থেকেই বের করে আনবো।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَقَدۡ أَرَيۡنَٰهُ ءَايَٰتِنَا كُلَّهَا فَكَذَّبَ وَأَبَىٰ
৫৬. আমি নিশ্চয়ই ফিরআউনের জন্য সম্পূর্ণরূপে আমার নয়টি নিদর্শন প্রকাশ করেছি। সে তা দেখেও সেগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। উপরন্তু সে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ أَجِئۡتَنَا لِتُخۡرِجَنَا مِنۡ أَرۡضِنَا بِسِحۡرِكَ يَٰمُوسَىٰ
৫৭. ফিরআউন বললো: হে মূসা! তুমি কি তোমার নিয়ে আসা যাদুর মাধ্যমে আমাদেরকে মিশর থেকে বের করে দিতে এসেছো? যাতে মিশরের ক্ষমতা তোমার হাতে চলে যায়।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَلَنَأۡتِيَنَّكَ بِسِحۡرٖ مِّثۡلِهِۦ فَٱجۡعَلۡ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَكَ مَوۡعِدٗا لَّا نُخۡلِفُهُۥ نَحۡنُ وَلَآ أَنتَ مَكَانٗا سُوٗى
৫৮. হে মূসা! তাহলে আমি অবশ্যই তোমার নিকট তোমার যাদুর ন্যায় যাদু নিয়ে আসবো। অতএব, তুমি আমাদের ও তোমার মাঝে একটি নির্দিষ্ট সময় ও স্থান ঠিক করো। যা থেকে তুমি ও আমরা কখনোই পিছপা হবো না। তবে জায়গাটি উভয় দলের মধ্যবর্তী ভারসাম্যপূর্ণ জায়গা হওয়া চাই।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ مَوۡعِدُكُمۡ يَوۡمُ ٱلزِّينَةِ وَأَن يُحۡشَرَ ٱلنَّاسُ ضُحٗى
৫৯. তখন মূসা (আলাইহিস-সালাম) ফিরআউনকে বললেন: আমাদের ও তোমাদের মধ্যকার নির্দিষ্ট সময় হলো ঈদের দিন। যখন মানুষ তাদের ঈদ উদযাপনের জন্য দুপুরের আগেই একত্রিত হবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَتَوَلَّىٰ فِرۡعَوۡنُ فَجَمَعَ كَيۡدَهُۥ ثُمَّ أَتَىٰ
৬০. ফিরআউন তখন ফিরে গেলো এবং তার সকল কৌশল ও ষড়যন্ত্র একত্রিত করে সে নির্দিষ্ট জায়গা ও সময়ে প্রতিযোগিতার জন্য উপস্থিত হলো।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ وَيۡلَكُمۡ لَا تَفۡتَرُواْ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗا فَيُسۡحِتَكُم بِعَذَابٖۖ وَقَدۡ خَابَ مَنِ ٱفۡتَرَىٰ
৬১. মূসা (আলাইহিস-সালাম) ফিরআউনের যাদুকরদেরকে নসীহত করে বললেন: তোমরা সতর্ক থাকো। যাদুর মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কখনো আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রচনা করো না। নতুবা তিনি তাঁর আযাবের মাধ্যমে তোমাদের মূলোৎপাটন করবেন। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রচনা করেছে তারা নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্ত।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَتَنَٰزَعُوٓاْ أَمۡرَهُم بَيۡنَهُمۡ وَأَسَرُّواْ ٱلنَّجۡوَىٰ
৬২. মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর কথা শুনে যাদুকররা পরস্পর বাদানুবাদ এবং নিজেদের মাঝে গোপন সলা-পরামর্শ করলো।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالُوٓاْ إِنۡ هَٰذَٰنِ لَسَٰحِرَٰنِ يُرِيدَانِ أَن يُخۡرِجَاكُم مِّنۡ أَرۡضِكُم بِسِحۡرِهِمَا وَيَذۡهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ ٱلۡمُثۡلَىٰ
৬৩. তাদের কিছু যাদুকর অন্য যাদুকরকে গোপনে বললো: নিশ্চয়ই মূসা ও হারূন যাদুকর। তারা নিজেদের আনা যাদুর মাধ্যমে তোমাদেরকে মিশর থেকে বের করে দিতে চায়। উপরন্তু তারা তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবনাদর্শ এবং উন্নত কর্ম পদ্ধতি মুছে ফেলতে চায়।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأَجۡمِعُواْ كَيۡدَكُمۡ ثُمَّ ٱئۡتُواْ صَفّٗاۚ وَقَدۡ أَفۡلَحَ ٱلۡيَوۡمَ مَنِ ٱسۡتَعۡلَىٰ
৬৪. সুতরাং তোমরা নিজেদের কলা-কৌশলকে দৃঢ় করো এবং তাতে কোন ধরনের দ্ব›দ্ব করো না। উপরন্তু তোমরা সারিবদ্ধভাবে অগ্রসর হও। আর তোমরা নিজেদের সবকিছু একই সাথে নিক্ষেপ করো। বস্তুতঃ যে আজ নিজ প্রতিদ্ব›দ্বীর উপর জয় লাভ করবে সেই উদ্দেশ্য হাসিলে সফল হবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• إخراج أصناف من النبات المختلفة الأنواع والألوان من الأرض دليل واضح على قدرة الله تعالى ووجود الصانع.
ক. জমিন থেকে বিভিন্ন রং ও ধরনের উদ্ভিদ সৃষ্টি করা আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও ¯্রষ্টার অস্তিত্বের একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ।

• ذكرت الآيات دليلين عقليين واضحين على الإعادة: إخراج النبات من الأرض بعد موتها، وإخراج المكلفين منها وإيجادهم.
খ. উক্ত আয়াতগুলোতে দ্বিতীয়বার সৃষ্টির উপর দু’টি সুস্পষ্ট বুদ্ধিবৃত্তিক দলীল উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো, মৃত্যুর পর জমিন থেকে উদ্ভিদ সৃষ্টি এবং মানুষদেরকে সেখান থেকে বের করে আনা ও নতুনভাবে তাদেরকে সৃষ্টি করা।

• كفر فرعون كفر عناد؛ لأنه رأى الآيات عيانًا لا خبرًا، واقتنع بها في أعماق نفسه.
গ. ফিরআউনের কুফরি মূলতঃ গাদ্দারি জাতীয় কুফরি। কারণ, সে নিদর্শনগুলো প্রকাশ্যে দেখেছে ও শুনেছে। কিন্তু শুধু মানেনি মাত্র। অথচ সে মনের গহিনে এগুলোর প্রতি পরিতৃপ্ত হয়েছে।

• اختار موسى يوم العيد؛ لتعلو كلمة الله، ويظهر دينه، ويكبت الكفر، أمام الناس قاطبة في المجمع العام ليَشِيع الخبر.
ঘ. মূসা (আলাইহিস-সালাম) ঈদ-উৎসবের দিনকে মনোনীত করেছেন, যেন বড় মজলিসে সকল মানুষের সামনে আল্লাহর বাণী সুউচ্চ ও তাঁর দ্বীন প্রকাশিত আর কুফরি পরাভ‚ত হয়। ফলে দ্রæত খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।

قَالُواْ يَٰمُوسَىٰٓ إِمَّآ أَن تُلۡقِيَ وَإِمَّآ أَن نَّكُونَ أَوَّلَ مَنۡ أَلۡقَىٰ
৬৫. যাদুকররা মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে বললো: হে মূসা! আপনি দু’টির একটি চয়ন করুন: আপনি কি নিজের কাছে থাকা যাদুটি নিক্ষেপ করে প্রথমেই প্রতিযোগিতা শুরু করবেন, না আমরা শুরু করবো।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ بَلۡ أَلۡقُواْۖ فَإِذَا حِبَالُهُمۡ وَعِصِيُّهُمۡ يُخَيَّلُ إِلَيۡهِ مِن سِحۡرِهِمۡ أَنَّهَا تَسۡعَىٰ
৬৬. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: বরং তোমরা নিজেদের কাছে যা আছে তা প্রথমেই নিক্ষেপ করো। তখন তারা নিজেদের কাছে থাকা সব কিছুই নিক্ষেপ করলো। ফলে তাদের যাদুর বলে মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর নিকট মনে হচ্ছিলো তাদের নিক্ষেপিত লাঠি ও রশিগুলো অনেকগুলো মহা সর্প, যেগুলো দ্রæত নড়াচড়া করছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأَوۡجَسَ فِي نَفۡسِهِۦ خِيفَةٗ مُّوسَىٰ
৬৭. তখন মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাদের কর্মকাÐ দেখে নিজের মনের মাঝে ভয় লুকিয়ে রাখলেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
قُلۡنَا لَا تَخَفۡ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡأَعۡلَىٰ
৬৮. আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে সান্ত¦না দিয়ে বললেন: তুমি নিজ ধারণাবশত ভয় পেয়ো না। হে মূসা! আপনি নিশ্চয়ই বিজয়ী ও ক্ষমতা প্রদর্শনে সবার উপরে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَأَلۡقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلۡقَفۡ مَا صَنَعُوٓاْۖ إِنَّمَا صَنَعُواْ كَيۡدُ سَٰحِرٖۖ وَلَا يُفۡلِحُ ٱلسَّاحِرُ حَيۡثُ أَتَىٰ
৬৯. তুমি নিজের ডান হাতের লাঠিটি ফেলে দাও। ফলে সে সাপে রূপান্তরিত হয়ে তাদের যাদুকর্মগুলোকে গিলে খাবে। তারা যা করেছে তা কেবল যাদুগত ষড়যন্ত্র। আর যাদুকর যেখানেই থাকুক না কেন সে কখনোই উদ্দেশ্যে সফল হতে পারে না।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأُلۡقِيَ ٱلسَّحَرَةُ سُجَّدٗا قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِرَبِّ هَٰرُونَ وَمُوسَىٰ
৭০. অতঃপর মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাঁর লাঠিটি ফেলে দিলে তা সাপে রূপান্তরিত হয়ে যাদুকরদের বানানো সাপগুলো গিলে ফেলে। ফলে যাদুকররা আল্লাহর জন্য সাজদায় পড়ে যায়। কারণ, তারা জানতে পারে যে, নিশ্চয়ই মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর নিকট যা রয়েছে তা কিন্তু যাদু নয়। বরং তা কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত। তারা বললো: আমরা মূসা ও হারূন (আলাইহিমাস-সালাম) এর প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি। যিনি সকল সৃষ্টিরই প্রতিপালক।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ ءَامَنتُمۡ لَهُۥ قَبۡلَ أَنۡ ءَاذَنَ لَكُمۡۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِي عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحۡرَۖ فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَرۡجُلَكُم مِّنۡ خِلَٰفٖ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمۡ فِي جُذُوعِ ٱلنَّخۡلِ وَلَتَعۡلَمُنَّ أَيُّنَآ أَشَدُّ عَذَابٗا وَأَبۡقَىٰ
৭১. ফিরআউন যাদুকরদের ঈমানকে অস্বীকার করে বরং তাদেরকে হুমকি দিয়ে বললো: আমার অনুমতির পূর্বেই কি তোমরা মূসার উপর ঈমান এনে ফেলেছো?! হে যাদুকররা! নিশ্চয়ই মূসা তোমাদেরই প্রধান যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। তাই আমি তোমাদের সকলের বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কেটে ফেলবো। আর তোমাদের শরীরগুলোকে খেজুর গাছের ডালে মৃত্যু পর্যন্ত শূলে চড়িয়ে রাখবো। যাতে তোমরা অন্যের জন্য শিক্ষণীয় হও। উপরন্তু তোমরা তখন নিশ্চিতভাবে জানতে পারবে যে, আমাদের মধ্যকার কে বেশি শক্তিশালী ও স্থায়ী শাস্তিদাতা: আমি, না কি মূসার প্রতিপালক?!
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالُواْ لَن نُّؤۡثِرَكَ عَلَىٰ مَا جَآءَنَا مِنَ ٱلۡبَيِّنَٰتِ وَٱلَّذِي فَطَرَنَاۖ فَٱقۡضِ مَآ أَنتَ قَاضٍۖ إِنَّمَا تَقۡضِي هَٰذِهِ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَآ
৭২. যাদুকররা ফিরআউনকে বললো: হে ফিরআউন! আমরা কখনোই আমাদের নিকট আসা সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলীর অনুসরণের উপর তোমার অনুসরণকে প্রাধান্য দেবো না। না আমরা কখনো আমাদের ¯্রষ্টা আল্লাহর উপর তোমাকে প্রাধান্য দেবো। সুতরাং তুমি যা করতে চাও তাই করো। এ নশ্বর জীবনেই কেবল আমাদের উপর তোমার কর্তৃত্ব চলবে এবং অচিরেই তোমার সে কর্তৃত্ব শেষ হয়ে যাবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّآ ءَامَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغۡفِرَ لَنَا خَطَٰيَٰنَا وَمَآ أَكۡرَهۡتَنَا عَلَيۡهِ مِنَ ٱلسِّحۡرِۗ وَٱللَّهُ خَيۡرٞ وَأَبۡقَىٰٓ
৭৩. আমরা নিজেদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি এ আশায় যে, তিনি যেন আমাদের পূর্বেকার কুফরি জাতীয় গুনাহগুলো মুছে দেন এবং সে যাদুর গুনাহও যা শিখতে, চর্চা করতে ও তা কর্তৃক মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর সাথে প্রতিযোগিতা করতে তুমি আমাদেরকে বাধ্য করেছো। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমার ওয়াদাকৃত বস্তুর চেয়েও সর্বোত্তম প্রতিদান দানকারী এবং তিনি তোমার হুমকি দেয়া শাস্তির চেয়েও বেশি কঠিন ও স্থায়ী শাস্তিদাতা।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّهُۥ مَن يَأۡتِ رَبَّهُۥ مُجۡرِمٗا فَإِنَّ لَهُۥ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحۡيَىٰ
৭৪. নিশ্চয়ই বাস্তব ব্যাপার হলো এই যে, যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে কুফরি করে কিয়ামতের দিবসে তাঁর নিকট আসবে তার জন্যই রয়েছে জাহান্নামের আগুন। যাতে সে প্রবেশ করবে এবং সে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবে। সেখানে তার কোন মৃত্যু হবে না। যার ফলে সে তথাকার শাস্তি থেকে একটু হলেও শান্তি পেতে পারে। এমনিভাবে সে সেখানে পবিত্র সুখময় জীবন যাপনেরও কোন সুযোগ পাবে না।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَمَن يَأۡتِهِۦ مُؤۡمِنٗا قَدۡ عَمِلَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلدَّرَجَٰتُ ٱلۡعُلَىٰ
৭৫. আর যারা তাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান ও নেক আমল করে কিয়ামতের দিন তাঁর নিকট উপস্থিত হবে সে দিন এ মহান বৈশিষ্ট্যাবলীর অধিকারীদের জন্য রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা ও মহা সম্মানজনক স্থান।
அரபு விரிவுரைகள்:
جَنَّٰتُ عَدۡنٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَذَٰلِكَ جَزَآءُ مَن تَزَكَّىٰ
৭৬. সে মহা সম্মানজনক স্থান হলো স্থায়ী জান্নাত। যেগুলোর অট্টালিকাসমূহের নিচ দিয়ে অনেকগুলো নদী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ উল্লিখিত প্রতিদান এমন সব লোকের প্রতিদান, যারা কুফরি ও গুনাহ থেকে পবিত্র রয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• لا يفوز ولا ينجو الساحر حيث أتى من الأرض أو حيث احتال، ولا يحصل مقصوده بالسحر خيرًا كان أو شرًّا.
ক. যাদুকর কখনো সাফল্য কিংবা নাজাত পাবে না। সে দুনিয়ার যতো কিছুই নিয়ে আসুক না কেন অথবা যতো চল-চাতুরিই সে করুক না কেন তার যাদুর উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না। চাই তা ভালো হোক কিংবা মন্দ।

• الإيمان يصنع المعجزات؛ فقد كان إيمان السحرة أرسخ من الجبال، فهان عليهم عذاب الدنيا، ولم يبالوا بتهديد فرعون.
খ. বস্তুতঃ ঈমান অনেক অলৌকিক কাÐ ঘটায়। তাই যাদুকরদের যাদু শেষে আল্লাহর উপর আনা ঈমান ছিলো পাহাড়ের চেয়েও শক্ত এবং মনের অনেক গভীরে প্রোথিত। ফলে তাদের জন্য দুনিয়ার সকল শাস্তি সহজ হয়ে গেলো এবং তারা ফিরআউনের হুমকিকে এতটুকুও পরোয়া করেনি।

• دأب الطغاة التهديد بالعذاب الشديد لأهل الحق والإمعان في ذلك للإذلال والإهانة.
গ. গাদ্দারদের অভ্যাসই হলো হকপন্থীদেরকে কঠিন শাস্তির হুমকি দেয়া এবং এ ব্যাপারে আরো বাড়াবাড়ি করা। যাতে ওদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা যায়।

وَلَقَدۡ أَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَسۡرِ بِعِبَادِي فَٱضۡرِبۡ لَهُمۡ طَرِيقٗا فِي ٱلۡبَحۡرِ يَبَسٗا لَّا تَخَٰفُ دَرَكٗا وَلَا تَخۡشَىٰ
৭৭. নিশ্চয়ই আমি মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর নিকট এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছি যে, তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রি বেলায় মিশর থেকে বেরিয়ে যাও। যাতে তোমাদের ব্যাপারে কেউই টের না পায় এবং তাদের জন্য লাঠির আঘাতে সাগরের মাঝে একটি শুকনো নিরাপদ পথ বানিয়ে নাও। ফিরআউন ও তার সাথীরা তোমাকে ধরে ফেলবে এমন ভয় পেয়ো না। আবার সাগরে ডুবে যাওয়ারও আশঙ্কা করো না।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأَتۡبَعَهُمۡ فِرۡعَوۡنُ بِجُنُودِهِۦ فَغَشِيَهُم مِّنَ ٱلۡيَمِّ مَا غَشِيَهُمۡ
৭৮. অতঃপর ফিরআউন তার সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে তাদের অনুসরণ করলো। ফলে তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে সাগরের এমন কিছু ঢেকে নিলো যার মূল রহস্য আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। এতে করে তারা সবাই ডুবে ও ধ্বংস হয়ে গেলো। আর মূসা ও তাঁর সাথীরা নাজাত পেলো।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَأَضَلَّ فِرۡعَوۡنُ قَوۡمَهُۥ وَمَا هَدَىٰ
৭৯. ফিরআউন কুফরিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তার জাতিকে পথভ্রষ্ট ও বাতিলের ধোঁকায় ফেললো। তাদেরকে সে কখনো হিদায়েতের পথ দেখায়নি।
அரபு விரிவுரைகள்:
يَٰبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ قَدۡ أَنجَيۡنَٰكُم مِّنۡ عَدُوِّكُمۡ وَوَٰعَدۡنَٰكُمۡ جَانِبَ ٱلطُّورِ ٱلۡأَيۡمَنَ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَنَّ وَٱلسَّلۡوَىٰ
৮০. আমি বনী ইসরাঈলকে ফিরআউন ও তার সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি দেয়ার পর তাদেরকে বললাম: হে বনী ইসরাঈল! নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে শত্রæর হাত থেকে রক্ষা করেছি। আর আমি তোমাদের সাথে এ মর্মে ওয়াদা করেছি যে, আমি তূর পাহাড়ের পাশে অবস্থিত উপত্যকাটির ডান দিক থেকে মূসার সাথে কথা বলবো। উপরন্তু আমি তোমাদের উপর তীহ ময়দানে আমার নিয়ামতসমূহ তথা মধুর ন্যায় সুমিষ্ট পানীয় এবং সুম্মানী তথা কোয়েল পাখির ন্যায় মজাদার গোস্তের ছোট পাখি নাযিল করেছি।
அரபு விரிவுரைகள்:
كُلُواْ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقۡنَٰكُمۡ وَلَا تَطۡغَوۡاْ فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيۡكُمۡ غَضَبِيۖ وَمَن يَحۡلِلۡ عَلَيۡهِ غَضَبِي فَقَدۡ هَوَىٰ
৮১. তোমরা আমার দেয়া রিযিক মজাদার হালাল খাদ্যগুলো খাও। আর তোমরা হালালকে অতিক্রম করে হারামের দিতে ধাবিত হয়ো না। ফলে তোমাদের উপর আমার অসন্তোষ নাযিল হবে। আর যার উপর আমার অসন্তোষ নাযিল হবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সত্যিই দুর্ভাগা এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَإِنِّي لَغَفَّارٞ لِّمَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا ثُمَّ ٱهۡتَدَىٰ
৮২. নিশ্চয়ই যে আমার নিকট ফিরে আসবে এবং ঈমান এনে নেক আমল করবে অতঃপর সত্যের উপর অটল থাকবে আমি তার প্রতি অতি ক্ষমাশীল ও প্রচুর মার্জনাকারী।
அரபு விரிவுரைகள்:
۞ وَمَآ أَعۡجَلَكَ عَن قَوۡمِكَ يَٰمُوسَىٰ
৮৩. হে মূসা! কী জিনিস তোমাকে এমন বানিয়েছে যে, তুমি নিজ সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে রেখে দ্রæত তাদের সামনে অগ্রসর হচ্ছো?
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ هُمۡ أُوْلَآءِ عَلَىٰٓ أَثَرِي وَعَجِلۡتُ إِلَيۡكَ رَبِّ لِتَرۡضَىٰ
৮৪. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: তারা তো আমার পেছনেই আছে। অচিরেই তারা আমার সাথে একত্রিত হবে। আমি আপনার নিকট নিজ সম্প্রদায়ের আগে আসলাম যেন আপনার নিকট দ্রæত আসার দরুন আমার উপর আপনি খুশি হয়ে যান।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ فَإِنَّا قَدۡ فَتَنَّا قَوۡمَكَ مِنۢ بَعۡدِكَ وَأَضَلَّهُمُ ٱلسَّامِرِيُّ
৮৫. আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি তোমার পেছনে রেখে আসা সম্প্রদায়কে গো-বাছুর পূজার পরীক্ষায় ফেলেছি। সামিরী তাদেরকে সেটির পূজার জন্য আহŸান করে তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَرَجَعَ مُوسَىٰٓ إِلَىٰ قَوۡمِهِۦ غَضۡبَٰنَ أَسِفٗاۚ قَالَ يَٰقَوۡمِ أَلَمۡ يَعِدۡكُمۡ رَبُّكُمۡ وَعۡدًا حَسَنًاۚ أَفَطَالَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡعَهۡدُ أَمۡ أَرَدتُّمۡ أَن يَحِلَّ عَلَيۡكُمۡ غَضَبٞ مِّن رَّبِّكُمۡ فَأَخۡلَفۡتُم مَّوۡعِدِي
৮৬. অতঃপর মূসা (আলাইহিস-সালাম) তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে এসে গো-বাছুর পূজার দরুন তাদের উপর রাগান্বিত ও মর্মাহত হয়ে বললেন: হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তা‘আলা কি তোমাদের সাথে এ মর্মে সুন্দর একটি ওয়াদা করেননি যে, তিনি তোমাদের উপর তাওরাত নাযিল করবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ওয়াদার সময়টুকু দীর্ঘ হওয়ার দরুন কি তোমরা তা ভুলে গেছো? না কি তোমরা নিজেদের এ কর্মের মাধ্যমে চাচ্ছো যে, তোমাদের উপর তোমাদের প্রতিপালকের অসন্তোষ ও শাস্তি নাযিল হোক। আর এ জন্যই কি তোমরা আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত তোমাদের নিকট থেকে আনুগত্যের উপর অটল থাকার যে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিলো তার বরখেলাফ করেছো?!
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالُواْ مَآ أَخۡلَفۡنَا مَوۡعِدَكَ بِمَلۡكِنَا وَلَٰكِنَّا حُمِّلۡنَآ أَوۡزَارٗا مِّن زِينَةِ ٱلۡقَوۡمِ فَقَذَفۡنَٰهَا فَكَذَٰلِكَ أَلۡقَى ٱلسَّامِرِيُّ
৮৭. মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় বললো: আমরা ইচ্ছাকৃত আপনার ওয়াদার বরখেলাফ করিনি। বরং আমরা তা করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ফিরআউনের সম্প্রদায়ের বোঝা বোঝা অলঙ্কার বহন করে এনে সেগুলো থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য সেগুলোকে গর্তে ফেলে দিয়েছি। যেভাবে আমরা সেগুলোকে গর্তে ফেলেছি সেভাবে সামিরীও তার সাথে থাকা জিব্রীল (আলাইহিস-সালাম) এর ঘোড়ার খুরের মাটি সেখানে ফেলে দিয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• من سُنَّة الله انتقامه من المجرمين بما يشفي صدور المؤمنين، ويقر أعينهم، ويذهب غيظ قلوبهم.
ক. আল্লাহ তা‘আলার নিয়ম হচ্ছে এমনভাবে অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ নেয়া যা মু’মিনদের অন্তরগুলোকে প্রশমিত এবং তাদের চোখগুলোকে শীতল ও তাদের অন্তরগুলোর রাগকে দূর করবে।

• الطاغية شؤم على نفسه وعلى قومه؛ لأنه يضلهم عن الرشد، وما يهديهم إلى خير ولا إلى نجاة.
খ. একজন গাদ্দার তার নিজের ও তার জাতির দুর্ভাগ্যের কারণ। কারণ, সে তাদেরকে সত্যভ্রষ্ট করবে। কখনো সে তাদেরকে কল্যাণ ও মুক্তির পথ দেখাবে না।

• النعم تقتضي الحفظ والشكر المقرون بالمزيد، وجحودها يوجب حلول غضب الله ونزوله.
গ. নিয়ামতের চাহিদা হলো, তার হিফাযত ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হোক। যা তাকে আরো বাড়িয়ে দিবে। পক্ষান্তরে তার অস্বীকার এবং তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা আল্লাহর অসন্তোষকে অবধারিত করে।

• الله غفور على الدوام لمن تاب من الشرك والكفر والمعصية، وآمن به وعمل الصالحات، ثم ثبت على ذلك حتى مات عليه.
ঘ. আল্লাহ তা‘আলা সর্বদা সে ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন যে শির্ক, কুফরি ও গুনাহ থেকে তাওবা করে এবং তাঁর উপর ঈমান এনে নেক আমল করে। উপরন্তু মৃত্যু পর্যন্ত তার উপর অটল থাকে।

• أن العجلة وإن كانت في الجملة مذمومة فهي ممدوحة في الدين.
ঙ. দ্রæততা যদিও সামগ্রিকভাবে নিন্দিত। তবে তা ধর্মীয় ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।

فَأَخۡرَجَ لَهُمۡ عِجۡلٗا جَسَدٗا لَّهُۥ خُوَارٞ فَقَالُواْ هَٰذَآ إِلَٰهُكُمۡ وَإِلَٰهُ مُوسَىٰ فَنَسِيَ
৮৮. অতঃপর সামিরী সে অলঙ্কার থেকে বনী ইসরাঈলের জন্য রূহবিহীন একটি গো-বাছুরের অবয়ব বানিয়েছে। যে গাভীর আওয়াজের ন্যায় আওয়াজ করে। তখন সামিরীর কাজে ফিতনায় পড়া লোকজন বললো: এ হলো তোমাদের ও মূসার মা’বূদ। সে তাকে ভুলে এখানে ফেলে গিয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
أَفَلَا يَرَوۡنَ أَلَّا يَرۡجِعُ إِلَيۡهِمۡ قَوۡلٗا وَلَا يَمۡلِكُ لَهُمۡ ضَرّٗا وَلَا نَفۡعٗا
৮৯. যারা গো-বাছুরের ফিতনায় পড়ে তার পূজা করেছে তারা কি দেখে না যে, গো-বাছুরটি তাদের সাথে কথা বলে না ও তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না। না সে তাদের বা অন্যদের কোন ক্ষতি দূর করতে সক্ষম, না সে নিজের বা অন্যের কোন উপকার করতে সক্ষম?!
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَقَدۡ قَالَ لَهُمۡ هَٰرُونُ مِن قَبۡلُ يَٰقَوۡمِ إِنَّمَا فُتِنتُم بِهِۦۖ وَإِنَّ رَبَّكُمُ ٱلرَّحۡمَٰنُ فَٱتَّبِعُونِي وَأَطِيعُوٓاْ أَمۡرِي
৯০. মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাদের নিকট ফিরে আসার আগেই হারূন (আলাইহিস-সালাম) তাদেরকে বললেন: স্বর্ণ দিয়ে গো-বাছুর তৈরি এবং তার আওয়াজ করা তোমাদের জন্য পরীক্ষা মাত্র। যাতে মু’মিন কাফির থেকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক হয়ে যায়। হে আমার জাতি! তোমাদের প্রতিপালক তো তিনি যিনি রহমতের মালিক। না সে যে তোমাদের কোন লাভ-ক্ষতির মালিক নয়। রহমত দেয়া তো তার জন্য অনেক দূরের কথা। তাই তাঁর একক ইবাদাতে আমার অনুসরণ করো। আর তিনি ছাড়া অন্য যে কারো ইবাদাত পরিত্যাগে আমার আদেশ মান্য করো।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالُواْ لَن نَّبۡرَحَ عَلَيۡهِ عَٰكِفِينَ حَتَّىٰ يَرۡجِعَ إِلَيۡنَا مُوسَىٰ
৯১. গো-বাছুর পূজার ফিতনায় পড়া লোকেরা বললো: আমরা এর পূজা করেই যাবো যতক্ষণ না মূসা (আলাইহিস-সালাম) আমাদের নিকট ফিরে আসেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ يَٰهَٰرُونُ مَا مَنَعَكَ إِذۡ رَأَيۡتَهُمۡ ضَلُّوٓاْ
৯২-৯৩. মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাঁর ভাই হারূনকে বললেন: যখন আপনি তাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে গো-বাছুর পূজা করে পথভ্রষ্ট হতে দেখলেন তখন তাদেরকে ছেড়ে আমার কাছে আসতে কে আপনাকে নিষেধ করেছে?! আমি আপনাকে তাদের উপর আমার স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছি, তাহলে আপনি কি আমার আদেশ অমান্য করলেন?!
அரபு விரிவுரைகள்:
أَلَّا تَتَّبِعَنِۖ أَفَعَصَيۡتَ أَمۡرِي
৯২-৯৩. মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাঁর ভাই হারূনকে বললেন: যখন আপনি তাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে গো-বাছুর পূজা করে পথভ্রষ্ট হতে দেখলেন তখন তাদেরকে ছেড়ে আমার কাছে আসতে কে আপনাকে নিষেধ করেছে?! আমি আপনাকে তাদের উপর আমার স্থলাভিষিক্ত বানিয়েছি, তাহলে আপনি কি আমার আদেশ অমান্য করলেন?!
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ يَبۡنَؤُمَّ لَا تَأۡخُذۡ بِلِحۡيَتِي وَلَا بِرَأۡسِيٓۖ إِنِّي خَشِيتُ أَن تَقُولَ فَرَّقۡتَ بَيۡنَ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ وَلَمۡ تَرۡقُبۡ قَوۡلِي
৯৪. যখন মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাঁর ভাই হারূনের কর্মের প্রতি ক্ষোভ দেখিয়ে তাঁর দাঁড়ি ও মাথা ধরে টানলেন তখন হারূন (আলাইহিস-সালাম) তাঁর নিকট দয়া কামনা করে বললেন: আপনি আমার দাঁড়ি ও মাথার চুল ধরবেন না। কারণ, তাদের সাথে থাকার ব্যাপারে আমার নিকট ওজর রয়েছে। আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, যদি আমি তাদেরকে একা ছেড়ে দেই তাহলে তারা বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। তখন আপনি বলতেন: আমি তাদের মাঝে ফাটল ধরিয়েছি। আর আমি তাদের ব্যাপারে আপনার অসিয়ত রক্ষা করিনি।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ فَمَا خَطۡبُكَ يَٰسَٰمِرِيُّ
৯৫. মূসা (আলাইহিস-সালাম) সামিরীকে বললেন: তোমার কী অবস্থা হে সামিরী! কি জিনিস তোমাকে বাধ্য করলো এমন করতে?
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ بَصُرۡتُ بِمَا لَمۡ يَبۡصُرُواْ بِهِۦ فَقَبَضۡتُ قَبۡضَةٗ مِّنۡ أَثَرِ ٱلرَّسُولِ فَنَبَذۡتُهَا وَكَذَٰلِكَ سَوَّلَتۡ لِي نَفۡسِي
৯৬. সামিরী মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে বললো: আমি যা দেখেছি তা তারা দেখেনি। আমি জিব্রীল (আলাইহিস-সালাম) কে ঘোড়ায় চড়তে দেখলে তাঁর ঘোড়ার পায়ের দাগ থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়ে রাখি। অতঃপর তা গো-বাছুরের অবয়ব বানিয়ে গলানো স্বর্ণের উপর নিক্ষেপ করলে তা থেকে হাম্বা হাম্বা আওয়াজ করা এক শরীরী গো-বাছুর বেরিয়ে আসলো। এভাবেই আমার মণ আমার জন্য এ কর্মকে সাজিয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ فَٱذۡهَبۡ فَإِنَّ لَكَ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ أَن تَقُولَ لَا مِسَاسَۖ وَإِنَّ لَكَ مَوۡعِدٗا لَّن تُخۡلَفَهُۥۖ وَٱنظُرۡ إِلَىٰٓ إِلَٰهِكَ ٱلَّذِي ظَلۡتَ عَلَيۡهِ عَاكِفٗاۖ لَّنُحَرِّقَنَّهُۥ ثُمَّ لَنَنسِفَنَّهُۥ فِي ٱلۡيَمِّ نَسۡفًا
৯৭. মূসা (আলাইহিস-সালাম) সামিরীকে বললেন: তুমি এখান থেকে চলে যাও। তুমি যতো দিন বেঁচে থাকবে ততোদিন বলবে: আমি কাউকে স্পর্শ করবো না, আবার অন্য কেউও আমাকে স্পর্শ করবে না। ফলে তুমি পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য হয়েই জীবন যাপন করবে। আর কিয়ামতের দিন তো তোমার হিসাব ও শাস্তির জন্য নির্ধারিত রয়েছেই। আল্লাহ তা‘আলা এই ওয়াদার খিলাফ করবেন না। আর তুমি দেখবে, তুমি যে গো-বাছুরকে মা’বূদ বানিয়েছো এবং আল্লাহ ব্যতিরেকে যার ইবাদাতে রত রয়েছো তার গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেবো যাতে তা নিঃশেষ হয়ে যায়। অতঃপর তার ছাইগুলোকে সাগরে ছিটিয়ে দেবো। যাতে তার কোন নিশানাই না থাকে।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّمَآ إِلَٰهُكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ وَسِعَ كُلَّ شَيۡءٍ عِلۡمٗا
৯৮. হে মানুষ! তোমাদের সত্য মা’বূদ হলেন আল্লাহ, যিনি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। যিনি প্রতিটি জিনিসের জ্ঞান রাখেন। কোন বস্তুর জ্ঞানই তাঁর আওতার বাইরে নয়।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• خداع الناس بتزوير الحقائق مسلك أهل الضلال.
ক. সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়া কেবল ভ্রষ্টদেরই পথ।

• الغضب المحمود هو الذي يكون عند انتهاكِ محارم الله.
খ. আল্লাহর হারামকৃত কাজে লিপ্ত হওয়ার উপর রাগই সত্যিকারার্থে প্রশংসনীয় রাগ।

• في الآيات أصل في نفي أهل البدع والمعاصي وهجرانهم، وألا يُخَالَطوا.
গ. উক্ত আয়াতগুলোতে বিদ‘আতী ও পাপীদেরকে নিজেদের এলাকা থেকে বিতাড়ন এবং তাদেরকে পরিত্যাগ করা ও তাদের সাথে মিলামিশা না করার মৌলিক প্রমাণ রয়েছে।

• في الآيات وجوب التفكر في معرفة الله تعالى من خلال مفعولاته في الكون.
ঘ. উক্ত আয়াতগুলোতে দুনিয়ার বুকে আল্লাহর সৃষ্টি ও কর্মের মাধ্যমে তাঁকে চেনার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা যে ওয়াজিব তার প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে।

كَذَٰلِكَ نَقُصُّ عَلَيۡكَ مِنۡ أَنۢبَآءِ مَا قَدۡ سَبَقَۚ وَقَدۡ ءَاتَيۡنَٰكَ مِن لَّدُنَّا ذِكۡرٗا
৯৯. হে রাসূল! যেমনিভাবে আমি আপনার নিকট মূসা ও ফিরআউন এবং তাদের সম্প্রদায়ের সংবাদ বর্ণনা করেছি তেমনিভাবে আমি আপনার নিকট আপনার সান্ত¦নার জন্য পূর্ববর্তী নবীগণ ও তাঁদের উম্মতদের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমি আপনাকে নিজের পক্ষ থেকে কুর‘আন দিয়েছি। যাতে উপদেশ গ্রহণকারীরা তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।
அரபு விரிவுரைகள்:
مَّنۡ أَعۡرَضَ عَنۡهُ فَإِنَّهُۥ يَحۡمِلُ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وِزۡرًا
১০০. যে ব্যক্তি তোমার উপর নাযিলকৃত এ কুর‘আন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো তথা তার উপর ঈমান আনেনি এবং তার বিধানাবলীর উপর আমলও করেনি তাহলে সে নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মহা পাপের বোঝা বহন করবে এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির উপযুক্ত হবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
خَٰلِدِينَ فِيهِۖ وَسَآءَ لَهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ حِمۡلٗا
১০১. তারা এ শাস্তিতে সর্বদা অবস্থান করবে এবং কিয়ামতের দিন তারা যে বোঝা বহন করবে তা কতোই না নিকৃষ্ট!
அரபு விரிவுரைகள்:
يَوۡمَ يُنفَخُ فِي ٱلصُّورِۚ وَنَحۡشُرُ ٱلۡمُجۡرِمِينَ يَوۡمَئِذٖ زُرۡقٗا
১০২. যে দিন ফিরিশতা পুনরুত্থানের জন্য সিঙ্গায় দ্বিতীয়বার ফুঁ দিবে আর আমি সে দিন কাফিরদেরকে নীল চোখা করে একত্রিত করবো। কারণ, তারা কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার দরুন তাদের ও তাদের চোখের রং পরিবর্তিত হবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
يَتَخَٰفَتُونَ بَيۡنَهُمۡ إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا عَشۡرٗا
১০৩. তারা চুপিসারে বলবে: তোমরা মৃত্যুর পর বারযাখে শুধু দশ রাতই অবস্থান করলে।
அரபு விரிவுரைகள்:
نَّحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَا يَقُولُونَ إِذۡ يَقُولُ أَمۡثَلُهُمۡ طَرِيقَةً إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا يَوۡمٗا
১০৪. আমি জানি তারা চুপিসারে কী বলছে। এর কোন কিছুই আমার অগোচরে নেই। তাদের বুদ্ধিমান লোকটি বললো: তোমরা মূলতঃ বারযাখে একদিন অথবা তার কিছু বেশিই অবস্থান করেছো।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡجِبَالِ فَقُلۡ يَنسِفُهَا رَبِّي نَسۡفٗا
১০৫. হে রাসূল! তারা আপনাকে কিয়ামতের দিনকার পাহাড়সমূহের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। আপনি তাদেরকে বলুন: আমার প্রতিপালক পাহাড়গুলোকে গোড়া থেকেই উপড়ে ফেলে সেগুলোকে ধূলিকণার ন্যায় ছিটিয়ে দিবেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَيَذَرُهَا قَاعٗا صَفۡصَفٗا
১০৬. অতঃপর তিনি পাহাড়গুলোকে যে জমিন বহন করছিলো সেটিকে মসৃণ ও সমতল বানিয়ে দিবেন। যার উপর কোন ঘর কিংবা উদ্ভিদও থাকবে না।
அரபு விரிவுரைகள்:
لَّا تَرَىٰ فِيهَا عِوَجٗا وَلَآ أَمۡتٗا
১০৭. হে দর্শক! জমিন পুরো সমতল হওয়ার দরুন তুমি তাতে কোন বক্রতা ও উঁচু-নিচু দেখতে পাবে না।
அரபு விரிவுரைகள்:
يَوۡمَئِذٖ يَتَّبِعُونَ ٱلدَّاعِيَ لَا عِوَجَ لَهُۥۖ وَخَشَعَتِ ٱلۡأَصۡوَاتُ لِلرَّحۡمَٰنِ فَلَا تَسۡمَعُ إِلَّا هَمۡسٗا
১০৮. সে দিন মানুষ হাশরের মাঠের দিকে আহŸানকারীর ডাকের অনুসরণ করবে। তার অনুসরণ ছাড়া তাদের আর কোন গতি থাকবে না। ভয়ে মহামহিম প্রভুর সামনে সকল আওয়াজই স্তব্ধ হয়ে যাবে। সে দিন শুধু গোপন ফিসফিস আওয়াজ ছাড়া আপনি আর কিছুই শুনতে পাবেন না।
அரபு விரிவுரைகள்:
يَوۡمَئِذٖ لَّا تَنفَعُ ٱلشَّفَٰعَةُ إِلَّا مَنۡ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحۡمَٰنُ وَرَضِيَ لَهُۥ قَوۡلٗا
১০৯. সেই কঠিন দিবসে কোন সুপারিশকারীর সুপারিশই উপকারে আসবে না। তবে যাকে আল্লাহ তা‘আলা সুপারিশ করার অনুমতি দিয়েছেন এবং সুপারিশের ক্ষেত্রে তার কথার উপর তিনি সন্তুষ্ট রয়েছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ وَلَا يُحِيطُونَ بِهِۦ عِلۡمٗا
১১০. মানুষ ভবিষ্যতে যে কিয়ামতের সাক্ষাত করবে তা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা ভালোই জানেন। তেমনিভাবে তারা দুনিয়াতে যা পেছনে রেখে এসেছে তা সম্পর্কেও তিনি ভালো জানেন। তবে সকল বান্দা আল্লাহর সত্তা ও তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে সম্যক অবগত নয়।
அரபு விரிவுரைகள்:
۞ وَعَنَتِ ٱلۡوُجُوهُ لِلۡحَيِّ ٱلۡقَيُّومِۖ وَقَدۡ خَابَ مَنۡ حَمَلَ ظُلۡمٗا
১১১. সেই চিরঞ্জীব যাঁর কখনো মৃত্যু হবে না। যিনি তাঁর বান্দাদের সকল বিষয়াদির নিয়ন্ত্রণক, পরিচালক ও সংরক্ষক। তাঁর সামনে তাদের চেহারাগুলো সদা নত ও অবনমিত। আর সেই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত যে নিজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করে পাপের বোঝা বহন করেছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَمَن يَعۡمَلۡ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَا يَخَافُ ظُلۡمٗا وَلَا هَضۡمٗا
১১২. যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনে নেক আমল করবে সে অচিরেই পরিপূর্ণ প্রতিদান পাবে। সে কখনো এ ব্যাপারে যুলুমের আশঙ্কা করবে না যে, তাকে এমন কোন গুনাহের জন্য শাস্তি দেয়া হবে যা সে করেনি। না সে কোন নেক আমলের সাওয়াব না পাওয়ার আশঙ্কা করবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَكَذَٰلِكَ أَنزَلۡنَٰهُ قُرۡءَانًا عَرَبِيّٗا وَصَرَّفۡنَا فِيهِ مِنَ ٱلۡوَعِيدِ لَعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ أَوۡ يُحۡدِثُ لَهُمۡ ذِكۡرٗا
১১৩. আমি পূর্ববর্তীদের নিদর্শনাবলী নাযিল করার ন্যায় এ কুর‘আনকে সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় নাযিল করেছি। উপরন্তু আমি তাতে অনেক ধরনের হুমকি ও ভীতির বর্ণনা দিয়েছি। যাতে তারা আল্লাহকে ভয় করে অথবা কুর‘আন তাদের জন্য কোন উপদেশ ও শিক্ষার সুযোগ দেয়।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• القرآن العظيم كله تذكير ومواعظ للأمم والشعوب والأفراد، وشرف وفخر للإنسانية.
ক. মহাগ্রন্থ আল-কুর‘আন পুরোটাই জাতি, গোষ্ঠী ও ব্যক্তি বিশেষের জন্য ওয়াজ এবং উপদেশ। উপরন্তু তা মানব জাতির জন্য সম্মান ও গর্বের বিষয়ও বটে।

• لا تنفع الشفاعة أحدًا إلا شفاعة من أذن له الرحمن، ورضي قوله في الشفاعة.
খ. সেদিন কোন সুপারিশ কারো উপকারে আসবে না। তবে ওই ব্যক্তির সুপারিশ যাকে দয়ালু প্রভু সুপারিশের অনুমতি দিয়েছেন এবং সুপারিশের ক্ষেত্রে তার কথার উপর তিনি সন্তুষ্ট।

• القرآن مشتمل على أحسن ما يكون من الأحكام التي تشهد العقول والفطر بحسنها وكمالها.
গ. কুর‘আন এমন সকল সুন্দর সুন্দর বিধানকে শামিল করেছে যেগুলোর সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতার ব্যাপারে মেধা ও মানব প্রকৃতি সাক্ষ্য দিয়েছে।

• من آداب التعامل مع القرآن تلقيه بالقبول والتسليم والتعظيم، والاهتداء بنوره إلى الصراط المستقيم، والإقبال عليه بالتعلم والتعليم.
ঘ. কুর‘আনের সাথে এক ধরনের আদব হলো সম্মান ও আত্মসমর্পণের সাথে তাকে গ্রহণ করা। উপরন্তু তার আলো নিয়ে সঠিক পথে চলা এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার অভিমুখী হওয়া।

• ندم المجرمين يوم القيامة حيث ضيعوا الأوقات الكثيرة، وقطعوها ساهين لاهين، معرضين عما ينفعهم، مقبلين على ما يضرهم.
ঙ. অপরাধীরা কিয়ামতের দিন লজ্জিত হবে। কারণ, তারা গাফিলতি ও খেল-তামাশায় অনেক সময় কাটিয়েছে ও নষ্ট করেছে। তারা লাভজনক বস্তু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ক্ষতিকর বস্তুর প্রতি উন্মুখ হয়েছে।

فَتَعَٰلَى ٱللَّهُ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡحَقُّۗ وَلَا تَعۡجَلۡ بِٱلۡقُرۡءَانِ مِن قَبۡلِ أَن يُقۡضَىٰٓ إِلَيۡكَ وَحۡيُهُۥۖ وَقُل رَّبِّ زِدۡنِي عِلۡمٗا
১১৪. আল্লাহ তা‘আলা মহান, পূত-পবিত্র ও সর্বোচ্চ। তিনি এমন মালিক সবকিছুই যার মালিকানাধীন। যিনি সত্য এবং যাঁর কথা সত্য। মুশরিকরা যা দিয়ে তাঁকে বিভ‚ষিত করে তিনি তা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। হে রাসূল! জিব্রীল তার ওহী পৌঁছানো শেষ করার আগেই আপনি তার সাথে দ্রæত কুর‘আন পড়বেন না। আর আপনি বলুন: হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে যা শিখিয়েছেন তার সাথে আমার জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিন।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَقَدۡ عَهِدۡنَآ إِلَىٰٓ ءَادَمَ مِن قَبۡلُ فَنَسِيَ وَلَمۡ نَجِدۡ لَهُۥ عَزۡمٗا
১১৫. নিশ্চয়ই আমি ইতিপূর্বে আদম (আলাইহিস-সালাম) কে একটি নির্দিষ্ট গাছের ফল না খাওয়ার আদেশ করেছি। এমনকি আমি এ ব্যাপারে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছি। উপরন্তু তার পরিণামও বর্ণনা করেছি। কিন্তু তিনি সেই অসিয়তের কথা ভুলে গিয়ে উক্ত গাছের ফল খেয়ে ফেলেন। তিনি মূলতঃ এ ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে পারেননি এবং আমি তাঁর মাঝে উক্ত অসিয়ত রক্ষার দৃঢ় প্রতীজ্ঞাও দেখতে পাইনি।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَإِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ ٱسۡجُدُواْ لِأٓدَمَ فَسَجَدُوٓاْ إِلَّآ إِبۡلِيسَ أَبَىٰ
১১৬. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সে সময়ের কথা যখন আমি ফিরিশতাদেরকে বললাম: তোমরা আদমকে সম্মান প্রদর্শনমূলক সাজদাহ করো। তখন ইবলিস ছাড়া তারা সবাই সাজদাহ করলো। সে মূলতঃ তাদের সাথেই ছিলো; তবে সে তাদের কেউ নয়। সে অহঙ্কারবশতঃ সাজদাহ করতে অস্বীকৃতি জানালো।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَقُلۡنَا يَٰٓـَٔادَمُ إِنَّ هَٰذَا عَدُوّٞ لَّكَ وَلِزَوۡجِكَ فَلَا يُخۡرِجَنَّكُمَا مِنَ ٱلۡجَنَّةِ فَتَشۡقَىٰٓ
১১৭. আমি বললাম: হে আদম! নিশ্চয়ই ইবলিস আপনার ও আপনার স্ত্রীর শত্রæ। তাই সে যেন তার কুমন্ত্রণা দিয়ে আপনাকে ও আপনার স্ত্রীকে জান্নাত থেকে বের করে না দেয়। নচেৎ আপনাকে অনেক দুঃখ-কষ্ট ও অপ্রীতিকর অবস্থা সহ্য করতে হবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعۡرَىٰ
১১৮. আপনার ব্যাপারে আল্লাহর দায়িত্ব হলো তিনি আপনাকে জান্নাতে খাওয়াবেন। ফলে আপনি ক্ষুধার্ত হবে না। তিনি আপনাকে কাপড় পরাবেন। ফলে আপনি উলঙ্গ থাকবেন না।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَأَنَّكَ لَا تَظۡمَؤُاْ فِيهَا وَلَا تَضۡحَىٰ
১১৯. তিনি আপনাকে পান করাবেন। ফলে আপনি কখনো তৃষ্ণার্ত হবেন না। তিনি আপনাকে ছায়া দিবেন। ফলে সূর্যের তাপ আপনার নিকট কখনো পৌঁছাবে না।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَوَسۡوَسَ إِلَيۡهِ ٱلشَّيۡطَٰنُ قَالَ يَٰٓـَٔادَمُ هَلۡ أَدُلُّكَ عَلَىٰ شَجَرَةِ ٱلۡخُلۡدِ وَمُلۡكٖ لَّا يَبۡلَىٰ
১২০. অতঃপর শয়তান আদমকে কুমন্ত্রণা দিলো এবং তাঁকে বললো: আমি কি আপনাকে এমন একটি গাছ দেখাবো যে ব্যক্তি এ গাছের ফল খাবে তার কখনো মৃত্যু হবে না। বরং সে চিরকাল বেঁচে থাকবে। এমনকি সে এমন এক ধারাবাহিক ক্ষমতার মালিক হবে, যা কখনো শেষ হবে না?!
அரபு விரிவுரைகள்:
فَأَكَلَا مِنۡهَا فَبَدَتۡ لَهُمَا سَوۡءَٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخۡصِفَانِ عَلَيۡهِمَا مِن وَرَقِ ٱلۡجَنَّةِۚ وَعَصَىٰٓ ءَادَمُ رَبَّهُۥ فَغَوَىٰ
১২১. এরপর আদম ও হাওয়া সে গাছেরই ফল খেয়েছেন যে গাছের ফল খেতে তাঁদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে তাঁদের লজ্জাস্থান প্রকাশ পেয়ে গেলো যা ইতিপূর্বে ঢাকা ছিলো এবং তাঁরা জান্নাতের গাছের পাতাসমূহ ছিঁড়তে ও তা দিয়ে নিজেদের লজ্জাস্থান ঢাকতে লাগলেন। এর দ্বারা আদম (আলাইহিস-সালাম) তাঁর প্রতিপালকের আদেশের বিপরীত কাজ করলেন। কারণ, তিনি সেই গাছের ফল খাওয়া থেকে দূরে থাকার আদেশকে অমান্য করেছেন। তিনি যা তাঁর জন্য জায়িয নয় তার দিকে ধাবিত হয়ে সীমাতিক্রম করেছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
ثُمَّ ٱجۡتَبَٰهُ رَبُّهُۥ فَتَابَ عَلَيۡهِ وَهَدَىٰ
১২২. অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবা গ্রহণ করেছেন এবং নবী হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন। উপরন্তু তিনি তাঁকে সত্য পথে চলার তাওফীকও দিয়েছেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ ٱهۡبِطَا مِنۡهَا جَمِيعَۢاۖ بَعۡضُكُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوّٞۖ فَإِمَّا يَأۡتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدٗى فَمَنِ ٱتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشۡقَىٰ
১২৩. আল্লাহ তা‘আলা আদম ও হাওয়াকে বললেন: তোমরা এবং ইবলিস জান্নাত থেকে নেমে যাও। সে তোমাদের শত্রæ আর তোমরাও তার শত্রæ। যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে হিদায়েতের কিছু আসে তখন যদি তোমাদের মধ্যকার কেউ তার অনুসরণ ও তার প্রতি আমল করে এবং তা থেকে সরে না যায় তাহলে সে কখনো সত্যভ্রষ্ট হবে না। সে আখিরাতে আযাবের সম্মুখীন হয়ে দুর্ভাগ্যবান হবে না। বরং আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَمَنۡ أَعۡرَضَ عَن ذِكۡرِي فَإِنَّ لَهُۥ مَعِيشَةٗ ضَنكٗا وَنَحۡشُرُهُۥ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ أَعۡمَىٰ
১২৪. আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে এবং তা প্রত্যাখান করবে উপরন্তু তার ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানাবে তার জন্য দুনিয়া ও বরযখে সঙ্কীর্ণ জীবন রয়েছে। কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ ও দলীল হারানো ব্যক্তির ন্যায় বানিয়ে হাশরের মাঠের দিকে হাঁকিয়ে নেবো।
அரபு விரிவுரைகள்:
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرۡتَنِيٓ أَعۡمَىٰ وَقَدۡ كُنتُ بَصِيرٗا
১২৫. তখন আল্লাহর যিকির বিমুখ লোকটি বলবে: হে আমার প্রতিপালক! আজ কেন আপনি আমাকে অন্ধ বানিয়ে উঠালেন; অথচ আমি তো দুনিয়াতে চক্ষুষ্মান ছিলাম।
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• الأدب في تلقي العلم، وأن المستمع للعلم ينبغي له أن يتأنى ويصبر حتى يفرغ المُمْلِي والمعلم من كلامه المتصل بعضه ببعض.
ক. জ্ঞান আহরণের আদব হচ্ছে এই যে, একজন শ্রোতার উচিত কোন কিছু শুনার সময় স্থিরতা অবলম্বন ও ধৈর্য ধারণ করা। যাতে শিক্ষক ও যিনি লিখাচ্ছেন তারা নিজ কথাটুকু শেষ করতে পারে। কারণ, এর একটি অংশ অন্য অংশের সাথে সংযুক্ত থাকে।

• نسي آدم فنسيت ذريته، ولم يثبت على العزم المؤكد، وهم كذلك، وبادر بالتوبة فغفر الله له، ومن يشابه أباه فما ظلم.
খ. আদম (আলাইহিস-সালাম) ভুলে গেলেন। তাই তাঁর সন্তানরাও ভুলে যায়। তিনি দৃঢ় প্রতীজ্ঞার উপর অটল থাকতে পারেননি। তাই তাঁর সন্তানরাও তেমন। তবে তিনি দ্রæত তাওবা করেছেন। তাই আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর যে তার পিতার মতো হয় সে মূলতঃ যালিম নয়।

• فضيلة التوبة؛ لأن آدم عليه السلام كان بعد التوبة أحسن منه قبلها.
গ. তাওবার অনেক ফযীলত। কারণ, আদম (আলাইহিস-সালাম) তাওবার পর আগের চেয়ে আরো ভালো হয়ে গেলেন।

• المعيشة الضنك في دار الدنيا، وفي دار البَرْزَخ، وفي الدار الآخرة لأهل الكفر والضلال.
ঘ. কাফির ও পথভ্রষ্টদের জন্য দুনিয়া, বরযখ ও আখিরাত তথা সর্বজায়গায় কঠিন জীবন যাপন রয়েছে।

قَالَ كَذَٰلِكَ أَتَتۡكَ ءَايَٰتُنَا فَنَسِيتَهَاۖ وَكَذَٰلِكَ ٱلۡيَوۡمَ تُنسَىٰ
১২৬. আল্লাহ তা‘আলা তার উত্তরে বলেন: তুমি দুনিয়াতে এমনই করেছো। তোমার নিকট আমার আয়াতসমূহ আসলে তুমি তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তা পরিত্যাগ করেছো। তেমনিভাবে আজ তোমাকেও শাস্তির মাঝে ফেলে পরিত্যাগ করা হবে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَكَذَٰلِكَ نَجۡزِي مَنۡ أَسۡرَفَ وَلَمۡ يُؤۡمِنۢ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِۦۚ وَلَعَذَابُ ٱلۡأٓخِرَةِ أَشَدُّ وَأَبۡقَىٰٓ
১২৭. এ প্রতিদানের ন্যায় আমি ওকেও প্রতিদান দেবো যে চাহিদা নিবারণে হারাম কাজে মগ্ন এবং তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আসা সুস্পষ্ট দলীলসমূহের উপর ঈমান আনা থেকে সে বিরত রয়েছে। বস্তুতঃ দুনিয়া ও বরযখের কঠিন জীবনের চেয়েও আখিরাতের আল্লাহর আযাব অনেক ভয়ঙ্কর, শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী।
அரபு விரிவுரைகள்:
أَفَلَمۡ يَهۡدِ لَهُمۡ كَمۡ أَهۡلَكۡنَا قَبۡلَهُم مِّنَ ٱلۡقُرُونِ يَمۡشُونَ فِي مَسَٰكِنِهِمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّأُوْلِي ٱلنُّهَىٰ
১২৮. আমি যে ইতিপূর্বে অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি সে ব্যাপারটি কি মুশরিকদের নিকট সুস্পষ্ট হয়নি। তারা তো ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিসমূহের এলাকায় বিচরণ করে এবং তাদের ধ্বংসের নমুনাগুলো দেখতে পায়?! সে বিস্তর জাতিসমূহের যে ধ্বংস ও বিনাশ ঘটেছে তাতে নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানদের জন্য অনেক শিক্ষণীয় ব্যাপার রয়েছে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَوۡلَا كَلِمَةٞ سَبَقَتۡ مِن رَّبِّكَ لَكَانَ لِزَامٗا وَأَجَلٞ مُّسَمّٗى
১২৯. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যদি এ ব্যাপারে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হয়ে থাকতো যে, তিনি প্রমাণ দাঁড় করানো ছাড়া কাউকে শাস্তি দিবেন না। তেমনিভাবে তাদের জন্য যদি তাঁর নিকট নির্ধারিত সময় ঠিক করা না থাকতো তাহলে তিনি নিশ্চয়ই তাদেরকে দ্রæত শাস্তি দিতেন। কারণ, তারা তো এর উপযুক্তই ছিলো।
அரபு விரிவுரைகள்:
فَٱصۡبِرۡ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ قَبۡلَ طُلُوعِ ٱلشَّمۡسِ وَقَبۡلَ غُرُوبِهَاۖ وَمِنۡ ءَانَآيِٕ ٱلَّيۡلِ فَسَبِّحۡ وَأَطۡرَافَ ٱلنَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرۡضَىٰ
১৩০. হে রাসূল! আপনার প্রতি মিথ্যারোপকারীরা যে বাতিল বিশেষণগুলো আপনার ব্যাপারে বলে থাকে সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরুন। আর আপনি ফজরের সালাতে সূর্য উঠার আগে, আসরের সালাতে সূর্য ডুবার আগে, মাগরিব ও ইশার সালাতে রাতের কিছু সময়, যোহরের সালাতে দিনের প্রথমাংশ শেষে সূর্য হেলে যাওয়ার সময় এবং মাগরিবের সালাতে দিনের দ্বিতীয়াংশ শেষে আল্লাহর নিকট সন্তোষজনক সাওয়াব পাওয়ার আশায় নিজ প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَا تَمُدَّنَّ عَيۡنَيۡكَ إِلَىٰ مَا مَتَّعۡنَا بِهِۦٓ أَزۡوَٰجٗا مِّنۡهُمۡ زَهۡرَةَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا لِنَفۡتِنَهُمۡ فِيهِۚ وَرِزۡقُ رَبِّكَ خَيۡرٞ وَأَبۡقَىٰ
১৩১. আমি এ সকল মিথ্যারোপকারীদেরকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য ভোগের যে ব্যবস্থা করেছি সেগুলোর দিকে আপনি তাকাবেন না। কারণ, আমি যা তাদেরকে দিয়েছি তা সত্যিই নশ্বর। আর আপনার প্রতিপালকের ওয়াদাকৃত প্রতিদান -যাতে আপনি খুশি হন- তাদেরকে দেয়া দুনিয়ার নশ্বর ভোগ-বিলাসের চেয়ে অনেক উত্তম ও দীর্ঘস্থায়ী। কারণ, তা কখনো শেষ হবে না।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَأۡمُرۡ أَهۡلَكَ بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱصۡطَبِرۡ عَلَيۡهَاۖ لَا نَسۡـَٔلُكَ رِزۡقٗاۖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكَۗ وَٱلۡعَٰقِبَةُ لِلتَّقۡوَىٰ
১৩২. হে রাসূল! আপনি নিজ পরিবারকে সালাত আদায়ের আদেশ করুন। আর তা আদায়ের ক্ষেত্রে আপনি ধৈর্য ধরুন। আমি আপনার কাছ থেকে আপনার নিজের জন্য অথবা অন্য কারো জন্য রিযিক চাই না। আমি আপনার রিযিকের দায়িত্ব নিলাম। দুনিয়া ও আখিরাতের প্রশংসনীয় পরিণাম সেই মুত্তাকীদের জন্য যারা আল্লাহকে ভয় করে তাঁর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলে।
அரபு விரிவுரைகள்:
وَقَالُواْ لَوۡلَا يَأۡتِينَا بِـَٔايَةٖ مِّن رَّبِّهِۦٓۚ أَوَلَمۡ تَأۡتِهِم بَيِّنَةُ مَا فِي ٱلصُّحُفِ ٱلۡأُولَىٰ
১৩৩. নবী (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতি মিথ্যারোপকারী এ কাফিররা বললো: কেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এমন কোন আলামত নিয়ে আসে না যা তাঁর সত্যতা ও রাসূল হওয়া প্রমাণ করবে। বস্তুতঃ এ মিথ্যারোপকারীদের নিকট কি কুর‘আন আসেনি যা তার পূর্বেকার সকল আসমানী কিতাবের সত্যতা প্রমাণ করে?!
அரபு விரிவுரைகள்:
وَلَوۡ أَنَّآ أَهۡلَكۡنَٰهُم بِعَذَابٖ مِّن قَبۡلِهِۦ لَقَالُواْ رَبَّنَا لَوۡلَآ أَرۡسَلۡتَ إِلَيۡنَا رَسُولٗا فَنَتَّبِعَ ءَايَٰتِكَ مِن قَبۡلِ أَن نَّذِلَّ وَنَخۡزَىٰ
১৩৪. আমি যদি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি এ মিথ্যারোপকারীদেরকে তাদের নিকট রাসূল ও কিতাব পাঠানোর পূর্বেই তাদের কুফরি ও গাদ্দারির দরুন ধ্বংস করে দিতাম তাহলে তারা কিয়ামতের দিন তাদের কুফরির ব্যাপারে ওযর পেশ করে বলতে পারতো: হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি কেন দুনিয়াতে আমাদের নিকট রাসূল পাঠাননি। তাহলে তো আমরা আপনার শাস্তির দরুন লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার আগেই তাঁর উপর ঈমান আনতে ও তাঁর আনা আয়াতসমূহের অনুসরণ করতে পারতাম?!
அரபு விரிவுரைகள்:
قُلۡ كُلّٞ مُّتَرَبِّصٞ فَتَرَبَّصُواْۖ فَسَتَعۡلَمُونَ مَنۡ أَصۡحَٰبُ ٱلصِّرَٰطِ ٱلسَّوِيِّ وَمَنِ ٱهۡتَدَىٰ
১৩৫. হে রাসূল! আপনি এ মিথ্যারোপকারীদেরকে বলুন: আমরা ও তোমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর ফায়সালার জন্য অপেক্ষমান। অতএব, তোমরা অপেক্ষা করো। অচিরেই তোমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারবে, কারা সঠিক পথের অনুসারী ও কারা হিদায়েতপ্রাপ্ত। আমরা না তোমরা?
அரபு விரிவுரைகள்:
இப்பக்கத்தின் வசனங்களிலுள்ள பயன்கள்:
• من الأسباب المعينة على تحمل إيذاء المعرضين استثمار الأوقات الفاضلة في التسبيح بحمد الله.
ক. ধর্মবিমুখীদের দেয়া কষ্ট সহ্য করার ক্ষেত্রে একটি সহযোগী উপায় হলো মর্যাদাপূর্ণ সময়গুলোকে আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনায় কাজে লাগানো।

• ينبغي على العبد إذا رأى من نفسه طموحًا إلى زينة الدنيا وإقبالًا عليها أن يوازن بين زينتها الزائلة ونعيم الآخرة الدائم.
খ. একজন বান্দার উচিত সে যখন নিজেকে দুনিয়ার চাকচিক্যের অভিলাসী ও তার অভিমুখী দেখতে পায় তখন সে যেন দুনিয়ার নশ্বর সৌন্দর্য ও আখিরাতের স্থায়ী নিয়ামতের ব্যবধানকে তুলনামূলক মূল্যায়ন করে।

• على العبد أن يقيم الصلاة حق الإقامة، وإذا حَزَبَهُ أمْر صلى وأَمَر أهله بالصلاة، وصبر عليهم تأسيًا بالرسول صلى الله عليه وسلم.
গ. বান্দার কর্তব্য হলো সালাতকে সঠিকভাবে কায়িম করা। যখন কোন বস্তু তাকে চিন্তিত করবে তখন সে যেন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুকরণে নিজে সালাত আদায় করে এবং তার পরিবারকেও সালাতের আদেশ করে। উপরন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেন ধৈর্য ধরে।

• العاقبة الجميلة المحمودة هي الجنة لأهل التقوى.
ঘ. মুত্তাকীদের সুন্দর ও প্রশংসনীয় পরিণাম হলো জান্নাত।

 
மொழிபெயர்ப்பு அத்தியாயம்: ஸூரா தாஹா
அத்தியாயங்களின் அட்டவணை பக்க எண்
 
அல்குர்ஆன் மொழிபெயர்ப்பு - அல்முக்தஸர் பீ தப்ஸீரில் குர்ஆனில் கரீமுக்கான bபங்காளி மொழிபெயர்ப்பு - மொழிபெயர்ப்பு அட்டவணை

அல்முக்தஸர் பீ தப்ஸீரில் குர்ஆனில் கரீமுக்கான bபங்காளி மொழிபெயர்ப்பு-வெளியீடு அல்குர்ஆன் ஆய்வுகளுக்கான தப்ஸீர் மையம்

மூடுக