Mənaların tərcüməsi Surə əl-Əla -

সূরা আল-আলা

Surənin məqsədlərindən:

تذكير النفس بالحياة الأخروية، وتخليصها من التعلقات الدنيوية.

মানুষকে আল্লাহর সুবৃহৎ নিয়ামত সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে পরকালীন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা ও দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত করা।

---

Ayə: 1

سَبِّحِ ٱسۡمَ رَبِّكَ ٱلۡأَعۡلَى

১. আপনি সে প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করুন যখন আপনি তাঁর নাম নিয়ে তাঁকে স্মরণ করেন ও সম্মান প্রদর্শন করেন। যিনি তাঁর সৃষ্টির উপর সমুন্নত রয়েছেন।

Ayə: 2

ٱلَّذِي خَلَقَ فَسَوَّىٰ

২. যিনি মানুষকে সুসামঞ্জস্য করে সৃষ্টি করেছেন এবং তার অবয়বকে সুবিন্যস্ত করেছেন।

Ayə: 3

وَٱلَّذِي قَدَّرَ فَهَدَىٰ

৩. যিনি সৃষ্টির প্রকার, ধরন ও গুণাগুণ নির্ধারণ করেছেন এবং প্রত্যেক সৃষ্টিকে তার সাথে মানানসই পথ দেখিয়েছেন।

Ayə: 4

وَٱلَّذِيٓ أَخۡرَجَ ٱلۡمَرۡعَىٰ

৪. যিনি যমীন থেকে তোমাদের পশুশ্রেণীর তৃণলতা উৎপন্ন করেছেন।

Ayə: 5

فَجَعَلَهُۥ غُثَآءً أَحۡوَىٰ

৫. অতঃপর সেটিকে সবুজ ও সজীব থাকার পর কালো ধরনের শুস্ক খড়কুটোয় রূপান্তর করেছেন।

Ayə: 6

سَنُقۡرِئُكَ فَلَا تَنسَىٰٓ

৬. হে রাসূল! অচিরেই আমি আপনাকে কুরআন পাঠ করাবো। আমি সেটিকে আপনার অন্তরে বদ্ধমূল করে দেবো। ফলে আপনি তা কখনো ভুলবেন না। অতএব, আপনি ভুলে যাওয়ার আশঙ্কায় পূর্বের ন্যায় জিব্রীলের সাথে আওড়ানোর কাজে তাড়াহুড়া করবেন না।

Ayə: 7

إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّهُۥ يَعۡلَمُ ٱلۡجَهۡرَ وَمَا يَخۡفَىٰ

৭. তবে আল্লাহ কোনরূপ হেকমত সাপেক্ষে আপনার পক্ষ থেকে যা ভুলিয়ে দিতে চান তা ভিন্ন ব্যাপার। তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবই জানেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না।

Ayə: 8

وَنُيَسِّرُكَ لِلۡيُسۡرَىٰ

৮. আমি আপনার জন্য জান্নাতে প্রবিষ্ট হওয়ার মতো আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক আমলকে সহজ করে দিবো।

Ayə: 9

فَذَكِّرۡ إِن نَّفَعَتِ ٱلذِّكۡرَىٰ

৯. অতএব, আপনি মানুষকে আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ কুরআন দ্বারা উপদেশ দিন। আপনি তাদেরকে উপদেশ দিয়ে যান যতক্ষণ তা শ্রবণ করা হয়।

Ayə: 10

سَيَذَّكَّرُ مَن يَخۡشَىٰ

১০. অচিরেই সে ব্যক্তি আপনার উপদেশ দ্বারা উপকৃত হবে যে আল্লাহকে ভয় করে। কেননা, সে ব্যক্তিই কেবল উপদেশ দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে।

Bu səhifədə olan ayələrdən faydalar:

• تحفظ الملائكة الإنسان وأعماله خيرها وشرها ليحاسب عليها.

ক. ফিরিশতাগণ মানুষ ও তার ভালো-মন্দ সকল আমল সংরক্ষণ করেন। যাতে করে এগুলোর হিসাব নেয়া হয়।

• ضعف كيد الكفار إذا قوبل بكيد الله سبحانه.

খ. মহান আল্লাহর কৌশলের সামনে কাফিরদের কূটকৌশল অতি দুর্বল।

• خشية الله تبعث على الاتعاظ.

গ. আল্লাহর ভয় উপদেশ গ্রহণে শক্তি যোগায়।

Ayə: 11

وَيَتَجَنَّبُهَا ٱلۡأَشۡقَى

১১. আর কাফির ব্যক্তি উপদেশ থেকে দূরে পালিয়ে বেড়ায়। কেননা, সে জাহান্নামে প্রবেশের ফলে পরকালে সর্বাপেক্ষা বড় হতভাগা।

Ayə: 12

ٱلَّذِي يَصۡلَى ٱلنَّارَ ٱلۡكُبۡرَىٰ

১২. যে ব্যক্তি জাহান্নামের মহা অগ্নিতে প্রবেশ করবে সে তার উত্তাপ আস্বাদন করবে এবং তাতে সর্বদা কষ্ট পোহাবে।

Ayə: 13

ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحۡيَىٰ

১৩. অতঃপর সে আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। সেখানে মৃত্যু বরণ করার মাধ্যমে সে তা থেকে রেহাই পাবে না। না তথায় পবিত্র ও সম্মানজনক আয়ু পেয়ে জীবন যাপন করবে।

Ayə: 14

قَدۡ أَفۡلَحَ مَن تَزَكَّىٰ

১৪. নিশ্চয়ই সে ব্যক্তি নিজ উদ্দেশ্যে সফলতা অর্জন করেছে যে শিরক ও পাপাচার থেকে পবিত্রতা লাভ করেছে।

Ayə: 15

وَذَكَرَ ٱسۡمَ رَبِّهِۦ فَصَلَّىٰ

১৫. আর স্বীয় রবকে তাঁর পক্ষ থেকে বিধিবদ্ধ বিভিন্ন প্রকার যিকিরের মাধ্যমে স্মরণ করে এবং পছন্দসই পদ্ধতি অনুযায়ী নামায সম্পাদন করে।

Ayə: 16

بَلۡ تُؤۡثِرُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا

১৬. বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে পরকালের জীবনের উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকো। অথচ উভয়ের মধ্যে রয়েছে ঢের তফাত।

Ayə: 17

وَٱلۡأٓخِرَةُ خَيۡرٞ وَأَبۡقَىٰٓ

১৭. নিশ্চয়ই পরকাল দুনিয়া ও তথাকার ভোগসামগ্রী অপেক্ষা উত্তম ও স্থায়ী। কেননা, তাতে যে সব নিয়ামত রয়েছে তা আদৗ শেষ হওয়ার নয়।

Ayə: 18

إِنَّ هَٰذَا لَفِي ٱلصُّحُفِ ٱلۡأُولَىٰ

১৮. তোমাদের উদ্দেশ্যে আমি যে সব নির্দেশ ও সংবাদ উল্লেখ করেছি তা আপনার পূর্বেকার পুস্তিকাসমূহে উল্লেখিত রয়েছে।

Ayə: 19

صُحُفِ إِبۡرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ

১৯. যেগুলো হলো ইব্রাহীম ও মূসার পুস্তিকাসমূহ (আলাইহিমাস-সালাম)।

Bu səhifədə olan ayələrdən faydalar:

• أهمية تطهير النفس من الخبائث الظاهرة والباطنة.

ক. অন্তরকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নোংরামি থেকে পবিত্র করার গুরুত্ব।

• الاستدلال بالمخلوقات على وجود الخالق وعظمته.

খ. সৃষ্টি কর্তৃক ¯্রষ্টার অস্তিত্ব ও তাঁর মাহাত্ম্যের প্রমাণ গ্রহণ।

• مهمة الداعية الدعوة، لا حمل الناس على الهداية؛ لأن الهداية بيد الله.

গ. দা‘ঈ ব্যক্তির দায়িত্ব হলো কেবল আহŸান করা। কাউকে হিদায়েত গ্রহণ করতে বাধ্য করা নয়। কেননা, হিদায়েত করা আল্লাহর দায়িত্ব।