Übersetzung der Bedeutungen von dem heiligen Quran - الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم * - Übersetzungen


Übersetzung der Bedeutungen Surah / Kapitel: Al-Isrâ’   Vers:

সূরা আল- ইসরা

Die Ziele der Surah:
تثبيت الله لرسوله صلى الله عليه وسلم وتأييده بالآيات البينات، وبشارته بالنصر والثبات.
মুহাম্মাদী রিসালাতের পরিপূর্ণতার বর্ণনা। এর পাশাপাশি তাতে রিসালাতের জন্য প্রাসঙ্গিক ও ভবিষ্যদ্বাণী সংশ্লিষ্ট কিছু ইঙ্গিত এবং সুসংবাদও রয়েছে।

سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِيٓ أَسۡرَىٰ بِعَبۡدِهِۦ لَيۡلٗا مِّنَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ إِلَى ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡأَقۡصَا ٱلَّذِي بَٰرَكۡنَا حَوۡلَهُۥ لِنُرِيَهُۥ مِنۡ ءَايَٰتِنَآۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ
১. আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র ও মহান। কারণ, তিনি এমন কিছুর ক্ষমতা রাখেন যা তিনি ছাড়া অন্য কেউ রাখে না। তিনিই তাঁর বান্দা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে তাঁর রূহ ও শরীরসহ রাতের একাংশে সজাগ অবস্থায় মসজিদে হারাম থেকে বাইতুল-মাক্বদিস মসজিদের ভ্রমণ করিয়েছেন। যার আশপাশকে আমি ফল-মূল, শস্য ও নবীদের বাসস্থানের মাধ্যমে বরকতময় করেছি। যাতে তিনি আমার ক্ষমতা ও মহিমার নিদর্শনসমূহ সচক্ষে দেখতে পান। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা। কোন কথাই তাঁর নিকট গোপন নয়। তিনি সর্বদ্রষ্টা। কোন দেখার বস্তুই তাঁর নিকট অদৃশ্য নয়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡكِتَٰبَ وَجَعَلۡنَٰهُ هُدٗى لِّبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ أَلَّا تَتَّخِذُواْ مِن دُونِي وَكِيلٗا
২. আমি মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে বনী ইসরাঈলের জন্য পথ প্রদর্শক ও পথ নির্দেশক স্বরূপ তাওরাত দিয়েছি এবং আমি বনী ইসরাঈলকে বলেছি, তোমরা আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে এমন অভিভাবক বানিয়ে নিও না যার উপর তোমাদের সমূহ কর্মকাÐ সোপর্দ করবে। বরং তোমরা একমাত্র আমার উপরই নির্ভরশীল হও।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
ذُرِّيَّةَ مَنۡ حَمَلۡنَا مَعَ نُوحٍۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَبۡدٗا شَكُورٗا
৩. তোমরা তো তাদেরই বংশধর যাদেরকে আমি নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর সাথে তুফানে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে বিশেষ নিয়ামতে ভ‚ষিত করেছি। তাই তোমরা এ নিয়ামতকে স্মরণ করো এবং এককভাবে আল্লাহর ইবাদাত ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করো। উপরন্তু এ ব্যাপারে তোমরা নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর অনুসরণ করো। কারণ, তিনি আল্লাহর সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ বান্দা ছিলেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقَضَيۡنَآ إِلَىٰ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ فِي ٱلۡكِتَٰبِ لَتُفۡسِدُنَّ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَرَّتَيۡنِ وَلَتَعۡلُنَّ عُلُوّٗا كَبِيرٗا
৪. আমি বনী ইসরাঈলকে সংবাদ দিয়েছি এবং তাওরাতের মাধ্যমে তাদেরকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি যে, অবশ্যই তাদের পক্ষ থেকে গুনাহ ও অহঙ্কার প্রদর্শনের মাধ্যমে দু’ দু’বার জমিনে ফাসাদ সংঘটিত হবে। আর তারা মানুষের উপর যুলুম ও অত্যাচারের মাধ্যমে অহঙ্কারের সীমাতিক্রম করে অত্যধিক বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ أُولَىٰهُمَا بَعَثۡنَا عَلَيۡكُمۡ عِبَادٗا لَّنَآ أُوْلِي بَأۡسٖ شَدِيدٖ فَجَاسُواْ خِلَٰلَ ٱلدِّيَارِۚ وَكَانَ وَعۡدٗا مَّفۡعُولٗا
৫. যখন তাদের পক্ষ থেকে প্রথম ফাসাদ সংঘটিত হলো তখন আমি তাদের উপর আমার এমন একদল শক্তিশালী ও যুদ্ধবাজ বান্দার আবির্ভাব ঘটিয়েছি যারা তাদেরকে হত্যা ও বাড়িছাড়া করেছে। যারা তাদের বাড়িঘরে ঢুকে সামনে পাওয়া সবকিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার মাধ্যমে আল্লাহর ওয়াদা এক অলঙ্ঘনীয় বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
ثُمَّ رَدَدۡنَا لَكُمُ ٱلۡكَرَّةَ عَلَيۡهِمۡ وَأَمۡدَدۡنَٰكُم بِأَمۡوَٰلٖ وَبَنِينَ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ أَكۡثَرَ نَفِيرًا
৬. অতঃপর যখন তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করলে তখন আমি তোমাদের উপর চড়াও হওয়া গোষ্ঠীর উপর আবারো তোমাদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতা ও জয় দিয়েছি। উপরন্তু তোমাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়ার পর তোমাদেরকে আবারো সম্পদ দিয়েছি এবং তোমাদের সন্তানদেরকে বন্দী করার পর তোমাদেরকে আরো সন্তান দিয়েছি। আর আমি তোমাদের শত্রæর চেয়ে তোমাদের সংখ্যাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
إِنۡ أَحۡسَنتُمۡ أَحۡسَنتُمۡ لِأَنفُسِكُمۡۖ وَإِنۡ أَسَأۡتُمۡ فَلَهَاۚ فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ ٱلۡأٓخِرَةِ لِيَسُـُٔواْ وُجُوهَكُمۡ وَلِيَدۡخُلُواْ ٱلۡمَسۡجِدَ كَمَا دَخَلُوهُ أَوَّلَ مَرَّةٖ وَلِيُتَبِّرُواْ مَا عَلَوۡاْ تَتۡبِيرًا
৭. হে বনী ইসরাঈল! যদি তোমরা নিজেদের আমলকে সুন্দর করো এবং কাম্য পন্থায় তা বাস্তবায়ন করো তাহলে তার প্রতিদান অবশ্যই তোমাদের নিকট ফিরে আসবে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের আমলের অমুখাপেক্ষী। আর যদি তোমরা খারাপ আমল করো তাহলে তার পরিণতি তোমাদেরকেই ভুগতে হবে। তোমাদের নেক আমল না আল্লাহ তা‘আলার কোন প্রয়োজনে আসবে, না তোমাদের বদ আমল তাঁর কোন ক্ষতি করবে। আর তোমাদের দ্বিতীয় ফাসাদ সংঘটিত হলে আমি আবারো তোমাদের শত্রæদেরকে তোমাদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেবো। যাতে তারা তোমাদেরকে লাঞ্ছিত করে এবং হরেক রকমের অপমান ও দুর্দশা আস্বাদন করিয়ে তোমাদের চেহারার উপর সুস্পষ্ট কালো দাগ ফেলে দেয়। আর বাইতুল-মাক্বদিসে ঢুকে তা ধ্বংস করে দেয় যেমনিভাবে তারা প্রথমবার তাতে ঢুকে তা ধ্বংস করে দিয়েছে। আর তারা যেন তোমাদের এলাকায় চড়াও হয়ে তা পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিতে পারে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• في قوله: ﴿الْمَسْجِدِ الْأَقْصَا﴾: إشارة لدخوله في حكم الإسلام؛ لأن المسجد موطن عبادةِ المسلمين.
ক. মসজিদুল-আক্বসা শব্দের মাঝে এ কথার ইঙ্গিত রয়েছে যে, তা একদা ইসলামের অধীনে চলে আসবে। কারণ, মসজিদ হলো মুসলমানদের ইবাদাতের জায়গা।

• بيان فضيلة الشكر، والاقتداء بالشاكرين من الأنبياء والمرسلين.
খ. কৃতজ্ঞতার ফযীলত এবং কৃতজ্ঞ নবী ও রাসূলদের অনুসরণের বর্ণনা।

• من حكمة الله وسُنَّته أن يبعث على المفسدين من يمنعهم من الفساد؛ لتتحقق حكمة الله في الإصلاح.
গ. আল্লাহর হিকমত ও তাঁর চিরাচরিত নিয়ম হলো তিনি ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের নিকট এমন কিছু লোক পাঠান যারা তাদেরকে ফাসাদ থেকে বিরত রাখতে পারে। যাতে সংশোধনের ক্ষেত্রে আল্লাহর কৌশল বাস্তবায়িত হয়।

• التحذير لهذه الأمة من العمل بالمعاصي؛ لئلا يصيبهم ما أصاب بني إسرائيل، فسُنَّة الله واحدة لا تتبدل ولا تتحول.
ঘ. এ উম্মতকে পাপ করা থেকে সতর্ক করা। যাতে তাদের ব্যাপারে তা না ঘটে যা বনী ইসরাঈলের ব্যাপারে ঘটেছিলো। কারণ, আল্লাহর নিয়ম একই। যা কখনো পরিবর্তন হবে না এবং তার ব্যত্যয়ও ঘটবে না।

عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يَرۡحَمَكُمۡۚ وَإِنۡ عُدتُّمۡ عُدۡنَاۚ وَجَعَلۡنَا جَهَنَّمَ لِلۡكَٰفِرِينَ حَصِيرًا
৮. হে বনী ইসরাঈল! তোমরা যদি তাওবা ও নেক আমল করো তাহলে এ কঠিন প্রতিশোধের পরও আশা করা যায় যে, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের উপর দয়া করবেন। আর যদি তোমরা তৃতীয় বার বা আরো বেশি ফাসাদের দিকে ফিরে যাও তাহলে আমি আবারো প্রতিশোধের দিকে ফিরে আসবো এবং আল্লাহর সাথে কুফরিকারীদের জন্য জাহান্নামকে শয্যা ও আবাসস্থল বানিয়ে দিবো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
إِنَّ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ يَهۡدِي لِلَّتِي هِيَ أَقۡوَمُ وَيُبَشِّرُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٱلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أَنَّ لَهُمۡ أَجۡرٗا كَبِيرٗا
৯. নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর নাযিলকৃত এ কুর‘আন সুন্দর তথা ইসলামের পথ দেখায় এবং আল্লাহতে বিশ্বাসী নেক আমলকারীদেরকে খুশির সংবাদ দেয়। আর সেই সংবাদ হলো এই যে, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহা প্রতিদান রয়েছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَأَنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ أَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا
১০. আর কিয়ামতের দিনের প্রতি অবিশ্বাসীদেরকে খারাপ সংবাদ দেয়। আর সেটি হলো নিশ্চয়ই আমি কিয়ামতের দিন তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَيَدۡعُ ٱلۡإِنسَٰنُ بِٱلشَّرِّ دُعَآءَهُۥ بِٱلۡخَيۡرِۖ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ عَجُولٗا
১১. মানুষ রাগের সময় তার মূর্খতার দরুন সে নিজের উপর এবং নিজ সন্তান ও সম্পদের উপর অকল্যাণের বদদু‘আ করে। যেমনিভাবে সে কখনো কখনো নিজের জন্য কল্যাণের দু‘আ করে থাকে। আমি যদি তার অকল্যাণের বদদু‘আটি কবুল করতাম তাহলে সে নিজেও ধ্বংস হতো এবং তার সম্পদ ও সন্তান ধ্বংস হয়ে যেতো। বস্তুতঃ মানুষকে চঞ্চলতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ জন্য সে কখনো কখনো দ্রæত নিজ ক্ষতিও কামনা করে বসে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَ ءَايَتَيۡنِۖ فَمَحَوۡنَآ ءَايَةَ ٱلَّيۡلِ وَجَعَلۡنَآ ءَايَةَ ٱلنَّهَارِ مُبۡصِرَةٗ لِّتَبۡتَغُواْ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكُمۡ وَلِتَعۡلَمُواْ عَدَدَ ٱلسِّنِينَ وَٱلۡحِسَابَۚ وَكُلَّ شَيۡءٖ فَصَّلۡنَٰهُ تَفۡصِيلٗا
১২. আমি আল্লাহ দিন ও রাতকে আমার এককত্ব ও ক্ষমতা বুঝানোর আলামত স্বরূপ তৈরি করেছি। কারণ, সে দু’টিতে রয়েছে লম্বা, খাটো, গরম ও ঠাÐার ন্যায় ভিন্নতা। আমি রাতকে অন্ধকার করেছি ঘুম ও আরাম করার জন্য আর দিনকে আলোকোজ্জ্বল করেছি যাতে মানুষ সেখানে নিজের চোখে দেখে নিজেদের জীবিকা উপার্জনের চেষ্টা করতে পারে। তেমনিভাবে আশা করা যায় যে, তোমরা রাত ও দিনের পরিবর্তনের মাধ্যমে বছরের সংখ্যা এবং তোমাদের প্রয়োজনীয় মাস, দিন ও ঘন্টার সময়ের হিসাব জানতে পারবে। বস্তুতঃ আমি সবকিছুকেই সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি যেন সবকিছু পৃথকভাবে সবার সামনে চিহ্নিত হয় এবং সত্যও বাতিল থেকে সুস্পষ্ট হয়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَكُلَّ إِنسَٰنٍ أَلۡزَمۡنَٰهُ طَٰٓئِرَهُۥ فِي عُنُقِهِۦۖ وَنُخۡرِجُ لَهُۥ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ كِتَٰبٗا يَلۡقَىٰهُ مَنشُورًا
১৩. আমি প্রত্যেক মানুষের অর্জিত আমলকে তার সাথে দৃঢ়ভাবে লাগিয়ে দিয়েছি যেমনিভাবে মহিলাদের গলার হার তাদের গলার সাথেই সর্বদা লেগে থাকে। হিসাব করা পর্যন্ত যা তাদের গলা থেকে পৃথক হবে না। আমি তার জন্য কিয়ামতের দিন এমন এক বালাম বের করবো যাতে তার ভালো-মন্দ সকল আমলই থাকবে। যা সে তার সামনে খোলা ও বিস্তারিত আকারে পাবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
ٱقۡرَأۡ كِتَٰبَكَ كَفَىٰ بِنَفۡسِكَ ٱلۡيَوۡمَ عَلَيۡكَ حَسِيبٗا
১৪. সে দিন আমি তাকে বলবো: হে মানুষ! তুমি নিজ বালামটি পড়ো এবং তুমি নিজ আমলগুলোর হিসাব নিজেই করো। কিয়ামতের দিবসে নিজ হিসেবের জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
مَّنِ ٱهۡتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهۡتَدِي لِنَفۡسِهِۦۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيۡهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٞ وِزۡرَ أُخۡرَىٰۗ وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبۡعَثَ رَسُولٗا
১৫. বস্তুতঃ যে ব্যক্তি ঈমানের দিশা পেলো তার হিদায়েতের প্রতিদান সে নিজেই পাবে আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হলো তার ভ্রষ্টতার শাস্তি সে নিজেই ভোগ করবে। বস্তুতঃ কোন ব্যক্তি অন্য কারো গুনাহের বোঝা বহন করবে না। আর আমি কোন জাতিকে শাস্তি দেই না যতক্ষণ না রাসূলগণকে পাঠিয়ে তাদের উপর আমার প্রমাণাদি উপস্থাপন করি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِذَآ أَرَدۡنَآ أَن نُّهۡلِكَ قَرۡيَةً أَمَرۡنَا مُتۡرَفِيهَا فَفَسَقُواْ فِيهَا فَحَقَّ عَلَيۡهَا ٱلۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنَٰهَا تَدۡمِيرٗا
১৬. যখন আমি কোন এলাকাকে তার অধিবাসীদের যুলুমের দরুন ধ্বংস করতে চাই তখন আমি আমার নিয়ামতপ্রাপ্ত অহঙ্কারীদেরকে আনুগত্যের আদেশ করি। তখন তারা আমার আদেশ না মেনে বরং আমার আনুগত্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমার অবাধ্য হয়ে যায়। তখন তারা আমার নির্মূলকারী শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। ফলে আমি তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেই।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَكَمۡ أَهۡلَكۡنَا مِنَ ٱلۡقُرُونِ مِنۢ بَعۡدِ نُوحٖۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ بِذُنُوبِ عِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا
১৭. নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর মৃত্যুর পর আমি অনেক মিথ্যারোপকারী জাতিকেই ধ্বংস করে দিয়েছি! যেমন: আদ ও সামূদ জাতিদ্বয়। হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক নিজ বান্দাদের গুনাহসমূহ দেখা ও জানার ব্যাপারে একাই যথেষ্ট। তাঁর নিকট সেগুলোর কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি অচিরেই তাদেরকে সেগুলোর প্রতিদান দিবেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• من اهتدى بهدي القرآن كان أكمل الناس وأقومهم وأهداهم في جميع أموره.
ক. যে ব্যক্তি কুর‘আনের হিদায়েত গ্রহণ করবে সে তার সকল ব্যাপারে একজন হিদায়েতপ্রাপ্ত, সঠিক ও পরিপূর্ণ ব্যক্তি।

• التحذير من الدعوة على النفس والأولاد بالشر.
খ. নিজের ও সন্তানের বিপক্ষে অকল্যাণের বদদু‘আ করার ব্যাপারে সতর্কীকরণ।

• اختلاف الليل والنهار بالزيادة والنقص وتعاقبهما، وضوء النهار وظلمة الليل، كل ذلك دليل على وحدانية الله ووجوده وكمال علمه وقدرته.
গ. কমবেশির দিক দিয়ে রাত ও দিনের পরিবর্তন এবং তাদের পরম্পর আগমন উপরন্তু দিনের আলো ও রাতের অন্ধকার এসবই আল্লাহর এককত্ব, অস্তিত্ব এবং তাঁর পরিপূর্ণ জ্ঞান ও ক্ষমতার প্রমাণ।

• تقرر الآيات مبدأ المسؤولية الشخصية، عدلًا من الله ورحمة بعباده.
ঘ. উক্ত আয়াতসমূহ ব্যক্তিগত দায়িত্বের সূত্রটি বর্ণনা করে। যা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দার প্রতি ইনসাফ ও রহমতই বটে।

مَّن كَانَ يُرِيدُ ٱلۡعَاجِلَةَ عَجَّلۡنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلۡنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصۡلَىٰهَا مَذۡمُومٗا مَّدۡحُورٗا
১৮. যে ব্যক্তি কল্যাণকর কর্মসমূহের মাধ্যমে দুনিয়ার জীবনের আশা করে কিন্তু পরকালে বিশ্বাস করে না এমনকি তার প্রতি কোন গুরুত্বও দেয় না আমি তাকে যে নিয়ামত দিতে চাইবো তা দ্রæত দিয়ে দেবো; তবে সে যা চাইবে তা নয়। অতঃপর আমি তার জন্য জাহান্নাম তৈরি রাখবো যাতে সে কিয়ামতের দিন প্রবেশ করবে। বস্তুতঃ আখিরাতের সাথে কুফরি করে দুনিয়াকে চয়ন করার জন্য তাকে অবশ্যই নিন্দিত এবং আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত হয়ে জাহান্নামের উত্তাপ সহ্য করতে হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَمَنۡ أَرَادَ ٱلۡأٓخِرَةَ وَسَعَىٰ لَهَا سَعۡيَهَا وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ كَانَ سَعۡيُهُم مَّشۡكُورٗا
১৯. আর যে ব্যক্তি কল্যাণকর কর্মসমূহের মাধ্যমে আখিরাতের সাওয়াবের আশা করে, কাউকে দেখানো ও শুনানোর ইচ্ছা ছাড়া সেগুলোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় এবং আল্লাহ তা‘আলা তার উপর যা বিশ্বাস করা ওয়াজিব করেছেন তার উপর বিশ্বাস রাখে আল্লাহর নিকট এ জাতীয় বৈশিষ্ট্যাবলীর অধিকারীদের প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য হবে এবং তিনি তাদেরকে এর উত্তম প্রতিদান দিবেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
كُلّٗا نُّمِدُّ هَٰٓؤُلَآءِ وَهَٰٓؤُلَآءِ مِنۡ عَطَآءِ رَبِّكَۚ وَمَا كَانَ عَطَآءُ رَبِّكَ مَحۡظُورًا
২০. হে রাসূল! আমি এ দু’ পক্ষ তথা নেককার ও বদকারের প্রত্যেককে এ জীবনে আপনার প্রতিপালকের দান অবারিত করে আরো বাড়িয়ে দেবো। বস্তুতঃ আপনার প্রতিপালকের দান দুনিয়াতে কারো ব্যাপারেই নিষিদ্ধ নয়। চাই সে নেককার হোক অথবা বদকার।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
ٱنظُرۡ كَيۡفَ فَضَّلۡنَا بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ وَلَلۡأٓخِرَةُ أَكۡبَرُ دَرَجَٰتٖ وَأَكۡبَرُ تَفۡضِيلٗا
২১. হে রাসূল! আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন, আমি কীভাবে দুনিয়াতে তাদের কাউকে রিযিক ও মর্যাদার দিক দিয়ে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। বস্তুতঃ দুনিয়ার নিয়ামতের তুলনায় আখিরাতের নিয়ামতে বড় ফারাক ও মহা শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। একজন মু’মিনকে সে ব্যাপারেই একান্ত আগ্রহী হতে হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
لَّا تَجۡعَلۡ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَقۡعُدَ مَذۡمُومٗا مَّخۡذُولٗا
২২. হে বান্দা! তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদের উপাসনা করো না। ফলে তুমি আল্লাহ ও তাঁর নেককার বান্দাদের নিকট নিন্দিত হবে। কেউ তোমার প্রশংসাকারী হবে না। তুমি লাঞ্ছিত হবে। কেউ তোমার সাহায্যকারী থাকবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
۞ وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا
২৩. হে বান্দা! তোমার প্রতিপালক তোমাকে আদেশ দিচ্ছেন এবং তোমার জন্য বাধ্যতামূলক করছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করা যাবে না। বিশেষ করে মাতা-পিতা যখন বার্ধক্যে পৌঁছাবে তখন তিনি তাদের প্রতি দয়া করার আদেশ করেছেন। যদি মাতা-পিতার কেউ অথবা তাদের উভয়ই তোমার নিকট বার্ধক্যে পৌঁছে যায় তখন তুমি উহ! বলে তাদের প্রতি কোন ধরনের বিরক্তি প্রকাশ করবে না। উপরন্তু তাদেরকে ধমক দিবে না এবং তাদের সাথে কঠিন কথা বলবে না। বরং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলবে যাতে ন¤্রতা ও মাধুর্যতা রয়েছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا
২৪. তাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তাদের সামনে নতজানু হও এবং তাদের জন্য এ বলে দু‘আ করো: হে আমার প্রতিপালক! শৈশবে আমাকে লালন-পালনের জন্য আপনি তাদের প্রতি দয়া করুন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
رَّبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمۡۚ إِن تَكُونُواْ صَٰلِحِينَ فَإِنَّهُۥ كَانَ لِلۡأَوَّٰبِينَ غَفُورٗا
২৫. হে মানুষ! ইবাদাত ও নেক কর্মসমূহে বিশেষ করে মাতা-পিতার সাথে সদাচরণের ক্ষেত্রে তোমাদের অন্তরের ভেতরকার নিয়ত ও নিষ্ঠার কথা তোমাদের প্রতিপালক অবশ্যই জানেন। যদি তোমাদের ইবাদাত, মাতা-পিতার সাথে আচরণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে তোমাদের নিয়্যাতগুলো সঠিক হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা ওইসব লোকদের প্রতি ক্ষমাশীল যারা তাওবা করে তাঁর দিকে ফিরে আসে। ফলে যে ব্যক্তি তার প্রতিপালক ও নিজ মাতা-পিতার আনুগত্যের ক্ষেত্রে পূর্ব ত্রæটি থেকে তাওবা করে ফিরে আসবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَءَاتِ ذَا ٱلۡقُرۡبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلۡمِسۡكِينَ وَٱبۡنَ ٱلسَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرۡ تَبۡذِيرًا
২৬. হে মু’মিন! তুমি নিকটাত্মীয়কে তার আত্মীয়তার বন্ধনের অধিকার দিয়ে দাও। তেমনিভাবে মুখাপেক্ষী ফকিরকে এবং সফরে আটকে পড়া লোককেও তার অধিকার দিয়ে দাও। আর তুমি নিজ সম্পদকে কখনো গুনাহের কাজে ব্যয় কিংবা অপচয় করো না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
إِنَّ ٱلۡمُبَذِّرِينَ كَانُوٓاْ إِخۡوَٰنَ ٱلشَّيَٰطِينِۖ وَكَانَ ٱلشَّيۡطَٰنُ لِرَبِّهِۦ كَفُورٗا
২৭. নিশ্চয়ই গুনাহের কাজে নিজেদের সম্পদ ব্যয়কারী ও অপচয়কারীরা শয়তানদের ভাই। কারণ, তারা অপচয় ও অপব্যয়ের ক্ষেত্রে শয়তানদের আদেশেরই অনুসরণ করে। আর শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ। তাই সে গুনাহ ছাড়া আর কিছুই করে না এবং নিজ প্রতিপালকের অসন্তুষ্টি হয় এমন বিষয় ছাড়া আর কিছুরই আদেশ করে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• ينبغي للإنسان أن يفعل ما يقدر عليه من الخير وينوي فعل ما لم يقدر عليه؛ ليُثاب على ذلك.
ক. মানুষের উচিত তার সাধ্য মাফিক কল্যাণের কাজ করা এবং যা সে পারছে না তা করার নিয়্যাত করা যাতে সে তার সাওয়াবও পেয়ে যায়।

• أن النعم في الدنيا لا ينبغي أن يُسْتَدل بها على رضا الله تعالى؛ لأنها قد تحصل لغير المؤمن، وتكون عاقبته المصير إلى عذاب الله.
খ. দুনিয়ার নিয়ামতপ্রাপ্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ নয়। কারণ, কখনো কখনো দুনিয়া হাসিল হলেও এর পরিণাম হয় আল্লাহর শাস্তি।

• الإحسان إلى الوالدين فرض لازم واجب، وقد قرن الله شكرهما بشكره لعظيم فضلهما.
গ. মাতা-পিতার প্রতি দয়া করা ফরয ও বাধ্যতামূলক। তাদের মহা অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আল্লাহ তা‘আলা নিজ কৃতজ্ঞার পাশাপাশি তাদের কৃতজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন।

• يحرّم الإسلام التبذير، والتبذير إنفاق المال في غير حقه.
ঘ. ইসলাম অপচয়কে হারাম করেছে। আর অপচয় হলো অপ্রয়োজনীয় খরচ করা।

وَإِمَّا تُعۡرِضَنَّ عَنۡهُمُ ٱبۡتِغَآءَ رَحۡمَةٖ مِّن رَّبِّكَ تَرۡجُوهَا فَقُل لَّهُمۡ قَوۡلٗا مَّيۡسُورٗا
২৮. আল্লাহর কাছ থেকে রিযিকের কোন পথ খোলার অপেক্ষায় এবং বর্তমানে তাদেরকে দেয়ার মতো কোন কিছু না থাকায় তুমি যদি তাদেরকে কোন কিছু দিতে অক্ষম হও তাহলে তাদের সাথে সহজ ও নরম ভাষায় কথা বলো। যেমন: তাদের জন্য রিযিক প্রশস্তির দু‘আ করো অথবা আল্লাহ তোমাকে কোন সম্পদ দিলে তাদেরকে দেয়ার ওয়াদা করো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَجۡعَلۡ يَدَكَ مَغۡلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبۡسُطۡهَا كُلَّ ٱلۡبَسۡطِ فَتَقۡعُدَ مَلُومٗا مَّحۡسُورًا
২৯. তুমি নিজ হাতকে ব্যয় করার ব্যাপারে আটকে রেখো না এবং খরচ করতে গিয়ে অপচয় করো না। অন্যথায় তুমি তিরস্কৃত হবে। খরচের ক্ষেত্রে হাতকে আটকে রাখার দরুন কৃপণতার জন্য মানুষ তোমাকে তিরস্কার করবে। উপরন্তু অপচয়ের দরুন খরচ করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে। কারণ, তুমি প্রয়োজনে খরচ করার মতো কিছুই পাবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
إِنَّ رَبَّكَ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقۡدِرُۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا
৩০. নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যার ব্যাপারে চান তার রিযিক প্রশস্ত করেন আর যার ব্যাপারে চান তার রিযিক সঙ্কীর্ণ করেন। তবে তা হয়ে থাকে তাঁর এক নিপুণ কৌশলের ভিত্তিতেই। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিফহাল ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর নিকট তাদের কোন কিছুই গোপন নয়। সুতরাং তিনি তাদের ব্যাপারে যা চান তাই সিদ্ধান্ত দেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُمۡ خَشۡيَةَ إِمۡلَٰقٖۖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُهُمۡ وَإِيَّاكُمۡۚ إِنَّ قَتۡلَهُمۡ كَانَ خِطۡـٔٗا كَبِيرٗا
৩১. তোমরা সন্তানদের জন্য খরচ করতে গেলে ভবিষ্যতে গরিব হয়ে যাবে এ ভয়ে তাদেরকে হত্যা করো না। আমি তাদের ও তোমাদের রিযিকের দায়িত্বভার গ্রহণ করছি। নিশ্চয়ই তাদেরকে হত্যা করা মহা পাপ। কারণ, তাদের কোন অপরাধ নেই, যার দরুন তাদেরকে হত্যা করা আবশ্যক।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا
৩২. তোমরা ব্যভিচারের ব্যাপারে সতর্ক হও এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে এমন কাজ থেকেও দূরে থাকো। কারণ, সেটি একটি অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ এবং তা আল্লাহর শাস্তি পাওয়া ও মানুষের বংশ পরিচয় মিশিয়ে ফেলার একটি নিকৃষ্ট পথও বটে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَقۡتُلُواْ ٱلنَّفۡسَ ٱلَّتِي حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلۡحَقِّۗ وَمَن قُتِلَ مَظۡلُومٗا فَقَدۡ جَعَلۡنَا لِوَلِيِّهِۦ سُلۡطَٰنٗا فَلَا يُسۡرِف فِّي ٱلۡقَتۡلِۖ إِنَّهُۥ كَانَ مَنصُورٗا
৩৩. আল্লাহ তা‘আলা ঈমান ও নিরাপত্তার দরুন যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে তোমরা হত্যা করো না। তবে যদি সে মুরতাদ হওয়া, বিবাহোত্তর ব্যভিচার করা কিংবা কিসাসের দরুন হত্যার উপযুক্ত হয় তাহলে ভিন্ন কথা। কাউকে যদি হত্যার উপযুক্ত হওয়ার কোন কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয় তাহলে আমি তার উত্তরাধিকারী প্রতিনিধিকে তার হত্যাকারী থেকে হত্যার বদলা নেয়ার অদিকার দিয়েছি। সে ইচ্ছে করলে বদলা হিসেবে হত্যাকারীর হত্যা চাইতে পারে এবং কোন বিনিময় ছাড়া তাকে ক্ষমাও করতে পারে। উপরন্তু মুক্তিপণ নিয়েও তাকে ক্ষমা করতে পারে। তাই সে যেন তার জন্য আল্লাহর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম না করে। যথা: সে যেন হত্যাকারীর অঙ্গে বিকৃতি না ঘটায় অথবা যা দিয়ে সে হত্যা করেছিলো তা ব্যতিরেকে অন্য কিছু দিয়ে তাকে হত্যা না করে কিংবা হত্যাকারী ছাড়া অন্যকে হত্যা না করে। কারণ, সে তো একজন সাহয্য ও সহযোগিতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَقۡرَبُواْ مَالَ ٱلۡيَتِيمِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ أَشُدَّهُۥۚ وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسۡـُٔولٗا
৩৪. তোমরা পিতৃহীন এতীম বাচ্চার সম্পদে তা বাড়ানো কিংবা তা রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন ধরনের তসরুফ করো না যতক্ষণ না সে পরিপূর্ণ জ্ঞান ও বুদ্ধির পর্যায়ে পৌঁছে। আর তোমরা নিজেদের ও আল্লাহর মধ্যকার এবং নিজেদের ও তাঁর অন্যান্য বান্দাদের মধ্যকার অঙ্গীকার পরিপূর্ণরূপে আদায় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা অঙ্গীকারকারীকে কিয়ামতের দিন প্রশ্ন করবেন, সে তার অঙ্গীকার পুরো করেছে কি না? ঐদি করে থাকে তাহলে তাকে সাওয়াব দেয়া হবে, আর যদি না করে থাকে তাহলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَأَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ إِذَا كِلۡتُمۡ وَزِنُواْ بِٱلۡقِسۡطَاسِ ٱلۡمُسۡتَقِيمِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلٗا
৩৫. অন্যের জন্য মাপার সময় তোমরা তা পরিপূর্ণরূপে মেপে দাও; তাকে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করো না। আর তোমরা সঠিক দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ওজন করো যাতে কোন ধরনের ঘাটতি ও কমতি নেই। এ মাপ ও ওজনে পরিপূর্ণরূপে দেয়া দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর। উপরন্তু পরিণামের দিক দিয়েও তা অতি উৎকৃষ্ট।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَقۡفُ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡبَصَرَ وَٱلۡفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَٰٓئِكَ كَانَ عَنۡهُ مَسۡـُٔولٗا
৩৬. হে আদম সন্তান! যে ব্যাপারে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেটির তুমি অনুসরণ করো না। অন্যথায় তুমি অনুমান ও ধারণারই অনুসরণ করে বসবে। নিশ্চয়ই মানুষ জিজ্ঞাসিত হবে তার কান, চোখ ও অন্তরের ব্যবহার সম্পর্কে। সে এগুলোকে ভালো কাজে ব্যবহার করলে তার সাওয়াব পাবে। আর খারাপ কাজে ব্যবহার করলে তার শাস্তি পাবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَا تَمۡشِ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَرَحًاۖ إِنَّكَ لَن تَخۡرِقَ ٱلۡأَرۡضَ وَلَن تَبۡلُغَ ٱلۡجِبَالَ طُولٗا
৩৭. আর তুমি জমিনে অহঙ্কার ও দম্ভভরে চলাফেরা করো না। তুমি অহঙ্কারবশে জমিনে চলে সেটিকে বিদীর্ণ করতে পারবে না। লম্বা ও উচ্চতার দিক দিয়ে পাহাড়গুলো যেখানে পৌঁছেছে তুমি নিজ অবয়বের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছাতে পারবে না। তাহলে কিসের জন্য তোমার এ অহঙ্কার?!
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
كُلُّ ذَٰلِكَ كَانَ سَيِّئُهُۥ عِندَ رَبِّكَ مَكۡرُوهٗا
৩৮. হে মানুষ! উক্ত ব্যাপারগুলো সবই তোমার প্রতিপালকের নিকট নিকৃষ্ট এবং নিষিদ্ধ। তাতে লিপ্ত ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা‘আলা কখনো সন্তুষ্ট হবেন না। বরং তিনি তাকে নিজ শত্রæ বলেই ভাববেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• الأدب الرفيع هو رد ذوي القربى بلطف، ووعدهم وعدًا جميلًا بالصلة عند اليسر، والاعتذار إليهم بما هو مقبول.
ক. উন্নত শিষ্টাচার হলো নিজ নিকটাত্মীয়দের সাথে বিন¤্র আচরণ করা এবং সচ্ছলতার সময় তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার সুন্দর ওয়াদা করা। উপরন্তু তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য ওজর পেশ করা।

• الله أرحم بالأولاد من والديهم؛ فنهى الوالدين أن يقتلوا أولادهم خوفًا من الفقر والإملاق وتكفل برزق الجميع.
খ. আল্লাহ তা‘আলা সন্তানদের প্রতি তাদের মাতা-পিতার চেয়েও বেশি দয়াবান। তাই তিনি মাতা-পিতাকে অভাব ও দারিদ্র্যের ভয়ে নিজ সন্তানদেরকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি তিনি সবার রিযিকের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন।

• في الآيات دليل على أن الحق في القتل للولي، فلا يُقْتَص إلا بإذنه، وإن عفا سقط القصاص.
গ. আয়াতগুলোতে এ প্রমাণ রয়েছে যে, হত্যার অধিকার কেবল উত্তরাধিকারীরই। তাই তার অনুমতি ছাড়া বদলা গ্রহণ করা যাবে না। যদি সে ক্ষমা করে দেয় তাহলে উক্ত বদলাই বাতিল হয়ে যাবে।

• من لطف الله ورحمته باليتيم أن أمر أولياءه بحفظه وحفظ ماله وإصلاحه وتنميته حتى يبلغ أشده.
ঘ. এতীমের প্রতি আল্লাহর দয়া ও রহমতের একটি নমুনা হলো এই যে, তিনি তার অভিভাবকদেরকে তাকে ও তার সম্পদকে হিফাযত করা এবং সেটিকে বাড়ানো ও তার ঘাটতি পূরণের আদেশ করেছেন যতক্ষণ না সে বুদ্ধিসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক হয়।

ذَٰلِكَ مِمَّآ أَوۡحَىٰٓ إِلَيۡكَ رَبُّكَ مِنَ ٱلۡحِكۡمَةِۗ وَلَا تَجۡعَلۡ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتُلۡقَىٰ فِي جَهَنَّمَ مَلُومٗا مَّدۡحُورًا
৩৯. যে আদেশ, নিষেধ ও বিধানাবলী সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা আপনার প্রতিপালকই আপনার নিকট ওহী করেছেন। আর হে মানুষ! তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ গ্রহণ করো না। ফলে তুমি তিরস্কৃত ও সকল কল্যাণ থেকে বিতাড়িত হয়ে কিয়ামতের দিন জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। তোমার অন্তরই তোমাকে তিরস্কার করবে এবং অন্য মানুষও।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَفَأَصۡفَىٰكُمۡ رَبُّكُم بِٱلۡبَنِينَ وَٱتَّخَذَ مِنَ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ إِنَٰثًاۚ إِنَّكُمۡ لَتَقُولُونَ قَوۡلًا عَظِيمٗا
৪০. ওহে মুশরিকরা! যারা দাবি করছো যে, ফিরিশতাগণ আল্লাহর মেয়ে। তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদের জন্য ছেলে সন্তান নির্বাচন করেছেন আর নিজের জন্য ফিরিশতাগণকে মেয়ে বানিয়েছেন? আল্লাহ তা‘আলা তাদের দাবি থেকে পূত-পবিত্র। নিশ্চয়ই তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে খুবই নিকৃষ্ট কথা বলেছো। কারণ, তোমরা তাঁর সাথে সন্তানকে সম্পৃক্ত করেছো আর কুফরির গভীরে গিয়ে তাঁর ব্যাপারে এ ধারণাও করছো যে, তাঁর কন্যা সন্তান রয়েছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَقَدۡ صَرَّفۡنَا فِي هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لِيَذَّكَّرُواْ وَمَا يَزِيدُهُمۡ إِلَّا نُفُورٗا
৪১. আমি এ কুর‘আনে সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন ধরনের বিধান, উপদেশ ও দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছি যাতে মানুষ সেগুলো দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করে নিজেদের জন্য যা লাভজনক সে পথে চলতে ও ক্ষতিকর পথ পরিত্যাগ করতে পারে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হলো এই যে, যাদের মূল মানবপ্রকৃতি নষ্ট হয়ে গেছে তারা সেটিকে অপছন্দ করছে এবং সত্য থেকে আরো বহু দূরে সরে যাচ্ছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُل لَّوۡ كَانَ مَعَهُۥٓ ءَالِهَةٞ كَمَا يَقُولُونَ إِذٗا لَّٱبۡتَغَوۡاْ إِلَىٰ ذِي ٱلۡعَرۡشِ سَبِيلٗا
৪২. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: যদি আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদ থাকতো -যেমনিভাবে তারা তাঁর উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে- তাহলে সেই তথাকথিত মা’বূদগুলো আরশের মালিক আল্লাহর ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য যে কোন পথ বের করে সে ব্যাপারে তাঁর সাথে ঝগড়া করতো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوّٗا كَبِيرٗا
৪৩. মুশরিকরা যা দ্বারা আল্লাহকে বিশেষিত করছে তিনি তা থেকে সম্পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র এবং তারা তাঁর ব্যাপারে যা বলছে তা থেকেও তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
تُسَبِّحُ لَهُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ ٱلسَّبۡعُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهِنَّۚ وَإِن مِّن شَيۡءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمۡدِهِۦ وَلَٰكِن لَّا تَفۡقَهُونَ تَسۡبِيحَهُمۡۚ إِنَّهُۥ كَانَ حَلِيمًا غَفُورٗا
৪৪. আকাশ, জমিন ও সেগুলোর মাঝে যে সৃষ্টিরাজি রয়েছে তারা সবাই আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। এমনকি দুনিয়ার সবকিছুই তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে। তবে তোমরা তাদের পবিত্রতা বর্ণনার ধরন সম্পর্কে কিছুই বুঝো না। তোমরা শুধু নিজেদের ভাষায় পবিত্রতা বর্ণনার ধরন বুঝো। বস্তুতঃ তিনি পরম ধৈর্যশীল। তিনি দ্রæত কাউকে শাস্তি দেন না এবং তাওবাকারীদের প্রতি তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِذَا قَرَأۡتَ ٱلۡقُرۡءَانَ جَعَلۡنَا بَيۡنَكَ وَبَيۡنَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ حِجَابٗا مَّسۡتُورٗا
৪৫. হে রাসূল! আপনি যখন কুর‘আন পড়েন এবং তারা তাতে থাকা উপদেশ ও ধমকের বাণী শুনতে পায় তখন আমি আপনার ও তাদের -কিয়ামতের দিবসে অবিশ্বাসীদের- মাঝে একটি গোপন পর্দা টেনে দেই যাতে তারা কুর‘আন বুঝতে না পারে। মূলতঃ তা তাদের সত্যবিমুখতার শাস্তিস্বরূপ।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَجَعَلۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ أَكِنَّةً أَن يَفۡقَهُوهُ وَفِيٓ ءَاذَانِهِمۡ وَقۡرٗاۚ وَإِذَا ذَكَرۡتَ رَبَّكَ فِي ٱلۡقُرۡءَانِ وَحۡدَهُۥ وَلَّوۡاْ عَلَىٰٓ أَدۡبَٰرِهِمۡ نُفُورٗا
৪৬. আর তাদের অন্তরের উপর এক আবরণ দিয়ে দেই যাতে তারা কুর‘আন বুঝতে না পারে। উপরন্তু তাদের কানগুলোকে ভারী করে দেই যাতে তারা লাভজনক কোন কিছু শুনতে না পায়। আর আপনি যখন কুর‘আনে এককভাবে আপনার প্রতিপালকের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের তথাকথিত মা’বূদগুলোর কথা উল্লেখ করেন না তখন তারা আল্লাহর জন্য নির্ভেজাল তাওহীদ সাব্যস্ত না করে বরং পশ্চাতে ফিরে যায়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
نَّحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَا يَسۡتَمِعُونَ بِهِۦٓ إِذۡ يَسۡتَمِعُونَ إِلَيۡكَ وَإِذۡ هُمۡ نَجۡوَىٰٓ إِذۡ يَقُولُ ٱلظَّٰلِمُونَ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلٗا مَّسۡحُورًا
৪৭. আমি জানি তাদের নেতৃস্থানীয়দের কুর‘আন শুনার পদ্ধতি। তারা মূলতঃ তা কর্তৃক হিদায়েত পেতে চায় না। বরং তারা আপনার পড়ার সময় অযথা কর্ম ও অবহেলা দেখাতে চায়। আমি জানি তারা তার প্রতি মিথ্যারোপ ও তা থেকে মানুষকে দূরে সরানোর সলা-পরামর্শ করে। যখন এ যালিম কাফিররা বলে: হে মানুষ! তোমরা এ পাগল যাদুগ্রস্ত ব্যক্তির অনুসরণ করো না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
ٱنظُرۡ كَيۡفَ ضَرَبُواْ لَكَ ٱلۡأَمۡثَالَ فَضَلُّواْ فَلَا يَسۡتَطِيعُونَ سَبِيلٗا
৪৮. হে রাসূল! আপনি একটু চিন্তা করলে সেই বিভিন্ন ধরনের নিন্দিত বিশেষণগুলো শুনে আশ্চর্য হবেন যেগুলো দ্বারা তারা আপনাকে বিশেষায়িত করছে। তারা মূলতঃ সত্যভ্রষ্ট হয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে। তাই তারা সত্য পথের দিশা পাচ্ছে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقَالُوٓاْ أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا وَرُفَٰتًا أَءِنَّا لَمَبۡعُوثُونَ خَلۡقٗا جَدِيدٗا
৪৯. মুশরিকরা পুনরুত্থানকে অস্বীকার করে বলে: আমরা যখন মরে হাড্ডিসার হয়ে যাবো এবং আমাদের শরীরগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তখনো কি আমরা নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরোত্থিত হবো? এটি আসলেই অসম্ভব।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• الزعم بأن الملائكة بنات الله افتراء كبير، وقول عظيم الإثم عند الله عز وجل.
ক. ফিরিশতাগণ আল্লাহর মেয়ে বলে ধারণা করা সত্যিই একটি মারাত্মক অপবাদ। উপরন্তু তা আল্লাহর নিকট ক্ষমার অযোগ্য এক মহাপাপ।

• أكثر الناس لا تزيدهم آيات الله إلا نفورًا؛ لبغضهم للحق ومحبتهم ما كانوا عليه من الباطل.
খ. আল্লাহর আয়াতসমূহ অধিকাংশ মানুষকে আরো বেশি পলায়নপর করে। কারণ, তারা সত্যকে ঘৃণা করে এবং তাদের পুরনো বাতুলতাকেই পছন্দ করে।

• ما من مخلوق في السماوات والأرض إلا يسبح بحمد الله تعالى فينبغي للعبد ألا تسبقه المخلوقات بالتسبيح.
গ. আকাশ ও জমিনের সকল সৃষ্টি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে। তাই একজন বান্দার উচিত অন্যান্য সৃষ্টি যেন পবিত্রতা বর্ণনার ক্ষেত্রে তার থেকে অগ্রগামী না হয়ে যায়।

• من حلم الله على عباده أنه لا يعاجلهم بالعقوبة على غفلتهم وسوء صنيعهم، فرحمته سبقت غضبه.
ঘ. বান্দাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ধৈর্যের একটি নমুনা এই যে, তিনি তাদের গাফিলতি ও অপকর্মের জন্য তাদেরকে দ্রæত শাস্তি দেন না। মূলতঃ তাঁর রহমত তাঁর গযবের চেয়ে অনেক অগ্রসর।

۞ قُلۡ كُونُواْ حِجَارَةً أَوۡ حَدِيدًا
৫০. আপনি তাদেরকে বলে দিন: হে মুশরিকরা! তোমরা সম্ভব হলে কঠিন পাথর বা শক্ত লোহা হয়ে যাও। কিন্তু তোমরা কখনো তা হতে পারবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَوۡ خَلۡقٗا مِّمَّا يَكۡبُرُ فِي صُدُورِكُمۡۚ فَسَيَقُولُونَ مَن يُعِيدُنَاۖ قُلِ ٱلَّذِي فَطَرَكُمۡ أَوَّلَ مَرَّةٖۚ فَسَيُنۡغِضُونَ إِلَيۡكَ رُءُوسَهُمۡ وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هُوَۖ قُلۡ عَسَىٰٓ أَن يَكُونَ قَرِيبٗا
৫১. অথবা তোমাদের ধারণায় যা আরো কঠিন তেমন কোন সৃষ্টিই বনে যাও। তবুও আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে দ্বিতীয়বার উঠাবেন যেমনিভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদেরকে জীবিত করবেন যেমনিভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার জীবন দান করেছেন। তখন অচিরেই এ হঠকারীরা বলবে: কে আমাদেরকে মৃত্যুর পর আবারো জীবিত করবেন? আপনি তাদেরকে বলুন: তিনিই তোমাদেরকে দ্বিতীয়বার উঠাবেন যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার পূর্বের কোন নমুনা ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন। তখন তারা অচিরেই আপনার উত্তর শুনে ঠাট্টাবশত নিজেদের মাথা নেড়ে তা করা অসম্ভব ভেবে বলবে: এ পুনরুত্থান কখন হবে?! আপনি তাদেরকে বলুন: তা অতি সন্নিকটে। কারণ, প্রত্যেক আগন্তুই মূলতঃ নিকটবর্তী।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
يَوۡمَ يَدۡعُوكُمۡ فَتَسۡتَجِيبُونَ بِحَمۡدِهِۦ وَتَظُنُّونَ إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا قَلِيلٗا
৫২. আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের পুনরুত্থান করবেন যেদিন তিনি তোমাদেরকে হাশরের মাঠের দিকে ডাকবেন। তখন তোমরা তাঁর আদেশ মেনে এবং তাঁর প্রশংসা করতে করতে তাঁর ডাকে সাড়া দিবে। আর তোমরা মনে করবে যে, তোমরা দুনিয়াতে খুব অল্প সময়ই অবস্থান করেছো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقُل لِّعِبَادِي يَقُولُواْ ٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ ٱلشَّيۡطَٰنَ يَنزَغُ بَيۡنَهُمۡۚ إِنَّ ٱلشَّيۡطَٰنَ كَانَ لِلۡإِنسَٰنِ عَدُوّٗا مُّبِينٗا
৫৩. হে রাসূল! আপনি আমার প্রতি বিশ্বাসী বান্দাদেরকে বলুন: তারা যেন পরস্পর আলোচনার সময় ভালো কথা বলে এবং ঘৃণা সৃষ্টিকারী খারাপ কথা থেকে দূরে থাকে। কারণ, শয়তান এগুলোকে কাজে লাগিয়ে তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালাবে। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রæ। তাই তার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
رَّبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِكُمۡۖ إِن يَشَأۡ يَرۡحَمۡكُمۡ أَوۡ إِن يَشَأۡ يُعَذِّبۡكُمۡۚ وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ وَكِيلٗا
৫৪. হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের সম্পর্কে ভালোই জানেন। তোমাদের কোন কিছুই তাঁর নিকট গোপন নয়। তিনি চাইলে তোমাদের প্রতি দয়া করবেন তথা তোমাদেরকে ঈমান ও নেক আমলের তাওফীক দিবেন। তিনি চাইলে তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন তথা তোমাদের ঈমান আনার ব্যাপারে তিনি সহযোগিতা করবেন না এবং তোমাদেরকে কুফরির উপর মৃত্যু দিবেন। হে রাসূল! আমি আপনাকে তাদের দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি যে, আপনি তাদেরকে ঈমান আনতে বাধ্য করবেন, না তাদেরকে কুফরি করতে বাধা দিবেন, আর না তাদের কর্মকাÐের হিসাব রাখবেন। বরং আপনি কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে তাই প্রচার করবেন যা প্রচার করতে তিনি আপনাকে আদেশ করেছেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَرَبُّكَ أَعۡلَمُ بِمَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ وَلَقَدۡ فَضَّلۡنَا بَعۡضَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ عَلَىٰ بَعۡضٖۖ وَءَاتَيۡنَا دَاوُۥدَ زَبُورٗا
৫৫. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক আকাশ ও জমিনের সবকিছু সম্পর্কেই ভালো জানেন। তেমনিভাবে তিনি তাদের অবস্থা এবং তারা কিসের উপযুক্ত তাও ভালো করে জানেন। নিশ্চয়ই আমি কিছু নবীকে বেশি অনুসারী এবং তাঁদের উপর কিতাব নাযিলের মাধ্যমে তাঁদেরকে অন্যদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। আর দাঊদকে দিয়েছি যাবূর নামক কিতাব।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُلِ ٱدۡعُواْ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُم مِّن دُونِهِۦ فَلَا يَمۡلِكُونَ كَشۡفَ ٱلضُّرِّ عَنكُمۡ وَلَا تَحۡوِيلًا
৫৬. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন, তোমরা যাদেরকে আল্লাহ ছাড়া মা’বূদ মনে করছো যখন তোমাদের উপর কোন বিপদ নেমে আসে তখন তোমরা তাদেরকেই ডাকো। কিন্তু তারা তোমাদের বিপদ প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে না। না তারা অক্ষমতার দরুন অন্যের দিকে সেটিকে স্থানান্তর করতে পারে। আর যে অক্ষম সে তো মা’বূদ হতে পারে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ وَيَرۡجُونَ رَحۡمَتَهُۥ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُۥٓۚ إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ كَانَ مَحۡذُورٗا
৫৭. তারা যে ফিরিশতা ও তাদের ন্যায় অন্য কাউকে ডাকে তারা তো নিজেরাই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারী নেক আমল অনুসন্ধান করে। তারা পরস্পর প্রতিযোগিতা করে কে আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নিকটবর্তী হতে পারে। উপরন্তু তারা তাঁর দয়া কামনা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় পায়। হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালকের শাস্তিকে অবশ্যই ভয় পাওয়া উচিত।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِن مِّن قَرۡيَةٍ إِلَّا نَحۡنُ مُهۡلِكُوهَا قَبۡلَ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ أَوۡ مُعَذِّبُوهَا عَذَابٗا شَدِيدٗاۚ كَانَ ذَٰلِكَ فِي ٱلۡكِتَٰبِ مَسۡطُورٗا
৫৮. কুফরির দরুন আমি দুনিয়ার জীবনেই প্রত্যেক শহর বা গ্রামের অধিবাসীদেরকে শাস্তি দিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দেবো অথবা তাদেরকে হত্যার ন্যায় কঠিন শাস্তির সম্মুখীন করবো। এ শাস্তি ও ধ্বংস মূলতঃ ইলাহী ফায়সালা যা লাওহে মাহফ‚যে লিখিত রয়েছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• القول الحسن داع لكل خلق جميل وعمل صالح، فإنَّ من ملك لسانه ملك جميع أمره.
ক. সুন্দর কথা সকল উত্তম চরিত্র ও নেক আমলের পথ প্রদর্শক। কারণ, যে নিজের জিহŸা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে সে বস্তুতঃ তার সকল ব্যাপারই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।

• فاضل الله بين الأنبياء بعضهم على بعض عن علم منه وحكمة.
খ. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে কিছু নবীকে অন্যান্য নবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।

• الله لا يريد بعباده إلا ما هو الخير، ولا يأمرهم إلا بما فيه مصلحتهم.
গ. আল্লাহ তা‘আলা কেবল তাঁর বান্দাদের কল্যাণেরই ইচ্ছা করেন এবং তিনি কেবল তাদেরকে সেই কর্মকাÐেরই আদেশ করেন যাতে তাদের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

• علامة محبة الله أن يجتهد العبد في كل عمل يقربه إلى الله، وينافس في قربه بإخلاص الأعمال كلها لله والنصح فيها.
ঘ. আল্লাহকে ভালোবাসার একটি বিশেষ আলামত হলো এই যে, বান্দা সর্বদা এমন সকল কাজ করারই প্রচেষ্টা চালাবে যা তাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করবে এবং সকল আমলকে আল্লাহর জন্য খাঁটি করে কেবল তাঁরই নৈকট্য অর্জনে প্রতিযোগিতা করবে।

وَمَا مَنَعَنَآ أَن نُّرۡسِلَ بِٱلۡأٓيَٰتِ إِلَّآ أَن كَذَّبَ بِهَا ٱلۡأَوَّلُونَۚ وَءَاتَيۡنَا ثَمُودَ ٱلنَّاقَةَ مُبۡصِرَةٗ فَظَلَمُواْ بِهَاۚ وَمَا نُرۡسِلُ بِٱلۡأٓيَٰتِ إِلَّا تَخۡوِيفٗا
৫৯. আমি মুশরিকদের চাহিদা মাফিক রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সত্যতা বুঝায় এমন সকল প্রকাশ্য আলামত যেমন: মৃতদেরকে জীবিত করা ইত্যাদি নাযিল করিনি। কারণ, আমি যখন এগুলো পূর্ববর্তী জাতিগুলোর উপর নাযিল করেছি তখন তারা এগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ইতিপূর্বে আমি সামূদ জাতিকে উটের ন্যায় একটি সুস্পষ্ট বড় আলামত দিলে তারা একে অস্বীকার করার পর আমি তাদেরকে দ্রæত আযাব দিয়েছি। বস্তুতঃ আমি রাসূলদের হাতে আয়াতগুলো পাঠাই তাদের জাতিগুলোকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তারা মুসলমান হয়ে যায়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِذۡ قُلۡنَا لَكَ إِنَّ رَبَّكَ أَحَاطَ بِٱلنَّاسِۚ وَمَا جَعَلۡنَا ٱلرُّءۡيَا ٱلَّتِيٓ أَرَيۡنَٰكَ إِلَّا فِتۡنَةٗ لِّلنَّاسِ وَٱلشَّجَرَةَ ٱلۡمَلۡعُونَةَ فِي ٱلۡقُرۡءَانِۚ وَنُخَوِّفُهُمۡ فَمَا يَزِيدُهُمۡ إِلَّا طُغۡيَٰنٗا كَبِيرٗا
৬০. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সে সময়ের কথা যখন আমি আপনাকে বললাম: নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক মানুষকে তাঁর শক্তি ও ক্ষমতা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। তাই তারা সবাই তাঁর কবজায়। যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে মানুষের হাত থেকে রক্ষা করবেন সেহেতু আপনাকে যা পৌঁছানোর আদেশ করা হয়েছে তা আপনি পৌঁছিয়ে দিন। ইসরা-মি’রাজের রাতে আমি আপনাকে যা প্রত্যক্ষ করিয়েছি তা কেবল মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য যে, তারা কি সেগুলোকে বিশ্বাস করে, না মিথ্যা প্রতিপন্ন করে? তেমনিভাবে জাহান্নামের তলদেশে উৎপন্ন কুর‘আনে উল্লিখিত যাক্কুম গাছটিও আমি মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা যদি এ দু’টি নিদর্শনকে বিশ্বাস না করে তাহলে তারা অন্য নিদর্শনগুলোকেও বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ আমরা নিদর্শনগুলো নাযিল করে তাদেরকে ভয় দেখাচ্ছি; অথচ তাদেরকে এসব নিদর্শনাবলী ও সতর্ক-সঙ্কেত উত্তরোত্তর তাদের কুফরিকেই বাড়িয়ে চলেছে এবং ভ্রষ্টতায় তারা আরো অগ্রসর হয়েছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ ٱسۡجُدُواْ لِأٓدَمَ فَسَجَدُوٓاْ إِلَّآ إِبۡلِيسَ قَالَ ءَأَسۡجُدُ لِمَنۡ خَلَقۡتَ طِينٗا
৬১. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সে সময়ের কথা যখন আমি ফিরিশতাদেরকে বলেছি যে, তোমরা আদমকে সৌজন্যমূলক সাজদাহ করো; ইবাদাতের সাজদাহ নয়। তখন সবাই আমার কথা মেনে তাঁকে সাজদাহ করলো। তবে ইবলিস অহঙ্কারবশত তাঁকে সাজদাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললো: আমি কি এমন কাউকে সাজদাহ করবো যাকে আপনি মাটি দিয়ে বানিয়েছেন আর আমাকে বানিয়েছেন আগুন দিয়ে?! বস্তুতঃ আমি তার চেয়ে বেশি সম্মানপ্রাপ্ত।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قَالَ أَرَءَيۡتَكَ هَٰذَا ٱلَّذِي كَرَّمۡتَ عَلَيَّ لَئِنۡ أَخَّرۡتَنِ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَأَحۡتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهُۥٓ إِلَّا قَلِيلٗا
৬২. ইবলিস তার প্রতিপালককে বললো: আপনি একটু দেখুন তো! এই তো সে যার জন্য সাজদাহ করার আদেশ দিয়ে আমার উপর তাকে সম্মানিত করেছেন, সে কি এর উপযুক্ত? আপনি যদি আমাকে দুনিয়ায় শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে আমি অবশ্যই তার সন্তানদেরকে আমার দিকে আকর্ষিত করে তাদের সবাইকে সঠিক পথহারা করবো। শুধু আপনার কিছু খাঁটি বান্দা ব্যতিরেকে যাদেরকে আপনি রক্ষা করবেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قَالَ ٱذۡهَبۡ فَمَن تَبِعَكَ مِنۡهُمۡ فَإِنَّ جَهَنَّمَ جَزَآؤُكُمۡ جَزَآءٗ مَّوۡفُورٗا
৬৩. তখন তার প্রতিপালক তাকে বললেন: তুমি ও তোমার অনুসারীরা চলে যাও। যা মনে চায় তোমরা তাই করো। তবে জাহান্নামই হবে তোমার ও তাদের প্রতিদান। আর এটাই হবে তোমাদের আমলের পরিপূর্ণ যথেষ্ট প্রতিদান।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَٱسۡتَفۡزِزۡ مَنِ ٱسۡتَطَعۡتَ مِنۡهُم بِصَوۡتِكَ وَأَجۡلِبۡ عَلَيۡهِم بِخَيۡلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكۡهُمۡ فِي ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَوۡلَٰدِ وَعِدۡهُمۡۚ وَمَا يَعِدُهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ إِلَّا غُرُورًا
৬৪. তুমি গুনাহের প্রতি উৎসাহ ব্যঞ্জক আওয়াজের মাধ্যমে তাদের মধ্যকার যাকে পারো উস্কে দাও। আর তোমার আনুগত্যের প্রতি আহŸানকারী পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনীকে তোমার সহযোগিতার জন্য চিৎকার করে ডাকো। উপরন্তু শরীয়ত বিরোধী সকল অপতৎপরতাকে সাজিয়ে তাদের সম্পদে ভাগ বসাও এবং মিথ্যা দাবি, ব্যভিচার ও নাম রাখার সময় আল্লাহ ছাড়া অন্যের গোলাম বানিয়ে তাদের সন্তানদের মধ্যেও ভাগ বসাও। আর বাতিল আশা ও মিথ্যা ওয়াদাগুলো তাদের সামনে সুন্দর করে তুলে ধরো। বস্তুতঃ শয়তান তাদেরকে ধোঁকাপূর্ণ মিথ্যা ওয়াদা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
إِنَّ عِبَادِي لَيۡسَ لَكَ عَلَيۡهِمۡ سُلۡطَٰنٞۚ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ وَكِيلٗا
৬৫. হে ইবলিস! আমার আনুগত্যকারী মু’মিন বান্দাদের উপর মূলতঃ তোমার কোন কর্তৃত্ব চলবে না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাদের পক্ষ হয়ে তোমার অনিষ্টকে প্রতিরোধ করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা সকল ব্যাপারে তাঁর উপর ভরসাকারীদের জন্য একান্ত অভিভাবক হিসেবে যথেষ্ট।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
رَّبُّكُمُ ٱلَّذِي يُزۡجِي لَكُمُ ٱلۡفُلۡكَ فِي ٱلۡبَحۡرِ لِتَبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا
৬৬. হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালক তো তিনিই যিনি সহজভাবে তোমাদের সুবিধার জন্য সাগরে জলযান পরিচালনের ব্যবস্থা করেছেন। যাতে তোমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভের মাধ্যমে সেখানকার রিযিক অনুসন্ধান করতে পারো। নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের প্রতি অতি দয়ালু। যেহেতু তিনি এ সকল মাধ্যম তোমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• من رحمة الله بالناس عدم إنزاله الآيات التي يطلبها المكذبون حتى لا يعاجلهم بالعقاب إذا كذبوا بها.
ক. মানুষের প্রতি আল্লাহর রহমতের একটি নমুনা হলো তিনি মিথ্যারোপকারীদের চাহিদা অনুযায়ী নিদর্শনসমূহ নাযিল করেন না। অন্যথায় তাদের মিথ্যারোপের দরুন তাদেরকে দ্রæত শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

• ابتلى الله العباد بالشيطان الداعي لهم إلى معصية الله بأقواله وأفعاله.
খ. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে শয়তান কর্তৃক পরীক্ষায় ফেলেছেন। সে তাদেরকে নিজ কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণের দিকে আহŸান করে থাকে।

• من صور مشاركة الشيطان للإنسان في الأموال والأولاد: ترك التسمية عند الطعام والشراب والجماع، وعدم تأديب الأولاد.
গ. মানুষের সম্পদ ও সন্তানে শয়তানের অংশ গ্রহণের কিছু নমুনা হলো খাদ্য, পানীয় গ্রহণ ও সহবাসের সময় বিসমিল্লাহ না পড়া এবং সন্তানদেরকে সত্যিকার আদব শিক্ষা না দেয়া।

وَإِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فِي ٱلۡبَحۡرِ ضَلَّ مَن تَدۡعُونَ إِلَّآ إِيَّاهُۖ فَلَمَّا نَجَّىٰكُمۡ إِلَى ٱلۡبَرِّ أَعۡرَضۡتُمۡۚ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ كَفُورًا
৬৭. হে মুশরিকরা! সাগরে তোমাদের কোন বিপদাপদ ঘটলে যখন তোমরা নিজেদের ধ্বংসের আশঙ্কা করো তখন আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের ইবাদাত করতে তারা তোমাদের অন্তর থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তোমরা একমাত্র আল্লাহকে স্মরণ করে তাঁর নিকটই ফরিয়াদ করে থাকো। অতঃপর যখন তিনি তোমাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থা থেকে রক্ষা করে নিরাপদে পৌঁছিয়ে দেন এবং তোমরা স্থলভাগে পৌঁছে যাও তখন তোমরা তাঁর তাওহীদ ও তাঁকে এককভাবে ডাকা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তোমাদের মূর্তিগুলোর দিকে ফিরে যাও। বস্তুতঃ মানুষ আল্লাহর নিয়ামতসমূহকে সহসাই অস্বীকারকারী।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَفَأَمِنتُمۡ أَن يَخۡسِفَ بِكُمۡ جَانِبَ ٱلۡبَرِّ أَوۡ يُرۡسِلَ عَلَيۡكُمۡ حَاصِبٗا ثُمَّ لَا تَجِدُواْ لَكُمۡ وَكِيلًا
৬৮. হে মুশরিকরা! যখন আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে রক্ষা করে স্থলভাগে নিয়ে আসলেন তখন কি তোমরা এ ব্যাপারে নিরাপদ যে, তিনি তোমাদেরসহ সেটিকে ধ্বসিয়ে দিবেন না? না তোমরা এ ব্যাপারে নিরাপদ যে, তোমাদের উপর আকাশ থেকে পাথর নাযিল হবে না যা তোমাদের উপর বর্ষিত হবে যেভাবে লূত (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায়ের উপর করা হয়েছিলো। ফলে তোমরা নিজেদের রক্ষাকারী কাউকে পাবে না। না ধ্বংস থেকে রক্ষাকারী কোন সাহায্যকারী পাবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَمۡ أَمِنتُمۡ أَن يُعِيدَكُمۡ فِيهِ تَارَةً أُخۡرَىٰ فَيُرۡسِلَ عَلَيۡكُمۡ قَاصِفٗا مِّنَ ٱلرِّيحِ فَيُغۡرِقَكُم بِمَا كَفَرۡتُمۡ ثُمَّ لَا تَجِدُواْ لَكُمۡ عَلَيۡنَا بِهِۦ تَبِيعٗا
৬৯. না তোমরা এ ব্যাপারে নিরাপদ যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে দ্বিতীয়বার সাগরে ফিরিয়ে নিয়ে তোমাদের উপর কঠিন বায়ু পাঠিয়ে তোমাদেরকে ডুবিয়ে দিবেন না। যেহেতু তোমাদেরকে প্রথমবার রক্ষা করার পরও তোমরা আল্লাহর নিয়ামতের সাথে কুফরি করেছো। ফলে তোমরা নিজেদের সাহায্যকারী স্বরূপ আমাদের কর্মের ক্ষতিপূরণ তলবকারী হিসেবে কাউকে পাবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
۞ وَلَقَدۡ كَرَّمۡنَا بَنِيٓ ءَادَمَ وَحَمَلۡنَٰهُمۡ فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِ وَرَزَقۡنَٰهُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَفَضَّلۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ كَثِيرٖ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِيلٗا
৭০. নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে মেধা দিয়ে এবং তাদের পিতাকে ফিরিশতা কর্তৃক সাজদাহ করানো ইত্যাদির মাধ্যমে সম্মানিত করেছি। উপরন্তু আমি তাদের অধীন করেছি তাদেরকে বহনকারী স্থলভাগের পশু ও পরিবহনকে এবং সাগরে বহনকারী নৌকা ও জাহাজকে। তেমনিভাবে আমি তাদেরকে পবিত্র খাদ্য, পানীয় ও হালাল স্ত্রী ইত্যাদি জীবন উপকরণ দিয়েছি এবং আমি তাদেরকে আমার বহু সৃষ্টির উপর মহা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। সুতরাং তাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
يَوۡمَ نَدۡعُواْ كُلَّ أُنَاسِۭ بِإِمَٰمِهِمۡۖ فَمَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَقۡرَءُونَ كِتَٰبَهُمۡ وَلَا يُظۡلَمُونَ فَتِيلٗا
৭১. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সেই দিনের কথা যে দিন আমি প্রতিটি জনসমষ্টিকে তাদের দুনিয়ার অনুসরণীয় নেতাসহ ডাকবো। অতঃপর যাদের আমলনামা তাদের ডান হাতে দেয়া হবে তারা নিজেদের আমলনামাটুকু খুশিমনে পড়বে এবং তাদের প্রতিদান সামান্যও কমিয়ে দেয়া হবে না। যদিও তা খেজুরের আঁটির মধ্যকার সুতার সমপরিমাণ ছোট হোক না কেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَمَن كَانَ فِي هَٰذِهِۦٓ أَعۡمَىٰ فَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ أَعۡمَىٰ وَأَضَلُّ سَبِيلٗا
৭২. যে ব্যক্তি এ দুনিয়ার জীবনে সত্য গ্রহণ ও তা মানার ক্ষেত্রে অন্ধ ও বিমুখ হবে সে কিয়ামতের দিন আরো কঠিন অন্ধ হবে। ফলে সে জান্নাতের পথ দেখতে পাবে না। বরং সে হিদায়েতের পথ হারিয়ে বসবে। বস্তুতঃ আমল অনুযায়ী তার প্রতিদান হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِن كَادُواْ لَيَفۡتِنُونَكَ عَنِ ٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ لِتَفۡتَرِيَ عَلَيۡنَا غَيۡرَهُۥۖ وَإِذٗا لَّٱتَّخَذُوكَ خَلِيلٗا
৭৩. হে রাসূল! আমি আপনার নিকট যে কুর‘আন ওহী করেছি তা থেকে মুশরিকরা আপনাকে ফিরানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে আপনি তাদের মনমতো আমার নামে অন্য কিছু বানিয়ে বলেন। আপনি যদি তাদের ইচ্ছামতো তা করতেন তাহলে তারা আপনাকে তাদের বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করতো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَوۡلَآ أَن ثَبَّتۡنَٰكَ لَقَدۡ كِدتَّ تَرۡكَنُ إِلَيۡهِمۡ شَيۡـٔٗا قَلِيلًا
৭৪. আমি যদি দয়া করে আপনাকে সত্যের উপর অটল না রাখতাম তাহলে অচিরেই তাদের প্রতি আপনার কিছুটা ঝুঁকে পড়ার উপক্রম হতো। ফলে আপনি তাদের প্রবল ধোঁকা ও কঠিন অপকৌশলের দরুন তাদের প্রস্তাবের প্রতি সম্মতি জানাতেন। তাছাড়া আপনি তাদের ঈমানের প্রতি অতি আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু আমি আপনাকে তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়া থেকে রক্ষা করেছি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
إِذٗا لَّأَذَقۡنَٰكَ ضِعۡفَ ٱلۡحَيَوٰةِ وَضِعۡفَ ٱلۡمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ عَلَيۡنَا نَصِيرٗا
৭৫. আপনি যদি তাদের প্রস্তাবের প্রতি ঝুঁকে পড়তেন তাহলে আমি আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতে দ্বিগুণ শাস্তি দিতাম। সেক্ষেত্রে আপনি আমার বিপক্ষে এমন কোন সাহায্যকারী পেতেন না যে আপনাকে সাহায্য করবে এবং আপনার উপর থেকে আমার শাস্তিকে প্রতিরোধ করবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• الإنسان كفور للنعم إلا من هدى الله.
ক. মানুষ সাধারণত নিয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়। তবে আল্লাহ যাকে হিদায়েত করেন তার ব্যাপার ভিন্ন।

• كل أمة تُدْعَى إلى دينها وكتابها، هل عملت به أو لا؟ والله لا يعذب أحدًا إلا بعد قيام الحجة عليه ومخالفته لها.
খ. প্রত্যেক উম্মতকে তাদের ধর্ম ও কিতাবের প্রতি ডাকা হবে। তারা কি তা মেনে চলেছে, নাকি তা মেনে চলেনি? বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা কারো উপর দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা এবং সেই দলীলের প্রতি তার বিরোধিতা করা ছাড়া তাকে শাস্তি দেন না।

• عداوة المجرمين والمكذبين للرسل وورثتهم ظاهرة بسبب الحق الذي يحملونه، وليس لذواتهم.
গ. রাসূলগণ ও তাঁদের ওয়ারিশদের প্রতি অপরাধী ও মিথ্যারোপকারীদের শত্রæতা সুস্পষ্ট। মূলতঃ তা তাঁদের ব্যক্তিসত্তার প্রতি নয়। বরং তা তাদের ধারণকৃত সত্যের প্রতি।

• الله تعالى عصم النبي من أسباب الشر ومن البشر، فثبته وهداه الصراط المستقيم، ولورثته مثل ذلك على حسب اتباعهم له.
ঘ. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে মানুষের অনিষ্ট ও অনিষ্টের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে রক্ষা করেছেন। তাই তিনি তাঁকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে তার উপর অটল রেখেছেন। তেমনিভাবে তিনি তাঁর ওয়ারিশদেরকেও তাঁর প্রতি তাদের অনুসরণের ধরন অনুযায়ী রক্ষা করবেন।

وَإِن كَادُواْ لَيَسۡتَفِزُّونَكَ مِنَ ٱلۡأَرۡضِ لِيُخۡرِجُوكَ مِنۡهَاۖ وَإِذٗا لَّا يَلۡبَثُونَ خِلَٰفَكَ إِلَّا قَلِيلٗا
৭৬. কাফিররা শত্রæতার মাধ্যমে আপনাকে বিরক্ত করে মক্কা থেকে বের করার উপক্রম করেছে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে বের করার ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রতিরোধ করেছেন। ফলে আপনি নিজ প্রতিপালকের আদেশেই সেখান থেকে হিজরত করেছেন। যদি তারা আপনাকে বের করে দিতো তাহলে তারা আপনাকে বের করার পর সামান্যক্ষণও সেখানে থাকতে পারতো না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
سُنَّةَ مَن قَدۡ أَرۡسَلۡنَا قَبۡلَكَ مِن رُّسُلِنَاۖ وَلَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحۡوِيلًا
৭৭. আপনাকে বের করে দেয়ার পর তাদের সামান্য সময়ের জন্য অবস্থান করতে দেয়া বা না দেয়ার বিধানটি আপনার পূর্বের রাসূলদের ক্ষেত্রেও আল্লাহর একটি সাধারণ নিয়ম। আর সেটি হলো কোন রাসূলকেই তাঁর সম্প্রদায় তাদের মাঝ থেকে বের করে দিলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর আযাব নাযিল করেন। হে রাসূল! আপনি কখনো আমার নিয়মের পরিবর্তন দেখতে পাবেন না। বরং আপনি আমার নিয়ম সর্বদা একই রকম ও অপরিবর্তনশীল পাবেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِدُلُوكِ ٱلشَّمۡسِ إِلَىٰ غَسَقِ ٱلَّيۡلِ وَقُرۡءَانَ ٱلۡفَجۡرِۖ إِنَّ قُرۡءَانَ ٱلۡفَجۡرِ كَانَ مَشۡهُودٗا
৭৮. আপনি সঠিক সময়ে পরিপূর্ণরূপে সালাত কায়েম করুন। তথা মধ্য আকাশ থেকে সূর্য ঢলে যাওয়া থেকে শুরু করে -যা যুহর ও আসরকে শামিল করে- রাতের অন্ধকার পর্যন্ত -যা মাগরিব ও ঈশাকে শামিল করে। বিশেষ করে ফজরের সালাত আদায় করুন এবং তাতে কিরাত লম্বা করুন। কারণ, ফজরের সালাতে রাত ও দিনের ফিরিশতাগণ উপস্থিত হন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا
৭৯. হে রাসূল! আপনি রাতে উঠুন এবং তার কিছু অংশে সালাত আদায় করুন। যাতে আপনার সালাতটুকু আপনার মর্যাদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি ভ‚মিকা পালন করে। এ আশায় যে, আপনার প্রতিপালক যেন আপনাকে কিয়ামতের দিন তার ভয়াবহতা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য সুপারিশকারী হিসেবে পুনরুত্থান করেন। যা আপনার জন্য মূলতঃ মহা সুপারিশের অধিকার হবে যার প্রশংসা পূর্বাপর সকলেই করবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقُل رَّبِّ أَدۡخِلۡنِي مُدۡخَلَ صِدۡقٖ وَأَخۡرِجۡنِي مُخۡرَجَ صِدۡقٖ وَٱجۡعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلۡطَٰنٗا نَّصِيرٗا
৮০. হে রাসূল! আপনি বলুন: হে আমার প্রতিপালক! আমার প্রবেশ ও বের হওয়া সবই যেন আপনার আনুগত্য ও আপনার সন্তুষ্টি মাফিক হয়। আর আপনি আমার জন্য আপনার কাছ থেকে একটি সুস্পষ্ট প্রমাণের ব্যবস্থা করুন। যার মাধ্যমে আপনি আমাকে আমার শত্রæর বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقُلۡ جَآءَ ٱلۡحَقُّ وَزَهَقَ ٱلۡبَٰطِلُۚ إِنَّ ٱلۡبَٰطِلَ كَانَ زَهُوقٗا
৮১. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: সত্য ইসলাম এসে গেছে এবং আল্লাহর ওয়াদাকৃত সাহায্য বাস্তবায়িত হয়েছে। আর কুফরি ও শিরক চলে গিয়েছে। নিশ্চয়ই বাতিল নিশ্চিহ্ন হয়ে চলে যাবে। সত্যের সামনে তা স্থির হতে পারবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَنُنَزِّلُ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِ مَا هُوَ شِفَآءٞ وَرَحۡمَةٞ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا خَسَارٗا
৮২. আমি অন্তরে থাকা মূর্খতা, কুফরি ও সন্দেহের চিকিৎসা স্বরূপ কুর‘আন নাযিল করি। যা শরীরেরও চিকিৎসা বটে যদি তা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। উপরন্তু তা আমলকারী মু’মিনদের জন্য রহমতও বটে। তবে এ কুর‘আন কাফিরদের জন্য কেবল ধ্বংসই বাড়িয়ে দেয়। কারণ, কুর‘আন শুনলে তারা রাগান্বিত হয়। ফলে তার প্রতি তাদের মিথ্যারোপ ও বিমুখতা আরো বেড়ে যায়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَإِذَآ أَنۡعَمۡنَا عَلَى ٱلۡإِنسَٰنِ أَعۡرَضَ وَنَـَٔا بِجَانِبِهِۦ وَإِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ كَانَ يَـُٔوسٗا
৮৩. আমি যখন মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও ধনাঢ্যতার নিয়ামত দেই তখন তারা আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্তু অহঙ্কারবশত তারা তা থেকে দূরে সরে যায়। আর যদি তাদের নিকট রোগ, দরিদ্রতা ইত্যাদি এসে পড়ে তখন তারা আল্লাহর রহমত থেকে ভীষণভাবে নিরাশ ও হতাশ হয়ে যায়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُلۡ كُلّٞ يَعۡمَلُ عَلَىٰ شَاكِلَتِهِۦ فَرَبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِمَنۡ هُوَ أَهۡدَىٰ سَبِيلٗا
৮৪. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: প্রত্যেকটি মানুষ হিদায়েত ও ভ্রষ্টতার ক্ষেত্রে তার অবস্থা অনুযায়ীই আমল করে থাকে। তোমাদের প্রতিপালক সর্বাধিক জানেন কে সত্যের প্রতি হিদায়েতপ্রাপ্ত।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلرُّوحِۖ قُلِ ٱلرُّوحُ مِنۡ أَمۡرِ رَبِّي وَمَآ أُوتِيتُم مِّنَ ٱلۡعِلۡمِ إِلَّا قَلِيلٗا
৮৫. হে রাসূল! আহলে কিতাবের কাফিররা রূহের মূল তত্ত¡ সম্পর্কে আপনার নিকট জানতে চাইবে। আপনি তাদেরকে বলুন, রূহের মূল তত্ত¡ সম্পর্কে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। তোমাদেরকে এবং আল্লাহর সকল সৃষ্টিকে যে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তা তাঁর জ্ঞানের সামনে খুবই অতি সামান্য।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَئِن شِئۡنَا لَنَذۡهَبَنَّ بِٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ بِهِۦ عَلَيۡنَا وَكِيلًا
৮৬. হে রাসূল! আল্লাহর কসম! আমি যদি আপনার নিকট যে ওহী নাযিল করেছি তা মানুষের অন্তর ও কিতাব থেকে মুছে দিতে চাই তাহলে আমি তা করতে পারি। ফলে আপনি কাউকে আপনার সাহায্যকারী পাবেন না যে তা আবারো ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• في الآيات دليل على شدة افتقار العبد إلى تثبيت الله إياه، وأنه ينبغي له ألا يزال مُتَمَلِّقًا لربه أن يثبته على الإيمان.
ক. আয়াতগুলোতে এ প্রমাণ রয়েছে যে, একজন বান্দা ঈমানের উপর অটল থাকার ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি একান্ত মুখাপেক্ষী। তাই তার জন্য উচিত তাঁর প্রতিপালকের নিকট এ কথা সবিনয়ে বলা যে, তিনি যেন তাকে ঈমানের উপর অটল রাখেন।

• عند ظهور الحق يَضْمَحِل الباطل، ولا يعلو الباطل إلا في الأزمنة والأمكنة التي يكسل فيها أهل الحق.
খ. সত্য প্রকাশ পেলে বাতিল দুর্বল হয়ে পড়ে। হকপন্থীরা যে সময় ও জায়গায় অলসতা করে শুধু সেখানেই কেবল বাতিল ঊর্ধ্ব গতি পায়।

• الشفاء الذي تضمنه القرآن عام لشفاء القلوب من الشُّبَه، والجهالة، والآراء الفاسدة، والانحراف السيئ والمقاصد السيئة.
গ. কুর‘আনে যে চিকিৎসা রয়েছে তা অন্তরের সকল চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব রাখে। চাই তা সন্দেহ ও মূর্খতা থেকে হোক অথবা তা নষ্ট মত, নিকৃষ্ট বক্রতা কিংবা খারাপ উদ্দেশ্য থেকে হোক।

• في الآيات دليل على أن المسؤول إذا سئل عن أمر ليس في مصلحة السائل فالأولى أن يعرض عن جوابه، ويدله على ما يحتاج إليه، ويرشده إلى ما ينفعه.
ঘ. আয়াতগুলোতে এ দলীলও রয়েছে যে, কোন দায়িত্বশীলকে যখন এমন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় যাতে প্রশ্নকারীর কোন ফায়েদা নেই তাহলে তার উচিত হবে তার উত্তর না দিয়ে তাকে তার প্রয়োজনীয় কোন কিছুর প্রতি ইঙ্গিত করা এবং লাভজনক কোন কিছুর প্রতি তাকে পথ দেখানো।

إِلَّا رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ إِنَّ فَضۡلَهُۥ كَانَ عَلَيۡكَ كَبِيرٗا
৮৭. আপনার প্রতিপালকের দয়ায় আমি তা মুছে দিলাম না। বরং তা আপনার জন্য সংরক্ষিত রাখলাম। নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালকের দয়া আপনার উপর অনেক বড়। কারণ, তিনি আপনাকে রাসূল বানিয়েছেন এবং আপনার মাধ্যমেই নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। উপরন্তু আপনার উপর তিনি কুর‘আন নাযিল করেছেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُل لَّئِنِ ٱجۡتَمَعَتِ ٱلۡإِنسُ وَٱلۡجِنُّ عَلَىٰٓ أَن يَأۡتُواْ بِمِثۡلِ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لَا يَأۡتُونَ بِمِثۡلِهِۦ وَلَوۡ كَانَ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٖ ظَهِيرٗا
৮৮. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: যদি সকল মানুষ ও জিন আপনার উপর নাযিলকৃত এ কুর‘আনের ন্যায় আরেকটি কুর‘আন আনার জন্য একত্রিত হয় যার বিষয়বস্তু, বাচনভঙ্গি, বর্ণনশৈলী ও সুন্দর গাঁথুনী একই রকম হবে তারপরও তারা তা কখনোই আনতে পারবে না। যদিও তাদের একজন অন্যের সহযোগী ও সাহায্যকারী হয়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَقَدۡ صَرَّفۡنَا لِلنَّاسِ فِي هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٖ فَأَبَىٰٓ أَكۡثَرُ ٱلنَّاسِ إِلَّا كُفُورٗا
৮৯. আমি এ কুর‘আনে মানুষের জন্য সব ধরনের শিক্ষণীয় মাধ্যম তথা উপদেশ, শিক্ষা, আদেশ, নিষেধ ও ঘটনাবলী সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি। যাতে তারা ঈমান গ্রহণ করে। তবে অধিকাংশ মানুষই এ কুর‘আনকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করেছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقَالُواْ لَن نُّؤۡمِنَ لَكَ حَتَّىٰ تَفۡجُرَ لَنَا مِنَ ٱلۡأَرۡضِ يَنۢبُوعًا
৯০. মুশরিকরা বললো: আমরা কখনোই ঈমান আনবো না যতক্ষণ না আপনি মক্কার জমিন থেকে অবিরাম এক ঝর্ণাধারা বের করে দিবেন যা কখনো শুকিয়ে যাবে না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَوۡ تَكُونَ لَكَ جَنَّةٞ مِّن نَّخِيلٖ وَعِنَبٖ فَتُفَجِّرَ ٱلۡأَنۡهَٰرَ خِلَٰلَهَا تَفۡجِيرًا
৯১. অথবা আপনার জন্য অধিক গাছ বিশিষ্ট একটি বাগান হবে যাতে অনেকগুলো নদী প্রবল বেগে প্রবাহিত হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَوۡ تُسۡقِطَ ٱلسَّمَآءَ كَمَا زَعَمۡتَ عَلَيۡنَا كِسَفًا أَوۡ تَأۡتِيَ بِٱللَّهِ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ قَبِيلًا
৯২. অথবা আপনার বর্ণানুযায়ী আমাদের উপর শাস্তিস্বরূপ আকাশকে টুকরো টুকরো করে ফেলবেন কিংবা আল্লাহ ও ফিরিশতাগণকে আপনি প্রকাশ্যে নিয়ে আসবেন। যাতে তারা আপনার দাবির বিশুদ্ধতার সাক্ষ্য দিতে পারে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
أَوۡ يَكُونَ لَكَ بَيۡتٞ مِّن زُخۡرُفٍ أَوۡ تَرۡقَىٰ فِي ٱلسَّمَآءِ وَلَن نُّؤۡمِنَ لِرُقِيِّكَ حَتَّىٰ تُنَزِّلَ عَلَيۡنَا كِتَٰبٗا نَّقۡرَؤُهُۥۗ قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّي هَلۡ كُنتُ إِلَّا بَشَرٗا رَّسُولٗا
৯৩. অথবা আপনার জন্য স্বর্ণ এবং অন্যান্য বস্তু দ্বারা খচিত একটি ঘর হবে কিংবা আপনি আকাশে উঠে যাবেন। আপনি আকাশে উঠে গেলেও আমরা আপনাকে কখনো রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করবো না যতক্ষণ না আপনি আল্লাহর কাছ থেকে একটি লিখিত কিতাব নিয়ে আসেন। যাতে আমরা পড়ে দেখবো যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: আমি আমার প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করে বলছি যে, আমি তো কেবল অন্যান্য রাসূলগণের ন্যায় একজন মানব রাসূল মাত্র। ফলে আমি এ জাতীয় কোন কিছু নিজের পক্ষ থেকে আনার ক্ষমতা রাখি না। তাই আমি কীভাবে তোমাদের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আসবো?!
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَمَا مَنَعَ ٱلنَّاسَ أَن يُؤۡمِنُوٓاْ إِذۡ جَآءَهُمُ ٱلۡهُدَىٰٓ إِلَّآ أَن قَالُوٓاْ أَبَعَثَ ٱللَّهُ بَشَرٗا رَّسُولٗا
৯৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা এবং রাসূল আনীত বিধানের উপর ঈমান আনার পথে কাফিরদের জন্য এটাই বাধা ছিলো যে, তারা মানব রাসূলকে অস্বীকার করেছে। তারা অস্বীকার করে বললো: আল্লাহ কি আমাদের নিকট একজন মানব রাসূল পাঠিয়েছেন?!
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُل لَّوۡ كَانَ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَلَٰٓئِكَةٞ يَمۡشُونَ مُطۡمَئِنِّينَ لَنَزَّلۡنَا عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَلَكٗا رَّسُولٗا
৯৫. হে রাসূল! আপনি তাদের উত্তরে বলুন: যদি জমিনে কোন ফিরিশতা বসবাস করতো এবং তারা সেখানে তোমাদের ন্যায় নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতো তাহলে আমি তাদের নিকট তাদের মধ্য থেকেই ফিরিশতা জাতীয় রাসূল পাঠাতাম। কারণ, তখন সেই কেবল তাদেরকে প্রেরিত বস্তু বুঝাতে সক্ষম হতো। তখন তাদের নিকট মানব রাসূল পাঠানোর কোন যুক্তিকতাই থাকতো না। তেমনিভাবে তোমাদেরও একই অবস্থা।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُلۡ كَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدَۢا بَيۡنِي وَبَيۡنَكُمۡۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا
৯৬. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আমি যে তোমাদের নিকট প্রেরিত রাসূল এবং আমি যে তোমাদেরকে তোমাদের নিকট পৌঁছানোর বস্তুটি পৌঁছিয়ে দিয়েছি এ ব্যাপারে আমি ও তোমাদের মাঝে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাঁর নিকট এগুলোর কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি তাদের অন্তরের গোপনীয় ব্যাপারগুলোও দেখেন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• بيَّن الله للناس في القرآن من كل ما يُعْتَبر به من المواعظ والعبر والأوامر والنواهي والقصص؛ رجاء أن يؤمنوا.
ক. আল্লাহ তা‘আলা কুর‘আনে মানুষের জন্য শিক্ষণীয় সকল ব্যাপার তথা উপদেশ, শিক্ষা, আদেশ, নিষেধ ও ঘটনাবলী সবই সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। যাতে তারা সবাই ঈমানদার হয়ে যায়।

• القرآن كلام الله وآية النبي الخالدة، ولن يقدر أحد على المجيء بمثله.
খ. কুর‘আন হচ্ছে আল্লাহর বাণী এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর একটি চিরন্তন নিদর্শন। কেউ এর ন্যায় কোন কিছু আনতে সক্ষম নয়।

• من رحمة الله بعباده أن أرسل إليهم بشرًا منهم، فإنهم لا يطيقون التلقي من الملائكة.
গ. বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমতের একটি নমুনা হলো এই যে, তিনি তাদের নিকট একজন মানব রাসূল পাঠিয়েছেন। কারণ, তারা ফিরিশতাদের থেকে কোন কিছু গ্রহণ করতে সক্ষম নয়।

• من شهادة الله لرسوله ما أيده به من الآيات، ونَصْرُه على من عاداه وناوأه.
ঘ. রাসূলকে নিদর্শনসমূহ দিয়ে সাহায্য করা এবং তাঁকে তাঁর শত্রæ ও বিদ্বেষীর উপর জয়ী করা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি এক বিশেষ সাক্ষ্য।

وَمَن يَهۡدِ ٱللَّهُ فَهُوَ ٱلۡمُهۡتَدِۖ وَمَن يُضۡلِلۡ فَلَن تَجِدَ لَهُمۡ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِهِۦۖ وَنَحۡشُرُهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ عَلَىٰ وُجُوهِهِمۡ عُمۡيٗا وَبُكۡمٗا وَصُمّٗاۖ مَّأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ كُلَّمَا خَبَتۡ زِدۡنَٰهُمۡ سَعِيرٗا
৯৭. যাকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়েতের তাওফীক দিয়েছেন সেই সত্যিকারের হিদায়েতপ্রাপ্ত। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেছেন এবং হিদায়েতের তাওফীক দেননি হে রাসূল! আপনি তাদের জন্য এমন কোন অভিভাবক পাবেন না যারা তাদেরকে সত্যের পথ দেখাবে, তাদেরকে ক্ষতি থেকে বাঁচাবে ও তাদের জন্য কোন উপকার নিয়ে আসবে। বরং আমি তাদেরকে কিয়ামতের দিন এমনভাবে একত্রিত করবো যে, তাদেরকে মুখের ভরে টেনে আনা হবে। তারা তখন কিছুই দেখতে পাবে না, শুনতেও পাবে না এবং বলতেও পারবে না। বরং তাদের আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম। যখনই তার অগ্নিশিখা একটু করে নিভে আসবে আমি তাকে আরো প্রজ্বলিত করবো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
ذَٰلِكَ جَزَآؤُهُم بِأَنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِـَٔايَٰتِنَا وَقَالُوٓاْ أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا وَرُفَٰتًا أَءِنَّا لَمَبۡعُوثُونَ خَلۡقٗا جَدِيدًا
৯৮. যে শাস্তি তারা তখন পাবে তা হলো আমার রাসূলের উপর নাযিলকৃত নিদর্শনসমূহের সাথে কুফরি করা এবং পুনরুত্থানকে অসম্ভব ভেবে তাদের এ কথা বলার প্রতিদান যে, আমরা যখন মরে পুরনো হাড় ও ছিন্নভিন্ন টুকরো হয়ে যাবো তখনকি আমাদেরকে নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুত্থিত করা হবে?
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
۞ أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ أَنَّ ٱللَّهَ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ قَادِرٌ عَلَىٰٓ أَن يَخۡلُقَ مِثۡلَهُمۡ وَجَعَلَ لَهُمۡ أَجَلٗا لَّا رَيۡبَ فِيهِ فَأَبَى ٱلظَّٰلِمُونَ إِلَّا كُفُورٗا
৯৯. এ পুনরুত্থান অস্বীকারকারীরা কি জানে না যে, নিশ্চয়ই যে আল্লাহ তা‘আলা এতো প্রকাÐ আকাশ ও জমিনকে সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের মতো এ ক্ষুদ্র মানুষকে সৃষ্টি করতে সক্ষম নন। কারণ, যিনি প্রকাÐ কোন কিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম তিনি তো তার নিচের অন্য সবই করতে সক্ষম। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করেছেন যখন তাদের জীবনাবসান ঘটবে। তেমনিভাবে তিনি তাদের পুনরুত্থানের জন্যও একটি সময় নির্ধারণ করেছেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। পুনরুত্থানের প্রমাণসমূহ সুস্পষ্ট থাকা সত্তে¡ও মুশরিকরা তা অস্বীকার করেই চলেছে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُل لَّوۡ أَنتُمۡ تَمۡلِكُونَ خَزَآئِنَ رَحۡمَةِ رَبِّيٓ إِذٗا لَّأَمۡسَكۡتُمۡ خَشۡيَةَ ٱلۡإِنفَاقِۚ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ قَتُورٗا
১০০. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলুন যে, যদি তোমরা আমার প্রতিপালকের রহমতের ভাÐারগুলোর মালিক হতে যা কখনো শেষ ও পরিসমাপ্ত হবে না তাহলে তোমরা তা নিঃশেষ হওয়ার ভয়ে খরচ করতে অস্বীকৃতি জানাতে। যাতে তোমরা ফকির না হয়ে যাও। বস্তুতঃ মানুষের স্বভাবই হলো কৃপণ হওয়া। তবে যদি সে মু’মিন হয় তখন সে আল্লাহর সাওয়াবের আশায়ই খরচ করে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا مُوسَىٰ تِسۡعَ ءَايَٰتِۭ بَيِّنَٰتٖۖ فَسۡـَٔلۡ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ إِذۡ جَآءَهُمۡ فَقَالَ لَهُۥ فِرۡعَوۡنُ إِنِّي لَأَظُنُّكَ يَٰمُوسَىٰ مَسۡحُورٗا
১০১. আমি মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে নয়টি সুস্পষ্ট প্রমাণ দিলাম যেগুলো তাঁর সাক্ষ্য প্রদান করে। সেগুলো হলো লাঠি, হাত, দুর্ভিক্ষ, ফল-মূলের ঘাটতি, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত। হে রাসূল! আপনি ইহুদিদেরকে জিজ্ঞাসা করুন যখন মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাদের পূর্বপুরুষদের নিকট এ নিদর্শনসমূহ নিয়ে আসলেন তখন ফিরআউন তাঁকে বললো: হে মূসা! আমি তোমাকে নিশ্চয়ই যাদুগ্রস্ত লোক হিসেবে ভাবছি। কারণ, তুমি আশ্চর্য আশ্চর্য ব্যাপারগুলো নিয়ে আসছো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قَالَ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَآ أَنزَلَ هَٰٓؤُلَآءِ إِلَّا رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ بَصَآئِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَٰفِرۡعَوۡنُ مَثۡبُورٗا
১০২. মূসা (আলাইহিস-সালাম) তার উত্তরে বললেন: হে ফিরআউন! তুমি নিশ্চয়ই এ কথা দৃঢ় বিশ্বাস করো যে, এ নিদর্শনগুলো কেবল আকাশ ও জমিনের প্রতিপালক আল্লাহই নাযিল করেছেন। সেগুলো তিনি তাঁর অসীম ক্ষমতা ও তাঁর রাসূলের সত্যবাদিতার প্রমাণস্বরূপই নাযিল করেছেন। কিন্তু তুমি সেগুলোকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করছো। হে ফিরআউন! আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি অবশ্যই ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
فَأَرَادَ أَن يَسۡتَفِزَّهُم مِّنَ ٱلۡأَرۡضِ فَأَغۡرَقۡنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ جَمِيعٗا
১০৩. তখন ফিরআউন মূসা (আলাইহিস-সালাম) ও তাঁর সম্প্রদায়কে মিশর থেকে বের করে দিয়ে শাস্তি দিতে চাইলো। ফলে আমি ফিরআউনকে ও তার সাথের সকল সেনাবাহিনীকে ডুবিয়ে ধ্বংস করলাম।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقُلۡنَا مِنۢ بَعۡدِهِۦ لِبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٱسۡكُنُواْ ٱلۡأَرۡضَ فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ ٱلۡأٓخِرَةِ جِئۡنَا بِكُمۡ لَفِيفٗا
১০৪. আর আমি ফিরআউন ও তার সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে বনী ইসরাঈলকে বললাম: তোমরা শাম এলাকায় বসবাস করো। যখন কিয়ামতের দিন আসবে তখন আমি তোমাদের সবাইকে হিসাবের জন্য হাশরের মাঠে একত্রিত করবো।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• الله تعالى هو المنفرد بالهداية والإضلال، فمن يهده فهو المهتدي على الحقيقة، ومن يضلله ويخذله فلا هادي له.
ক. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই হিদায়েত ও ভ্রষ্টতার মালিক। তাই তিনি যাকে হিদায়েত দিবেন সেই হলো সত্যিকারের হিদায়েতপ্রাপ্ত। আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট ও লাঞ্ছিত করবেন তাকে কেউ হিদায়েত দিতে পারবে না।

• مأوى الكفار ومستقرهم ومقامهم جهنم، كلما سكنت نارها زادها الله نارًا تلتهب.
খ. কাফিরদের আশ্রয়স্থল, ঠিকানা ও অবস্থানই হলো জাহান্নাম। যখনই তার আগুন নিভে আসবে তখনই আল্লাহ তা‘আলা সে আগুনকে বাড়িয়ে গ্রাসকারী আগুনে রূপান্তরিত করবেন।

• وجوب الاعتصام بالله عند تهديد الطغاة والمُسْتَبدين.
গ. একনায়ক ও সীমালঙ্ঘনকারীদের হুমকির মুখে একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা করা আবশ্যক।

• الطغاة والمُسْتَبدون يلجؤون إلى استخدام السلطة والقوة عندما يواجهون أهل الحق؛ لأنهم لا يستطيعون مواجهتهم بالحجة والبيان.
ঘ. হকপন্থীদের সাথে মুকাবিলার সময় একনায়ক ও সীমালঙ্ঘনকারীরা ক্ষমতা ও শক্তি ব্যবহারের প্রতি ধাবিত হয়। কারণ, তারা তখন প্রমাণ ও বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের মুকাবিলা করতে পারে না।

وَبِٱلۡحَقِّ أَنزَلۡنَٰهُ وَبِٱلۡحَقِّ نَزَلَۗ وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا مُبَشِّرٗا وَنَذِيرٗا
১০৫. আমি এ কুর‘আনকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর সত্যসহ নাযিল করেছি এবং কোন ধরনের পরিবর্তন ও বিকৃতি ছাড়াই সত্যসহ তাঁর উপর তা নাযিল হয়েছে। হে রাসূল! আমি আপনাকে কেবল মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদদাতা এবং কাফির ও অবাধ্যদের জন্য জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনকারীরূপেই পাঠিয়েছি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقُرۡءَانٗا فَرَقۡنَٰهُ لِتَقۡرَأَهُۥ عَلَى ٱلنَّاسِ عَلَىٰ مُكۡثٖ وَنَزَّلۡنَٰهُ تَنزِيلٗا
১০৬. আমি এ কুর‘আনকে বিস্তারিত ও সুস্পষ্টভাবে নাযিল করেছি যেন আপনি মানুষদেরকে ধীরে সুস্থে তা পড়ে শুনাতে পারেন। কারণ, তা বুঝা ও চিন্তা করার সহায়ক। আর আমি এটিকে ঘটনা ও পরিস্থিতি অনুসারে একটু একটু করে নাযিল করেছি।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُلۡ ءَامِنُواْ بِهِۦٓ أَوۡ لَا تُؤۡمِنُوٓاْۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ مِن قَبۡلِهِۦٓ إِذَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡ يَخِرُّونَۤ لِلۡأَذۡقَانِۤ سُجَّدٗاۤ
১০৭. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: তোমরা এর উপর ঈমান আনো। তবে তোমাদের ঈমান এর কোন মর্যাদা বাড়িয়ে দিবে না অথবা তোমরা চাইলে এর উপর ঈমান এনো না। কিন্তু তোমাদের কুফরি এর কোন সম্মান কমিয়ে দিবে না। নিশ্চয়ই যারা পূর্বের আসমানী কিতাবসমূহ পড়েছে এবং ওহী ও নবুওয়াত সম্পর্কে জানে তাদের নিকট যখন কুর‘আন তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা আল্লাহর কৃতজ্ঞতার্থে নিজেদেরকে মস্তকাবনত করে সাজদায় পড়ে যায়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَيَقُولُونَ سُبۡحَٰنَ رَبِّنَآ إِن كَانَ وَعۡدُ رَبِّنَا لَمَفۡعُولٗا
১০৮. তারা সাজদায় গিয়ে বলে: আমাদের প্রতিপালক ওয়াদা ভঙ্গ করা থেকে পবিত্র। তাই তিনি যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূল হিসেবে পাঠানোর ওয়াদা করেছেন তা বাস্তবায়িত হয়েছে। নিশ্চয়ই আমাদের প্রতিপালকের এটা ও অন্যান্য ওয়াদা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَيَخِرُّونَ لِلۡأَذۡقَانِ يَبۡكُونَ وَيَزِيدُهُمۡ خُشُوعٗا۩
১০৯. তারা আল্লাহর জন্য মস্তকাবনত করে সাজদায় পড়ে তাঁর ভয়ে কাঁদতে থাকে। বস্তুতঃ তাদের কুর‘আন শ্রবণ ও তার অর্থসমূহ নিয়ে চিন্তা করা তাদের মাঝে আল্লাহর প্রতি ভক্তি ও ভয় বাড়িয়ে দেয়।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
قُلِ ٱدۡعُواْ ٱللَّهَ أَوِ ٱدۡعُواْ ٱلرَّحۡمَٰنَۖ أَيّٗا مَّا تَدۡعُواْ فَلَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَلَا تَجۡهَرۡ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتۡ بِهَا وَٱبۡتَغِ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلٗا
১১০. হে রাসূল! যারা ইয়া আল্লাহ! ইয়া রহমান! বলে আহŸান করাকে অস্বীকার করে তাদেরকে আপনি বলুন: আল্লাহ ও রহমান একই সত্তার দু’টি নাম। সুতরাং তোমরা তাঁকে সে দু’টির একটি অথবা তাঁর আরো অন্যান্য নামে ডাকো। কারণ, তাঁর অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। এ দু’টি সেগুলোরই অন্তর্ভুক্ত। অতএব, তোমরা তাঁকে এ দু’টি অথবা অন্যান্য সুন্দর নামে ডাকো। আর আপনি নামাযের কিরাত এতো জোরে পড়বেন না যে মুশরিকরা শুনে ফেলে এবং এতো আস্তে পড়বেন না যে মু’মিনরা শুনতে না পায়। বরং আপনি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করুন।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
وَقُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِي لَمۡ يَتَّخِذۡ وَلَدٗا وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ شَرِيكٞ فِي ٱلۡمُلۡكِ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ وَلِيّٞ مِّنَ ٱلذُّلِّۖ وَكَبِّرۡهُ تَكۡبِيرَۢا
১১১. হে রাসূল! আপনি বলুন: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি মূলতঃ সকল প্রশংসারই উপযুক্ত। যিনি সন্তান ও শরীক থেকে পবিত্র। তাঁর ক্ষমতায় কোন শরীক নেই। লাঞ্ছনা ও অবমাননা তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। তাই তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। আপনি তাঁকে বেশি বেশি সম্মান করুন। অতএব, আপনি তাঁর সাথে কোন সন্তান বা ক্ষমতার অংশীদার অথবা কোন সাহায্যকারী ও সহযোগীকে সম্পৃক্ত করবেন না।
Arabische Interpretationen von dem heiligen Quran:
Die Nutzen der Versen in dieser Seite:
• أنزل الله القرآن متضمنًا الحق والعدل والشريعة والحكم الأمثل .
ক. আল্লাহ তা‘আলা কুর‘আন নাযিল করেছেন। যাতে রয়েছে সত্য, ইনসাফ, শরীয়ত ও উপযুক্ত বিধান।

• جواز البكاء في الصلاة من خوف الله تعالى.
খ. আল্লাহর ভয়ে সালাত আদায়ের সময় কান্না করা জায়িয।

• الدعاء أو القراءة في الصلاة يكون بطريقة متوسطة بين الجهر والإسرار.
গ. সালাতের দু‘আ বা কিরাত মধ্যম পন্থায় হতে হবে। না উচ্চ স্বরে, না একেবারেই আস্তে।

• القرآن الكريم قد اشتمل على كل عمل صالح موصل لما تستبشر به النفوس وتفرح به الأرواح.
ঘ. কুর‘আনে এমন সব নেক আমল রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এমন অবস্থানে পৌঁছাবে যা দ্বারা তাদের অন্তরগুলো খুশি এবং তাদের রূহসমূহ আনন্দিত হবে।

 
Übersetzung der Bedeutungen Surah / Kapitel: Al-Isrâ’
Suren/ Kapiteln Liste Nummer der Seite
 
Übersetzung der Bedeutungen von dem heiligen Quran - الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم - Übersetzungen

الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم، صادر عن مركز تفسير للدراسات القرآنية.

Schließen