ߞߘߐ ߟߎ߬ ߘߟߊߡߌ߬ߘߊ߬ߟߌ ߝߐߘߊ ߘߏ߫ ߛߌ߬ߛߌ - ߟߊߘߛߏߣߍ߲

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 19

وَأَن لَّا تَعۡلُواْ عَلَى ٱللَّهِۖ إِنِّيٓ ءَاتِيكُم بِسُلۡطَٰنٖ مُّبِينٖ

১৯. তোমরা আল্লাহর ইবাদাত পরিহার করে এবং তাঁর বান্দাদের উপর বড়ত্ব প্রদর্শন করার মাধ্যমে অহঙ্কার করো না। আমি তোমাদের সামনে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসব।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 20

وَإِنِّي عُذۡتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمۡ أَن تَرۡجُمُونِ

২০. আমি তোমাদের পাথরের আঘাত জনিত মৃত্যু থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে আমার ও তোমাদের রবের নিকট আশ্রয় নিয়েছি।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 21

وَإِن لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ لِي فَٱعۡتَزِلُونِ

২১. আমার আনিত বিষয় সত্য বলে মেনে নিতে না চাইলে তোমরা আমার থেকে দূরে অবস্থান করো এবং আমাকে কোনরূপ অনিষ্ট দ্বারা স্পর্শ করো না।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 22

فَدَعَا رَبَّهُۥٓ أَنَّ هَٰٓؤُلَآءِ قَوۡمٞ مُّجۡرِمُونَ

২২. তখন মূসা (আলাহিস-সালাম) স্বীয় রবকে এই বলে দু‘আ করলেন যে, ফিরআউন ও তার জাতি হলো এমন অপরাধী যারা তড়িৎ শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 23

فَأَسۡرِ بِعِبَادِي لَيۡلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ

২৩. আল্লাহ মূসা (আলাহিস-সালাম) কে নির্দেশ দিলেন যেন তিনি নিজ জাতিকে নিয়ে রাতে ভ্রমণ করে। তিনি তাঁকে আরো জানিয়ে দিলেন যে, ফিরআউন ও তার জাতি তাঁদের পেছনে ছুটবে।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 24

وَٱتۡرُكِ ٱلۡبَحۡرَ رَهۡوًاۖ إِنَّهُمۡ جُندٞ مُّغۡرَقُونَ

২৪. তিনি তাঁকে নির্দেশ দিলেন যে, যখন তিনি ও তাঁর জাতি পার হয়ে যাবেন তখন যেন সাগরটিকে শান্ত অবস্থায় রেখে দেন। অবশ্যই ফিরআউন ও তার জাতি সাগরে ডুবে মরবে।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 25

كَمۡ تَرَكُواْ مِن جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ

২৫. ফিরাউন ও তার জাতি কতো বাগান আর ঝর্না রেখে গিয়েছে!

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 26

وَزُرُوعٖ وَمَقَامٖ كَرِيمٖ

২৬. আর কতোই না খামার ও সুন্দরতম বৈঠক খানা রেখে গিয়েছে!

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 27

وَنَعۡمَةٖ كَانُواْ فِيهَا فَٰكِهِينَ

২৭. আর কতোই না আরাম-আয়েশের ভোগসামগ্রী রেখে গেছে!

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 28

كَذَٰلِكَۖ وَأَوۡرَثۡنَٰهَا قَوۡمًا ءَاخَرِينَ

২৮. বস্তুতঃ তোমাদেরকে যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তাই ঘটে। আর আমি তাদের বাগান, ঝর্নাধারা, ক্ষেত-খামার ও আসনগুলোকে অন্য জাতির উত্তরাধিকারে পরিণত করেছি। যারা ছিলো বনী ইসরাইল।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 29

فَمَا بَكَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلسَّمَآءُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَا كَانُواْ مُنظَرِينَ

২৯. ফলে ফিরআউন ও তার জাতি ডুবার সময় তাদের জন্য আসমান ও যমীনবাসীর কেউ কাঁদে নি। আর না তারা তাওবার সুযোগ পেয়েছিলো।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 30

وَلَقَدۡ نَجَّيۡنَا بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ مِنَ ٱلۡعَذَابِ ٱلۡمُهِينِ

৩০. বস্তুতঃ আমি বনী ইসরাইলকে অপমানকর শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়েছি। যখন ফিরআউন তাদের ছেলে-সন্তানদেরকে হত্যা করতো এবং কন্যা-সন্তানদেরকে জীবিত রাখতো।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 31

مِن فِرۡعَوۡنَۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَالِيٗا مِّنَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ

৩১. আমি তাদেরকে ফিরআউনের শাস্তি থেকে নিস্কৃতি দিয়েছি। সে ছিলো অহঙ্কারী, আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর দ্বীনকে লঙ্ঘনকারী।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 32

وَلَقَدِ ٱخۡتَرۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ عِلۡمٍ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ

৩২. আমি বনী ইসরাইলকে আমার জ্ঞানগোচরে অধিকহারে নবীদের মাধ্যমে সমসাময়িক সকলের উপর প্রাধান্য দিয়েছি।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 33

وَءَاتَيۡنَٰهُم مِّنَ ٱلۡأٓيَٰتِ مَا فِيهِ بَلَٰٓؤٞاْ مُّبِينٌ

৩৩. তাদেরকে এমন সব দলীল-প্রমাণাদি দিয়েছি যদ্বারা আমি মূসা (আলাহিস-সালাম) কে সহযোগিতা করেছি। যাতে তাদের জন্য মান্না-সালওয়ার মতো স্পষ্ট নি‘আমত রয়েছে।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 34

إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَيَقُولُونَ

৩৪. এ সব মিথ্যারোপকারী মুশরিক পুনরুত্থানকে অবিশ্বাস করতে গিয়ে বলে:

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 35

إِنۡ هِيَ إِلَّا مَوۡتَتُنَا ٱلۡأُولَىٰ وَمَا نَحۡنُ بِمُنشَرِينَ

৩৫. এতো কেবল আমাদের একটাই মৃত্যু। এরপর আর কোন জীবন নেই। আর না আমরা এই মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত হবো।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 36

فَأۡتُواْ بِـَٔابَآئِنَآ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

৩৬. তবে হে মুহাম্মদ! আপনি তোমার সাথীদেরসহ আমাদের মৃত পূর্বসূরীদেরকে জীবিত অবস্থায় নিয়ে আসো। যদি তোমরা নিজেদের উক্ত দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাকো যে, আল্লাহ মৃতদেরকে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে পুনরুত্থিত করবেন।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 37

أَهُمۡ خَيۡرٌ أَمۡ قَوۡمُ تُبَّعٖ وَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ أَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ مُجۡرِمِينَ

৩৭. হে রাসূল! আপনার প্রতি মিথ্যারোপকারী এ সব মুশরিক কি ক্ষমতা ও প্রতিরক্ষায় ভালো, না কি তুব্বা ও তাদের পূর্ববর্তী আদ ও সামূদ জাতি। যাদের সবাইকে আমি ধ্বংস করেছি। তারা ছিলো সত্যিই অপরাধী।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 38

وَمَا خَلَقۡنَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ وَمَا بَيۡنَهُمَا لَٰعِبِينَ

৩৮. আমি আসমান, যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী বস্তুসামগ্রীকে খেল-তামাশা স্বরূপ সৃষ্টি করি নি।

ߟߝߊߙߌ ߘߏ߫: 39

مَا خَلَقۡنَٰهُمَآ إِلَّا بِٱلۡحَقِّ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ

৩৯. বরং আমি আসমান ও যমীনকে এক মহৎ তাৎপর্যকে সামনে রেখে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ তা বুঝতে অক্ষম।

ߟߝߊߙߌ ߟߎ߫ ߢߊ߬ߕߣߐ ߘߏ߫ ߞߐߜߍ ߣߌ߲߬ ߞߊ߲߬:

• وجوب لجوء المؤمن إلى ربه أن يحفظه من كيد عدوّه.

ক. মু’মিন ব্যক্তির উচিৎ তার শত্রæ থেকে স্বীয় প্রতিপালকের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করা।

• مشروعية الدعاء على الكفار عندما لا يستجيبون للدعوة، وعندما يحاربون أهلها.

খ. কাফিররা দাওয়াত গ্রহণ না করে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলে তাদের উপর বদদু‘আ করা বৈধ।

• الكون لا يحزن لموت الكافر لهوانه على الله.

গ. কাফিরের মৃত্যুতে আল্লাহর কোন সৃষ্টি চিন্তিত হয় না। কেননা, সে আল্লাহর নিকট হীন।

• خلق السماوات والأرض لحكمة بالغة يجهلها الملحدون.

ঘ. তিনি আসমান ও যমীনকে এক মহৎ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। যা নাস্তিকরা জানে না।