ترجمة معاني سورة المرسلات - الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم - موسوعة القرآن الكريم

سورة المرسلات - সূরা আল-মুরসালাত

من مقاصد السورة:

الوعيد للمكذبين بالويل يوم القيامة.

কিয়ামতের প্রতি মিথ্যারোপকারীদের প্রমাণাদির দালীলিক জবাব প্রদানের মাধ্যমে তা সাব্যস্ত করা এবং বারবার সাবধান বাণী ও সতর্ক সংকেত উচ্চারণ করা।

---

آية: 1

وَٱلۡمُرۡسَلَٰتِ عُرۡفٗا

১. আল্লাহ ঘোড়ার গর্দানের চুল সদৃশ অবিরাম বায়ুর শপথ করলেন।

آية: 2

فَٱلۡعَٰصِفَٰتِ عَصۡفٗا

২. তিনি শপথ করলেন দ্রæত চলমান ঝড় হাওয়ার।

آية: 3

وَٱلنَّٰشِرَٰتِ نَشۡرٗا

৩. তিনি বারি বিতরণকারী বায়ুর শপথ করলেন।

آية: 4

فَٱلۡفَٰرِقَٰتِ فَرۡقٗا

৪. তিনি শপথ করলেন সেই ফিরিশতাদের যারা সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী বিষয় নিয়ে অবতরণ করেন।

آية: 5

فَٱلۡمُلۡقِيَٰتِ ذِكۡرًا

৫. তিনি সে সব ফিরিশতার শপথও করলেন যাঁরা ওহী নিয়ে আগমন করেন।

آية: 6

عُذۡرًا أَوۡ نُذۡرًا

৬. যাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের নিকট ওহী নিয়ে অবতরণ করেন কৈফিয়ত স্বরূপ কিংবা মানুষকে আল্লাহর শাস্তি থেকে সতর্ককারী স্বরূপ।

آية: 7

إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَٰقِعٞ

৭. তোমাদেরকে যে পুনরুত্থান, হিসাব ও শাস্তির ভয় দেখানো হয় তা অবশ্যই সংঘটিত হবে।

آية: 8

فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتۡ

৮. যখন নক্ষত্ররাজির জ্যোতি মুছে ফেলা হবে এবং সেগুলোর আলো বিলুপ্ত হবে।

آية: 9

وَإِذَا ٱلسَّمَآءُ فُرِجَتۡ

৯. যখন ফিরিশতাদের অবতরণের ফলে আসমান সমূহ বিদীর্ণ হবে।

آية: 10

وَإِذَا ٱلۡجِبَالُ نُسِفَتۡ

১০. যখন পর্বতমালাকে আপন স্থান থেকে উঠিয়ে ফেলে সেগুলোকে চূর্ণবিচ‚র্ণ করে উড়িয়ে দেয়া হবে।

آية: 11

وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتۡ

১১. উপরন্তু রাসূলদেরকে নির্ধারিত সময়ে সমবেত করা হবে।

آية: 12

لِأَيِّ يَوۡمٍ أُجِّلَتۡ

১২. এক মহান দিবসের জন্য এ সবগুলোকে বিলম্বিত করা হয়েছে। যেন তাঁরা নিজেদের জাতির উপর সাক্ষ্য প্রদান করতে পারেন।

آية: 13

لِيَوۡمِ ٱلۡفَصۡلِ

১৩. যা হবে বান্দাদের মাঝে ফায়সালার দিন। যে দিন সত্যপরায়ণ ও মিথ্যাবাদী এবং সৌভাগ্যবান ও হতভাগার মাঝে পার্থক্য করা হবে।

آية: 14

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا يَوۡمُ ٱلۡفَصۡلِ

১৪. হে রাসূল! আপনাকে কোন্ বস্তু জানালো যে, আয়সালার দিন কোন্টি?!

آية: 15

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

১৫. সে দিন আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলদের আনিত বিষয়াদির প্রতি মিথ্যারোপকারীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও বিনাশ।

آية: 16

أَلَمۡ نُهۡلِكِ ٱلۡأَوَّلِينَ

১৬. আমি কি পূর্বেকার জাতিগুলোকে যখন তারা আল্লাহর সাথে কুফরী করেছিলো এবং তাঁর রাসূলদেরকে অবিশ্বাস করেছিলো তখন তাদেরকে ধ্বংস করে দেই নি?!

آية: 17

ثُمَّ نُتۡبِعُهُمُ ٱلۡأٓخِرِينَ

১৭. অতঃপর আমি তাদের পরবর্তী মিথ্যারোপকারীদেরকেও পাকড়াও করবো। ফলে তাদেরকে ওদের মতো করে ধ্বংস করবো।

آية: 18

كَذَٰلِكَ نَفۡعَلُ بِٱلۡمُجۡرِمِينَ

১৮. এ সব জাতিকে ধ্বংস করার মতো আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক আনিত বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপকারী অপরাধীদেরকেও ধ্বংস করবো।

آية: 19

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

১৯. সে দিন যারা পাপীদের জন্য আল্লাহর শাস্তির অঙ্গীকারের প্রতি মিথ্যারোপ করে তাদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

من فوائد الآيات في هذه الصفحة:

• خطر التعلق بالدنيا ونسيان الآخرة.

ক. দুনিয়ার মোহ এবং পরকাল থেকে উদাসীন থাকার ভয়াবহতা।

• مشيئة العبد تابعة لمشيئة الله.

খ. বান্দার ইচ্ছা মূলতঃ আল্লাহর ইচ্ছাধীন।

• إهلاك الأمم المكذبة سُنَّة إلهية.

গ. মিথ্যারোপকারী জাতিকে ধ্বংস করা আল্লাহর অমোঘ নিয়ম।

آية: 20

أَلَمۡ نَخۡلُقكُّم مِّن مَّآءٖ مَّهِينٖ

২০. হে মানব জাতি! আমি কি তোমাদেরকে এক বিন্দু তুচ্ছ পানি তথা বীর্য থেকে সৃষ্টি করি নি?!

آية: 21

فَجَعَلۡنَٰهُ فِي قَرَارٖ مَّكِينٍ

২১. অতঃপর আমি এ তুচ্ছ পানিকে সংরক্ষিত স্থান তথা নারীর গর্ভাশয়ে স্থাপন করেছি।

آية: 22

إِلَىٰ قَدَرٖ مَّعۡلُومٖ

২২. একটি নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত। যা হলো গর্ভ ধারণের মেয়াদ।

آية: 23

فَقَدَرۡنَا فَنِعۡمَ ٱلۡقَٰدِرُونَ

২৩. অতঃপর আমি শিশুর বৈশিষ্ট্য, পরিমাণ ও বর্ণ ইত্যাদি নির্ধারণ করলাম। আর আমিই এ সব করতে সর্বোত্তম ক্ষমতাধর।

آية: 24

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

২৪. সে দিন তাদের জন্য ধ্বংস, শাস্তি ও ক্ষতি রয়েছে যারা আল্লাহর ক্ষমতাকে অস্বীকার করে।

آية: 25

أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ كِفَاتًا

২৫. আমি কি যমীনকে সকল মানুষের জন্য ধারণকারী হিসাবে পরিগণিত করিনি?!

آية: 26

أَحۡيَآءٗ وَأَمۡوَٰتٗا

২৬. সে জীবিতদেরকে বসবাস এবং আবাসন আর মৃতদেরকে তাতে দাফনের মাধ্যমে ধারণ করে।

آية: 27

وَجَعَلۡنَا فِيهَا رَوَٰسِيَ شَٰمِخَٰتٖ وَأَسۡقَيۡنَٰكُم مَّآءٗ فُرَاتٗا

২৭. আমি এর উপর স্থাপন করেছি সুদৃঢ় ও সুউচ্চ পর্বতমালা যা তাকে নড়াচড়া থেকে রক্ষা করে। হে মানব সমাজ! আমি তোমাদেরকে মিঠা পানি পান করালাম। অতএব, যিনি এটি সৃষ্টি করলেন তিনি তোমাদের পুনরুত্থানে অপারগ নন।

آية: 28

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

২৮. সে দিন তাদের জন্যে ধ্বংস, শাস্তি ও ক্ষতি যারা নিজেদের উপর আল্লাহর অবদানের প্রতি মিথ্যারোপ করে।

آية: 29

ٱنطَلِقُوٓاْ إِلَىٰ مَا كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ

২৯. যারা রাসূলদের আনিত বিষয়কে অবিশ্বাস করে তাদেরকে বলা হবে, হে মিথ্যারোপকারীরা! তোমরা যে শাস্তির প্রতি মিথ্যারোপ করতে তার সেটির দিকে চলো।

آية: 30

ٱنطَلِقُوٓاْ إِلَىٰ ظِلّٖ ذِي ثَلَٰثِ شُعَبٖ

৩০. তোমরা আগুনের ধোঁয়ার এমন এক ছায়ার দিকে চলো যা তিন ভাগে বিভক্ত।

آية: 31

لَّا ظَلِيلٖ وَلَا يُغۡنِي مِنَ ٱللَّهَبِ

৩১. তথায় ছায়ার শীতলতা নেই। আর না তাতে এমন কিছু আছে যা তোমাদেরকে অগ্নি শিখার লেলিহান আগ্রাসন ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে পারে।

آية: 32

إِنَّهَا تَرۡمِي بِشَرَرٖ كَٱلۡقَصۡرِ

৩২. সে আগুন অট্টালিকাতুল্য মহা স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করবে।

آية: 33

كَأَنَّهُۥ جِمَٰلَتٞ صُفۡرٞ

৩৩. সেগুলো কালো বর্ণের গাঢ়ত্বে ও বিশালতায় কালো বর্ণের উটের ন্যায়।

آية: 34

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

৩৪. সে দিন আল্লাহর শাস্তিকে অবিশ্বাসকারীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

آية: 35

هَٰذَا يَوۡمُ لَا يَنطِقُونَ

৩৫. এটি সে দিন যাতে তারা কোন টুশব্দ পর্যন্ত করতে পারবে না।

آية: 36

وَلَا يُؤۡذَنُ لَهُمۡ فَيَعۡتَذِرُونَ

৩৬. না তাদেরকে স্বীয় প্রতিপালকের দরবারে পাপ ও কুফরি থেকে উযর পেশ করার অনুমতি দেয়া হবে। যার ফলে তারা নিজেদের উযর পেশ করতে পারবে।

آية: 37

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

৩৭. সে দিন এ জাতীয় সংবাদগুলো অস্বীকারকারীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

آية: 38

هَٰذَا يَوۡمُ ٱلۡفَصۡلِۖ جَمَعۡنَٰكُمۡ وَٱلۡأَوَّلِينَ

৩৮. এ দিন সৃষ্টিকুলের মাঝে ফায়সালার দিন। আমি সে দিন তোমাদেরকে ও পূর্ববর্তী জাতিসমূহকে এক জায়গায় সমবেত করবো।

آية: 39

فَإِن كَانَ لَكُمۡ كَيۡدٞ فَكِيدُونِ

৩৯. যদি আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্তির জন্য তোমাদের নিকট কোন অপকৌশল থাকে তাহলে আমার বিপক্ষে তা প্রয়োগ করো।

آية: 40

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

৪০. সে দিন এর অস্বীকারকারীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

آية: 41

إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي ظِلَٰلٖ وَعُيُونٖ

৪১. অবশ্যই আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্যকারী মুত্তাকীরা সে দিন ঘনীভূত বৃক্ষরাজির ছায়া ও প্রবাহিত মিঠা পানির ঝর্নায় অবস্থান করবে।

آية: 42

وَفَوَٰكِهَ مِمَّا يَشۡتَهُونَ

৪২. তারা নিজেদের সখের ফলমূলের মাঝে বিরাজ করবে।

آية: 43

كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ هَنِيٓـَٔۢا بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ

৪৩. তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে, তোমরা দুনিয়ার জীবনে কৃত নেক আমলের বিনিময়ে পবিত্র জীবিকা ভক্ষণ করো এবং তৃপ্তিকর নিষ্কলুষ পানি পান করো।

آية: 44

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلۡمُحۡسِنِينَ

৪৪. আমি তোমাদেরকে এই যে প্রতিদান দিয়েছি এভাবেই সকল সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।

آية: 45

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

৪৫. আল্লাহ মুত্তাকীদের উদ্দেশ্যে যা প্রস্তুত করে রেখেছেন সেগুলোকে যারা অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

آية: 46

كُلُواْ وَتَمَتَّعُواْ قَلِيلًا إِنَّكُم مُّجۡرِمُونَ

৪৬. আর মিথ্যারোপকারীদেরকে বলা হবে, তোমরা দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী কিছু স্বাদ উপভোগ করো। তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী ও তাঁর রাসূলদের প্রতি অস্বীকৃতির ফলে অপরাধী।

آية: 47

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

৪৭. যারা প্রতিদান দিবসে নিজেদের প্রতিদান সমম্পর্কে অবিশ্বাসী তাদের জন্য এ দিনে রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

آية: 48

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱرۡكَعُواْ لَا يَرۡكَعُونَ

৪৮. যখন এ সব মিথ্যারোপকারীদেরকে বলা হয়, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো তখন তারা তাঁর উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করে না।

آية: 49

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

৪৯. সে দিন রাসূলগণ আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে আগমন করেছেন তা অস্বীকারকারীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস, শাস্তি ও ভোগান্তি।

آية: 50

فَبِأَيِّ حَدِيثِۭ بَعۡدَهُۥ يُؤۡمِنُونَ

৫০. তারা যদি নিজেদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এ কুরআনের উপর ঈমান না আনে তাহলে আর কোন্ বাণীতে তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে?!

من فوائد الآيات في هذه الصفحة:

• رعاية الله للإنسان في بطن أمه.

ক. আল্লাহ কর্তৃক মানুষের প্রতি তার মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় বিশেষ যতœ।

• اتساع الأرض لمن عليها من الأحياء، ولمن فيها من الأموات.

খ. যমীনে বিচরণকারী জীবিত ও দাফনকৃত মৃত সবার ধারণ ক্ষমতা এর বিস্তৃতির মধ্যেই রয়েছে।

• خطورة التكذيب بآيات الله والوعيد الشديد لمن فعل ذلك.

গ. আল্লাহর আয়াতসমূহ মিথ্যারোপ করার ভয়াবহতা এবং এ সব অবিশ্বাসীদের জন্য কঠিন সাবধান বাণী।