Check out the new design

আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ অৰ্থানুবাদ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ * - অনুবাদসমূহৰ সূচীপত্ৰ


অৰ্থানুবাদ ছুৰা: আৰ-ৰাআদ   আয়াত:
ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ طُوبَىٰ لَهُمۡ وَحُسۡنُ مَـَٔابٖ
২৯. এরা যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে এবং তাঁর নৈকট্য দানকারী নেক আমল করেছে তাদের জন্য রয়েছে পরকালের পবিত্র জীবন। উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে সুন্দর পরিণতি তথা জান্নাত।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
كَذَٰلِكَ أَرۡسَلۡنَٰكَ فِيٓ أُمَّةٖ قَدۡ خَلَتۡ مِن قَبۡلِهَآ أُمَمٞ لِّتَتۡلُوَاْ عَلَيۡهِمُ ٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ وَهُمۡ يَكۡفُرُونَ بِٱلرَّحۡمَٰنِۚ قُلۡ هُوَ رَبِّي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيۡهِ تَوَكَّلۡتُ وَإِلَيۡهِ مَتَابِ
৩০. হে রাসূল! যেভাবে আমি পূর্ববর্তী রাসূলদেরকে তাঁদের উম্মতগুলোর নিকট পাঠিয়েছি তেমনিভাবে আপনাকেও আপনার উম্মতের নিকট পাঠিয়েছি। যেন আপনি নিজের উপর ওহীকৃত কুর‘আন তাদেরকে পড়ে শুনাতে পারেন। কারণ, সেটি আপনার সত্যতার প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট। তবে আপনার জাতির অবস্থা হলো তারা এ নিদর্শনকে অস্বীকার করে। কারণ, তারা রহমানের সাথে কুফরি করে তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করে। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন, যে রহমানের সাথে তোমরা অন্যকে শরীক করছো তিনি হলেন আমার প্রতিপালক। যিনি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। আমার সকল ব্যাপারে আমি তাঁর উপরই ভরসা করি এবং তাঁর দিকেই আমি ফিরে যাই।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
وَلَوۡ أَنَّ قُرۡءَانٗا سُيِّرَتۡ بِهِ ٱلۡجِبَالُ أَوۡ قُطِّعَتۡ بِهِ ٱلۡأَرۡضُ أَوۡ كُلِّمَ بِهِ ٱلۡمَوۡتَىٰۗ بَل لِّلَّهِ ٱلۡأَمۡرُ جَمِيعًاۗ أَفَلَمۡ يَاْيۡـَٔسِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَن لَّوۡ يَشَآءُ ٱللَّهُ لَهَدَى ٱلنَّاسَ جَمِيعٗاۗ وَلَا يَزَالُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ تُصِيبُهُم بِمَا صَنَعُواْ قَارِعَةٌ أَوۡ تَحُلُّ قَرِيبٗا مِّن دَارِهِمۡ حَتَّىٰ يَأۡتِيَ وَعۡدُ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُخۡلِفُ ٱلۡمِيعَادَ
৩১. হে রাসূল! যদি কোন আসমানী কিতাবের এমন বৈশিষ্ট্য হতো যে, তার মাধ্যমে পাহাড়গুলোকে নিজ জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়া হতো অথবা তার মাধ্যমে জমিন ফাটিয়ে সেটিকে নদী ও নালায় রূপান্তরিত করা হতো কিংবা মৃতদের উপর সেটিকে পড়ে তাদেরকে জীবিত করা হতো তাহলে আপনার উপর নাযিলকৃত এ কুর‘আনই তা হতো। কারণ, এটি হলো সুস্পষ্ট দলীল এবং অতীব প্রভাবশালী। যদি তারা আন্তরিকভাবে আল্লাহভীরু হতো তাহলে উপলব্ধি করতে পারতো। কিন্তু তারা তো অস্বীকারকারী। আসলে মু’জিযা বা অলৌকিক ঘটনা নাযিলের সকল ব্যাপারই আল্লাহর হাতে। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীরা কি জানে না যে, আল্লাহ তা‘আলা যদি কোন নিদর্শন ছাড়াই সকল মানুষের হিদায়েত চাইতেন তাহলে তিনি এসব ছাড়াই সবাইকে হিদায়েত দিতে পারতেন? তবে তিনি তা চাননি। যারা আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে তাদের উপর নিজেদের কুফরি ও গুনাহের দরুন আঘাতকারী কঠিন বিপদ আসতেই থাকে অথবা সে বিপদ তাদের ঘরের কাছেই নাযিল হয়। যতক্ষণ না লাগাতার আযাব নাযিলের আল্লাহর ওয়াদা এসে পড়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা যখন তাঁর ওয়াদা বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময় চলে আসে তখন তা থেকে পিছপা হন না।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
وَلَقَدِ ٱسۡتُهۡزِئَ بِرُسُلٖ مِّن قَبۡلِكَ فَأَمۡلَيۡتُ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ ثُمَّ أَخَذۡتُهُمۡۖ فَكَيۡفَ كَانَ عِقَابِ
৩২. হে রাসূল! আপনিই প্রথম রাসূল নন যাঁকে তাঁর জাতি মিথ্যুক বলেছে ও তাঁকে নিয়ে তারা ঠাট্টা করেছে। বরং আপনার পূর্বের জাতিরাও তাদের রাসূলদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করেছে ও তাঁদেরকে মিথ্যুক বলেছে। অতঃপর আমি তাদের রাসূলদের প্রতি কুফরিকারীদেরকে সুযোগ দিয়েছি। ফলে তারা ধারণা করেছে যে, নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে ধ্বংস করবো না। সুযোগের পর আমি তাদেরকে রকমারি শাস্তি দিয়ে পাকড়াও করেছি। দেখুন, তাদের প্রতি আমার শাস্তি কেমন ছিলো? নিশ্চয়ই তা ছিলো অত্যন্ত কঠিন শাস্তি।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
أَفَمَنۡ هُوَ قَآئِمٌ عَلَىٰ كُلِّ نَفۡسِۭ بِمَا كَسَبَتۡۗ وَجَعَلُواْ لِلَّهِ شُرَكَآءَ قُلۡ سَمُّوهُمۡۚ أَمۡ تُنَبِّـُٔونَهُۥ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلۡأَرۡضِ أَم بِظَٰهِرٖ مِّنَ ٱلۡقَوۡلِۗ بَلۡ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ مَكۡرُهُمۡ وَصُدُّواْ عَنِ ٱلسَّبِيلِۗ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِنۡ هَادٖ
৩৩. যিনি তাঁর সকল সৃষ্টির হিফাযতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং সকল ব্যক্তির অর্জিত আমল পর্যবেক্ষণ করে তার আমলের প্রতিদান দিবেন তিনি কি ইবাদাতের উপযুক্ত নন, না এ মূর্তিগুলো যাদের ইবাদাতের কোন উপযুক্ততাই নেই? অথচ কাফিররা অবিচার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদেরকে আল্লাহর শরীক বানিয়েছে। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: তোমরা সেই শরীকদের নাম বলো আল্লাহর সাথে তোমরা যাদের ইবাদাত করো যদি তোমরা নিজেদের দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাকো। না কি তোমরা আল্লাহকে জমিনের সেই শরীকদের সংবাদ দিচ্ছো যা তিনি জানেন না। না কি তোমরা তাঁকে এমন একটি স্থ‚ল কথার সংবাদ দিচ্ছো যার কোন মৌলিকত্ব নেই? বরং শয়তান কাফিরদের সামনে তাদের নিকৃষ্ট পরিকল্পনাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে বলে তারা আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে এবং সে তাদেরকে হিদায়েত ও সত্য পথ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ যাকে সঠিক পথ থেকে ভ্রষ্ট করেছে তাকে হিদায়েত দেয়ার আর কেউ নেই।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
لَّهُمۡ عَذَابٞ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَلَعَذَابُ ٱلۡأٓخِرَةِ أَشَقُّۖ وَمَا لَهُم مِّنَ ٱللَّهِ مِن وَاقٖ
৩৪. তাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে মু’মিনদের হাতে হত্যা ও বন্দী করার মাধ্যমে শাস্তি রয়েছে। তবে অপেক্ষমাণ পরকালের শাস্তি তাদের জন্য দুনিয়ার আযাবের চেয়ে অনেক কঠিন ও ভয়াবহ। কারণ, তাতে বিভীষিকা ও অবিচ্ছিন্নতা রয়েছে। তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদেরকে রক্ষা করবে।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:
• أن الأصل في كل كتاب منزل أنه جاء للهداية، وليس لاستنزال الآيات، فذاك أمر لله تعالى يقدره متى شاء وكيف شاء.
ক. মূলতঃ প্রত্যেক নাযিলকৃত কিতাবই হিদায়েত দানের জন্য এসেছে। কোন অলৌকিক নিদর্শন হওয়া এর মূল বিষয় নয়। তবে এ বিষয়টি কেবলমাত্র আল্লাহর উপরই ন্যস্ত। তিনি যখন ও যেভাবে চান তা নির্ধারণ করে থাকেন।

• تسلية الله تعالى للنبي صلى الله عليه وسلم، وإحاطته علمًا أن ما يسلكه معه المشركون من طرق التكذيب، واجهه أنبياء سابقون.
খ. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি আল্লাহর সান্ত¦না প্রদান এবং তাঁকে এ ব্যাপারে জানানো যে, মুশরিকরা তাঁর সাথে মিথ্যারোপের যে পথগুলোতে হাঁটছে পূর্ববর্তী নবীগণও সেরকম আচরণের সম্মুখীন হয়েছেন।

• يصل الشيطان في إضلال بعض العباد إلى أن يزين لهم ما يعملونه من المعاصي والإفساد.
গ. কিছু বান্দাকে শয়তান পথভ্রষ্ট করার ক্ষেত্রে এ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যে, সে তাদের কৃত গুনাহ ও ফাসাদকে তাদের সামনে অলঙ্কৃত ও সজ্জিত করে উপস্থাপন করে।

 
অৰ্থানুবাদ ছুৰা: আৰ-ৰাআদ
ছুৰাৰ তালিকা পৃষ্ঠা নং
 
আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ অৰ্থানুবাদ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - অনুবাদসমূহৰ সূচীপত্ৰ

তাফছীৰ চেণ্টাৰ ফৰ কোৰানিক ষ্টাডিজৰ ফালৰ পৰা প্ৰচাৰিত।

বন্ধ