Check out the new design

আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ অৰ্থানুবাদ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ * - অনুবাদসমূহৰ সূচীপত্ৰ


অৰ্থানুবাদ ছুৰা: আল-বাক্বাৰাহ   আয়াত:
۞ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِي يَوۡمَيۡنِ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِۖ لِمَنِ ٱتَّقَىٰۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُمۡ إِلَيۡهِ تُحۡشَرُونَ
২০৩. তোমরা কিছু দিন তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ও তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করো। সে দিনগুলো হলো যিল-হজ্জের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ। সুতরাং কেউ যদি ১২ তারিখে পাথর নিক্ষেপ করে মিনা থেকে দ্রæত বের হয়ে যেতে চায় তাহলে সে যেতে পারে। তাতে কোন প্রকারের গুনাহ নেই। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা ব্যাপারটিকে হালকা করে দিয়েছেন। আর যে ১৩ তারিখের পাথর মারা পর্যন্ত দেরী করবে সেও তা করতে পারে। তাতে কোন অসুবিধে নেই। বরং সে পরিপূর্ণ আমলটাই করলো এবং সে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পুরো কর্মেরই অনুসারী হলো। এ সবই ওই ব্যক্তির জন্য যে হজ্জের সময় আল্লাহকে ভয় করে তাঁর আদেশসমূহ পালন করেছে। তোমরা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করে তাঁকেই ভয় করো। এ কথা সুনিশ্চিত যে, তোমরা সবাই তাঁর নিকটই ফিরে যাবে অতঃপর তিনি তোমাদের আমলসমূহের প্রতিদান দিবেন।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُعۡجِبُكَ قَوۡلُهُۥ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَيُشۡهِدُ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا فِي قَلۡبِهِۦ وَهُوَ أَلَدُّ ٱلۡخِصَامِ
২০৪. হে নবী! মানুষের মাঝে কিছু আছে মুনাফিক। যার কথাবার্তা এ দুনিয়াতে আপনার খুব ভালোই লাগবে। দেখবেন, সে খুব সুন্দর কথাই বলছে। এমনকি আপনি তাকে সত্যবাদী এবং কল্যাণকামীই মনে করবেন। অথচ তার মূল উদ্দেশ্য হলো শুধুমাত্র তার জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা। উপরন্তু সে মিথ্যাবশতঃ আল্লাহকে তার অন্তরের ঈমান ও কল্যাণের সাক্ষী বানাচ্ছে। আর সে মুসলমানদের কঠিন শত্রæ এবং মারাত্মক ঝগড়াটে।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
وَإِذَا تَوَلَّىٰ سَعَىٰ فِي ٱلۡأَرۡضِ لِيُفۡسِدَ فِيهَا وَيُهۡلِكَ ٱلۡحَرۡثَ وَٱلنَّسۡلَۚ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلۡفَسَادَ
২০৫. যখন সে আপনার নিকট থেকে ফিরে চলে যায় তখন সে গুনাহর মাধ্যমে জমিনে ফাসাদ সৃষ্টির চেষ্টা করে। তেমনিভাবে সে ফসলের হানি করে এবং গৃহপালিত পশুগুলোকে হত্যা করে। আর আল্লাহ তা‘আলা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ও সৃষ্টিকারীকে কখনোই পছন্দ করেন না।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
وَإِذَا قِيلَ لَهُ ٱتَّقِ ٱللَّهَ أَخَذَتۡهُ ٱلۡعِزَّةُ بِٱلۡإِثۡمِۚ فَحَسۡبُهُۥ جَهَنَّمُۖ وَلَبِئۡسَ ٱلۡمِهَادُ
২০৬. যখন এ ফাসাদ সৃষ্টিকারীকে নসীহত করতে গিয়ে বলা হয়, তুমি আল্লাহকে ভয় করে তাঁর দেয়া সীমারেখাকে সম্মান করো এবং তাঁর নিষিদ্ধ কর্মকাÐ থেকে দূরে থাকো তাঁকে ভয় করো তখন তার অহঙ্কারবোধ ও নিজের সম্মান রক্ষার চিন্তা তাকে সত্যের দিকে ফিরে আসার পথে বাধার সৃষ্টি করে। তখন সে লাগাতার গুনাহই করতে থাকে। তাই তার উপযুক্ত প্রতিদান হলো জাহান্নামে প্রবেশ করা। আর জাহান্নাম হলো তার অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত নিকৃষ্ট একটি গন্তব্যস্থল।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشۡرِي نَفۡسَهُ ٱبۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ رَءُوفُۢ بِٱلۡعِبَادِ
২০৭. আবার মানুষের মাঝে কিছু রয়েছে সত্যিকার ঈমানদার। যারা নিজেদের জীবনকে আল্লাহর নিকট বিকিয়ে দিয়ে প্রভুর আনুগত্যে সেটিকে ব্যয় করে। তারা তাঁর পথে জিহাদ করে ও সর্বদা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি করুণাময় অতীব দয়ালু।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱدۡخُلُواْ فِي ٱلسِّلۡمِ كَآفَّةٗ وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ
২০৮. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো; তার কোন কিছুই ছেড়ে দিয়ো না। যা আহলে কিতাবদের চরিত্র। তারা কিতাবের কিছু অংশকে বিশ্বাস করে আর কিছু অংশের সাথে কুফরি করে। আর তোমরা শয়তানের পথের অনুসরণ করো না। কারণ, সে তোমাদের প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট শত্রæ।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
فَإِن زَلَلۡتُم مِّنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡكُمُ ٱلۡبَيِّنَٰتُ فَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
২০৯. তোমাদের নিকট অবিমিশ্র ও সুস্পষ্ট প্রমাণাদি আসার পরও যদি তোমাদের পদস্খলন হয় তাহলে জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর শক্তি ও সামর্থ্যে পরাক্রমশালী; তাঁর শরীয়ত রচনা ও বিশ্ব পরিচালনায় প্রজ্ঞাময়। তাই তোমরা তাঁকে সম্মান ও ভয় করে চলো।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
هَلۡ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن يَأۡتِيَهُمُ ٱللَّهُ فِي ظُلَلٖ مِّنَ ٱلۡغَمَامِ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَقُضِيَ ٱلۡأَمۡرُۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرۡجَعُ ٱلۡأُمُورُ
২১০. এতো কিছুর পরও যারা সত্যকে পাশ কাটিয়ে শয়তানের পথ অনুসরণ করেছে তারা কি এখনো এই অপেক্ষাই করছে যে, আল্লাহ তা‘আলা মেঘমালার ছায়াতলে নিজেই তাদের নিকট এসে উপস্থিত হবেন এবং ফেরেশতাগণ তাদেরকে চতুর্দিক থেকে বেষ্টন করে রাখবেন? কিন্তু তখনই তো আল্লাহর চ‚ড়ান্ত ফায়সালা ঘোষিত হয়ে যাবে এবং তাদের ব্যাপারসমূহের পরিসমাপ্তি ঘটবে। বস্তুতঃ একমাত্র আল্লাহর দিকেই তাঁর সৃষ্টির সকল ব্যাপার ও কর্মকাÐ প্রত্যাবর্তিত হয়।
আৰবী তাফছীৰসমূহ:
এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:
• التقوى حقيقة لا تكون بكثرة الأعمال فقط، وإنما بمتابعة هدي الشريعة والالتزام بها.
ক. আল্লাহভীরুতা কেবল বেশি বেশি নেক আমলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা শরীয়তের হিদায়েতগুলোকে ভালোভাবে অনুসরণ এবং সেগুলোকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।

• الحكم على الناس لا يكون بمجرد أشكالهم وأقوالهم، بل بحقيقة أفعالهم الدالة على ما أخفته صدورهم.
খ. মানুষের আকৃতি এবং তাদের কথার ভিত্তিতেই তাদের বিচার করা যায় না। বরং তা নিরূপিত হয় তাদের মূল কর্মকাÐের ভিত্তিতেই যা বস্তুতঃ তাদের মনের গোপন ব্যাপারগুলোর উপর অকাট্য দলীল।

• الإفساد في الأرض بكل صوره من صفات المتكبرين التي تلازمهم، والله تعالى لا يحب الفساد وأهله.
গ. পৃথিবীতে সার্বিক ফাসাদ সৃষ্টি করা কেবল অহঙ্কারকারীদেরই বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা কখনোই ফাসাদ সৃষ্টি করা এবং সৃষ্টিকারীদেরকে ভালোবাসেন না।

• لا يكون المرء مسلمًا حقيقة لله تعالى حتى يُسَلِّم لهذا الدين كله، ويقبله ظاهرًا وباطنًا.
ঘ. কোন মানুষ আল্লাহর একান্ত অনুগত বান্দা হতে পারে না যতক্ষণনা সে এ ধর্মকে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যভাবে পুরোপুরি মনেপ্রাণে মেনে নেয়।

 
অৰ্থানুবাদ ছুৰা: আল-বাক্বাৰাহ
ছুৰাৰ তালিকা পৃষ্ঠা নং
 
আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ অৰ্থানুবাদ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - অনুবাদসমূহৰ সূচীপত্ৰ

তাফছীৰ চেণ্টাৰ ফৰ কোৰানিক ষ্টাডিজৰ ফালৰ পৰা প্ৰচাৰিত।

বন্ধ