অৰ্থানুবাদ ছুৰা ত্বা-হা - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 313 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 13

وَأَنَا ٱخۡتَرۡتُكَ فَٱسۡتَمِعۡ لِمَا يُوحَىٰٓ

১৩. হে মূসা! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বেছে নিয়েছি আমার রিসালাত পৌঁছানোর জন্য। তাই আপনার উপর আমি যা ওহী করছি তা আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

আয়াত: 14

إِنَّنِيٓ أَنَا ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعۡبُدۡنِي وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِذِكۡرِيٓ

১৪. নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ। আমি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তাই তুমি এককভাবে আমারই ইবাদাত করো। আর আমাকে স্মরণ করার জন্য পরিপূর্ণরূপে সালাত আদায় করো।

আয়াত: 15

إِنَّ ٱلسَّاعَةَ ءَاتِيَةٌ أَكَادُ أُخۡفِيهَا لِتُجۡزَىٰ كُلُّ نَفۡسِۭ بِمَا تَسۡعَىٰ

১৫. নিশ্চয়ই কিয়ামত আসা অবশ্যম্ভাবী ও তা অতি বাস্তব। কিন্তু আমি তা গোপন রেখেছি। তাই তার সময় আমার কোন সৃষ্টি জানে না। তবে তারা তার আলামতগুলো জানে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে সে ব্যাপারে সংবাদ দেয়ার দরুন। যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্মের প্রতিদান দেয়া যায়। চাই তা ভালো হোক কিংবা মন্দ।

আয়াত: 16

فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنۡهَا مَن لَّا يُؤۡمِنُ بِهَا وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ فَتَرۡدَىٰ

১৬. তাই যে কাফির একে বিশ্বাস করে না এবং সে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়ে হারাম কাজের অনুসরণ করে নিজকে ধ্বংস করে দেয় সে যেন আপনাকে পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং নেক আমলের মাধ্যমে তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা থেকে ফিরিয়ে না রাখে।

আয়াত: 17

وَمَا تِلۡكَ بِيَمِينِكَ يَٰمُوسَىٰ

১৭. হে মূসা! তোমার ডান হাতের এটি কী?

আয়াত: 18

قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّؤُاْ عَلَيۡهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَىٰ غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَـَٔارِبُ أُخۡرَىٰ

১৮. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: এটি আমার লাঠি। চলার সময় আমি তার উপর ভর দেই। আর আমি এটিকে দিয়ে গাছকে ঝাড়া দেই। যাতে তার পাতাগুলো আমার চাগলের জন্য ঝরে পড়ে। এ ছাড়াও তাতে আমার অনেক ফায়েদা রয়েছে।

আয়াত: 19

قَالَ أَلۡقِهَا يَٰمُوسَىٰ

১৯. আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে মূসা! আপনি এটিকে নিক্ষেপ করুন।

আয়াত: 20

فَأَلۡقَىٰهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٞ تَسۡعَىٰ

২০. মূসা (আলাইহিস-সালাম) লাঠিটিকে নিক্ষেপ করলে তা সাপে রূপান্তরিত হয়। যা দ্রæত ও ক্ষিপ্র বেগে চলতে থাকে।

আয়াত: 21

قَالَ خُذۡهَا وَلَا تَخَفۡۖ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا ٱلۡأُولَىٰ

২১. আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে বললেন: আপনি লাঠি ধরুন। তা সাপে রূপান্তরিত হওয়াতে আপনি একটুও ভয় পাবেন না। আপনি তাকে ধরলেই আমি অচিরেই তাকে প্রথম অবস্থায় ফিরিয়ে দেবো।

আয়াত: 22

وَٱضۡمُمۡ يَدَكَ إِلَىٰ جَنَاحِكَ تَخۡرُجۡ بَيۡضَآءَ مِنۡ غَيۡرِ سُوٓءٍ ءَايَةً أُخۡرَىٰ

২২. আর আপনি নিজের হাতকে আপনার পার্শ্ব দেশের সাথে মিলান। দেখবেন তা কোন শ্বেত রোগ ছাড়াই সাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে। যা আপনার জন্য দ্বিতীয় আলামত।

আয়াত: 23

لِنُرِيَكَ مِنۡ ءَايَٰتِنَا ٱلۡكُبۡرَى

২৩. হে মূসা! আমি আপনাকে এ দু’টি আলামত দেখালাম। যাতে আমি আপনাকে আমার কুদরত এবং আপনি যে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রাসূল তা বুঝায় এমন কিছু মহান নিদর্শনাবলী দেখাতে পারি।

আয়াত: 24

ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ

২৪. হে মূসা! আপনি ফির‘আউনের নিকট যান। কারণ, সে আল্লাহর সাথে কুফরি ও গাদ্দারি করার ব্যাপারে সীমাতিক্রম করেছে।

আয়াত: 25

قَالَ رَبِّ ٱشۡرَحۡ لِي صَدۡرِي

২৫. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার অন্তরকে প্রশস্ত করুন। যাতে আমি কষ্ট সইতে পারি।

আয়াত: 26

وَيَسِّرۡ لِيٓ أَمۡرِي

২৬. আর আমার ব্যাপারটিকে সহজ করে দিন।

আয়াত: 27

وَٱحۡلُلۡ عُقۡدَةٗ مِّن لِّسَانِي

২৭. আর আমাকে সুস্পষ্ট কথা বলার শক্তি দিন।

আয়াত: 28

يَفۡقَهُواْ قَوۡلِي

২৮. যাতে আমি যখন আপনার রিসালাত তাদের নিকট পৌঁছিয়ে দেবো তখন তারা যেন আমার কথা বুঝতে পারে।

আয়াত: 29

وَٱجۡعَل لِّي وَزِيرٗا مِّنۡ أَهۡلِي

২৯. উপরন্তু আপনি আমার পরিবারবর্গ থেকে আমার একজন সহযোগী বানিয়ে দিন যে আমার বিষয়াবলীতে আমাকে সহযোগিতা করবে।

আয়াত: 30

هَٰرُونَ أَخِي

৩০. তথা আমার ভাই হারূন ইবনু ইমরানকে।

আয়াত: 31

ٱشۡدُدۡ بِهِۦٓ أَزۡرِي

৩১. আপনি তারই মাধ্যমে আমার পিঠকে শক্তিশালী করুন।

আয়াত: 32

وَأَشۡرِكۡهُ فِيٓ أَمۡرِي

৩২. আর আপনি তাকে রিসালাতের ক্ষেত্রে আমার অংশীদার বানিয়ে দিন।

আয়াত: 33

كَيۡ نُسَبِّحَكَ كَثِيرٗا

৩৩. যাতে আমরা আপনার বেশি বেশি পবিত্রতা বর্ণনা করতে পারি।

আয়াত: 34

وَنَذۡكُرَكَ كَثِيرًا

৩৪. আর আপনাকে বেশি বেশি স্মরণ করতে পারি।

আয়াত: 35

إِنَّكَ كُنتَ بِنَا بَصِيرٗا

৩৫. নিশ্চয়ই আপনি আমাদেরকে দেখছেন। আমাদের কোন ব্যাপারই আপনার নিকট গোপন নয়।

আয়াত: 36

قَالَ قَدۡ أُوتِيتَ سُؤۡلَكَ يَٰمُوسَىٰ

৩৬. আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে মূসা! তুমি যা চেয়েছো আমি তোমাকে তাই দিয়েছি।

আয়াত: 37

وَلَقَدۡ مَنَنَّا عَلَيۡكَ مَرَّةً أُخۡرَىٰٓ

৩৭. আমি তোমাকে দ্বিতীয়বার আরো নিয়ামত দিয়েছি।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• وجوب حسن الاستماع في الأمور المهمة، وأهمها الوحي المنزل من عند الله.

ক. গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো ভালোভাবে শুনা ওয়াজিব। বিশেষ করে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ওহী।

• اشتمل أول الوحي إلى موسى على أصلين في العقيدة وهما: الإقرار بتوحيد الله، والإيمان بالساعة (القيامة)، وعلى أهم فريضة بعد الإيمان وهي الصلاة.

খ. মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতি অবতীর্ণ সর্বপ্রথম ওহী আক্বীদার দু’টি মৌলিক বিষয়কে শামিল করেছে। সেগুলো হলো: আল্লাহর তাওহীদের স্বীকৃতি এবং কিয়ামতের প্রতি ঈমান। তেমনিভাবে তা ঈমানের পরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরযকেও শামিল করেছে। যা হলো সালাত।

• التعاون بين الدعاة ضروري لإنجاح المقصود؛ فقد جعل الله لموسى أخاه هارون نبيَّا ليعاونه في أداء الرسالة.

গ. উদ্দেশ্য সফলের জন্য দা’য়ীদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর জন্য তাঁর ভাই হারূনকে নবী বানিয়েছেন। যাতে তিনি রিসালাত আদায়ে মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর সহযোগিতা করতে পারেন।

• أهمية امتلاك الداعية لمهارة الإفهام للمدعوِّين.

ঘ. যাদেরকে উদ্দেশ্য করে দা’ওয়াত দেয়া হচ্ছে তাদেরকে বুঝানোর দক্ষতা একজন দা’য়ীর নিকট থাকার গুরুত্ব অনেক।