অৰ্থানুবাদ ছুৰা ক্বাফ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 519 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 16

وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ وَنَعۡلَمُ مَا تُوَسۡوِسُ بِهِۦ نَفۡسُهُۥۖ وَنَحۡنُ أَقۡرَبُ إِلَيۡهِ مِنۡ حَبۡلِ ٱلۡوَرِيدِ

১৬. আমি অবশ্যই মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মনে যে সব মনোভাব ও চিন্তার উদয় হয় তা আমি জানি। আমি তার অন্তরের সাথে যুক্ত ঘাড়ে অবস্থিত শিরা অপেক্ষা আরো নিকটবর্তী।

আয়াত: 17

إِذۡ يَتَلَقَّى ٱلۡمُتَلَقِّيَانِ عَنِ ٱلۡيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ قَعِيدٞ

১৭. যখন তার আমল সংরক্ষণকারী উভয় ফিরিশতা মিলিত হবে। তাদের একজন তার ডান পার্শ্বে বসবে ও অপরজন বসবে তার বাম পার্শ্বে।

আয়াত: 18

مَّا يَلۡفِظُ مِن قَوۡلٍ إِلَّا لَدَيۡهِ رَقِيبٌ عَتِيدٞ

১৮. সে যে কথাই বলুক না কেন তার জন্য তার পার্শ্বে একজন পর্যবেক্ষক পিরিশতা উপস্থিত থাকে।

আয়াত: 19

وَجَآءَتۡ سَكۡرَةُ ٱلۡمَوۡتِ بِٱلۡحَقِّۖ ذَٰلِكَ مَا كُنتَ مِنۡهُ تَحِيدُ

১৯. যথার্থই মৃত্যুর যাতনা উপস্থিত হলো। এটিই সেই বস্তু যা থেকে হে উদাসীন মানুষ! তুমি পিছিয়ে ও পলায়নরত ছিলে।

আয়াত: 20

وَنُفِخَ فِي ٱلصُّورِۚ ذَٰلِكَ يَوۡمُ ٱلۡوَعِيدِ

২০. ফুৎকারের জন্য নিয়োজিত ফিরিশতা শিঙ্গায় দ্বিতীয়বার ফুৎকার দিবে। এটিই কিয়ামত দিবস তথা কাফির ও পাপীদের জন্য শাস্তির দিন।

আয়াত: 21

وَجَآءَتۡ كُلُّ نَفۡسٖ مَّعَهَا سَآئِقٞ وَشَهِيدٞ

২১. প্রত্যেক সত্তা তাকে চালনাকারী একজন ফিরিশতাসহ উপস্থিত হবে। আর অপর ফিরিশতা তার আমলের সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত হবে।

আয়াত: 22

لَّقَدۡ كُنتَ فِي غَفۡلَةٖ مِّنۡ هَٰذَا فَكَشَفۡنَا عَنكَ غِطَآءَكَ فَبَصَرُكَ ٱلۡيَوۡمَ حَدِيدٞ

২২. সেই চালিত ব্যক্তিকে বলা হবে: তুমি নিজ বিভ্রান্তি, মনোবৃত্তি ও ভোগ-বিলাসে লিপ্ত থাকার ফলে এই দিবস থেকে উদাসীন ছিলে। তাই আমি তোমার উদাসীনতা দূরিভ‚ত করলাম। যাতে তুমি শাস্তি ও আপদ পর্যবেক্ষণ করো।

আয়াত: 23

وَقَالَ قَرِينُهُۥ هَٰذَا مَا لَدَيَّ عَتِيدٌ

২৩. তার সাথে নিয়োজিত ফিরিশতা বলবে: এই যে আমার নিকট তার কৃতকর্ম কোনরূপ বেশ-কম ব্যতিরেকে বিদ্যমান রয়েছে।

আয়াত: 24

أَلۡقِيَا فِي جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِيدٖ

২৪. আল্লাহ চালনাকারী ও সাক্ষ্যদাতা উভয় ফিরিশতাকে বলবেন: তোমরা প্রত্যেক সত্য অমান্যকারী গোঁড়াদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো।

আয়াত: 25

مَّنَّاعٖ لِّلۡخَيۡرِ مُعۡتَدٖ مُّرِيبٍ

২৫. আল্লাহ যে সব অধিকার অবধারিত করেন তা বেশী বেশী প্রত্যাখ্যানকারী, আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘনকারী এবং তিনি যে সব পুরস্কার ও শাস্তির সংবাদ দিয়েছেন তা অস্বীকারকারী।

আয়াত: 26

ٱلَّذِي جَعَلَ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَأَلۡقِيَاهُ فِي ٱلۡعَذَابِ ٱلشَّدِيدِ

২৬. যে আল্লাহর সাথে অন্য মাবূদকে শরীক করে নিয়েছে। তাঁর সাথে ওকে ইবাদাতে শরীক করে থাকে। তাই তোমরা তাকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ করো।

আয়াত: 27

۞ قَالَ قَرِينُهُۥ رَبَّنَا مَآ أَطۡغَيۡتُهُۥ وَلَٰكِن كَانَ فِي ضَلَٰلِۭ بَعِيدٖ

২৭. তার সাথে নিজ শয়তান সঙ্গী সম্পর্কচ্ছেদ করে বলবে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে ভ্রষ্ট করি নি। বরং সে সত্য থেকে বহু দূরে অবস্থানকারী ছিলো।

আয়াত: 28

قَالَ لَا تَخۡتَصِمُواْ لَدَيَّ وَقَدۡ قَدَّمۡتُ إِلَيۡكُم بِٱلۡوَعِيدِ

২৮. আল্লাহ বলবেন: তোমরা আমার নিকট ঝগড়া করো না। কেননা, তাতে কোন লাভ নেই। আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বেই দুনিয়াতে আমার রাসূলদের মাধ্যমে আমাকে অমান্যকরী ও আমার অবাধ্যদের জন্য কঠিন শাস্তির কথা জানিয়ে দিয়েছি।

আয়াত: 29

مَا يُبَدَّلُ ٱلۡقَوۡلُ لَدَيَّ وَمَآ أَنَا۠ بِظَلَّٰمٖ لِّلۡعَبِيدِ

২৯. আমার কথা ও অঙ্গীকার কখনো পরিবর্তন হয় না। আর না আমি বান্দাদের পুণ্য কমিয়ে কিংবা পাপ বাড়িয়ে তাদের উপর অবিচার করি। বরং আমি যার যার আমল অনুযায়ী তাকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

আয়াত: 30

يَوۡمَ نَقُولُ لِجَهَنَّمَ هَلِ ٱمۡتَلَأۡتِ وَتَقُولُ هَلۡ مِن مَّزِيدٖ

৩০. সে দিন আমি জাহান্নামকে বলব: তুমি কি তোমার মধ্যে নিক্ষেপিত কাফির ও পাপীদেরকে দিয়ে পরিপূর্ণ হয়েছো? তখন সে অধিক কামনা করতঃ ও স্বীয় রবের রাগের ফলে তার রবকে এই বলে উত্তর দিবে: আরো কি আছে?

আয়াত: 31

وَأُزۡلِفَتِ ٱلۡجَنَّةُ لِلۡمُتَّقِينَ غَيۡرَ بَعِيدٍ

৩১. আর স্বীয় প্রতিপালকের আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে আল্লাহভীরুদের উদ্দেশ্যে জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে। তাই তারা নিকটে থেকে তথায় বিদ্যমান উপভোগ্য নিয়ামত প্রত্যক্ষ্য করবে।

আয়াত: 32

هَٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِكُلِّ أَوَّابٍ حَفِيظٖ

৩২. আর তাদেরকে বলা হবে: এটি আল্লাহ কর্তৃক তার প্রতি কৃত অঙ্গীকার যে তাওবার মাধ্যমে নিজ প্রতিপালকের দিকে ফিরে আসে এবং তার উপর বাধ্যতামূলক বিধানের হিফাযত করে।

আয়াত: 33

مَّنۡ خَشِيَ ٱلرَّحۡمَٰنَ بِٱلۡغَيۡبِ وَجَآءَ بِقَلۡبٖ مُّنِيبٍ

৩৩. যে ব্যক্তি আল্লাহকে এমন গোপনে ভয় করে যেখানে তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাকে দেখার নেই এবং আল্লাহর সাথে নিরাপদ ও তাঁর প্রতি ধাবমান অন্তর নিয়ে সাক্ষাৎ করে। উপরন্তু তাঁর প্রতি বেশী বেশী প্রত্যাবর্তনকারী।

আয়াত: 34

ٱدۡخُلُوهَا بِسَلَٰمٖۖ ذَٰلِكَ يَوۡمُ ٱلۡخُلُودِ

৩৪. আর তাদরেকে বলা হবে, তোমরা নিজেদের অপছন্দের বিষয় থেকে মুক্ত অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করো। এটি সেই চিরস্থায়ী দিন যার কোন লয়-ক্ষয় নেই।

আয়াত: 35

لَهُم مَّا يَشَآءُونَ فِيهَا وَلَدَيۡنَا مَزِيدٞ

৩৫. তথায় তাদের জন্য রয়েছে নিজেদের চাহিদানুযায়ী অবারিত নিয়ামত। আর আমার নিকট রয়েছে এমন সব অতিরিক্ত নিয়ামত যা কোন চক্ষু দেখে নি। আর না কোন কান শ্রবণ করেছে। আর না কোন মানুষের অন্তর তা হৃদয়ঙ্গম করেছে। তন্মধ্যে মহান আল্লাহর দর্শন অন্যতম।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• علم الله بما يخطر في النفوس من خير وشر.

ক. অন্তরে ভালো-মন্দ যা কিছুর উদয় হয় সে ব্যাপারে আল্লাহ পরিজ্ঞাত।

• خطورة الغفلة عن الدار الآخرة.

খ. পরকাল সম্পর্কে উদাসীন থাকার ভয়বহতা।

• ثبوت صفة العدل لله تعالى.

গ. আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইনসাফের বৈশিষ্ট্য সুসাব্যস্ত।