অৰ্থানুবাদ ছুৰা আয-যাৰিয়াত - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 521 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 7

وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلۡحُبُكِ

৭. আল্লাহ বহু কক্ষপথ বিশিষ্ট সুন্দরতম আসমানসমূহের শপথ করছেন।

আয়াত: 8

إِنَّكُمۡ لَفِي قَوۡلٖ مُّخۡتَلِفٖ

৮. হে মক্কাবসীরা! তোমরা অবশ্যই ভিন্ন ও বৈপরীত্যপূর্ণ কথার মধ্যে রয়েছো। কখনো বলো যে, কুরআন যাদু। আবার কখনো বলো যে, কবিতা। আবার কখনো বলো যে, মুহাম্মাদ যাদুকর। আবার কখনো বলো যে, সে কবি।

আয়াত: 9

يُؤۡفَكُ عَنۡهُ مَنۡ أُفِكَ

৯. কুরআন ও নবীর উপর ঈমান আনা থেকে কেবল তাকেই বারণ করা হয় যাকে আল্লাহর ইলমে বারণ করা হয়েছে। যেহেতু আল্লাহ জানেন যে, সে ঈমান আনবে না। ফলে তাকে হিদায়েতের তাওফীক প্রদান করা হবে না।

আয়াত: 10

قُتِلَ ٱلۡخَرَّٰصُونَ

১০. কুরআন ও তাদের নবীর ব্যাপারে অমূলক মন্তব্য করার কারণে এ সব মিথ্যাবাদীকে অভিশাপ করা হয়েছে।

আয়াত: 11

ٱلَّذِينَ هُمۡ فِي غَمۡرَةٖ سَاهُونَ

১১. যারা মূর্খতার দরুন পরকাল থেকে উদাসীনতায় রয়েছে। সে ব্যাপারে কোনরূপ পরওয়াই করে না।

আয়াত: 12

يَسۡـَٔلُونَ أَيَّانَ يَوۡمُ ٱلدِّينِ

১২. তারা জিজ্ঞেস করে প্রতিদান দিবস কবে? অথচ তারা এর উদ্দেশ্যে আমলই করে না।

আয়াত: 13

يَوۡمَ هُمۡ عَلَى ٱلنَّارِ يُفۡتَنُونَ

১৩. আল্লাহ তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন: এটি সেই দিন যে দিন তাদেরকে আগুনে শাস্তি প্রদান করা হবে।

আয়াত: 14

ذُوقُواْ فِتۡنَتَكُمۡ هَٰذَا ٱلَّذِي كُنتُم بِهِۦ تَسۡتَعۡجِلُونَ

১৪. তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে বলা হবে, তোমরা শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করো। এটিই সেই বস্তু যে ব্যাপারে তোমাদেরকে সতর্ক করা হলে তোমরা তা তড়িৎ কামনা করতে।

আয়াত: 15

إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٍ

১৫. অবশ্যই আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে আল্লাহভীরুরা কিয়ামত দিবসে উদ্যান ও ঝর্নাধারার মধ্যে অবস্থান করবে।

আয়াত: 16

ءَاخِذِينَ مَآ ءَاتَىٰهُمۡ رَبُّهُمۡۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَبۡلَ ذَٰلِكَ مُحۡسِنِينَ

১৬. তাদের প্রতিপালক সম্মানী প্রতিদান হিসাবে যা তাদেরকে প্রদান করবেন তা তারা ধরে রাখবে। তারা এই সম্মানী প্রতিদান লাভের পূর্বে দুনিয়াতে সৎকর্মশীল ছিলো।

আয়াত: 17

كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ

১৭. তারা রাতের বেলা এতো বেশী সময় ধরে নামায পড়তো যে, তারা খুব অল্প সময়ের জন্যই ঘুমাতো।

আয়াত: 18

وَبِٱلۡأَسۡحَارِ هُمۡ يَسۡتَغۡفِرُونَ

১৮. আর রাতের শেষ ভাগে আল্লাহর নিকট তাদের পাপ মার্জনার জন্য প্রার্থনা করতো।

আয়াত: 19

وَفِيٓ أَمۡوَٰلِهِمۡ حَقّٞ لِّلسَّآئِلِ وَٱلۡمَحۡرُومِ

১৯. তাদের সম্পদে যে তাদের নিকট চাইতো আর যে চাইতো না উভয়ের জন্যই নফল স্বরূপ অধিকার ছিলো।

আয়াত: 20

وَفِي ٱلۡأَرۡضِ ءَايَٰتٞ لِّلۡمُوقِنِينَ

২০. যমীন এবং আল্লাহ তাতে যে সব পাহাড়, সমুদ্র, নদী-নালা, বৃক্ষরাজি, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু রেখেছেন তাতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহর কুদরতের বহু নিদর্শন রয়েছে। যারা আল্লাহকে রূপকার ¯্রষ্টা বলে জ্ঞান করে।

আয়াত: 21

وَفِيٓ أَنفُسِكُمۡۚ أَفَلَا تُبۡصِرُونَ

২১. হে লোকসকল! তোমাদের ব্যক্তিসত্তায় আল্লাহর ক্ষমতার নিদর্শনাবলী রয়েছে। তোমরা কি উপদেশ গ্রহণের জন্য দৃষ্টি নিক্ষেপ করো না?!

আয়াত: 22

وَفِي ٱلسَّمَآءِ رِزۡقُكُمۡ وَمَا تُوعَدُونَ

২২. আসমানে তোমাদের পার্থিব ও ধর্মীয় জীবিকা এবং তোমাদেরকে যে সব ভালো-মন্দের ওয়াদা প্রদান করা হয়েছে সবই রয়েছে।

আয়াত: 23

فَوَرَبِّ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ إِنَّهُۥ لَحَقّٞ مِّثۡلَ مَآ أَنَّكُمۡ تَنطِقُونَ

২৩. আসমান ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! অবশ্যই পুনরুত্থান সত্য; তাতে কোনরূপ সন্দেহ নেই। যেমন তোমাদের কথা বলার সময় কথা বলতে কোনরূপ সন্দেহ থাকে না।

আয়াত: 24

هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ضَيۡفِ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡمُكۡرَمِينَ

২৪. হে রাসূল! আপনার নিকট কি ইবরাহীম (আলাইহিস-সালাম) এর সে সব মেহমানের বর্ণনা এসেছে যাদেরকে তিনি সম্মান করেছিলেন?

আয়াত: 25

إِذۡ دَخَلُواْ عَلَيۡهِ فَقَالُواْ سَلَٰمٗاۖ قَالَ سَلَٰمٞ قَوۡمٞ مُّنكَرُونَ

২৫. তাঁরা যখন তাঁর নিকট প্রবেশ করে বললেন: সালাম। ইবরাহীম (আলাইহিস-সালাম)ও তাদের প্রতিউত্তরে বললেন: সালাম এবং মনে মনে বললেন: এ সব লোকজনকে তো আমি চিনতে পারছি না।

আয়াত: 26

فَرَاغَ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ فَجَآءَ بِعِجۡلٖ سَمِينٖ

২৬. তখন তিনি চুপিসারে তাঁর পরিবারের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের নিকট থেকে একটি হৃষ্টপুষ্ট ভুনা গোবাছুর নিয়ে আসলেন। যেহেতু তিনি তাঁদেরকে মানুষ বলেই মনে করছিলেন।

আয়াত: 27

فَقَرَّبَهُۥٓ إِلَيۡهِمۡ قَالَ أَلَا تَأۡكُلُونَ

২৭. অতঃপর তিনি ভুনা বাছুরটিকে তাঁদের নিকটবর্তী করলেন এবং ন¤্রতার সাথে তাঁদেরকে সম্বোধন করলেন এই বলে যে, আপনাদের উদ্দেশ্যে যে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে আপনারা কি তা গ্রহণ করবেন না?

আয়াত: 28

فَأَوۡجَسَ مِنۡهُمۡ خِيفَةٗۖ قَالُواْ لَا تَخَفۡۖ وَبَشَّرُوهُ بِغُلَٰمٍ عَلِيمٖ

২৮. তাঁরা যখন খাবার গ্রহণ করলেন না তখন তিনি ভিতরে ভিতরে ভীত হলেন। এতে করে তাঁরা বুঝে গেলেন। তাই তাঁরা তাঁকে সান্ত¦না দিয়ে বললেন: আপনি ভয় পাবেন না। আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসূল এবং তাঁরা তাঁকে আনন্দদায়ক একটি সুসংবাদ দিলেন এই বলে যে, তাঁর এমন একটি ছেলে হবে যে হবে প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী। বস্তুতঃ এই সুসংবাদটি ছিলো ইসহাক (আলাইহিস-সালাম) এর ব্যাপারে।

আয়াত: 29

فَأَقۡبَلَتِ ٱمۡرَأَتُهُۥ فِي صَرَّةٖ فَصَكَّتۡ وَجۡهَهَا وَقَالَتۡ عَجُوزٌ عَقِيمٞ

২৯. যখন তাঁর স্ত্রী সুসংবাদ শ্রবণ করলেন তখন তিনি আনন্দে চিৎকার করে অগ্রসর হয়ে নিজ চেহারায় থাপ্পড় মেরে আশ্চর্য হয়ে বললেন, বুড়ি কি সন্তান প্রসব করবে; অথচ সে হলো মূলতঃ বন্ধ্যা!

আয়াত: 30

قَالُواْ كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِۖ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡعَلِيمُ

৩০. ফিরিশতারা তাঁকে বললেন, আমরা যে বিষয়ে আপনাকে সংবাদ দিয়েছি এটি হলো মূলতঃ আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে। তিনি যা বলেন তা বারণ করার কেউ নেই। বস্তুতঃ তিনি তাঁর সৃষ্টি ও ফায়সালায় প্রজ্ঞাবান। তিনি তাঁর সৃষ্টি ও তাদের সুবিধা সম্পর্কে জ্ঞাত।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• إحسان العمل وإخلاصه لله سبب لدخول الجنة.

ক. আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমল ভালো ও খাঁটি করা জান্নাতে প্রবেশের উপায়।

• فضل قيام الليل وأنه من أفضل القربات.

খ. রাতের নফল নামাযের ফযীলত এবং তা মহা নৈকট্যপূর্ণ আমলেরই অন্তর্ভুক্ত।

• من آداب الضيافة: رد التحية بأحسن منها، وتحضير المائدة خفية، والاستعداد للضيوف قبل نزولهم، وعدم استثناء شيء من المائدة، والإشراف على تحضيرها، والإسراع بها، وتقريبها للضيوف، وخطابهم برفق.

গ. মেহমানদারির আদবের মধ্যে রয়েছে অরো উত্তম শব্দ দ্বারা সালামের জবাব প্রদান, সংগোপনে খাবারের দস্তরখান উপস্থিত করা, মেহমানদের আগমনের পূর্বেই প্রস্তুতি নেয়া, দস্তরখানের কিছু বাদ না রাখা, স্বয়ং এর প্রস্তুতির কাজে অংশ নেয়া, তাড়াতাড়ি করে খাবার মেহমানদের নিকটবর্তী করা ও তাঁদেরকে ন¤্রতার সাথে সম্বোধন করা।