অৰ্থানুবাদ ছুৰা আল-কলম - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 565 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 17

إِنَّا بَلَوۡنَٰهُمۡ كَمَا بَلَوۡنَآ أَصۡحَٰبَ ٱلۡجَنَّةِ إِذۡ أَقۡسَمُواْ لَيَصۡرِمُنَّهَا مُصۡبِحِينَ

১৭. আমি নিশ্চয়ই এ সব মুশরিককে অনাবৃষ্টি ও ক্ষুধা দিয়ে পরীক্ষা করেছি। যেমনিভাবে আমি বাগানের মালিকদেরকে পরীক্ষা করেছি যখন তারা এই বলে শপথ করলো যে, তারা অবশ্যই বাগানের ফলমূল সকাল সকাল অতি দ্রæত কেটে ফেলবে। যাতে তা থেকে কোন মিসকীন ভক্ষণ করতে না পারে।

আয়াত: 18

وَلَا يَسۡتَثۡنُونَ

১৮. তারা নিজেদের শপথকে ইনশাআল্লাহ বলার মাধ্যমে স্বতন্ত্র করে নি।

আয়াত: 19

فَطَافَ عَلَيۡهَا طَآئِفٞ مِّن رَّبِّكَ وَهُمۡ نَآئِمُونَ

১৯. ফলে আল্লাহ সে বাগানের প্রতি আগুন প্রেরণ করেছেন। যা তারা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বাগানের ফলমূল খেয়ে ফেলে। তারা তা প্রতিহত করতে পারে নি।

আয়াত: 20

فَأَصۡبَحَتۡ كَٱلصَّرِيمِ

২০. ফলে তা অন্ধকার রাতের ন্যায় কালো রূপ ধারণ করে।

আয়াত: 21

فَتَنَادَوۡاْ مُصۡبِحِينَ

২১. তারা প্রভাতে একে অপরকে আহŸান করলো।

আয়াত: 22

أَنِ ٱغۡدُواْ عَلَىٰ حَرۡثِكُمۡ إِن كُنتُمۡ صَٰرِمِينَ

২২. একথা বলে যে, তোমরা ফসল কাটতে চাইলে ফকীররা আসার পূর্বেই তাড়াতাড়ি নিজেদের ক্ষেতের দিকে বেরিয়ে পড়ো।

আয়াত: 23

فَٱنطَلَقُواْ وَهُمۡ يَتَخَٰفَتُونَ

২৩. তখন তারা নিজেদের ক্ষেতের দিকে পরস্পর ক্ষীণ শব্দে কথোপকথনের মধ্য দিয়ে চলতে লাগলো।

আয়াত: 24

أَن لَّا يَدۡخُلَنَّهَا ٱلۡيَوۡمَ عَلَيۡكُم مِّسۡكِينٞ

২৪. তারা পরস্পর বলতে লাগলো, আজ তোমাদের বাগানে যেন কোন মিসকীন প্রবেশ না করে।

আয়াত: 25

وَغَدَوۡاْ عَلَىٰ حَرۡدٖ قَٰدِرِينَ

২৫. তারা প্রভাতে ফল থেকে মিসকীনদেরকে বারণ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চললো।

আয়াত: 26

فَلَمَّا رَأَوۡهَا قَالُوٓاْ إِنَّا لَضَآلُّونَ

২৬. যখন তারা তা ভষ্মীভ‚ত অবস্থায় দেখতে পেলো তখন তারা বলে উঠলো, নিশ্চয়ই আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি।

আয়াত: 27

بَلۡ نَحۡنُ مَحۡرُومُونَ

২৭. বরং ফকীরদেরকে ফল থেকে বারণ করার প্রতিজ্ঞার ফলে আমাদেরকে এর ফল কুড়ানো থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

আয়াত: 28

قَالَ أَوۡسَطُهُمۡ أَلَمۡ أَقُل لَّكُمۡ لَوۡلَا تُسَبِّحُونَ

২৮. তাদের মধ্যকার ভালো ব্যক্তিটি বললো: আমি কি তোমাদেরকে ফকীরদের বঞ্চিত করার প্রতিজ্ঞার সময় বলি নি যে, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করো ও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো?!

আয়াত: 29

قَالُواْ سُبۡحَٰنَ رَبِّنَآ إِنَّا كُنَّا ظَٰلِمِينَ

২৯. তারা বললো, আমরা নিজেদের প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সত্যিই আমরা ফকীরদেরকে নিজেদের বাগানের ফল থেকে বঞ্চিত করার প্রতিজ্ঞাকালে অনাচারী ছিলাম।

আয়াত: 30

فَأَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ يَتَلَٰوَمُونَ

৩০. তারা এই বলে নিজেদেরকে দোষারোপ করে তাদের প্রতিজ্ঞা থেকে ফিরে আসার দিকে অগ্রসর হলো।

আয়াত: 31

قَالُواْ يَٰوَيۡلَنَآ إِنَّا كُنَّا طَٰغِينَ

৩১. তারা অনুশোচনা করে বললো, হায় আমাদের ধ্বংস! আমরা তো ফকীরদেরকে তাদের অধিকার থেকে বারণ করে সীমালঙ্ঘন করেছিলাম।

আয়াত: 32

عَسَىٰ رَبُّنَآ أَن يُبۡدِلَنَا خَيۡرٗا مِّنۡهَآ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا رَٰغِبُونَ

৩২. আশা করি আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে বাগানের পরিবর্তে আরো উত্তম প্রতিদান দিবেন। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর প্রতি অনুরাগী। আমরা তাঁর নিকট ক্ষমার আশাবাদী এবং তাঁর দরবারে কল্যাণকামী।

আয়াত: 33

كَذَٰلِكَ ٱلۡعَذَابُۖ وَلَعَذَابُ ٱلۡأٓخِرَةِ أَكۡبَرُۚ لَوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ

৩৩. জীবিকা থেকে বঞ্চিত করার মতো এমন শাস্তি আমি তাদেরকেও দেবো যারা আমার অবাধ্য হয়। বস্তুতঃ পরকালের শাস্তি আরো মারাত্মক যদি তারা এর ভয়াবহতা ও স্থায়িত্ব সম্পর্কে জানতো।

আয়াত: 34

إِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ عِندَ رَبِّهِمۡ جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ

৩৪. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করে চলে তাদের জন্য স্বীয় প্রতিপালকের নিকট রয়েছে উপভোগ্য জান্নাত। তারা তথায় ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকবে। তাদের নিয়ামত কখনো নিঃশেষ হবে না।

আয়াত: 35

أَفَنَجۡعَلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ كَٱلۡمُجۡرِمِينَ

৩৫. আমি কি মুসলিমদের প্রতিদান কাফিরদের ন্যায় দেবো যেমন ধারণা করে মক্কার মুশরিকরা?!

আয়াত: 36

مَا لَكُمۡ كَيۡفَ تَحۡكُمُونَ

৩৬. হে মুশরিকরা! তোমাদের কী হলো, তোমরা কিভাবে এ অবিচারমূলক ও বক্র ফায়সালা দিচ্ছো?!

আয়াত: 37

أَمۡ لَكُمۡ كِتَٰبٞ فِيهِ تَدۡرُسُونَ

৩৭. তোমাদের নিকট কি এমন কোন কিতাব রয়েছে যাতে তোমরা অনুগত ও অবাধ্য ব্যক্তিদ্বয়ের প্রতিদানে সমতার কথা পাঠ করো?!

আয়াত: 38

إِنَّ لَكُمۡ فِيهِ لَمَا تَخَيَّرُونَ

৩৮. তোমাদের এ কিতাবে নিজেদের পরকালীন পছন্দের সকল বিষয় রয়েছে।

আয়াত: 39

أَمۡ لَكُمۡ أَيۡمَٰنٌ عَلَيۡنَا بَٰلِغَةٌ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ إِنَّ لَكُمۡ لَمَا تَحۡكُمُونَ

৩৯. না কি তোমাদের সাথে আমার এমন কোন পাকাপোক্ত অঙ্গীকার রয়েছে যার দাবী হলো, তোমরা নিজেদের জন্য যে কোন ফায়সালা গ্রহণের অধিকার রাখো?!

আয়াত: 40

سَلۡهُمۡ أَيُّهُم بِذَٰلِكَ زَعِيمٌ

৪০. হে রাসূল! আপনি এ কথার বক্তাকে জিজ্ঞেস করুন, কে এর দায়ভার গ্রহণ করবে?

আয়াত: 41

أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَآءُ فَلۡيَأۡتُواْ بِشُرَكَآئِهِمۡ إِن كَانُواْ صَٰدِقِينَ

৪১. না কি তাদের জন্য আল্লাহর ছাড়া এমন কিছু অংশীদার রয়েছে যারা প্রতিদানে তাদেরকে মুমিনদের সমপর্যায়ে নিয়ে আসবে?! তারা যদি নিজেদের এ দাবীতে সত্যবাদী হয় যে, তারা এদেরকে প্রতিদানের ক্ষেত্রে মুমিনদের সমপর্যায়ে নিয়ে আসবে তাহলে তারা নিজেদের এ সব অংশীদারকে আহŸান করুক?!

আয়াত: 42

يَوۡمَ يُكۡشَفُ عَن سَاقٖ وَيُدۡعَوۡنَ إِلَى ٱلسُّجُودِ فَلَا يَسۡتَطِيعُونَ

৪২. কিয়ামত দিবসে বিভীষিকাময় অবস্থা প্রকাশ পাবে। আর আমাদের প্রতিপালক তাঁর পায়ের নলা প্রকাশ করবেন এবং মানুষকে সাজদাহর জন্য আহŸান করা হবে। ফলে মুমিনরা সাজদা করবে আর মুনাফিক ও কাফিররা সাজদা দিতে ব্যর্থ হবে।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• منع حق الفقير سبب في هلاك المال.

ক. ফকীরদের অধিকার বিনষ্ট করা ধন-সম্পদ ধ্বংস হওয়ার বিশেষ কারণ।

• تعجيل العقوبة في الدنيا من إرادة الخير بالعبد ليتوب ويرجع.

খ. দুনিয়াতে শাস্তি তরান্বিত করা বান্দার ব্যাপারে আল্লাহর কল্যাণকামনা বুঝায়। যাতে করে সে ফিরে আসে ও তাওবা করে।

• لا يستوي المؤمن والكافر في الجزاء، كما لا تستوي صفاتهما.

গ. মুমিন ও কাফির ব্যক্তির গুণাবলী যেমন সমান নয় তেমনিভাবে প্রতিদানেও তারা ওদের বরাবর হতে পারে না।