অৰ্থানুবাদ ছুৰা আল-আ'ৰাফ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 164 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 105

حَقِيقٌ عَلَىٰٓ أَن لَّآ أَقُولَ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلۡحَقَّۚ قَدۡ جِئۡتُكُم بِبَيِّنَةٖ مِّن رَّبِّكُمۡ فَأَرۡسِلۡ مَعِيَ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ

১০৫. মূসা (আলাইহিস-সালাম) বললেন: যখন আমি তাঁর পক্ষ থেকেই প্রেরিত তখন আমার উচিত তাঁর ব্যাপারে সত্য ছাড়া আর কিছু না বলা। আমি তোমাদের নিকট এমন সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছি যা আমার সত্যতা অর্থাৎ আমি যে আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট প্রেরিত রাসূল তা বুঝায়। তাই হে ফিরআউন! আপনি বনী ইসরাঈলকে বন্দিদশা ও নির্যাতন থেকে মুক্তি দিয়ে আমার নিকট ছেড়ে দিন।

আয়াত: 106

قَالَ إِن كُنتَ جِئۡتَ بِـَٔايَةٖ فَأۡتِ بِهَآ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ

১০৬. ফিরআউন মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে বললো: তুমি যদি তোমার ধারণা মতে সত্যিই কোন নিদর্শন নিয়ে এসে থাকো তাহলে তা আমার সামনে নিয়ে আসো, যদি তুমি নিজ দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাকো।

আয়াত: 107

فَأَلۡقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعۡبَانٞ مُّبِينٞ

১০৭. তখন মূসা (আলাইহিস-সালাম) তার লাঠিটিকে হাত থেকে ফেলে দিলে তা একটি বড় সাপে রূপান্তরিত হয় যা সকল দর্শকই দেখতে পায়।

আয়াত: 108

وَنَزَعَ يَدَهُۥ فَإِذَا هِيَ بَيۡضَآءُ لِلنَّٰظِرِينَ

১০৮. তেমনিভাবে তিনি তাঁর হাতখানা নিজের বুকের দিককার জামার খোলা জায়গা অথবা নিজের বগলের নিচ থেকে বের করলে তা প্রচÐ শুভ্রতায় দর্শকদের সামনে জ্বলজ্বল করতে থাকে। তবে তা নিছক সাদাই ছিলো তাতে কোন শ্বেত রোগ ছিলো না।

আয়াত: 109

قَالَ ٱلۡمَلَأُ مِن قَوۡمِ فِرۡعَوۡنَ إِنَّ هَٰذَا لَسَٰحِرٌ عَلِيمٞ

১০৯. যখন নেতৃস্থানীয়রা মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর লাঠিটিকে সাপ এবং শ্বেত রোগ ছাড়া তাঁর হাতকে অধিক সাদা হতে দেখলো তখন তারা বললো: বস্তুতঃ মূসা যাদু বিদ্যায় শক্তিশালী একজন যাদুকরই মাত্র।

আয়াত: 110

يُرِيدُ أَن يُخۡرِجَكُم مِّنۡ أَرۡضِكُمۡۖ فَمَاذَا تَأۡمُرُونَ

১১০. সে যা করেছে তার মাধ্যমে সে মূলতঃ তোমাদেরকে এ মিশর এলাকা থেকে বের করে দিতে চায়। অতঃপর ফিরআউন মূসা (আলাইহিস-সালাম) সম্পর্কে সবার পরামর্শ চেয়ে বললো: তোমরা এখন আমাকে এ ব্যাপারে কী পরামর্শ দিচ্ছো?

আয়াত: 111

قَالُوٓاْ أَرۡجِهۡ وَأَخَاهُ وَأَرۡسِلۡ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ

১১১. তারা ফিরআউনকে বললো: আপনি মূসা ও তার ভাইকে সময় দিন এবং যাদুকরদেরকে একত্রিত করার জন্য মিশরের শহরগুলোতে লোক পাঠান।

আয়াত: 112

يَأۡتُوكَ بِكُلِّ سَٰحِرٍ عَلِيمٖ

১১২. দেখবেন তারা এলাকায় এলাকায় গিয়ে যাদুকরিতে পাকা এমন সকল দক্ষ যাদুকরকে আপনার কাছে নিয়ে আসবে।

আয়াত: 113

وَجَآءَ ٱلسَّحَرَةُ فِرۡعَوۡنَ قَالُوٓاْ إِنَّ لَنَا لَأَجۡرًا إِن كُنَّا نَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبِينَ

১১৩. ফিরআউন যাদুকরদেরকে একত্রিত করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় লোক পাঠিয়ে দিলো। অতঃপর যাদুকররা ফিরআউনের নিকট আসলো এবং বললো যে, যদি তারা যাদুর মাধ্যমে মূসার উপর সফল ও জয়যুক্ত হয় তাহলে কি তাদের জন্য কোন পুরস্কার রয়েছে?

আয়াত: 114

قَالَ نَعَمۡ وَإِنَّكُمۡ لَمِنَ ٱلۡمُقَرَّبِينَ

১১৪. ফিরআউন তাদেরকে বললো: হ্যাঁ, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য পুরস্কার ও প্রতিদান রয়েছে। আর অচিরেই তোমরা আমার নিকটবর্তী পদগুলো অলঙ্কৃত করবে।

আয়াত: 115

قَالُواْ يَٰمُوسَىٰٓ إِمَّآ أَن تُلۡقِيَ وَإِمَّآ أَن نَّكُونَ نَحۡنُ ٱلۡمُلۡقِينَ

১১৫. যাদুকররা মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর বিপরীতে নিজেদের সফলতার ব্যাপারে আস্থাশীল হয়ে অহংকার করে বললো: হে মূসা! তুমিই বেছে নাও: তুমি কি প্রথমে যাদু দেখাবে, না আমরা দেখাবো?

আয়াত: 116

قَالَ أَلۡقُواْۖ فَلَمَّآ أَلۡقَوۡاْ سَحَرُوٓاْ أَعۡيُنَ ٱلنَّاسِ وَٱسۡتَرۡهَبُوهُمۡ وَجَآءُو بِسِحۡرٍ عَظِيمٖ

১১৬. মূসা (আলাইহিস-সালাম) তাঁর প্রতিপালকের সাহায্যের উপর আস্থাশীল হয়ে নির্ভয়ে তাদেরকে উত্তর দিলেন: আচ্ছা, তোমরাই সর্বপ্রথম তোমাদের লাঠি ও রশিগুলো ছাড়ো। যখন তারা সেগুলো ছাড়লো তখন মানুষের চোখগুলো যাদুগ্রস্ত হয়ে গেলো। তাদের চোখগুলো তখন সঠিক ব্যাপারটি ধরতে পারলো না। বরং তারা আতঙ্কিত হয়ে গেলো। আপাততঃ তারা দর্শনকারীদের দৃষ্টিতে শক্তিশালী যাদুই দেখালো।

আয়াত: 117

۞ وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَلۡقِ عَصَاكَۖ فَإِذَا هِيَ تَلۡقَفُ مَا يَأۡفِكُونَ

১১৭. তখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী ও কালীমের (যাঁর সাথে তিনি সরাসরি কথা বলেছেন) নিকট ওহী পাঠালেন: হে মূসা! তুমি নিজের লাঠিটি ফেলে দাও। তখন তিনি ফেলে দিলেন। ফলে লাঠিটি সাপে রূপান্তরিত হয়ে তাদের লাঠি ও দড়িগুলোকে গিলে ফিললো। যেগুলোকে তারা যাদু হিসেবে ব্যবহার করেছিলো এবং মানুষরাও তাদের ধোঁকায় পড়ে ভেবেছিলো যে, বস্তুতঃ অনেকগুলো সাপই তাদের সামনে দৌড়াদৌড়ি করছে।

আয়াত: 118

فَوَقَعَ ٱلۡحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

১১৮. অবশেষে সত্য প্রকাশিত হলো এবং মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর আনীত ওহীর বাস্তবতাও প্রমাণিত হলো। উপরন্তু যাদুকরদের যাদু বাতিল বলে গণ্য হলো।

আয়াত: 119

فَغُلِبُواْ هُنَالِكَ وَٱنقَلَبُواْ صَٰغِرِينَ

১১৯. তারা তখন ব্যর্থ ও পরাজিত হলো এবং মূসা (আলাইহিস-সালাম) সবার উপস্থিতিতে তাদের উপর বিজয়ী হলেন। উপরন্তু তারা লাঞ্ছিত ও পরাজিত হয়ে ফিরে গেলো।

আয়াত: 120

وَأُلۡقِيَ ٱلسَّحَرَةُ سَٰجِدِينَ

১২০. অতঃপর যাদুকররা আল্লাহর কুদরতের মহত্ত¡ এবং তাঁর সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ দেখে তাঁর জন্য সাজদায় পড়ে গেলো।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• من حكمة الله ورحمته أن جعل آية كل نبي مما يدركه قومه، وقد تكون من جنس ما برعوا فيه.

ক. আল্লাহর হিকমত ও রহমতের একটি নমুনা হলো এই যে, তিনি প্রত্যেক নবীর জন্য এমন অলৌকিক নিদর্শন মনোনীত করেন যে বিষয়ে তারা বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছে। যেহেতু মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় যাদু বিদ্যায় পারদর্শী ছিলো সেহেতু তাঁর অলৌকিক নিদর্শন ছিলো যাদু সদৃশ। যদিও সেটি সত্যিকারার্থে যাদু নয়।

• أنّ فرعون كان عبدًا ذليلًا مهينًا عاجزًا، وإلا لما احتاج إلى الاستعانة بالسحرة في دفع موسى عليه السلام.

খ. মূলতঃ ফিরআউন ছিলো একজন অপারগ, দুর্বল ও হীনমনা ব্যক্তি। নতুবা সে মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতিরোধে যাদুকরদের সহযোগিতা নিতো না।

• يدل على ضعف السحرة - مع اتصالهم بالشياطين التي تلبي مطالبهم - طلبهم الأجر والجاه عند فرعون.

গ. শয়তানদের সাথে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি ফিরআউনের নিকট পুরস্কার ও মর্যাদা কামনা করা বস্তুতঃ যাদুকরদের দুর্বলতাই প্রমাণ করে।