অৰ্থানুবাদ ছুৰা আন-নাবা' - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 582 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আন-নাবা'

ছুৰাৰ উদ্দেশ্য:

بيان أدلة القدرة على البعث والتخويف من العاقبة.

দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা পুনরুত্থান ও প্রতিদানের বিষয় সাব্যস্ত করা।

---

আয়াত: 1

عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ

১. এ সব মুশরিকদের প্রতি আল্লাহ তদীয় রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে প্রেরণ করার পর তারা আবার কী বিষয়ে আপোসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?!

আয়াত: 2

عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلۡعَظِيمِ

২. তারা পরস্পর একটি মস্তবড় সংবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আর তা হলো মূলতঃ এ কুরআন যা পুনরুত্থানের সংবাদ নিয়ে তাদের রাসূলের উপর অবতীর্ণ হয়েছে।

আয়াত: 3

ٱلَّذِي هُمۡ فِيهِ مُخۡتَلِفُونَ

৩. এ সেই কুরআন যে সম্পর্কে তারা এ নিয়ে দ্বিধা-দ্ব›েদ্ব রয়েছে যে, এটি কি যাদু, কবিতা, জ্যোতির্বিদ্যা, না কি পূর্বেকার লোকজনের কিংবদন্তী।

আয়াত: 4

كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ

৪. বস্তুতঃ বিষয়টি তেমন নয় যেমনটি তারা ধারণা করছে। অচিরেই এ সব কুরআন অস্বীকারকারী তাদের নিকৃষ্টতম পরিণাম সম্পর্কে অবগত হবে।

আয়াত: 5

ثُمَّ كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ

৫. অতঃপর তারা এ ব্যাপারে আরো সুনিশ্চিত হবে।

আয়াত: 6

أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ مِهَٰدٗا

৬. আমি কি যমীনকে তাদের জন্য সুবিন্যস্ত করে তাদের বসবাসের উপযোগী করি নি?!

আয়াত: 7

وَٱلۡجِبَالَ أَوۡتَادٗا

৭. আমি এর উপরে স্থাপিত পাহাড়কে পেরেক বানিয়েছি। যা সেটিকে নড়াচড়া থেকে রক্ষা করে।

আয়াত: 8

وَخَلَقۡنَٰكُمۡ أَزۡوَٰجٗا

৮. হে মানব সমাজ! আমি তোমাদেরকে পুরুষ ও নারী উভয় প্রকারে সৃষ্টি করেছি।

আয়াত: 9

وَجَعَلۡنَا نَوۡمَكُمۡ سُبَاتٗا

৯. আমি তোমাদের জন্য নিদ্রাকে বানিয়েছি কর্মবিরতীর মাধ্যমে বিশ্রাম স্বরূপ।

আয়াত: 10

وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا

১০. আমি রাত্রিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তোমাদের জন্য আচ্ছাদন বানিয়েছি। যেমনিভাবে পোশাকের মাধ্যমে তোমরা নিজেদের লজ্জাস্থান ঢেকে থাকো।

আয়াত: 11

وَجَعَلۡنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشٗا

১১. আমি দিবসকে বানিয়েছি উপার্জন ও জীবিকা অন্বেষণের ময়দান।

আয়াত: 12

وَبَنَيۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعٗا شِدَادٗا

১২. আমি তোমাদের উর্ধ্বে নির্মাণ করেছি সুদৃঢ় ও নিপুণ সপ্তাকাশ।

আয়াত: 13

وَجَعَلۡنَا سِرَاجٗا وَهَّاجٗا

১৩. আমি সূর্যকে একটি দীপ্তিমান আলোকধারী প্রদীপ বানিয়েছি।

আয়াত: 14

وَأَنزَلۡنَا مِنَ ٱلۡمُعۡصِرَٰتِ مَآءٗ ثَجَّاجٗا

১৪. আমি বর্ষিয়েছি পরিপূর্ণ মেঘমালা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি।

আয়াত: 15

لِّنُخۡرِجَ بِهِۦ حَبّٗا وَنَبَاتٗا

১৫. যা দিয়ে আমি বিভিন্ন রকমের শস্য ও উদ্ভিদ উৎপন্ন করি।

আয়াত: 16

وَجَنَّٰتٍ أَلۡفَافًا

১৬. উপরন্তু ডালপালার প্রাচুর্যে ঘনীভ‚ত উদ্যানসমূহ।

আয়াত: 17

إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ كَانَ مِيقَٰتٗا

১৭. নিশ্চয়ই সৃষ্টির মাঝে ফায়সালার দিন এমনভাবে নির্ধারিত যার অন্যথা হবে না।

আয়াত: 18

يَوۡمَ يُنفَخُ فِي ٱلصُّورِ فَتَأۡتُونَ أَفۡوَاجٗا

১৮. হে মানব সমাজ! সে দিন ফিরিশতা শিঙ্গায় দ্বিতীয়বার ফুৎকার দিলে তোমরা দলে দলে উপস্থিত হবে।

আয়াত: 19

وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتۡ أَبۡوَٰبٗا

১৯. আকাশকে উম্মুক্ত করা হবে। ফলে খোলা দ্বারসমূহের মতো তাতে ফাঁক সৃষ্টি হবে।

আয়াত: 20

وَسُيِّرَتِ ٱلۡجِبَالُ فَكَانَتۡ سَرَابًا

২০. পর্বতমালাকে চালিত করা হবে। ফলে তা ধুলিকণার রূপ ধারণ করে মরিচিকায় পরিণত হবে।

আয়াত: 21

إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتۡ مِرۡصَادٗا

২১. নিশ্চয়ই জাহান্নাম ওঁৎ পেতে অপেক্ষায় রয়েছে।

আয়াত: 22

لِّلطَّٰغِينَ مَـَٔابٗا

২২. যা হবে যালিমদের জন্য প্রত্যাবর্তন স্থল। যেখানে তারা ফিরে যাবে।

আয়াত: 23

لَّٰبِثِينَ فِيهَآ أَحۡقَابٗا

২৩. সেখানে তারা অনন্তকালের জন্য অবস্থান করবে।

আয়াত: 24

لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرۡدٗا وَلَا شَرَابًا

২৪. সেখানে তারা গরমের তাপ লাঘবকারী কোন ঠাÐা পানি পাবে না। না তারা সেখানে সুপেয় কোন পানি পাবে।

আয়াত: 25

إِلَّا حَمِيمٗا وَغَسَّاقٗا

২৫. তারা সেখানে ফুটন্ত পানি ও জাহান্নামীদের প্রবাহিত পুঁজ ব্যতীত অন্য কিছু পাবে না।

আয়াত: 26

جَزَآءٗ وِفَاقًا

২৬. এটি তাদের কুফরী ও ভ্রষ্টতার উপযুক্ত প্রতিদান।

আয়াত: 27

إِنَّهُمۡ كَانُواْ لَا يَرۡجُونَ حِسَابٗا

২৭. তারা দুনিয়াতে থাকাবস্থায় পরকালে তাদের থেকে আল্লাহর হিসাব নেয়ার ভয় করতো না। কেননা, তারা পুনরুত্থানে বিশ্বাস রাখে না। তারা যদি পুনরুত্থানে বিশ্বাসী হতো তাহলে অবশ্যই আল্লাহর উপর ঈমান আনতো এবং নেক আমল করতো।

আয়াত: 28

وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا كِذَّابٗا

২৮. তারা আমার রাসূলগণের উপর অবতীর্ণ আয়াতগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে।

আয়াত: 29

وَكُلَّ شَيۡءٍ أَحۡصَيۡنَٰهُ كِتَٰبٗا

২৯. আমি তাদের সকল আমল লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করেছি। যা তাদের আমলনামায় লিখিত রয়েছে।

আয়াত: 30

فَذُوقُواْ فَلَن نَّزِيدَكُمۡ إِلَّا عَذَابًا

৩০. সুতরাং হে অবাধ্যরা! তোমরা এখন স্থায়ী শাস্তি আস্বাদন করো। আমি তোমাদের শাস্তির উপর কেবল শাস্তিই বৃদ্ধি করবো।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• إحكام الله للخلق دلالة على قدرته على إعادته.

ক. আল্লাহর সুদৃঢ় সৃষ্টিশিল্প পুনর্বার সৃষ্টির ব্যাপারে তাঁর ক্ষমতারই প্রমাণ।

• الطغيان سبب دخول النار.

খ. অবাধ্যতা জাহান্নামে প্রবেশের কারণ।

• مضاعفة العذاب على الكفار.

গ. কাফিরদের জন্য রয়েছে বর্ধিত শাস্তি।