د معناګانو ژباړه سورت نازعات - بنګالي ژبې ته د المختصر في تفسير القرآن الكريم ژباړه - د مخ نمبر 584 - د قرآن کریم دائرة المعارف

آیت: 17

ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ

১৭. তখন তিনি বলেছিলেন, আপনি ফিরআউনের নিকট গমন করুন। কেননা, সে যুলুম ও অহঙ্কারে সীমালঙ্ঘন করেছে।

آیت: 18

فَقُلۡ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ

১৮. অতঃপর তাকে বলুন: হে ফিরআউন! তুমি কি কুফরী ও পাপাচার থেকে পবিত্র হতে চাও?

آیت: 19

وَأَهۡدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخۡشَىٰ

১৯. আমি কি তোমাকে নিজ স্রষ্টা ও রক্ষক রবের সন্ধান দেবো। ফলে তুমি তাঁকে ভয় করবে ও তাঁর সন্তুষ্টির কাজ করবে এবং তাঁর অসন্তুষ্টির কাজ থেকে বিরত থাকবে?

آیت: 20

فَأَرَىٰهُ ٱلۡأٓيَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰ

২০. এ বলে মূসা (আলাইহিস-সালাম) তার সামনে আল্লাহ কর্তৃক রাসূল হিসেবে তাঁর প্রেরিত হওয়ার বড় নিদর্শন তথা হাত ও লাঠি প্রকাশ করলেন।

آیت: 21

فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ

২১. কিন্তু ফিরআউন মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর এ নিদর্শনগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করলো এবং মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর নির্দেশ অমান্য করলো।

آیت: 22

ثُمَّ أَدۡبَرَ يَسۡعَىٰ

২২. অতঃপর সে মূসা (আলাইহিস-সালাম) যা নিয়ে আগমন করেছেন সেটির উপর ঈমান আনয়ন থেকে বিমুখ হলো।

آیت: 23

فَحَشَرَ فَنَادَىٰ

২৩. উপরন্তু সে মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে তার বাহিনীকে এ বলে ডাক দিয়ে সমবেত করলো যে,

آیت: 24

فَقَالَ أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلۡأَعۡلَىٰ

২৪. আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালক। তাই আমি ছাড়া তোমরা অন্য কারো আনুগত্য করো না।

آیت: 25

فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلۡأٓخِرَةِ وَٱلۡأُولَىٰٓ

২৫. তখন আল্লাহ তাকে দুনিয়াতে সাগরে ডুবিয়ে এবং পরকালে কঠিন ভোগান্তিতে প্রবিষ্ট করে শাস্তি দিলেন।

آیت: 26

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّمَن يَخۡشَىٰٓ

২৬. আমি ফিরআউনকে ইহকাল ও পরকালে যে শাস্তি প্রদান করেছি তাতে অবশ্যই আল্লাহভীরুর জন্য রয়েছে বিশেষ উপদেশ। কেননা, সে-ই তো কেবল উপদেশাবলী দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে।

آیت: 27

ءَأَنتُمۡ أَشَدُّ خَلۡقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُۚ بَنَىٰهَا

২৭. হে পুনরুত্থান অস্বীকারকারীরা! তোমাদেরকে সৃষ্টি করা আল্লাহর নিকট কঠিনতর, না কি তাঁর নির্মিত আসমান?!

آیت: 28

رَفَعَ سَمۡكَهَا فَسَوَّىٰهَا

২৮. তিনি এর ছাদকে সুউচ্চ করতঃ একে এমনভাবে সুবিন্যস্ত করেছেন যে, তাতে কোনরূপ খুঁত, ফাটল কিংবা ত্রæটি নেই।

آیت: 29

وَأَغۡطَشَ لَيۡلَهَا وَأَخۡرَجَ ضُحَىٰهَا

২৯. সূর্য অস্ত গেলে রাত্রি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। আর সূর্য উদিত হলে দিন আলোকিত হয়।

آیت: 30

وَٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ

৩০. আসমান সৃষ্টির পর তিনি যমীনকে বিস্তৃত করেছেন এবং তথায় এর উপকারী সম্পদসমূহ সুপ্ত রেখেছেন।

آیت: 31

أَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَهَا وَمَرۡعَىٰهَا

৩১. তিনি তা থেকে পানিকে ঝর্নার আকৃতিতে প্রবাহিত করেছেন এবং সেখানে পশু চরে খাওয়ার নিমিত্তে তৃণলতা উৎপন্ন করেছেন।

آیت: 32

وَٱلۡجِبَالَ أَرۡسَىٰهَا

৩২. তিনি পর্বতমালাকে যমীনের উপর স্থির করেছেন।

آیت: 33

مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِأَنۡعَٰمِكُمۡ

৩৩. হে মানব সমাজ! এ সব কিছু তোমাদের এবং তোমাদের পশুজগতের উপকরার্থেই তৈরি করা হয়েছে। বস্তুতঃ যিনি এ সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করলেন তিনি এদের সৃষ্টির কাজকে নতুনভাবে পুনর্বার সম্পন্ন করতে অপারগ নন।

آیت: 34

فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلۡكُبۡرَىٰ

৩৪. অতঃপর যখন দ্বিতীয়বার শিঙ্গাধ্বনি শোনা যাবে যার আগ্রাসন সব কিছুতেই পরিব্যাপ্ত হবে এবং কিয়ামত সংঘটিত হবে।

آیت: 35

يَوۡمَ يَتَذَكَّرُ ٱلۡإِنسَٰنُ مَا سَعَىٰ

৩৫. সে দিন মানুষ যা কিছু ভালো বা মন্দ করেছে তা স্মরণ করবে।

آیت: 36

وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ

৩৬. জাহান্নামকে নিয়ে এসে দর্শকদের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে।

آیت: 37

فَأَمَّا مَن طَغَىٰ

৩৭. অতএব, যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতায় সীমালঙ্ঘন করেছে।

آیت: 38

وَءَاثَرَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا

৩৮. উপরন্তু দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনকে পরকালীন চিরস্থায়ী জীবনের উপর প্রাধান্য দিয়েছে।

آیت: 39

فَإِنَّ ٱلۡجَحِيمَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ

৩৯. তার আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নামের আগুন।

آیت: 40

وَأَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفۡسَ عَنِ ٱلۡهَوَىٰ

৪০-৪১. পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সামনে দÐায়মান হওয়ার কথা ভয় করে স্বীয় আত্মাকে তাঁর পক্ষ থেকে হারামকৃত মনোবৃত্তি চরিতার্থ করা থেকে বিরত রেখেছে তার আশ্রয়স্থল হবে জান্নাত।

آیت: 41

فَإِنَّ ٱلۡجَنَّةَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ

৪০-৪১. পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সামনে দÐায়মান হওয়ার কথা ভয় করে স্বীয় আত্মাকে তাঁর পক্ষ থেকে হারামকৃত মনোবৃত্তি চরিতার্থ করা থেকে বিরত রেখেছে তার আশ্রয়স্থল হবে জান্নাত।

آیت: 42

يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَىٰهَا

৪২. হে রাসূল! এ সব পুনরুত্থানে অবিশ্বাসীরা আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, কিয়ামত কখন হবে?

آیت: 43

فِيمَ أَنتَ مِن ذِكۡرَىٰهَآ

৪৩. এ ব্যাপারে আপনার এমন কোন জ্ঞান নেই যে, আপনি তাদেরকে তা অবগত করতে পারেন। আর না এটি আপনার কোন বিষয়। বরং আপনার দায়িত্ব হলো কেবল সে দিনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেয়া।

آیت: 44

إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَآ

৪৪. আপনার প্রতিপালকের নিকট এককভাবে কিয়ামতের জ্ঞান সীমাবদ্ধ।

آیت: 45

إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخۡشَىٰهَا

৪৫. আপনি কেবল তাকেই ভীতি প্রদর্শন করতে পারেন যে কিয়ামত সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত। কেননা, সেই এ ভীতি প্রদর্শনে উপকৃত হবে।

آیت: 46

كَأَنَّهُمۡ يَوۡمَ يَرَوۡنَهَا لَمۡ يَلۡبَثُوٓاْ إِلَّا عَشِيَّةً أَوۡ ضُحَىٰهَا

৪৬. তারা যে দিন কিয়ামত দিবসকে চাক্ষুষ দেখবে সে দিন তাদের নিকট মনে হবে, তারা যেন দুনিয়ার জীবনে কেবল এক সকাল কিংবা এক বিকাল অবস্থান করেছিলো।

په دې مخ کې د ایتونو د فایدو څخه:

• وجوب الرفق عند خطاب المدعوّ.

ক. দাওয়াতকৃতদেরকে সম্বোধনের সময় ন¤্রতা অবলম্বন অপরিহার্য।

• الخوف من الله وكفّ النفس عن الهوى من أسباب دخول الجنة.

খ. আল্লাহকে ভয় করা ও মনকে কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখা জান্নাত লাভের একটি উপায়।

• علم الساعة من الغيب الذي لا يعلمه إلا الله.

গ. কিয়ামত সম্পর্কীয় জ্ঞান মূলতঃ গাইবী বিষয়। যা শুধু আল্লাহরই জানা।

• بيان الله لتفاصيل خلق السماء والأرض.

ঘ. আল্লাহ কর্তৃক আসমান ও যমীন সৃষ্টির বিস্তারিত বর্ণনা।