قرآن کریم کے معانی کا ترجمہ - المختصر فی تفسیر القرآن الکریم کا بنگالی ترجمہ۔ * - ترجمے کی لسٹ


معانی کا ترجمہ سورت: سورۂ انعام   آیت:

সূরা আল-আনআম

سورہ کے بعض مقاصد:
تقرير عقيدة التوحيد والرد على ضلالات المشركين.
বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমাণের মাধ্যমে তাওহীদি আকীদার বর্ণনা এবং শিরকী আকীদার অপনোদন।

ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ وَجَعَلَ ٱلظُّلُمَٰتِ وَٱلنُّورَۖ ثُمَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِرَبِّهِمۡ يَعۡدِلُونَ
১. ভালোবাসাসহ উন্নত গুণাবলীর মাধ্যমে প্রশংসা এবং সামগ্রিক পরিপূর্ণতার গুণাবলী সেই মহান আল্লাহর জন্যই নির্ধারিত যিনি পূর্ব নমুনা ছাড়াই আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করেছেন। আরো সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিনকে যা একে অপরের অনুগামী। তিনি রাত সৃষ্টি করেছেন অন্ধকারের জন্য আর দিনকে আলোর জন্য। এতদসত্তে¡ও কাফিররা অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষ ও শরীক বানায়।
عربی تفاسیر:
هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن طِينٖ ثُمَّ قَضَىٰٓ أَجَلٗاۖ وَأَجَلٞ مُّسَمًّى عِندَهُۥۖ ثُمَّ أَنتُمۡ تَمۡتَرُونَ
২. হে মানুষ! তিনি তোমাদেরকে তথা তোমাদের পিতা আদম (আলাইহিস-সালাম) কে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনিই পার্থিব জীবনে তোমাদের অবস্থানের জন্য একটি সময় নির্ধারণ করেছেন। তেমনিভাবে তিনি আরেকটি সময়ও নির্ধারণ করেছেন কিয়ামতের দিন তোমাদের পুনরুত্থানের জন্য যা কেবল তিনিই জানেন। আর কেউ জানে না। এরপরও তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে তাঁর ক্ষমতায় সন্দেহ পোষণ করো।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱللَّهُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَفِي ٱلۡأَرۡضِ يَعۡلَمُ سِرَّكُمۡ وَجَهۡرَكُمۡ وَيَعۡلَمُ مَا تَكۡسِبُونَ
৩. তিনিই আসমান ও জমিনের সত্য মা’বূদ। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি তোমাদের গোপনীয় কথা, কাজ ও নিয়ত জানেন এবং এগুলোর যা প্রকাশ করছো তাও। তিনি অচিরেই তোমাদেরকে এর প্রতিদান দিবেন। তিনি তোমাদের উপার্জিত বিষয়ও জানেন।
عربی تفاسیر:
وَمَا تَأۡتِيهِم مِّنۡ ءَايَةٖ مِّنۡ ءَايَٰتِ رَبِّهِمۡ إِلَّا كَانُواْ عَنۡهَا مُعۡرِضِينَ
৪. মুশরিকদের নিকট তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে কোন প্রমাণই আসুক না কেন তারা তা বেপরোয়াভাবে পরিত্যাগ করে। ইতোমধ্যে আল্লাহর তাওহীদ সম্পর্কিত সুস্পষ্ট দলীল ও প্রমাণ তাদের নিকট এসেছে। আরো এসেছে রাসূলদের সত্যায়নকারী নিদর্শনাবলী। এতদসত্তে¡ও তারা বেপরোয়াভাবে এগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
عربی تفاسیر:
فَقَدۡ كَذَّبُواْ بِٱلۡحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمۡ فَسَوۡفَ يَأۡتِيهِمۡ أَنۢبَٰٓؤُاْ مَا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ
৫. তারা যদি এ সুস্পষ্ট দলীল ও প্রমাণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তা কিন্তু নতুন কিছু নয় বরং তারা এর চেয়ে আরো সুস্পষ্ট ব্যাপার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আনীত কুর‘আনকেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। তারা কিয়ামতের দিন আযাব দেখে অচিরেই বুঝতে পারবে যে, তারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আনীত যে বিধানকে নিয়ে ঠাট্টা করছে তা নিশ্চয়ই সত্য।
عربی تفاسیر:
أَلَمۡ يَرَوۡاْ كَمۡ أَهۡلَكۡنَا مِن قَبۡلِهِم مِّن قَرۡنٖ مَّكَّنَّٰهُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَا لَمۡ نُمَكِّن لَّكُمۡ وَأَرۡسَلۡنَا ٱلسَّمَآءَ عَلَيۡهِم مِّدۡرَارٗا وَجَعَلۡنَا ٱلۡأَنۡهَٰرَ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهِمۡ فَأَهۡلَكۡنَٰهُم بِذُنُوبِهِمۡ وَأَنشَأۡنَا مِنۢ بَعۡدِهِمۡ قَرۡنًا ءَاخَرِينَ
৬. এ কাফিররা কি যালিম সম্প্রদায়গুলোকে ধ্বংস করার ব্যাপারে আল্লাহর চিরায়ত নীতি সম্পর্কে অবগত নয়?! বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা এদের পূর্বের অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। যাদেরকে তিনি জমিনে বসবাস ও শক্তির এমন সব উপকরণ দিয়েছেন যা তিনি এদেরকে দেননি। তিনি তাদের উপর অবিরাম বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তাদের ঘরগুলোর নিচ দিয়ে অনেকগুলো নদীও প্রবাহিত করেছেন। এরপরও তারা আল্লাহর অবাধ্য হয়েছে। তাই আল্লাহ তা‘আলা পাপাচারের দরুন তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়ে তাদের পর অন্যান্য জাতিকে সৃষ্টি করেছেন।
عربی تفاسیر:
وَلَوۡ نَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ كِتَٰبٗا فِي قِرۡطَاسٖ فَلَمَسُوهُ بِأَيۡدِيهِمۡ لَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا سِحۡرٞ مُّبِينٞ
৭. হে রাসূল! আমি যদি আপনার উপর কাগজে লিখিত কোন কিতাব নাযিল করতাম এবং তারা তা নিজেদের চোখ দিয়ে দেখতে পেতো উপরন্তু তারা তা নিজেদের হাত দিয়ে ধরে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারতো তারপরও তারা অস্বীকার ও হঠকারিতাবশত তার উপর ঈমান আনতো না। এরপরেও তারা বলতো: আপনার আনীত বিষয় সুস্পষ্ট যাদু ছাড়া কিছুই না। তাই আমরা ঈমান আনতে পারবো না।
عربی تفاسیر:
وَقَالُواْ لَوۡلَآ أُنزِلَ عَلَيۡهِ مَلَكٞۖ وَلَوۡ أَنزَلۡنَا مَلَكٗا لَّقُضِيَ ٱلۡأَمۡرُ ثُمَّ لَا يُنظَرُونَ
৮. এ কাফিররা আরো বললো: আল্লাহ তা‘আলা যদি মুহাম্মাদের সাথে এমন ফিরিশতা নাযিল করতো যে আমাদের সাথে কথা বলতো ও এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতো যে, সে নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল তাহলে আমরা তার উপর ঈমান আনতাম। বস্তুতঃ আমি তাদের বর্ণিত চাহিদা মাফিক নাযিল করা ফিরিশতাতে ঈমান না আনলে তাদেরকে নিশ্চিত ধ্বংস করে দিতাম এবং ফিরিশতা নাযিল হলে তাদেরকে তাওবার কোন সুযোগই দেয়া হতো না।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• شدة عناد الكافرين، وبيان إصرارهم على الكفر على الرغم من قيام الحجة عليهم بالأدلة الحسية.
ক. কাফিরদের নিকট অনুধাবনযোগ্য প্রমাণ আসার পরও কুফরির উপর তাদের অবিচলতা ও কঠিন হঠকারিতার বর্ণনা।

• التأمل في سنن الله تعالى في السابقين لمعرفة أسباب هلاكهم والحذر منها.
খ. পূর্ববর্তীদের ব্যাপারে আল্লাহর চিরায়ত নিয়মাবলীকে নিয়ে ভেবে-চিন্তে তাদের ধ্বংসের কারণগুলো জানা ও সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।

• من رحمة الله بعباده أن لم ينزل لهم رسولًا من الملائكة لأنهم لا يمهلون للتوبة إذا نزل.
গ. বান্দাদের প্রতি আল্লাহর একটি বিশেষ রহমত হলো তিনি তাদের জন্য কোন ফিরিশতা রাসূল পাঠান নি। কারণ, এমন কেউ প্রেরিত হলে তাদেরকে এতটুকুও তাওবার সুযোগ দেয়া হতো না।

وَلَوۡ جَعَلۡنَٰهُ مَلَكٗا لَّجَعَلۡنَٰهُ رَجُلٗا وَلَلَبَسۡنَا عَلَيۡهِم مَّا يَلۡبِسُونَ
৯. আমি তাদের নিকট ফিরিশতাই পাঠালে তাকে একজন পুরুষের রূপেই পাঠাতাম। যাতে তারা তার থেকে কিছু শুনতে ও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারতো। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা ফিরিশতাকে যে অবয়বে সৃষ্টি করেছেন সেভাবে তাকে পাঠালে তার থেকে এ জাতীয় উপকার পাওয়া কখনোই সম্ভব ছিলো না। আর আমি তাকে কোন পুরুষের ছবিতেই পাঠালে তার ব্যাপারটি তাদের জন্য সন্দেহজনকই হয়ে যেতো।
عربی تفاسیر:
وَلَقَدِ ٱسۡتُهۡزِئَ بِرُسُلٖ مِّن قَبۡلِكَ فَحَاقَ بِٱلَّذِينَ سَخِرُواْ مِنۡهُم مَّا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ
১০. এরা আপনার সাথে ফিরিশতা প্রেরণের আবেদন করে ঠাট্টা করলে আপনার পূর্বের উম্মতরাও তো তাদের রাসূলদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করেছে। ফলে তাদেরকে অস্বীকৃত আযাবই বেষ্টন করেছে এবং তা কর্তৃক তাদেরকে ভয় দেখানো হলে তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করতো।
عربی تفاسیر:
قُلۡ سِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ ثُمَّ ٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ
১১. হে রাসূল! আপনি এ মিথ্যুক ঠাট্টাকারীদেরকে বলুন: তোমরা জমিনে ভ্রমণ করে চিন্তা করে দেখো আল্লাহর রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের পরিণতি কেমন ছিলো। তাদের প্রচুর শক্তি এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও তাদের উপর আল্লাহর শাস্তি নাযিল হয়েছে।
عربی تفاسیر:
قُل لِّمَن مَّا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ قُل لِّلَّهِۚ كَتَبَ عَلَىٰ نَفۡسِهِ ٱلرَّحۡمَةَۚ لَيَجۡمَعَنَّكُمۡ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَا رَيۡبَ فِيهِۚ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ فَهُمۡ لَا يُؤۡمِنُونَ
১২. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: কে আসমান, জমিন ও এতদুভয়ের সব কিছুর মালিক? আপনি বলুন: এ সব কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। তিনি তাঁর বান্দাদের উপর দয়া করে নিজের জন্য রহমতকে অবধারিত করেছেন। তাই তিনি তাদেরকে দ্রæত শাস্তি দেন না। তবে তারা গুনাহ থেকে তাওবা না করলে তিনি তাদের সকলকে কিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন। যে দিনের ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর সাথে কুফরি করে নিজেদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন করেছে তারা ঈমান এনে নিজেদেরকে ক্ষতি থেকে উদ্ধার করবে না।
عربی تفاسیر:
۞ وَلَهُۥ مَا سَكَنَ فِي ٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ
১৩. দিন ও রাতের স্থিতিশীল সব কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই। তিনি তাদের সব কথা শুনেন ও তাদের সকল কাজ সম্পর্কে জানেন। তাই তিনি অচিরেই তাদেরকে সেগুলোর প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
قُلۡ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَتَّخِذُ وَلِيّٗا فَاطِرِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَهُوَ يُطۡعِمُ وَلَا يُطۡعَمُۗ قُلۡ إِنِّيٓ أُمِرۡتُ أَنۡ أَكُونَ أَوَّلَ مَنۡ أَسۡلَمَۖ وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ
১৪. হে রাসূল! আল্লাহর পাশাপাশি মূর্তি ও অন্যান্য বস্তুর ইবাদাতকারী মুশরিকদেরকে বলে দিন: এটা কি কোন বুদ্ধিমানের কাজ যে, আমি আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করবো। যাকে আমি নিজের অভিভাবক বানাবো এবং তার সাহায্য কামনা করবো?! অথচ তিনিই আসমান ও জমিনকে পূর্ব কোন নমুনা ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন। তাঁর আগে কেউ এগুলোকে সৃষ্টি করে নি। তিনি যে বান্দাকে চান রিযিক দেন। তাঁর বান্দাদের কেউই তাঁকে রিযিক দিচ্ছে না। তিনি তাঁর বান্দার অমুখাপেক্ষী। বরং বান্দারাই তাঁর মুখাপেক্ষী। হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আমার প্রভু আমাকে নিশ্চিত আদেশ করেছেন আমি যেন এ উম্মতের আল্লাহর সর্ব প্রথম বিনয়ী ও অনুগত হই। তেমনিভাবে তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন আমি যেন তাঁর সাথে অন্য কিছুর শরীককারী না হই।
عربی تفاسیر:
قُلۡ إِنِّيٓ أَخَافُ إِنۡ عَصَيۡتُ رَبِّي عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ
১৫. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আমি শিরক ও অন্যান্য হারাম বস্তুতে লিপ্ত হয়ে কিংবা ঈমান ও অন্যান্য আদিষ্ট বস্তুকে পরিত্যাগ করে আল্লাহর অবাধ্য হলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ভয় পাচ্ছি যে, তিনি আমাকে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি দিবেন।
عربی تفاسیر:
مَّن يُصۡرَفۡ عَنۡهُ يَوۡمَئِذٖ فَقَدۡ رَحِمَهُۥۚ وَذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡمُبِينُ
১৬. বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন যার থেকে এ আযাব দূরে সরিয়ে দিবেন সেই আল্লাহর রহমত পেয়ে সফল হবে। আর এ আযাব থেকে মুক্তিই হলো সুস্পষ্ট সফলতা। যার নিকটবর্তী আর কোন সফলতাই নেই।
عربی تفاسیر:
وَإِن يَمۡسَسۡكَ ٱللَّهُ بِضُرّٖ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَۖ وَإِن يَمۡسَسۡكَ بِخَيۡرٖ فَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ
১৭. হে আদম সন্তান! যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট কোন বিপদ পৌঁছে যায় তাহলে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউই তোমার এ বিপদকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। আর যদি তাঁর কাছ থেকে তোমার নিকট কোন কল্যাণ পৌঁছে তাহলে তা প্রতিরোধকারী আর কেউ নেই। বস্তুতঃ তাঁর দয়াকে কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না। তিনি সব কিছু করতে সক্ষম। কোন বস্তুই তাঁকে অক্ষম বানাতে পারে না।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلۡقَاهِرُ فَوۡقَ عِبَادِهِۦۚ وَهُوَ ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡخَبِيرُ
১৮. তিনিই তাঁর বান্দাদের উপর জয়ী। তাদেরকে অবনতকারী। তিনি সার্বিকভাবেই তাদের সবার উপরে। কোন বস্তুই তাঁকে অক্ষম বানাতে পারে না। আর কেউই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। বরং সব কিছুই তাঁর সামনে অবনত। তিনি তাঁর বান্দাদের এতো উপরে যা তাঁর সাথে মানায়। তিনি তাঁর সৃষ্টি, পরিচালনা ও শরীয়তের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাময়। তিনি সব কিছুরই খবর রাখেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই লুক্কায়িত নয়।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• بيان حكمة الله تعالى في إرسال كل رسول من جنس من يرسل إليهم؛ ليكون أبلغ في السماع والوعي والقبول عنه.
ক. স্বজাতি হতে রাসূল পাঠানোর আল্লাহর হিকমতের বর্ণনা। যাতে তাঁর কাছ থেকে আল্লাহর বাণী শুনা, অনুধাবন ও গ্রহণ করা ভালোভাবেই সম্ভবপর হয়।

• الدعوة للتأمل في أن تكرار سنن الأوّلين في العصيان قد يقابله تكرار سنن الله تعالى في العقاب.
খ. এ ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার আহŸান যে, অবাধ্যতার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তীদের নিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটলে আল্লাহ তা‘আলাও তার বিপরীতে শাস্তির ক্ষেত্রে তাঁর নিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন।

• وجوب الخوف من المعصية ونتائجها.
গ. গুনাহ ও তার কুফলকে ভয় করা ওয়াজিব।

• أن ما يصيب البشر من بلاء ليس له صارف إلا الله، وأن ما يصيبهم من خير فلا مانع له إلا الله، فلا رَادَّ لفضله، ولا مانع لنعمته.
ঘ. মানুষের উপর আপতিত বিপদ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া প্রতিহত করার কেউ নেই। উপরন্তু যে কল্যাণ তাদের নিকট পৌঁছে আল্লাহ ছাড়া তা প্রতিরোধকারীও কেউ নেই। অতএব, তাঁর অনুগ্রহ ও নিয়ামত প্রতিরোধকারী বস্তুতঃ কেউই নেই।

قُلۡ أَيُّ شَيۡءٍ أَكۡبَرُ شَهَٰدَةٗۖ قُلِ ٱللَّهُۖ شَهِيدُۢ بَيۡنِي وَبَيۡنَكُمۡۚ وَأُوحِيَ إِلَيَّ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانُ لِأُنذِرَكُم بِهِۦ وَمَنۢ بَلَغَۚ أَئِنَّكُمۡ لَتَشۡهَدُونَ أَنَّ مَعَ ٱللَّهِ ءَالِهَةً أُخۡرَىٰۚ قُل لَّآ أَشۡهَدُۚ قُلۡ إِنَّمَا هُوَ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞ وَإِنَّنِي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تُشۡرِكُونَ
১৯. হে রাসূল! আপনি মুশরিক ও আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদেরকে বলুন: কোন্ জিনিসটি আমার সত্যবাদিতার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ববৃহৎ প্রমাণ? আপনি বলুন: আল্লাহই আমার সত্যবাদিতার সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ। তিনি আমার ও তোমাদের সাক্ষী। তিনি তোমাদের নিকট আমার আনীত বিষয় এবং তোমরা যা দিয়ে অচিরেই এর প্রতিউত্তর করবে তা জানেন। আমার নিকট প্রেরিত আল্লাহ তা‘আলার এ কুর‘আনের ওহী দিয়ে যেন আমি তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করতে পারি। তেমনিভাবে ভীতি প্রদর্শন করতে পারি সেই জিন ও মানুষকে যাদের নিকট এ কুর‘আন পৌঁছাবে। হে মুশরিকরা! তোমরা নিশ্চয়ই এ কথা বিশ্বাস করছো যে, আল্লাহর পাশাপাশি অন্যান্য মা’বূদও রয়েছে। হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আমি তোমাদের স্বীকৃত ব্যাপারে সাক্ষী হতে পারছি না। কারণ, তা বাতিল। বরং নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা একক ইলাহ। তাঁর কোন শরীক নেই। আর আমি তোমাদের তাঁর সাথে করা সকল শরীক থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।
عربی تفاسیر:
ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَعۡرِفُونَهُۥ كَمَا يَعۡرِفُونَ أَبۡنَآءَهُمُۘ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ فَهُمۡ لَا يُؤۡمِنُونَ
২০. তাওরাতপ্রাপ্ত ইহুদি আর ইঞ্জীলপ্রাপ্ত খ্রিস্টান নিজেদের সন্তানের মতোই নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে পরিপূর্ণভাবে চিনে। এরাই নিজেদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন করেছে; এরা আর ঈমান আনবে না।
عربی تفاسیر:
وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوۡ كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلظَّٰلِمُونَ
২১. আল্লাহর সাথে অন্য শরীককে সম্পৃক্তকারীর পাশাপাশি ওর ইবাদাতকারী অথবা তাঁর রাসূলের উপর অবতীর্ণ আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীর চেয়ে বড় জালিম আর কে হতে পারে। নিজেদের উপর যুলুমকারী এ ধরনের ব্যক্তিরা তাওবা না করলে কখনোই সফল হবে না।
عربی تفاسیر:
وَيَوۡمَ نَحۡشُرُهُمۡ جَمِيعٗا ثُمَّ نَقُولُ لِلَّذِينَ أَشۡرَكُوٓاْ أَيۡنَ شُرَكَآؤُكُمُ ٱلَّذِينَ كُنتُمۡ تَزۡعُمُونَ
২২. আপনি কিয়ামতের দিনের কথা স্মরণ করুন যখন আমি ওদের সবাইকে একত্রিত করবো। তাদের কাউকেই ছাড়বো না। অতঃপর আমি আল্লাহর সাথে অন্যের ইবাদাতকারীদেরকে তিরস্কার করে বলবো: আজ তোমাদের সেই মিথ্যা দাবিকৃত শরীকরা কোথায় যারা তোমাদের ধারণায় নিশ্চিত আল্লাহর শরীক?!
عربی تفاسیر:
ثُمَّ لَمۡ تَكُن فِتۡنَتُهُمۡ إِلَّآ أَن قَالُواْ وَٱللَّهِ رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشۡرِكِينَ
২৩. এ পরীক্ষার পর তাদের আর কোন কৈফিয়ত থাকবে না। বরং তারা নিজেদের মা’বূদগুলো থেকে তাদের নিষ্কৃতির ঘোষণা দিয়ে তারা মিথ্যার সূরে বলবে: আল্লাহর কসম! হে আমাদের প্রভু! আমরা দুনিয়াতে আপনার সাথে শিরক করি নি। বরং আমরা আপনার প্রতি একত্ববাদী মু’মিন ছিলাম।
عربی تفاسیر:
ٱنظُرۡ كَيۡفَ كَذَبُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡۚ وَضَلَّ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَفۡتَرُونَ
২৪. হে মুহাম্মাদ! আপনি দেখুন কীভাবে তারা শিরক অস্বীকার করে নিজেদের উপর মিথ্যা বলেছে। আর পার্থিব জীবনে যাদেরকে আল্লাহর সাথে করা শরীকরা কীভাবে ওদের থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো এবং ওদের অসহযোগিতা করলো?!
عربی تفاسیر:
وَمِنۡهُم مَّن يَسۡتَمِعُ إِلَيۡكَۖ وَجَعَلۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ أَكِنَّةً أَن يَفۡقَهُوهُ وَفِيٓ ءَاذَانِهِمۡ وَقۡرٗاۚ وَإِن يَرَوۡاْ كُلَّ ءَايَةٖ لَّا يُؤۡمِنُواْ بِهَاۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوكَ يُجَٰدِلُونَكَ يَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ
২৫. হে রাসূল! মুশরিকদের কেউ কেউ আপনার কুর‘আন পড়া মনোযোগ দিয়ে শুনে। তবে তারা তা থেকে উপকৃত হতে পারে না। কারণ, আমি হঠকারিতা ও সত্য বিমুখতার দরুন তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা কুর‘আন বুঝতে না পারে। আর আমি তাদের কানে বধিরতা দিয়েছি যাতে তারা উপকারী কোন জিনিস শুনতে না পায়। যতোই তারা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ও পরিষ্কার প্রমাণ দেখুক তারা কখনো সেগুলোর প্রতি ঈমান আনবে না। এমনকি তারা যখন বাতিল নিয়ে সত্যের ব্যাপারে আপনার সাথে ঝগড়া করতে আসবে তখন তারা বলবে: আপনি যা নিয়ে এসেছেন তা কেবল পূর্ববর্তীদের কিতাবসমূহ থেকেই সংগৃহীত।
عربی تفاسیر:
وَهُمۡ يَنۡهَوۡنَ عَنۡهُ وَيَنۡـَٔوۡنَ عَنۡهُۖ وَإِن يُهۡلِكُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمۡ وَمَا يَشۡعُرُونَ
২৬. তারা মানুষদেরকে রাসূলের উপর ঈমান আনা থেকে নিষেধ করে ও তা থেকে দূরে থাকে। তারা তা থেকে না কাউকে লাভবান হতে দেয়, না নিজেরা লাভবান হয়। তারা এ কর্মকাÐের মাধ্যমে বস্তুতঃ নিজেদেরকেই ধ্বংস করছে। তারা জানে না মূলতঃ এ কৃতকর্মই তাদেরকেই ধ্বংস করছে।
عربی تفاسیر:
وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذۡ وُقِفُواْ عَلَى ٱلنَّارِ فَقَالُواْ يَٰلَيۡتَنَا نُرَدُّ وَلَا نُكَذِّبَ بِـَٔايَٰتِ رَبِّنَا وَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
২৭. হে রাসূল! আপনি যদি দেখতেন যখন তাদেরকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের উপর উপস্থাপন করা হবে তখন তারা আপসোস করে বলবে: হায়! আমাদেরকে যদি আবার দুনিয়ার জীবনে ফেরত পাঠানো হতো তখন আমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন না করে বরং তাঁর উপর ঈমান আনতাম তাহলে আপনি তাদের দুরাবস্থা দেখে অবশ্যই আশ্চর্য হতেন।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• بيان الحكمة في إرسال النبي عليه الصلاة والسلام بالقرآن، من أجل البلاغ والبيان، وأعظم ذلك الدعوة لتوحيد الله.
ক. কুর‘আন দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে পাঠানোর হিকমতের বর্ণনা। আর তা হলো এর মাধ্যমে আল্লাহর বাণী পৌঁছানো ও তা বর্ণনা করা। বিশেষ করে আল্লাহর তাওহীদের দা’ওয়াত দেয়া।

• نفي الشريك عن الله تعالى، ودحض افتراءات المشركين في هذا الخصوص.
খ. আল্লাহর শরীককে প্রত্যাখ্যান করা। বিশেষ করে এ ব্যাপারে মুশরিকদের অপবাদগুলোর মূলোৎপাটন করা।

• بيان معرفة اليهود والنصارى للنبي عليه الصلاة والسلام، برغم جحودهم وكفرهم.
গ. ইহুদি ও খ্রিস্টানরা আপন সন্তানের মতোই নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে চিনতো যদিও তারা তাঁকে অস্বীকার ও তাঁর সাথে কুফরি করতো।

بَلۡ بَدَا لَهُم مَّا كَانُواْ يُخۡفُونَ مِن قَبۡلُۖ وَلَوۡ رُدُّواْ لَعَادُواْ لِمَا نُهُواْ عَنۡهُ وَإِنَّهُمۡ لَكَٰذِبُونَ
২৮. ব্যাপারটি তেমন নয় যেমন তারা বলেছে তথা তাদেরকে পুনরায় দুনিয়াতে পাঠালে তারা ঈমান আনবে। বরং তারা যে কথাটি লুকিয়ে রেখেছে তা তাদের সামনে অসত্যরূপে প্রকাশ পেয়েছে। যখন তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। তারা যে কথা লুকিয়ে রেখেছে তা হলো তারা বলেছে, আল্লাহর কসম! আমরা কখনোই মুশরিক ছিলাম না। আর যদি ধরেও নেয়া হয় যে, তারা দুনিয়াতে পুনরায় ফিরে গিয়েছে তাহলে তারা অবশ্যই আবার নিষিদ্ধ কুফরি ও শিরকের দিকে ফিরে যাবে। তারা যে দাবি করেছে যে তারা দুনিয়াতে ফিরে গেলে ঈমান আনবে সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত মিথ্যাবাদী।
عربی تفاسیر:
وَقَالُوٓاْ إِنۡ هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا ٱلدُّنۡيَا وَمَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوثِينَ
২৯. এ মুশরিকরা বললো: বর্তমান জীবন ছাড়া আর কোন জীবন নেই। আর হিসাবের জন্য আমাদেরকে কখনোই পুনরুত্থান করা হবে না।
عربی تفاسیر:
وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذۡ وُقِفُواْ عَلَىٰ رَبِّهِمۡۚ قَالَ أَلَيۡسَ هَٰذَا بِٱلۡحَقِّۚ قَالُواْ بَلَىٰ وَرَبِّنَاۚ قَالَ فَذُوقُواْ ٱلۡعَذَابَ بِمَا كُنتُمۡ تَكۡفُرُونَ
৩০. হে রাসূল! আপনি যদি দেখতেন যখন পুনরুত্থান অস্বীকারকারীদেরকে তাদের প্রতিপালকের সামনে দাঁড় করানো হবে তাহলে আপনি অবশ্যই তাদের দুরাবস্থা দেখে আশ্চর্য হতেন। যখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বলবেন: এই হলো তোমাদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করা পুনরুত্থান, তা কি নিঃসন্দেহভাবে সত্যরূপে প্রমাণিত নয়?! তখন তারা বলবে: আমাদের ¯্রষ্টা প্রতিপালকের কসম খেয়ে বলছি তা সন্দেহাতীতভাবে সত্যরূপে প্রমাণিত। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বলবেন: এ দিনের সাথে কুফরি করার দরুন আজ তোমরা আযাবের স্বাদ আস্বাদন করো। কারণ, তোমরা দুনিয়ার জীবনে একে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলে।
عربی تفاسیر:
قَدۡ خَسِرَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِلِقَآءِ ٱللَّهِۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَتۡهُمُ ٱلسَّاعَةُ بَغۡتَةٗ قَالُواْ يَٰحَسۡرَتَنَا عَلَىٰ مَا فَرَّطۡنَا فِيهَا وَهُمۡ يَحۡمِلُونَ أَوۡزَارَهُمۡ عَلَىٰ ظُهُورِهِمۡۚ أَلَا سَآءَ مَا يَزِرُونَ
৩১. যারা পুনরুত্থানকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তারা কিয়ামতের দিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মূলতঃ তারা আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোকে অতি দূর ভেবেছে। তবে যখন পূর্ব থেকে অজানার ভিত্তিতে হঠাৎ তাদের নিকট কিয়ামত এসে পড়বে তখন তারা চরম লজ্জিত হয়ে বলবে: হায় আপসোস! হায় দুরাশা! আমরা তো আল্লাহর সাথে কুফরি করে ও কিয়ামতের দিনের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে আল্লাহর শানে ত্রæটি করেছি। তারা সে দিন নিজেদের পাপগুলো পিঠে বহন করবে। তাদের এ পাপ বহনের দৃশ্য কতোই না নিকৃষ্ট।
عربی تفاسیر:
وَمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا لَعِبٞ وَلَهۡوٞۖ وَلَلدَّارُ ٱلۡأٓخِرَةُ خَيۡرٞ لِّلَّذِينَ يَتَّقُونَۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ
৩২. তোমরা যে দুনিয়ার জীবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছো তা কেবল ধোঁকা ও তামাশা ওদের জন্য যারা এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি মাফিক আমল করে না। আর পরকালের আবাস সর্বোত্তম ওদের জন্য যারা আদিষ্ট ঈমান ও আনুগত্য পালন করে এবং নিষিদ্ধ শিরক ও গুনাহকে বর্জন করে একমাত্র আল্লাহকে ভয় করে। হে মুশরিকরা! তোমরা কি এ কথা বুঝো না?! বুঝে থাকলে ঈমান আনো এবং নেক আমল করো।
عربی تفاسیر:
قَدۡ نَعۡلَمُ إِنَّهُۥ لَيَحۡزُنُكَ ٱلَّذِي يَقُولُونَۖ فَإِنَّهُمۡ لَا يُكَذِّبُونَكَ وَلَٰكِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ يَجۡحَدُونَ
৩৩. হে রাসূল! আমি জানি তাদের প্রকাশ্য মিথ্যারোপ আপনাকে খুব কষ্ট দেয়। আপনি জেনে রাখুন, আসলে তারা আন্তরিকভাবে আপনাকে মিথ্যাবাদী মনে করে না। কারণ, তারা জানে, আপনি সত্যবাদী ও আমানতদার। তারা জালিম সম্প্রদায় হওয়ায় আপনার ব্যাপারটিকে প্রকাশ্যভাবে অস্বীকার করে। যদিও তারা আন্তরিকভাবে তা বিশ্বাস করে।
عربی تفاسیر:
وَلَقَدۡ كُذِّبَتۡ رُسُلٞ مِّن قَبۡلِكَ فَصَبَرُواْ عَلَىٰ مَا كُذِّبُواْ وَأُوذُواْ حَتَّىٰٓ أَتَىٰهُمۡ نَصۡرُنَاۚ وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِ ٱللَّهِۚ وَلَقَدۡ جَآءَكَ مِن نَّبَإِيْ ٱلۡمُرۡسَلِينَ
৩৪. আপনি মনে করবেন না যে, এ মিথ্যারোপ শুধু আপনার আনীত বিধানের সাথেই। বরং আপনার পূর্বেও অনেক রাসূলকে মিথ্যারোপ করা হয়েছে এবং তাঁদের সম্প্রদায় তাঁদেরকে কষ্টও দিয়েছে। তবে তাঁরা দা’ওয়াতের ক্ষেত্রে ধৈর্য ও আল্লাহর পথে জিহাদের মাধ্যমে এর মুকাবিলা করেছেন। পরিশেষে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদের উপর সাহায্য এসেছে। আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত সাহায্য এবং রাসূলদের সাথে দেয়া ওয়াদা পরিবর্তন করার কেউ নেই। হে রাসূল! আপনার নিকট আপনার পূর্বের রাসূলদের সংবাদ এসেছে। অর্থাৎ তাঁরা স্বজাতির কাছ থেকে যে কষ্ট পেয়েছেন এবং আল্লাহ তা‘আলা শত্রæদেরকে ধ্বংস করে তাঁদেরকে সাহায্য করেছেন সে সংবাদ আপনার নিকট এসে গেছে।
عربی تفاسیر:
وَإِن كَانَ كَبُرَ عَلَيۡكَ إِعۡرَاضُهُمۡ فَإِنِ ٱسۡتَطَعۡتَ أَن تَبۡتَغِيَ نَفَقٗا فِي ٱلۡأَرۡضِ أَوۡ سُلَّمٗا فِي ٱلسَّمَآءِ فَتَأۡتِيَهُم بِـَٔايَةٖۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَمَعَهُمۡ عَلَى ٱلۡهُدَىٰۚ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡجَٰهِلِينَ
৩৫. হে রাসূল! আপনার কাছে কাফিরদের মিথ্যারোপ এবং আপনার আনীত সত্যের প্রতি তাদের উপেক্ষা কঠিন মনে হলে আপনি জমিনের সুড়ঙ্গ খুঁজে অথবা আকাশে সিঁড়ি লাগিয়ে তাদের নিকট এমন অকাট্য দলীল ও প্রমাণ নিয়ে আসতে পারেন যা দিয়ে আমি আপনাকে ইতিপূর্বে সাহায্য করিনি তাহলে তাই করুন। আল্লাহ তা‘আলা চাইলে আপনার আনীত হিদায়েতের উপর তাদেরকে একত্রিত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি বিশেষ হিকমতের কারণে তা চান নি। তাই আপনি এ ব্যাপারে জাহিলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। যার ফলে আপনি তাদের ঈমান না আনার দরুন আপসোস করে নিজের জীবনকে শেষ করে দিবেন।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• من عدل الله تعالى أنه يجمع العابد والمعبود والتابع والمتبوع في عَرَصات القيامة ليشهد بعضهم على بعض.
ক. আল্লাহর ইনসাফের দরুন তিনি পূজারী ও পূজ্যকে এবং অনুসারী ও অনুসরণীয়কে কিয়ামতের মাঠে একত্রিত করবেন। যাতে তাদের একে অপরের উপর সাক্ষী হতে পারে।

• ليس كل من يسمع القرآن ينتفع به، فربما يوجد حائل مثل ختم القلب أو الصَّمَم عن الانتفاع أو غير ذلك.
খ. সকল কুর‘আন শ্রবণকারীই লাভবান হবে তা নয়। বরং এর বিপরীতও হতে পারে। যেমন: অন্তরের মোহর, বধিরতা ইত্যাদি।

• بيان أن المشركين وإن كانوا يكذبون في الظاهر فهم يستيقنون في دواخلهم بصدق النبي عليه الصلاة والسلام.
গ. মুশরিকরা প্রকাশ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে মিথ্যাবাদী বললেও অন্তরে তাঁকে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করে।

• تسلية النبي عليه الصلاة والسلام ومواساته بإعلامه أن هذا التكذيب لم يقع له وحده، بل هي طريقة المشركين في معاملة الرسل السابقين.
ঘ. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে এ কথা বলে সান্ত¦না দেয়া ও তাঁর সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করা যে, এরূপ আচরণ শুধু আপনার ব্যাপারেই না; পূর্বের রাসূলদের সাথেও মুশরিকদের আচরণের পদ্ধতি এরকমই ছিলো।

۞ إِنَّمَا يَسۡتَجِيبُ ٱلَّذِينَ يَسۡمَعُونَۘ وَٱلۡمَوۡتَىٰ يَبۡعَثُهُمُ ٱللَّهُ ثُمَّ إِلَيۡهِ يُرۡجَعُونَ
৩৬. আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে ও তা বুঝার চেষ্টা করে এরাই শুধু আপনার আনা বিষয় কবুল করে আপনার ডাকে সাড়া দিবে। বস্তুতঃ কাফিররা মৃত সদৃশ। তাদের এ ব্যাপারে কোন চিন্তাই নেই। তাদের অন্তর একেবারে মরে গেছে। তবে মৃতদেরকেও আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন পুনরুত্থিত করবেন। তাদের কৃতকর্মের প্রতিদানের জন্য তাদেরকে একমাত্র তাঁর দিকেই ফিরে যেতে হবে।
عربی تفاسیر:
وَقَالُواْ لَوۡلَا نُزِّلَ عَلَيۡهِ ءَايَةٞ مِّن رَّبِّهِۦۚ قُلۡ إِنَّ ٱللَّهَ قَادِرٌ عَلَىٰٓ أَن يُنَزِّلَ ءَايَةٗ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ
৩৭. মুশরিকরা ঈমানের সাথে তালবাহানা ও হঠকারিতা দেখিয়ে বললো: মুহাম্মাদের উপর কেন এমন কোন অলৌকিক নিদর্শন নাযিল হয় না যা তার আনীত বিষয়ের সত্যতার ব্যাপারে তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে? হে রাসূল! আপনি বলুন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের চাহিদা মাফিক নিদর্শন নাযিল করতে সক্ষম। তবে নিদর্শন নাযিলের আবেদনকারী অধিকাংশ মুশরিকই জানে না যে, নিদর্শনসমূহ নাযিলের ব্যাপারটি মূলতঃ আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়ে থাকে। তাদের ইচ্ছাতে নয়। কারণ, তাদের ইচ্ছা মাফিক নিদর্শন নাযিলের পর তারা তাতে ঈমান না আনলে তিনি তাদের সবাইকে ধ্বংস করে দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَمَا مِن دَآبَّةٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا طَٰٓئِرٖ يَطِيرُ بِجَنَاحَيۡهِ إِلَّآ أُمَمٌ أَمۡثَالُكُمۚ مَّا فَرَّطۡنَا فِي ٱلۡكِتَٰبِ مِن شَيۡءٖۚ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّهِمۡ يُحۡشَرُونَ
৩৮. হে আদম সন্তান! ভ‚পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকল প্রাণী এবং আকাশে উড্ডয়নশীল সকল পাখী সৃষ্টি ও রিযিকের ক্ষেত্রে তোমাদের মতোই বিভিন্ন জাতি। লাওহে মাহফুযে কোন কিছু লেখা বাদ দেইনি। সকলের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকটেই। অতঃপর কিয়ামতের দিন একমাত্র তাদের প্রতিপালকের নিকটই ফায়সালার জন্য সবাইকে একত্রিত করা হবে। তখন তিনি প্রত্যেককে তার উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا صُمّٞ وَبُكۡمٞ فِي ٱلظُّلُمَٰتِۗ مَن يَشَإِ ٱللَّهُ يُضۡلِلۡهُ وَمَن يَشَأۡ يَجۡعَلۡهُ عَلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ
৩৯. আর যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তারা মূলতঃ বধিরের মতো কোন কিছু শুনে না। বোবার মতো কোন কথা বলতে পারে না। এতদসত্তে¡ও তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত কোন কিছু দেখতে পায় না। যার অবস্থা এমন সে কীভাবে হিদায়েতপ্রাপ্ত হতে পারে?! আল্লাহ তা‘আলা যাকে চান পথভ্রষ্ট করেন। আর যাকে চান হিদায়েত করেন। তথা তাকে বক্রতাহীন সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
عربی تفاسیر:
قُلۡ أَرَءَيۡتَكُمۡ إِنۡ أَتَىٰكُمۡ عَذَابُ ٱللَّهِ أَوۡ أَتَتۡكُمُ ٱلسَّاعَةُ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ تَدۡعُونَ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ
৪০. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: তোমরা বলো দেখি, তোমাদের নিকট আল্লাহর ওয়াদা মাফিক কোন আযাব অথবা কিয়ামত আসলে কি তোমাদের উপর আসা বিপদাপদ দূর করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কাউকে খুঁজে পাবে? যদি তোমরা এ দাবিতে সত্যবাদী হও যে, তোমাদের মা’বূদগুলো তোমাদের কোন উপকার বা কোন ক্ষতি প্রতিহত করতে পারবে?!
عربی تفاسیر:
بَلۡ إِيَّاهُ تَدۡعُونَ فَيَكۡشِفُ مَا تَدۡعُونَ إِلَيۡهِ إِن شَآءَ وَتَنسَوۡنَ مَا تُشۡرِكُونَ
৪১. সত্য কথা হলো, তোমরা সে সময় তোমাদের ¯্রষ্টা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ডাকবে না। তখন তিনি তোমাদের বিপদটুকু সরিয়ে তোমাদের ক্ষতিটুকু উঠিয়ে নিবেন। বস্তুতঃ তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ও তা করতে সক্ষম। আর তোমরা শরীক মা’বূদগুলোকে পরিত্যাগ করবে। কারণ, তোমরা জানো, এগুলো তোমাদের কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারবে না।
عربی تفاسیر:
وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَآ إِلَىٰٓ أُمَمٖ مِّن قَبۡلِكَ فَأَخَذۡنَٰهُم بِٱلۡبَأۡسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ لَعَلَّهُمۡ يَتَضَرَّعُونَ
৪২. হে রাসূল! আপনার পূর্বে অনেক জাতির কাছে প্রেরিত রাসূলদেরকে তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন এবং তাদের নিকট আনা বিধানাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তখন আমি তাদেরকে কষ্ট-কাঠিন্য যেমন: দরিদ্রতা এবং শারীরিক ক্ষতিগ্রস্তকারী রোগ দিয়ে শাস্তি দিয়েছি। যেন তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট বিনয়ী ও অবনত হয়।
عربی تفاسیر:
فَلَوۡلَآ إِذۡ جَآءَهُم بَأۡسُنَا تَضَرَّعُواْ وَلَٰكِن قَسَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
৪৩. তাদের উপর আপতিত বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আল্লাহর নিকট বিনয়ী ও অবনত হলে আমি তাদের উপর দয়া করতাম। কিন্তু তারা তা করে নি। বরং তাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তারা সেখান থেকে কোন উপদেশ বা শিক্ষা গ্রহণ করে নি। উপরন্তু শয়তান তাদের নিকট তাদের কৃত কুফরি ও গুনাহকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। ফলে তারা তাদের পূর্বাবস্থার উপর অটল থেকেছে।
عربی تفاسیر:
فَلَمَّا نَسُواْ مَا ذُكِّرُواْ بِهِۦ فَتَحۡنَا عَلَيۡهِمۡ أَبۡوَٰبَ كُلِّ شَيۡءٍ حَتَّىٰٓ إِذَا فَرِحُواْ بِمَآ أُوتُوٓاْ أَخَذۡنَٰهُم بَغۡتَةٗ فَإِذَا هُم مُّبۡلِسُونَ
৪৪. যখন তারা শিক্ষণীয় বিষয় যেমন: কঠিন দরিদ্রতা ও রোগ থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে সেগুলোকে অবহেলা করে পরিত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর আদেশ পালনে গাফিলতি করেছে তখন আমি তাদের জন্য রিযিকের দরজাগুলো খুলে দিয়ে এবং দরিদ্রতা থেকে স্বচ্ছলতা দিয়ে তাদেরকে অবকাশ দিয়েছি। উপরন্তু রোগের পর তাদের শরীরগুলোকে সুস্থ করে দিয়েছি। পরিশেষে যখন তাদেরকে অহঙ্কার পেয়ে বসেছে এবং তাদের উপর ভোগের আত্মতৃপ্তি জেঁকে বসেছে তখন হঠাৎ তাদের নিকট আমার শাস্তি এসে গেছে। ফলে তারা অস্থির ও নিরাশ হয়ে গেছে।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• تشبيه الكفار بالموتى؛ لأن الحياة الحقيقية هي حياة القلب بقَبوله الحق واتباعه طريق الهداية.
ক. কাফিরদেরকে মৃতের সাথে তুলনা করা। কারণ, সত্যিকারের জীবন হলো অন্তরের জীবন। যা সত্যকে গ্রহণ ও হিদায়েতের পথকে অনুসরণের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়।

• من حكمة الله تعالى في الابتلاء: إنزال البلاء على المخالفين من أجل تليين قلوبهم وردِّهم إلى ربهم.
খ. আল্লাহর অন্যতম হিকমত হলো বিপদাপদের মাধ্যমে বিরোধীদের অন্তরসমূহ নরম করা ও তাদেরকে প্রতিপালকের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের উপর বিপদাপদ নাযিল করা।

• وجود النعم والأموال بأيدي أهل الضلال لا يدل على محبة الله لهم، وإنما هو استدراج وابتلاء لهم ولغيرهم.
গ. পথভ্রষ্টদের হাতে নিয়ামত ও সম্পদ থাকা তাদের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা প্রমাণ করে না। বরং এরই মাধ্যমে মূলতঃ তাদেরকে ও অন্যান্যদেরকে অবকাশ দেয়া ও পরীক্ষা করা হয়।

فَقُطِعَ دَابِرُ ٱلۡقَوۡمِ ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْۚ وَٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
৪৫. অতঃপর কাফিরদের সকলকে ধ্বংসের মাধ্যমে শিকড় কেটে মূলোৎপাটন করে আল্লাহর রাসূলদের সহযোগিতা করা হলো। আর সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা সারা জাহানের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য। কারণ, তিনি তাঁর শত্রæদেরকে ধ্বংস ও তাঁর বন্ধুদেরকে সহযোগিতা করলেন।
عربی تفاسیر:
قُلۡ أَرَءَيۡتُمۡ إِنۡ أَخَذَ ٱللَّهُ سَمۡعَكُمۡ وَأَبۡصَٰرَكُمۡ وَخَتَمَ عَلَىٰ قُلُوبِكُم مَّنۡ إِلَٰهٌ غَيۡرُ ٱللَّهِ يَأۡتِيكُم بِهِۗ ٱنظُرۡ كَيۡفَ نُصَرِّفُ ٱلۡأٓيَٰتِ ثُمَّ هُمۡ يَصۡدِفُونَ
৪৬. হে রাসূল! আপিন এ মুশরিকদেরকে বলুন: তোমরা আমাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দাও যে, আল্লাহ তা‘আলা শ্রবণ শক্তি হরণ করে তোমাদেরকে বধির এবং দৃষ্টি শক্তি হরণ করে অন্ধ বানিয়ে দিলে উপরন্তু তিনি তোমাদের অন্তরে মোহর মেরে দিলে -ফলে তোমরা কিছুই বুঝতে পারো না - তোমাদের কি এমন কোন সত্য মা’বূদ রয়েছে যে তোমাদের হারানো জিনিসগুলো তোমাদের ফিরিয়ে দিবেন? হে রাসূল! আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন, কীভাবে আমি তাদের জন্য প্রমাণগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করছি এবং বিভিন্ন ধরনের অকাট্য দলীলগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করছি। এরপরও তারা এগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
عربی تفاسیر:
قُلۡ أَرَءَيۡتَكُمۡ إِنۡ أَتَىٰكُمۡ عَذَابُ ٱللَّهِ بَغۡتَةً أَوۡ جَهۡرَةً هَلۡ يُهۡلَكُ إِلَّا ٱلۡقَوۡمُ ٱلظَّٰلِمُونَ
৪৭. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলুন: তোমরা আমাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দাও যে, তোমাদের অচেতন অবস্থায় হঠাৎ আল্লাহর কোন আযাব আসলে অথবা প্রকাশ্য ও প্রত্যক্ষভাবে সেরকম কোন কিছু এসে গেলে সে আযাবগুলোর মাধ্যমে কেবল যালিমদেরকেই পাকড়াও করা হবে। কারণ, তারা আল্লাহর সাথে কুফরি করে ও তাঁর রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
عربی تفاسیر:
وَمَا نُرۡسِلُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۖ فَمَنۡ ءَامَنَ وَأَصۡلَحَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ
৪৮. আমি সকল রাসূলকেই কেবল মু’মিন ও অনুগতদেরকে পরকালে অবিরত স্থায়ী নিয়ামতের খুশির সংবাদ দেয়ার জন্য এবং কাফির ও অবাধ্যদেরকে কঠিন শাস্তির ভীতি প্রদর্শনের জন্য পাঠিয়েছি। সুতরাং রাসূলের উপর ঈমান এনে তারা সঠিক আমল করলে আখিরাতে তাদের কোন ভয় থাকবে না, না তারা দুনিয়ার কোন সুবিধা হারানোর জন্য চিন্তিত হবে ও আপসোস করবে।
عربی تفاسیر:
وَٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا يَمَسُّهُمُ ٱلۡعَذَابُ بِمَا كَانُواْ يَفۡسُقُونَ
৪৯. আর যারা আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে তারা আল্লাহর আনুগত্য থেকে বের হওয়ার দরুন আযাবের সম্মুখীন হবে।
عربی تفاسیر:
قُل لَّآ أَقُولُ لَكُمۡ عِندِي خَزَآئِنُ ٱللَّهِ وَلَآ أَعۡلَمُ ٱلۡغَيۡبَ وَلَآ أَقُولُ لَكُمۡ إِنِّي مَلَكٌۖ إِنۡ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَيَّۚ قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلۡأَعۡمَىٰ وَٱلۡبَصِيرُۚ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ
৫০. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলুন: আমি তোমাদেরকে বলছি না যে, আমার নিকট আল্লাহর রিযিকের ভাÐার আছে যা আমি ইচ্ছা মাফিক খরচ করবো। আমি এও বলছি না যে, আমি গায়েব তথা অদৃশ্য সম্পর্কে জানি আল্লাহ তা‘আলা আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো ছাড়া। আমি এও বলছি না যে, আমি ফিরিশতাদেরই একজন। বরং আমি আল্লাহর রাসূল। আমি কেবল ওহীর অনুসরণ করি। যা আমার নয় তা আমি কখনো দাবি করি না। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: যে কাফিরের অন্তর্দৃষ্টি সত্য দর্শনে অন্ধ আর যে মু’মিন সত্য দর্শন করে তাতে ঈমান আনে তারা উভয় কি কখনো সমান হতে পারে? হে মুশরিকরা! তোমরা কি নিজেদের আশপাশের নিদর্শনাবলী দেখে তা নিয়ে এতটুকুও মাথা ঘামাবে না?
عربی تفاسیر:
وَأَنذِرۡ بِهِ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَن يُحۡشَرُوٓاْ إِلَىٰ رَبِّهِمۡ لَيۡسَ لَهُم مِّن دُونِهِۦ وَلِيّٞ وَلَا شَفِيعٞ لَّعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ
৫১. হে রাসূল! কিয়ামতের দিবসে প্রতিপালের কাছে জমায়েত হতে ভয় পাওয়াদেরকে আপনি এ কুর‘আনের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করুন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া তাদের এমন কোন অভিভাবক নেই যে তাদের উপকার করতে পারে। না তাদের এমন কোন সুপারিশকারী রয়েছে যে তাদের ক্ষতি দূর করবে। আশা করি এরই মাধ্যমে তারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকেই ভয় করবে। আর এরাই মূলতঃ কুর‘আন কর্তৃক লাভবান হবে।
عربی تفاسیر:
وَلَا تَطۡرُدِ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ مَا عَلَيۡكَ مِنۡ حِسَابِهِم مِّن شَيۡءٖ وَمَا مِنۡ حِسَابِكَ عَلَيۡهِم مِّن شَيۡءٖ فَتَطۡرُدَهُمۡ فَتَكُونَ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ
৫২. হে রাসূল! আপনি নিজের মজলিস থেকে মুসলিম ফকিরদেরকে দূরে সরিয়ে দিবেন না। যারা দিনের শুরু ও শেষে খাঁটিভাবে আল্লাহর সার্বক্ষণিক ইবাদাতে নিমগ্ন থাকে। আপনি বড় বড় মুশরিকদেরকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য এদেরকে দূরে সরিয়ে দিবেন না। এ ফকিরদের কোন হিসাবই আপনাকে দিতে হবে না। বরং তাদের হিসাব নিশ্চয়ই তাদের প্রভুর নিকট। না তাদেরকে আপনার কোন হিসাব দিতে হবে। তাদেরকে আপনার মজলিস থেকে দূরে সরিয়ে দিলে আপনি আল্লাহর সীমা অতিক্রমকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الأنبياء بشر، ليس لهم من خصائص الربوبية شيء البتة، ومهمَّتهم التبليغ، فهم لا يملكون تصرفًا في الكون، فلا يعلمون الغيب، ولا يملكون خزائن رزق ونحو ذلك.
ক. নবীগণ মানুষ। তাঁরা রুবূবিয়্যাতের কোন বৈশিষ্ট্যের কখনোই মালিক নন। বরং তাঁদের মিশন হলো আল্লাহর দ্বীন প্রচার। তাই তাঁরা দুনিয়াতে না কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। না গায়েব জানেন। না তাঁরা রিযিক ইত্যাদির কোন ভাÐারের মালিক।

• اهتمام الداعية بأتباعه وخاصة أولئك الضعفاء الذين لا يبتغون سوى الحق، فعليه أن يقرِّبهم، ولا يقبل أن يبعدهم إرضاء للكفار.
খ. দা‘য়ীকে অবশ্যই তার অনুসারীদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে ওই দুর্বলদেরকে যারা সত্য ছাড়া অন্য কিছু কখনোই অন্বেষণ করে না। তাই তাকে অবশ্যই তাদেরকে কাছে টানতে হবে। কাফিরদেরকে খুশি করানোর জন্য তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

• إشارة الآية إلى أهمية العبادات التي تقع أول النهار وآخره.
গ. দিনের শুরু ও শেষের ইবাদাতগুলোর গুরুত্বের প্রতি আয়াতের ইঙ্গিত।

وَكَذَٰلِكَ فَتَنَّا بَعۡضَهُم بِبَعۡضٖ لِّيَقُولُوٓاْ أَهَٰٓؤُلَآءِ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَيۡهِم مِّنۢ بَيۡنِنَآۗ أَلَيۡسَ ٱللَّهُ بِأَعۡلَمَ بِٱلشَّٰكِرِينَ
৫৩. এভাবেই আমি একজনকে দিয়ে অন্যজনকে পরীক্ষা করে থাকি। তাই আমি তাদেরকে দুনিয়ার সুযোগ ও সুবিধায় বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করেছি। আমি তাদেরকে এরই মাধ্যমে পরীক্ষায় ফেলেছি। যাতে ধনী কাফিররা ফকির মু’মিনদেরকে বলে: আল্লাহ তা‘আলা কি হিদায়েত দিয়ে আমাদের এ ফকিরদের উপর অনুগ্রহ করেছেন?! ঈমান আনা সত্যিই কল্যাণকর হলে তারা সে ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হতো না। বরং আমরাই হতাম। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিয়ামতের কৃতজ্ঞদের সম্পর্কে বেশি জানেন, তাই তিনি তাদেরকে ঈমান আনার তাওফীক দিবেন। তেমনিভাবে তিনি তাঁর নিয়ামতের অকৃতজ্ঞদের সম্পর্কে বেশি জানেন, তাই তিনি তাদের অসহযোগিতা করবেন। ফলে তারা কখনোই ঈমান আনবে না?! হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাদের সবার সম্পর্কে অন্যের চেয়ে বেশি জানেন।
عربی تفاسیر:
وَإِذَا جَآءَكَ ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِـَٔايَٰتِنَا فَقُلۡ سَلَٰمٌ عَلَيۡكُمۡۖ كَتَبَ رَبُّكُمۡ عَلَىٰ نَفۡسِهِ ٱلرَّحۡمَةَ أَنَّهُۥ مَنۡ عَمِلَ مِنكُمۡ سُوٓءَۢا بِجَهَٰلَةٖ ثُمَّ تَابَ مِنۢ بَعۡدِهِۦ وَأَصۡلَحَ فَأَنَّهُۥ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
৫৪. হে রাসূল! আপনার কাছে আপনার আনীত বিধানের সত্যতার সাক্ষ্যদাতা আমার আয়াতের বিশ্বাসীরা আসলে তাদের সম্মানার্থে তাদেরকে সালাম দিন এবং আল্লাহর অশেষ রহমতের সুসংবাদ দিন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা অনুগ্রহপূর্বক নিজের উপর রহমতকে অবধারিত করেন। তাই তোমাদের কেউ মূর্খতা ও বোকামিবশত পাপ করে তা থেকে তাওবা করে নিজের আমলকে সংশোধন করে নিলে আল্লাহ তা‘আলা তার কৃত পাপকে অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ وَلِتَسۡتَبِينَ سَبِيلُ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
৫৫. অপরাধীদের মত ও পথ সম্পর্কে সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানাতে তোমাদের জন্য পূর্ববর্তী বিষয়গুলোকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনার মতো আমি বাতিলপন্থীদের উপর আমার দলীল ও প্রমাণাদি বর্ণনা করে থাকি। যাতে তারা সে পথ থেকে দূরে ও সে ব্যাপারে সতর্ক থাকে।
عربی تفاسیر:
قُلۡ إِنِّي نُهِيتُ أَنۡ أَعۡبُدَ ٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِۚ قُل لَّآ أَتَّبِعُ أَهۡوَآءَكُمۡ قَدۡ ضَلَلۡتُ إِذٗا وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلۡمُهۡتَدِينَ
৫৬. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদাত তোমরা করছো আল্লাহ তা‘আলা আমাকে ওদের ইবাদাত করতে নিষেধ করেছেন। হে রাসূল! আপনি আরো বলে দিন: আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদাতে আমি তোমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবো না। তা করলে আমি সৎপথ হারা হবো। যা কখনো খুঁজে পাবো না। আর এটি হলো মূলতঃ আল্লাহর প্রমাণ ছাড়া প্রত্যেক প্রবৃত্তির অনুসারীদের বাস্তব অবস্থা।
عربی تفاسیر:
قُلۡ إِنِّي عَلَىٰ بَيِّنَةٖ مِّن رَّبِّي وَكَذَّبۡتُم بِهِۦۚ مَا عِندِي مَا تَسۡتَعۡجِلُونَ بِهِۦٓۚ إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِۖ يَقُصُّ ٱلۡحَقَّۖ وَهُوَ خَيۡرُ ٱلۡفَٰصِلِينَ
৫৭. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: নিশ্চয়ই আমি নিজ প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত। কোন প্রবৃত্তির উপর নয়। আর তোমরা এ অকাট্য প্রমাণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছো। তোমরা যে শাস্তি ও অলৌকিক নিদর্শনাবলী দ্রæত কামনা করছো তা আমার নিকট নয়। বরং তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নিকট। সুতরাং এ ব্যাপারে ফায়সালা দিবেন একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই। যার মাঝে তোমাদের আবেদনটিও রয়েছে। কারণ, তিনিই সত্য বলেন ও সত্য ফায়সালা করেন। তিনিই হক ও বাতিলপন্থীর মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী।
عربی تفاسیر:
قُل لَّوۡ أَنَّ عِندِي مَا تَسۡتَعۡجِلُونَ بِهِۦ لَقُضِيَ ٱلۡأَمۡرُ بَيۡنِي وَبَيۡنَكُمۡۗ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِٱلظَّٰلِمِينَ
৫৮. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: তোমাদের দ্রæত কামনা করা আযাব দেয়া আমার আওতাধীন থাকলে আমি তা তোমাদের নিকট অবশ্যই নাযিল করতাম। তখন আমার ও তোমাদের মধ্যকার ব্যাপারটির চ‚ড়ান্ত ফায়সালা হয়ে যেতো। মূলতঃ আল্লাহ তা‘আলা যালিমদের কতটুকু ছাড় দিবেন ও কখন শাস্তি দিবেন সে সম্পর্কে তিনি বেশি জানেন।
عربی تفاسیر:
۞ وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلۡغَيۡبِ لَا يَعۡلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ وَيَعۡلَمُ مَا فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِۚ وَمَا تَسۡقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعۡلَمُهَا وَلَا حَبَّةٖ فِي ظُلُمَٰتِ ٱلۡأَرۡضِ وَلَا رَطۡبٖ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مُّبِينٖ
৫৯. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নিকটই রয়েছে গায়েবের ভাÐার। তিনি ছাড়া তা কেউই জানে না। তিনি স্থলভাগের সকল সৃষ্টি যেমন: প্রাণী, উদ্ভিদ ও জড় পদার্থ এবং জলভাগের সকল প্রাণী এবং উদ্ভিদ সম্পর্কে জানেন। যে কোন পতিত পাতা এবং যে কোন জমিনে লুকানো দানা চাই তা শুকনা বা ভেজা হোক না কেন তা সবই সুস্পষ্ট কিতাব তথা লাওহে মাহফ‚জে লিখিত রয়েছে।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الله تعالى يجعل العباد بعضهم فتنة لبعض، فتتفاوت درجاتهم في الرزق وفي الكفر والإيمان، والكفر والإيمان ليس منوطًا بسعة الرزق وضيقه.
ক. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে একে অপরের ফিতনা বানিয়ে দেন। তাই ঈমান, কুফরি ও রিযিকের মাঝে তাদের পর্যায়সমূহ ভিন্ন ভিন্ন। তবে রিযিকের প্রশস্ততা ও সঙ্কীর্ণতা ঈমান ও কুফরির সাথে সম্পর্কিত নয়।

• من أخلاق الداعية طلاقة الوجه وإلقاء التحية والتبسط والسرور بأصحابه.
খ. একজন দা‘য়ীর অন্যতম চরিত্র হলো চেহারার হাস্যোজ্জলতা, পরস্পর সালাম বিনিময় এবং নিজ সাথীদেরকে নিয়ে খুশি ও প্রফুল্ল হওয়া।

• على الداعية اجتناب الأهواء في عقيدته ومنهجه وسلوكه.
গ. একজন দা‘য়ীর কর্তব্য হলো তার বিশ্বাস, চলন ও নীতিতে প্রবৃত্তি থেকে দূরে থাকা।

• إثبات تفرد الله عز وجل بعلم الغيب وحده لا شريك له، وسعة علمه في ذلك، وأنه لا يفوته شيء ولا يعزب عنه من مخلوقاته شيء إلا وهو مثبت مدوَّن عنده سبحانه بأدق تفاصيله.
ঘ. একমাত্র লা-শরীক আল্লাহর জন্যই গায়েবের জ্ঞান ও তার ব্যাপকতা এককভাবে সাব্যস্ত করা। কোন জিনিস তাঁকে এড়িয়ে যেতে পারে না। উপরন্তু তাঁর সৃষ্টির কোন কিছুই তাঁর অলক্ষ্যে নয়। বরং তা সবই সূ²াতিসূ²ভাবে তাঁর নিকট লিখিত ও সংরক্ষিত।

وَهُوَ ٱلَّذِي يَتَوَفَّىٰكُم بِٱلَّيۡلِ وَيَعۡلَمُ مَا جَرَحۡتُم بِٱلنَّهَارِ ثُمَّ يَبۡعَثُكُمۡ فِيهِ لِيُقۡضَىٰٓ أَجَلٞ مُّسَمّٗىۖ ثُمَّ إِلَيۡهِ مَرۡجِعُكُمۡ ثُمَّ يُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ
৬০. আল্লাহ তা‘আলাই ঘুমের মাঝে কিছু সময়ের জন্য তোমাদের রূহ কবয করে থাকেন এবং তিনিই তোমাদের উৎফুল্লতার সময় দিনে করা কাজগুলো সম্পর্কে জানেন। তিনি ঘুমের মাধ্যমে তোমাদের রূহ কবযের পর দিনে তোমাদেরকে উঠান যেন তোমরা কাজ করো। যতক্ষণ না আল্লাহর নিকট নির্ধারিত তোমাদের বয়সকালের পরিসমাপ্তি হয়। অতঃপর কিয়ামতের দিন উত্থিত হওয়ার মাধ্যমে একমাত্র তাঁর দিকেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। এরপর তিনি তোমাদেরকে পার্থিব জীবনে কৃত আমলের সংবাদ দিবেন ও সে অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلۡقَاهِرُ فَوۡقَ عِبَادِهِۦۖ وَيُرۡسِلُ عَلَيۡكُمۡ حَفَظَةً حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَ أَحَدَكُمُ ٱلۡمَوۡتُ تَوَفَّتۡهُ رُسُلُنَا وَهُمۡ لَا يُفَرِّطُونَ
৬১. তিনি তাঁর বান্দাদের উপর পূর্ণ কর্তৃত্বশীল ও অবনতকারী এবং তিনি সার্বিকভাবে সবার উপরে। সকল বস্তু তাঁর সামনে অবনত। তিনি তাঁর বান্দাদের উপরে যেমন তাঁর মহত্তে¡র সাথে মানায়। হে মানুষ! তিনি তোমাদের নিকট আমলসমূহ সংরক্ষণকারী সম্মানিত ফিরিশতা পাঠান। তোমাদের কারো বয়স শেষ হলে মৃত্যুর ফিরিশতা ও তাঁর সহযোগীরা তার রূহ কবয করেন। তাঁরা আদিষ্ট বিষয় পালনে কোন ত্রæটি করেন না।
عربی تفاسیر:
ثُمَّ رُدُّوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ مَوۡلَىٰهُمُ ٱلۡحَقِّۚ أَلَا لَهُ ٱلۡحُكۡمُ وَهُوَ أَسۡرَعُ ٱلۡحَٰسِبِينَ
৬২. অতঃপর রূহ কবযকৃত সকলকে তাদের সত্যিকার মালিক আল্লাহর নিকট ফেরত পাঠানো হয় যাতে তিনি তাদের আমলসমূহের প্রতিদান দিতে পারেন। তাঁর জন্যই নির্ধারিত তাদের ব্যাপারে কার্যকরী ফায়সালা ও ন্যায়সঙ্গত বিচার। তিনিই তোমাদের ও তোমাদের আমলসমূহের দ্রæত হিসাবকারী।
عربی تفاسیر:
قُلۡ مَن يُنَجِّيكُم مِّن ظُلُمَٰتِ ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِ تَدۡعُونَهُۥ تَضَرُّعٗا وَخُفۡيَةٗ لَّئِنۡ أَنجَىٰنَا مِنۡ هَٰذِهِۦ لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلشَّٰكِرِينَ
৬৩. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: কে তোমাদেরকে জল ও স্থলের বিপদসঙ্কুল এলাকা থেকে রক্ষা করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছান? তোমরা তখন গোপনে ও প্রকাশ্যে বিনয়ী ও ন¤্রভাবে একমাত্র তাঁকেই ডেকে বলো: আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে এ ধ্বংসাত্মক জায়গা থেকে নিরাপদে পৌঁছালে আমরা তাঁর নিয়ামতসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবো না।
عربی تفاسیر:
قُلِ ٱللَّهُ يُنَجِّيكُم مِّنۡهَا وَمِن كُلِّ كَرۡبٖ ثُمَّ أَنتُمۡ تُشۡرِكُونَ
৬৪. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: একমাত্র আল্লাহই তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেন ও সকল বিপদ থেকে নিরাপদে রাখেন। অতঃপর তোমরা নিরাপদ অবস্থায় তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করো। তোমরা যা করছো এর চেয়ে বড় যুলুম আর কী হতে পারে?!
عربی تفاسیر:
قُلۡ هُوَ ٱلۡقَادِرُ عَلَىٰٓ أَن يَبۡعَثَ عَلَيۡكُمۡ عَذَابٗا مِّن فَوۡقِكُمۡ أَوۡ مِن تَحۡتِ أَرۡجُلِكُمۡ أَوۡ يَلۡبِسَكُمۡ شِيَعٗا وَيُذِيقَ بَعۡضَكُم بَأۡسَ بَعۡضٍۗ ٱنظُرۡ كَيۡفَ نُصَرِّفُ ٱلۡأٓيَٰتِ لَعَلَّهُمۡ يَفۡقَهُونَ
৬৫. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যাপারে সক্ষম যে, তিনি তোমাদের নিকট তোমাদের উপর থেকে পাথর, বজ্র ও তুফানের আযাব পাঠাতে পারেন অথবা নিচ থেকে ভ‚মি ধ্বস ও ভ‚কম্পন কিংবা তোমাদের অন্তরগুলোর মাঝে ভিন্নতা সৃষ্টি করতে পারেন। তখন তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে একে অপরকে হত্যা করবে। হে রাসূল! আপনি একটু ভেবে দেখুন, আমি কীভাবে বিভিন্ন দলীল ও অকাট্য প্রমাণ সুস্পষ্টভাবে তাদের জন্য উপস্থাপন করছি। যাতে তারা বুঝতে পারে যে, আপনার আনীত বিষয় সত্য আর তাদের নিকট থাকা সব বাতিল।
عربی تفاسیر:
وَكَذَّبَ بِهِۦ قَوۡمُكَ وَهُوَ ٱلۡحَقُّۚ قُل لَّسۡتُ عَلَيۡكُم بِوَكِيلٖ
৬৬. এ কুর‘আনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আপনার সম্প্রদায়। অথচ সেটি এমন এক সত্য যা আল্লাহর নিকট থেকে আসার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: আমি তোমাদের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নই। আমি কেবল তোমাদের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শনকারী।
عربی تفاسیر:
لِّكُلِّ نَبَإٖ مُّسۡتَقَرّٞۚ وَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَ
৬৭. প্রত্যেক সংবাদেরই স্থিতির একটি সময় ও শেষ পরিণতি রয়েছে। তম্মধ্যে রয়েছে তোমাদের পরিণতি ও গন্তব্যের খবর। তোমরা সেটি জানতে পারবে যখন কিয়ামতের দিন তোমাদের পুনরুত্থান হবে।
عربی تفاسیر:
وَإِذَا رَأَيۡتَ ٱلَّذِينَ يَخُوضُونَ فِيٓ ءَايَٰتِنَا فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ ٱلشَّيۡطَٰنُ فَلَا تَقۡعُدۡ بَعۡدَ ٱلذِّكۡرَىٰ مَعَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّٰلِمِينَ
৬৮. হে রাসূল! আপনি মুশরিকদেরকে আমার আয়াতসমূহ নিয়ে হাসি ও ঠাট্টার কথা বলতে দেখলে তাদের থেকে দূরে সরে যান যতক্ষণ না তারা এ থেকে বিরত হয়ে অন্য কথা বলে। আপনি ভুলে তাদের সাথে বসে থাকাবস্থায় তা স্মরণ হলে দ্রæত আপনি তাদের মজলিস ত্যাগ করুন এবং এ আক্রমণকারীদের সাথে আপনি এতটুকুও কাল ক্ষেপণ করবেন না।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• إثبات أن النومَ موتٌ، وأن الأرواح تُقْبض فيه، ثم تُرَد عند الاستيقاظ.
ক. এ কথা সাব্যস্ত করা যে, ঘুম মৃত্যুর নামান্তর। এসময়ে মানুষের রূহগুলো কবয করা হয়; জাগার পর তা আবার ফেরত দেয়া হয়।

• الاستدلال على استحقاق الله تعالى للألوهية بدليل الفطرة، فإن أهل الكفر يؤمنون بالله تعالى ويرجعون لفطرتهم عند الاضطرار والوقوع في المهالك، فيسألون الله تعالى وحده.
খ. ফিতরতের দলীলের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা যে ইবাদাতের উপযুক্ত তা প্রমাণ করা। কারণ, কাফিররাও আসলে আল্লাহতে বিশ্বাসী। যার প্রমাণ, তারা বিপদে অপারগ হয়ে ফিতরাতের দিকেই ফিরে এসে এককভাবে আল্লাহর নিকটই মুক্তি কামনা করে।

• إلزام المشركين بمقتضى سلوكهم، وإقامة الدليل على انقلاب فطرتهم، بكونهم يستغيثون بالله وحده في البحر عند الشدة، ويشركون به حين يسلمهم وينجيهم إلى البر.
গ. মুশরিকদেরকে তাদের আচরণের চাহিদা মাফিক চলতে বাধ্য করা এবং তাদের ফিতরত বিগড়ে যাওয়ার ব্যাপারে দলীল কায়েম করা। কারণ, তারা সাগরে বিপদের সময় একমাত্র আল্লাহর নিকটই ফরিয়াদ করে। তবে যখন তিনি তাদেরকে মহা সঙ্কট থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদ অবস্থায় স্থলভাগে পৌঁছে দেন তখন তারা আবার তাঁর সাথেই শিরক করে।

• عدم جواز الجلوس في مجالس أهل الباطل واللغو، ومفارقتُهم، وعدم العودة لهم إلا في حال إقلاعهم عن ذلك.
ঘ. বাতিলপন্থী ও অযথা কথা বলা লোকদের মজলিসে বসা জায়িয নয় বরং তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং তাদের নিকট পুনরায় ফিরে যাওয়া যাবে না যতক্ষণ না তারা তা পরিত্যাগ করে।

وَمَا عَلَى ٱلَّذِينَ يَتَّقُونَ مِنۡ حِسَابِهِم مِّن شَيۡءٖ وَلَٰكِن ذِكۡرَىٰ لَعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ
৬৯. যারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে কেবল তাঁকেই ভয় করে এ জালিমদের বিষয়ে তাদেরকে কোন হিসাবই দিতে হবে না। তবে তাদের কর্তব্য হবে অসৎ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে ওদেরকে নিষেধ করা। যাতে তারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে কেবল তাঁকেই ভয় করতে শিখে।
عربی تفاسیر:
وَذَرِ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ دِينَهُمۡ لَعِبٗا وَلَهۡوٗا وَغَرَّتۡهُمُ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَاۚ وَذَكِّرۡ بِهِۦٓ أَن تُبۡسَلَ نَفۡسُۢ بِمَا كَسَبَتۡ لَيۡسَ لَهَا مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيّٞ وَلَا شَفِيعٞ وَإِن تَعۡدِلۡ كُلَّ عَدۡلٖ لَّا يُؤۡخَذۡ مِنۡهَآۗ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ أُبۡسِلُواْ بِمَا كَسَبُواْۖ لَهُمۡ شَرَابٞ مِّنۡ حَمِيمٖ وَعَذَابٌ أَلِيمُۢ بِمَا كَانُواْ يَكۡفُرُونَ
৭০. হে রাসূল! আপনি ওই মুশরিকদেরকে পরিত্যাগ করুন যারা নিজেদের ধর্মকে খেল-তামাশা বানিয়েছে। তারা ধর্মকে নিয়ে ঠাট্টা ও মশকারা করে। বস্তুতঃ দুনিয়ার জীবনের ক্ষণিকের ভোগ-বিলাস তাদেরকে ধোঁকায় ফেলেছে। হে নবী! আপনি মানুষদেরকে কুর‘আনের উপদেশ দিন। যাতে পাপ অর্জনের জন্য কাউকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া না হয়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ ছাড়া তার এমন কোন বন্ধু থাকবে না যার সহযোগিতা সে তখন কামনা করবে, না তার এমন কোন মাধ্যম থাকবে যে তার পক্ষ হয়ে আল্লাহর আযাবকে প্রতিরোধ করবে। যদি সে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচার জন্য কোন ধরনের মুক্তিপণ দেয় তাও তার কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে না। বস্তুতঃ পাপে লিপ্ত হওয়ার দরুন পাপীদের জীবন ধ্বংসের দিকে সোপর্দ করা হয়েছে। কুফরির কারণে কিয়ামতের দিন তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত গরম পানীয় এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
عربی تفاسیر:
قُلۡ أَنَدۡعُواْ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُنَا وَلَا يَضُرُّنَا وَنُرَدُّ عَلَىٰٓ أَعۡقَابِنَا بَعۡدَ إِذۡ هَدَىٰنَا ٱللَّهُ كَٱلَّذِي ٱسۡتَهۡوَتۡهُ ٱلشَّيَٰطِينُ فِي ٱلۡأَرۡضِ حَيۡرَانَ لَهُۥٓ أَصۡحَٰبٞ يَدۡعُونَهُۥٓ إِلَى ٱلۡهُدَى ٱئۡتِنَاۗ قُلۡ إِنَّ هُدَى ٱللَّهِ هُوَ ٱلۡهُدَىٰۖ وَأُمِرۡنَا لِنُسۡلِمَ لِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
৭১. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন: আমরা কি আল্লাহ ছাড়া আমাদের লাভ-ক্ষতির কোন মালিক নয় এমন মূর্তির পূজা করবো। ফলে আল্লাহ তা‘আলা যে আমাদেরকে ঈমান আনার তাওফীক দিয়েছেন তা থেকে আমরা ফিরে যাবো এবং আমাদের উদাহরণ হবে শয়তানের পথভ্রষ্টের মতো যাকে অস্থির অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছে। তাই সে সঠিক পথ খুঁজে পায় না। তবে সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত তার সাথীরা তাকে সত্যের দিকে ডাকছে অথচ সে তাদের ডাকে সাড়া দেয়া থেকে বিরত থাকছে? হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলুন: নিশ্চয়ই আল্লাহর হিদায়েতই সত্যিকার হিদায়েত। আর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে আদেশ করেছেন তাঁর তাওহীদ ও একক ইবাদাতকে আঁকড়ে ধরে তাঁর সামনে অবনত হতে। কারণ, তিনিই হলেন সর্ব জগতের প্রতিপালক।
عربی تفاسیر:
وَأَنۡ أَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَٱتَّقُوهُۚ وَهُوَ ٱلَّذِيٓ إِلَيۡهِ تُحۡشَرُونَ
৭২. তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন পরিপূর্ণভাবে সালাত আদায় এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেন তাঁকেই ভয় করতে। কারণ, তিনি হলেন এমন সত্তা যাঁর নিকট বান্দাদেরকে তাদের আমলের প্রতিদান দেয়ার জন্য কিয়ামতের দিন একত্রিত করা হবে।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ بِٱلۡحَقِّۖ وَيَوۡمَ يَقُولُ كُن فَيَكُونُۚ قَوۡلُهُ ٱلۡحَقُّۚ وَلَهُ ٱلۡمُلۡكُ يَوۡمَ يُنفَخُ فِي ٱلصُّورِۚ عَٰلِمُ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِۚ وَهُوَ ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡخَبِيرُ
৭৩. তিনিই আকাশ ও জমিনের সত্যিকার সৃষ্টিকর্তা। যেদিন আল্লাহ তা‘আলা কোন বস্তুকে হতে বললে তা হয়ে যাবে। তিনি যখন কিয়ামতের দিন বলবেন, তোমরা দাঁড়িয়ে যাও তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে। তাঁর কথা এমন সত্য যা আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়িত হবে। কিয়ামতের দিন একমাত্র তাঁর জন্যই সকল ক্ষমতা। যখন ইসরাফীল (আলাইহিস-সালাম) শিঙ্গায় দ্বিতীয়বার ফুঁ দিবেন। তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব কিছুই জানেন। তিনি তাঁর সৃষ্টি ও পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়। তিনি সব কিছুর খবর রাখেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়। সকল কিছুর ভিতর ও বাহির তাঁর নিকট একই সমান।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الداعية إلى الله تعالى ليس مسؤولًا عن محاسبة أحد، بل هو مسؤول عن التبليغ والتذكير.
ক. কারো হিসাব নেয়ার দায়িত্ব দ্বীনের দা‘য়ীর নয়; বরং তার দায়িত্ব হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাণী প্রচার এবং মানুষকে তা স্মরণ করিয়ে দেয়া।

• الوعظ من أعظم وسائل إيقاظ الغافلين والمستكبرين.
খ. গাফিল এবং অহঙ্কারীদেরকে সচেতন করার সর্ববৃহৎ মাধ্যম হলো ওয়াজ ও নসীহত।

• من دلائل التوحيد: أن من لا يملك نفعًا ولا ضرًّا ولا تصرفًا، هو بالضرورة لا يستحق أن يكون إلهًا معبودًا.
গ. তাওহীদের অন্যতম দলীল হলো, যে ব্যক্তি লাভ, ক্ষতি ও কোন ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের শক্তি রাখে না সে অবশ্যই ইলাহ কিংবা মা’বূদ হওয়ার উপযুক্ত নয়।

۞ وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ ءَازَرَ أَتَتَّخِذُ أَصۡنَامًا ءَالِهَةً إِنِّيٓ أَرَىٰكَ وَقَوۡمَكَ فِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٖ
৭৪. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সে সময়ের কথা যখন ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) মুশরিক পিতা আযরকে বললেন: পিতা! আল্লাহ ব্যতীত আপনি যে মূর্তিগুলোর ইবাদাত করেন আপনি কি সেগুলোকে ইলাহ সাব্যস্ত করেছেন?! আমি তো আপনাকে ও আপনার স্বজাতির মূর্তিপূজারীদেরকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদাতের দরুন সুস্পষ্ট ভ্রষ্টতা ও সত্য পথ প্রাপ্তির বিষয়ে অস্থিরতায় ভুগতে দেখছি।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ نُرِيٓ إِبۡرَٰهِيمَ مَلَكُوتَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلِيَكُونَ مِنَ ٱلۡمُوقِنِينَ
৭৫. আমি যেভাবে তাঁকে তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়ের ভ্রষ্টতা দেখিয়েছি তেমনিভাবে আমি তাঁকে আকাশ ও জমিনের বিস্তর মালিকানার ব্যাপারটি দেখিয়ে দিবো। যাতে তিনি এ বিস্তর মালিকানার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদ এবং একমাত্র তিনিই যে ইবাদাতের উপযুক্ত তার প্রমাণ দিতে পারেন। উপরন্তু তিনি এ ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাসীও হতে পারেন যে, আল্লাহ তা‘আলা একক। তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি সকল কিছুর উপর সত্যিই ক্ষমতাবান।
عربی تفاسیر:
فَلَمَّا جَنَّ عَلَيۡهِ ٱلَّيۡلُ رَءَا كَوۡكَبٗاۖ قَالَ هَٰذَا رَبِّيۖ فَلَمَّآ أَفَلَ قَالَ لَآ أُحِبُّ ٱلۡأٓفِلِينَ
৭৬. রাতের অন্ধকারে তিনি নক্ষত্র দেখে বললেন: এটিই আমার প্রতিপালক। নক্ষত্রটি অদৃশ্য হয়ে গেলে তিনি বললেন: অদৃশ্য হয়ে যাওয়া বস্তু আমি পছন্দ করি না। কারণ, সত্যিকার ইলাহ তো সর্বদা উপস্থিত থাকেন। কখনো তিনি অদৃশ্য হন না।
عربی تفاسیر:
فَلَمَّا رَءَا ٱلۡقَمَرَ بَازِغٗا قَالَ هَٰذَا رَبِّيۖ فَلَمَّآ أَفَلَ قَالَ لَئِن لَّمۡ يَهۡدِنِي رَبِّي لَأَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلضَّآلِّينَ
৭৭. আবার চন্দ্র উদিত হতে দেখে তিনি বললেন: এটিই আমার প্রতিপালক। তাও অদৃশ্য হয়ে গেলে তিনি বললেন: আল্লাহ তা‘আলা আমাকে তাঁর তাওহীদ ও একক ইবাদাতের তাওফীক না দিলে আমি তাঁর সত্য ধর্মচ্যুত সম্প্রদায়েরই অন্তর্ভুক্ত হবো।
عربی تفاسیر:
فَلَمَّا رَءَا ٱلشَّمۡسَ بَازِغَةٗ قَالَ هَٰذَا رَبِّي هَٰذَآ أَكۡبَرُۖ فَلَمَّآ أَفَلَتۡ قَالَ يَٰقَوۡمِ إِنِّي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تُشۡرِكُونَ
৭৮. আবার সূর্য উদিত হতে দেখে তিনি বললেন: এ উদিত বস্তুটি আমার প্রতিপালক। এ উদিত বস্তুটি অন্যান্য নক্ষত্র ও চন্দ্র থেকে বড়। তাও অদৃশ্য হয়ে গেলে তিনি বললেন: হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহর সাথে তোমাদের শরীক থেকে আমি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।
عربی تفاسیر:
إِنِّي وَجَّهۡتُ وَجۡهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ حَنِيفٗاۖ وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ
৭৯. আমি শিরক থেকে দূরে থেকে এবং খাঁটি তাওহীদমুখী হয়ে আমার আনুগত্যকে সেই সত্তার জন্য খালিসভাবে নিবিষ্ট করলাম যিনি আসমান ও জমিনকে পূর্ব নমুনা বিহীন সৃষ্টি করেছেন। আমি আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্যকে শরীককারী মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।
عربی تفاسیر:
وَحَآجَّهُۥ قَوۡمُهُۥۚ قَالَ أَتُحَٰٓجُّوٓنِّي فِي ٱللَّهِ وَقَدۡ هَدَىٰنِۚ وَلَآ أَخَافُ مَا تُشۡرِكُونَ بِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَشَآءَ رَبِّي شَيۡـٔٗاۚ وَسِعَ رَبِّي كُلَّ شَيۡءٍ عِلۡمًاۚ أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ
৮০. তাঁর মুশরিক সম্প্রদায় আল্লাহর তাওহীদের ক্ষেত্রে তাঁর সাথে ঝগড়া করেছে এবং তারা তাঁকে তাদের মূর্তির ভয় দেখিয়েছে। তখন তিনি তাদেরকে বললেন: তোমরা কি আল্লাহর তাওহীদ ও তাঁর একক ইবাদাতের ক্ষেত্রে আমার সাথে বিতর্ক করছো। অথচ আমার প্রতিপালক আমাকে তা মানার তাওফীক দিয়েছেন। আর আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ভয় পাচ্ছি না। কারণ, সেগুলো আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আমার কোন ক্ষতি বা উপকার করতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা যা চান তাই হবে। আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু জানেন। তাঁর নিকট আসমান ও জমিনের কোন কিছুই গোপনীয় নয়। হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কি আল্লাহর সাথে নিজেদের শিরক ও কুফরির কথা স্মরণ করে একমাত্র তাঁর উপর ঈমান আনবে না?!
عربی تفاسیر:
وَكَيۡفَ أَخَافُ مَآ أَشۡرَكۡتُمۡ وَلَا تَخَافُونَ أَنَّكُمۡ أَشۡرَكۡتُم بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ عَلَيۡكُمۡ سُلۡطَٰنٗاۚ فَأَيُّ ٱلۡفَرِيقَيۡنِ أَحَقُّ بِٱلۡأَمۡنِۖ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ
৮১. তোমরা আল্লাহ ছাড়া যে মূর্তিগুলোর পূজা করছো সেগুলোকে আমি ভয় করবো কেন। অথচ তোমরা আল্লাহর সাথে শিরক করাকে ভয় পাচ্ছো না। যখন তোমরা বিনা প্রমাণে তাঁর সাথে তাঁর সৃষ্টিকে শরীক করছো?! সুতরাং কোন্ সমষ্টিটি নিরাপত্তা ও বিপদশূন্যতার নিকটবর্তী; তাওহীদপন্থীদের সমষ্টি না মুশরিকদের? তোমরা এতদুভয়ের উত্তমটি জেনে থাকলে তারই অনুসরণ করো। নিঃসন্দেহে তাওহীদপন্থী মু’মিনদের সমষ্টিই সর্বোত্তম।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الاستدلال على الربوبية بالنظر في المخلوقات منهج قرآني.
ক. আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের উপর গবেষণা করে রুবূবিয়্যাতের প্রমাণ উপস্থাপন করা একটি কুর‘আনী পদ্ধতি।

• الدلائل العقلية الصريحة توصل إلى ربوبية الله.
খ. যুক্তিনির্ভর সুস্পষ্ট প্রমাণাদি আল্লাহর রুবূবিয়্যাতের দিকে পৌঁছিয়ে দেয়।

ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَلَمۡ يَلۡبِسُوٓاْ إِيمَٰنَهُم بِظُلۡمٍ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلۡأَمۡنُ وَهُم مُّهۡتَدُونَ
৮২. আল্লাহর উপর বিশ্বাসী এবং শরীয়তের অনুসারী উপরন্তু নিজেদের ঈমানকে শিরকের সাথে অবিমিশ্রণকারী শুধু তাদের জন্যই রয়েছে সমূহ নিñিদ্র নিরাপত্তা। অন্য কারো জন্য নয়। তারাই সত্যিকারার্থে আল্লাহর তাওফীকপ্রাপ্ত। তাদেরকে তাদের প্রতিপালক হিদায়েতের পথে চলার তাওফীক দিয়েছেন।
عربی تفاسیر:
وَتِلۡكَ حُجَّتُنَآ ءَاتَيۡنَٰهَآ إِبۡرَٰهِيمَ عَلَىٰ قَوۡمِهِۦۚ نَرۡفَعُ دَرَجَٰتٖ مَّن نَّشَآءُۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٞ
৮৩. এ প্রমাণটি তথা তাঁর কথা “কোন্ দলটি নিরাপত্তা পাওয়ার বেশি উপযুক্ত...” এরই মাধ্যমে ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) তাঁর সম্প্রদায়ের উপর জয়ী হয়েছে। ফলে তাদের ঠুনকো যুক্তিগুলো বাতিল হয়ে গেছে। এটিই মূলতঃ আমার প্রমাণ; তাঁর সম্প্রদায়ের সাথে বিতর্ক করার জন্য যার তাওফীক আমি নিজেই তাঁকে দিয়েছি। আমি তাঁকে তা দান করেছি। আমি বান্দাদের যাকে চাই দুনিয়া ও আখিরাতে তার মর্যদা বৃদ্ধি করি। হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক তাঁর সৃষ্টি ও পরিচালনায় অতি প্রজ্ঞাময়। তিনি তাঁর সকল বান্দাহর খবর রাখেন।
عربی تفاسیر:
وَوَهَبۡنَا لَهُۥٓ إِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَۚ كُلًّا هَدَيۡنَاۚ وَنُوحًا هَدَيۡنَا مِن قَبۡلُۖ وَمِن ذُرِّيَّتِهِۦ دَاوُۥدَ وَسُلَيۡمَٰنَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَىٰ وَهَٰرُونَۚ وَكَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلۡمُحۡسِنِينَ
৮৪. আমি ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) কে ছেলে ইসহাক এবং নাতি ইয়া’ক‚বকে রিযিক হিসেবে দিয়ে প্রত্যেককে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিয়েছি। এদের পূর্বে আমি নূহ (আলাইহিস-সালাম) ও তাঁর সন্তানদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিয়েছি। তারা হলো যথাক্রমে দাঊদ এবং তাঁর ছেলে সুলাইমান, আইয়ূব, ইউসুফ, মূসা ও তাঁর ভাই হারূন (আলাইহিস-সালাম)। এমন প্রতিদান যা আমি নবীদেরকে নিষ্ঠার দরুন দিয়েছি অনুরূপ প্রতিদানই আমি নিষ্ঠার দরুন অন্যান্য নিষ্ঠাবানদেরকেও দিয়ে থাকি।
عربی تفاسیر:
وَزَكَرِيَّا وَيَحۡيَىٰ وَعِيسَىٰ وَإِلۡيَاسَۖ كُلّٞ مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ
৮৫. তেমনিভাবে আমি যাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম এবং ইলিয়াস (আলাইহিস-সালাম) কে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিয়েছি। এঁরা সবাই নেককার ছিলেন। যাঁদেরকে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।
عربی تفاسیر:
وَإِسۡمَٰعِيلَ وَٱلۡيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطٗاۚ وَكُلّٗا فَضَّلۡنَا عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ
৮৬. অনুরূপভাবে আমি আরো ইসমাঈল, আল-ইয়াসা’, ইউনুস ও লূত (আলাইহিস-সালাম) কে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিয়েছি। এ সব নবীর শীর্ষে রয়েছেন নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁদের সবাইকে আমি সকল জগতের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।
عربی تفاسیر:
وَمِنۡ ءَابَآئِهِمۡ وَذُرِّيَّٰتِهِمۡ وَإِخۡوَٰنِهِمۡۖ وَٱجۡتَبَيۡنَٰهُمۡ وَهَدَيۡنَٰهُمۡ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ
৮৭. আমি আরো তাওফীক দিয়েছি তাদের কিছু পিতা, সন্তান ও ভ্রাতাদেরকে, যাদেরকে আমি তাওফীক দেয়ার ইচ্ছা করেছি। উপরন্তু আমি তাদেরকে নির্বাচিত করেছি এবং সঠিক পথে চলার তাওফীক দিয়েছি। যেটি হলো আল্লাহর তাওহীদ ও আনুগত্যের পথ।
عربی تفاسیر:
ذَٰلِكَ هُدَى ٱللَّهِ يَهۡدِي بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦۚ وَلَوۡ أَشۡرَكُواْ لَحَبِطَ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
৮৮. তারা মূলতঃ আল্লাহর দেয়া তাওফীকই পেয়েছে। যা তিনি তাঁর বান্দাদের যাকে ইচ্ছা দিয়ে থাকেন। তারা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করলে তাদের আমলটুকু বাতিল হয়ে যেতো। নেক আমল বাতিলের প্রধান কারণই হলো শিরক।
عربی تفاسیر:
أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحُكۡمَ وَٱلنُّبُوَّةَۚ فَإِن يَكۡفُرۡ بِهَا هَٰٓؤُلَآءِ فَقَدۡ وَكَّلۡنَا بِهَا قَوۡمٗا لَّيۡسُواْ بِهَا بِكَٰفِرِينَ
৮৯. উল্লিখিত নবীদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি। আরো দিয়েছি হিকমত ও নবুওয়াত। আপনার সম্প্রদায় তাদেরকে দেয়া তিনটি বস্তুর সাথে কুফরি করলে তার পরিবর্তে আমি এমন এক সম্প্রদায়কে প্রস্তুত ও পর্যবেক্ষণে রেখেছি যারা এগুলোর সাথে কুফরি করবে না। বরং তারা এগুলোর উপর ঈমান এনে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকবে। আর তারা হলো মুহাজির, আনসার ও প্রতিদানের দিন পর্যন্ত আসা তাদের নিষ্ঠাবান অনুসারী।
عربی تفاسیر:
أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۖ فَبِهُدَىٰهُمُ ٱقۡتَدِهۡۗ قُل لَّآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ أَجۡرًاۖ إِنۡ هُوَ إِلَّا ذِكۡرَىٰ لِلۡعَٰلَمِينَ
৯০. এ সব নবীর সাথে উল্লেখিত তাঁদের পিতা, সন্তান ও ভাইরা সবাই সত্যিকারার্থে হিদায়েতপ্রাপ্ত। তাই তুমি তাঁদেরই অনুসরণ এবং তাঁদেরকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করো। হে রাসূল! আপনি নিজ সম্প্রদায়কে বলে দিন: এ কুর‘আন প্রচারের জন্য আমি তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না। কুর‘আন হলো মানুষ ও জিন জাতির জন্য উপদেশ মাত্র। যেন তারা এরই মাধ্যমে সঠিক ও সরল পথের দিশা পায়।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• من فضائل التوحيد أنه يضمن الأمن للعبد، خاصة في الآخرة حين يفزع الناس.
ক. তাওহীদের একটি বিশেষ ফযীলত হলো তা বান্দার নিরাপত্তার জামিন। বিশেষ করে পরকালে যখন মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হবে।

• تُقَرِّر الآيات أن جميع من سبق من الأنبياء إنما بَلَّغوا دعوتهم بتوفيق الله تعالى لا بقدرتهم.
খ. সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো এটাই সাব্যস্ত করে যে, পূর্বের সকল নবী আল্লাহর তাওফীকের ভিত্তিতেই নিজেদের দা’ওয়াত প্রচার করেছেন। না তাঁদের নিজস্ব ক্ষমতার ভিত্তিতে।

• الأنبياء يشتركون جميعًا في الدعوة إلى توحيد الله تعالى مع اختلاف بينهم في تفاصيل التشريع.
গ. সকল নবী আল্লাহর তাওহীদের দা’ওয়াতের ক্ষেত্রে অভিন্ন। আর ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাঁদের শরীয়ত ভিন্ন ভিন্ন।

• الاقتداء بالأنبياء سنة محمودة، وخاصة في أصول التوحيد.
ঘ. নবীদের অনুসরণ করা মূলতঃ একটি প্রশংসনীয় নীতি। বিশেষ করে তাওহীদের মূলনীতি।

وَمَا قَدَرُواْ ٱللَّهَ حَقَّ قَدۡرِهِۦٓ إِذۡ قَالُواْ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَىٰ بَشَرٖ مِّن شَيۡءٖۗ قُلۡ مَنۡ أَنزَلَ ٱلۡكِتَٰبَ ٱلَّذِي جَآءَ بِهِۦ مُوسَىٰ نُورٗا وَهُدٗى لِّلنَّاسِۖ تَجۡعَلُونَهُۥ قَرَاطِيسَ تُبۡدُونَهَا وَتُخۡفُونَ كَثِيرٗاۖ وَعُلِّمۡتُم مَّا لَمۡ تَعۡلَمُوٓاْ أَنتُمۡ وَلَآ ءَابَآؤُكُمۡۖ قُلِ ٱللَّهُۖ ثُمَّ ذَرۡهُمۡ فِي خَوۡضِهِمۡ يَلۡعَبُونَ
৯১. সত্যিকারার্থে মুশরিকরা আল্লাহর যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করতে পারে নি যখন তারা তাঁর নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বললো: বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা মানুষের উপর কোন ওহী নাযিল করেন নি। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: তাহলে মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর উপর তাঁর সম্প্রদায়ের জন্য আলো, হিদায়েত ও পথপ্রদর্শনস্বরূপ কে তাওরাত নাযিল করেছেন? যা ইহুদিরা খাতাপত্রে লিখে রাখে। এর মধ্যে প্রবৃত্তি মাফিকগুলো তারা প্রকাশ করে আর প্রবৃত্তি বিরোধীগুলো তারা লুকিয়ে রাখে। যেমন: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা। হে আরবরা! তোমাদের পূর্বপুরুষরা জানতো না কুর‘আনের এমন কিছু তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: মূলতঃ এটিকে আল্লাহ তা‘আলাই নাযিল করেছেন। অতঃপর আপনি তাদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত মূর্খতা ও ভ্রষ্টতার মাঝে ছেড়ে দিন।
عربی تفاسیر:
وَهَٰذَا كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ مُبَارَكٞ مُّصَدِّقُ ٱلَّذِي بَيۡنَ يَدَيۡهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ ٱلۡقُرَىٰ وَمَنۡ حَوۡلَهَاۚ وَٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ يُؤۡمِنُونَ بِهِۦۖ وَهُمۡ عَلَىٰ صَلَاتِهِمۡ يُحَافِظُونَ
৯২. হে নবী! এ কুর‘আনটি হলো এমন এক কিতাব যা আমি আপনার উপর নাযিল করেছি। এটি একটি বরকতময় কিতাব। যা পূর্বেকার সকল আসমানী কিতাবের সত্যায়নকারী। যাতে আমি এর মাধ্যমে মক্কাবাসী ও দুনিয়ার পূর্ব-পশ্চিমের সকল মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করতে পারি। যেন তারা হিদায়েত পেয়ে যায়। মূলতঃ পরকালে বিশ্বাসীরাই এ কুর‘আনের উপর ঈমান আনবে এবং এর বিধি-বিধানের উপর আমল করবে। উপরন্তু তারা রুকন, ফরয ও মুস্তাহাবসমূহ প্রতিষ্ঠাপূর্বক শরীয়ত নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায়ের প্রতি যতœশীল হবে।
عربی تفاسیر:
وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوۡ قَالَ أُوحِيَ إِلَيَّ وَلَمۡ يُوحَ إِلَيۡهِ شَيۡءٞ وَمَن قَالَ سَأُنزِلُ مِثۡلَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُۗ وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذِ ٱلظَّٰلِمُونَ فِي غَمَرَٰتِ ٱلۡمَوۡتِ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ بَاسِطُوٓاْ أَيۡدِيهِمۡ أَخۡرِجُوٓاْ أَنفُسَكُمُۖ ٱلۡيَوۡمَ تُجۡزَوۡنَ عَذَابَ ٱلۡهُونِ بِمَا كُنتُمۡ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ غَيۡرَ ٱلۡحَقِّ وَكُنتُمۡ عَنۡ ءَايَٰتِهِۦ تَسۡتَكۡبِرُونَ
৯৩. সে ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে যে আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলে: আল্লাহ তা‘আলা মানুষের উপর কোন কিছু নাযিল করেন নি কিংবা মিথ্যার স্বরে বলে: নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তার নিকট ওহী পাঠিয়েছেন; অথচ আল্লাহ তা‘আলা তার নিকট কোন কিছুই পাঠান নি অথবা বলে: আমি অচিরেই আল্লাহর নাযিলকৃত কুর‘আনের ন্যায় আরেকটি কুর‘আন নাযিল করবো। হে রাসূল! আপনি যদি দেখতেন যখন এ যালিমদেরকে মৃত্যুর যন্ত্রণা পেয়ে বসবে আর ফিরিশতারা তাদের হাতগুলো সম্প্রসারিত করে তাদেরকে শাস্তি দিবে ও প্রহার করবে। উপরন্তু ধমকের সুরে তাদেরকে বলবে: তোমরা নিজেদের জীবনগুলো বের করে দাও আমরা তা কবয করবো। এ দিন তোমাদেরকে লাঞ্ছনাকর শাস্তিই দেয়া হবে। কারণ, তোমরা নবুওয়াত, ওহী এবং আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাবের ন্যায় কিতাব নাযিল করার অহেতুক দাবি করে তাঁর উপর মিথ্যা বলেছিলে এবং অহঙ্কারবশত তাঁর আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনো নি। আপনি তা দেখলে ভয়ানক ব্যাপারই দেখতে পেতেন।
عربی تفاسیر:
وَلَقَدۡ جِئۡتُمُونَا فُرَٰدَىٰ كَمَا خَلَقۡنَٰكُمۡ أَوَّلَ مَرَّةٖ وَتَرَكۡتُم مَّا خَوَّلۡنَٰكُمۡ وَرَآءَ ظُهُورِكُمۡۖ وَمَا نَرَىٰ مَعَكُمۡ شُفَعَآءَكُمُ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُمۡ أَنَّهُمۡ فِيكُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْۚ لَقَد تَّقَطَّعَ بَيۡنَكُمۡ وَضَلَّ عَنكُم مَّا كُنتُمۡ تَزۡعُمُونَ
৯৪. আর পুনরুত্থানের দিন তাদেরকে বলা হবে, এদিন তোমরা আমার নিকট একাকী এসেছো; না তোমাদের সাথে কোন সম্পদ আছে না কোন নেতৃত্ব যেভাবে আমি তোমাকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছি খালি পা, উলঙ্গ ও খতনাছাড়া। আর তোমাদেরকে দেয়া আমার সব অনিচ্ছাসত্তে¡ দুনিয়ায় ছেড়ে এসেছো। আজ আমি তোমাদের সাথে সে মূর্তিগুলোকেও দেখতে পাচ্ছি না যাদেরকে তোমরা নিজেদের জন্য মধ্যস্থতাকারী ও ইবাদত পাওয়ার উপযুক্ততায় আল্লাহর শরীক ভাবতে। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যের সম্পর্কটুকু আজ নিশ্চিত ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তোমরা যে তাদের সুপারিশের আশা করতে এবং তাদেরকে আল্লাহর শরীক ভাবতে তাও আজ শেষ হয়ে গেছে।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• إنزال الكتب على الأنبياء هو سُنَّة الله في المرسلين، والنبي عليه الصلاة والسلام واحد منهم.
ক. নবীদের উপর কিতাব নাযিল করা মূলতঃ আল্লাহর একটি নিয়ম। আর আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁদেরই একজন।

• أعظم الناس كذبًا وفرية هو الذي يكذب على الله تعالى، فينسب أو ينفي ويثبت في حق الله تعالى أمرًا ليس عليه دليل صحيح.
খ. মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যুক ও অপবাদ দানকারী সে ব্যক্তি যে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা বলে। সে আল্লাহর ব্যাপারে এমন বিষয় সাব্যস্ত ও সম্পৃক্ত কিংবা অসম্পৃক্ত করে যার ব্যাপারে কোন বিশুদ্ধ দলীল নেই।

• كل أحد يبعث يوم القيامة فردًا متجردًا عن المناصب والألقاب، فقيرًا، ويحاسب وحده.
গ. প্রত্যেককে কিয়ামতের দিবসে কোন উপাধি ও পদ ছাড়া একা ও ফকির করে পুনরুত্থান করা ও হিসাব নেয়া হবে।

۞ إِنَّ ٱللَّهَ فَالِقُ ٱلۡحَبِّ وَٱلنَّوَىٰۖ يُخۡرِجُ ٱلۡحَيَّ مِنَ ٱلۡمَيِّتِ وَمُخۡرِجُ ٱلۡمَيِّتِ مِنَ ٱلۡحَيِّۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُۖ فَأَنَّىٰ تُؤۡفَكُونَ
৯৫. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা একাই বীজকে বিদীর্ণ করে ফসল এবং খেজুরের দানাকে বিদীর্ণ করে খেজুরের গাছ বের করেন। তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন। তিনি মানুষ ও সকল জীবকে বীর্য থেকে বের করেছেন। তেমনিভাবে তিনি জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। তিনি মানুষ থেকে বীর্য এবং মুরগী থেকে ডিম বের করেন। এ সব কাজের কর্তা হলেন তোমাদের ¯্রষ্টা আল্লাহ। হে মুশরিকরা! তোমরা তাঁর এ সৃজনশীল কর্ম দেখা সত্তে¡ও কীভাবে তোমাদেরকে এ সত্য থেকে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভবপর হতে পারে?!
عربی تفاسیر:
فَالِقُ ٱلۡإِصۡبَاحِ وَجَعَلَ ٱلَّيۡلَ سَكَنٗا وَٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَ حُسۡبَانٗاۚ ذَٰلِكَ تَقۡدِيرُ ٱلۡعَزِيزِ ٱلۡعَلِيمِ
৯৬. তিনি রাতের অন্ধকার থেকে সকালের আলোর উন্মেষ ঘটান। তিনি রাতকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের প্রশান্তির জন্য। জীবিকা উপার্জনের পরিশ্রম থেকে তারা এখানে একটুখানি আরাম পায়। যাতে তারা দিনের বেলার জীবিকা উপার্জনের ক্লান্তি থেকে একটু স্বস্তি পায়। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে নির্দিষ্ট হিসাব অনুযায়ী পরিচালনা করেন। উক্ত সৃজনশীল কর্মসমূহ মূলতঃ মহাপরাক্রমশালীরই নির্ধারণ যাঁকে পরাজিত করার কেউ নেই। তিনি তাঁর সৃষ্টি ও তাদের উপযুক্ত বস্তু সম্পর্কে সবজান্তা।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلنُّجُومَ لِتَهۡتَدُواْ بِهَا فِي ظُلُمَٰتِ ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِۗ قَدۡ فَصَّلۡنَا ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَعۡلَمُونَ
৯৭. হে আদম সন্তান! তিনিই তোমাদের জন্য আকাশে নক্ষত্ররাজি সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা জলে-স্থলের সফরে পথ ভুলে গেলে তা কর্তৃক পথের দিশা পাও। আমি দলীল ও প্রমাণ নিয়ে গবেষণাকারী লাভবান সম্প্রদায়ের জন্য আমার কুদরত নির্দেশক সকল দলীল ও প্রমাণাদি বর্ণনা করেছি।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنشَأَكُم مِّن نَّفۡسٖ وَٰحِدَةٖ فَمُسۡتَقَرّٞ وَمُسۡتَوۡدَعٞۗ قَدۡ فَصَّلۡنَا ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَفۡقَهُونَ
৯৮. তিনিই তোমাদেরকে একটি প্রাণ তথা তোমাদের পিতা আদম থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদের পিতাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করে তোমাদের সৃষ্টি শুরু করেন। অতঃপর তা থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন। তেমনিভাবে তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন তোমাদের অবস্থানের জায়গা তথা তোমাদের মার জরায়ু এবং তোমাদের সংরক্ষণের জায়গা তথা পিতার শিরদাঁড়া। আল্লাহর কালাম বুঝে এমন সম্প্রদায়ের জন্য আমি আমার আয়াতগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করেছি।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَأَخۡرَجۡنَا بِهِۦ نَبَاتَ كُلِّ شَيۡءٖ فَأَخۡرَجۡنَا مِنۡهُ خَضِرٗا نُّخۡرِجُ مِنۡهُ حَبّٗا مُّتَرَاكِبٗا وَمِنَ ٱلنَّخۡلِ مِن طَلۡعِهَا قِنۡوَانٞ دَانِيَةٞ وَجَنَّٰتٖ مِّنۡ أَعۡنَابٖ وَٱلزَّيۡتُونَ وَٱلرُّمَّانَ مُشۡتَبِهٗا وَغَيۡرَ مُتَشَٰبِهٍۗ ٱنظُرُوٓاْ إِلَىٰ ثَمَرِهِۦٓ إِذَآ أَثۡمَرَ وَيَنۡعِهِۦٓۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكُمۡ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ
৯৯. তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি তা দিয়ে সকল প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি। এরপর সে উদ্ভিদ থেকে ফসল ও সবুজ গাছপালা সৃষ্টি করি। উপরন্তু তা থেকে একটার উপর আরেকটা সাজানো শস্যদানা শীষরূপে উৎপন্ন করি। তেমনিভাবে খেজুর গাছের মোচা থেকে ঝুলন্ত কাঁদি তৈরি করি যা দাঁড়ানো বসা সকলেই ধরতে পারে। অনুরূপভাবে সৃষ্টি করি আঙ্গুরের বাগানসমূহ এবং যাইতুন ও ডালিম। যেগুলোর পাতা কাছাকাছি তবে ফল বিভিন্ন। হে মানুষ! তোমরা গাছে ফল ধরা ও পাকার দিকে খেয়াল করো। হে মানুষ! এতে রয়েছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য তাঁর কুদরতের সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ, তারাই তো কেবল এ দলীল ও প্রমাণাদি থেকে লাভবান হয়।
عربی تفاسیر:
وَجَعَلُواْ لِلَّهِ شُرَكَآءَ ٱلۡجِنَّ وَخَلَقَهُمۡۖ وَخَرَقُواْ لَهُۥ بَنِينَ وَبَنَٰتِۭ بِغَيۡرِ عِلۡمٖۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يَصِفُونَ
১০০. মুশরিকরা জিনজাতি তাদের লাভ ও ক্ষতি করতে পারে এ বিশ্বাসে তাদেরকে আল্লাহর ইবাদাতে শরীক বানিয়েছে। অথচ আল্লাহই তাদের ¯্রষ্টা। অন্য কেউ নয়। তাই তিনিই ইবাদাতের সর্বাধিক উপযুক্ত। উপরন্তু তারা তাঁর জন্য ছেলে সন্তান নির্ধারণ করেছে যেমন: ইহুদিরা উযাইর এবং খ্রিস্টানরা ‘ঈসা (আলাইহিমাস-সালাম) এর সাথে এমন আচরণ করেছে। তেমনিভাবে তারা তাঁর জন্য কন্যা সন্তানও ঠিক করেছে যেমন: মুশরিকরা ফিরিশতাদের সাথে এমন আচরণ করেছে। বস্তুতঃ তিনি বাতিলপন্থীদের এমন বিশেষণ থেকে পূত ও পবিত্র।
عربی تفاسیر:
بَدِيعُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُۥ وَلَدٞ وَلَمۡ تَكُن لَّهُۥ صَٰحِبَةٞۖ وَخَلَقَ كُلَّ شَيۡءٖۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ
১০১. তিনি পূর্ব নমুনা ছাড়াই আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করেছেন। কী করে তাঁর সন্তান হতে পারে; অথচ তাঁর কোন স্ত্রী নেই?! তিনি সকল বস্তুর ¯্রষ্টা। তাই তিনিই সকল কিছু জানেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الاستدلال ببرهان الخلق والرزق (تخليق النبات ونموه وتحول شكله وحجمه ونزول المطر) وببرهان الحركة (حركة الأفلاك وانتظام سيرها وانضباطها)؛ وكلاهما ظاهر مشاهَد - على انفراد الله سبحانه وتعالى بالربوبية واستحقاق الألوهية.
ক. সৃষ্টি ও রিযিকের প্রমাণ যেমন: উদ্ভিদের সৃষ্টি, তার বর্ধন, গঠন ও অবয়বের পরিবর্তন এবং বৃষ্টি বর্ষণ। বিচরণের প্রমাণ যেমন: আকাশের বিচরণ এবং তার চলন গতির নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবদ্ধতা। উভয়টিই প্রকাশ্য ও আমাদের চোখের সামনে। তা সবই রুবূবিয়্যাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর এককত্ব এবং উলূহিয়্যাত তথা ইবাদাতের উপযুক্ততা প্রমাণ করে।

• بيان ضلال وسخف عقول المشركين في عبادتهم للجن.
খ. জিনের ইবাদাতের ক্ষেত্রে মুশরিকদের বিবেক শূন্যতা ও ভ্রষ্টতার বর্ণনা।

ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمۡۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ فَٱعۡبُدُوهُۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ وَكِيلٞ
১০২. হে মানুষ! এ সকল গুণে গুণান্বিত সত্তাই হলেন তোমাদের প্রতিপালক। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন প্রতিপালক নেই। সত্য মা’বূদও নেই। তিনি সর্ব¯্রষ্টা। তাই তোমরা এককভাবে তাঁরই ইবাদাত করো। তিনিই ইবাদাতের উপযুক্ত এবং সকল কিছুর সংরক্ষক।
عربی تفاسیر:
لَّا تُدۡرِكُهُ ٱلۡأَبۡصَٰرُ وَهُوَ يُدۡرِكُ ٱلۡأَبۡصَٰرَۖ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلۡخَبِيرُ
১০৩. দৃষ্টিসমূহ তাঁকে আয়ত্ত করতে পারে না। তবে সকল দৃষ্টি তাঁর আয়ত্তে ও নাগালে। তিনি তাঁর নেককার বান্দাদের প্রতি অতি দয়াবান ও তাদের ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিফহাল।
عربی تفاسیر:
قَدۡ جَآءَكُم بَصَآئِرُ مِن رَّبِّكُمۡۖ فَمَنۡ أَبۡصَرَ فَلِنَفۡسِهِۦۖ وَمَنۡ عَمِيَ فَعَلَيۡهَاۚ وَمَآ أَنَا۠ عَلَيۡكُم بِحَفِيظٖ
১০৪. হে মানুষ! প্রভুর পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট পরিষ্কার দলীল ও সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এসেছে। যে ব্যক্তি তা বুঝেছে ও একীন করেছে তার লাভটুকু কেবল তার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে। আর যে তা থেকে অন্ধ রয়েছে এবং তা বুঝেনি ও একীন করেনি তার ক্ষতিটুকু মূলতঃ তার উপরই সীমাবদ্ধ। আমি তোমাদের পর্যবেক্ষক নই যে, তোমাদের আমলগুলো গুনে রাখবো। আমি কেবল আমার প্রতিপালকের রাসূল। তিনিই মূলতঃ তোমাদের পর্যবেক্ষক।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ نُصَرِّفُ ٱلۡأٓيَٰتِ وَلِيَقُولُواْ دَرَسۡتَ وَلِنُبَيِّنَهُۥ لِقَوۡمٖ يَعۡلَمُونَ
১০৫. আল্লাহর কুদরতের উপর বিভিন্ন প্রকারের দলীল ও প্রমাণের মতোই আমি ওয়াদা, হুমকি এবং উপদেশের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের আয়াত উপস্থাপন করেছি। অচিরেই মুশরিকরা বলবে: এটি মূলতঃ ওহী নয়। বরং আপনি পূর্বের আহলে কিতাব থেকে এগুলো শিখেছেন। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মতের মু’মিনদের জন্য এ আয়াতগুলোকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছি যেন আমি মানুষের সামনে সত্যকে বিশদভাবে বর্ণনা করতে পারি। কারণ, তারাই তো সত্য গ্রহণ ও তার অনুসরণ করবে।
عربی تفاسیر:
ٱتَّبِعۡ مَآ أُوحِيَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ وَأَعۡرِضۡ عَنِ ٱلۡمُشۡرِكِينَ
১০৬. হে রাসূল! আপনার নিকট প্রতিপালকের প্রেরিত সত্যের ওহীর অনুসরণ করুন। তিনি ছাড়া সত্য মা’বূদ আর কেউ নেই। আপনি কাফির ও তাদের হঠকারিতা দিয়ে নিজের অন্তরকে ব্যস্ত করবেন না। তাদের সকল বিষয় আল্লাহর দিকেই ন্যস্ত।
عربی تفاسیر:
وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَآ أَشۡرَكُواْۗ وَمَا جَعَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗاۖ وَمَآ أَنتَ عَلَيۡهِم بِوَكِيلٖ
১০৭. আল্লাহ তাঁর সাথে কারোর শরীক করা না চাইলে তাঁর সাথে কেউ শরীক করতে পারতো না। হে রাসূল! আমি আপনাকে তাদের পাহারাদার বানাইনি যে, আপনি তাদের আমলগুলো গুনে রাখবেন। না আপনি তাদের কর্মবিধায়ক। বরং আপনি একজন রাসূল মাত্র। আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়া ছাড়া আপনার কোন কর্তব্য নেই।
عربی تفاسیر:
وَلَا تَسُبُّواْ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ فَيَسُبُّواْ ٱللَّهَ عَدۡوَۢا بِغَيۡرِ عِلۡمٖۗ كَذَٰلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمۡ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّهِم مَّرۡجِعُهُمۡ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
১০৮. হে মু’মিনগণ! মুশরিকদের আল্লাহর সাথে পূজা করা মূর্তিগুলোকে তোমরা গালি দিয়ো না। যদিও না সেগুলো নগণ্য ও গালি খাওয়ার উপযুক্ত। যাতে মুশরিকরা আল্লাহর যথাযথ সম্মান না জেনে আগ বাড়িয়ে তাঁকে গালি দিয়ে না বসে। যেভাবে এদের জন্য ভ্রষ্টতাকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে তেমনিভাবে আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য তাদের আমলকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেই। চাই তা ভালো হোক কিংবা খারাপ। তখন তারা সেই সাজানো আমলটিই করে বসে। অতঃপর কিয়ামতের দিন তাদের প্রতিপালকের নিকটই তাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন তিনি দুনিয়ার আমল সম্পর্কে অবহিত করে তাদেরকে সেগুলোর প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَأَقۡسَمُواْ بِٱللَّهِ جَهۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡ لَئِن جَآءَتۡهُمۡ ءَايَةٞ لَّيُؤۡمِنُنَّ بِهَاۚ قُلۡ إِنَّمَا ٱلۡأٓيَٰتُ عِندَ ٱللَّهِۖ وَمَا يُشۡعِرُكُمۡ أَنَّهَآ إِذَا جَآءَتۡ لَا يُؤۡمِنُونَ
১০৯. মুশরিকরা তাদের সাধ্যমত আল্লাহর সাথে কঠিন কসম খেয়ে বললো: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের প্রস্তাবিত কোন নিদর্শন নিয়ে আসলে তারা অবশ্যই সেগুলোতে ঈমান আনবে। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন, নিদর্শনগুলো কিন্তু আমার নিকট নয় যে, আমি সেগুলো নাযিল করবো। বরং সেগুলো মূলতঃ আল্লাহর নিকট তিনি যখন চাইবেন তখনই সেগুলো নাযিল করবেন। হে মু’মিনরা! তোমরা কি জানো, প্রস্তাবনা মাফিক উক্ত নিদর্শনাবলী আসলেও তারা সেগুলোতে ঈমান আনবে না। বরং তারা নিজেদের হঠকারিতা ও অস্বীকারের উপর অটল থাকবে। কারণ, তারা হিদায়েত চায় না।
عربی تفاسیر:
وَنُقَلِّبُ أَفۡـِٔدَتَهُمۡ وَأَبۡصَٰرَهُمۡ كَمَا لَمۡ يُؤۡمِنُواْ بِهِۦٓ أَوَّلَ مَرَّةٖ وَنَذَرُهُمۡ فِي طُغۡيَٰنِهِمۡ يَعۡمَهُونَ
১১০. আমি সেগুলো ও সৎপথের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের অন্তর ও চোখগুলোকে উল্টিয়ে দেবো। যেমনিভাবে আমি প্রথমবার তাদের হঠকারিতার দরুন তাদের মাঝে ও কুর‘আনের উপর ঈমান আনার মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছি। আর আমি তাদেরকে তাদের ভ্রষ্টতা ও প্রতিপালকের অবাধ্যতার মাঝে অস্থিরতা ও বিভ্রান্তিতে ছেড়ে দিবো।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• تنزيه الله تعالى عن الظلم الذي ترسِّخُه عقيدة (الجَبْر)، وبيان أن كفر العباد وشركهم أمر يحدث باختيارهم.
ক. আল্লাহ তা‘আলাকে যুলুম থেকে পবিত্র করা যা জাবর বা জবরদস্তির বিশ্বাস প্রোথিত করে এবং এ কথা বর্ণনা করা যে, বান্দার কুফরি ও শিরক তাদের ইচ্ছাতেই হয়ে থাকে।

• ليس بمقدور نبي من الأنبياء أن يأتي بآية من عند نفسه، أو متى شاء، بل ذلك أمر مردود لله تعالى، فهو القادر وحده على ذلك، وهو الحكيم الذي يُقَدِّر نوع الآية ووقت إظهارها.
খ. ইচ্ছা মাফিক নিদর্শন আনা নবীর পক্ষে অসম্ভব। বরং এটি কেবল আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। তিনিই একমাত্র তা করতে সক্ষম। তিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়। তাই তিনি নিদর্শনের ধরন ও তা প্রকাশের সময় নিজেই নির্ধারণ করেন।

• النهي عن سب آلهة المشركين حذرًا من مفسدة أكبر وهي التعدي بالسب على جناب رب العالمين.
গ. আরো বড় ফাসাদের আশঙ্কায় মুশরিকদের মূর্তিগুলোকে গালি দেয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রদান। আর তা হলো সর্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে গালি দেয়ার ধৃষ্টতা।

• قد يحول الله سبحانه وتعالى بين العبد والهداية، ويُصرِّف بصره وقلبه على غير الطاعة؛ عقوبة له على اختياره الكفر.
ঘ. কুফরি গ্রহণ করার শাস্তি স্বরূপ কখনো কখনো আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দা ও হিদায়েতের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। তেমনিভাবে তিনি তার অন্তর ও চক্ষুকে আনুগত্যের বিপরীত দিকে ফিরিয়ে দেন।

۞ وَلَوۡ أَنَّنَا نَزَّلۡنَآ إِلَيۡهِمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَحَشَرۡنَا عَلَيۡهِمۡ كُلَّ شَيۡءٖ قُبُلٗا مَّا كَانُواْ لِيُؤۡمِنُوٓاْ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ يَجۡهَلُونَ
১১১. তাদের প্রস্তাবিত বিষয়াদি উপস্থাপন করে তাদের আবেদনে সাড়া দিলে আমি তাদের উপর ফিরিশতা নাযিল করতাম যাঁদেরকে তারা স্বচক্ষে দেখতো এবং তাদের সাথে মৃতরাও কথা বলতো যারা আপনার আনীত বস্তুর ব্যাপারে আপনার সত্যতার সংবাদ দিতো এমনকি আমি তাদের জন্য তাদের প্রস্তাবিত সকল বস্তু একত্রিত করতাম যা তারা নিজেরাই সামনা-সামনি দেখতে পেতো তারপরও তারা আপনার আনীত বস্তুর ব্যাপারে ঈমান আনতো না। তবে আল্লাহ তা‘আলা যাদের হিদায়েত চাইবেন তাদের ব্যাপার অবশ্যই ভিন্ন। তবুও তাদের অধিকাংশই এ ব্যাপারে অজ্ঞ। তাই তারা হিদায়েতের তাওফীকের জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করে না।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوّٗا شَيَٰطِينَ ٱلۡإِنسِ وَٱلۡجِنِّ يُوحِي بَعۡضُهُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ زُخۡرُفَ ٱلۡقَوۡلِ غُرُورٗاۚ وَلَوۡ شَآءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُۖ فَذَرۡهُمۡ وَمَا يَفۡتَرُونَ
১১২. আমি আপনার পূর্বের সকল নবীর মতো আপনাকে এ মুশরিকদের শত্রæতা নামক পরীক্ষার সম্মুখীন করলাম। তাই আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য গাদ্দার মানুষ ও জিনকে শত্রæরূপে তৈরি করলাম। যাদের একে অপরকে কুমন্ত্রণার মাধ্যমে তার সামনে বাতিলকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে ধোঁকায় ফেলে দেয়। আল্লাহ তা‘আলা না চাইলে তাদের এমন করাটা কখানোই সম্ভব হতো না। তবে তিনি তা তাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ চেয়েছেন। তাই তোমরা তাদেরকে এবং তাদের কুফরি ও বাতিলের অপবাদকে পরিত্যাগ করো; তাদের প্রতি এতটুকুও ভ্রƒক্ষেপ করো না।
عربی تفاسیر:
وَلِتَصۡغَىٰٓ إِلَيۡهِ أَفۡـِٔدَةُ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ وَلِيَرۡضَوۡهُ وَلِيَقۡتَرِفُواْ مَا هُم مُّقۡتَرِفُونَ
১১৩. তারা পরস্পরকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তার প্রতি পরকালে অবিশ্বাসীদের অন্তরগুলো ঝুঁকে পড়–ক এবং তারা তা নিজেদের জন্য গ্রহণ করুক উপরন্তু তারা তার উপর সন্তুষ্ট থাকুক এমনকি তারা যে গুনাহ ও পাপে লিপ্ত তাতে নিমজ্জিত থাকুক।
عربی تفاسیر:
أَفَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡتَغِي حَكَمٗا وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ إِلَيۡكُمُ ٱلۡكِتَٰبَ مُفَصَّلٗاۚ وَٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَعۡلَمُونَ أَنَّهُۥ مُنَزَّلٞ مِّن رَّبِّكَ بِٱلۡحَقِّۖ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُمۡتَرِينَ
১১৪. হে রাসূল! আপনি আল্লাহর পাশাপাশি অন্যের ইবাদাতকারী মুশরিকদেরকে বলে দিন: এটা কি যুক্তিসঙ্গত যে, আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আমার ও তোমাদের মাঝে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নিবো? অথচ আল্লাহ তা‘আলা নিজেই তোমাদের উপর প্রত্যেক জিনিসের পরিপূর্ণ বর্ণনাকারী হিসেবে কুর‘আন মাজীদ নাযিল করেছেন। যে ইহুদিদেরকে আমি তাওরাত দিয়েছি এবং যে খ্রিস্টানদেরকে আমি ইঞ্জীল দিয়েছি তারা জানে, নিশ্চয়ই কুর‘আন মাজীদ আপনার উপরই নাযিলকৃত। যা সত্যকে ধারণ করে আছে। কারণ, তারা তাদের কিতাবদ্বয়ে এর দলীল পেয়েছে। তাই আপনি আপনার উপর নাযিলকৃত ওহীর ব্যাপারে কখনো এতটুকুও সন্দিহান হবেন না।
عربی تفاسیر:
وَتَمَّتۡ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدۡقٗا وَعَدۡلٗاۚ لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِۦۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ
১১৫. বাণী ও সংবাদসমূহের সত্যতায় কুর‘আন মাজীদ সত্যিই সত্যতার চরম সীমায় পৌঁছেছে। তাঁর বাণীসমূহের পরিবর্তনকারী কেউ নেই। তিনি তাঁর বান্দাদের সকল কথা শুনেন ও তা সবই জানেন। তাই তাঁর নিকট এগুলোর কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি অচিরেই তাঁর বাণীসমূহ পরিবর্তনের চেষ্টাকারীকে তার প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَإِن تُطِعۡ أَكۡثَرَ مَن فِي ٱلۡأَرۡضِ يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنۡ هُمۡ إِلَّا يَخۡرُصُونَ
১১৬. হে রাসূল! যদি ধরে নেয়া হয় যে, আপনি দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষের আনুগত্য করেছেন তাহলে তারা অবশ্যই আপনাকে আল্লাহর ধর্মচ্যুত করবে। আল্লাহর চিরায়ত নিয়ম এই যে, সত্য কম সংখ্যক লোকের কাছেই থাকে। কারণ, অধিকাংশ মানুষ ভিত্তিহীন ধারণার অনুসারী। যেমন: তারা এ ধারণা করে যে, তাদের পূজ্যগুলো নিশ্চয়ই তাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করবে। অথচ তারা এ ব্যাপারে মিথ্যুক।
عربی تفاسیر:
إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ مَن يَضِلُّ عَن سَبِيلِهِۦۖ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ
১১৭. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক জানেন, মানুষের মধ্যে কে পথভ্রষ্ট। আর কে পথপ্রাপ্ত। এর কোন কিছুই তাঁর নিকট গোপন নয়।
عربی تفاسیر:
فَكُلُواْ مِمَّا ذُكِرَ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ إِن كُنتُم بِـَٔايَٰتِهِۦ مُؤۡمِنِينَ
১১৮. হে মানুষ! আল্লাহর নামে জবাই করা পশুর গোস্ত তোমরা খাও। যদি তোমরা তাঁর সুস্পষ্ট দলীলসমূহে সত্যিকারার্থে বিশ্বাসী হয়ে থাকো।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• يجب أن يكون الهدف الأعظم للعبد اتباع الحق، ويطلبه بالطرق التي بيَّنها الله، ويعمل بذلك، ويرجو عَوْن ربه في اتباعه، ولا يتكل على نفسه وحوله وقوته.
ক. বান্দার মহান লক্ষ্যই হলো সত্যের অনুসরণ। তবে সে তা অনুসন্ধান করবে আল্লাহর বর্ণিত পথে এবং সে অনুযায়ী সে আমল করবে। উপরন্তু সে তা অনুসরণে তার প্রতিপালকের সাহায্য কামনা করবে। কখনোই এ ব্যাপারে সে নিজ ও নিজের শক্তি-সামর্থ্যরে উপর নির্ভরশীল হবে না।

• من إنصاف القرآن للقلة المؤمنة العالمة إسناده الجهل والضلال إلى أكثر الخلق.
খ. অল্প সংখ্যক জ্ঞানী মু’মিনদের প্রতি কুর‘আনের ইনসাফ হলো এই যে, সে মূর্খতা ও ভ্রষ্টতাকে বেশি সংখ্যক মানুষের সাথে সম্পৃক্ত করেছে।

• من سنّته تعالى في الخلق ظهور أعداء من الإنس والجنّ للأنبياء وأتباعهم؛ لأنّ الحقّ يعرف بضدّه من الباطل.
গ. মানুষের মধ্যকার আল্লাহর নীতি হলো নবীগণ ও তাঁদের অনুসারীদের জন্য মানুষ ও জিন শত্রæ সৃষ্টি হওয়া। কারণ, সত্য তো তার বিপরীত বাতিলকে দিয়েই চেনা যায়।

• القرآن صادق في أخباره، عادل في أحكامه،لا يُعْثَر في أخباره على ما يخالف الواقع، ولا في أحكامه على ما يخالف الحق.
ঘ. সংবাদের ব্যাপারে কুর‘আন সত্য। বিধানের ব্যাপারে কুর‘আন ইনসাফ পরিপূর্ণ। তাতে বাস্তবতা বিবর্জিত কোন সংবাদ এবং সত্য বিরোধী কোন বিধান পাওয়া যাবে না।

وَمَا لَكُمۡ أَلَّا تَأۡكُلُواْ مِمَّا ذُكِرَ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ وَقَدۡ فَصَّلَ لَكُم مَّا حَرَّمَ عَلَيۡكُمۡ إِلَّا مَا ٱضۡطُرِرۡتُمۡ إِلَيۡهِۗ وَإِنَّ كَثِيرٗا لَّيُضِلُّونَ بِأَهۡوَآئِهِم بِغَيۡرِ عِلۡمٍۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُعۡتَدِينَ
১১৯. হে মু’মিনগণ! আল্লাহর নামে জবাই করা পশুর গোস্ত খেতে তোমাদেরকে কে বাধা দেয়; অথচ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য হারাম বস্তুর বর্ণনা দিয়েছেন। তাই তোমাদেরকে অবশ্যই তা বর্জন করতে হবে। তবে বাধ্য হলে অবশ্যই খেতে পারো। কারণ, নিতান্ত প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধ করে দেয়। আসলে অধিকাংশ মুশরিক নষ্ট মতামতের দরুন অজান্তেই তাদের অনুসারীদেরকে সত্য থেকে দূরে রাখে। তারা আল্লাহ তা‘আলার হারাম করা জিনিসকে হালাল করেছে যেমন: মৃত ইত্যাদি। উপরন্তু আল্লাহ তা‘আলার হালাল করা জিনিসকে তারা হারাম করেছে যেমন: “বাহীরাহ”, ওয়াসীলাহ, “হাম” ইত্যাদি। হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক অবশ্যই জানেন আল্লাহর দেয়া সীমারেখা কে অতিক্রম করেছে। তিনি অচিরেই তাদেরকে এ বিষয়ে শাস্তি দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَذَرُواْ ظَٰهِرَ ٱلۡإِثۡمِ وَبَاطِنَهُۥٓۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡسِبُونَ ٱلۡإِثۡمَ سَيُجۡزَوۡنَ بِمَا كَانُواْ يَقۡتَرِفُونَ
১২০. হে মানুষ! তোমরা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে গুনাহ করা ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে গুনাহ অর্জনকারী পাপীদেরকে শাস্তি দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسۡقٞۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوۡلِيَآئِهِمۡ لِيُجَٰدِلُوكُمۡۖ وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ
১২১. হে মুসলমানগণ! তোমরা আল্লাহর নামে জবাই না হওয়া পশুর গোস্ত খেয়ো না। জবাইর সময় আল্লাহর নাম উচ্চারিত হোক বা না হোক। বস্তুতঃ এমন পশুর গোস্ত খাওয়া মানে আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা। নিশ্চয়ই শয়তানরা মৃত পশুর গোস্ত খাওয়ার বিষয়ে তাদের বন্ধুদের অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে তোমাদের সাথে ঝগড়া করার কুমন্ত্রণা দেয়। হে মুসলমানগণ! মৃত পশুর গোস্ত খাওয়াকে হালাল করার জন্য উপস্থাপিত সন্দেহের ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করলে তোমরা ও তারা সমান পর্যায়ের মুশরিক হয়ে যাবে।
عربی تفاسیر:
أَوَمَن كَانَ مَيۡتٗا فَأَحۡيَيۡنَٰهُ وَجَعَلۡنَا لَهُۥ نُورٗا يَمۡشِي بِهِۦ فِي ٱلنَّاسِ كَمَن مَّثَلُهُۥ فِي ٱلظُّلُمَٰتِ لَيۡسَ بِخَارِجٖ مِّنۡهَاۚ كَذَٰلِكَ زُيِّنَ لِلۡكَٰفِرِينَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
১২২. যে ব্যক্তি আল্লাহর হিদায়েতের পূর্বে কুফরি, মূর্খতা ও গুনাহে লিপ্ত হওয়ার দরুন বস্তুতঃ মৃত ছিলো অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাকে ঈমান, জ্ঞান ও আনুগত্যের হিদায়েতের মাধ্যমে জীবিত করেছেন সে ব্যক্তি এবং যে ব্যক্তি কুফরি, মূর্খতা ও গুনাহের অন্ধকারে নিমজ্জিত; সেখান থেকে সে একেবারেই বের হতে পারছে না, সকল পথ তার নিকট এলোমেলো এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছে এরা দু’জন কি সমান হতে পারে?! বস্তুতঃ যেমনিভাবে এ মুশরিকদের সামনে শিরক, মৃত পশুর গোস্ত খাওয়া এবং বাতিল পন্থায় ঝগড়া করাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তেমনিভাবে কাফিরদের সামনেও তাদের কৃত গুনাহগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে তাদেরকে কিয়ামতের দিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির প্রতিদান দেয়া যায়।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَا فِي كُلِّ قَرۡيَةٍ أَكَٰبِرَ مُجۡرِمِيهَا لِيَمۡكُرُواْ فِيهَاۖ وَمَا يَمۡكُرُونَ إِلَّا بِأَنفُسِهِمۡ وَمَا يَشۡعُرُونَ
১২৩. যেমনিভাবে মক্কার বড় বড় কাফিরদের পক্ষ থেকে আল্লাহর পথে বাধা দেয়ার মতো জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তেমনিভাবে আমি প্রত্যেক এলাকায় বড় বড় নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে সৃষ্টি করেছি যাতে তারা শয়তানের পথে দা’ওয়াত এবং রাসূলগণ ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কৌশল ও ষড়যন্ত্রগুলো কাজে লাগাতে পারে। বস্তুতঃ তাদের ধোঁকা ও ষড়যন্ত্র তাদের বিরুদ্ধেই বর্তাবে। অথচ তারা মূর্খতা ও প্রবৃত্তির অনুসরণের জন্য তা অনুভব করতে পারে না।
عربی تفاسیر:
وَإِذَا جَآءَتۡهُمۡ ءَايَةٞ قَالُواْ لَن نُّؤۡمِنَ حَتَّىٰ نُؤۡتَىٰ مِثۡلَ مَآ أُوتِيَ رُسُلُ ٱللَّهِۘ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ حَيۡثُ يَجۡعَلُ رِسَالَتَهُۥۗ سَيُصِيبُ ٱلَّذِينَ أَجۡرَمُواْ صَغَارٌ عِندَ ٱللَّهِ وَعَذَابٞ شَدِيدُۢ بِمَا كَانُواْ يَمۡكُرُونَ
১২৪. বড় বড় কাফিরদের নিকট আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে তাঁর নবীর উপর নাযিলকৃত কোন নিদর্শন নেমে আসলে তারা বলে: আল্লাহ তা‘আলা নবীদের মতো নবুওয়াত ও রিসালাত না দেয়া পর্যন্ত আমরা এর উপর ঈমান আনবো না। আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রতি উত্তরে বলেন: নিশ্চয়ই তিনি জানেন কে রিসালাতের উপযুক্ত এবং কে তার দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারে। অতঃপর তিনি তাঁকেই নবুওয়াত ও রিসালাতের গুরু দায়িত্বভার বিশেষভাবে দিয়ে থাকেন। অচিরেই সত্যকে দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান ও ষড়যন্ত্রের কারণে গাদ্দারদের প্রতি অসম্মান, লাঞ্ছনা ও কঠিন শাস্তি নেমে আসবে।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الأصل في الأشياء والأطعمة الإباحة، وأنه إذا لم يرد الشرع بتحريم شيء منها فإنه باق على الإباحة.
ক. প্রত্যেক বস্তু ও খাদ্যের মূল বিধান হলো হালাল হওয়া। তাই কোন বস্তুর হারাম হওয়ার ব্যাপারে শরয়ী দলীল না থাকলে তা হালাল।

• كل من تكلم في الدين بما لا يعلمه، أو دعا الناس إلى شيء لا يعلم أنه حق أو باطل، فهو معتدٍ ظالم لنفسه وللناس، وكذلك كل من أفتى وليس هو بكفء للإفتاء.
খ. না জেনে ধর্মীয় বিষয়ে যে কথা বলবে অথবা সত্য-মিথ্যা না জেনে সেদিকে মানুষকে ডাকলে সে নিশ্চিত সীমাতিক্রমকারী। সে এরই মাধ্যমে বস্তুতঃ নিজের উপর ও অন্যান্য মানুষের উপর যুলুম করলো। না জেনে ফতোয়া প্রদানকারীর অবস্থাও অনুরূপ।

• منفعة المؤمن ليست مقتصرة على نفسه، بل مُتَعدِّية لغيره من الناس.
গ. একজন মু’মিনের সুফল তার নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অন্য মানুষের নিকটও তা পৌঁছায়।

فَمَن يُرِدِ ٱللَّهُ أَن يَهۡدِيَهُۥ يَشۡرَحۡ صَدۡرَهُۥ لِلۡإِسۡلَٰمِۖ وَمَن يُرِدۡ أَن يُضِلَّهُۥ يَجۡعَلۡ صَدۡرَهُۥ ضَيِّقًا حَرَجٗا كَأَنَّمَا يَصَّعَّدُ فِي ٱلسَّمَآءِۚ كَذَٰلِكَ يَجۡعَلُ ٱللَّهُ ٱلرِّجۡسَ عَلَى ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ
১২৫. আল্লাহ তা‘আলা যখন কাউকে হিদায়েতের উপর চলার তাওফীক দিতে চাইলে তার অন্তরকে প্রশস্ত ও ইসলাম গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করেন। আর না দিতে চাইলে তখন তিনি তার অন্তরকে সত্য গ্রহণের ব্যাপারে খুবই সঙ্কীর্ণ করে দেন। তখন তার অবস্থা এমন হয় যে, আকাশে উঠা অসম্ভবের মতো তার অন্তরে সত্য প্রবেশ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা পথভ্রষ্টের সঙ্কীর্ণের মতোই অবিশ্বাসীদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করেন।
عربی تفاسیر:
وَهَٰذَا صِرَٰطُ رَبِّكَ مُسۡتَقِيمٗاۗ قَدۡ فَصَّلۡنَا ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَذَّكَّرُونَ
১২৬. হে রাসূল! আপনার জন্য নির্ধারিত আমার ধর্ম বস্তুতঃ আল্লাহরই সঠিক পথ। যাতে কোন ধরনের বক্রতা নেই। মূলতঃ আমি আয়াতগুলোকে ওদের জন্যই সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন কিছু বুঝার ক্ষমতা রাখে।
عربی تفاسیر:
۞ لَهُمۡ دَارُ ٱلسَّلَٰمِ عِندَ رَبِّهِمۡۖ وَهُوَ وَلِيُّهُم بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
১২৭. তাদের জন্য রয়েছে এমন এক আবাসস্থল যাতে তারা সকল অপছন্দনীয় ব্যাপার থেকে নিরাপদে থাকবে। আর তা হলো জান্নাত। আর তাদের নেক আমলের প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তা‘আলা হবেন তাদের সাহায্যকারী ও মদদদাতা।
عربی تفاسیر:
وَيَوۡمَ يَحۡشُرُهُمۡ جَمِيعٗا يَٰمَعۡشَرَ ٱلۡجِنِّ قَدِ ٱسۡتَكۡثَرۡتُم مِّنَ ٱلۡإِنسِۖ وَقَالَ أَوۡلِيَآؤُهُم مِّنَ ٱلۡإِنسِ رَبَّنَا ٱسۡتَمۡتَعَ بَعۡضُنَا بِبَعۡضٖ وَبَلَغۡنَآ أَجَلَنَا ٱلَّذِيٓ أَجَّلۡتَ لَنَاۚ قَالَ ٱلنَّارُ مَثۡوَىٰكُمۡ خَٰلِدِينَ فِيهَآ إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٞ
১২৮. হে রাসূল! আপনি স্মরণ করুন সে দিনের কথা যে দিন আল্লাহ তা‘আলা মানুষ ও জিন জাতিকে একত্রিত করবেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: হে জিন জাতি! তোমরা প্রচুর মানুষকে পথভ্রষ্ট ও আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছো। তখন তাদের অনুসারী মানুষরা তাদের প্রতিপালকের কথার উত্তরে বলবে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রত্যেকেই তার সাথী কর্তৃক উপকৃত হয়েছে। জিন মানুষের আনুগত্য কর্তৃক উপকৃত হয়েছে। আর মানুষ তার কুপ্রবৃত্তির চাহিদা মিটানোর সুযোগ পেয়ে উপকৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে গেছি। এ হলো কিয়ামতের দিন। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: জাহান্নামই হলো তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা। তোমরা সেখানে চিরকাল থাকবে। তবে তাদের কবর থেকে উঠা ও জাহান্নামে যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়টুকু যা আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হওয়া থেকে বাইরে রেখেছেন। হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রভু তাঁর নির্ধারণ ও পরিচালনায় সুকৌশলী। তিনি তাঁর শাস্তির উপযুক্ত বান্দাদের সম্পর্কে ভালোই জানেন।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ نُوَلِّي بَعۡضَ ٱلظَّٰلِمِينَ بَعۡضَۢا بِمَا كَانُواْ يَكۡسِبُونَ
১২৯. যেমনিভাবে আমি গাদ্দার জিনগুলোকে কিছু মানুষের উপর প্রভাবশালী ও তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য তাদের পেছনে লাগিয়ে দিয়েছি তেমনিভাবে আমি প্রত্যেক যালিমকেও অন্য যালিমের পেছনে লাগিয়ে দিয়েছি যাতে তারা তাদের গুনাহের প্রতিদান স্বরূপ একে অন্যকে অকল্যাণের প্রতি উৎসাহিত ও উদ্যমী এবং কল্যাণের প্রতি নিরুৎসাহিত ও নিরুদ্যম করে তোলে।
عربی تفاسیر:
يَٰمَعۡشَرَ ٱلۡجِنِّ وَٱلۡإِنسِ أَلَمۡ يَأۡتِكُمۡ رُسُلٞ مِّنكُمۡ يَقُصُّونَ عَلَيۡكُمۡ ءَايَٰتِي وَيُنذِرُونَكُمۡ لِقَآءَ يَوۡمِكُمۡ هَٰذَاۚ قَالُواْ شَهِدۡنَا عَلَىٰٓ أَنفُسِنَاۖ وَغَرَّتۡهُمُ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا وَشَهِدُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ أَنَّهُمۡ كَانُواْ كَٰفِرِينَ
১৩০. আমি তাদেরকে কিয়ামতের দিন আরো বলবো: হে মানুষ ও জিন জাতি! তোমাদের কাছে কি তোমাদের পক্ষ থেকে রাসূলগণ আসেন নি (রাসূলগণ সাধারণত মানুষের মধ্য থেকেই হয়ে থাকেন) যাঁরা তোমাদেরকে তোমাদের উপর নাযিলকৃত কিতাবসমূহ তিলাওয়াত করে শুনাতেন এবং এ কিয়ামতের দিনের সাক্ষাতের ভয় দেখাতেন? তারা বলবে: হ্যাঁ, আজ আমরা নিজেদের বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনার রাসূলগণ আমাদের নিকট আপনার বাণী পৌঁছে দেন। উপরন্তু আমরা এ দিনের সাক্ষাতের স্বীকারোক্তি করছি। তবে আমরা আপনার রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছি এবং এ দিনের সাক্ষাতকে মিথ্যা বলেছি। মূলতঃ দুনিয়ার জীবন যাতে রয়েছে সৌন্দর্য, সাজ-সজ্জা ও অস্থায়ী নিয়ামত তা তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে। ফলে তারা পরিশেষে এ কথা স্বীকার করেছে যে, তারা মূলতঃ দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরি করেছে। তবে তাদের এ স্বীকারোক্তি ও ঈমান তাদের কোন উপকারে আসবে না। কারণ, এর সময় শেষ।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• سُنَّة الله في الضلال والهداية أنهما من عنده تعالى، أي بخلقه وإيجاده، وهما من فعل العبد باختياره بعد مشيئة الله.
ক. হিদায়েত ও ভ্রষ্টতার ক্ষেত্রে আল্লাহর নিয়ম হলো যে, সেগুলো মূলতঃ তাঁর পক্ষ থেকেই আসে। তিনি তা সৃষ্টি ও উদ্ভাবন করেন। তবে সেগুলো আল্লাহর ইচ্ছার পর বান্দার এখতিয়ারেই সে সেগুলো করে থাকে।

• ولاية الله للمؤمنين بحسب أعمالهم الصالحة، فكلما زادت أعمالهم الصالحة زادت ولايته لهم والعكس.
খ. মু’মিনদের প্রতি আল্লাহর বন্ধুত্ব বস্তুতঃ তাদের নেক আমল অনুযায়ীই হয়ে থাকে। তাই তাদের নেক আমল বৃদ্ধি পেলে আল্লাহর সাথে বন্ধুত্বও বাড়বে। আর এর বিপরীত হলে তার ফলও বিপরীত হবে।

• من سُنَّة الله أن يولي كل ظالم ظالمًا مثله، يدفعه إلى الشر ويحثه عليه، ويزهِّده في الخير وينفِّره عنه.
গ. আল্লাহর নিয়ম হলো তিনি প্রত্যেক যালিমের পেছনে তার ন্যায় অন্য যালিমকে লাগিয়ে দেন। যে তাকে অকল্যাণের দিকে ধাবিত ও উৎসাহিত করবে এবং কল্যাণের প্রতি তাকে নিরুৎসাহী ও তা থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দিবে।

ذَٰلِكَ أَن لَّمۡ يَكُن رَّبُّكَ مُهۡلِكَ ٱلۡقُرَىٰ بِظُلۡمٖ وَأَهۡلُهَا غَٰفِلُونَ
১৩১. মানুষ ও জিনদের নিকট রাসূল পাঠানোর যৌক্তিকতা এই যে, যাতে কারো নিকট রাসূল না পাঠালে এবং দা’ওয়াত না পৌঁছালে ছাড়া তার কৃতকর্মের জন্য তাকে শাস্তি দেয়া না হয়। কারণ, কোন জাতির নিকট রাসূল না পাঠালে শাস্তি দেয়া আমার নীতি নয়।
عربی تفاسیر:
وَلِكُلّٖ دَرَجَٰتٞ مِّمَّا عَمِلُواْۚ وَمَا رَبُّكَ بِغَٰفِلٍ عَمَّا يَعۡمَلُونَ
১৩২. তাদের প্রত্যেকের আমল অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন মর্যদা রয়েছে। তাই বেশি অনিষ্টকামী ও কম অনিষ্টকামী এক হতে পারে না। না অনুসরণকারী ও অনুসরণীয় উভয়ই এক পর্যায়ের। যেমনিভাবে নেককারদের সাওয়াব এক পর্যায়ের নয়। বস্তুতঃ আপনার প্রতিপালক তাদের কর্মকাÐ সম্পর্কে গাফিল নন। বরং তিনি তা সবই জানেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি অচিরেই তাদের আমলসমূহের প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَرَبُّكَ ٱلۡغَنِيُّ ذُو ٱلرَّحۡمَةِۚ إِن يَشَأۡ يُذۡهِبۡكُمۡ وَيَسۡتَخۡلِفۡ مِنۢ بَعۡدِكُم مَّا يَشَآءُ كَمَآ أَنشَأَكُم مِّن ذُرِّيَّةِ قَوۡمٍ ءَاخَرِينَ
১৩৩. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের প্রতি সত্যিই অমুখাপেক্ষী বিধায় তাদের ও তাদের ইবাদাতের তাঁর কোন প্রয়োজন নেই। না তাদের কুফরি তাঁর কোন ক্ষতি করবে। তবে অমুখাপেক্ষিতা সত্তে¡ও তিনি তাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াশীল। হে পাপীরা! তিনি তোমাদেরকে ধ্বংস চাইলে তাঁর আযাবের মাধ্যমেই তোমাদের মূলোৎপাটন করবেন। তোমাদেরকে ধ্বংস করার পর তিনি আবার ঈমানদার ও আনুগত্যশীল পর্যায়ের যাকে চান সৃষ্টি করবেন। যেমনিভাবে তিনি তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তী অন্য জাতির বংশ থেকে সৃষ্টি করেছেন।
عربی تفاسیر:
إِنَّ مَا تُوعَدُونَ لَأٓتٖۖ وَمَآ أَنتُم بِمُعۡجِزِينَ
১৩৪. হে কাফিররা! তোমাদের সাথে পুনরুত্থান, হাশরের মাঠে উপস্থিত করণ এবং হিসাব ও ওয়াদাকৃত শাস্তি আসা অবশ্যম্ভাবী। তোমরা প্রতিপালক থেকে কখনো পালাতে পারবে না। তিনি কপালের কেশগুচ্ছ ধরে তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবেন।
عربی تفاسیر:
قُلۡ يَٰقَوۡمِ ٱعۡمَلُواْ عَلَىٰ مَكَانَتِكُمۡ إِنِّي عَامِلٞۖ فَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَ مَن تَكُونُ لَهُۥ عَٰقِبَةُ ٱلدَّارِۚ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلظَّٰلِمُونَ
১৩৫. হে রাসূল! আপনি বলুন: হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা নিজেদের অবস্থা তথা কুফরি ও ভ্রষ্টতার উপর অবিচল থাকো। মূলতঃ আমি তোমাদের ব্যাপারে কৈফিয়তের ব্যবস্থা করেছি এবং আমি সুস্পষ্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে তোমাদের বিপরীতে প্রমাণ দাঁড় করিয়েছি। তাই আমি তোমাদের কুফরি ও ভ্রষ্টতার কোন পরোয়া করি না। বরং আমি সর্বদা সত্যের উপর অটল থাকবো। তোমরা অচিরেই জানতে পারবে দুনিয়ার বিজয় কার এবং কে এ ভ‚খÐের ওয়ারিশ ও কার জন্য আখিরাতের চিরস্থায়ী আবাসস্থল। বস্তুতঃ মুশরিকরা না দুনিয়াতে সফল, না আখিরাতে। বরং তাদের পরিণতিই হলো মূলতঃ ক্ষতিগ্রস্ততা। যদিও তারা দুনিয়াতে কিছু আনন্দ ভোগ করুক না কেন।
عربی تفاسیر:
وَجَعَلُواْ لِلَّهِ مِمَّا ذَرَأَ مِنَ ٱلۡحَرۡثِ وَٱلۡأَنۡعَٰمِ نَصِيبٗا فَقَالُواْ هَٰذَا لِلَّهِ بِزَعۡمِهِمۡ وَهَٰذَا لِشُرَكَآئِنَاۖ فَمَا كَانَ لِشُرَكَآئِهِمۡ فَلَا يَصِلُ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَا كَانَ لِلَّهِ فَهُوَ يَصِلُ إِلَىٰ شُرَكَآئِهِمۡۗ سَآءَ مَا يَحۡكُمُونَ
১৩৬. মুশরিকরা মূলতঃ আল্লাহর ব্যাপারে এক নব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। তারা আল্লাহর জন্য তাঁর সৃষ্ট ফসল ও চতুষ্পাদ জন্তু থেকে একটি ভাগ নির্ধারণ করেছে। তারা মনে করছে, এটি আল্লাহর জন্য। আরেকটি ভাগ তারা নির্ধারণ করেছে নিজেদের মূর্তি ও পূজামÐপের জন্য। বস্তুতঃ তারা যা নিজেদের শরীকদের জন্য বিশেষিত করেছে তা কখনো আল্লাহ তা‘আলার শরীয়তে নির্ধারিত খাতে পৌঁছাবে না। যেমন: ফকির ও মিসকীন। বরং তারা যা আল্লাহর জন্য বিশেষিত করেছে তা কিন্তু তাদের শরীক মূর্তিগুলোর নিকট পৌঁছাবে। যা তাদের কল্যাণেই খরচ করা হবে। কতোই না নিকৃষ্ট তাদের বিচার ও বন্টন।
عربی تفاسیر:
وَكَذَٰلِكَ زَيَّنَ لِكَثِيرٖ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ قَتۡلَ أَوۡلَٰدِهِمۡ شُرَكَآؤُهُمۡ لِيُرۡدُوهُمۡ وَلِيَلۡبِسُواْ عَلَيۡهِمۡ دِينَهُمۡۖ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَا فَعَلُوهُۖ فَذَرۡهُمۡ وَمَا يَفۡتَرُونَ
১৩৭. যেমনিভাবে শয়তান এ অত্যাচারপূর্ণ ফায়সালাকে মুশরিকদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে তেমনিভাবে তাদের শরীক শয়তানরাও বহু মুশরিকের সামনে দরিদ্রতার ভয়ে তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করাকেও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। যেন তারা ওদেরকে এমন ব্যক্তির হত্যায় লিপ্ত করে ধ্বংস করতে পারে যাকে অবৈধভাবে হত্যা করা আল্লাহ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন। উপরন্তু তারা ওদের ধর্মকে এলোমেলো করে দিতে পারে যাতে তারা বৈধ-অবৈধ কিছুই জানতে না পারে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা না চাইলে তারা কখনোই তা করতে পারতো না। তবে তিনি তা চেয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ হিকমতের দরুন। তাই হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে এবং আল্লাহর উপর তাদের মিথ্যাচারকে পরিত্যাগ করুন। কারণ, এটি আপনার কোন ক্ষতিই করতে পারবে না। বরং আপনি তাদের বিষয়টি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• تفاوت مراتب الخلق في أعمال المعاصي والطاعات يوجب تفاوت مراتبهم في درجات العقاب والثواب.
ক. গুনাহ ও আনুগত্যের কাজে মানুষের পর্যায়ের ভিন্নতা তাদের শাস্তি ও সাওয়াবের পর্যায়ের ভিন্নতাকে বাধ্যতামূলক করে।

• اتباع الشيطان موجب لانحراف الفطرة حتى تصل لاستحسان القبيح مثل قتل الأولاد ومساواة أصنامهم بالله سبحانه وتعالى.
গ. শয়তানের অনুসরণ মানুষের সহজাত স্বভাবের বিকৃতির কারণ। পরিশেষে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, সে খারাপকে ভালো মনে করতে শুরু করে। যেমন: সন্তান হত্যা এবং মূর্তিগুলোকে আল্লাহর সমপর্যায়ের মনে করা ইত্যাদি।

وَقَالُواْ هَٰذِهِۦٓ أَنۡعَٰمٞ وَحَرۡثٌ حِجۡرٞ لَّا يَطۡعَمُهَآ إِلَّا مَن نَّشَآءُ بِزَعۡمِهِمۡ وَأَنۡعَٰمٌ حُرِّمَتۡ ظُهُورُهَا وَأَنۡعَٰمٞ لَّا يَذۡكُرُونَ ٱسۡمَ ٱللَّهِ عَلَيۡهَا ٱفۡتِرَآءً عَلَيۡهِۚ سَيَجۡزِيهِم بِمَا كَانُواْ يَفۡتَرُونَ
১৩৮. মুশরিকরা বললো: এ গৃহপালিত পশু ও ফসলাদি নিষিদ্ধ। মূর্তি ইত্যাদির সেবক ছাড়া আর কেউ তা খেতে পারবে না। যাদেরকে তারা নিজেদের ধারণা ও আল্লাহর প্রতি অপবাদের ভিত্তিতেই স্বেচ্ছায় চয়ন করেছে। এমনকি এ গৃহপালিত পশুগুলোর পিঠও হারাম। সেগুলোর পিঠে না চড়া যাবে; না সেগুলোর মাধ্যমে কোন কিছু বহন করা যাবে। সেগুলো হলো “বাহীরাহ”, “সা-য়িবাহ” ও আল-হামী। এ পশুগুলো জবাই করার সময় তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে না। বরং তারা এগুলোকে তাদের মূর্তিগুলোর নামেই জবাই করে। তারা এ সব করছে আল্লাহর উপর এ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে, এ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। অচিরেই আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তাদের মিথ্যা অপবাদের দরুন শাস্তির মাধ্যমে এর উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَقَالُواْ مَا فِي بُطُونِ هَٰذِهِ ٱلۡأَنۡعَٰمِ خَالِصَةٞ لِّذُكُورِنَا وَمُحَرَّمٌ عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِنَاۖ وَإِن يَكُن مَّيۡتَةٗ فَهُمۡ فِيهِ شُرَكَآءُۚ سَيَجۡزِيهِمۡ وَصۡفَهُمۡۚ إِنَّهُۥ حَكِيمٌ عَلِيمٞ
১৩৯. তারা আরো বললো: এ “সা-য়িবাহ” (মূর্তির জন্য ছেড়ে দেয়া উট) ও বাহীরাহগুলোর (পাঁচবার প্রসবের পর কান কেটে ছেড়ে দেয়া উট) পেটে যে সন্তানাদি রয়েছে সেগুলো যদি জীবন্ত প্রসবিত হয় তাহলে তা আমাদের পুরুষদের জন্য হালাল ও আমাদের মহিলাদের জন্য হারাম। আর যদি এগুলোর পেটের সন্তানাদি মৃত প্রসবিত হয় তাহলে আমাদের পুরুষ ও মহিলারা তাতে সমভাগী। আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই তাদের এ কথার জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। তিনি তাঁর শরীয়ত ও তাঁর সৃষ্টির সমূহ ব্যাপারাদির পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময় ও জ্ঞানী।
عربی تفاسیر:
قَدۡ خَسِرَ ٱلَّذِينَ قَتَلُوٓاْ أَوۡلَٰدَهُمۡ سَفَهَۢا بِغَيۡرِ عِلۡمٖ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ ٱللَّهُ ٱفۡتِرَآءً عَلَى ٱللَّهِۚ قَدۡ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهۡتَدِينَ
১৪০. যারা বুদ্ধিহীনতা ও মূর্খতার দরুন নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করেছে এবং আল্লাহর দেয়া রিযিক তথা পশুগুলোকে আল্লাহর উপর মিথ্যারোপপূর্বক হারাম বা নিষিদ্ধ করেছে তারা বস্তুতঃ ধ্বংস হয়েছে এবং সঠিক পথ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা মূলতঃ এ ব্যাপারে সঠিক পথপ্রাপ্ত হয়নি।
عربی تفاسیر:
۞ وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنشَأَ جَنَّٰتٖ مَّعۡرُوشَٰتٖ وَغَيۡرَ مَعۡرُوشَٰتٖ وَٱلنَّخۡلَ وَٱلزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا أُكُلُهُۥ وَٱلزَّيۡتُونَ وَٱلرُّمَّانَ مُتَشَٰبِهٗا وَغَيۡرَ مُتَشَٰبِهٖۚ كُلُواْ مِن ثَمَرِهِۦٓ إِذَآ أَثۡمَرَ وَءَاتُواْ حَقَّهُۥ يَوۡمَ حَصَادِهِۦۖ وَلَا تُسۡرِفُوٓاْۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُسۡرِفِينَ
১৪১. আল্লাহ তা‘আলাই এ ভ‚পৃষ্ঠে কাÐহীন এবং কাÐ বিশিষ্ট উঁচু বিস্তর বাগান সৃষ্টি করেছেন। তিনি খেজুর গাছ এবং বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের ফসল সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরো সৃষ্টি করেছেন যাইতুন ও আনার। যেগুলোর পাতাসমূহ দেখতে প্রায় একই রকম তবে স্বাদ অবশ্যই ভিন্ন। হে মানুষ! তোমরা ফল ধরলে তা থেকে খাও এবং কাটার সময় ফসলের যাকাত দাও। তবে খাওয়া ও ব্যয়ে তোমরা কখনো শরীয়তের সীমারেখা অতিক্রম করো না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা এগুলো ও অন্যান্য বিষয়ে সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ভালোবাসেন না। বরং তিনি তাদেরকে খুবই অপছন্দ করেন। বস্তুতঃ আল্লাহ এ সব সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই তাঁর বান্দাদের জন্য এগুলো বৈধ করেছেন। অতএব, তা হারাম করার কোন অধিকারই মুশরিকদের নেই।
عربی تفاسیر:
وَمِنَ ٱلۡأَنۡعَٰمِ حَمُولَةٗ وَفَرۡشٗاۚ كُلُواْ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ
১৪২. তিনিই তোমাদের জন্য এমন গৃহপালিত পশু সৃষ্টি করেছেন যেগুলো বোঝা বহনের উপযুক্ত যেমন: প্রাপ্তবয়স্ক উট। আবার এমন কিছুও সৃষ্টি করেছেন যেগুলো বোঝা বহনের অনুপযুক্ত। যেমন: ছোট উট ও ছাগল। হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর দেয়া রিযিক হিসেবে এ হালাল বস্তুগুলো খাও এবং আল্লাহর হারামকৃত বস্তু হালাল করা এবং তাঁর হালালকৃত বস্তু হারাম করার ব্যাপারে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যা মুশরিকরা করে থাকে। হে মানুষ! নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের সুস্পষ্ট শত্রæ। সে চায় তোমরা এ ব্যাপারে আল্লাহর অবাধ্য হও।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• ذم الله المشركين بسبع صفات هي : الخسران والسفاهة وعدم العلم وتحريم ما رزقهم الله والافتراء على الله والضلال وعدم الاهتداء؛ فهذه أمور سبعة، وكل واحد منها سبب تام في حصول الذم.
ক. কুপ্রবৃত্তিই আল্লাহর হালালকৃত বস্তু হারাম করা এবং হারামকৃত বস্তু হালাল করার মূল কারণ।

• الأهواء سبب تحريم ما أحل الله وتحليل ما حرم الله.
খ. আল্লাহ তা‘আলা সাতটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে মুশরিকদের নিন্দা করেছেন। যা হলো: ক্ষতিগ্রস্ততা, বোকামি, মূর্খতা, আল্লাহর দেয়া রিযিককে হারাম করা, আল্লাহর উপর অপবাদ দেয়া, ভ্রষ্টতা ও হিদায়েতপ্রাপ্ত না হওয়া। এ হলো সাতটি নিন্দনীয় ব্যাপার যেগুলোর প্রত্যেকটিই নিন্দা পাওয়ার এক একটি পরিপূর্ণ কারণ।

• وجوب الزكاة في الزروع والثمار عند حصادها، مع جواز الأكل منها قبل إخراج زكاتها، ولا يُحْسَب من الزكاة.
খ. ফল ও ফসল কাটা ও তোলার সময় যাকাত ওয়াজিব হয়। তবে যাকাত বের করার পূর্বে তা থেকে খাওয়া জায়িয। যা যাকাতের মধ্যে গণ্য হবে না।

• التمتع بالطيبات مع عدم الإسراف ومجاوزة الحد في الأكل والإنفاق.
গ. পবিত্র বস্তু কর্তৃক উপকৃত হওয়া যায়। তবে তা খাওয়া ও ব্যয়ের সময় কোন ধরনের সীমালঙ্ঘন ও অপচয় করা যাবে না।

ثَمَٰنِيَةَ أَزۡوَٰجٖۖ مِّنَ ٱلضَّأۡنِ ٱثۡنَيۡنِ وَمِنَ ٱلۡمَعۡزِ ٱثۡنَيۡنِۗ قُلۡ ءَآلذَّكَرَيۡنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلۡأُنثَيَيۡنِ أَمَّا ٱشۡتَمَلَتۡ عَلَيۡهِ أَرۡحَامُ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۖ نَبِّـُٔونِي بِعِلۡمٍ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ
১৪৩. তিনি তোমাদের জন্য আট প্রকারের পশু সৃষ্টি করেছেন। ভেড়া দু’টি: (নর ও মাদী) এবং ছাগল দু’টি। হে রাসূল! আপনি মুশরিকদেরকে বলে দিন: আল্লাহ তা‘আলা কি এগুলোর নরকে নর হওয়ার দরুন হারাম করে দিয়েছেন? তারা যদি বলে: হ্যাঁ, তাহলে আপনি তাদেরকে বলুন: তোমরা কেন মাদীগুলোকে হারাম করে দিয়েছো? না কি তিনি মাদীগুলোকে মাদী হওয়ার দরুন হারাম করে দিয়েছেন? তারা যদি বলে: হ্যাঁ, তাহলে আপনি তাদেরকে বলুন: তোমরা কেন নরগুলোকে হারাম করে দিয়েছো? না কি তিনি মাদীগুলোর গর্ভে যা রয়েছে তা হারাম করে দিয়েছেন শুধু তা গর্ভে থাকার দরুন? তারা যদি বলে: হ্যাঁ, তাহলে আপনি তাদেরকে বলুন: তোমরা কেন গর্ভে যা রয়েছে সেগুলোর মাঝে পার্থক্য করতে যাচ্ছো? কখনো নরগুলোকে হারাম করো আবার কখনো মাদীগুলোকে। হে মুশরিকরা! তোমরা আমাকে বলো: কোন্ সঠিক জ্ঞানের ভিত্তিতে তোমরা এ কাজ করছো। যদি তোমরা নিজেদের এ দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাকো যে, এগুলো মূলতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকেই হারাম করা হয়েছে।
عربی تفاسیر:
وَمِنَ ٱلۡإِبِلِ ٱثۡنَيۡنِ وَمِنَ ٱلۡبَقَرِ ٱثۡنَيۡنِۗ قُلۡ ءَآلذَّكَرَيۡنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلۡأُنثَيَيۡنِ أَمَّا ٱشۡتَمَلَتۡ عَلَيۡهِ أَرۡحَامُ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۖ أَمۡ كُنتُمۡ شُهَدَآءَ إِذۡ وَصَّىٰكُمُ ٱللَّهُ بِهَٰذَاۚ فَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗا لِّيُضِلَّ ٱلنَّاسَ بِغَيۡرِ عِلۡمٍۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ
১৪৪. আট প্রকারের আর বাকিগুলো হলো উট দু’টি (নর ও মাদী) এবং গরু দু’টি। হে রাসূল! আপনি মুশরিকদেরকে বলুন: আল্লাহ তা‘আলা কি এগুলোর নরগুলোকে নর হওয়ার দরুন অথবা মাদীগুলোকে মাদী হওয়ার দরুন কিংবা সেগুলো গর্ভে থাকার দরুন হারাম করে দিয়েছেন? না কি হে মুশরিকরা! তোমরা তোমাদের ধারণা অনুযায়ী সে সময় উপস্থিত ছিলে যে সময় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তোমরা যেগুলো হারাম করেছো সেগুলো হারাম করার আদেশ করেছেন?! কেউই সেই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম ও অপরাধী হতে পারে না যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করেছে। সে আল্লাহর সাথে সেগুলোকে হারাম করা সম্পৃক্ত করেছে যেগুলো তিনি হারাম করেননি। যাতে সে কোন জ্ঞানগত ভিত্তি ছাড়া মানুষকে সঠিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর উপর মিথ্যারোপকারী যালিমদেরকে কখনো হিদায়েত পাওয়ার তাওফীক দেন না।
عربی تفاسیر:
قُل لَّآ أَجِدُ فِي مَآ أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٖ يَطۡعَمُهُۥٓ إِلَّآ أَن يَكُونَ مَيۡتَةً أَوۡ دَمٗا مَّسۡفُوحًا أَوۡ لَحۡمَ خِنزِيرٖ فَإِنَّهُۥ رِجۡسٌ أَوۡ فِسۡقًا أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِۦۚ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ غَيۡرَ بَاغٖ وَلَا عَادٖ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
১৪৫. হে রাসূল! আপনি বলুন: আমার নিকট আল্লাহ তা‘আলা যা ওহী করেছেন তাতে আমি কোন জিনিস হারাম পাইনি। তবে যা জবাই ছাড়া মৃত্যু বরণ করেছে অথবা প্রবাহিত রক্ত কিংবা শূকরের গোস্ত তা নিশ্চয়ই নাপাক ও হারাম। অথবা যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই করা হয়েছে। যেমন: তাদের মূর্তিগুলোর জন্য জবাইকৃত পশু। কেউ যদি অত্যধিক ক্ষুধার দরুন বাধ্য হয়ে এ হারাম বস্তুগুলো খায় - তা মজা করে খাওয়ার ইচ্ছায় নয় এবং প্রয়োজনাতিরিক্তও নয় - তাহলে তাতে কোন গুনাহ নেই। হে রাসূল! আপনার প্রভু তার প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু যে বাধ্য হয়ে তা খেয়েছে।
عربی تفاسیر:
وَعَلَى ٱلَّذِينَ هَادُواْ حَرَّمۡنَا كُلَّ ذِي ظُفُرٖۖ وَمِنَ ٱلۡبَقَرِ وَٱلۡغَنَمِ حَرَّمۡنَا عَلَيۡهِمۡ شُحُومَهُمَآ إِلَّا مَا حَمَلَتۡ ظُهُورُهُمَآ أَوِ ٱلۡحَوَايَآ أَوۡ مَا ٱخۡتَلَطَ بِعَظۡمٖۚ ذَٰلِكَ جَزَيۡنَٰهُم بِبَغۡيِهِمۡۖ وَإِنَّا لَصَٰدِقُونَ
১৪৬. আমি ইহুদিদের উপর হারাম করে দিয়েছি এমন সব পশু যেগুলোর আঙ্গুলসমূহ পৃথক পৃথক নয়। যেমন: উট ও উটপাখী। তেমনিভাবে আমি তাদের উপর হারাম করে দিয়েছি গরু ও ছাগলের চর্বি। তবে যা সেগুলোর পিঠের সাথে লাগানো অথবা যা তাদের নাড়িভুঁড়ি কিংবা হাড়ের সাথে মিলে রয়েছে। যেমন: পাছা ও পাঁজর। এগুলোকে হারাম করে আমি মূলতঃ তাদের যুলুমের প্রতিদান দিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি এ সকল সংবাদে সত্যবাদী।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• في الآيات دليل على إثبات المناظرة في مسائل العلم، وإثبات القول بالنظر والقياس.
ক. উক্ত আয়াতগুলোতে জ্ঞানপূর্ণ মাসআলাসমূহে মুনাযারাহ তথা তর্কবিতর্ক করা এবং গবেষণা ও ইজতিহাদের মাধ্যমে কথা বলা সাব্যস্ত হওয়ার প্রমাণ রয়েছে।

• الوحي وما يستنبط منه هو الطريق لمعرفة الحلال والحرام.
খ. ওহী ও তা থেকে উৎসারিত বস্তুই হলো হালাল-হারাম চিনার বিশেষ মাধ্যম।

• إن من الظلم أن يُقْدِم أحد على الإفتاء في الدين ما لم يكن قد غلب على ظنه أنه يفتي بالصواب الذي يرضي الله.
গ. সত্যিকারার্থে এটি একটি যুলুম যে, আল্লাহর খুশি মাফিক সঠিকভাবে ফতোয়া দেয়া নিশ্চিতের কাছাকাছি না হয়ে ধর্মীয় ব্যাপারে কারো ফতোয়া দিতে অগ্রণী হওয়া।

• من رحمة الله بعباده الإذن لهم في تناول المحرمات عند الاضطرار.
ঘ. বান্দাদের প্রতি আল্লাহর একটি বিশেষ রহমত হলো তারা হারাম খেতে বাধ্য হলে তাদেরকে তা খাওয়ার অনুমতি দেয়া।

فَإِن كَذَّبُوكَ فَقُل رَّبُّكُمۡ ذُو رَحۡمَةٖ وَٰسِعَةٖ وَلَا يُرَدُّ بَأۡسُهُۥ عَنِ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
১৪৭. হে রাসূল! তারা যদি আপনাকে মিথ্যুক বলে এবং আপনি নিজ প্রতিপালকের কাছ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তা সত্য বলে জ্ঞান না করে তাহলে আপনি তাদেরকে হেদায়েতের প্রতি উৎসাহিত করার জন্য বলুন: তোমাদের প্রতিপালক তো বিস্তর দয়াবান। তাঁর দয়ার একটি নমুনা হলো তিনি তোমাদেরকে সময় দিচ্ছেন। তিনি তোমাদেরকে দ্রæত শাস্তির সম্মুখীন করছেন না। তেমনিভাবে আপনি তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বলুন: নিশ্চয়ই তাঁর শাস্তি পাপ ও গুনাহে লিপ্ত সম্প্রদায় থেকে দূরে সরানো যাবে না।
عربی تفاسیر:
سَيَقُولُ ٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْ لَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَآ أَشۡرَكۡنَا وَلَآ ءَابَآؤُنَا وَلَا حَرَّمۡنَا مِن شَيۡءٖۚ كَذَٰلِكَ كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ حَتَّىٰ ذَاقُواْ بَأۡسَنَاۗ قُلۡ هَلۡ عِندَكُم مِّنۡ عِلۡمٖ فَتُخۡرِجُوهُ لَنَآۖ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنۡ أَنتُمۡ إِلَّا تَخۡرُصُونَ
১৪৮. মুশরিকরা নিজেদের শিরকী কর্মকাÐের বিশুদ্ধতা প্রমাণের জন্য আল্লাহর ইচ্ছা ও তাক্বদীরের দোহাই দিয়ে বলবে: আল্লাহ যদি চাইতেন আমরা ও আমাদের বাপ-দাদারা শিরক না করুক তাহলে আমরা তাঁর সাথে কখনোই শিরক করতে পারতাম না। তেমনিভাবে তিনি যদি চাইতেন আমরা যা নিজেদের উপর হারাম করেছি তা যেন হারাম না করি তাহলে আমরা তা হারাম করতে পারতাম না। বস্তুতঃ এ জাতীয় অমূলক ছুতোর মাধ্যমেই পূর্বেকার লোকেরা তাদের রাসূলদেরকে মিথ্যুক বানিয়েছে এ বলে যে, আল্লাহ যদি চাইতেন আমরা তাঁদেরকে মিথ্যুক না বলি তাহলে আমরা কখনোই তাঁদেরকে মিথ্যুক বলতে পারতাম না। এ মিথ্যা বলার উপরই তারা অবিচল ছিলো। ফলে তারা আমার নাযিলকৃত শাস্তি আস্বাদন করেছে। হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন, তোমাদের নিকট কি এমন কোন দলীল আছে যা এ কথা প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের শিরক এবং হারামকে হালাল করা ও হালালকে হারাম করার উপর সন্তুষ্ট আছেন? বস্তুতঃ এ কাজগুলো তোমাদের থেকে পাওয়া যাওয়াই কেবল দলীল নয় যে, তিনি তোমাদের উপর খুশি রয়েছেন। মূলতঃ তোমরা এ ব্যাপারে নিজেদের ধারণারই অনুসরণ করছো। আর ধারণা কখনো সত্য উদ্ঘাটনে কোন ফায়েদায় আসে না। বস্তুতঃ তোমরা মিথ্যাই বলে বেড়াচ্ছো।
عربی تفاسیر:
قُلۡ فَلِلَّهِ ٱلۡحُجَّةُ ٱلۡبَٰلِغَةُۖ فَلَوۡ شَآءَ لَهَدَىٰكُمۡ أَجۡمَعِينَ
১৪৯. হে রাসূল! আপনি মুশরিকদেরকে বলে দিন: যদি তোমাদের নিকট এ অহেতুক ছুতানাতা ছাড়া আর কোন প্রমাণ না থাকে তাহলে আল্লাহর নিকট তো নিশ্চয়ই অকাট্য প্রমাণ রয়েছে, যার সামনে তোমাদের পেশ করা সকল ছুতানাতা শেষ হয়ে যায়। আর তোমরা যে সন্দেহগুলো ধরে আছো সেগুলো বাতিল হয়ে যায়। হে মুশরিকরা! আল্লাহ তা‘আলা যদি চাইতেন তোমাদের সকলকে সত্য গ্রহণের তাওফীক দিতে তাহলে তিনি অবশ্যই তার তাওফীক দিতেন।
عربی تفاسیر:
قُلۡ هَلُمَّ شُهَدَآءَكُمُ ٱلَّذِينَ يَشۡهَدُونَ أَنَّ ٱللَّهَ حَرَّمَ هَٰذَاۖ فَإِن شَهِدُواْ فَلَا تَشۡهَدۡ مَعَهُمۡۚ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا وَٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ وَهُم بِرَبِّهِمۡ يَعۡدِلُونَ
১৫০. হে রাসূল! যারা আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে হারাম করে এবং তা আল্লাহ তা‘আলাই হারাম করেছেন বলে দাবি করে আপনি সে মুশরিকদেরকে বলুন: তোমরা সেই সাক্ষীগুলোকে হাজির করো যারা এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা এ জিনিসগুলোকে হারাম করেছেন যা তোমরা হারাম করেছো। হে রাসূল! যদি তারা মূর্খতাবশত এ সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা এ জিনিসগুলোকে হারাম করেছেন তাহলে আপনি তাদের সাক্ষ্যকে সত্য মনে করবেন না। কারণ, সেটি একটি মিথ্যা সাক্ষ্য। যারা নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে বিচারক বানিয়েছে আপনি তাদের কৃপ্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। কারণ, তারা আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে হারাম করার মাধ্যমে সত্যিকারার্থে আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা বানিয়েছে। তেমনিভাবে আপনি আখিরাতে অবিশ্বাসীদেরও অনুসরণ করবেন না। তারা মূলতঃ নিজেদের প্রতিপালকের সাথেই শিরক করেছে। তারা তাঁকে অন্যের সমান ভাবে। নিজ প্রতিপালকের সাথে যার এমন আচরণ তার অনুসরণ কিভাবেই বা করা যাবে?!
عربی تفاسیر:
۞ قُلۡ تَعَالَوۡاْ أَتۡلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمۡ عَلَيۡكُمۡۖ أَلَّا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡـٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗاۖ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُم مِّنۡ إِمۡلَٰقٖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكُمۡ وَإِيَّاهُمۡۖ وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَۖ وَلَا تَقۡتُلُواْ ٱلنَّفۡسَ ٱلَّتِي حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلۡحَقِّۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ
১৫১. হে রাসূল! আপনি মানুষদেরকে বলে দিন: এসো, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা যা হারাম করেছেন তা পড়ে শুনাচ্ছি। তিনি হারাম করেছেন তাঁর সাথে তাঁরই সৃষ্টির কাউকে শরীক বানাতে, মাতা-পিতার অবাধ্য হতে। বরং তাদের প্রতি সদাচরণ করতে হবে। আর হারাম করেছেন দরিদ্রতার কারণে নিজেদের সন্তানগুলোকে হত্যা করতে, যেমনিভাবে জাহিলী যুগের লোকেরা করতো। বরং আমিই তোমাদেরকে ও তাদেরকে রিযিক দেবো। তেমনিভাবে তিনি হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীলতার নিকটবর্তী হতে, আল্লাহ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে অবৈধভাবে হত্যা করতে, যেমন: বিবাহের পর ব্যভিচার করা এবং ইসলামের পর মুরতাদ হয়ে যাওয়া। আল্লাহ তা‘আলা উল্লিখিত বিষয়গুলোর আদেশ দিয়েছেন যেন তোমরা তাঁর আদেশ-নিষেধগুলো সহজেই বুঝতে পারো।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• الحذر من الجرائم الموصلة لبأس الله؛ لأنه لا يُرَدُّ بأسه عن القوم المجرمين إذا أراده.
ক. যে অপরাধগুলোর জন্য আল্লাহর শাস্তি অবধারিত সেগুলো থেকে সতর্ক থাকা। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা অপরাধী সম্প্রদায়কে শাস্তি দিতে চাইলে তা কখনোই প্রতিরোধ করা যায় না।

• الاحتجاج بالقضاء والقدر بعد أن أعطى الله تعالى كل مخلوق قُدْرة وإرادة يتمكَّن بهما من فعل ما كُلِّف به؛ ظُلْمٌ مَحْض وعناد صرف.
খ. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রত্যেক সৃষ্টিকে নিজস্ব শক্তি ও ইচ্ছা দিয়েছেন। যার মাধ্যমে সে তার উপর অর্পিত কাজগুলো করতে পারবে। তা দেয়ার পর সে ব্যাপারে তাকদীর ও ভাগ্যমূলক প্রমাণ গ্রহণ করা একান্ত যুলুম ও নিছক হঠকারিতা।

• دَلَّتِ الآيات على أنه بحسب عقل العبد يكون قيامه بما أمر الله به.
গ. উক্ত আয়াতগুলো এ কথা প্রমাণ করে যে, বস্তুতঃ বান্দার বিবেক অনুসারেই সে আল্লাহর আদেশগুলো পালন করে থাকে।

• النهي عن قربان الفواحش أبلغ من النهي عن مجرد فعلها، فإنه يتناول النهي عن مقدماتها ووسائلها الموصلة إليها.
ঘ. অশ্লীলতার নিকটবর্তী হতে নিষেধ করা নিছক তা করতে নিষেধ করার চাইতেও বেশি পাÐিত্বপূর্ণ। কারণ, এটি তার প্রারম্ভিক কর্মসমূহ এবং তা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয় এমন বস্তুগুলোকেও শামিল করে।

وَلَا تَقۡرَبُواْ مَالَ ٱلۡيَتِيمِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ أَشُدَّهُۥۚ وَأَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ وَٱلۡمِيزَانَ بِٱلۡقِسۡطِۖ لَا نُكَلِّفُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۖ وَإِذَا قُلۡتُمۡ فَٱعۡدِلُواْ وَلَوۡ كَانَ ذَا قُرۡبَىٰۖ وَبِعَهۡدِ ٱللَّهِ أَوۡفُواْۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ
১৫২. তিনি এতীমের সম্পদের নিকটবর্তী হওয়াকে হারাম করেছেন। (এতীম হলো যে সাবালক হওয়ার পূর্বে নিজ পিতাকে হারিয়েছে) তবে এতে করে যদি সম্পদের সুরক্ষা ও প্রবৃদ্ধি হয় তাহলে কোন অসুবিধে নেই। যতক্ষণ না এ এতীম সাবালক হয় এবং তার মাঝে বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ পায়। এমনিভাবে তিনি তোমাদের উপর ওজনে কম দেয়াকেও হারাম করেছেন ওজন ও টুকরির মাপে কম দেয়া। বরং তিনি কেনা-বেচায় ইনসাফপূর্ণ লেনদেন করা তোমাদের উপর বাধ্যতামূলক করেছেন। বস্তুতঃ আমি সাধ্যের বাইরে কারো উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেই না। তাই যদি ওজনে এমন কোন ধরনের বেশ-কম হয় যা থেকে বেঁচে থাকা কোনভাবেই সম্ভবপর নয় তাহলে তাতে কোন ধর-পাকড় নেই। তিনি তোমাদের উপর আরো হারাম করেছেন সংবাদ কিংবা সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের প্রতি দুর্বলতা দেখিয়ে সত্যের বিপরীত কথা বলা। তাছাড়া আল্লাহর সাথে কিংবা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করে সে অঙ্গীকার ভঙ্গ করাও হারাম। বরং তিনি তা পুরা করা তোমাদের উপর বাধ্যতামূলক করেছেন। উল্লিখিত এ সকল বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে কঠিনভাবে আদেশ করছেন যাতে তোমরা নিজেদের কর্মের পরিণতির কথা স্মরণ রাখো।
عربی تفاسیر:
وَأَنَّ هَٰذَا صِرَٰطِي مُسۡتَقِيمٗا فَٱتَّبِعُوهُۖ وَلَا تَتَّبِعُواْ ٱلسُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمۡ عَن سَبِيلِهِۦۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ
১৫৩. তিনি তোমাদের উপর ভ্রষ্টতার যে কোন মত ও পন্থার অনুসরণ করাও হারাম করেছেন। বরং তিনি সঠিক পথের অনুসরণ করা তোমাদের উপর বাধ্যতামূলক করেছেন। যাতে কোন ধরনের বক্রতা নেই। বস্তুতঃ ভ্রষ্টতার পথগুলো তোমাদেরকে পরস্পর মতপার্থক্যের দিকে পৌঁছিয়ে দিবে ও সত্য পথ থেকে দূরে সরিয়ে দিবে। আল্লাহ তা‘আলা সত্য ও সঠিক পথের অনুসরণ করতেই তোমাদেরকে আদেশ করেছেন। যাতে তোমরা তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করতে পারো।
عربی تفاسیر:
ثُمَّ ءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡكِتَٰبَ تَمَامًا عَلَى ٱلَّذِيٓ أَحۡسَنَ وَتَفۡصِيلٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ لَّعَلَّهُم بِلِقَآءِ رَبِّهِمۡ يُؤۡمِنُونَ
১৫৪. পূর্বোল্লিখিত সংবাদের পর আমি আরো সংবাদ দিচ্ছি যে, আমি মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে তাঁর সুন্দর আমলের প্রতিদান ও নিয়ামতের পরিপূর্ণতা স্বরূপ তাওরাত দিয়েছি। যাতে ধর্ম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের সুস্পষ্ট বর্ণনা এবং সত্যের দিশা ও রহমত রয়েছে। যাতে তারা কিয়ামতের দিন নিজেদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতে বিশ্বাস করে নেক আমলের মাধ্যমে সে দিনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।
عربی تفاسیر:
وَهَٰذَا كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ مُبَارَكٞ فَٱتَّبِعُوهُ وَٱتَّقُواْ لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُونَ
১৫৫. এ কুর‘আন এমন একটি কিতাব যাকে আমি অতি বরকতময় করে নাযিল করেছি। কারণ, তাতে দীন ও দুনিয়ার সমূহ ফায়েদা রয়েছে। তাই তোমরা তাতে যা নাযিল করা হয়েছে তার অনুসরণ করো এবং তার বিরোধিতার ব্যাপারে সতর্ক থাকো তাহলে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে।
عربی تفاسیر:
أَن تَقُولُوٓاْ إِنَّمَآ أُنزِلَ ٱلۡكِتَٰبُ عَلَىٰ طَآئِفَتَيۡنِ مِن قَبۡلِنَا وَإِن كُنَّا عَن دِرَاسَتِهِمۡ لَغَٰفِلِينَ
১৫৬. হে আরবের মুশরিকরা! যাতে তোমরা কিছুতেই না বলতে পারো যে, ইতিপূর্বে আল্লাহ তা‘আলা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের উপর তাওরাত ও ইঞ্জিল নাযিল করেছেন। আর তিনি আমাদের উপর কোন কিতাবই নাযিল করেননি। অথচ আমরা তাদের কিতাবগুলো কিছুতেই পাঠ করতে সক্ষম নই। কারণ, সেগুলো তাদের ভাষায় নাযিলকৃত; আমাদের ভাষায় নয়।
عربی تفاسیر:
أَوۡ تَقُولُواْ لَوۡ أَنَّآ أُنزِلَ عَلَيۡنَا ٱلۡكِتَٰبُ لَكُنَّآ أَهۡدَىٰ مِنۡهُمۡۚ فَقَدۡ جَآءَكُم بَيِّنَةٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٞۚ فَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّن كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَصَدَفَ عَنۡهَاۗ سَنَجۡزِي ٱلَّذِينَ يَصۡدِفُونَ عَنۡ ءَايَٰتِنَا سُوٓءَ ٱلۡعَذَابِ بِمَا كَانُواْ يَصۡدِفُونَ
১৫৭. যাতে তোমরা এ কথাও বলতে না পারো যে, যদি আল্লাহ তা‘আলা আমাদের উপর কিতাব নাযিল করতেন যেমনিভাবে তিনি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের উপর নাযিল করেছেন তাহলে আমরা সবচেয়ে বেশি সঠিক পথে থাকতে পারতাম। এখন তো তোমাদের নিকট কিতাব এসে গেছে। যা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ভাষায় তোমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপরই নাযিল করেছেন। যা মূলতঃ সুস্পষ্ট প্রমাণ, সত্যের দিশারী এবং উম্মতের জন্য রহমত স্বরূপ। তাই তোমরা এর বিপক্ষে কোন দুর্বল ওযর-আপত্তি ও বাতিল যুক্তি দাঁড় করাতে যেও না। সেই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে যে আল্লাহর আয়াতগুলোকে মিথ্যা মনে করে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমি অচিরেই ওদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করিয়ে কঠিন শাস্তি দেবো যারা আমার আয়াতগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ শাস্তি মূলতঃ আল্লাহর আয়াতগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ও সেগুলোর প্রতি ভ্রƒক্ষেপ না করার প্রতিদান স্বরূপ।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• لا يجوز التصرف في مال اليتيم إلّا في حدود مصلحته، ولا يُسلَّم ماله إلّا بعد بلوغه الرُّشْد.
ক. সম্পদের সুরক্ষা বা প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্য ছাড়া একজন এতীমের সম্পদ ব্যবহার করা জায়িয নয়। তবে এতীমের সাবালক ও বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল তাকে তার সম্পদ বুঝিয়ে দেয়া উচিৎ।

• سبل الضلال كثيرة، وسبيل الله وحده هو المؤدي إلى النجاة من العذاب.
খ. ভ্রষ্টতার পথ অনেক বেশি। আর আল্লাহর পথ শুধুমাত্র একটি। এ পথই কেবল কাউকে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারে।

• اتباع هذا الكتاب علمًا وعملًا من أعظم أسباب نيل رحمة الله.
গ. জ্ঞান ও আমলগতভাবে এ কিতাবের অনুসরণ করা আল্লাহর রহমত পাওয়ার একটি বিশেষ কারণ।

هَلۡ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن تَأۡتِيَهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ أَوۡ يَأۡتِيَ رَبُّكَ أَوۡ يَأۡتِيَ بَعۡضُ ءَايَٰتِ رَبِّكَۗ يَوۡمَ يَأۡتِي بَعۡضُ ءَايَٰتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفۡسًا إِيمَٰنُهَا لَمۡ تَكُنۡ ءَامَنَتۡ مِن قَبۡلُ أَوۡ كَسَبَتۡ فِيٓ إِيمَٰنِهَا خَيۡرٗاۗ قُلِ ٱنتَظِرُوٓاْ إِنَّا مُنتَظِرُونَ
১৫৮. হে রাসূল! যারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তারা কেবল মৃত্যুর ফিরিশতা ও তাঁর সহযোগীরা এসে দুনিয়াতে তাদের রূহগুলো কবয করে নেক অথবা পরকালে বিচারের দিন আপনার প্রভু তাদের মাঝে চ‚ড়ান্ত ফায়সালার জন্য এসে যাক কিংবা কিয়ামতের আলামত স্বরূপ আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন দ্রæত এসে যাক এমন কিছুরই অপেক্ষা করে মাত্র। বস্তুতঃ আপনার প্রভুর কোন নিদর্শন যদি এসে যায় যেমন: সূর্যাস্তের দিক থেকে সূর্য উঠা তখন কোন কাফিরের ঈমান তার উপকারে আসবে না। না কোন মু’মিনের আমল তার উপকারে আসবে। যে ইতিপূর্বে কোন কল্যাণকর কাজ করেনি। হে রাসূল! আপনি এ মিথ্যা প্রতিপন্নকারী মুশরিকদেরকে বলে দিন, তোমরা উক্ত বিষয়গুলোর কোন একটির অপেক্ষা করো; আর আমরাও আমাদের পরিণামের অপেক্ষা করছি।
عربی تفاسیر:
إِنَّ ٱلَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمۡ وَكَانُواْ شِيَعٗا لَّسۡتَ مِنۡهُمۡ فِي شَيۡءٍۚ إِنَّمَآ أَمۡرُهُمۡ إِلَى ٱللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ
১৫৯. হে রাসূল! যারা (ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) নিজেদের ধর্মকে ভাগ ভাগ করে ফেলেছে তথা তারা ধর্মের কিছু অংশ নিয়েছে আর কিছু অংশ বাদ দিয়েছে উপরন্তু তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ভ্রষ্টতা থেকে আপনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। আপনার দায়িত্ব শুধু তাদেরকে জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করা। কারণ, তাদের সমূহ ব্যাপার আল্লাহর উপরই ন্যস্ত। তিনিই কিয়ামতের দিন তাদেরকে তাদের দুনিয়ার কর্মকাÐ সম্পর্কে সংবাদ দিয়ে তার প্রতিদান দিবেন।
عربی تفاسیر:
مَن جَآءَ بِٱلۡحَسَنَةِ فَلَهُۥ عَشۡرُ أَمۡثَالِهَاۖ وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَلَا يُجۡزَىٰٓ إِلَّا مِثۡلَهَا وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ
১৬০. কিয়ামতের দিন যে মু’মিন কোন নেকী নিয়ে উপস্থিত হবে আল্লাহ তা‘আলা তা দশ গুণ বাড়িয়ে দিবেন। আর যে কোন গুনাহ নিয়ে আসবে তাকে তার সমপরিমাণ ভারী কিংবা হাল্কা শাস্তি দেয়া হবে। তা থেকে তার শাস্তি সামান্যও বাড়ানো হবে না। বস্তুতঃ কিয়ামতের দিন তাদের নেকীর সাওয়াব কমিয়ে অথবা গুনাহের শাস্তি বাড়িয়ে তাদের উপর কোন ধরনের যুলুম করা হবে না।
عربی تفاسیر:
قُلۡ إِنَّنِي هَدَىٰنِي رَبِّيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ دِينٗا قِيَمٗا مِّلَّةَ إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۚ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ
১৬১. হে রাসূল! আপনি মিথ্যারোপকারী এ মুশরিকদেরকে বলুন: নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। সেটি হলো ধর্মের এমন পথ যাতে দুনিয়া ও আখিরাতের সমূহ সুবিধা বিদ্যমান। আর সেটিই হলো ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) এর সত্যপন্থী ধর্ম। যা কখনো মুশরিকদের নিকট থাকতে পারে না।
عربی تفاسیر:
قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
১৬২. হে রাসূল! আপনি বলুন: আমার সালাত ও কুরবানী আল্লাহর জন্য ও তাঁরই নামে। আর কারো নামে নয়। তেমনিভাবে আমার জীবন ও মৃত্যু সবই সমূহ সৃষ্টির একক প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাতে অন্য কারো কোন অংশ নেই।
عربی تفاسیر:
لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ
১৬৩. তিনি একক সত্তা, তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি ভিন্ন সত্য কোন মা’বূদও নেই। আল্লাহ তা‘আলা শিরিকমুক্ত এ খাঁটি তাওহীদের আদেশই আমাকে করেছেন। বস্তুতঃ এ উম্মতের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম তাঁর সামনে আত্মসমর্পণকারী।
عربی تفاسیر:
قُلۡ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡغِي رَبّٗا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيۡءٖۚ وَلَا تَكۡسِبُ كُلُّ نَفۡسٍ إِلَّا عَلَيۡهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٞ وِزۡرَ أُخۡرَىٰۚ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُم مَّرۡجِعُكُمۡ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ فِيهِ تَخۡتَلِفُونَ
১৬৪. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলুন: আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন প্রতিপালক খুঁজতে যাবো? অথচ তিনিই সকল বস্তুর প্রতিপালক! তিনি সে সকল মা’বূদেরও প্রতিপালক আল্লাহ ছাড়া তোমরা যেগুলোর পূজা করো। বস্তুতঃ কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অন্যের গুনাহ চাপিয়ে দেয়া হবে না। অতঃপর কিয়ামতের দিন তোমাদের একমাত্র প্রতিপালকের দিকেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে দুনিয়াতে তোমরা ধর্ম নিয়ে যে মতবিরোধ করেছিলে তার সঠিক মীমাংসা করে দিবেন।
عربی تفاسیر:
وَهُوَ ٱلَّذِي جَعَلَكُمۡ خَلَٰٓئِفَ ٱلۡأَرۡضِ وَرَفَعَ بَعۡضَكُمۡ فَوۡقَ بَعۡضٖ دَرَجَٰتٖ لِّيَبۡلُوَكُمۡ فِي مَآ ءَاتَىٰكُمۡۗ إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ ٱلۡعِقَابِ وَإِنَّهُۥ لَغَفُورٞ رَّحِيمُۢ
১৬৫. আল্লাহ তা‘আলা এ জমিনকে আবাদ করার জন্য তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতিনিধি বানিয়েছেন এবং তিনিই সৃষ্টি ও রিযিক ইত্যাদির ক্ষেত্রে তোমাদের কিছু সংখ্যককে অন্যের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। যাতে তিনি তোমাদেরকে এগুলো থেকে যা দিয়েছেন সে ব্যাপারে পরীক্ষা করতে পারেন। হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক দ্রæত শাস্তিদাতা। কারণ, যা কিছু আসবে তা সত্যিই অতি নিকটে। আর তিনিই তাঁর তাওবাকারী বান্দার প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
عربی تفاسیر:
حالیہ صفحہ میں آیات کے فوائد:
• أن الدين يأمر بالاجتماع والائتلاف، وينهى عن التفرق والاختلاف.
ক. মূলতঃ ধর্ম মানুষকে একত্রিত হয়ে মিলেমিশে থাকতে আদেশ করে এবং দলাদলি ও পরস্পর বিরোধ করতে নিষেধ করে।

• من تمام عدله تعالى وإحسانه أنه يجازي بالسيئة مثلها، وبالحسنة عشرة أمثالها، وهذا أقل ما يكون من التضعيف.
খ. আল্লাহর পরিপূর্ণ ইনসাফ ও দয়ার একটি বিশেষ নিদর্শন হলো যে কোন গুনাহের প্রতিদান তার সমপরিমাণ এবং যে কোন নেকীর প্রতিদান তার দশ গুণ দেয়া। এটি বৃদ্ধি করার সর্বনি¤œ পরিমাণ।

• الدين الحق القَيِّم يتطَلب تسخير كل أعمال العبد واهتماماته لله عز وجل، فله وحده يتوجه العبد بصلاته وعبادته ومناسكه وذبائحه وجميع قرباته وأعماله في حياته وما أوصى به بعد وفاته.
গ. সত্য ও সঠিক ধর্মের চাহিদা হলো বান্দাহর সকল কাজ ও চিন্তা-চেতনাকে আল্লাহর অধীন করা। তাই একজন বান্দাকে তার সালাত, ইবাদাত, হজ্জ ও উমরাহর কার্যাদি, যবেহ ও তার জীবদ্দশার সকল আমল ও সাওয়াবের কাজ এবং তার মৃত্যু পরবর্তী ওসিয়ত তথা সকল ব্যাপারে একমাত্র তাঁরই অভিমুখী হতে হবে।

 
معانی کا ترجمہ سورت: سورۂ انعام
سورتوں کی لسٹ صفحہ نمبر
 
قرآن کریم کے معانی کا ترجمہ - المختصر فی تفسیر القرآن الکریم کا بنگالی ترجمہ۔ - ترجمے کی لسٹ

المختصر فی تفسیر القرآن الکریم کا بنگالی ترجمہ مرکز تفسیر للدراسات القرآنیہ کی جانب سے جاری۔

بند کریں