অৰ্থানুবাদ ছুৰা আচ-চা-ফফা-ত - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 447 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 25

مَا لَكُمۡ لَا تَنَاصَرُونَ

২৫. তিনি তাদেরকে ধমকের স্বরে বলবেন: তোমাদের কী হল, একজন অপরজনের কোন সাহয্য করছ না যে, যেমন দুনিয়াতে তোমরা একে অপরের সাহয্য করতে। আরো ভাবতে যে, তোমাদের দেবতারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে?!

আয়াত: 26

بَلۡ هُمُ ٱلۡيَوۡمَ مُسۡتَسۡلِمُونَ

২৬. বরং তারা আজ আল্লাহর নির্দেশে অপমানিত অবস্থায় পরিচালিত। অপারগতা ও অনটনের ফলে আজ কেউ কারো সাহায্য করতে সমর্থ নয়।

আয়াত: 27

وَأَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ يَتَسَآءَلُونَ

২৭. আর একজন অপরজনের প্রতি দোষারোপ ও ঝগড়া নিয়ে অগ্রসর হবে। যখন দোষারোপ আর ঝগড়া কোন উপকারে আসবে না।

আয়াত: 28

قَالُوٓاْ إِنَّكُمۡ كُنتُمۡ تَأۡتُونَنَا عَنِ ٱلۡيَمِينِ

২৮. অনুসারীরা অনুসৃতদেরকে বলবে: হে বড়রা! তোমরা আমাদের নিকট দ্বীন ও হকের দোহাই দিয়ে আসতে। অতঃপর আমাদের সামনে আল্লাহর সাথে কুফরি, শিরক ও পাপাচারকে সুন্দরময় করে তুলতে। আর আমাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলগণ কর্তৃক আনিত সত্য থেকে ঘৃণাভরে দূরে সরিয়ে রাখতে।

আয়াত: 29

قَالُواْ بَل لَّمۡ تَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ

২৯. অনুসৃতরা অনুসারীদেরকে বলবে: বিষয়টি তোমাদের ধারণা অনুযায়ী নয়। বরং তোমরা মু’মিন ছিলে না। তোমরা মূলতঃ কাফির ও বেঈমান ছিলে।

আয়াত: 30

وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيۡكُم مِّن سُلۡطَٰنِۭۖ بَلۡ كُنتُمۡ قَوۡمٗا طَٰغِينَ

৩০. হে অনুসারীরা! তোমাদের উপর আমাদের এমন কোন দাপট কিংবা প্রতাপ ও প্রতিপত্তি ছিল না যে, তা খাটিয়ে আমরা তোমাদেরকে কুফরী, শিরক আর পাপাচারে বাধ্য করতাম। বরং তোমরা ছিলে কুফরি ও পথভ্রষ্টতায় সীমালঙ্ঘনকারী।

আয়াত: 31

فَحَقَّ عَلَيۡنَا قَوۡلُ رَبِّنَآۖ إِنَّا لَذَآئِقُونَ

৩১. ফলে আমাদের ও তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি অবধারিত হয়েছে। যা কোরআনে এভাবে পরিবেশিত হয়েছে। যার অর্থ: “আমি অবশ্যই তোকে ও তোর অনুসারীদেরকে দিয়ে জাহান্নাম পরিপূর্ণ করবো”। (সাদ: ৮৫) অতএব আমরা আল্লাহর অঙ্গীকার অনুযায়ী শাস্তি পোহাতে বাধ্য।

আয়াত: 32

فَأَغۡوَيۡنَٰكُمۡ إِنَّا كُنَّا غَٰوِينَ

৩২. আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্টতা ও কুফরির প্রতি আহŸান করেছি মাত্র। মূলতঃ আমরা হেদায়তের পথ থেকে ভ্রষ্ট ছিলাম।

আয়াত: 33

فَإِنَّهُمۡ يَوۡمَئِذٖ فِي ٱلۡعَذَابِ مُشۡتَرِكُونَ

৩৩. কেননা, অনুসারী ও অনুসৃতরা কিয়ামত দিবসে শাস্তিতে শরীক থাকবে।

আয়াত: 34

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَفۡعَلُ بِٱلۡمُجۡرِمِينَ

৩৪. আমি এদেরকে যেরূপ শাস্তি দিয়েছি এমনিভাবে অন্যান্য পাপীদেরকেও শাস্তি প্রদান করবো।

আয়াত: 35

إِنَّهُمۡ كَانُوٓاْ إِذَا قِيلَ لَهُمۡ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ يَسۡتَكۡبِرُونَ

৩৫. এসব মুশরিকদেরকে দুনিয়াতে যখন বলা হত “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর দাবি অনুযায়ী আমল করতে ও তার বিপরীত কাজ থেকে বিরত থাকতে তখন তারা সত্য থেকে অহঙ্কার ও দূরে অবস্থান নিতে গিয়ে তা অমান্য ও অগ্রাহ্য করত।

আয়াত: 36

وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوٓاْ ءَالِهَتِنَا لِشَاعِرٖ مَّجۡنُونِۭ

৩৬. তারা তাদের কুফরির উপর প্রমাণ পেশ করতে গিয়ে বলে: আমরা কি একজন পাগল কবির কথা মানতে গিয়ে আমাদের দেবতাদের ইবাদাত ছেড়ে দিব?! তারা তাদের উক্ত কথা দ্বারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে উদ্দেশ্য করছে।

আয়াত: 37

بَلۡ جَآءَ بِٱلۡحَقِّ وَصَدَّقَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

৩৭. তারা মহা মিথ্যা অপবাদ রটিয়েছে। কেননা, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) না পাগল ছিলেন। আর না কবি ছিলেন। বরং তিনি এমন কিতাব নিয়ে এসেছেন যা আল্লাহর একত্ববাদ ও তদীয় রাসূলের অনুসরণের প্রতি আহŸান জানায়। আর তিনি রাসূলদেরকে তাঁরা যে একত্ববাদ ও পুনরুত্থানকে সাব্যস্ত করার দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন তার সত্যায়ন করছেন। এসবের কোন কিছুতে তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ করেননি।

আয়াত: 38

إِنَّكُمۡ لَذَآئِقُواْ ٱلۡعَذَابِ ٱلۡأَلِيمِ

৩৮. হে মুশরিকরা! তোমরা অবশ্যই তোমাদের কুফরি ও রাসূলদেরকে মিথ্যারোপ করার কারণে কিয়ামত দিবসে কষ্টদায়ক শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করবে।

আয়াত: 39

وَمَا تُجۡزَوۡنَ إِلَّا مَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ

৩৯. হে মুশরিকরা! তোমাদেরকে কেবল দুনিয়ার জীবনে কৃত কুফরি ও পাপাচারের প্রতিদান দেয়া হবে।

আয়াত: 40

إِلَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلۡمُخۡلَصِينَ

৪০. কিন্তু আল্লাহ যে সব মুমিন বান্দাকে তাঁর এবাদতের জন্য খাঁটিভাবে বাছাই করেছেন এবং তারা তাঁর ইবাদাতকে খাঁটি করেছে তারা তাথেকে রেহাই পাবে।

আয়াত: 41

أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ رِزۡقٞ مَّعۡلُومٞ

৪১. এসব খাঁটি বান্দার উদ্দেশ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রিযিকের ব্যবস্থা রয়েছে। যা উত্তম, সুন্দর ও স্থায়িত্বে সুপরিচিত।

আয়াত: 42

فَوَٰكِهُ وَهُم مُّكۡرَمُونَ

৪২. এসব রিযিকের মধ্যে রয়েছে তাদেরকে উত্তম প্রকৃতির যে সব ফলমূল তারা ভক্ষণ করতে চায় ও আগ্রহ রাখে তা তারেকে প্রদান করা হবে। তারা তদুপরি সম্মানিত হবে বহু মাত্রায় তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও তাদের সম্মানী প্রতিপালকের চেহারার দর্শন লাভের মাধ্যমে।

আয়াত: 43

فِي جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ

৪৩. এসব কিছু তারা লাভ করবে ভোগসামগ্রী দ্বারা ভরপুর স্থায়ী জান্নাতসমূহে। যার ফল্গুধারা কখনো বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়।

আয়াত: 44

عَلَىٰ سُرُرٖ مُّتَقَٰبِلِينَ

৪৪. তারা সামনা-সামনি পালঙ্কে হেলান দিয়ে আসন পেতে বসে পরস্পরের দিকে তাকাতে থাকবে।

আয়াত: 45

يُطَافُ عَلَيۡهِم بِكَأۡسٖ مِّن مَّعِينِۭ

৪৫. তাদের সামনে মদের পেয়ালা পরিবেশন করা হবে যা প্রবাহিত পানির ন্যায় স্বচ্ছ।

আয়াত: 46

بَيۡضَآءَ لَذَّةٖ لِّلشَّٰرِبِينَ

৪৬. তা শুভ্র বর্ণের। তা পানে পানকারী পূর্ণ স্বাদ আস্বাদন করবে।

আয়াত: 47

لَا فِيهَا غَوۡلٞ وَلَا هُمۡ عَنۡهَا يُنزَفُونَ

৪৭. এটি দুনিয়ার মদের মত নয়। কেননা, তাতে নেশার দরুন বিবেক হরণকারী কোন উপাদান থাকবে না। আর না গ্রহণকারীকে মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত করবে। তা পানকারীর শরীর ও বিবেক নিরাপদে থাকবে।

আয়াত: 48

وَعِندَهُمۡ قَٰصِرَٰتُ ٱلطَّرۡفِ عِينٞ

৪৮. তাদের উদ্দেশ্যে জান্নাতে থাকবে সতী-সাধ্বী নারীরা। যাদের দৃষ্টি তাদের স্বামী ব্যতীত অন্য পুরুষের দিকে প্রসারিত হয় না। তারা পদ্মপলাশলোচন চোখের অধিকারিনী।

আয়াত: 49

كَأَنَّهُنَّ بَيۡضٞ مَّكۡنُونٞ

৪৯. তারা হলুদ মিশ্রিত শুভ্রতায় যেন উড্ডয়মান রক্ষিত ডিমের ন্যায়। যাকে কোন হাত স্পর্শ করেনি।

আয়াত: 50

فَأَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ يَتَسَآءَلُونَ

৫০. তখন জান্নাতীদের একজন অপরজনের প্রতি তাদের অতীত ও দুনিয়াতে সংঘটিত বিষয়ে প্রশ্ন নিয়ে অগ্রসর হবে।

আয়াত: 51

قَالَ قَآئِلٞ مِّنۡهُمۡ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٞ

৫১. তাদের মধ্য থেকে একজন মু’মিন বলে উঠবে, পুনরুত্থান অবিশ্বাসী আমার এক সাথী ছিল।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• سبب عذاب الكافرين: العمل المنكر؛ وهو الشرك والمعاصي.

ক. কাফিরদের শাস্তির কারণ হচ্ছে অপকর্ম তথা শিরক ও পাপাচার।

• من نعيم أهل الجنة أنهم نعموا باجتماع بعضهم مع بعض، ومقابلة بعضهم مع بعض، وهذا من كمال السرور.

খ. জান্নাতীদের উপভোগ্য একটি উপকরণ হবে তাদের পারস্পরিক সমবেত হওয়া ও একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ। যা হচ্ছে পূর্ণ আনন্দেরই অন্তর্ভুক্ত।