অৰ্থানুবাদ ছুৰা আচ-চা-ফফা-ত - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 451 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 127

فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمۡ لَمُحۡضَرُونَ

১২৭. তাঁর জাতি এর জবাবে তাঁকে মিথ্যারোপ করলো। ফলে তারা শাস্তিতে পতিত হলো।

আয়াত: 128

إِلَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلۡمُخۡلَصِينَ

১২৮. তবে তাঁর জাতির মধ্যে যারা ঈমানদার ও আল্লাহর উপাসনায় একনিষ্ঠ ছিলো তারা শাস্তিতে পতিত হওয়া থেকে দূরে ছিল।

আয়াত: 129

وَتَرَكۡنَا عَلَيۡهِ فِي ٱلۡأٓخِرِينَ

১২৯. আমি পরবর্তী জাতির নিকট তাঁর সুনাম ও সুখ্যাতি অবশিষ্ট রেখে দিলাম।

আয়াত: 130

سَلَٰمٌ عَلَىٰٓ إِلۡ يَاسِينَ

১৩০. এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আশির্বাদ ও প্রশংসা স্বরূপ।

আয়াত: 131

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلۡمُحۡسِنِينَ

১৩১. আমি যেভাবে ইলিয়াস (আলাইহিস-সালাম) কে প্রতিদান দিয়েছি ঠিক তেমনিভাবে আমি নিজ মু’মিন বান্দাদেরকে প্রতিদান দেবো।

আয়াত: 132

إِنَّهُۥ مِنۡ عِبَادِنَا ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

১৩২. অবশ্যই ইলিয়াস (আলাইহিস-সালাম) আমার সেসব প্রকৃত মুু’মিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত যারা স্বীয় প্রতিপালকের উপর ঈমানে সত্যপরায়ণ।

আয়াত: 133

وَإِنَّ لُوطٗا لَّمِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

১৩৩. অবশ্যই লুত্ব (আলাইহিস-সালাম) হলেন আল্লাহর সেসব প্রেরিত রাসূলদের অন্তর্র্ভুক্ত যাঁদেরকে তিনি স্বীয় সম্প্রদায়ের প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছেন।

আয়াত: 134

إِذۡ نَجَّيۡنَٰهُ وَأَهۡلَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ

১৩৪. তাই আপনি সে সময়ের কথা স্মরণ করুন যখন আমি তাঁর জাতিকে ধ্বংসকারী শাস্তি থেকে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রেহাই দিয়েছি।

আয়াত: 135

إِلَّا عَجُوزٗا فِي ٱلۡغَٰبِرِينَ

১৩৫. শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কারণ, সে তাঁর জাতির মত অবিশ্বাসী ছিলো। তাই তাঁর জাতির শাস্তি তাকেও পেয়েছিলো।

আয়াত: 136

ثُمَّ دَمَّرۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ

১৩৬. এরপর আমি তাঁর জাতির অবশিষ্ট মিথ্যারোপকারী এবং তাঁর কর্র্তৃক আনিত বিষয় প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি।

আয়াত: 137

وَإِنَّكُمۡ لَتَمُرُّونَ عَلَيۡهِم مُّصۡبِحِينَ

১৩৭. হে মক্কাবাসীরা! তোমরা সিরিয়ায় গমনের সময় সকাল বেলা তাদের আবাসের উপর দিয়ে অতিক্রম করে থাক।

আয়াত: 138

وَبِٱلَّيۡلِۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ

১৩৮. এমনিভাবে এসবের উপর দিয়ে রাত্রেও গমন করো। তোমরা কি অনুধাবন করো না এবং তাদের মিথ্যারোপ, কুফরি ও অশ্লীল কাজের ফলে তাদের উপর আপতিত পরিণতি থেকে উপদেশ গ্রহণ করো না?

আয়াত: 139

وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

১৩৯. আমার বান্দা ইউনুস (আলাইহিস-সালাম) অবশ্যই সেসব রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত যাঁদেরকে আল্লাহ তাঁদের জাতির নিকট সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছেন।

আয়াত: 140

إِذۡ أَبَقَ إِلَى ٱلۡفُلۡكِ ٱلۡمَشۡحُونِ

১৪০. প্রতিপালকের অনুমতি ছাড়াই নিজ জাতি থেকে পালিয়ে তিনি এমন এক জাহাজে আরোহণ করেছিলেন যেটি আরোহী ও আসবাবপ্রত্রে পূর্ণ ছিলো।

আয়াত: 141

فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ ٱلۡمُدۡحَضِينَ

১৪১. যখন পূর্ণ জাহাজটি ডুবার উপক্রম হলো তখন আরোহীদের আধিক্যের কারণে জাহাজটিকে ডুবার ভয় থেকে রক্ষার্থে কিছু সংখ্যক আরোহীকে পানিতে ফেলে দেয়ার জন্য তারা লটারীর ব্যবস্থা করলো। অতঃপর ইউনুস (আলাইহিস-সালাম) এর নাম তালিকায় এসে গেলে তারা তাঁকে সমুদ্রে ফেলে দিলো।

আয়াত: 142

فَٱلۡتَقَمَهُ ٱلۡحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٞ

১৪২. যখন তারা তাঁকে সমুদ্রে ফেলে দিলো তখন তাঁকে একটি মাছ গিলে ফেললো। বস্তুতঃ তিনি তখন নিন্দনীয় কাজটিই করেছিলেন। কেননা, তিনি স্বীয় প্রতিপালকের অনুমতি ব্যতিরেকে পালিয়ে সমুদ্রের পথে পা বাড়িয়েছেলেন।

আয়াত: 143

فَلَوۡلَآ أَنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلۡمُسَبِّحِينَ

১৪৩. যদি ইউনুস (আলাইহিস-সালাম) তৎপূর্বে স্বীয় প্রতিপালকের বেশী বেশী স্মরণকারী না হতেন। আর যদি তিনি মাছের পেটে থাকাবস্থায় তাসবীহ না পড়তেন তবে-

আয়াত: 144

لَلَبِثَ فِي بَطۡنِهِۦٓ إِلَىٰ يَوۡمِ يُبۡعَثُونَ

১৪৪. কিয়ামত পর্যন্ত মাছের পেটেই থেকে যেতেন তথা সেটি তাঁর কবরে পরিণত হয়ে যেতো।

আয়াত: 145

۞ فَنَبَذۡنَٰهُ بِٱلۡعَرَآءِ وَهُوَ سَقِيمٞ

১৪৫. আমি তাঁকে মাছের পেট থেকে গাছ-পালা ও ঘর-বাড়ী-বিহীন একটি অনাবাদি যমীনে ফেলার ব্যবস্থা করলাম। বস্তুতঃ তিনি তখন মাছের পেটে থাকার ফলে রুগ্ন ও শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন।

আয়াত: 146

وَأَنۢبَتۡنَا عَلَيۡهِ شَجَرَةٗ مِّن يَقۡطِينٖ

১৪৬. অমি তাঁর উপর উক্ত যমীনে লাউ গাছ জন্মালাম। যা থেকে তিনি ছায়া ও খাবার গ্রহণ করবেন।

আয়াত: 147

وَأَرۡسَلۡنَٰهُ إِلَىٰ مِاْئَةِ أَلۡفٍ أَوۡ يَزِيدُونَ

১৪৭. আর আমি তাঁকে তাঁর জাতির নিকট পাঠালাম। যাদের সংখ্যা ছিলো এক লক্ষ বা ততোধিক।

আয়াত: 148

فَـَٔامَنُواْ فَمَتَّعۡنَٰهُمۡ إِلَىٰ حِينٖ

১৪৮. তারা ঈমান আনয়ন করলো ও তাঁর আনিত বিষয়কে সত্যায়ন করলো। ফলে আল্লাহ তাদেরকে তাদের ইহকালীন জীবনের নির্ধারিত শেষ আয়ু পর্যন্ত উপভোগ করালেন।

আয়াত: 149

فَٱسۡتَفۡتِهِمۡ أَلِرَبِّكَ ٱلۡبَنَاتُ وَلَهُمُ ٱلۡبَنُونَ

১৪৯. হে মুহামম্মদ! আপনি মুশরিকদেরকে নেতিবাচক প্রশ্ন করতঃ তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমরা কি আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান দাবি করছো যা তোমরা নিজেদের জন্য অপছন্দ করো। আর নিজেদের জন্য ছেলে সন্তান দাবি করছো যা তোমরা নিজেদের জন্য পছন্দ করো?! এটি কোন্ ধরনের বন্টন নীতি?!

আয়াত: 150

أَمۡ خَلَقۡنَا ٱلۡمَلَٰٓئِكَةَ إِنَٰثٗا وَهُمۡ شَٰهِدُونَ

১৫০. তারা কীভাবে ধারণা করলো যে, ফিরিশতারা হলেন মহিলা। অথচ তারা তাঁদের সৃষ্টিকালে না উপস্থিত হয়েছে। আর না তারা তাতে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো।

আয়াত: 151

أَلَآ إِنَّهُم مِّنۡ إِفۡكِهِمۡ لَيَقُولُونَ

১৫১. জেনে রেখো, মুশরিকরা আল্লাহর উপর মিথ্যাচার ও মিথ্যা অপবাদে লিপ্ত রয়েছে।

আয়াত: 152

وَلَدَ ٱللَّهُ وَإِنَّهُمۡ لَكَٰذِبُونَ

১৫২. তারা তাঁর প্রতি সন্তানকে সম্বন্ধ করে থাকে। অথচ তারা তাদের এই দাবিতে মিথ্যাবাদী।

আয়াত: 153

أَصۡطَفَى ٱلۡبَنَاتِ عَلَى ٱلۡبَنِينَ

১৫৩. তবে কি আল্লাহ তাঁর জন্য তোমাদের নিকট পছন্দনীয় ছেলেদের পরিবর্তে ওই সব কন্যাদেরকে পছন্দ করলেন যাদেরকে তোমরা অপছন্দ করো?! কস্মিনকালেও তা হতে পারে না।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• سُنَّة الله التي لا تتبدل ولا تتغير: إنجاء المؤمنين وإهلاك الكافرين.

ক. আল্লাহর অপরিবর্তনীয় ও তাঁর চিরাচরিত নিয়ম হলো, মুনিদেরকে রক্ষা করা ও কাফিরদেরকে ধ্বংস করা।

• ضرورة العظة والاعتبار بمصير الذين كذبوا الرسل حتى لا يحل بهم ما حل بغيرهم.

খ. রাসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করা অপরিহার্য। যেন তাদের মতো পরিণাম অন্যদের না হয়।

• جواز القُرْعة شرعًا لقوله تعالى: ﴿ فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ اْلْمُدْحَضِينَ ﴾.

গ. লটারী মোটের উপর শরীয়তসম্মত। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন “তখন তিনি লটারীতে অংশ নিয়ে হেরে গেলেন”।