Traduction des sens Sourate Al Qamar - La traduction bengalaise du Résumé dans l'Exégèse du noble Coran - Numéro de la page 529 - Encyclopédie du Noble Coran

Verset: 7

خُشَّعًا أَبۡصَٰرُهُمۡ يَخۡرُجُونَ مِنَ ٱلۡأَجۡدَاثِ كَأَنَّهُمۡ جَرَادٞ مُّنتَشِرٞ

৭. তাদের চক্ষুগুলো অপদস্ত থাকবে। তারা কবর থেকে উঠে হিসেবের মাঠের দিকে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের ন্যায় অগ্রসর হবে।

Verset: 8

مُّهۡطِعِينَ إِلَى ٱلدَّاعِۖ يَقُولُ ٱلۡكَٰفِرُونَ هَٰذَا يَوۡمٌ عَسِرٞ

৮. অবস্থানের পানে আহŸানকারীর ডাকে ত্বরান্বিত হয়ে। তখন কাফিররা বলবে: এ দিনটি অতি কঠিন। কেননা, তাতে রয়েছে বিভীষিকা ও ভয়াবহতা।

Verset: 9

۞ كَذَّبَتۡ قَبۡلَهُمۡ قَوۡمُ نُوحٖ فَكَذَّبُواْ عَبۡدَنَا وَقَالُواْ مَجۡنُونٞ وَٱزۡدُجِرَ

৯. হে রাসূল! আপনার দাওয়াত অগ্রাহ্যকারী এ সব লোকের পূর্বে নূহ (আলাইহিমাস-সালাম) এর জাতি আমার বান্দা নূহ (আলাইহিমাস-সালাম) এর প্রতি মিথ্যারোপ করে যখন আমি তাঁকে তাদের প্রতি প্রেরণ করি। এমন কি তাদেরকে দাওয়াত প্রদান থেকে বিরত না হলে তারা তাঁর ব্যাপারে বলেছিলো যে, তিনি পাগল এবং তাঁকে গাল-মন্দ ও ধমক দিয়ে হুমকিও দিয়েছিলো।

Verset: 10

فَدَعَا رَبَّهُۥٓ أَنِّي مَغۡلُوبٞ فَٱنتَصِرۡ

১০. তখন নূহ (আলাইহিমাস-সালাম) স্বীয় রবকে আহŸান করে বললেন, আমার জাতি আমার উপর চড়াও হয়েছে এবং আমার দাওয়াত অগ্রাহ্য করেছে তাই আপনি তাদের উপর শাস্তি অবতীর্ণ করে আমাকে শক্তিশালী করুন।

Verset: 11

فَفَتَحۡنَآ أَبۡوَٰبَ ٱلسَّمَآءِ بِمَآءٖ مُّنۡهَمِرٖ

১১. তাই আমি আসমানের দ্বারসমূহ খুলে দিয়ে মুষলধারে বারি বর্ষণ করলাম।

Verset: 12

وَفَجَّرۡنَا ٱلۡأَرۡضَ عُيُونٗا فَٱلۡتَقَى ٱلۡمَآءُ عَلَىٰٓ أَمۡرٖ قَدۡ قُدِرَ

১২. আমি যমীনকে ফাটিয়ে চৌচির করলাম। ফলে তা ঝর্নায় রূপান্তরিত হলো। যা থেকে পানি প্রবাহিত হলো। অতঃপর আদিকালে নির্ধারিত আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী আসমান থেকে বর্ষিত পানি যমীনের পানির সাথে মিলিত হয়ে আল্লাহর হেফাজতকৃতরা ছাড়া সবাইকে ডুবিয়ে দেয়।

Verset: 13

وَحَمَلۡنَٰهُ عَلَىٰ ذَاتِ أَلۡوَٰحٖ وَدُسُرٖ

১৩. আর আমি নূহ (আলাইহিমাস-সালাম)কে ফলক ও পেরেক বিশিষ্ট কিশতিতে আরোহণ করিয়ে তাঁকে ও তাঁর সাথে আরোহণকারীদেরকে রেহাই দেই।

Verset: 14

تَجۡرِي بِأَعۡيُنِنَا جَزَآءٗ لِّمَن كَانَ كُفِرَ

১৪. উক্ত কিশতি আমার দৃষ্টি ও তত্ত¡াবধানে পানির উত্তাল তরঙ্গমালার উপর দিয়ে চলে। তা ছিলো নূহ (আলাইহিমাস-সালাম) এর প্রতি মিথ্যারোপকারী সম্প্রদায় এবং তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের নিকট যা নিয়ে এসেছিলেন তা অস্বীকারকারীদের উপর বিজয় প্রদানের নিমিত্তে।

Verset: 15

وَلَقَد تَّرَكۡنَٰهَآ ءَايَةٗ فَهَلۡ مِن مُّدَّكِرٖ

১৫. বস্তুতঃ আমি এই শাস্তিকে পরবর্তীদের মাঝে উপদেশ হিসাবে রেখে দিয়েছি। অতএব, এ থেকে উপদেশ গ্রহণকারী কি কেউ আছে?!

Verset: 16

فَكَيۡفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

১৬. মিথ্যারোপকারীদের জন্য আমার শাস্তি কেমন ছিল?! আর আমার শাস্তির মাধ্যমে আমার সতর্ক-সংকেতই বা কেমন ছিলো?!

Verset: 17

وَلَقَدۡ يَسَّرۡنَا ٱلۡقُرۡءَانَ لِلذِّكۡرِ فَهَلۡ مِن مُّدَّكِرٖ

১৭. আমি কুরআনকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করেছি। কেউ কি আছে তাতে নিহিত শিক্ষা ও উপদেশসমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে?!

Verset: 18

كَذَّبَتۡ عَادٞ فَكَيۡفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

১৮. আদ সম্প্রদায় তাদের নবী হূদ (আলাইহিস-সালাম)কে মিথ্যারোপ করেছে। ফলে হে মক্কাবাসী! তোমরা ভেবে দেখো তাদের জন্য আমার শাস্তি কেমন ছিলো?! উপরন্তু তাদের শাস্তির মাধ্যমে অন্যদের শিক্ষা কেমন ছিলো?!

Verset: 19

إِنَّآ أَرۡسَلۡنَا عَلَيۡهِمۡ رِيحٗا صَرۡصَرٗا فِي يَوۡمِ نَحۡسٖ مُّسۡتَمِرّٖ

১৯. আমি তাদের উপর এক কালো ও অশনির দিনে প্রচÐ শৈত্য হাওয়া প্রবাহিত করি। যা তাদের উপর জাহান্নামে পতিত হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

Verset: 20

تَنزِعُ ٱلنَّاسَ كَأَنَّهُمۡ أَعۡجَازُ نَخۡلٖ مُّنقَعِرٖ

২০. যা মানুষকে মাটি থেকে উঠিয়ে তাদেরকে নিজেদের মাথার উপর দিয়ে নিক্ষেপ করবে। ফলে সেগুলো যেন তলদেশ থেকে উপড়ানো খেজুর বৃক্ষের শেকড়ের ন্যায়।

Verset: 21

فَكَيۡفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

২১. তাই হে মক্কাবাসীরা! তোমরা চিন্তা করে দেখো তাদের জন্যে আমার শাস্তি কেমন ছিলো?! আর তাদের শাস্তির মাধ্যমে অন্যদের জন্য কেমন সতর্ক-সংকেত ছিলো?!

Verset: 22

وَلَقَدۡ يَسَّرۡنَا ٱلۡقُرۡءَانَ لِلذِّكۡرِ فَهَلۡ مِن مُّدَّكِرٖ

২২. আমি কুরআনকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করেছি। কেউ কি আছে তাতে নিহিত শিক্ষা ও উপদেশসমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে?!

Verset: 23

كَذَّبَتۡ ثَمُودُ بِٱلنُّذُرِ

২৩. সামূদ সম্প্রদায় তাদেরকে তাদের রাসূল সালেহ (আলাইহিস-সালাম) যে বিষয়ের প্রতি আহŸান করেছিলো সেটিকে মিথ্যারোপ করে।

Verset: 24

فَقَالُوٓاْ أَبَشَرٗا مِّنَّا وَٰحِدٗا نَّتَّبِعُهُۥٓ إِنَّآ إِذٗا لَّفِي ضَلَٰلٖ وَسُعُرٍ

২৪. তাই তারা অনিহা প্রকাশপূর্বক বলে: আমরা কি নিজেদের প্রকৃতির একজনকে অনুসরণ করবো?! এমনটি করলে তো আমরা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবো এবং চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাবো।

Verset: 25

أَءُلۡقِيَ ٱلذِّكۡرُ عَلَيۡهِ مِنۢ بَيۡنِنَا بَلۡ هُوَ كَذَّابٌ أَشِرٞ

২৫. আমাদেরকে বাদ দিয়ে কি একাই তার উপর ওহী অবতীর্ণ করা হয়েছে?! না, বরং সে অহঙ্কারী মিথ্যাবাদী।

Verset: 26

سَيَعۡلَمُونَ غَدٗا مَّنِ ٱلۡكَذَّابُ ٱلۡأَشِرُ

২৬. বস্তুতঃ তারা অচিরেই কিয়ামত দিবসে জানবে যে, কে মহা মিথ্যাবাদী। সালেহ, না তারা?

Verset: 27

إِنَّا مُرۡسِلُواْ ٱلنَّاقَةِ فِتۡنَةٗ لَّهُمۡ فَٱرۡتَقِبۡهُمۡ وَٱصۡطَبِرۡ

২৭. আমি অবশ্যই তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য পাথর থেকে উষ্ট্রীকে বের করবো। তাই হে সালেহ! আপনি অপেক্ষায় থাকুন। আর তারা কী করে এবং তাদের সাথে কী আচরণ করা হয় দেখতে থাকুন। উপরন্তু তাদের দেয়া কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করুন।

Parmi les bénéfices ( méditations ) des versets de cette page:

• مشروعية الدعاء على الكافر المصرّ على كفره.

ক. কুফরীর উপর অবিচল কাফিরের উপর বদ দো‘আ করা বৈধ।

• إهلاك المكذبين وإنجاء المؤمنين سُنَّة إلهية.

খ. মিথ্যারোপকারীদেরকে ধ্বংস করা ও ঈমানদারদেরকে উদ্ধার করা আল্লাহর অমিয় নিয়ম।

• تيسير القرآن للحفظ وللتذكر والاتعاظ.

গ. মুখস্থ করা, শিক্ষা ও উপদেশের জন্য কুরআনকে অতি সহজ করা হয়েছে।