クルアーンの対訳 - ベンガル語対訳 - Abu Bakr Zakaria * - 対訳の目次


対訳 節: (48) 章: 雌牛章
وَٱتَّقُواْ يَوۡمٗا لَّا تَجۡزِي نَفۡسٌ عَن نَّفۡسٖ شَيۡـٔٗا وَلَا يُقۡبَلُ مِنۡهَا شَفَٰعَةٞ وَلَا يُؤۡخَذُ مِنۡهَا عَدۡلٞ وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ
আর তোমরা সে দিনের তাকওয়া অবলম্বন করো যেদিন কেউ কার কোনো কাজে আসবে না [১]। আর কারও সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না [২] এবং কারো কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না। আর তারা সাহায্যও প্রাপ্ত হবে না [৩]।
[১] অর্থাৎ কেউ অপর কারও পক্ষ থেকে কোনো কিছু আদায় করবে না। [তাবারী] যেমন মহান আল্লাহ্‌ অন্য আয়াতে বলেছেন, “হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাক্‌ওয়া অবলম্বন কর এবং ভয় কর সে দিনকে, যখন কোনো পিতা তার সন্তানের পক্ষ থেকে কিছু আদায় করবে না, অনুরূপ কোনো সন্তান সেও তার পিতার পক্ষ থেকে আদায়কারী হবে না।" [সূরা লুকমান: ৩৩]

তাছাড়া হাদীসেও এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ্‌ ঐ বান্দাকে রহমত করুন, যার কাছে তার কোনো ভাইয়ের কোনো ইযযত আবরুর উপর হামলা জনিত যুলুম, অথবা তার সম্পদ ও সম্মানের উপর আঘাত ছিল, তারপর সে সেটা থেকে নিজেকে বিমুক্ত করতে পেরেছে, ঐ দিনের পূর্বেই যে দিন কোনো দীনার বা দিরহাম থাকবে না। বরং যদি তার কোনো নেকী থাকে তবে তা থেকে তা নিয়ে যাওয়া হবে। আর যদি নেকী না থাকে তবে তার উপর মাযমুমের পাপসমূহ চাপিয়ে দেয়া হবে।" [বুখারী ৬৫৩৪]

[২] আয়াত থেকে বাহ্যতঃ বোঝা যাচ্ছে যে, আখেরাতে শাফা’আত বা সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না। মূলতঃ ব্যাপারটি এরকম নয়। এ আয়াতের উদ্দেশ্য শুধু কাফির, মুশরিক, আহলে কিতাব ও মুনাফিকদের জন্য কোনো শাফা’আত বা সুপারিশ কাজে আসবে না। যেমন পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, “আর আল্লাহ্‌ যার উপর সন্তুষ্ট নয় তার জন্য তারা সুপারিশ করবে না।" [সূরা আল-আম্বিয়া: ২৮] আল্লাহ্‌ কাদের উপর সন্তুষ্ট নয় তা আল্লাহ্‌ নিজেই ঘোষণা করে বলেছেন, “আর আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের কুফরীতে সন্তুষ্ট নন।” [সূরা আয-যুমার:৭]

সুতরাং কাফিরদের জন্য কোনো সুপারিশ নয়। আর কাফিররাও হাশরের দিন স্বীকৃতি দিবে যে, তাদের জন্য কোনো সুপারিশকারী নেই, তারা বলবে “আমাদের তো কোনো সুপারিশকারী নেই।” [সূরা আশ-শু'আরা: ১০০] তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ নিজেও বলেছেন, “সুতরাং কোনো সুপারিশকারীর সুপারিশ তাদের কোনো উপকার দিবে না।” [সূরা আল-মুদ্দাসসির:৪৮]

এতে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, যারা কুফরী, শিরকি , নিফাকী অবস্থায় মারা যাবে তাদের জন্য কোনো শাফা’আত বা সুপারিশ নেই।

পক্ষান্তরে মুমিনদের জন্য শাফা’আত বা সুপারিশ অবশ্যই হবে যা কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা‘ দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু তাদের জন্য সুপারিশের ব্যাপারেও শর্ত হচ্ছে, তন্মধ্যে প্রথম শর্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে ঈমান অবশিষ্ট থাকতে হবে। মূলতঃ এ ঈমানের কারণেই শাফা’আত তথা সুপারিশের হকদার হয়েছে। যার সামান্যতম ঈমান আছে তার উপর আল্লাহ্‌র সামান্যতম সন্তুষ্টি অবশিষ্ট আছে। সুতরাং যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার জন্য আল্লাহ্‌র সামান্যতম সন্তুষ্টি হলেও থাকতে হবে। যদিও অন্য অপরাধের কারণে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে পারে নি। দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, শাফা’আত বা সুপারিশ করার জন্য আল্লাহ্‌র কাছ থেকে অনুমতি থাকতে হবে। আল্লাহ্‌ বলেন, “এমন কে আছে যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করে?” [সূরা আল-বাকারাহ:২৫৫]

তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, যিনি সুপারিশ করবেন তার উপরও আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি থাকতে হবে। আল্লাহ্‌ বলেন, “আর আসমানসমূহে বহু ফিরিশতা রয়েছে; তাদের সুপারিশ কিছুমাত্র ফলপ্রসূ হবে না, তবে আল্লাহ্‌র অনুমতির পর; যার জন্য তিনি ইচ্ছে করেন ও যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।" [সূরা আন-নাজম: ২৬]

অর্থাৎ যিনি সুপারিশ করবেন তার কথা-বার্তা ও সুপারিশ আল্লাহ্‌র মনঃপুত হতে হবে। মহান আল্লাহ্‌ বলেন, “দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন ও যার কথা তিনি পছন্দ করবেন সে ছাড়া কারো সুপারিশ সেদিন কোনো কাজে আসবে না।" [সূরা ত্বা-হা: ১০৯]

এ তিনটি শর্ত পাওয়া যাওয়া সাপেক্ষে নবী-রাসূলগণ, শহীদগণ ও নেককার মুমিনগণ শাফা'আত বা সুপারিশ করবেন যা বহু হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত।

[৩] আলোচ্য আয়াতে যেদিনের কথা বলা হয়েছে, সেটি হলো কেয়ামতের দিন। সাধারণতঃ মানুষের কোনো শাস্তির হুকুম হলে তা থেকে বাচার জন্য মানুষ নিম্নলিখিত চারটি উপায় অবলম্বন করে:
১) একজনের পরিবর্তে অন্যজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাস্তি ভোগ করে। আল্লাহ্ তাআলা এখানে "কেউ কারো পক্ষ থেকে আদায় করে না” বলে কেয়ামতের দিন এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।

২) অথবা, একজনের জন্য অপরজন সুপারিশ করে শাস্তি থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করে। আল্লাহ্ তা'আলা এ সম্ভাবনাও নাকচ করে বলেন, “কারো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।”

৩) অথবা, বিনিময় আদায়ের মাধ্যমে কেউ কেউ শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চায়। সে বিনিময় দু'ধরনের হতে পারে, ক) অন্যের কাছ থেকে কিছু সওয়াব লাভ করে তার বিনিময়ে মুক্তির ব্যবস্থা করা। খ) টাকা-পয়সা ইত্যাদির বিনিময়ে মুক্তির ব্যবস্থা করা। আল্লাহ্ তা'আলা “কারো কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না", এ কথা বলে এমন সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন।

৪) অথবা, শাস্তির হুকুমের বিপরীতে অপরাধীকে সাহায্যকারী দল থাকে, যারা তাকে তা না মানতে বা তার শাস্তি লাঘব করতে সাহায্য করে থাকে আল্লাহ্‌ তা'আলা “আর তারা কোনো প্রকার সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না” এ কথা দ্বারা এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এর কারণ হচ্ছে, তারা ঈমান আনেনি। কিন্তু যদি তাদের ঈমান থাকত তবে শর্তসাপেক্ষে এ চারটির কোনো কোনোটি কাজে আসত। মোটকথা, দুনিয়াতে সাহায্য করার যত পদ্ধতি আছে ঈমান ব্যতীত আখেরাতে সেগুলোর কোনোটাই কার্যকর হবে না।
アラビア語 クルアーン注釈:
 
対訳 節: (48) 章: 雌牛章
章名の目次 ページ番号
 
クルアーンの対訳 - ベンガル語対訳 - Abu Bakr Zakaria - 対訳の目次

クルアーン・ベンガル語対訳 - Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

閉じる