وه‌رگێڕانی ماناكانی قورئانی پیرۆز - وەرگێڕاوی بەنگالی بۆ پوختەی تەفسیری قورئانی پیرۆز * - پێڕستی وه‌رگێڕاوه‌كان


وه‌رگێڕانی ماناكان سوره‌تی: سورەتی النساء   ئایه‌تی:

সূরা আন-নিসা

لە مەبەستەکانی سورەتەکە:
تنظيم المجتمع المسلم وبناء علاقاته، وحفظ الحقوق، والحث على الجهاد، وإبطال دعوى قتل المسيح.
সামাজিক ও সম্পদবিষয়ক অধিকারসমূহ রক্ষা করার মাধ্যমে মুসলিম সমাজকে ভেতর থেকেই সুসংগঠিত করা। যাতে জাহিলী যুগের অসদাচরণগুলো দূর হয়ে যায়। আর মহিলা ও দুর্বলদের অধিকারগুলো বিশেষভাবে রক্ষা পায়।

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفۡسٖ وَٰحِدَةٖ وَخَلَقَ مِنۡهَا زَوۡجَهَا وَبَثَّ مِنۡهُمَا رِجَالٗا كَثِيرٗا وَنِسَآءٗۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا
১. হে মানবজাতি! তোমরা নিজেদের প্রভুকে ভয় করো। কারণ, তিনিই তো তোমাদেরকে এক আত্মা তথা তোমাদের পিতা আদম থেকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি তিনি আদম থেকে তার স্ত্রী তথা তোমাদের মা হাওয়াকেও সৃষ্টি করেছেন। উপরন্তু তিনি তাদের উভয় থেকে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে প্রচুর মানুষ তথা পুরুষ ও মহিলাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তোমরা সেই আল্লাহকে ভয় করো যাঁর মাধ্যমে তোমরা একে অপরের নিকট এভাবে চাও যে, আমি আল্লাহর দোহাই দিয়ে তোমার নিকট এ কামনা করছি যে, তুমি এমন এমন করবে। তেমনিভাবে তোমরা নিজেদের মধ্যকার আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের একান্ত পর্যবেক্ষক। তাই তোমাদের কোন আমলই তাঁর অলক্ষ্যে নেই। বরং তিনি তা সবই হিসাব করছেন। যার ভিত্তিতেই তিনি তোমাদেরকে প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَءَاتُواْ ٱلۡيَتَٰمَىٰٓ أَمۡوَٰلَهُمۡۖ وَلَا تَتَبَدَّلُواْ ٱلۡخَبِيثَ بِٱلطَّيِّبِۖ وَلَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَهُمۡ إِلَىٰٓ أَمۡوَٰلِكُمۡۚ إِنَّهُۥ كَانَ حُوبٗا كَبِيرٗا
২. হে ওসিয়তকারীরা! পিতৃহারা এতিমরা বালেগ ও বুদ্ধিমান হলে তোমরা তাদের সম্পদগুলো পুরোপুরিভাবে দিয়ে দাও। আর তোমরা হারামকে হালালের বিপরীতে গ্রহণ করো না। তোমরা এতিমদের উত্তম সম্পদগুলো গ্রহণ করে তাদেরকে এর বিপরীতে নি¤œ মানের খারাপ সম্পদগুলো দিবে না। আর তাদের সম্পদগুলো নিজেদের সম্পদের সাথে মিলিয়ে তা গ্রাস করবে না। কেননা, এটি আল্লাহর নিকট একটি মহাপাপ।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا تُقۡسِطُواْ فِي ٱلۡيَتَٰمَىٰ فَٱنكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ مَثۡنَىٰ وَثُلَٰثَ وَرُبَٰعَۖ فَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا تَعۡدِلُواْ فَوَٰحِدَةً أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَلَّا تَعُولُواْ
৩. তোমরা যদি নিজেদের অধীনস্থ এতীম মেয়েদেরকে বিবাহ করলে তাদের উপর যুলুম বা বেইনসাফির ভয় করো চাই তা তাদেরকে তাদের উপযুক্ত মোহরানা না দিয়ে হোক কিংবা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাহলে তোমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করে অন্যান্য পবিত্রা মেয়েদেরকে বিবাহ করো। চাইলে তোমরা এদের থেকে দু’টি, তিনটি কিংবা চারটি বিবাহ করতে পারো। বেইনসাফির ভয় হলে একটি বিবাহ করাই যথেষ্ট অথবা নিজেদের অধীনস্থ বাঁদীদের ব্যবহার করো। কারণ, তাদের সেই অধিকার নেই যা নিজ স্ত্রীদের জন্য রয়েছে। উক্ত আয়াতে এতীমদের সম্পর্কে, শুধু একটি বিবাহ করা অথবা বাঁদীদেরকে ব্যবহার করা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা যুলুম না করা ও সত্যভ্রষ্ট না হওয়ার নিকটবর্তী।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَءَاتُواْ ٱلنِّسَآءَ صَدُقَٰتِهِنَّ نِحۡلَةٗۚ فَإِن طِبۡنَ لَكُمۡ عَن شَيۡءٖ مِّنۡهُ نَفۡسٗا فَكُلُوهُ هَنِيٓـٔٗا مَّرِيٓـٔٗا
৪. আর তোমরা বাধ্যতামূলকভাবে মহিলাদেরকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে করবে। বিনা চাপে তারা তোমাদেরকে স্বেচ্ছায় মহরের কিয়দংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা বিনা দ্বিধায় আনন্দ চিত্তে খেতে পারো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَا تُؤۡتُواْ ٱلسُّفَهَآءَ أَمۡوَٰلَكُمُ ٱلَّتِي جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمۡ قِيَٰمٗا وَٱرۡزُقُوهُمۡ فِيهَا وَٱكۡسُوهُمۡ وَقُولُواْ لَهُمۡ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا
৫. হে অভিভাবকরা! সম্পদের সুন্দর ব্যবহার জানেনা এমন লোকদের হাতে সম্পদ উঠিয়ে দিয়ো না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পদগুলোকে জীবন ধারণ ও মানুষের বহুমুখী সুবিধাদির মাধ্যম বানিয়েছেন। আর এরা এ সম্পদগুলো নির্বাহ এবং সংরক্ষণের উপযুক্ত নয়। তবে তোমরা তা থেকে তাদের খাদ্য ও পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যবস্থা করো। আর তাদের সাথে সুন্দর কথা বলো। উপরন্তু তোমরা তাদের সাথে এ সুন্দর ওয়াদা করো যে, তারা বুঝমান ও সম্পদের সুন্দর ব্যবহার জানলে তাদের সম্পদ তাদেরকেই ফিরিয়ে দিবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَٱبۡتَلُواْ ٱلۡيَتَٰمَىٰ حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغُواْ ٱلنِّكَاحَ فَإِنۡ ءَانَسۡتُم مِّنۡهُمۡ رُشۡدٗا فَٱدۡفَعُوٓاْ إِلَيۡهِمۡ أَمۡوَٰلَهُمۡۖ وَلَا تَأۡكُلُوهَآ إِسۡرَافٗا وَبِدَارًا أَن يَكۡبَرُواْۚ وَمَن كَانَ غَنِيّٗا فَلۡيَسۡتَعۡفِفۡۖ وَمَن كَانَ فَقِيرٗا فَلۡيَأۡكُلۡ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِذَا دَفَعۡتُمۡ إِلَيۡهِمۡ أَمۡوَٰلَهُمۡ فَأَشۡهِدُواْ عَلَيۡهِمۡۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ حَسِيبٗا
৬. হে অভিভাবকরা! এতিমরা সাবালক হলে তোমরা তাদেরকে পরীক্ষা করো। তাদেরকে তাদের সামান্যটুকু সম্পদ ব্যয় করার সুযোগ দাও। যদি তারা তা থেকে সুন্দরভাবে তাসারুফ বা ব্যয় করে এবং তাতে তাদের সঠিক বুঝ সুস্পষ্ট হয় তাহলে কোন ধরনের কমতি ছাড়া তাদের পুরো সম্পদটুকুই দিয়ে দাও। প্রয়োজনে তাদের যে সম্পদ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য হালাল করেছেন সে সীমা অতিক্রম করে তোমরা তাদের সম্পদ খেয়ো না। তারা বড় হয়ে তাদের সম্পদ নিয়ে নিবে এ ভয়ে তোমরা তাদের সম্পদ দ্রæত খেয়ে ফেলো না। তোমাদের কারো নিকট চলার মতো যথেষ্ট সম্পদ থাকলে সে যেন এতীমের সম্পদ গ্রহণ না করে। তবে সম্পদহীন ফকির প্রয়োজন মাফিক গ্রহণ করবে। পক্ষান্তরে তারা সাবালক ও সুস্পষ্ট বুঝসম্পন্ন হওয়ার পর তাদের সম্পদগুলো তাদেরকে হস্তান্তর করার সময় কাউকে সাক্ষী রাখো। যাতে তাদের অধিকারসমূহ রক্ষা পায় এবং তাতে কোন ধরনের দ্ব›দ্ব সৃষ্টি না হয়। বস্তুতঃ এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলাই যথেষ্ট সাক্ষী। তিনি তাঁর বান্দাদের সকল কর্মকাÐের সঠিক হিসাব রক্ষক।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• الأصل الذي يرجع إليه البشر واحد، فالواجب عليهم أن يتقوا ربهم الذي خلقهم، وأن يرحم بعضهم بعضًا.
ক. মানুষ যে মূলের দিকে ফিরে যায় তা বস্তুতঃ এক। তাই তাদের কর্তব্য হলো নিজেদের ¯্রষ্টা প্রতিপালককে ভয় করা এবং একে অপরের প্রতি দয়া করা।

• أوصى الله تعالى بالإحسان إلى الضعفة من النساء واليتامى، بأن تكون المعاملة معهم بين العدل والفضل.
খ. আল্লাহ তা‘আলা দুর্বল মহিলা ও এতীমদের প্রতি সদয় হওয়ার আদেশ করেছেন। যেন তাদের সাথে করা আচরণটুকু ইনসাফ ও করুণা ভিত্তিক হয়।

• جواز تعدد الزوجات إلى أربع نساء، بشرط العدل بينهن، والقدرة على القيام بما يجب لهن.
গ. ইনসাফ ও তাদের কর্তব্য আদায়ের সক্ষমতার শর্তে যে কারো জন্য চারটা পর্যন্ত স্ত্রী রাখা জায়িয।

• مشروعية الحَجْر على السفيه الذي لا يحسن التصرف، لمصلحته، وحفظًا للمال الذي تقوم به مصالح الدنيا من الضياع.
ঘ. যে বোকা নিজ সম্পদের সুন্দর ব্যয়ের ক্ষমতা রাখে না তার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা বৈধ। তারই ফায়েদা এবং দুনিয়ার সকল সুবিধাদি যে সম্পদের উপর নির্ভরশীল সেটিকে নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।

لِّلرِّجَالِ نَصِيبٞ مِّمَّا تَرَكَ ٱلۡوَٰلِدَانِ وَٱلۡأَقۡرَبُونَ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٞ مِّمَّا تَرَكَ ٱلۡوَٰلِدَانِ وَٱلۡأَقۡرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنۡهُ أَوۡ كَثُرَۚ نَصِيبٗا مَّفۡرُوضٗا
৭. মাতা-পিতা ও নিকটাত্মীয় যেমন ভাই ও চাচারা তাদের মৃত্যুর পর কম-বেশি যে সম্পদটুকু রেখে যাবে তাতে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই অধিকার রয়েছে। জাহিলী যুগের মত নয়; যখন মহিলা ও বাচ্চাদেরকে মিরাস থেকে বঞ্চিত করা হতো। বস্তুতঃ এ অধিকারটুকু আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক ও সুস্পষ্ট পরিমিত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِذَا حَضَرَ ٱلۡقِسۡمَةَ أُوْلُواْ ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينُ فَٱرۡزُقُوهُم مِّنۡهُ وَقُولُواْ لَهُمۡ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا
৮. মিরাস বন্টনের সময় ফকির ও এতীম আর যে আত্মীয়রা মিরাস পায় না তারা উপস্থিত থাকলে সম্পদ বন্টনের আগেই তোমাদের ইচ্ছা মাফিক এমনিতেই তাদেরকে কিছু সম্পদ দিয়ে দাও। কারণ, তারা তা পাওয়ার জন্য লালায়িত। আর তোমরাও তা বিনা কষ্টে পেয়েছো। উপরন্তু তোমরা তাদের সাথে সুশ্রী সুন্দর কথা বলো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلۡيَخۡشَ ٱلَّذِينَ لَوۡ تَرَكُواْ مِنۡ خَلۡفِهِمۡ ذُرِّيَّةٗ ضِعَٰفًا خَافُواْ عَلَيۡهِمۡ فَلۡيَتَّقُواْ ٱللَّهَ وَلۡيَقُولُواْ قَوۡلٗا سَدِيدًا
৯. যারা নিজেদের মৃত্যুর পর দুনিয়াতে রেখে যাওয়া বুদ্ধিতে অপরিপক্ক ছোট ছোট বাচ্চাদের নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে তারা যেন নিজেদের অধীনস্থ এতীমদের উপর যুলুম করার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে। যাতে আল্লাহ তা‘আলা তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানের জন্য এমন অভিভাবকের ব্যবস্থা করেন যারা তাদের সন্তানের প্রতি এমনভাবে দয়া করবে যেমনিভাবে তারা অন্যের সন্তানের প্রতি দয়া করেছে। যারা তার ওসিয়তের সময় উপস্থিত থাকে তারাও যেন ওদের সন্তানদের অধিকারের ব্যাপারে ভালো আচরণ করে। তারা যেন ওদের সাথে সত্য ও সঠিক কথা বলে। যাতে সে তার মৃত্যুর পর ওসিয়তের ক্ষেত্রে তার ওয়ারিশের অধিকারের উপর কোন ধরনের যুলুম না করে এবং সেও যেন ওসিয়ত না করে নিজকে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত না করে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَأۡكُلُونَ أَمۡوَٰلَ ٱلۡيَتَٰمَىٰ ظُلۡمًا إِنَّمَا يَأۡكُلُونَ فِي بُطُونِهِمۡ نَارٗاۖ وَسَيَصۡلَوۡنَ سَعِيرٗا
১০. যারা এতীমদের সম্পদ গ্রাস করে তাতে যুলুম ও অত্যাচারমূলক তাসারুফ করে তারা যেন নিজেদের পেটে জ্বলন্ত আগুন ঢুকায় যা কিয়ামতের দিন অচিরেই তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يُوصِيكُمُ ٱللَّهُ فِيٓ أَوۡلَٰدِكُمۡۖ لِلذَّكَرِ مِثۡلُ حَظِّ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۚ فَإِن كُنَّ نِسَآءٗ فَوۡقَ ٱثۡنَتَيۡنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَۖ وَإِن كَانَتۡ وَٰحِدَةٗ فَلَهَا ٱلنِّصۡفُۚ وَلِأَبَوَيۡهِ لِكُلِّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا ٱلسُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُۥ وَلَدٞۚ فَإِن لَّمۡ يَكُن لَّهُۥ وَلَدٞ وَوَرِثَهُۥٓ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ ٱلثُّلُثُۚ فَإِن كَانَ لَهُۥٓ إِخۡوَةٞ فَلِأُمِّهِ ٱلسُّدُسُۚ مِنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ يُوصِي بِهَآ أَوۡ دَيۡنٍۗ ءَابَآؤُكُمۡ وَأَبۡنَآؤُكُمۡ لَا تَدۡرُونَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ لَكُمۡ نَفۡعٗاۚ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمٗا
১১. আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের অঙ্গীকার নিচ্ছেন এবং তোমাদের সন্তানের মিরাসের ব্যাপারে তোমাদেরকে আদেশ করছেন। মিরাস তাদের মাঝে এভাবে বন্টন হবে যে, ছেলে পাবে দু’ মেয়ের সমপরিমাণ। যদি মৃত ব্যক্তি শুধু মেয়ে সন্তান রেখে যায় তাহলে দু’ বা ততোধিক মেয়ে মিরাসের দু’ তৃতীয়াংশ পাবে। আর একটি মেয়ে হলে সে পাবে অর্ধেক। উপরন্তু মৃতের মাতা-পিতার প্রত্যেকেই মিরাসের এক ষষ্টাংশ পাবে যদি তার ছেলে বা মেয়ে থাকে। আর যদি তার কোন সন্তানই না থাকে এমনকি তার মাতা-পিতা ছাড়া তার কোন ওয়ারিশই না থাকে তাহলে তার মা পাবে মিরাসের এক তৃতীয়াংশ। আর বাকি মিরাস তার পিতা পাবে। আর যদি মৃতের কোন ভাই-বোন থাকে দু’ বা ততোধিক, আপন বা সৎ তাহলে তার মা তার জন্য নির্ধারিত এক ষষ্টাংশ পাবে। আর বাকিটুকু তার পিতা নির্ধারিত ও অনির্ধারিত মিলে সবটাই পাবে। তার ভাই-বোনরা এর কিছুই পাবে না। মূলতঃ মিরাসের এ বন্টনটুকু মৃতের অসিয়ত বাস্তবায়নের পরই হবে। তবে তার ওসিয়তটুকু মিরাসের এক তৃতীয়াংশের বেশি হতে পারবে না। এমনকি এ বন্টনটুকু মৃতের জিম্মায় থাকা ঋণসমূহ আদায়ের পরই হবে। আল্লাহ তা‘আলা মিরাসের বন্টনটুকু এভাবে করেছেন। কারণ, তোমরা জানো না পিতা-মাতা ও সন্তানদের মধ্যকার কে দুনিয়া ও আখিরাতে তার জন্য বেশি লাভজনক হবে। কখনো মৃত ব্যক্তি দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তার ওয়ারিশদের কাউকে ভালো মনে করে তার পুরো সম্পদটুকু তাকে দিয়ে দেয় অথবা কাউকে খারাপ মনে করে তাকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করে; অথচ বাস্তবতা তার উল্টো হয়। বস্তুতঃ যিনি এ সবই জানেন তিনি হলেন আল্লাহ। যাঁর নিকট কোন কিছুই লুক্কায়িত নয়। তাই তিনি উল্লেখিত নিয়মে মিরাস বন্টন করেছেন। যা তিনি তাঁর পক্ষ থেকে ফরয ও বান্দাহর জন্য বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মহাজ্ঞানী যাঁর নিকট তাঁর বান্দাদের কোন সুবিধার ব্যাপারই লুক্কায়িত নয়। তিনি তাঁর শরীয়ত ও পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• دلت أحكام المواريث على أن الشريعة أعطت الرجال والنساء حقوقهم مراعية العدل بينهم وتحقيق المصلحة بينهم.
ক. মিরাসের বিধানসমূহ এ কথা প্রমাণ করে যে, শরীয়ত ইনসাফ ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে পুরুষ ও মহিলাদেরকে তাদের ন্যায্য অধিকার দিয়েছে।

• التغليظ الشديد في حرمة أموال اليتامى، والنهي عن التعدي عليها، وعن تضييعها على أي وجه كان.
খ. এতীমদের সম্পদ হারাম হওয়ার ব্যাপারটিকে অতি মারাত্মকভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এমনকি যে কোনভাবে তা নষ্ট করা এবং তার উপর অবৈধ হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

• لما كان المال من أكثر أسباب النزاع بين الناس تولى الله تعالى قسمته في أحكام المواريث.
গ. যখন সম্পদ নিয়েই মানুষের মাঝে অধিকাংশ দ্ব›দ্ব সংঘটিত হয় তাই আল্লাহ তা‘আলা নিজেই তা বন্টনের দায়িত্ব নিলেন। যা মিরাসের বিধানাবলী নামে খ্যাত।

۞ وَلَكُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَكَ أَزۡوَٰجُكُمۡ إِن لَّمۡ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٞۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٞ فَلَكُمُ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكۡنَۚ مِنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ يُوصِينَ بِهَآ أَوۡ دَيۡنٖۚ وَلَهُنَّ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكۡتُمۡ إِن لَّمۡ يَكُن لَّكُمۡ وَلَدٞۚ فَإِن كَانَ لَكُمۡ وَلَدٞ فَلَهُنَّ ٱلثُّمُنُ مِمَّا تَرَكۡتُمۚ مِّنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ تُوصُونَ بِهَآ أَوۡ دَيۡنٖۗ وَإِن كَانَ رَجُلٞ يُورَثُ كَلَٰلَةً أَوِ ٱمۡرَأَةٞ وَلَهُۥٓ أَخٌ أَوۡ أُخۡتٞ فَلِكُلِّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا ٱلسُّدُسُۚ فَإِن كَانُوٓاْ أَكۡثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمۡ شُرَكَآءُ فِي ٱلثُّلُثِۚ مِنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ يُوصَىٰ بِهَآ أَوۡ دَيۡنٍ غَيۡرَ مُضَآرّٖۚ وَصِيَّةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٞ
১২. হে স্বামীরা! তোমরা সন্তানহীন স্ত্রীর অর্ধেক মিরাস পাবে। সন্তান থাকলে তাদের মিরাসের এক চতুর্থাংশ পাবে। এ বন্টনটি মূলতঃ তাদের অসিয়ত বাস্তবায়ন এবং তাদের জিম্মায় থাকা ঋণসমূহ আদায়ের পরই হবে। হে স্বামীরা! তোমরা নিঃসন্তান হলে তোমাদের মিরাস থেকে তোমাদের স্ত্রীরা এক চতুর্থাংশ পাবে। আর থাকলে মিরাসের এক অষ্টমাংশ পাবে। এ বন্টনটিও মূলতঃ তোমাদের অসিয়ত বাস্তবায়ন এবং তোমাদের জিম্মায় থাকা ঋণসমূহ আদায়ের পরই হবে। পুরুষ বা মহিলা মাতা-পিতা এবং সন্তানহীন মারা গেলে তাদের বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন থাকলে তাদের বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন তাদের জন্য নির্ধারিত এক ষষ্টমাংশই পাবে। আর যদি তাদের বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন একাধিক থাকে তাহলে তাদের সবার জন্য এক তৃতীয়াংশ মিরাস রয়েছে যাতে তারা নির্ধারিতভাবে সমান অংশীদার হবে। তাতে ছেলে-মেয়ের সমান অধিকার। তবে তারাও তাদের অংশ গ্রহণ করবে মৃতের অসিয়ত বাস্তবায়ন এবং তার জিম্মায় থাকা ঋণসমূহ আদায়ের পরই। এ শর্তে যে, তার ওসিয়তও তার ওয়ারিশদের কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না। যেমন: তার ওসিয়ত মিরাসের এক তৃতীয়াংশের বেশি হওয়া। আয়াতে উল্লেখিত বিধানটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি চুক্তিস্বরূপ যা তিনি তোমাদের উপর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা বান্দার দুনিয়া ও আখিরাতের সব লাভজনক বিষয় জানেন। তিনি ধৈর্যশীল। কোন পাপীকে তিনি দ্রæত শাস্তি দেন না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِۚ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ يُدۡخِلۡهُ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ
১৩. এতীম ও অন্যান্যদের সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখিত বিধানাবলী আল্লাহর শরীয়ত যা তিনি তার বান্দাদের আমলের জন্য নির্ধারিত করেছেন। যারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁর ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করেছে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার অট্টালিকাগুলোর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদী। তারা তাতে বিশেষভাবে অবস্থান করবে। কোন ধ্বংস তাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না। আর এ ঐশী প্রতিদান হলো এমন মহান সফলতা যার সমকক্ষ আর কোন সফলতা নেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُۥ يُدۡخِلۡهُ نَارًا خَٰلِدٗا فِيهَا وَلَهُۥ عَذَابٞ مُّهِينٞ
১৪. আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধানাবলীকে অমান্য করে তথা তার উপর আমল না করে অথবা তাতে কোন ধরনের সন্দেহ পোষণ করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে উপরন্তু তাঁর শরীয়তের গÐি অতিক্রম করবে তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন যাতে সে বিশেষভাবে অবস্থান করবে এবং তাতে রয়েছে তার জন্য অতি লাঞ্ছনাকর শাস্তি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• لا تقسم الأموال بين الورثة حتى يقضى ما على الميت من دين، ويخرج منها وصيته التي لا يجوز أن تتجاوز ثلث ماله.
ক. ওয়ারিশদের মাঝে মিরাসী সম্পদ বন্টন করা হবে না যতক্ষণ না মৃতের জিম্মায় থাকা ঋণ আদায় এবং তার ওসিয়তের সমপরিমাণ সম্পদ বের করা হয়। তবে তা এক তৃতীয়াংশ অতিক্রম করবে না।

• التحذير من التهاون في قسمة المواريث؛ لأنها عهد الله ووصيته لعباده المؤمنين؛ فلا يجوز تركها أو التهاون فيها.
খ. মিরাস বন্টনের ব্যাপারে গুরুত্বহীনতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। কারণ, তা আল্লাহর মু’মিন বান্দাদের জন্য চুক্তি ও ওসিয়ত। যা পরিত্যাগ কিংবা সে ব্যাপারে কোন ধরনের অবহেলা করা যাবে না।

• من علامات الإيمان امتثال أوامر الله، وتعظيم نواهيه، والوقوف عند حدوده.
গ. ঈমানের বিশেষ আলামত হলো আল্লাহর আদেশ মান্য করা, তাঁর নিষেধাজ্ঞার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং তাঁর দেয়া সীমারেখার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া।

• من عدل الله تعالى وحكمته أن من أطاعه وعده بأعظم الثواب، ومن عصاه وتعدى حدوده توعده بأعظم العقاب.
ঘ. আল্লাহর ইনসাফ ও তাঁর বিশেষ হিকমত হচ্ছে যে তাঁর আনুগত্য করবে তার সাথে তিনি মহা প্রতিদানের ওয়াদা করেন। আর যে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ ও তাঁর দেয়া সীমারেখা অতিক্রম করবে তার জন্য তিনি মহা শাস্তি নির্ধারণ করেন।

وَٱلَّٰتِي يَأۡتِينَ ٱلۡفَٰحِشَةَ مِن نِّسَآئِكُمۡ فَٱسۡتَشۡهِدُواْ عَلَيۡهِنَّ أَرۡبَعَةٗ مِّنكُمۡۖ فَإِن شَهِدُواْ فَأَمۡسِكُوهُنَّ فِي ٱلۡبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّىٰهُنَّ ٱلۡمَوۡتُ أَوۡ يَجۡعَلَ ٱللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلٗا
১৫. তোমাদের মহিলারা ব্যভিচারের অশ্লীলতায় লিপ্ত হলে চাই তারা বিবাহিতা হোক কিংবা অবিবাহিতা তোমরা তাদের ব্যাপারে ন্যায়পরায়ণ চার জন মুসলিম পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করো। তারা এদের ব্যাপারে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সাক্ষ্য দিলে তোমরা তাদেরকে শাস্তিস্বরূপ ঘরে আটকে রাখো যতক্ষণ না তাদের জীবন মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয় অথবা আল্লাহ তা‘আলা তাদের ব্যাপারে বন্দীদশা ছাড়া অন্য কোন পথ বের করে দেন। এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য একটি বিশেষ পথ বর্ণনা করেছেন। তিনি অবিবাহিতা ব্যভিচারিণী মেয়ের জন্য একশ’টি বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর এবং বিবাহিতাকে পাথর মেরে হত্যা করার বিধান করেছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَٱلَّذَانِ يَأۡتِيَٰنِهَا مِنكُمۡ فَـَٔاذُوهُمَاۖ فَإِن تَابَا وَأَصۡلَحَا فَأَعۡرِضُواْ عَنۡهُمَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ تَوَّابٗا رَّحِيمًا
১৬. আর যে পুরুষদ্বয় ব্যভিচারের অশ্লীলতায় লিপ্ত হয় চাই তারা বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত তোমরা তাদেরকে হাত ও মুখ দিয়ে লাঞ্ছনা ও তিরস্কারমূলক শাস্তি দাও। ফলে তারা যদি উক্ত কর্মকাÐ পরিত্যাগ করে এবং তাদের অবস্থা ভালো হয়ে যায় তাহলে তোমরা তাদেরকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকো। কারণ, পাপ থেকে তাওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তির মতো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের তাওবা গ্রহণকারী ও তাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। মূলতঃ এ জাতীয় শাস্তি ইসলামের প্ররম্ভিক যুগে ছিলো অতঃপর তা অবিবাহিতকে একশ’টি বেত্রাঘাত ও দেশান্তর এবং বিবাহিতকে একেবারে পাথর মেরে হত্যা করার মাধ্যমে রহিত করা হয়েছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّمَا ٱلتَّوۡبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٖ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٖ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا
১৭. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা ওদের তাওবা গ্রহণ করেন যারা পাপ ও গুনাহের পরিণতি ও অনিষ্টের কথা না জেনে তাতে লিপ্ত হয় (আর এটিই হলো ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত পাপীদের অবস্থা) অতঃপর মৃত্যু দেখার পূর্বে তাদের প্রভুর প্রতি নত হয়ে তাঁর দিকে ফিরে আসে। আল্লাহ তা‘আলা এদের তাওবাই গ্রহণ করেন এবং তাদের অপরাধসমূহের প্রতি কোন ধরনের ভ্রƒক্ষেপই করেন না। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত উপরন্তু তিনি তাঁর তাক্বদীর ও শরীয়তের ব্যাপারে প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَيۡسَتِ ٱلتَّوۡبَةُ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ حَتَّىٰٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ ٱلۡمَوۡتُ قَالَ إِنِّي تُبۡتُ ٱلۡـَٰٔنَ وَلَا ٱلَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمۡ كُفَّارٌۚ أُوْلَٰٓئِكَ أَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا
১৮. তবে যারা গুনাহের উপর অটল থেকে তা থেকে দ্রæত তাওবা না করে তাদের তাওবা আল্লাহ তা‘আলা গ্রহণ করেন না। মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করার সময় তাদের কেউ কেউ বলে: আমি এখন আমার সমস্ত পাপ থেকে তাওবা করছি। তেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা কুফরিতে অটল মৃত ব্যক্তির তাওবাও কবুল করেন না। বস্তুতঃ আমি গুনাহের উপর অটল পাপী এবং কুফরির উপর অটল অবস্থায় মৃত্যু বরণকারীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا يَحِلُّ لَكُمۡ أَن تَرِثُواْ ٱلنِّسَآءَ كَرۡهٗاۖ وَلَا تَعۡضُلُوهُنَّ لِتَذۡهَبُواْ بِبَعۡضِ مَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ إِلَّآ أَن يَأۡتِينَ بِفَٰحِشَةٖ مُّبَيِّنَةٖۚ وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡـٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا
১৯. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমাদের জন্য জায়িয হবে না সম্পদের ন্যায় তোমাদের বাপ-দাদার স্ত্রীদের ওয়ারিশ হওয়া। যার ফলে তোমরা তাদেরকে বিবাহ করবে অথবা যার সাথে চাও তার সাথে বিবাহ দিবে কিংবা তাদেরকে কারো সাথে বিবাহ বসতে বাধা দিবে। তেমনিভাবে তোমাদের জন্য জায়িয হবে না তোমাদের অপছন্দনীয় স্ত্রীদেরকে কষ্ট দেয়ার নিয়্যাতে নিজের অধীনে আটকে রাখা। যেন তারা তোমাদেরকে তাদেরকে দেয়া মোহরানা ইত্যাদির কিছু অংশ ফেরত দেয়। তবে তারা ব্যভিচারের ন্যায় সুস্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হলে তা ভিন্ন কথা। বস্তুতঃ তারা এমন করলে তাদেরকে নিজের অধীনে আটকে রেখে তাদেরকে কোনঠাসা করা জায়িয। যাতে তারা তোমাদের দেয়া মোহরানাটুকু তোমাদেরকে ফেরত দিয়ে তোমাদের অধীন থেকে নিজেদেরকে ছাড়িয়ে নেয়। আর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সদাচরণ করো। তাদেরকে কষ্ট না দিয়ে বরং তাদের প্রতি দয়া করো। দুনিয়ার কোন কারণে তাদেরকে অপছন্দ করলেও তাদের প্রতি ধৈর্য ধারণ করো। আশা করা যায়, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের অপছন্দের মধ্যেও দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনের বহু কল্যাণ রেখেছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• ارتكاب فاحشة الزنى من أكثر المعاصي خطرًا على الفرد والمجتمع؛ ولهذا جاءت العقوبات عليها شديدة.
ক. ব্যভিচারের মতো অশ্লীলতা সমাজের জন্য সবচেয়ে বেশি মারাত্মক পাপ। এ জন্য এ ধরনের পাপীর শাস্তিও কঠিন।

• لطف الله ورحمته بعباده حيث فتح باب التوبة لكل مذنب، ويسر له أسبابها، وأعانه على سلوك سبيلها.
খ. বান্দাহর প্রতি আল্লাহর প্রচুর দয়া ও রহমত। তাইতো তিনি প্রত্যেক পাপীর জন্য তাওবার দরজা খুলে দিয়েছেন। এমনকি তার জন্য এর উপকরণগুলোও সহজ করে দিয়েছেন। উপরন্তু তার এ পথচলায় তিনি তাকে সাহায্য করেন।

• كل من عصى الله تعالى بعمد أو بغير عمد فهو جاهل بقدر من عصاه جل وعلا، وجاهل بآثار المعاصي وشؤمها عليه.
গ. যে ব্যক্তি ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে সে মূলতঃ এ ক্ষেত্রে যাঁর বিরুদ্ধাচরণ করছে তাঁর মর্যাদা সম্পর্কে মূর্খ। এমনকি সে পাপের প্রভাব ও পতিক্রিয়া এবং তার কুফল সম্পর্কেও অজ্ঞ।

• من أسباب استمرار الحياة الزوجية أن يكون نظر الزوج متوازنًا، فلا يحصر نظره فيما يكره، بل ينظر أيضا إلى ما فيه من خير، وقد يجعل الله فيه خيرًا كثيرًا.
ঘ. পারিবারিক জীবন স্থিতিশীল হওয়ার একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে স্বামীর দৃষ্টিভঙ্গী অন্তত ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া। তার দৃষ্টিভঙ্গী যেন শুধু অপছন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং সে যেন কল্যাণকর বিষয়ের দিকেও তাকায়। হয়তো বা আল্লাহ তা‘আলা তাতে অনেক কল্যাণ রেখেছেন।

وَإِنۡ أَرَدتُّمُ ٱسۡتِبۡدَالَ زَوۡجٖ مَّكَانَ زَوۡجٖ وَءَاتَيۡتُمۡ إِحۡدَىٰهُنَّ قِنطَارٗا فَلَا تَأۡخُذُواْ مِنۡهُ شَيۡـًٔاۚ أَتَأۡخُذُونَهُۥ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا
২০. হে স্বামীরা! যদি তোমরা নিজেদের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চাও তাহলে তাতে তোমাদের কোন অসুবিধে নেই। তবে যদি তোমরা যার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাকে ইতোপূর্বে প্রচুর সম্পদ মোহরানা হিসেবে দিয়ে থাকো তারপরও তা থেকে কোন কিছু ফেরত নেয়া তোমাদের জন্য জায়িয হবে না। কারণ, তোমাদের দেয়া কোন কিছু পুনরায় গ্রহণ করা তোমাদের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট অপবাদ এবং প্রকাশ্য পাপ হিসেবেই পরিগণিত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَكَيۡفَ تَأۡخُذُونَهُۥ وَقَدۡ أَفۡضَىٰ بَعۡضُكُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ وَأَخَذۡنَ مِنكُم مِّيثَٰقًا غَلِيظٗا
২১. কীভাবেই বা তোমরা নিজেদের দেয়া মোহরানাটুকু আবার ফেরত নিবে; অথচ তোমাদের মাঝে ইতিমধ্যে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। যেমন: পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভালোবাসা এবং যৌন সম্ভোগ ও পরস্পরের গোপনীয় ব্যাপারগুলো জানা। কারণ, এরপরও তাদের হাতে থাকা সম্পদের লোভ করা সত্যিই একটি গর্হিত ও বিশ্রী কাজ। অথচ তারা তোমাদের থেকে ইতোপূর্বে একটি শক্ত ও কঠিন অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। আর তা হলো আল্লাহর বাণী ও তাঁর শরীয়তের মাধ্যমে তাদেরকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করা।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَا تَنكِحُواْ مَا نَكَحَ ءَابَآؤُكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَۚ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَمَقۡتٗا وَسَآءَ سَبِيلًا
২২. তোমাদের বাপ-দাদার স্ত্রীদেরকে তোমরা বিবাহ করো না। কারণ, এটি একটি হারাম কাজ। তবে ইসলাম পূর্ব বিষয় ধর্তব্য নয়। কারণ, ছেলেরা বাপ-দাদার স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা একটি মহা বিশ্রী কাÐ, এর কর্তা আল্লাহর রোষানলে পতিত হওয়ার বিশেষ কারণ ও এ পথে চলা ব্যক্তির জন্য এটি একটি নিকৃষ্ট পথ।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
حُرِّمَتۡ عَلَيۡكُمۡ أُمَّهَٰتُكُمۡ وَبَنَاتُكُمۡ وَأَخَوَٰتُكُمۡ وَعَمَّٰتُكُمۡ وَخَٰلَٰتُكُمۡ وَبَنَاتُ ٱلۡأَخِ وَبَنَاتُ ٱلۡأُخۡتِ وَأُمَّهَٰتُكُمُ ٱلَّٰتِيٓ أَرۡضَعۡنَكُمۡ وَأَخَوَٰتُكُم مِّنَ ٱلرَّضَٰعَةِ وَأُمَّهَٰتُ نِسَآئِكُمۡ وَرَبَٰٓئِبُكُمُ ٱلَّٰتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ ٱلَّٰتِي دَخَلۡتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمۡ تَكُونُواْ دَخَلۡتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ وَحَلَٰٓئِلُ أَبۡنَآئِكُمُ ٱلَّذِينَ مِنۡ أَصۡلَٰبِكُمۡ وَأَن تَجۡمَعُواْ بَيۡنَ ٱلۡأُخۡتَيۡنِ إِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
২৩. আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর হারাম করে দিয়েছেন তোমাদের মা-নানীদেরকে বিবাহ করা; তারা যতো উপরেরই হোক না কেন। তথা মায়ের মা ও তার নানী। চাই তা বাপের পক্ষ থেকে হোক কিংবা মায়ের পক্ষ থেকে। তোমাদের মেয়েদেরকে; তারা যতো নিচেরই হোক না কেন। তথা মেয়ে ও মেয়ের মেয়ে। তেমনিভাবে ছেলের মেয়ে ও মেয়ের মেয়ে; তারা যতো নিচেরই হোক না কেন। তোমাদের বোনদেরকে; চাই তারা মাতা-পিতা উভয়ের পক্ষ থেকে হোক অথবা কোন একজনের পক্ষ থেকে। তোমাদের ফুফীদেরকে তেমনিভাবে তোমাদের বাপ-দাদা ও মা-নানীদের ফুফীদেরকেও; তারা যতো উপরেরই হোক না কেন। তোমাদের খালাদেরকে; তেমনিভাবে তোমাদের মা-নানী ও বাপ-দাদাদের খালাদেরকেও; তারা যতো উপরেরই হোক না কেন। তোমাদের ভাই ও বোনের মেয়েদেরকে এবং তাদের সন্তানদেরকে; তারা যতো নিচেরই হোক না কেন। তোমাদের দুধ মা এবং তোমাদের দুধ বোনদেরকে। তোমাদের স্ত্রীদের মায়েদেরকে; চাই তোমরা তাদের সাথে সহবাস করো কিংবা নাই করো। তোমাদের স্ত্রীদের অন্যের ঔরসজাত মেয়েদেরকে। যদিও তারা সাধারণত তোমাদের ঘরেই লালিত-পালিত ও বড় হয়েছে। তেমনিভাবে যারা তোমাদের ঘরে লালিত-পালিত হয়নি তারাও। যদি তোমরা তাদের মায়েদের সাথে সহবাস করে থাকো। আর যদি তোমরা তাদের মায়েদের সাথে সহবাস না করে থাকো তাহলে তাদের মেয়েদেরকে বিবাহ করায় তোমাদের কোন অসুবিধে নেই। আরো হারাম করা হয়েছে তোমাদের ঔরসজাত ছেলেদের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা। যদিও তারা এখনো তাদের সাথে সহবাস করেনি। এ বিধানের অধীনে আরো রয়েছে দুধ ছেলেদের স্ত্রীরাও। আরো তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে বংশীয় অথবা দুধপান সম্পর্কীয় দু’ বোনকে একই জনের বিবাহ বন্ধনে একত্রিত করা। তবে জাহিলী যুগে গত হওয়া বিষয় আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তেমনিভাবে কোন মহিলা ও তার ফুফী অথবা তার খালাকে একই ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে একত্রিত করা হারাম হওয়ার ব্যাপারটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• إذا دخل الرجل بامرأته فقد ثبت مهرها، ولا يجوز له التعدي عليه أو الطمع فيه، حتى لو أراد فراقها وطلاقها.
ক. যখনই কোন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে তখনই তার মোহরানা অবধারিত হয়ে যাবে। তখন তার জন্য তাতে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ ও লোভ করা জায়িয হবে না। যদিও সে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে ও তাকে তালাক দিতে চায়।

• حرم الله تعالى نكاح زوجات الآباء؛ لأنه فاحشة تمقتها العقول الصحيحة والفطر السليمة.
খ. আল্লাহ তা‘আলা বাপ-দাদার স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা হারাম করে দিয়েছেন। কারণ, তা একদম অশ্লীলতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যাকে বিশুদ্ধ বুদ্ধি ও সুস্থ মানসিকতা ঘৃণা করে।

• بين الله تعالى بيانًا مفصلًا من يحل نكاحه من النساء ومن يحرم، سواء أكان بسبب النسب أو المصاهرة أو الرضاع؛ تعظيمًا لشأن الأعراض، وصيانة لها من الاعتداء.
গ. আল্লাহ তা‘আলা যে মহিলাদেরকে বিবাহ করা হালাল এবং যে মহিলাদেরকে বিবাহ করা হারাম তা সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন। চাই তা বংশের কারণে হোক অথবা বিবাহ বন্ধন কিংবা দুধপানের কারণেই হোক না কেন। তা সে সকল সম্পর্কের প্রতি সম্মান দেখানো এবং সেগুলোকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই।

۞ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۖ كِتَٰبَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَآءَ ذَٰلِكُمۡ أَن تَبۡتَغُواْ بِأَمۡوَٰلِكُم مُّحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَۚ فَمَا ٱسۡتَمۡتَعۡتُم بِهِۦ مِنۡهُنَّ فَـَٔاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةٗۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا تَرَٰضَيۡتُم بِهِۦ مِنۢ بَعۡدِ ٱلۡفَرِيضَةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمٗا
২৪. তেমনিভাবে তিনি তোমাদের উপর বিবাহিতা মহিলাদেরকে বিবাহ করা হারাম করে দিয়েছেন। তবে আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে বন্দী করার মাধ্যমে তোমরা যাদের মালিক হয়েছো তাদের কথা অবশ্যই ভিন্ন। একটি ঋতু¯্রাবের মাধ্যমে তাদের জরায়ুগুলো খালি প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল। উক্ত বিধানটি পালন করা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর একেবারেই ফরয করে দিয়েছেন। আর এ ছাড়া অন্যান্য মেয়েদেরকে তিনি তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন। তোমরা ব্যভিচারের ইচ্ছা ছাড়া হালালভাবে নিজেদের সম্পদের মাধ্যমে তাদেরকে বিবাহ করে নিজেদের সাধুতা ও পবিত্রতা রক্ষা করতে পারো। তোমরা বিবাহের মাধ্যমে তাদের কাউকে সম্ভোগ করলে তাদেরকে তাদের মোহরানা দিয়ে দিবে। যা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর একান্তভাবে ফরয করে দিয়েছেন। তোমরা বাধ্যতামূলক মোহরানাটুকু নির্ধারণের পর পরস্পরের সম্মতিতে তাতে কম-বেশি করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাদের কোন কিছুই তাঁর নিকট লুক্কায়িত নয়। তিনি তাঁর শরীয়ত নির্ধারণ ও পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن لَّمۡ يَسۡتَطِعۡ مِنكُمۡ طَوۡلًا أَن يَنكِحَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ فَمِن مَّا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُم مِّن فَتَيَٰتِكُمُ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۚ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِإِيمَٰنِكُمۚ بَعۡضُكُم مِّنۢ بَعۡضٖۚ فَٱنكِحُوهُنَّ بِإِذۡنِ أَهۡلِهِنَّ وَءَاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِ مُحۡصَنَٰتٍ غَيۡرَ مُسَٰفِحَٰتٖ وَلَا مُتَّخِذَٰتِ أَخۡدَانٖۚ فَإِذَآ أُحۡصِنَّ فَإِنۡ أَتَيۡنَ بِفَٰحِشَةٖ فَعَلَيۡهِنَّ نِصۡفُ مَا عَلَى ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ مِنَ ٱلۡعَذَابِۚ ذَٰلِكَ لِمَنۡ خَشِيَ ٱلۡعَنَتَ مِنكُمۡۚ وَأَن تَصۡبِرُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡۗ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
২৫. হে পুরুষরা! তোমাদের মধ্যকার কেউ সম্পদের স্বল্পতার দরুন স্বাধীন নারীদেরকে বিবাহ করতে সক্ষম না হলে তার জন্য জায়িয অন্যের মালিকানাধীন বাঁদীদেরকে বিবাহ করা। যদি তারা বাহ্য দৃষ্টিতে মু’মিনা বলে প্রমাণিত হয়ে থাকে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ঈমানের হাকীকত বা সঠিকতা এবং তোমাদের ভিতরগত অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবগত। মূলতঃ তোমরা ও তারা ধর্ম ও মনুষ্যত্বের বিবেচনায় এক সমান। তাই তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে কোন ধরনের অনীহা প্রকাশ করো না। তোমরা তাদের মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে বিবাহ করো এবং কোন ধরনের তালবাহানা ও কমতি ছাড়া তাদের মোহরানাগুলো তাদেরকে দিয়ে দাও। যদি তারা সতী এবং প্রকাশ্য ব্যভিচারিণী না হয়ে থাকে। উপরন্তু তারা লুকিয়ে ব্যভিচারের জন্য কোন ধরনের অন্তরঙ্গ বন্ধু গ্রহণ না করে থাকে। যদি তারা বিবাহের পর ব্যভিচারের অশ্লীলতায় লিপ্ত হয় তাহলে তাদের দÐবিধি হবে স্বাধীন মহিলাদের শাস্তির অর্ধেক। তথা পঞ্চাশ বেত্রাঘাত। তবে তাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে না। যা স্বাধীন বিবাহিতা মহিলাদের ব্যভিচারের বিপরীত। উক্ত বিধান তথা সতী মু’মিনা বাঁদীদেরকে বিবাহ করা জায়িয হওয়া ওই ব্যক্তির জন্য ছাড় যে নিজের ব্যাপারে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কাকারী এবং স্বাধীন নারীদেরকে বিবাহে অক্ষম। তবে বান্দি বিবাহ করার ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করাই সর্বাধিক শ্রেয়। যাতে সন্তানদেরকে গোলামি থেকে রক্ষা করা যায়। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তাঁর দয়ার কারণেই তিনি স্বাধীন নারীদেরকে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়া অবস্থায় ব্যভিচারের আশঙ্কায় বান্দিদেরকে বিবাহ করার বিধান চালু করেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمۡ وَيَهۡدِيَكُمۡ سُنَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَيَتُوبَ عَلَيۡكُمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ
২৬. আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য এ বিধানগুলো চালু করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীন ও শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী এবং তোমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণকর বিষয় তোমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চান। তেমনিভাবে তিনি চান তোমাদেরকে হালাল-হারাম, সম্মানজনক বৈশিষ্ট্যাবলী ও প্রশংসনীয় চরিত্রের ক্ষেত্রে তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের পথ দেখাতে। তিনি আরো চান তোমাদেরকে গুনাহ থেকে তাঁর আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে আনতে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা যাতে তাঁর বান্দাদের নিহিত কল্যাণ সম্পর্কে সম্যক অবগত হন। তাই তিনি তাদের জন্য সেই বিধানগুলোই রচনা করেছেন। তিনি তাঁর শরীয়ত ও তাঁর বান্দাদের কর্মকাÐ পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• حُرمة نكاح المتزوجات: حرائر أو إماء حتى تنقضي عدتهن أيًّا كان سبب العدة.
ক. বিবাহিতাদেরকে বিবাহ করা হারাম। চাই তারা স্বাধীন হোক কিংবা বাঁদী। যতক্ষণ না তাদের ইদ্দত শেষ হবে। ইদ্দতের কারণ যেটাই হোক না কেন।

• أن مهر المرأة يتعين بعد الدخول بها، وجواز أن تحط بعض مهرها إذا كان بطيب نفس منها.
খ. মহিলাদের মোহরানা সহবাসের পরই পুরোপুরিভাবে নির্ধারিত হয়। স্বেচ্ছায় যে কোন মহিলার পক্ষে তার মোহরানা কিছুটা কমিয়ে দেয়া জায়িয।

• جواز نكاح الإماء المؤمنات عند عدم القدرة على نكاح الحرائر؛ إذا خاف على نفسه الوقوع في الزنى.
গ. কেউ নিজের ব্যাপারে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করলে এবং সে স্বাধীন নারীদেরকে বিবাহ করতে অক্ষম হলে তার জন্য মু’মিনা নারীদেরকে বিবাহ করা জায়িয।

• من مقاصد الشريعة بيان الهدى والضلال، وإرشاد الناس إلى سنن الهدى التي تردُّهم إلى الله تعالى.
ঘ. শরীয়তের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হলো হিদায়েত ও ভ্রষ্টতার বর্ণনা দেয়া উপরন্তু মানুষকে হিদায়েতের পথ দেখানো যা তাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দিবে।

وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡكُمۡ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُواْ مَيۡلًا عَظِيمٗا
২৭. আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের তাওবা কবুল ও তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে চান। আর যারা নিজেদের ভোগ-বিলাসের পেছনে ঘুরে বেড়ায় তারা চায় তোমরা যেন সঠিকতার পথ ছেড়ে অনেক দূরে সরে যাও।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمۡۚ وَخُلِقَ ٱلۡإِنسَٰنُ ضَعِيفٗا
২৮. আল্লাহ তা‘আলা শরীয়তের বিধানাবলীকে তোমাদের উপর হালকা করতে চান। তাই তিনি তোমাদেরকে তোমাদের সাধ্যাতীত কোন কিছু করতে বাধ্য করেন না। কারণ, তিনি মানুষের গঠন ও চরিত্রের দুর্বলতা সম্পর্কে অবগত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً عَن تَرَاضٖ مِّنكُمۡۚ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا
২৯. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমাদের কেউ যেন বাতিল পন্থায় অন্যের সম্পদ গ্রাস না করে। যেমন: ঘুষ, চুরি, অপহরণ ইত্যাদি। তবে চুক্তিবদ্ধ উভয় পক্ষের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে অর্জিত ব্যবসার সম্পদ তোমাদের জন্য খাওয়া ও খরচ করা বৈধ। তোমাদের কেউ যেন অন্যকে হত্যা না করে আর না সে আত্মহত্যা ও নিজকে ধ্বংসের সম্মুখীন করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি দয়াশীল। তাঁর দয়ার কারণেই তিনি তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত অন্যের উপর হারাম করে দিয়েছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ عُدۡوَٰنٗا وَظُلۡمٗا فَسَوۡفَ نُصۡلِيهِ نَارٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا
৩০. যে ব্যক্তি উক্ত নিষিদ্ধ কর্মগুলো করে তথা অবৈধভাবে অন্যের সম্পদ খায় অথবা হত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে তার উপর অত্যাচার করে জেনেশুনে ও অত্যাচারবশত, মূর্খতা কিংবা ভুলবশত নয়, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে কিয়ামতের দিন অচিরেই ভয়ানক আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে তার উত্তপ্ততা অনুভব ও তার শাস্তির কঠোরতা ভোগ করবে। আল্লাহর জন্য এটি খুবই সহজ। কারণ, তিনি এতোই শক্তিশালী যে, কোন কিছুই তাঁকে অক্ষম করতে পারে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِن تَجۡتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنۡهَوۡنَ عَنۡهُ نُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَيِّـَٔاتِكُمۡ وَنُدۡخِلۡكُم مُّدۡخَلٗا كَرِيمٗا
৩১. হে মু’মিনরা! তোমরা আল্লাহর সাথে শিরক করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, মানুষ হত্যা ও সুদ খাওয়ার মতো বড় বড় গুনাহ থেকে দূরে থাকলে আমি তোমাদের সম্পাদিত ছোট ছোট গুনাহগুলো মুছে ও লুকিয়ে ক্ষমা করে দেবো। উপরন্তু তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট সম্মানজনক জায়গায় প্রবেশ করাবো যা হবে জান্নাত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَا تَتَمَنَّوۡاْ مَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بِهِۦ بَعۡضَكُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٞ مِّمَّا ٱكۡتَسَبُواْۖ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٞ مِّمَّا ٱكۡتَسَبۡنَۚ وَسۡـَٔلُواْ ٱللَّهَ مِن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٗا
৩২. হে মু’মিনরা! তোমরা একের উপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারগুলোর আশা ও আকাক্সক্ষা করো না। কারণ, তা রাগ ও হিংসার দিকে নিয়ে যায়। তাই কোন মহিলার জন্য উচিত নয় আল্লাহ তা‘আলা পুরুষকে যে বিশেষত্ব দিয়েছেন তার আশা করা। কারণ, প্রত্যেক শ্রেণীর জন্যই তার উপযুক্ত কিছু আমল রয়েছে। বরং তোমরা আল্লাহর নিকট তাঁর বেশি বেশি দান-খয়রাত কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সব কিছুই জানেন। তাই তিনি প্রত্যেক শ্রেণীকে তার উপযুক্ত কর্ম দিয়েছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلِكُلّٖ جَعَلۡنَا مَوَٰلِيَ مِمَّا تَرَكَ ٱلۡوَٰلِدَانِ وَٱلۡأَقۡرَبُونَۚ وَٱلَّذِينَ عَقَدَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ فَـَٔاتُوهُمۡ نَصِيبَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدًا
৩৩. তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই আমি আসাবাহ বা ওয়ারিশ বানিয়েছি। যারা তাদের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়রা যে মিরাস রেখে গেছে তার ওয়ারিশ হবে। আর যাদের সাথে তোমরা শক্ত অঙ্গীকার করেছো জোটবদ্ধ থাকা ও সহযোগিতার উপর তাদেরকে তাদের মিরাসের অংশটুকু দিয়ে দিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সকল বিষয়ে সাক্ষী। তোমাদের কসম ও অঙ্গীকারের উপর সাক্ষী থাকা তারই অন্যতম। কারো সাথে জোটবদ্ধ থাকার ভিত্তিতে মিরাস এটি ইসলামের শুরু যুগে ছিলো যা পরবর্তীতে রহিত হয়ে গেছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• سعة رحمة الله بعباده؛ فهو سبحانه يحب التوبة منهم، والتخفيف عنهم، وأما أهل الشهوات فإنما يريدون بهم ضلالًا عن الهدى.
ক. আল্লাহর রহমত তাঁর বান্দাদের প্রতি অপরিসীম। তাই তিনি তাদের তাওবা ও তাদের বিধানাবলী হালকা করা পছন্দ করেন। আর কুপ্রবৃত্তির অনুসারীরা তাদেরকে হিদায়েতের পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়।

• حفظت الشريعة حقوق الناس؛ فحرمت الاعتداء على الأنفس والأموال والأعراض، ورتبت أعظم العقوبة على ذلك.
খ. মূলতঃ শরীয়ত মানুষের অধিকারসমূহ রক্ষা করেছে। তাই এটি মানুষের জীবন, সম্পদ ও ইজ্জতের উপর আক্রমণ করা হারাম করে দিয়েছে এবং তার উপর কঠিন শাস্তিও আরোপ করেছে।

• الابتعاد عن كبائر الذنوب سبب لدخول الجنة ومغفرة للصغائر.
গ. বড় বড় পাপ থেকে দূরে থাকা জান্নাতে প্রবেশ ও ছোট ছোট গুনাহগুলো ক্ষমার কারণ হয়ে থাকে।

• الرضا بما قسم الله، وترك التطلع لما في يد الناس؛ يُجنِّب المرء الحسد والسخط على قدر الله تعالى.
ঘ. আল্লাহর বন্টনে সন্তুষ্ট থাকা এবং মানুষের হাতে থাকা সম্পদের প্রতি লালায়িত না হওয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আল্লাহর তাকদীরের উপর অসন্তুষ্টি ও হিংসা থেকে দূরে রাখে।

ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا
৩৪. বস্তুতঃ পুরুষরা মহিলাদের নেতৃত্ব দেয় এবং তাদের বিষয়াদির দায়িত্বভার গ্রহণ করে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে মহিলাদের উপর বিশেষ শ্রেষ্ঠত্বের গুণে গুণান্বিত করেছেন। উপরন্তু তিনি পুরুষদের উপর ভরণপোষণ ও দায়িত্বভার গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। তাই নেককার মহিলারা তাদের রব্ব ও তাদের স্বামীর প্রতি আনুগত্যশীল এবং তাদের প্রতি আল্লাহর তাওফীকের দরুন নিজেদের স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাদের প্রতিও যতœশীল হবে। হে স্বামীরা! তোমরা যে স্ত্রীদের কথা ও কাজে তাদের স্বামীদের আনুগত্যের ব্যাপারে অবজ্ঞার আশঙ্কা করো তখন তোমরা তাদেরকে স্বামীদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দাও এবং আল্লাহর ভয় দেখাও। তারা এতে সাড়া না দিলে তাদের বিছানা পরিত্যাগ করো। তথা স্বামী তার স্ত্রীকে পেছনে রেখে শুবে এবং সহবাস হতে বিরত থাকবে। এতেও সাড়া না দিলে তাদেরকে যখম করা ছাড়া মারবে। এতে আনুগত্যের দিকে ফিরে আসলে তাদের প্রতি যুলুম বা তিরস্কার করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বস্তুর উপরে ক্ষমতাবান। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলীতে মহান। তাই তোমরা তাঁকেই ভয় করো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِنۡ خِفۡتُمۡ شِقَاقَ بَيۡنِهِمَا فَٱبۡعَثُواْ حَكَمٗا مِّنۡ أَهۡلِهِۦ وَحَكَمٗا مِّنۡ أَهۡلِهَآ إِن يُرِيدَآ إِصۡلَٰحٗا يُوَفِّقِ ٱللَّهُ بَيۡنَهُمَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرٗا
৩৫. হে স্বামী-স্ত্রীর অভিভাবকরা! তোমরা যদি তাদের মধ্যকার বিরোধটুকু শত্রæতা এবং একে অপরের পেছনে পড়া পর্যন্ত গড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করো তাহলে স্বামীর পরিবারের পক্ষের একজন এবং স্ত্রীর পরিবারের পক্ষের একজন ন্যায়পরায়ণ লোক পাঠাও। যাতে তারা ওদের মাঝে ছাড়াছাড়ি কিংবা সমঝোতার মাধ্যমে লাভজনক ফায়সালা করে। তবে সমঝোতাই হলো উত্তম ও পছন্দনীয়। ফায়সালাকারীদ্বয় সমঝোতা চাইলে এবং উপযুক্ত পন্থা অবলম্বন করলে আল্লাহ তা‘আলা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সমঝোতারই ব্যবস্থা করবেন এবং তাদের বিরোধ মিটে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তাঁর বান্দাদের কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি তাদের অন্তরগুলোর গোপন এবং সূ² ব্যাপারগুলোও ভালোভাবে জানেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
۞ وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡـٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا
৩৬. তোমরা পূর্ণ আনুগত্যসহ এক আল্লাহরই ইবাদাত করো। তাঁর সাথে অন্য কারো ইবাদাত করো না। আর মাতা-পিতার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের প্রতি সম্মান ও কল্যাণের আচরণ করো। তেমনিভাবে নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম ও ফকিরদের প্রতি সদাচরণ করো। আরো সদাচরণ করো নিকটাত্মীয় প্রতিবেশী এবং অনাত্মীয় প্রতিবেশীর সাথে। আরো সদাচরণ করো তোমাদের সার্বক্ষণিক সাথীর প্রতি। তেমনিভাবে সদাচরণ করো অপরিচিত মুসাফিরের প্রতি যার সমূহ চলার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আরো সদাচরণ করো তোমাদের মালিকানাধীন গোলাম-বাঁদির প্রতি। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আত্মম্ভরি ও তাঁর বান্দাদের প্রতি অহঙ্কারী কাউকে ভালোবাসেন না। যে মানুষের নিকট অহঙ্কারবশত নিজের প্রশংসা করে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
ٱلَّذِينَ يَبۡخَلُونَ وَيَأۡمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلۡبُخۡلِ وَيَكۡتُمُونَ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۗ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا
৩৭. আল্লাহ তা‘আলা ওদেরকে ভালোবাসেন না যারা আল্লাহর দেয়া রিযিক থেকে তাদের উপর আরোপিত বাধ্যতামূলক খরচাদি করতে নিষেধ করে এবং কথায় ও কাজে অন্যদেরকেও এর আদেশ করে। উপরন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে রিযিক, জ্ঞান ইত্যাদি যা দান করেছেন তাও লুকিয়ে রাখে। মানুষের কাছে সত্য বর্ণনা করে না বরং তা লুকিয়ে রেখে বাতিলটিই প্রকাশ করে। বস্তুতঃ এ চরিত্রগুলো কুফরি চরিত্র। আর আমি কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাকর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• ثبوت قِوَامة الرجال على النساء بسبب تفضيل الله لهم باختصاصهم بالولايات، وبسبب ما يجب عليهم من الحقوق، وأبرزها النفقة على الزوجة.
ক. এখানে মহিলাদের উপর পুরুষদের কর্তৃত্ব প্রমাণিত হয়েছে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা পুরুষদেরকে কর্তৃত্বের বিশেষত্ব কর্তৃক মহিলাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। যেহেতু তাদের উপর মহিলাদের বিশেষ কিছু অধিকার রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে স্ত্রীর খরচাদি চালানোই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

• التحذير من البغي وظلم المرأة في التأديب بتذكير العبد بقدرة الله عليه وعلوه سبحانه.
খ. মহিলাকে আদব দেয়ার ক্ষেত্রে যুলুম ও অত্যাচারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে বান্দার উপর আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা ও সুউচ্চ মর্যাদার কথাও তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

• التحذير من ذميم الأخلاق، كالكبر والتفاخر والبخل وكتم العلم وعدم تبيينه للناس.
গ. নিন্দনীয় চরিত্রসমূহ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। যেমন: গর্ব ও অহংকার, কৃপণতা এবং জ্ঞানকে লুকিয়ে রেখে মানুষকে তা পরিষ্কারভাবে না বলা।

وَٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمۡ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۗ وَمَن يَكُنِ ٱلشَّيۡطَٰنُ لَهُۥ قَرِينٗا فَسَآءَ قَرِينٗا
৩৮. তেমনিভাবে আমি আযাব প্রস্তুত রেখেছি ওদের জন্য যারা নিজেদের ধন-সম্পদ খরচ করে যেন মানুষ তাদেরকে এমতাবস্থায় দেখে তাদের প্রশংসা করে। অথচ তারা আল্লাহ তা‘আলা ও কিয়ামতের দিবসের উপর ঈমান আনে না। আমি এ জাতীয় মানুষের জন্য লাঞ্ছনাকর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। মূলতঃ শয়তানের অনুসরণই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে। আর শয়তান যার সর্বক্ষণের সাথী হবে সে অবশ্যই একজন নিকৃষ্ট সাথী।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَاذَا عَلَيۡهِمۡ لَوۡ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقَهُمُ ٱللَّهُۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِهِمۡ عَلِيمًا
৩৯. তাদের কী ক্ষতি হতো যদি তারা আল্লাহ তা‘আলা ও কিয়ামতের দিবসের উপর সত্যিকারার্থে ঈমান আনতো এবং নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর পথে নিজেদের সম্পদগুলো ব্যয় করতো। বরং এতেই সমূহ কল্যাণ। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাদের কোন অবস্থাই তাঁর কাছে গোপন নয়। তিনি অচিরেই প্রত্যেককে তার আমলের প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا وَيُؤۡتِ مِن لَّدُنۡهُ أَجۡرًا عَظِيمٗا
৪০. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা ন্যায়পরায়ণ। তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি সামান্যটুকুও যুলুম করেন না। একটি ছোট পিপীলিকা পরিমাণ সাওয়াবও তাদের কম করেন না। এতটুকু পাপ তাদের বাড়িয়ে দেন না। একটি অণু পরিমাণ নেকি হলেও তিনি দয়া করে তার সাওয়াব দিগুণ করেন। এমনকি তা দিগুণ করা সত্তে¡ও তিনি তাঁর পক্ষ থেকে আরো অঢেল সাওয়াব দিয়ে দেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَكَيۡفَ إِذَا جِئۡنَا مِن كُلِّ أُمَّةِۭ بِشَهِيدٖ وَجِئۡنَا بِكَ عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ شَهِيدٗا
৪১. কিয়ামতের দিন তখন কী অবস্থা হবে যখন আমি প্রত্যেক নবীকে তার উম্মতের কর্মকাÐের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নিয়ে আসবো। আর আপনাকে নিয়ে আসবো হে রাসূল! আপনার উম্মতের ব্যাপারে সাক্ষী হওয়ার জন্য।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَوۡمَئِذٖ يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَعَصَوُاْ ٱلرَّسُولَ لَوۡ تُسَوَّىٰ بِهِمُ ٱلۡأَرۡضُ وَلَا يَكۡتُمُونَ ٱللَّهَ حَدِيثٗا
৪২. যারা আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয়েছে তারা সেই মহান দিনে চাইবে, তারা যদি মাটি হয়ে যেতো তাহলে তারা ও জমিন সমান হয়ে যেতো। সেদিন তারা আল্লাহর কাছ থেকে নিজেদের কর্মকাÐের কোন কিছুই লুকিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা সেদিন তাদের জিহŸার উপর মোহর মেরে দিবেন তখন সে জিহŸা আর কোন কথাই বলতে পারবে না। আর তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অনুমতি দিবেন তখন সেগুলো তাদের বিরুদ্ধে তাদের আমলের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَقۡرَبُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنتُمۡ سُكَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَعۡلَمُواْ مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغۡتَسِلُواْۚ وَإِن كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا فَٱمۡسَحُواْ بِوُجُوهِكُمۡ وَأَيۡدِيكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
৪৩. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাত আদায় করো না। যতক্ষণ না তোমাদের হুঁশ ফিরে আসে এবং নিজেদের কথাগুলো পার্থক্য করতে পারো। এ বিধানটি ছিলো সম্পূর্ণরূপে মদ হারাম হওয়ার পূর্বে। আর অপবিত্র অবস্থায়ও তোমরা সালাত আদায় করো না। এমনকি সে অবস্থায় গোসল না করে মসজিদেও প্রবেশ করো না। তবে মসজিদে অবস্থান না করে পথ অতিক্রম করাতে কোন অসুবিধে নেই। আর যদি তোমাদের এমন কোন রোগ হয় যার দরুন পানি ব্যবহার সম্ভব না নয় অথবা তোমরা মুসাফির হয়ে থাকো কিংবা তোমাদের কারো ওযু নষ্ট হয়ে যায় অথবা তোমরা স্ত্রী সহবাস করে বসো আর তখন তোমরা পানি না পাও তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি ব্যবহারের ইচ্ছা পোষণ করো। তখন তোমরা তা দিয়ে নিজেদের চেহারা ও হাতগুলো মাসেহ করে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ত্রæটিগুলো ক্ষমাকারী ও তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُواْ نَصِيبٗا مِّنَ ٱلۡكِتَٰبِ يَشۡتَرُونَ ٱلضَّلَٰلَةَ وَيُرِيدُونَ أَن تَضِلُّواْ ٱلسَّبِيلَ
৪৪. হে রাসূল! আপনি কি ইহুদিদের কর্মকাÐ সম্পর্কে অবহিত নন যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তাওরাতের আংশিক জ্ঞান দিয়েছেন; অথচ তারা হিদায়েতের পরিবর্তে ভ্রষ্টতাকে গ্রহণ করে। আর হে মু’মিনরা! তারা রাসূল আনীত সরল পথ থেকে তোমাদেরকে ভ্রষ্ট করতে উৎসাহী। যাতে তোমরা তাদের বাঁকা পথে চলো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• من كمال عدله تعالى وتمام رحمته أنه لا يظلم عباده شيئًا مهما كان قليلًا، ويتفضل عليهم بمضاعفة حسناتهم.
ক. আল্লাহর পরিপূর্ণ ইনসাফ ও পরিপূর্ণ রহমতের একটি নিদর্শন হলো তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি এতটুকুও যুলুম করেন না। চাই তা যত সামান্যই হোক না কেন। বরং তিনি তাদের নেকিগুলো দিগুণের মাধ্যমে তাদের উপর দয়া করেন।

• من شدة هول يوم القيامة وعظم ما ينتظر الكافر يتمنى أن يكون ترابًا.
খ. কিয়ামতের দিনের কঠিন ভয়াবহতা এবং কাফিরের দীর্ঘ অপেক্ষার দরুন সে মাটি হওয়ার আকাক্সক্ষা পোষণ করবে।

• الجنابة تمنع من الصلاة والبقاء في المسجد، ولا بأس من المرور به دون مُكْث فيه.
গ. জানাবাত তথা গোসল ফরয হলে সে অবস্থায় সালাত আদায় করা যাবে না এবং মসজিদেও অবস্থান করা যাবে না। তবে মসজিদে অবস্থান না করে তার উপর দিয়ে পথ অতিক্রম করায় কোন অসুবিধে নেই।

• تيسير الله على عباده بمشروعية التيمم عند فقد الماء أو عدم القدرة على استعماله.
ঘ. পানি না পেলে অথবা তা ব্যবহার করতে সক্ষম না হলে তায়াম্মুমের বিধানের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের উপর ব্যাপারটিকে সহজ করে দিয়েছেন।

وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِأَعۡدَآئِكُمۡۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَلِيّٗا وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ نَصِيرٗا
৪৫. হে মু’মিনরা! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের শত্রæদের সম্পর্কে তোমাদের চাইতে বেশি অবগত। তাই তিনি তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন এবং তাদের শত্রæতার ব্যাপারটিও তোমাদের সামনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন। তাই অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাদেরকে তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন। তেমনিভাবে সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাদেরকে তাদের ষড়যন্ত্র ও কষ্ট দেয়া থেকে রক্ষা করবেন। উপরন্তু তিনি তোমাদেরকে তাদের উপর জয়ী করবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَيَقُولُونَ سَمِعۡنَا وَعَصَيۡنَا وَٱسۡمَعۡ غَيۡرَ مُسۡمَعٖ وَرَٰعِنَا لَيَّۢا بِأَلۡسِنَتِهِمۡ وَطَعۡنٗا فِي ٱلدِّينِۚ وَلَوۡ أَنَّهُمۡ قَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَا وَٱسۡمَعۡ وَٱنظُرۡنَا لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ وَأَقۡوَمَ وَلَٰكِن لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفۡرِهِمۡ فَلَا يُؤۡمِنُونَ إِلَّا قَلِيلٗا
৪৬. ইহুদিদের মাঝে একটি নিকৃষ্ট সম্প্রদায় রয়েছে যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বাণীকে পরিবর্তন করে। তারা আল্লাহর নাযিলকৃত উদ্দেশ্যের বিপরীতে তার ব্যাখ্যা দেয়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন তাদেরকে কোন কিছুর আদেশ করেন তখন তারা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলে: আমরা আপনার কথা শুনেছি ও আপনার আদেশ অমান্য করেছি। তারা ঠাট্টাচ্ছলে আরো বলে: আপনি আমাদের কথা শুনুন। আপনি যেন না শুনেন! তারা رَاعِنَا “রা-য়িনা” বলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে এ ধারণা দিতে চাচ্ছে যে, তারা বুঝাচ্ছে আপনি আমাদের কথা শুনুন। অথচ তারা এর মাধ্যমে রুক্ষতার অর্থই বুঝাচ্ছে। তারা এ শব্দটি বলতে গিয়ে নিজেদের জিহŸাগুলোকে একটু বাঁকা করে বলে। তারা এর মাধ্যমে মূলতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর বদদু‘আ করে এবং ধর্মকে আঘাত করার ইচ্ছা পোষণ করে। তারা যদি এ কথা তথা “আমরা আপনার কথা শুনেছি ও আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছি” এর পরিবর্তে বলতো: “আমরা আপনার কথা শুনেছি এবং আপনার আদেশ মেনে নিয়েছি”। তেমনিভাবে এ কথা তথা “আপনি শুনুন, আপনি যেন না শুনেন!” এর পরিবর্তে বলতো: “আপনি আমাদের কথা শুনুন”। অনুরূপভাবে এ কথা তথা “আপনি আমাদের সাথে রুক্ষতার আচরণ করুন” এর পরিবর্তে “আপনি একটু অপেক্ষা করুন; আমরা যেন আপনার কথাটুকু বুঝতে পারি” তাহলে তা তাদের পূর্বের কথা থেকে তাদের জন্য অনেক ইনসাফপূর্ণ ও কল্যাণকর হতো। কারণ, তাতে রয়েছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সম্মানের উপযুক্ত উত্তম শিষ্টাচার। তবে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে লা’নত করেছেন এবং তাদের কুফরির দরুন তাদেরকে তাঁর রহমত থেকে বিতাড়িত করেছেন। তাই তারা তাদের জন্য লাভজনক এমন কোন ঈমান আনেনি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ ءَامِنُواْ بِمَا نَزَّلۡنَا مُصَدِّقٗا لِّمَا مَعَكُم مِّن قَبۡلِ أَن نَّطۡمِسَ وُجُوهٗا فَنَرُدَّهَا عَلَىٰٓ أَدۡبَارِهَآ أَوۡ نَلۡعَنَهُمۡ كَمَا لَعَنَّآ أَصۡحَٰبَ ٱلسَّبۡتِۚ وَكَانَ أَمۡرُ ٱللَّهِ مَفۡعُولًا
৪৭. হে কিতাবধারী ইহুদি ও খ্রিস্টানরা! আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর যা নাযিল করেছি তার উপর তোমরা ঈমান আনো। যা তোমাদের নিকটে থাকা তাওরাত ও ইঞ্জীলের সত্যায়নকারী হিসেবে এসেছে। সে সময় আসার আগে যখন আমি চেহারায় থাকা ইন্দ্রীয়গুলোকে মুছে সেগুলোকে তাদের পেছন দিকে দিয়ে দেবো অথবা তাদেরকে আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করবো যেমনিভাবে আমি তা থেকে বিতাড়িত করেছি শনিবার ওয়ালাদেরকে যাদেরকে শনিবারে শিকার করতে নিষেধ করার পরও তাতে তারা শিকার করে হঠকারিতা দেখিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বানররূপে বিকৃত করেছেন। বস্তুতঃ তাঁর আদেশ ও তাকদীর অবশ্যম্ভাবী।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفۡتَرَىٰٓ إِثۡمًا عَظِيمًا
৪৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টিসমূহের কোন কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে তিনি শিরক ও কুফরির নিচের গুনাহসমূহ যার জন্য চান তাঁর অনুগ্রহে ক্ষমা করবেন অথবা তাদের মধ্যকার যাদেরকে চান তাঁর ইনসাফ অনুযায়ী তাদের গুনাহসমূহের সমপরিমাণ শাস্তি দিবেন। বস্তুতঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করবে সে যেন এক মহা পাপ রচনা করলো যার উপর মারা গেলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنفُسَهُمۚ بَلِ ٱللَّهُ يُزَكِّي مَن يَشَآءُ وَلَا يُظۡلَمُونَ فَتِيلًا
৪৯. হে রাসূল! আপনি কি ওদের ব্যাপারে অবহিত নন যারা নিজেদের ও নিজেদের কর্মের পরিশুদ্ধতার প্রশংসা করে? বরং একমাত্র আল্লাহই তাঁর বান্দাদের যাদেরকে চান তাদের প্রশংসা করেন ও তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন। কারণ, তিনি নিশ্চয়ই অন্তরের লুক্কায়িত ব্যাপারসমূহ জানেন। বস্তুতঃ তাদের আমলসমূহের সাওয়াব কখনো কোন কিছুতেই ঘাটতি করা হবে না। যদিও তা খেজুরের দানার মধ্যকার সুতার সমপরিমাণ হোক না কেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
ٱنظُرۡ كَيۡفَ يَفۡتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَۖ وَكَفَىٰ بِهِۦٓ إِثۡمٗا مُّبِينًا
৫০. হে রাসূল! আপনি দেখুন, কিভাবে তারা নিজেদের ব্যাপারে প্রশংসার মাধ্যমে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রচনা করে! এটিই তাদের ভ্রষ্টতার ব্যাপারে সুস্পষ্ট পাপ হিসেবে যথেষ্ট।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُواْ نَصِيبٗا مِّنَ ٱلۡكِتَٰبِ يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡجِبۡتِ وَٱلطَّٰغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ هَٰٓؤُلَآءِ أَهۡدَىٰ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ سَبِيلًا
৫১. হে রাসূল! আপনি কি অবগত নন এবং ইহুদিদের অবস্থা দেখে আশ্চর্য হন না যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা কিছুটা জ্ঞান দিয়েছেন। অথচ তারা আল্লাহ ছাড়া নিজেদের বানানো মা’বূদগুলোর উপর ঈমান আনে ও মুশরিকদের সাথে তাল মিলিয়ে বলে: নিশ্চয়ই তারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথীদের চাইতেও বেশি সঠিক পথপ্রাপ্ত?!
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• كفاية الله للمؤمنين ونصره لهم تغنيهم عما سواه.
ক. আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের সাহায্যের জন্য যথেষ্ট। যা তাদেরকে অন্যের প্রতি অমুখাপেক্ষী করে তোলে।

• بيان جرائم اليهود، كتحريفهم كلام الله، وسوء أدبهم مع رسوله صلى الله عليه وسلم، وتحاكمهم إلى غير شرعه سبحانه.
খ. ইহুদিদের অপরাধসমূহের বর্ণনা। যেমন: আল্লাহর বাণীকে বিকৃত করা, তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে তাদের বেআদবী এবং আল্লাহর শরীয়ত ছাড়া অন্য কিছুর নিকট তাদের বিচার প্রার্থনা।

• بيان خطر الشرك والكفر، وأنه لا يُغْفر لصاحبه إذا مات عليه، وأما ما دون ذلك فهو تحت مشيئة الله تعالى.
গ. শিরক ও কুফরির ভয়ানকতার বর্ণনা। এতদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তা নিয়ে মারা গেলে তাকে নিশ্চয়ই ক্ষমা করা হবে না। আর এর নিচের সব কিছু আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাধীন।

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُۖ وَمَن يَلۡعَنِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ نَصِيرًا
৫২. যারা এ নিকৃষ্ট বিশ্বাসে বিশ্বাসী তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রহমত থেকে বিতাড়িত করেন। আর আল্লাহ যাকে বিতাড়িত করেন আপনি তার কোন সাহায্যকারী অভিভাবক কখনোই খুঁজে পাবেন না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَمۡ لَهُمۡ نَصِيبٞ مِّنَ ٱلۡمُلۡكِ فَإِذٗا لَّا يُؤۡتُونَ ٱلنَّاسَ نَقِيرًا
৫৩. মালিকানায় তাদের কোন অংশীদারিত্ব নেই। যদি তারা এমন কিছুর মালিক হতো তাহলে তারা কাউকেই কোন কিছু দিতো না। যদিও তা খেজুরের দানার পিঠের বিন্দু সমপরিমাণ হোক না কেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَمۡ يَحۡسُدُونَ ٱلنَّاسَ عَلَىٰ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۖ فَقَدۡ ءَاتَيۡنَآ ءَالَ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَءَاتَيۡنَٰهُم مُّلۡكًا عَظِيمٗا
৫৪. বরং তারা আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর সাথীদেরকে যে নবুওয়াত, ঈমান ও জমিনের মাঝে কর্তৃত্ব দিয়েছেন তার উপর হিংসা করে। তারা কেন ওদের সাথে হিংসা করে; অথচ আমি ইতোপূর্বে ইব্রাহীমের সন্তানদেরকে নাযিলকৃত কিতাব ও কিতাব ছাড়া যা তাদেরকে ওহী করেছি তা দিয়েছি। আর তাদেরকে দিয়েছি মানুষের উপর এক বিস্তৃত ক্ষমতা?!
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَمِنۡهُم مَّنۡ ءَامَنَ بِهِۦ وَمِنۡهُم مَّن صَدَّ عَنۡهُۚ وَكَفَىٰ بِجَهَنَّمَ سَعِيرًا
৫৫. আহলে কিতাবের কেউ কেউ ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) ও তাঁর সন্তনদের মধ্যকার অন্যান্য নবীদের উপর আল্লাহ তা‘আলা যা নাযিল করেছেন তার উপর ঈমান এনেছে। আবার তাদের কেউ কেউ এগুলোর উপর ঈমান আনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটিই নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর নাযিলকৃত কিতাবের প্রতি তাদের অবস্থান। বস্তুতঃ আগুনই তাদের মধ্যকার কাফিরের উপযুক্ত শাস্তি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِـَٔايَٰتِنَا سَوۡفَ نُصۡلِيهِمۡ نَارٗا كُلَّمَا نَضِجَتۡ جُلُودُهُم بَدَّلۡنَٰهُمۡ جُلُودًا غَيۡرَهَا لِيَذُوقُواْ ٱلۡعَذَابَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمٗا
৫৬. যারা আমার আয়াতগুলোর সাথে কুফরি করেছে অচিরেই আমি তাদেরকে কিয়ামতের দিন এমন আগুনে প্রবেশ করাবো যা তাদেরকে বেষ্টন করে রাখবে। যখনই তা তাদের চামড়াগুলোকে জ্বালিয়ে দিবে তখনই আমি তাদেরকে এ চামড়াগুলো ছাড়া অন্য চামড়া দিয়ে বদলিয়ে দেবো। যাতে তাদের শাস্তি লাগাতার চলতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা পরাক্রমশালী। কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। তিনি তাঁর পরিচালনা ও ফায়সালায় প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَنُدۡخِلُهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ لَّهُمۡ فِيهَآ أَزۡوَٰجٞ مُّطَهَّرَةٞۖ وَنُدۡخِلُهُمۡ ظِلّٗا ظَلِيلًا
৫৭. যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ করেছে এবং তাঁদের আনুগত্য বা নেক আমল করেছে আমি অচিরেই তাদেরকে কিয়ামতের দিন এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবো যার অট্টালিকাসমূহের তলদেশ দিয়ে অনেকগুলো নদী প্রবাহিত। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। এ জান্নাতগুলোতে তাদের জন্য রয়েছে এমন স্ত্রীসমূহ যারা সকল প্রকারের আবর্জনা থেকে পবিত্র। আমি অচিরেই তাদেরকে এমন ছায়ায় প্রবেশ করাবো যা ঘন ও দীর্ঘায়িত যাতে কোন ধরনের উত্তাপ ও শীত নেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
۞ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُكُمۡ أَن تُؤَدُّواْ ٱلۡأَمَٰنَٰتِ إِلَىٰٓ أَهۡلِهَا وَإِذَا حَكَمۡتُم بَيۡنَ ٱلنَّاسِ أَن تَحۡكُمُواْ بِٱلۡعَدۡلِۚ إِنَّ ٱللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ سَمِيعَۢا بَصِيرٗا
৫৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে আদেশ করছেন আমানতগুলো তাদের মালিকদের নিকট পৌঁছিয়ে দিতে। তেমনিভাবে তিনি তোমাদেরকে আদেশ করছেন মানুষের মাঝে ফায়সালা করার সময় তাদের প্রতি ইনসাফ করতে। আর বিচারের ক্ষেত্রে কারো প্রতি দুর্বলতা না দেখাতে ও যুলুম না করতে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সর্বাবস্থায় তোমাদেরকে যা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ও যার প্রতি পথ প্রদর্শন করছেন তা খুবই চমৎকার। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সকল কথা শুনছেন ও তোমাদের সকল কর্মকাÐ দেখছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا
৫৯. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা আদেশ-নিষেধ মান্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের উপরস্থ বা দায়িত্বশীলদেরও আনুগত্য করো। যতক্ষণ না তারা কোন পাপের আদেশ করে। অতঃপর কোন ব্যাপারে তোমরা পরস্পর মতভেদ করলে সে ক্ষেত্রে তোমরা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নাতের দিকে ফিরে যাও। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান এনে থাকো। কিতাব ও সুন্নাতের দিকে এ প্রত্যাবর্তন অনেক উত্তম মতপার্থক্য ও নিজেদের মতের ভিত্তিতে কথা বলায় অটল থাকার চাইতে। যা তোমাদের পরিণতির দিক থেকেও সুন্দর ও চমৎকার।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• من أعظم أسباب كفر أهل الكتاب حسدهم المؤمنين على ما أنعم الله به عليهم من النبوة والتمكين في الأرض.
ক. আহলে কিতাবের কুফরির অন্যতম বড় কারণ হলো আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে নবুওয়াত ও জমিনের মাঝে কর্তৃত্বের যে নিয়ামত দিয়েছেন তা নিয়ে তাদের হিংসা করা।

• الأمر بمكارم الأخلاق من المحافظة على الأمانات، والحكم بالعدل.
খ. মর্যাদাপূর্ণ চরিত্রসমূহের আদেশ যেমন: আমানতের হিফাযত ও ইনসাফ ভিত্তিক বিচার-ফায়সালা।

• وجوب طاعة ولاة الأمر ما لم يأمروا بمعصية، والرجوع عند التنازع إلى حكم الله ورسوله صلى الله عليه وسلم تحقيقًا لمعنى الإيمان.
গ. উপরস্থ বা কর্তা ব্যক্তিদের আনুগত্য করা ওয়াজিব। যতক্ষণ না তারা কোন গুনাহের আদেশ করে। আর দ্ব›েদ্বর সময় ঈমানের মর্ম বাস্তবায়নার্থে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়সালার দিকে ফিরে আসা।

أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يَزۡعُمُونَ أَنَّهُمۡ ءَامَنُواْ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓاْ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدۡ أُمِرُوٓاْ أَن يَكۡفُرُواْ بِهِۦۖ وَيُرِيدُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَن يُضِلَّهُمۡ ضَلَٰلَۢا بَعِيدٗا
৬০. হে রাসূল! আপনি কি ইহুদিদের মধ্যকার মুনাফিকদের বৈপরীত্য দেখতে পাননি যারা মিথ্যাভাবে দাবি করে যে, তারা আপনার উপর নাযিলকৃত এবং আপনার পূর্বের রাসূলদের উপর নাযিলকৃত কিতাবসমূহের উপর ঈমান এনেছে। তারা নিজেদের দ্ব›দ্বপূর্ণ বিষয়াদিতে আল্লাহর শরীয়ত বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধানের ফায়সালা নিতে চায়। অথচ তাদেরকে আদেশ করা হয়েছে তা অস্বীকার করতে। বস্তুতঃ শয়তান চায় সত্য থেকে অনেক অনেক দূরে সরিয়ে দিতে। যাতে তারা হিদায়েত না পায়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَإِلَى ٱلرَّسُولِ رَأَيۡتَ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ يَصُدُّونَ عَنكَ صُدُودٗا
৬১. যখন এ মুনাফিকদেরকে বলা হয়, তোমরা আল্লাহ তাঁর কিতাবে যে বিধান নাযিল করেছেন তার দিকে ও রাসূলের দিকে চলে এসো। যাতে তিনি তোমাদের মাঝে তোমাদের বিবাদের ফায়সালা করে দিতে পারেন। তখন হে রাসূল! আপনি তাদেরকে দেখবেন, তারা আপনার থেকে সম্পূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যের নিকট ফায়সালার জন্য যায়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَكَيۡفَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةُۢ بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيهِمۡ ثُمَّ جَآءُوكَ يَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ إِنۡ أَرَدۡنَآ إِلَّآ إِحۡسَٰنٗا وَتَوۡفِيقًا
৬২. মুনাফিকদের অবস্থা কী হবে যখন পাপসমূহে লিপ্ত হওয়ার দরুন তাদের উপর বিপদসমূহ নেমে আসবে অতঃপর হে রাসূল! তারা আপনার নিকট এসে ওজর পেশ করে আল্লাহর উপর এ কসম খায় যে, আমরা আপনি ছাড়া অন্যের নিকট বিচার-ফায়সালা চাওয়ার মাধ্যমে কেবল দ্ব›দ্বকারী দু’ পক্ষের মাঝে সমঝোতা ও দয়া ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছিলাম?! অথচ তারা এ ব্যাপারে মিথ্যুক। কারণ, দয়া শুধু আল্লাহর বান্দাদের উপর তাঁর শরীয়ত বাস্তবায়নের মধ্যেই নিহিত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُ ٱللَّهُ مَا فِي قُلُوبِهِمۡ فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَعِظۡهُمۡ وَقُل لَّهُمۡ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَوۡلَۢا بَلِيغٗا
৬৩. এদের অন্তরগুলোতে যে মুনাফিকী ও নিকৃষ্ট ইচ্ছা লুক্কায়িত আছে আল্লাহ তা‘আলা তা ভালোই জানেন। তাই আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন এবং তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন হে রাসূল! আর আশা ও ভয় দেখিয়ে তাদেরকে আল্লাহর বিধানটুকু সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। আর তাদের অন্তরে প্রবেশ করে মতো তাদের সাথে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বাক্য বলুন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ وَلَوۡ أَنَّهُمۡ إِذ ظَّلَمُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ جَآءُوكَ فَٱسۡتَغۡفَرُواْ ٱللَّهَ وَٱسۡتَغۡفَرَ لَهُمُ ٱلرَّسُولُ لَوَجَدُواْ ٱللَّهَ تَوَّابٗا رَّحِيمٗا
৬৪. আমি যে রাসূলই পাঠিয়ে থাকি না কেন তাকে এ জন্যই পাঠিয়েছি যেন আল্লাহর ইচ্ছা ও তাকদীরের ভিত্তিতে তাঁর আদেশ মান্য করা হয়। তারা যখন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজেদের উপর অত্যাচার করে বসেছে তখন যদি তারা হে রাসূল! আপনার নিকট এসে আপনার জীবদ্দশায় গুনাহের কথা স্বীকার করে লজ্জিত ও তাওবারত অবস্থায় আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতো এবং আপনিও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন তাহলে তারা অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলাকে তাওবা গ্রহণকারী ও দয়ালু হিসাবে পেতো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا
৬৫. ব্যাপারটি তেমন নয় যা এ মুনাফিকরা ধারণা করেছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সত্তার কসম খেয়ে বলেন, নিশ্চয়ই তারা সত্যিকার বিশ্বাসী হতে পারবে না যতক্ষণ না তারা তাদের সকল মতপার্থক্যের বিষয়ে রাসূলের জীবদ্দশায় তাঁর নিকট এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর শরীয়তের নিকট ফায়সালা কামনা করে। এরপর তারা রাসূলের ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকে। উপরন্তু তাদের অন্তরে এ ব্যাপারে কোন সংশয় ও সঙ্কীর্ণতা না থাকে এবং তারা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য আনুগত্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে তার সামনে আত্মসমর্পণ করে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• الاحتكام إلى غير شرع الله والرضا به مناقض للإيمان بالله تعالى، ولا يكون الإيمان التام إلا بالاحتكام إلى الشرع، مع رضا القلب والتسليم الظاهر والباطن بما يحكم به الشرع.
ক. আল্লাহর শরীয়ত ছাড়া অন্য কিছুর নিকট বিচার-ফায়সালা কামনা করা ও তার উপর সন্তুষ্ট থাকা আল্লাহর উপর ঈমান বিধ্বংসী। শরীয়তের নিকট বিচার-ফায়সালা কামনা করা এবং শরীয়ত যা ফায়সালা করেছে তা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয়াসহ তার সামনে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য আত্মসমর্পণ করা ব্যতীত পরিপূর্ণ ঈমানের দাবি করা অসম্ভব।

• من أبرز صفات المنافقين عدم الرضا بشرع الله، وتقديم حكم الطواغيت على حكم الله تعالى.
খ. মুনাফিকদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহর শরীয়তের উপর সন্তুষ্ট না থাকা ও আল্লাহর ফায়সালার উপর তাগূতদের ফায়সালাকে অগ্রাধিকার দেয়া।

• النَّدْب إلى الإعراض عن أهل الجهل والضلالات، مع المبالغة في نصحهم وتخويفهم من الله تعالى.
গ. মূর্খ ও পথভ্রষ্টদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রতি আহŸান। তবে তাদেরকে প্রচুর উপদেশ ও আল্লাহর ভয় দেখাতে হবে।

وَلَوۡ أَنَّا كَتَبۡنَا عَلَيۡهِمۡ أَنِ ٱقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ أَوِ ٱخۡرُجُواْ مِن دِيَٰرِكُم مَّا فَعَلُوهُ إِلَّا قَلِيلٞ مِّنۡهُمۡۖ وَلَوۡ أَنَّهُمۡ فَعَلُواْ مَا يُوعَظُونَ بِهِۦ لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ وَأَشَدَّ تَثۡبِيتٗا
৬৬-৬৮. যদি আমি তাদের উপর একে অপরকে হত্যা করা অথবা তাদের ঘরসমূহ থেকে বের হওয়া ফরয করে দিতাম তাদের কিছু সংখ্যক ছাড়া কেউই আমার আদেশ মানতো না। তাই তারা যেন এ ব্যাপারে আল্লাহর প্রশংসা করে যে, তিনি তাদের উপর কঠিন কোন কিছু চাপিয়ে দেননি। যদি তারা আল্লাহর আনুগত্যের উপদেশ মাফিক কাজ করতো তাহলে তা বিরুদ্ধাচরণের চেয়ে অনেক উত্তম ও তাদের ঈমান আরো পরিপক্ক হতো। আর আমি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান দিতাম এবং তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর জান্নাতের দিকে পৌঁছিয়ে দেয় এমন পথে চলার তাওফীক দিতাম।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِذٗا لَّأٓتَيۡنَٰهُم مِّن لَّدُنَّآ أَجۡرًا عَظِيمٗا
৬৬-৬৮. যদি আমি তাদের উপর একে অপরকে হত্যা করা অথবা তাদের ঘরসমূহ থেকে বের হওয়া ফরয করে দিতাম তাদের কিছু সংখ্যক ছাড়া কেউই আমার আদেশ মানতো না। তাই তারা যেন এ ব্যাপারে আল্লাহর প্রশংসা করে যে, তিনি তাদের উপর কঠিন কোন কিছু চাপিয়ে দেননি। যদি তারা আল্লাহর আনুগত্যের উপদেশ মাফিক কাজ করতো তাহলে তা বিরুদ্ধাচরণের চেয়ে অনেক উত্তম ও তাদের ঈমান আরো পরিপক্ক হতো। আর আমি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান দিতাম এবং তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর জান্নাতের দিকে পৌঁছিয়ে দেয় এমন পথে চলার তাওফীক দিতাম।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَهَدَيۡنَٰهُمۡ صِرَٰطٗا مُّسۡتَقِيمٗا
৬৬-৬৮. যদি আমি তাদের উপর একে অপরকে হত্যা করা অথবা তাদের ঘরসমূহ থেকে বের হওয়া ফরয করে দিতাম তাদের কিছু সংখ্যক ছাড়া কেউই আমার আদেশ মানতো না। তাই তারা যেন এ ব্যাপারে আল্লাহর প্রশংসা করে যে, তিনি তাদের উপর কঠিন কোন কিছু চাপিয়ে দেননি। যদি তারা আল্লাহর আনুগত্যের উপদেশ মাফিক কাজ করতো তাহলে তা বিরুদ্ধাচরণের চেয়ে অনেক উত্তম ও তাদের ঈমান আরো পরিপক্ক হতো। আর আমি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান দিতাম এবং তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর জান্নাতের দিকে পৌঁছিয়ে দেয় এমন পথে চলার তাওফীক দিতাম।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَعَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ وَٱلصِّدِّيقِينَ وَٱلشُّهَدَآءِ وَٱلصَّٰلِحِينَۚ وَحَسُنَ أُوْلَٰٓئِكَ رَفِيقٗا
৬৯. যে আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে সে ওদের সাথে থাকবে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে প্রবেশের নিয়ামত দিয়েছেন। তাঁরা হলেন আম্বিয়ায়ে কিরাম, সিদ্দীকীন যাদের বিশ্বাস রাসূলদের আনীত বিধি-বিধানের উপর পরিপূর্ণতা লাভ করেছে এবং তারা তার উপর আমল করেছে, শহীদগণ যাদেরকে আল্লাহর পথে হত্যা করা হয়েছে এবং নেককারগণ যাদের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য পরিশুদ্ধ তাই তাদের আমলগুলোও পরিশুদ্ধ। কতো চমৎকারই না জান্নাতের এ সাথীরা।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
ذَٰلِكَ ٱلۡفَضۡلُ مِنَ ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ عَلِيمٗا
৭০. উক্ত সাওয়াবটুকু আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাদের উপর এক ধরনের বিশেষ অনুগ্রহ। আল্লাহ তা‘আলা তাদের অবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞানী এবং অচিরেই তিনি প্রত্যেককে তার আমলের প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ خُذُواْ حِذۡرَكُمۡ فَٱنفِرُواْ ثُبَاتٍ أَوِ ٱنفِرُواْ جَمِيعٗا
৭১. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা নিজেদের শত্রæর ব্যাপারে যুদ্ধের সহযোগী উপরকরণসমূহ গ্রহণের মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করো। তোমরা তাদের দিকে দলে দলে বের হও অথবা একত্রে বের হও তা তোমাদের সুবিধা অনুযায়ী এবং তোমাদের শত্রæদেরকে ঘায়েল করার লক্ষেই হতে হবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِنَّ مِنكُمۡ لَمَن لَّيُبَطِّئَنَّ فَإِنۡ أَصَٰبَتۡكُم مُّصِيبَةٞ قَالَ قَدۡ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَيَّ إِذۡ لَمۡ أَكُن مَّعَهُمۡ شَهِيدٗا
৭২. হে মুসলমানরা! তোমাদের মধ্যকার কিছু কিছু সম্প্রদায় কাপুরুষতার দরুন তোমাদের শত্রæদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য বের হতে গড়িমসি করে এবং অন্যদেরকেও গড়িমসি করায় উৎসাহিত করে। তারা মূলতঃ মুনাফিক ও দুর্বল ঈমানদার। যদি তোমরা হত্যা কিংবা পরাজয়ের শিকার হও তখন তাদের কেউ কেউ নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুশি হয়ে বলে: আল্লাহ আমার উপর অনুগ্রহ করেছেন বলে আমি তাদের সাথে যুদ্ধে উপস্থিত হইনি। তা না হলে তাদের ব্যাপারে যা ঘটেছে তা আমার ব্যাপারেও ঘটতো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَئِنۡ أَصَٰبَكُمۡ فَضۡلٞ مِّنَ ٱللَّهِ لَيَقُولَنَّ كَأَن لَّمۡ تَكُنۢ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُۥ مَوَدَّةٞ يَٰلَيۡتَنِي كُنتُ مَعَهُمۡ فَأَفُوزَ فَوۡزًا عَظِيمٗا
৭৩. হে মুসলমানরা! যদি আল্লাহর সাহায্য ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের মাধ্যমে তোমাদের নিকট তাঁর কোন অনুগ্রহ পৌঁছায় তখন জিহাদে পিছে থাকা লোকটি - যেন সে তোমাদের কেউ নয় এবং তোমাদের ও তার মাঝে কোন ভালোবাসা ও সাহচর্যই ছিলো না - অবশ্যই বলবে: হায় আপসোস! আমি যদি তাদের সাথে এ যুদ্ধে থাকতাম তাহলে তারা যা পেয়ে সার্থক হয়েছে আমিও তার বিরাট একটি অংশ পেয়ে সার্থক হতে পারতাম।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
۞ فَلۡيُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشۡرُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا بِٱلۡأٓخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقۡتَلۡ أَوۡ يَغۡلِبۡ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا
৭৪. তাই আল্লাহর পথে তাঁর বাণীকে সুউচ্চ করার জন্য সত্যবাদী মু’মিনরা যেন যুদ্ধ করে। যারা দুনিয়ার জীবনকে অনীহা ভরে বিক্রি করে দেয় আখিরাতের আশা নিয়ে। যে আল্লাহর পথে তাঁর বাণীকে সুউচ্চ করার জন্য যুদ্ধ করে শহীদ হয়ে যায় অথবা শত্রæর উপর জয়ী হয়ে তাকে গোলাম হিসেবে পেয়ে সার্থক হয় আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই তাকে মহা সাওয়াব তথা জান্নাত ও তাঁর সন্তুষ্টি দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• فعل الطاعات من أهم أسباب الثبات على الدين.
ক. আল্লাহর আনুগত্য ও নেকীর কাজ করা ধর্মের উপর অটলতার একটি বিশেষ উপকরণ।

• أخذ الحيطة والحذر باتخاذ جميع الأسباب المعينة على قتال العدو، لا بالقعود والتخاذل.
খ. শত্রæর সাথে যুদ্ধের সহযোগী সকল উপকরণ গ্রহণ করার মাধ্যমেই বস্তুতঃ সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। তা না করে শুধু বসে থেকে ও অসহযোগিতা করে নয়।

• الحذر من التباطؤ عن الجهاد وتثبيط الناس عنه؛ لأن الجهاد أعظم أسباب عزة المسلمين ومنع تسلط العدو عليهم.
গ. জিহাদ করতে গড়িমসি করা ও মানুষকে পিছপা করার ব্যাপারে সতর্ক থাকা। কারণ, জিহাদ হলো মুসলমানদের উজ্জত বাড়ানো ও তাদের উপর শত্রæর হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করার একটি মহৎ উপকরণ।

وَمَا لَكُمۡ لَا تُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ أَخۡرِجۡنَا مِنۡ هَٰذِهِ ٱلۡقَرۡيَةِ ٱلظَّالِمِ أَهۡلُهَا وَٱجۡعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيّٗا وَٱجۡعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
৭৫. হে মু’মিনরা! আল্লাহর বাণীকে সুউচ্চ করতে এবং নিরুপায় পুরুষ, মহিলা ও বাচ্চাদেরকে রক্ষা করার জন্য তাঁর পথে যুদ্ধ করায় তোমাদের বাধা কোথায়। যারা আল্লাহকে ডেকে বলে: হে আমাদের রব্ব! আপনি আমাদেরকে মক্কা থেকে বের করে নিন। কারণ, এর অধিবাসীরা আল্লাহর সাথে শিরক করে এবং তাঁর বান্দাদের উপর অত্যাচার করে। আর আপনি নিজ পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এমন ব্যক্তি নিযুক্ত করুন যে আমাদের ব্যাপারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। এমন সাহায্যকারী নিযুক্ত করুন যে আমাদের উপর থেকে ক্ষতির প্রতিরোধ করবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱلطَّٰغُوتِ فَقَٰتِلُوٓاْ أَوۡلِيَآءَ ٱلشَّيۡطَٰنِۖ إِنَّ كَيۡدَ ٱلشَّيۡطَٰنِ كَانَ ضَعِيفًا
৭৬. সত্যবাদী মু’মিনরা আল্লাহর বাণীকে সুউচ্চ করতে তাঁর পথে। আর কাফিররা তাদের মূর্তিগুলোর পথে যুদ্ধ করে। তাই তোমরা শয়তানের সহযোগীদের সাথে যুদ্ধ করো। কারণ, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করলে নিশ্চিত জয়ী হবে। যেহেতু শয়তানের অতি দুর্বল পরিকল্পনা আল্লাহর উপর ভরসাকারীদের কোন ক্ষতিই করবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ قِيلَ لَهُمۡ كُفُّوٓاْ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡقِتَالُ إِذَا فَرِيقٞ مِّنۡهُمۡ يَخۡشَوۡنَ ٱلنَّاسَ كَخَشۡيَةِ ٱللَّهِ أَوۡ أَشَدَّ خَشۡيَةٗۚ وَقَالُواْ رَبَّنَا لِمَ كَتَبۡتَ عَلَيۡنَا ٱلۡقِتَالَ لَوۡلَآ أَخَّرۡتَنَآ إِلَىٰٓ أَجَلٖ قَرِيبٖۗ قُلۡ مَتَٰعُ ٱلدُّنۡيَا قَلِيلٞ وَٱلۡأٓخِرَةُ خَيۡرٞ لِّمَنِ ٱتَّقَىٰ وَلَا تُظۡلَمُونَ فَتِيلًا
৭৭. হে রাসূল! আপনি কি আপনার কিছু সাহাবীর ব্যাপার জানেন যারা নিজেদের উপর জিহাদ ফরয হওয়া কামনা করেছে। তখন তাদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা নিজেদের হাতগুলো যুদ্ধ হতে বিরত রাখো আর সালাত কায়েম ও যাকাত আদায় করো। এ বিধানটি ছিলো যুদ্ধ ফরয হওয়ার আগে। তারা মদীনায় হিজরত করার পর ইসলামের রক্ষণ শক্তি বৃদ্ধি পেলে সময় মতো যুদ্ধ ফরয করা হলে ব্যাপারটি কারো কারো উপর কঠিন হয়ে পড়ে। তারা মানুষকে আল্লাহর মতো অথবা তার চেয়েও বেশি ভয় করতে শুরু করে। তারা বলে: হে আমাদের রব! কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হলো? আপনি কেন তা ফরয করতে আরেকটু সময় দেরী করলেন না। তাহলে আমরা আরো কিছু সময় দুনিয়া ভোগ-আস্বাদন করতে পারতাম। হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন, দুনিয়ার ভোগ-বিলাস তা যতোই করা হোক না কেন তা খুবই সামান্য ও নশ্বর। আখিরাতই মুত্তাকীদের জন্য সর্বোত্তম। কারণ, সেখানকার নিয়ামত চিরস্থায়ী। তোমাদের নেক আমলগুলোর কোন কমতি করা হবে না। যদিও তা খেজুর দানার মাঝের সুতার সমপরিমাণ হোক না কেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَيۡنَمَا تَكُونُواْ يُدۡرِككُّمُ ٱلۡمَوۡتُ وَلَوۡ كُنتُمۡ فِي بُرُوجٖ مُّشَيَّدَةٖۗ وَإِن تُصِبۡهُمۡ حَسَنَةٞ يَقُولُواْ هَٰذِهِۦ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِۖ وَإِن تُصِبۡهُمۡ سَيِّئَةٞ يَقُولُواْ هَٰذِهِۦ مِنۡ عِندِكَۚ قُلۡ كُلّٞ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِۖ فَمَالِ هَٰٓؤُلَآءِ ٱلۡقَوۡمِ لَا يَكَادُونَ يَفۡقَهُونَ حَدِيثٗا
৭৮. তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সময় হলে মৃত্যু তোমাদেরকে পাবেই। যদিও তোমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরে সংরক্ষিত অট্টালিকায় থাকো না কেন। এ মুনাফিকদের যদি কোন খুশির খবর তথা সন্তান ও প্রচুর রিযিক মিলে তখন তারা বলে: এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের সন্তান বা রিযিকের ব্যাপারে কোন সঙ্কট লেগে যায় তখন তারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অমঙ্গলের কারণ মনে করে বলে: এটি তোমারই কারণে। হে রাসূল! আপনি এদের উত্তরে বলে দিন, প্রত্যেক সুখ ও দুঃখ আল্লাহর তাকদীর ও তাঁর ফায়সালা অনুযায়ী হয়ে থাকে। যাদের থেকে এ কথাটি বের হলো তাদের কী হলো; তারা কি আপনার কথা বুঝতে সক্ষম নয়?
تەفسیرە عەرەبیەکان:
مَّآ أَصَابَكَ مِنۡ حَسَنَةٖ فَمِنَ ٱللَّهِۖ وَمَآ أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٖ فَمِن نَّفۡسِكَۚ وَأَرۡسَلۡنَٰكَ لِلنَّاسِ رَسُولٗاۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدٗا
৭৯. হে আদম সন্তান! তোমার খুশির খবর তথা রিযিক ও সন্তান যা পাও তার সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। তিনি এরই মাধ্যমে তোমার উপর অনুগ্রহ করেছেন। আর তোমার দুঃখের সংবাদ তথা তোমার রিযিক ও সন্তানের ব্যাপারে যাই ঘটুক না কেন তা সবই তোমারই পক্ষ থেকে অর্থাৎ তোমার নিজেরই পাপের কারণ। হে নবী! আমি তোমাকে সকল মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছি। তুমি তাদের নিকট তাদের রবের বাণী পৌঁছে দিবে। তিনি তোমাকে যে দলীল ও প্রমাণ দিয়েছেন তারই মাধ্যমে তুমি তাঁর পক্ষ থেকে যা পৌঁছে দিচ্ছো সে ক্ষেত্রে তোমার সত্যতার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা সাক্ষী হিসেবে একাই যথেষ্ট।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• وجوب القتال لإعلاء كلمة الله ونصرة المستضعفين، وذم الخوف والجبن والاعتراض على أحكام الله.
ক. আল্লাহর বাণী সুউচ্চ করা ও নিরুপায় লোকদের সহযোগিতার জন্য যুদ্ধ করা ওয়াজিব। উপরন্তু ভয়, কাপুরুষতা ও আল্লাহর বিধানাদির উপর প্রশ্ন উঠানো নিন্দনীয়।

• الدار الآخرة خير من الدنيا وما فيها من متاع وشهوات لمن اتقى الله تعالى وعمل بطاعته.
খ. দুনিয়া ও তার মাঝে যে ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা রয়েছে তার চেয়ে একজন আল্লাহর আনুগত্যকারী মুত্তাকীর জন্য পরকালের আবাসস্থল অনেক উত্তম।

• الخير والشر كله بقدر الله، وقد يبتلي الله عباده ببعض السوء في الدنيا لأسباب، منها: ذنوبهم ومعاصيهم.
গ. ভালো-মন্দ সবই আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ী হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা কখনো কখনো সামান্য কারণেও তাঁর বান্দাদেরকে দুনিয়াবী বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাদের পাপ ও গুনাহসমূহ সেগুলোর অন্যতম।

مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗا
৮০. যে ব্যক্তি রাসূলের আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁর আনুগত্য করলো সে বস্তুতঃ আল্লাহর আদেশে সাড়া দিলো। আর যে ব্যক্তি আপনার আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো হে রাসূল! আপনি তার ব্যাপারে চিন্তিত হবেন না। আমি তার পর্যবেক্ষক হিসেবে আপনাকে পাঠাইনি যে আপনি তার আমলগুলোকে সংরক্ষণ করবেন। আমিই কেবল তার আমল গুণে হিসাব নিবো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَيَقُولُونَ طَاعَةٞ فَإِذَا بَرَزُواْ مِنۡ عِندِكَ بَيَّتَ طَآئِفَةٞ مِّنۡهُمۡ غَيۡرَ ٱلَّذِي تَقُولُۖ وَٱللَّهُ يَكۡتُبُ مَا يُبَيِّتُونَۖ فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا
৮১. মুনাফিকরা কেবল আপনাকে মুখে বলে: আমরা আপনার আদেশ মানছি ও আনুগত্য করছি। অতঃপর তারা আপনার আড়াল হলে তাদেরই একদল লোক গোপনে আপনার নিকট যা প্রকাশ করেছে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে। আল্লাহ জানেন তারা কী পরিকল্পনা করে। তাই অচিরেই তিনি তাদের এ ষড়যন্ত্রের প্রতিদান দিবেন। আপনি তাদের দিকে তাকাবেনও না। কারণ, তারা কখনোই আপনার এতটুকু ক্ষতি করতে পারবে না। বরং আপনি নিজের সবকিছুই আল্লাহর নিকট সোপর্দ করুন এবং তাঁরই উপর নির্ভরশীল হোন। আল্লাহ তা‘আলা আপনার অভিভাবক হিসেবে যথেষ্ট। যাঁর উপর আপনি ভরসা করতে পারেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا
৮২. এরা কেন কুর‘আন নিয়ে গবেষণা করে না। তাহলেই তাদের নিকট এটা প্রমাণিত হতো যে, তাতে কোন ধরনের অস্থিরতা ও বৈপরীত্য নেই। তাহলে তারা আপনার আনীত বিধানের সত্যতা জানতে পারতো। কুরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হলে তারা তার বিধানাবলীতে অস্থিরতা ও তার অর্থসমূহে বিপুল মতভেদ দেখতে পেতো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِذَا جَآءَهُمۡ أَمۡرٞ مِّنَ ٱلۡأَمۡنِ أَوِ ٱلۡخَوۡفِ أَذَاعُواْ بِهِۦۖ وَلَوۡ رَدُّوهُ إِلَى ٱلرَّسُولِ وَإِلَىٰٓ أُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنۡهُمۡ لَعَلِمَهُ ٱلَّذِينَ يَسۡتَنۢبِطُونَهُۥ مِنۡهُمۡۗ وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ لَٱتَّبَعۡتُمُ ٱلشَّيۡطَٰنَ إِلَّا قَلِيلٗا
৮৩. এ মুনাফিকদের নিকট মুসলমানদের নিরাপত্তা ও তাদের খুশি অথবা তাদের ভয় ও চিন্তার বিষয় আসলে তারা সেটিকে প্রচার ও প্রসার করে বেড়ায়। তারা একটু স্থিরতা অবলম্বন করে ব্যাপারটি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং চিন্তাশীল, জ্ঞানী ও হিতাকাক্সক্ষীদের দিকে ফিরিয়ে দিলে চিন্তাশীল গবেষকরা বুঝতে পারতো কোন্টি প্রচার করা আর কোন্টি লুকিয়ে রাখা উচিত। তোমাদের উপর ইসলাম ও কুর‘আনের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত না থাকলে আর মুনাফিকদের লিপ্ত থাকা বিষয় হতে তোমাদেরকে নিরাপত্তা না দিলে তোমাদের কম সংখ্যক ছাড়া অধিকাংশই শয়তানের কুমন্ত্রণার অনুসরণ করতো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفۡسَكَۚ وَحَرِّضِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأۡسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ وَٱللَّهُ أَشَدُّ بَأۡسٗا وَأَشَدُّ تَنكِيلٗا
৮৪. হে রাসূল! আপনি আল্লাহর বাণীকে সুউচ্চ করতে তাঁর পথে যুদ্ধ করুন আপনাকে অন্য কারো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা ও তার দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হবে না। কারণ, আপনি শুধু নিজেকেই যুদ্ধের ব্যাপারে বাধ্য করতে আজ্ঞাবহ। আর আপনি মু’মিনদেরকে যুদ্ধের ব্যাপারে উৎসাহী ও আগ্রহী করে তুলুন। আশা করা যায় আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের যুদ্ধের মাধ্যমে কাফিরদের শক্তি প্রতিহত করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ও কঠোর শাস্তিদাতা।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
مَّن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةً حَسَنَةٗ يَكُن لَّهُۥ نَصِيبٞ مِّنۡهَاۖ وَمَن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةٗ سَيِّئَةٗ يَكُن لَّهُۥ كِفۡلٞ مِّنۡهَاۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ مُّقِيتٗا
৮৫. অন্যের কল্যাণে সচেষ্ট ব্যক্তির কিছু সাওয়াব। আর অকল্যাণে সচেষ্ট ব্যক্তিরও কিছু গুনাহ হবে। আর আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সবকর্মেরই সাক্ষী। তাই তিনি অচিরেই তাকে এর প্রতিদান দিবেন। তাই তোমাদের কেউ কোন কল্যাণ হাসিলের কারণ হলে সে তার এক ভাগ পাবে। আর যে কোন অকল্যাণ হাসিলের কারণ হবে সে তারই একটি অংশ পাবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٍ حَسِيبًا
৮৬. কেউ তোমাদেরকে সালাম দিলে তোমরা তার চেয়ে আরো উৎকৃষ্ট পন্থায় অথবা তার সমপর্যায়ের উত্তর দাও। তবে উত্তম পন্থায় উত্তর দেয়াই উত্তম। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কর্মকাÐের সংরক্ষক। তাই তিনি অচিরেই প্রত্যেককে তার আমলের প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• تدبر القرآن الكريم يورث اليقين بأنه تنزيل من الله؛ لسلامته من الاضطراب، ويظهر عظيم ما تضمنه من الأحكام.
ক. আল-কুর‘আনের গবেষকরা দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ। কারণ, তা সকল ধরনের অস্থিরতা থেকে নিরাপদ। উপরন্তু এতে করে কুর‘আনের অন্তর্নিহিত মহান বিধানগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পায়।

• لا يجوز نشر الأخبار التي تنشأ عنها زعزعة أمن المؤمنين، أو دبُّ الرعب بين صفوفهم.
খ. যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মু’মিনদের নিরাপত্তায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে অথবা তাদের মাঝে আতঙ্ক ঢুকে পড়বে এমন সংবাদ প্রচার করা জায়িয নয়।

• التحدث بقضايا المسلمين والشؤون العامة المتصلة بهم يجب أن يصدر من أهل العلم وأولي الأمر منهم.
গ. মুসলমানদের যাবতীয় বিষয় বিশেষভাবে তাদের সাথে সম্পৃক্ত জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা জ্ঞানীজন ও তাদের নেতৃস্থানীয়দের থেকে আসা আবশ্যক।

• مشروعية الشفاعة الحسنة التي لا إثم فيها ولا اعتداء على حقوق الناس، وتحريم كل شفاعة فيها إثم أو اعتداء.
ঘ. যাতে কোন গুনাহ বা মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ হবে না এমন নেক সুপারিশ জায়িয। আর এর বিপরীত সুপারিশ হারাম।

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ لَيَجۡمَعَنَّكُمۡ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَا رَيۡبَ فِيهِۗ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ حَدِيثٗا
৮৭. তিনি আল্লাহ। তিনি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি তোমাদের আমলগুলোর প্রতিদান দেয়ার জন্য তোমাদের আদি-অন্তের সকলকে কিয়ামতের দিন অবশ্যই একত্রিত করবেন। যাতে কোন ধরনের সন্দেহ নেই। আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী আর কেউ নেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
۞ فَمَا لَكُمۡ فِي ٱلۡمُنَٰفِقِينَ فِئَتَيۡنِ وَٱللَّهُ أَرۡكَسَهُم بِمَا كَسَبُوٓاْۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَهۡدُواْ مَنۡ أَضَلَّ ٱللَّهُۖ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلٗا
৮৮. হে মু’মিনরা! তোমাদের কী হলো, তোমরা নিজেরা মুনাফিকদের সাথে আচরণের ব্যাপারে দু’ দলে বিভক্ত হলে কেন? একদল বলছে তাদের সাথে যুদ্ধ করতে। কারণ, তারা আসলেই কাফির। আরেক দল বলছে তাদের সাথে যুদ্ধ না করতে। কারণ, তারা মু’মিন?! তাদের ব্যাপারে মতভেদ করা তোমাদের জন্য উচিত নয়। আল্লাহ তা‘আলা তাদের কর্মের কারণে তাদেরকে কুফরি ও ভ্রষ্টতার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তোমরা কি চাও ওদেরকে হিদায়েত করতে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সত্য গ্রহণের তাওফীক দেননি?! আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন তুমি তার জন্য কোন হিদায়েতের রাস্তা খুঁজে পাবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَدُّواْ لَوۡ تَكۡفُرُونَ كَمَا كَفَرُواْ فَتَكُونُونَ سَوَآءٗۖ فَلَا تَتَّخِذُواْ مِنۡهُمۡ أَوۡلِيَآءَ حَتَّىٰ يُهَاجِرُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَخُذُوهُمۡ وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ وَجَدتُّمُوهُمۡۖ وَلَا تَتَّخِذُواْ مِنۡهُمۡ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرًا
৮৯. মুনাফিকরা আশা করে তোমরা যদি তাদের মতো তোমাদের উপর অবতীর্ণ বিধানের প্রতি কুফরি করতে। তাহলে এ ক্ষেত্রে তোমরা তাদের সমান হয়ে যেতে। তাই তোমরা তাদের শত্রæতার দরুন তাদের কাউকে বন্ধু বানাবে না যতক্ষণ না তারা আল্লাহর পথে শিরকের এলাকা থেকে ইসলামের এলাকার দিকে হিজরত করে। যা তাদের ঈমানের প্রমাণ বহন করবে। তারা হিজরত করা থেকে বিরত থেকে নিজেদের অবস্থার উপর অটল থাকলে তোমরা তাদেরকে যেখানে পাও ধরে হত্যা করো। আর তাদের কাউকে বন্ধু বানাবে না যে তোমাদের কর্মকাÐে তোমাদেরই সাথী হবে। আর কাউকে সাহায্যকারী বানাবে না যে তোমাদের শত্রæর বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِلَّا ٱلَّذِينَ يَصِلُونَ إِلَىٰ قَوۡمِۭ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُم مِّيثَٰقٌ أَوۡ جَآءُوكُمۡ حَصِرَتۡ صُدُورُهُمۡ أَن يُقَٰتِلُوكُمۡ أَوۡ يُقَٰتِلُواْ قَوۡمَهُمۡۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَسَلَّطَهُمۡ عَلَيۡكُمۡ فَلَقَٰتَلُوكُمۡۚ فَإِنِ ٱعۡتَزَلُوكُمۡ فَلَمۡ يُقَٰتِلُوكُمۡ وَأَلۡقَوۡاْ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَمَ فَمَا جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمۡ عَلَيۡهِمۡ سَبِيلٗا
৯০. তবে তাদের কেউ তোমাদের চুক্তিবদ্ধ সম্প্রদায়ের নিকট পৌঁছে গেলে অথবা যারা এমন অবস্থায় তোমাদের নিকট এসেছে, তাদের অন্তরগুলো এমন সঙ্কীর্ণ হয়ে গেছে যে, না তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার ইচ্ছা পোষণ করে না তাদের সম্প্রদায়ের সাথে। আল্লাহ তা‘আলা চাইলে তাদেরকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার সুযোগ করে দিতে পারতেন। তাই তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্রহণ করো। তাদেরকে হত্যা বা বন্দী করো না। তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে দূরে সরে গেলে উপরন্তু যুদ্ধ না করে তোমাদের সাথে সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে নত হলে তাদের বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলার বিধান হলো তাদেরকে হত্যা বা বন্দী করা যাবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سَتَجِدُونَ ءَاخَرِينَ يُرِيدُونَ أَن يَأۡمَنُوكُمۡ وَيَأۡمَنُواْ قَوۡمَهُمۡ كُلَّ مَا رُدُّوٓاْ إِلَى ٱلۡفِتۡنَةِ أُرۡكِسُواْ فِيهَاۚ فَإِن لَّمۡ يَعۡتَزِلُوكُمۡ وَيُلۡقُوٓاْ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَمَ وَيَكُفُّوٓاْ أَيۡدِيَهُمۡ فَخُذُوهُمۡ وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ ثَقِفۡتُمُوهُمۡۚ وَأُوْلَٰٓئِكُمۡ جَعَلۡنَا لَكُمۡ عَلَيۡهِمۡ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينٗا
৯১. হে মু’মিনরা! তোমরা অচিরেই মুনাফিকদের আরেকটি দল পাবে যারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তোমাদের সামনে ঈমান প্রকাশ করবে। আর কাফির সম্প্রদায়ের সামনে এসে তাদের আস্থাশীল হতে কুফরি প্রকাশ করে। তাদেরকে আল্লাহর সাথে কুফরি ও শিরক করতে ডাকা হলে তারা কঠিনভাবে তাতে পতিত হয়। এরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে সমঝোতার ভাব নিয়ে তোমাদের সামনে নত না হলে উপরন্তু তোমাদের থেকে তাদের হাত গুটিয়ে না রাখলে তোমরা তাদেরকে যেখানেই পাও ধরে হত্যা করো। যাদের বৈশিষ্ট্য এমন তাদের গাদ্দারি ও ষড়যন্ত্রের দরুন তাদেরকে ধরা ও হত্যা করার ব্যাপারে আমি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট প্রমাণ রেখেছি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• خفاء حال بعض المنافقين أوقع الخلاف بين المؤمنين في حكم التعامل معهم.
ক. কিছু মুনাফিকের অবস্থার অস্পষ্টতা তাদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে মু’মিনদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করে।

• بيان كيفية التعامل مع المنافقين بحسب أحوالهم ومقتضى المصلحة معهم.
খ. মুনাফিকদের অবস্থা ও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সুবিধানুযায়ী তাদের সাথে আচরণের পদ্ধতির বর্ণনা।

• عدل الإسلام في الكف عمَّن لم تقع منه أذية متعدية من المنافقين.
গ. মুনাফিকরা ক্ষতিকর না হলে তাদের উপর হস্তক্ষেপ না করাই ইসলামের বিধান।

• يكشف الجهاد في سبيل الله أهل النفاق بسبب تخلفهم عنه وتكلُّف أعذارهم.
ঘ. আল্লাহর পথে জিহাদ মুনাফিকদের মুখোস খুলে দেয়। কারণ, তারা জিহাদ থেকে পিছু হটে এবং তাতে অংশ গ্রহণ না করার জন্য হরেক রকমের ওজর খাড়া করে।

وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٍ أَن يَقۡتُلَ مُؤۡمِنًا إِلَّا خَطَـٔٗاۚ وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَـٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ فَإِن كَانَ مِن قَوۡمٍ عَدُوّٖ لَّكُمۡ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖۖ وَإِن كَانَ مِن قَوۡمِۭ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُم مِّيثَٰقٞ فَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ وَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖۖ فَمَن لَّمۡ يَجِدۡ فَصِيَامُ شَهۡرَيۡنِ مُتَتَابِعَيۡنِ تَوۡبَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا
৯২. কোন মু’মিনের জন্য উচিত নয় যে, অন্য মু’মিনকে হত্যা করা। তবে ভুলবশত হলে তা ভিন্ন কথা। কোন মু’মিনকে ভুলবশত হত্যা করলে তার কাফফারা হলো একজন মু’মিন গোলাম স্বাধীন করা। উপরন্তু হত্যাকারীর ওয়ারিশ আত্মীয়-স্বজনকে নিহতের ওয়ারিশদের হাতে তার মুক্তিপণ হস্তান্তর করতে হবে। তবে তারা তা ক্ষমা করলে তা আর দিতে হবে না। নিহত ব্যক্তি তোমাদের সাথে যুদ্ধরত সম্প্রদায়ের কোন মু’মিন সদস্য হলে হত্যাকারীকে অবশ্যই একজন মু’মিন গোলাম স্বাধীন করতে হবে এবং তার কোন মুক্তিপণ দিতে হবে না। আর নিহত ব্যক্তি মু’মিন না হলে এবং তোমাদের চুক্তিকৃত সম্প্রদায়ের হলে যেমন: আহলুয-যিম্মাহ তখন হত্যাকারীর ওয়ারিশ আত্মীয়-স্বজনকে নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশদের হাতে তার মুক্তিপণ হস্তান্তর করতে হবে। আর হত্যাকারীকে তার কাফফারা হিসেবে একজন মু’মিন গোলাম স্বাধীন করতে হবে। স্বাধীন করার গোলাম পাওয়া না গেলে অথবা তার মূল্য পরিশোধে অক্ষম হলে সে অবিচ্ছিন্নভাবে দু’ মাস রোযা রাখবে। এ দু’ মাসের মাঝে সে কোন রোযা বাদ দিতে পারবে না। যাতে আল্লাহ তা‘আলা তার কৃতকর্মের তাওবা গ্রহণ করতে পারেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের আমল ও নিয়্যাত সম্পর্কে সম্যক অবগত। তিনি তাঁর শরীয়ত ও পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَقۡتُلۡ مُؤۡمِنٗا مُّتَعَمِّدٗا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدٗا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمٗا
৯৩. অবৈধভাবে স্বেচ্ছায় মু’মিন হত্যাকারীর প্রতিদান হবে জাহান্নাম। তাতে সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা তার উপর রাগান্বিত হবেন এবং তাকে তাঁর রহমত থেকে বিতাড়িত করবেন। উপরন্তু তিনি এ জাতীয় মহা পাপে লিপ্ত হওয়ার দরুন তার জন্য মহা শাস্তির ব্যবস্থাও রেখেছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَتَبَيَّنُواْ وَلَا تَقُولُواْ لِمَنۡ أَلۡقَىٰٓ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَٰمَ لَسۡتَ مُؤۡمِنٗا تَبۡتَغُونَ عَرَضَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فَعِندَ ٱللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٞۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبۡلُ فَمَنَّ ٱللَّهُ عَلَيۡكُمۡ فَتَبَيَّنُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا
৯৪. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য বের হলে বিপক্ষদের ব্যাপারে সর্বপ্রথম নিশ্চিত হবে। ইসলামকে বুঝায় এমন কিছু ব্যক্ত করলে বলো না, তুমি মু’মিন নও। তুমি তো ইসলামকে প্রকাশ করছো তোমার জবিন ও সম্পদহারা হওয়ার ভয়ে। এরপর গনীমতস্বরূপ সামান্যটুকু দুনিয়ার সম্পদ গ্রহণের জন্য তোমরা তাকে হত্যা করলে। অথচ আল্লাহর নিকট এরচেয়ে উত্তম অনেক গনীমতের সম্পদ রয়েছে। তোমরা তো ইতোপূর্বে এর মতোই ছিলে যে তার ঈমানকে তার সম্প্রদায় থেকে লুকিয়ে রাখে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে দয়া করে মুসলিম বানিয়ে তোমাদের জীবনগুলো হিফাযত করেছেন। তাই তোমরা তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের আমলের কোন কিছুই গোপন নয়। তা যতোই সূ² হোক না কেন। তাই তিনি অচিরেই তোমাদেরকে এর প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• جاء القرآن الكريم معظِّمًا حرمة نفس المؤمن، وناهيًا عن انتهاكها، ومرتبًا على ذلك أشد العقوبات.
ক. কুরআনুল-কারীম এসেছে মু’মিনের সম্মান রক্ষা করার জন্য; তা নষ্ট করার জন্য নয়। উপরন্তু কেউ এমন করলে তার জন্য কঠিন শাস্তি করেছে।

• من عقيدة أهل السُّنَّة والجماعة أن المؤمن القاتل لا يُخلَّد أبدًا في النار، وإنما يُعذَّب فيها مدة طويلة ثم يخرج منها برحمة الله تعالى.
খ. আহলে সুন্নাত ওয়াল-জামাতের একটি বিশেষ আকীদা হলো কোন হত্যাকারী মু’মিন চিরকাল জাহান্নামে থাকবে না। তবে আমল অনুযায়ী দীর্ঘকাল পর্যন্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে। অতঃপর আল্লাহর রহমতে সে সেখান থেকে নিস্তার পাবে।

• وجوب التثبت والتبيُّن في الجهاد، وعدم الاستعجال في الحكم على الناس حتى لا يُعتدى على البريء.
গ. জিহাদের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই এবং মানুষের উপর বিধান চাপিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে দ্রæততার আশ্রয় না নেয়া ওয়াজিব। তাতে নিরপরাধী অত্যাচারিত হবে।

لَّا يَسۡتَوِي ٱلۡقَٰعِدُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ غَيۡرُ أُوْلِي ٱلضَّرَرِ وَٱلۡمُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ دَرَجَةٗۚ وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا
৯৫. সমস্যাগ্রস্ত তথা রোগী ও অন্ধ ব্যতীত আল্লাহর পথে জিহাদ না করে বসে থাকা মু’মিন এবং আল্লাহর পথে নিজ সম্পদ ও জীবন বিলিয়ে জিহাদকারীগণ কখনো সমান নয়। আল্লাহ তা‘আলা এ ধরনের জিহাদকারীদেরকে জিহাদ না করে বসে থাকা ব্যক্তিদের উপর মর্যাদাগত শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। তবুও মুজাহিদ এবং কোন ওজরের কারণে জিহাদ না করে বসে থাকা ব্যক্তি তথা তাদের উভয়ের জন্য যথোপযুক্ত প্রতিদান রয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা মুজাহিদদেরকে বসে থাকা ব্যক্তিদের উপর তাঁর পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান দেয়ার মাধ্যমে বিশেষ শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
دَرَجَٰتٖ مِّنۡهُ وَمَغۡفِرَةٗ وَرَحۡمَةٗۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمًا
৯৬. এ প্রতিদান হলো একের উপর অন্যটি থাকা অনেকগুলো মর্যাদার স্তর। এর পাশাপাশি তাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করা ও তাদেরকে দয়া করা। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَالُواْ فِيمَ كُنتُمۡۖ قَالُواْ كُنَّا مُسۡتَضۡعَفِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ قَالُوٓاْ أَلَمۡ تَكُنۡ أَرۡضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٗ فَتُهَاجِرُواْ فِيهَاۚ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا
৯৭. কুফরির এলাকা থেকে ইসলামের এলাকার দিকে হিজরত না করে নিজেদের উপর যুলুম কারীদেরকে ফিরিশতারা মৃত্যু দিয়েছে। ফিরিশতারা তাদের জান কবজের সময় তিরস্কার করে বলবে: তোমরা কোন্ অবস্থায় ছিলে? মুশরিকদের মাঝে তোমাদেরকে ভিন্ন করে চিনার ব্যাপার কী ছিলো? তখন তারা কৈফিয়তের সুরে বলবে: মূলতঃ আমরা দুর্বল ছিলাম। আমাদের নিজেদেরকে রক্ষা করার কোন শক্তি ও সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। তখন ফিরিশতারা তাদেরকে তিরস্কার করে বলবে: আল্লাহর শহরগুলো কি প্রশস্ত ছিলো না যেগুলোর দিকে তোমরা বের হয়ে যেতে পারতে নিজেদের ধর্ম ও জীবনকে লাঞ্ছনা ও পরাধীনতা থেকে রক্ষা করতে? বস্তুতঃ হিজরত না করাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম যেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে। যা তাদের জন্য একটি নিকৃষ্ট গন্তব্য ও প্রত্যাবর্তনস্থল।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِلَّا ٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ لَا يَسۡتَطِيعُونَ حِيلَةٗ وَلَا يَهۡتَدُونَ سَبِيلٗا
৯৮-৯৯. তবে এ ধমকি থেকে ওরাই নিস্তার পাবে যারা সমস্যাগ্রস্ত দুর্বল শ্রেণী। চাই তারা পুরুষ হোক অথবা মহিলা কিংবা বাচ্চা। যাদের কোন শক্তি ছিলো না নিজেদের উপর থেকে যুলুম ও পরাধীনতা প্রতিহত করার। তারা কোন পথের সন্ধান পায়নি পরাধীনতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আশা করা যায়, এদেরকে আল্লাহ তা‘আলা নিজ দয়া ও করুণায় ক্ষমা করে দিবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা নিজ বান্দাদের মার্জনাকারী এবং তাদের মধ্যকার তাওবাকারীর প্রতি ক্ষমাশীল।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَأُوْلَٰٓئِكَ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَعۡفُوَ عَنۡهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَفُوًّا غَفُورٗا
৯৮-৯৯. তবে এ ধমকি থেকে ওরাই নিস্তার পাবে যারা সমস্যাগ্রস্ত দুর্বল শ্রেণী। চাই তারা পুরুষ হোক অথবা মহিলা কিংবা বাচ্চা। যাদের কোন শক্তি ছিলো না নিজেদের উপর থেকে যুলুম ও পরাধীনতা প্রতিহত করার। তারা কোন পথের সন্ধান পায়নি পরাধীনতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আশা করা যায়, এদেরকে আল্লাহ তা‘আলা নিজ দয়া ও করুণায় ক্ষমা করে দিবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা নিজ বান্দাদের মার্জনাকারী এবং তাদের মধ্যকার তাওবাকারীর প্রতি ক্ষমাশীল।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
۞ وَمَن يُهَاجِرۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ يَجِدۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُرَٰغَمٗا كَثِيرٗا وَسَعَةٗۚ وَمَن يَخۡرُجۡ مِنۢ بَيۡتِهِۦ مُهَاجِرًا إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ يُدۡرِكۡهُ ٱلۡمَوۡتُ فَقَدۡ وَقَعَ أَجۡرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
১০০. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুফরির এলাকা থেকে ইসলামের এলাকার দিকে হিজরত করলো সে অবশ্যই হিজরতকৃত জমিনে নড়াচড়ার স্থান ও নিজ পরিত্যাগকৃত জমিনের বিপরীত জমিন পাবে। যাতে সে ইজ্জত ও প্রশস্ত রিযিক অর্জন করবে। বস্তুতঃ যে ব্যক্তি নিজ ঘর থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে হিজরতের মানসে বের হয় অতঃপর হিজরতের জায়গায় পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু এসে যায় তখন তার সাওয়াব আল্লাহর উপর অবধারিত হয়ে যায়। উপরন্তু হিজরতের জায়গায় যে সে পৌছাঁনোটা তার কোন ক্ষতির কারণ হবে না। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দার প্রতি অতি ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَلَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَقۡصُرُواْ مِنَ ٱلصَّلَوٰةِ إِنۡ خِفۡتُمۡ أَن يَفۡتِنَكُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْۚ إِنَّ ٱلۡكَٰفِرِينَ كَانُواْ لَكُمۡ عَدُوّٗا مُّبِينٗا
১০১. তোমরা জমিনে সফর করলে চার রাকাত বিশিষ্ট সালাতকে কমিয়ে দু’ রাকাত পড়াতে কোন পাপ নেই। যদি তোমরা কাফিরদের পক্ষ থেকে অপছন্দনীয় কোন কিছু তোমাদের ব্যাপারে ঘটে যাওয়ার ভয় পাও। বস্তুতঃ তোমাদের সাথে কাফিরদের শত্রæতা প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• فضل الجهاد في سبيل الله وعظم أجر المجاهدين، وأن الله وعدهم منازل عالية في الجنة لا يبلغها غيرهم.
ক. আল্লাহর পথের মুজাহিদদের অনেক ফযীলত ও মহা প্রতিদান রয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য জান্নাতে এমন মর্যাদাপূর্ণ সুউচ্চ স্থানের ওয়াদা করেছেন যার নিকট আর কেউ পৌঁছুতে পারবে না।

• أصحاب الأعذار يسقط عنهم فرض الجهاد مع ما لهم من أجر إن حسنت نيتهم.
খ. সমস্যাগ্রস্ত লোকদের উপর থেকে জিহাদ ফরয হওয়ার বিধানটি রহিত। তবে সৎ নিয়তের জন্য তারা অবশ্যই সাওয়াব পাবে।

• فضل الهجرة إلى بلاد الإسلام، ووجوبها على القادر إن كان يخشى على دينه في بلده.
গ. ইসলামের ভ‚খÐগুলোর দিকে হিজরত করার ফযীলত এবং সক্ষম ব্যক্তির উপর তা করা ওয়াজিব যদি সে তার এলাকায় নিজ ধর্মের উপর অটল থাকার ব্যাপারে কোন ধরনের আশঙ্কা বোধ করে।

• مشروعية قصر الصلاة في حال السفر.
ঘ. সফররত অবস্থায় সালাত কসর বা অর্ধেক পড়া জায়িয।

وَإِذَا كُنتَ فِيهِمۡ فَأَقَمۡتَ لَهُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَلۡتَقُمۡ طَآئِفَةٞ مِّنۡهُم مَّعَكَ وَلۡيَأۡخُذُوٓاْ أَسۡلِحَتَهُمۡۖ فَإِذَا سَجَدُواْ فَلۡيَكُونُواْ مِن وَرَآئِكُمۡ وَلۡتَأۡتِ طَآئِفَةٌ أُخۡرَىٰ لَمۡ يُصَلُّواْ فَلۡيُصَلُّواْ مَعَكَ وَلۡيَأۡخُذُواْ حِذۡرَهُمۡ وَأَسۡلِحَتَهُمۡۗ وَدَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَوۡ تَغۡفُلُونَ عَنۡ أَسۡلِحَتِكُمۡ وَأَمۡتِعَتِكُمۡ فَيَمِيلُونَ عَلَيۡكُم مَّيۡلَةٗ وَٰحِدَةٗۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ إِن كَانَ بِكُمۡ أَذٗى مِّن مَّطَرٍ أَوۡ كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَن تَضَعُوٓاْ أَسۡلِحَتَكُمۡۖ وَخُذُواْ حِذۡرَكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ أَعَدَّ لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا
১০২. হে রাসূল! আপনি শত্রæর সাথে যুদ্ধের সময় সালাত আদায়ের ইচ্ছা করলে সেনাবাহিনীকে দু’ ভাগে ভাগ করুন। তাদের একদল অস্ত্র নিয়েই আপনার সাথে নামায পড়বে। আর অন্য দলটি আপনাদের পাহারায় থাকবে। এবার প্রথম দলটি ইমামের সাথে এক রাকাত পড়ার পর তারা যেন নিজেরাই নিজেদের সালাতটুকু পুরো করে নেয়। আর তাদের সালাত শেষে তারা যেন আপনাদের পেছনে শত্রæমুখী হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে সালাত আদায় না করা পাহারাদার দলটি যেন ইমামের সাথে এক রাকাত আদায় করে। যখন ইমাম সালাম ফিরাবে তখন তারা নিজেদের বাকি সালাতটুকু পুরো করে নিবে। তারা যেন শত্রæদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে এবং নিজেদের অস্ত্রগুলো ধারণ করে। কারণ, কাফিররা আশা করে, তোমরা সালাতরত অবস্থায় নিজেদের অস্ত্র ও সামান থেকে গাফিল হলে তারা এক যোগে আক্রমণ করে তোমাদেরকে গাফিল অবস্থায় পাকড়াও করবে। বস্তুতঃ বৃষ্টি, কষ্ট অথবা অসুস্থতার কারণে অস্ত্র বহন না করে তা জমিনে রেখে দিলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না। উপরন্তু তোমরা শত্রæর ব্যাপারে সাধ্যমত সতর্ক থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَإِذَا قَضَيۡتُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ قِيَٰمٗا وَقُعُودٗا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمۡۚ فَإِذَا ٱطۡمَأۡنَنتُمۡ فَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَۚ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا
১০৩. হে মু’মিনগণ! তোমরা সালাত শেষে দাঁড়ানো, বসা ও কাত হয়ে শোয়া তথা সর্বাবস্থায় তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ) ও তাহলীল তথা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করবে। তোমাদের ভয় কেটে গেলে আর তোমরা নিরাপদ হলে তোমরা পুরোপুরিভাবে নির্দেশিত রুকন, ওয়াজিব ও মুস্তাহাবসহ সালাত আদায় করবে। নিশ্চয়ই সালাত মু’মিনদের উপর নির্ধারিত সময়ে ফরয করা হয়েছে। ওযর ছাড়া সালাতে দেরি করা জায়িয নয়। এটি হলো নিজ এলাকায় থাকাবস্থায়। তবে সফরের সময় দু’টি সালাত একত্রে ও অর্ধেক করে পড়া যাবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَا تَهِنُواْ فِي ٱبۡتِغَآءِ ٱلۡقَوۡمِۖ إِن تَكُونُواْ تَأۡلَمُونَ فَإِنَّهُمۡ يَأۡلَمُونَ كَمَا تَأۡلَمُونَۖ وَتَرۡجُونَ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَا يَرۡجُونَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
১০৪. হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদের শত্রæ কাফিরদের অনুসন্ধানে দুর্বল ও অলস হয়ো না। আহত-নিহত হওয়ার দরুন ব্যথিত হলে তারাও তো তোমাদের মতো ব্যথিত হয়েছে। তাদের ব্যাপারেও তা ঘটেছে যা তোমাদের ব্যাপারে ঘটেছে। তাই তাদের ধৈর্য যেন তোমাদের চেয়ে বেশি না হয়। কারণ, তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সাওয়াব, সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছো তারা তো তা কামনা করে না। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের সকল অবস্থাই জানেন। তিনি তাঁর শরীয়ত ও পরিচালনায় প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّآ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ لِتَحۡكُمَ بَيۡنَ ٱلنَّاسِ بِمَآ أَرَىٰكَ ٱللَّهُۚ وَلَا تَكُن لِّلۡخَآئِنِينَ خَصِيمٗا
১০৫. হে রাসূল! আমি আপনার উপর সত্য সহ কুর‘আন নাযিল করেছি। যেন আপনি আল্লাহর দেয়া জ্ঞান ও ইলহাম অনুযায়ী মানুষকে সকল বিষয় বিস্তারিত বুঝিয়ে দিতে পারেন। তবে সেখানে ব্যক্তি ইচ্ছার প্রতিফলন যেন না ঘটে। আর আপনি নিজের ও আমানত খিয়ানতকারীদের পক্ষে তাদের কাছ থেকে অধিকার তলবকারীকে প্রতিহত করবেন না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• استحباب صلاة الخوف وبيان أحكامها وصفتها.
ক. ভয়ের সময়ে সালাত আদায়ের বিধি-বিধান ও বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা।

• الأمر بالأخذ بالأسباب في كل الأحوال، وأن المؤمن لا يعذر في تركها حتى لو كان في عبادة.
খ. সর্বাবস্থার উপকরণাদি গ্রহণ করার আদেশ। তা পরিত্যাগ করার ব্যাপারে কোন মু’মিনের ওযর গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও তা ইবাদাতের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকুক না কেন।

• مشروعية دوام ذكر الله تعالى على كل حال، فهو حياة القلوب وسبب طمأنينتها.
গ. সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলাহর নিয়মিত যিকির করা। কারণ, এটি অন্তরসমূহের জীবন ও সেগুলোর প্রশান্তির কারণ।

• النهي عن الضعف والكسل في حال قتال العدو، والأمر بالصبر على قتاله.
ঘ. যুদ্ধের সময় দুর্বলতা প্রদর্শন ও অলসতা নিষিদ্ধ এবং ধৈর্য অবধারিত।

وَٱسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
১০৬. আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও মার্জনা কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাওবাকারী বান্দার প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَا تُجَٰدِلۡ عَنِ ٱلَّذِينَ يَخۡتَانُونَ أَنفُسَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ خَوَّانًا أَثِيمٗا
১০৭. আপনি খিয়ানতকারীর সাথে ঝগড়া করবেন না যে খিয়ানত লুকিয়ে রাখার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা এ জাতীয় মিথ্যুক আত্মসাৎকারীদেরকে ভালোবাসেন না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَسۡتَخۡفُونَ مِنَ ٱلنَّاسِ وَلَا يَسۡتَخۡفُونَ مِنَ ٱللَّهِ وَهُوَ مَعَهُمۡ إِذۡ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرۡضَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا يَعۡمَلُونَ مُحِيطًا
১০৮. তারা ভয়ে ও লজ্জায় কোন পাপে লিপ্ত হওয়ার সময় মানুষের দৃষ্টি থেকে লুকিয়ে থাকে। তবে তারা আল্লাহ থেকে কখনোই লুকোতে পারবে না। তিনি তাদের সাথেই রয়েছেন তাদেরকে বেষ্টন করে। তারা যখন আল্লাহর অপছন্দনীয় কথা যেমন: নির্দোষকে দোষীর অপবাদ দিয়ে দোষীর পক্ষপাতিত্ব করার গোপন পরিকল্পনা করে তখন তাদের কোন কিছুই তাঁর নিকট গোপন নয়। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তারা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যা কিছু করে তা সবই বেষ্টন করে আছেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়। তাই তিনি অচিরেই তাদেরকে তাদের সকল আমলের প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
هَٰٓأَنتُمۡ هَٰٓؤُلَآءِ جَٰدَلۡتُمۡ عَنۡهُمۡ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فَمَن يُجَٰدِلُ ٱللَّهَ عَنۡهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ أَم مَّن يَكُونُ عَلَيۡهِمۡ وَكِيلٗا
১০৯. হে অপরাধীদের কর্মকাÐকে গুরুত্বদাতারা! তোমরা তো দুনিয়ার জীবনে তাদের পবিত্রতা প্রমাণ ও তাদের থেকে শাস্তি প্রতিহত করার জন্য তাদের পক্ষ হয়ে ঝগড়া করেছো। তোমাদের কে আছে এমন যে তাদের পক্ষাবলম্বন করে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে ঝগড়া করবে। অথচ সে তাদের মূল অবস্থাটি নিশ্চিতভাবে জানে?! কে সে দিন তাদের দায়িত্বশীল হবে? নিশ্চয়ই কেউ তা পারবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
১১০. কোন পাপী নিজের উপর যুলুম করে অতঃপর পাপ বর্জন করতঃ নিজের দোষ নিজেই স্বীকার করে লজ্জিত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে সে সর্বদা আল্লাহকে তার গুনাহের ক্ষমাশীল ও দয়ালু হিসেবেই পাবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَكۡسِبۡ إِثۡمٗا فَإِنَّمَا يَكۡسِبُهُۥ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا
১১১. পাপী ছোট-বড় যে পাপই করুক না কেন সে তার শাস্তি একাই পাবে। যা অন্যের প্রতি অতিক্রম করবে না। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের কর্মকাÐ সম্পর্কে সম্যক অবগত। তিনি তাঁর শরীয়ত ও পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَكۡسِبۡ خَطِيٓـَٔةً أَوۡ إِثۡمٗا ثُمَّ يَرۡمِ بِهِۦ بَرِيٓـٔٗا فَقَدِ ٱحۡتَمَلَ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا
১১২. যে অনিচ্ছাকৃত ভুল অথবা ইচ্ছাকৃত পাপ করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে তার অপবাদ দেয় সে তা করে মূলতঃ কঠিন মিথ্যা এবং সুস্পষ্ট গুনাহই বহন করছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكَ وَرَحۡمَتُهُۥ لَهَمَّت طَّآئِفَةٞ مِّنۡهُمۡ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمۡۖ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيۡءٖۚ وَأَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمۡ تَكُن تَعۡلَمُۚ وَكَانَ فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكَ عَظِيمٗا
১১৩. হে রাসূল! আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে রক্ষা করার মাধ্যমে আপনার উপর দয়া না করলে নিজেদের খিয়ানতকারী একদল মানুষ আপনাকে সত্যভ্রষ্ট করার প্রতিজ্ঞা করতো। তখন আপনি ইনসাফবিহীন বিচার করতেন। বস্তুতঃ তারা নিজেদেরকেই পথভ্রষ্ট করছে। কারণ, পথভ্রষ্ট করার চেষ্টার পরিণাম তাদের উপরই বর্তাবে। আল্লাহ তা‘আলা আপনার উপর কুর‘আন ও সুন্নাহ নাযিল করেছেন। আর তিনি আপনাকে হিদায়েত ও না জানা নূর শিক্ষা দিয়েছেন। বস্তুতঃ নবুওয়াত ও আপনাকে রক্ষা করার আল্লাহর দয়া আপনার উপর অনেক বড় ছিলো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• النهي عن المدافعة والمخاصمة عن المبطلين؛ لأن ذلك من التعاون على الإثم والعدوان.
ক. বাতিলপন্থীদের পক্ষ নিয়ে ঝগড়া করা ও অন্যকে প্রতিহত করা নিষেধ। কারণ, এটি গুনাহ ও অত্যাচারের কাজে পরস্পর সহযোগিতা করারই শামিল।

• ينبغي للمؤمن الحق أن يكون خوفه من الله وتعظيمه والحياء منه فوق كل أحد من الناس.
খ. একজন সত্যিকার মু’মিনের উচিত তার আল্লাহর ভয়, সম্মান ও লজ্জা সকল মানুষের ভয়, সম্মান ও লজ্জার উপরে থাকা।

• سعة رحمة الله ومغفرته لمن ظلم نفسه، مهما كان ظلمه إذا صدق في توبته، ورجع عن ذنبه.
গ. যে নিজের উপর যুলুম করেছে আল্লাহর ক্ষমা ও দয়া তার জন্য প্রশস্ত। তার যুলুম যতো বেশিই হোক না কেন যদি সে সত্যিকার তাওবা করে ও নিজ গুনাহ থেকে ফিরে আসে।

• التحذير من اتهام البريء وقذفه بما لم يكن منه؛ وأنَّ فاعل ذلك قد وقع في أشد الكذب والإثم.
ঘ. একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অপবাদ দেয়া ও তার কুৎসা রটনায় সতর্ক নয় সে অবশ্যই কঠিন মিথ্যা ও গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়।

۞ لَّا خَيۡرَ فِي كَثِيرٖ مِّن نَّجۡوَىٰهُمۡ إِلَّا مَنۡ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوۡ مَعۡرُوفٍ أَوۡ إِصۡلَٰحِۭ بَيۡنَ ٱلنَّاسِۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ ٱبۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ ٱللَّهِ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا
১১৪. মানুষের অধিকাংশ অধিকাংশ গোপন কথায় কোন লাভ ও ফায়েদা নেই। তবে ফায়েদা আছে কথাটি যদি হয় সদকা অথবা মানুষের বিবেকের সমর্থনকারী শরীয়ত আনিত কোন কল্যাণকর কাজ কিংবা দ্ব›দ্বপূর্ণ দু’ পক্ষের মাঝে কোন সমঝোতার আদেশ। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এমন করবে আমি অচিরেই তাকে মহা প্রতিদান দেবো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يُشَاقِقِ ٱلرَّسُولَ مِنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلۡهُدَىٰ وَيَتَّبِعۡ غَيۡرَ سَبِيلِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ نُوَلِّهِۦ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصۡلِهِۦ جَهَنَّمَۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا
১১৫. যে ব্যক্তি সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসূল আনিত বিধানের বিরোধিতা করে ও তার সাথে হঠকারিতা দেখায়। উপরন্তু সে মু’মিনদের পথ ভিন্ন অন্য কোন পথ অবলম্বন করে আমি তাকে ও তার চয়িত ব্যাপারটিকে প্রত্যাখ্যান করি এবং তাকে সত্য গ্রহণের তাওফীক দেই না। কারণ, সে ইচ্ছাকৃত সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাবো। যার উত্তপ্ততা সে ভোগ করবে। যা তার অধিবাসীদের জন্য একটি নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا
১১৬. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে শিরক করা কখনোই ক্ষমা করবেন না। বরং মুশরিক ব্যক্তিকে জাহান্নামে চিরকাল রাখা হবে। তবে তিনি শিরক ছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে চান নিজ দয়া ও করুণায় তাকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীককারী অবশ্যই সত্যভ্রষ্ট এবং সত্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। কারণ, সে বস্তুতঃ ¯্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টিকে সমান করে দিয়েছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِن يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ إِنَٰثٗا وَإِن يَدۡعُونَ إِلَّا شَيۡطَٰنٗا مَّرِيدٗا
১১৭. এ মুশরিকরা যাদের ইবাদাত করে ও আল্লাহর সাথে যাদেরকে আহŸান করে তারা হলো বস্তুতঃ মহিলাদের নামধারী কিছু মূর্তি যেমন: লাত ও উযযা। যারা কোন ধরনের লাভ ও ক্ষতি করতে পারে না। তারা মূলতঃ এরই মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য থেকে বেরিয়ে আসা শয়তানেরই ইবাদাত করছে। যাতে কোন ধরনের কল্যাণ নেই। কারণ, সেই তো মানুষদেরকে মূর্তি পূজার আদেশ করেছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
لَّعَنَهُ ٱللَّهُۘ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنۡ عِبَادِكَ نَصِيبٗا مَّفۡرُوضٗا
১১৮. এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা তাকে নিজ রহমত থেকে বিতাড়িত করেছেন। আর এ শয়তান তার রবকে কসম করে বলেছে: আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের একটি নির্দিষ্ট অংশকে আমার জন্য গ্রহণ এবং অবশ্যই সত্যভ্রষ্ট করবো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَأُضِلَّنَّهُمۡ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمۡ وَلَأٓمُرَنَّهُمۡ فَلَيُبَتِّكُنَّ ءَاذَانَ ٱلۡأَنۡعَٰمِ وَلَأٓمُرَنَّهُمۡ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلۡقَ ٱللَّهِۚ وَمَن يَتَّخِذِ ٱلشَّيۡطَٰنَ وَلِيّٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانٗا مُّبِينٗا
১১৯. আমি অবশ্যই তাদেরকে আপনার সরল পথ থেকে সরিয়ে দেবো। আমি তাদের মাঝে মিথ্যা ওয়াদার আকাক্সক্ষা জন্ম দিবো যা তাদের সামনে ভ্রষ্টতাকেই সুসজ্জিত করে তুলবে। আর আমি তাদেরকে আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে হারাম করার জন্য পশুগুলোর কান কাটার আদেশ করবো। উপরন্তু আমি তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্টি ও ফিতরতকে পরিবর্তনের আদেশ করবো। বস্তুতঃ যে ব্যক্তি শয়তানকে অনুসরণীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানাবে সে অবশ্যই এ বন্ধুত্বের কারণে সুস্পষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَعِدُهُمۡ وَيُمَنِّيهِمۡۖ وَمَا يَعِدُهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ إِلَّا غُرُورًا
১২০. শয়তান তাদের সাথে মিথ্যা ওয়াদা করে এবং তাদেরকে বাতিল আশার বাণী শুনায়। বস্তুতঃ শয়তান তাদের সাথে বাতিল ওয়াদাই করছে। যার কোন মূল ভিত্তি নেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُ وَلَا يَجِدُونَ عَنۡهَا مَحِيصٗا
১২১. শয়তানের পদাঙ্ক ও তার শিখানো কথার অনুসারীদের ঠিকানাই হলো জাহান্নামের আগুন। এ ছাড়া তারা আর কোন পালানোর আশ্রয় বা জায়গা খুঁজে পাবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• أكثر تناجي الناس لا خير فيه، بل ربما كان فيه وزر، وقليل من كلامهم فيما بينهم يتضمن خيرًا ومعروفًا.
ক. মানুষের অধিকাংশ কানাঘুষায় কোন ফায়েদা নেই। বরং তা পাপের কারণ। বস্তুতঃ তাদের খুব কম কথাই নেকী বা কল্যাণকে ধারণ করে।

• معاندة الرسول صلى الله عليه وسلم ومخالفة سبيل المؤمنين نهايتها البعد عن الله ودخول النار.
খ. রাসূলের কথায় হঠকারিতা দেখানো এবং মু’মিনদের পথের বিপরীত চলার পরিণতি হলো আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া ও জাহান্নামে প্রবেশ।

• كل الذنوب تحت مشيئة الله، فقد يُغفر لصاحبها، إلا الشرك، فلا يغفره الله أبدًا، إذا لم يتب صاحبه ومات عليه.
গ. সকল পাপই আল্লাহর ইচ্ছাধীন। যা তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হবে। তবে আল্লাহ তা‘আলা কখনোই শিরক ক্ষমা করবেন না।

• غاية الشيطان صرف الناس عن عبادة الله تعالى، ومن أعظم وسائله تزيين الباطل بالأماني الغرارة والوعود الكاذبة.
ঘ. শয়তানের লক্ষ্য মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। এ ক্ষেত্রে তার একটি বিশেষ উপকরণ হলো মিথ্যা ওয়াদা এবং ধোঁকাপূর্ণ আশার মাধ্যমে বাতিলকে মানুষের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরা।

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَنُدۡخِلُهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ وَعۡدَ ٱللَّهِ حَقّٗاۚ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ قِيلٗا
১২২. যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে যা আল্লাহর নিকটবর্তী করে আমি অচিরেই তাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবো যার অট্টালিকাগুলোর তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় অনেকগুলো নদী। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এটি মূলতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে করা ওয়াদা। যাঁর ওয়াদা সবই সত্য। তিনি কখনো ওয়াদা-খিলাফ করেন না। আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী আর কেউ নেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
لَّيۡسَ بِأَمَانِيِّكُمۡ وَلَآ أَمَانِيِّ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِۗ مَن يَعۡمَلۡ سُوٓءٗا يُجۡزَ بِهِۦ وَلَا يَجِدۡ لَهُۥ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرٗا
১২৩. হে মুসলিমরা! মূলতঃ নাজাত ও সফলতার ব্যাপারটি না তোমাদের আশার অধীন, না আহলে কিতাবের। বরং তা আমলেরই অধীন। তোমাদের কেউ বদ আমল করলে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার প্রতিদান দিবেন। সে তখন আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া এমন কোন অভিভাবক পাবে না যে তার কল্যাণ করতে পারে অথবা এমন কোন সাহায্যকারী পাবে না যে তার ক্ষতি প্রতিরোধ করবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَن يَعۡمَلۡ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ وَلَا يُظۡلَمُونَ نَقِيرٗا
১২৪. যে পুরুষ বা মহিলা আল্লাহর উপর সত্যিকার ঈমান রেখে নেক আমল করবে এরা ঈমান ও আমলের মাঝে সমন্বয় সাধন করেছে বলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের আমলগুলোর সামান্য সাওয়াবও কমানো হবে না। যদিও তা খেজুরের দানার পিঠে থাকা গর্ত বা ছিদ্র সমপরিমাণ সামান্যটুকুই হোক না কেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَمَنۡ أَحۡسَنُ دِينٗا مِّمَّنۡ أَسۡلَمَ وَجۡهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحۡسِنٞ وَٱتَّبَعَ مِلَّةَ إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۗ وَٱتَّخَذَ ٱللَّهُ إِبۡرَٰهِيمَ خَلِيلٗا
১২৫. ওর চেয়ে সুন্দর ধার্মিক আর কেউ হতে পারে না যে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যে আল্লাহর সামনে আত্মসমর্পণ করে এবং নিজের নিয়তকে পরিশুদ্ধ ও আমলকে শরীয়তের অনুসরণে সুন্দর করে নেয়। উপরন্তু সে কুফর ও শিরক থেকে বের হয়ে ঈমান ও তাওহীদ অভিমুখী হয় এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ধর্মেরই মূল ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) এর ধর্মের অনুসরণ করে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সমূহ সৃষ্টির মধ্য থেকে পরিপূর্ণ ভালোবাসার জন্য তাঁর নবী ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) কে চয়ন করে নিয়েছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٖ مُّحِيطٗا
১২৬. আকাশ ও জমিনে থাকা সবগুলোর একক মালিকানা আল্লাহর জন্য। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টির সকল কিছুকে জ্ঞান, শক্তি ও পরিচালনার মাধ্যমে বেষ্টন করে আছেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَيَسۡتَفۡتُونَكَ فِي ٱلنِّسَآءِۖ قُلِ ٱللَّهُ يُفۡتِيكُمۡ فِيهِنَّ وَمَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ فِي يَتَٰمَى ٱلنِّسَآءِ ٱلَّٰتِي لَا تُؤۡتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرۡغَبُونَ أَن تَنكِحُوهُنَّ وَٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلۡوِلۡدَٰنِ وَأَن تَقُومُواْ لِلۡيَتَٰمَىٰ بِٱلۡقِسۡطِۚ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِهِۦ عَلِيمٗا
১২৭. হে রাসূল! তারা আপনাকে মহিলা ও তাদের স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর অধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। আপনি বলুন: আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রশ্নোত্তর ভালোভাবে বর্ণনা করবেন। আরো বর্ণনা করবেন তোমাদের উপর যা কুর‘আন থেকে তিলাওয়াত করা হয় তোমাদের অধীনে থাকা এতীম মেয়েদের সম্পর্কে। অথচ তোমরা আল্লাহর ফরযকৃত মোহরানা বা মিরাস তাদেরকে দিচ্ছো না এবং তাদেরকে বিবাহ করার ইচ্ছাও তোমাদের নেই। উপরন্তু সম্পদের লোভে তাদেরকে অন্যত্র বিবাহও দিচ্ছো না। তেমনিভাবে তিনি বর্ণনা করবেন নিরুপায় ছোট বাচ্চাদের জন্য যা ওয়াজিব তাও। আর তা হলো তাদেরকে মিরাসের অধিকার দেয়া এবং তাদের সম্পদ অধিগ্রহণ করে তাদের উপর যুলুম না করা। অনুরূপভাবে তিনি বর্ণনা করবেন এতীমদের ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারটি। যা দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের ব্যাপারগুলো সুসংহত করবে। এতীম ও অন্যান্যদের জন্য করা তোমাদের সকল কল্যাণকর কাজই আল্লাহ তা‘আলা জানেন। তাই তিনি অচিরেই তোমাদেরকে এর প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• ما عند الله من الثواب لا يُنال بمجرد الأماني والدعاوى، بل لا بد من الإيمان والعمل الصالح.
ক. আল্লাহর নিকট সংরক্ষিত সাওয়াব ও প্রতিদান কেবল আশা ও দাবির মাধ্যমে পাওয়া যায় না। বরং তার জন্য ঈমান ও নেক আমলের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।

• الجزاء من جنس العمل، فمن يعمل سوءًا يُجْز به، ومن يعمل خيرًا يُجْز بأحسن منه.
খ. প্রতিদান হলো আমলের ধরন অনুযায়ী। সুতরাং যে খারাপ কাজ করবে সে তারই প্রতিদান পাবে। আর নেককারকে তার আমলের চেয়েও উত্তম প্রতিদান দেয়া হবে।

• الإخلاص والاتباع هما مقياس قبول العمل عند الله تعالى.
গ. একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা ও রাসূলের অনুসরণ এ দু’টি আল্লাহর নিকট আমল কবুল হওয়ার বিশেষ মাপকাঠি।

• عَظّمَ الإسلام حقوق الفئات الضعيفة من النساء والصغار، فحرم الاعتداء عليهم، وأوجب رعاية مصالحهم في ضوء ما شرع.
ঘ. ইসলাম দুর্বল শ্রেণী তথা মহিলা ও ছোট বাচ্চাদের অধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। তাই সে তাদের উপর যে কোন ধরনের অত্যাচার হারাম করে দিয়েছে। উপরন্তু সে শরীয়তের আলোকে তাদের সুবিধাদির রক্ষণাবেক্ষণ ওয়াজিব করে দিয়েছে।

وَإِنِ ٱمۡرَأَةٌ خَافَتۡ مِنۢ بَعۡلِهَا نُشُوزًا أَوۡ إِعۡرَاضٗا فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَآ أَن يُصۡلِحَا بَيۡنَهُمَا صُلۡحٗاۚ وَٱلصُّلۡحُ خَيۡرٞۗ وَأُحۡضِرَتِ ٱلۡأَنفُسُ ٱلشُّحَّۚ وَإِن تُحۡسِنُواْ وَتَتَّقُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا
১২৮. যদি কোন মহিলা তার স্বামীর পক্ষ থেকে তার ব্যাপারে কোন ধরনের অনীহা ও নিরুৎসাহিতার আশঙ্কা করে তাহলে পরস্পর সমঝোতা করায় তাদের কোন গুনাহ হবে না। তথা সে তার কিছু ওয়াজিব অধিকার ছেড়ে দিবে। যেমন: খোরপোষ ও রাত্রি যাপনের অধিকার। এ ক্ষেত্রে সমঝোতা করাই তাদের জন্য অনেক উত্তম তালাকের চেয়ে। বস্তুতঃ লোভ ও কৃপণতা দিয়েই মানুষের মানসিকতা তৈরি করা হয়েছে। তাই সে কখনো নিজের অধিকার ছাড়তে চায় না। এ জন্য স্বামী-স্ত্রীকে অবশ্যই নিজেদেরকে দয়া ও ছাড়ের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে এ চরিত্রের চিকিৎসা করতে হবে। যদি তোমরা সকল ক্ষেত্রে দয়ার পরিচয় দাও এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মানার মাধ্যমে তাঁকে ভয় করো তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সকল কর্মকাÐ সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়। তাই অচিরেই তিনি তোমাদেরকে এর প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلَن تَسۡتَطِيعُوٓاْ أَن تَعۡدِلُواْ بَيۡنَ ٱلنِّسَآءِ وَلَوۡ حَرَصۡتُمۡۖ فَلَا تَمِيلُواْ كُلَّ ٱلۡمَيۡلِ فَتَذَرُوهَا كَٱلۡمُعَلَّقَةِۚ وَإِن تُصۡلِحُواْ وَتَتَّقُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
১২৯. হে স্বামীরা! তোমরা কখনো বিপুল ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও হৃদয়ের আকর্ষণের ক্ষেত্রে স্ত্রীদের মাঝে পরিপূর্ণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। এমন কিছু কারণে যা সাধারণত তোমাদের ইচ্ছার বাইরে। তাই তোমরা যাকে ভালোবাসো না তার থেকে পরিপূর্ণভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তাকে ঝুলিয়ে রাখা বস্তুর ন্যায় পরিত্যাগ করো না। না তার কোন স্বামী আছে যে তার অধিকার আদায় করবে। না তার কোন স্বামী নেই তাই সে বিবাহের জন্য উৎসুকা থাকবে। আর যদি তোমরা নিজেদের ব্যাপারগুলো সংশোধন করে স্ত্রীর অধিকার আদায়ের ব্যাপারে নিজেদেরকে বাধ্য এবং সে ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করতে পারো তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِن يَتَفَرَّقَا يُغۡنِ ٱللَّهُ كُلّٗا مِّن سَعَتِهِۦۚ وَكَانَ ٱللَّهُ وَٰسِعًا حَكِيمٗا
১৩০. যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ে তালাক অথবা খোলার মাধ্যমে একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রত্যেককে তাঁর প্রশস্ত করুণায় অন্যের প্রতি অমুখাপেক্ষী করবেন। পুরুষকে তার আগের স্ত্রী থেকে আরো উত্তম স্ত্রী দিয়ে তার আগের স্ত্রীর প্রতি অমুখাপেক্ষী করবেন। তেমনিভাবে মহিলাকে তার আগের স্বামী থেকে আরো উত্তম স্বামী দিয়ে তার আগের স্বামীর প্রতি অমুখাপেক্ষী করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা প্রশস্ত করুণা ও দয়ার মালিক। তাঁর তাকদীর ও পরিচালনায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَلَقَدۡ وَصَّيۡنَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَإِيَّاكُمۡ أَنِ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ وَإِن تَكۡفُرُواْ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَنِيًّا حَمِيدٗا
১৩১. একমাত্র আল্লাহর জন্যই আকাশ, জমিন ও এতুদভয়ের সবকিছুই তার মালিকানা। আমি আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান এবং তোমাদের থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করে চলবে। উক্ত অঙ্গীকার অস্বীকার করলে তোমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের আনুগত্যের অমুখাপেক্ষী। কারণ, আকাশ ও জমিনের সবই তাঁর মালিকানাধীন। তিনি তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি অমুখাপেক্ষী। তাঁর সকল কর্ম ও গুণাবলীতে তিনি সত্যিই প্রশংসিত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا
১৩২. একমাত্র আল্লাহর জন্যই আকাশ ও জমিনে যা কিছু আছে তার মালিকানা। তিনিই আনুগত্যের উপযুক্ত। তাঁর সৃষ্টির সকল বিষয়াদির পরিচালনায় অভিভাবক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِن يَشَأۡ يُذۡهِبۡكُمۡ أَيُّهَا ٱلنَّاسُ وَيَأۡتِ بِـَٔاخَرِينَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ ذَٰلِكَ قَدِيرٗا
১৩৩. হে মানুষ! তিনি চাইলেই তোমাদেরকে ধ্বংস করে অন্যদেরকে নিয়ে আসবেন। যারা আল্লাহর আনুগত্য করবে এবং তাঁর অবাধ্য হবে না। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তা করতে সক্ষম।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
مَّن كَانَ يُرِيدُ ثَوَابَ ٱلدُّنۡيَا فَعِندَ ٱللَّهِ ثَوَابُ ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعَۢا بَصِيرٗا
১৩৪. হে মানুষ! তোমাদের কেউ নিজ আমলের মাধ্যমে শুধু দুনিয়ার প্রতিদান চাইলে সে যেন জেনে রাখে, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের প্রতিদান। তাই তাঁর কাছ থেকেই সেগুলোর প্রতিদান কামনা করতে হবে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সব কথাই শুনছেন এবং তোমাদের সকল কাজই দেখছেন। তাই অচিরেই তিনি তোমাদেরকে এগুলোর প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• استحباب المصالحة بين الزوجين عند المنازعة، وتغليب المصلحة بالتنازل عن بعض الحقوق إدامة لعقد الزوجية.
ক. দ্ব›েদ্বর সময় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সমঝোতা করা মুস্তাহাব। কিছু অধিকার ছাড়ের মাধ্যমে মৌলিক সুবিধার অগ্রাধিকার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে স্থায়ী করে।

• أوجب الله تعالى العدل بين الزوجات خاصة في الأمور المادية التي هي في مقدور الأزواج، وتسامح الشرع حين يتعذر العدل في الأمور المعنوية، كالحب والميل القلبي.
খ. আল্লাহ তা‘আলা স্ত্রীদের মাঝে ইনসাফ করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন। বিশেষ করে আর্থিক বিষয়াদিতে যা স্বামীদের সক্ষমতার অধীন। তবে ভিতরগত বিষয়াদিতে ইনসাফ করা অসম্ভব হলে শরীয়ত সেখানে ছাড় দিয়েছে। যেমন: ভালোবাসা ও আন্তরিক আকর্ষণ।

• لا حرج على الزوجين في الفراق إذا تعذرت العِشْرة بينهما.
গ. স্বামী-স্ত্রীর একসাথে জীবন যাপন অসম্ভব হলে তাদের মাঝে সম্পর্কচ্ছিন্নতায় কোন সমস্যা নেই।

• الوصية الجامعة للخلق جميعًا أولهم وآخرهم هي الأمر بتقوى الله تعالى بامتثال الأوامر واجتناب النواهي.
ঘ. শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য একটি সামগ্রিক অসিয়ত হলো আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করার আদেশ।

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّٰمِينَ بِٱلۡقِسۡطِ شُهَدَآءَ لِلَّهِ وَلَوۡ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ أَوِ ٱلۡوَٰلِدَيۡنِ وَٱلۡأَقۡرَبِينَۚ إِن يَكُنۡ غَنِيًّا أَوۡ فَقِيرٗا فَٱللَّهُ أَوۡلَىٰ بِهِمَاۖ فَلَا تَتَّبِعُواْ ٱلۡهَوَىٰٓ أَن تَعۡدِلُواْۚ وَإِن تَلۡوُۥٓاْ أَوۡ تُعۡرِضُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا
১৩৫. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা সর্বাবস্থায় ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো। সবার ব্যাপারে সত্যের সাক্ষ্য প্রদান করো। যদিও তা নিজেদের ও নিজেদের পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে সত্যকে স্বীকার করাটাই চায়। কারো দরিদ্রতা অথবা স্বচ্ছলতা যেন সাক্ষ্য আদায় বা তা পরিত্যাগে উৎসাহিত না করে। বস্তুতঃ আল্লাহই তোমাদের চেয়ে ধনী ও গরিবের বেশি নিকটবর্তী এবং তাদের সুবিধাদি সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাই তোমরা নিজেদের সাক্ষ্যর ক্ষেত্রে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। যাতে তোমরা সেখানে সত্যকে এড়িয়ে না যাও। যদি তোমরা যথোপযুক্তভাবে সাক্ষ্যটিকে আদায় না করে তাকে বিকৃত করো অথবা তা আদায় করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কর্মকাÐ সম্পর্কে সম্যক অবগত।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ ءَامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلَّذِي نَزَّلَ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ مِن قَبۡلُۚ وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا
১৩৬. হে মু’মিনরা! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং যে কুর‘আনকে আল্লাহ তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন উপরন্তু যে কিতাবগুলোকে তিনি তাঁর পূর্বেকার রাসূলদের উপর নাযিল করেছেন সেগুলোর উপর ঈমান আনার ক্ষেত্রে সর্বদা অটল থাকো। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ এবং তাঁর কিতাবসমূহ ও পরকালকে অস্বীকার করে সে মূলতঃ সঠিক রাস্তা থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ثُمَّ كَفَرُواْ ثُمَّ ءَامَنُواْ ثُمَّ كَفَرُواْ ثُمَّ ٱزۡدَادُواْ كُفۡرٗا لَّمۡ يَكُنِ ٱللَّهُ لِيَغۡفِرَ لَهُمۡ وَلَا لِيَهۡدِيَهُمۡ سَبِيلَۢا
১৩৭. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনার পর বারবার কুফরি করেছে তথা ঈমানের ছায়াতলে প্রবেশ করে তা থেকে আবার ফিরে এসেছে অতঃপর তাতে প্রবেশ করে আবারো তা থেকে ফিরে এসেছে এবং কুফরির উপর অটল থেকে তার উপর মৃত্যু বরণ করেছে আল্লাহ তা‘আলা তাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করবেন না, না তাদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিবেন যা তাঁর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
بَشِّرِ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ بِأَنَّ لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمًا
১৩৮. হে রাসূল! আপনি যারা কুফরিকে লুকিয়ে ঈমানকে প্রকাশ করে এমন মুনাফিকদেরকে সুসংবাদ দিন যে, তাদের জন্য কিয়ামতের দিন রয়েছে আল্লাহর নিকট যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
ٱلَّذِينَ يَتَّخِذُونَ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ أَيَبۡتَغُونَ عِندَهُمُ ٱلۡعِزَّةَ فَإِنَّ ٱلۡعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعٗا
১৩৯. উক্ত আযাবটি এ জন্য যে, তারা মু’মিনদেরকে বাদ দিয়ে কাফিরদেরকে সাহায্যকারী ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করেছে। খুবই আশ্চর্যজনক সে ব্যাপারটি যা তাদেরকে ওদের বন্ধু বানিয়েছে। তারা কি ওদের নিকট শক্তি ও প্রতিরক্ষা চায়, যার মাধ্যমে তারা উচ্চ সম্মানিত হবে?! অথচ শক্তি ও প্রতিরক্ষা সবই আল্লাহর জন্য।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أَنۡ إِذَا سَمِعۡتُمۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكۡفَرُ بِهَا وَيُسۡتَهۡزَأُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُواْ مَعَهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦٓ إِنَّكُمۡ إِذٗا مِّثۡلُهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ جَامِعُ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡكَٰفِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا
১৪০. হে মু’মিনরা! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর কুরআনুল-কারীমে এ ব্যাপারটি নাযিল করেছেন যে, তোমরা কোন মজলিসে বসে এমন লোকের কথা শুনতে পেলে যে আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরি ও সেগুলোকে নিয়ে ঠাট্টা করে তখন তাদের মজলিসে না বসে সেখান থেকে সরে যাওয়া বাধ্যতামূলক। যতক্ষণ না তারা আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরি ও সেগুলোকে নিয়ে ঠাট্টা করা ছাড়া অন্য কথা বলে। তোমরা এটা শুনার পরও তাদের সাথে বসলে তোমরা তাদের মতোই আল্লাহর আদেশ অমান্য করলে। কারণ, তোমরাও তাদের সাথে বসে তাদের মতো আল্লাহর অবাধ্য হলে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই কুফরিকে লুকিয়ে ইসলাম প্রকাশকারী মুনাফিকদেরকে কিয়ামতের দিন কাফিরদের সাথে জাহান্নামের আগুনে একত্রিত করবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• وجوب العدل في القضاء بين الناس وعند أداء الشهادة، حتى لو كان الحق على النفس أو على أحد من القرابة.
ক. মানুষের মাঝে ফায়সালা ও সাক্ষ্য আদায়ের সময় ন্যায়পরায়ণতা বাধ্যতামূলক। যদিও সত্যটি নিজ ও আত্মীয়-স্বজনের কারো বিপরীত হয়।

• على المؤمن أن يجتهد في فعل ما يزيد إيمانه من أعمال القلوب والجوارح، ويثبته في قلبه.
খ. মু’মিনের কর্তব্য হলো অন্তর ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের এমন আমল করা যা তার ঈমানকে বাড়িয়ে দিবে এবং তার অন্তরে তাকে প্রোথিত করবে।

• عظم خطر المنافقين على الإسلام وأهله؛ ولهذا فقد توعدهم الله بأشد العقوبة في الآخرة.
গ. ইসলাম ও মুসলমানদের উপর মুনাফিকদের কঠিন ভয়াবহতা। এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পরকালে কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়েছেন।

• إذا لم يستطع المؤمن الإنكار على من يتطاول على آيات الله وشرعه، فلا يجوز له الجلوس معه على هذه الحال.
ঘ. যখন কোন মু’মিন আল্লাহর আয়াতসমূহ ও তাঁর শরীয়ত নিয়ে কটাক্ষকারীকে প্রতিরোধ করতে না পারে তখন তার জন্য এ অবস্থায় ওর সাথে বসা জায়িয হবে না।

ٱلَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمۡ فَإِن كَانَ لَكُمۡ فَتۡحٞ مِّنَ ٱللَّهِ قَالُوٓاْ أَلَمۡ نَكُن مَّعَكُمۡ وَإِن كَانَ لِلۡكَٰفِرِينَ نَصِيبٞ قَالُوٓاْ أَلَمۡ نَسۡتَحۡوِذۡ عَلَيۡكُمۡ وَنَمۡنَعۡكُم مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ فَٱللَّهُ يَحۡكُمُ بَيۡنَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ وَلَن يَجۡعَلَ ٱللَّهُ لِلۡكَٰفِرِينَ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ سَبِيلًا
১৪১. যারা তোমাদের কল্যাণ অথবা অকল্যাণ যাই হোক না কেন তার অপেক্ষা করে অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি তোমাদের জন্য বিজয় নেমে আসে এবং তোমরা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আহরণ করো তখন তারা তোমাদেরকে বলে: আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না। আমরা সে জিনিসের সাক্ষী হয়েছি তোমরা যার সাক্ষী হয়েছো?! তথা আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছি যেখানে তোমরা উপস্থিত হয়েছো। যাতে তারা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ পেতে পারে। আর যদি কাফিরদের কোন লাভ হয়ে যায় তখন তারা তাদেরকে বলে: আমরা কি তোমাদের দায়িত্ব নেইনি। গুরুত্ব ও সহযোগিতা দিয়ে আমরা কি তোমাদেরকে বেষ্টন করে রাখিনি। আমরা কি তোমাদের সহযোগিতা ও মু’মিনদের অসহযোগিতা করে তাদের হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করিনি?! আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তোমাদের সকলের মাঝে ফায়সালা করে দিবেন। তখন তিনি মু’মিনদেরকে জান্নাতে প্রবেশের প্রতিদান দিবেন। আর মুনাফিকদেরকে জাহান্নামের তলদেশে প্রবেশের প্রতিদান দিবেন। আল্লাহ তা‘আলা কখনো তাঁর দয়ায় মু’মিনদের উপর কাফিরদেরকে কর্তৃত্ব করতে দিবেন না। বরং তিনি অচিরেই মু’মিনদেরকে সুপরিণতি দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَهُوَ خَٰدِعُهُمۡ وَإِذَا قَامُوٓاْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ قَامُواْ كُسَالَىٰ يُرَآءُونَ ٱلنَّاسَ وَلَا يَذۡكُرُونَ ٱللَّهَ إِلَّا قَلِيلٗا
১৪২. নিশ্চয়ই মুনাফিকরা কুফরিকে লুকিয়ে ইসলাম প্রকাশের মাধ্যমে আল্লাহকে ধোঁকা দিতে চাচ্ছে; অথচ তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছেন। তিনি তাদের কুফরি জেনেও তাদের জীবনকে হিফাযত করেছেন। আর তাদের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। তারা সালাতে অলসভাবে ও অস্থির মনে দাঁড়ায়। তারা শুধু মু’মিনদেরকে দেখলেই সামান্য আল্লাহর স্মরণ করে। নতুবা নয়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
مُّذَبۡذَبِينَ بَيۡنَ ذَٰلِكَ لَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ وَلَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلٗا
১৪৩. উক্ত মুনাফিকরা অস্থিরতা ও দ্বিধা-দ্ব›েদ্ব ভুগছে। তারা না প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যভাবে মু’মিনদের সাথে, না কাফিরদের সাথে। বরং তাদের বাহ্যিক দিকটা মু’মিনদের আর ভেতরের দিকটা কাফিরদের সাথে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা যাকে পথভ্রষ্ট করবেন হে রাসূল! আপনি তার জন্য ভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার হিদায়েতের কোন পথ খুুঁজে পাবেন না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ عَلَيۡكُمۡ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينًا
১৪৪. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা মু’মিনদের ব্যতিরেকে কাফিরদেরকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি চাচ্ছো এ কর্মের মাধ্যমে তোমাদের বিপক্ষে আল্লাহর জন্য একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ দাঁড় করাতে যা তোমাদের শাস্তির উপযুক্ততা বুঝাবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ فِي ٱلدَّرۡكِ ٱلۡأَسۡفَلِ مِنَ ٱلنَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمۡ نَصِيرًا
১৪৫. আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদেরকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের একেবারে নিচু স্তরে রাখবেন। আপনি তাদের জন্য শাস্তি থেকে রক্ষাকারী কোন সাহায্যকারী পাবেন না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ وَأَصۡلَحُواْ وَٱعۡتَصَمُواْ بِٱللَّهِ وَأَخۡلَصُواْ دِينَهُمۡ لِلَّهِ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَعَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ وَسَوۡفَ يُؤۡتِ ٱللَّهُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا
১৪৬. তবে যারা মুনাফিকী থেকে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে এবং নিজেদের ভেতরকে ঠিক করে নেয় উপরন্তু আল্লাহর অঙ্গীকারকে আঁকড়ে ধরে নিজেদের আমলকে রিয়া বিহীন আল্লাহর জন্য খাঁটি করে নেয় এ সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীরা দুনিয়া ও আখিরাতে মু’মিনদের সাথেই থাকবে। আর আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই মু’মিনদেরকে বড় প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
مَّا يَفۡعَلُ ٱللَّهُ بِعَذَابِكُمۡ إِن شَكَرۡتُمۡ وَءَامَنتُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ شَاكِرًا عَلِيمٗا
১৪৭. তোমাদেরকে শাস্তি দেয়ার আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। যদি তোমরা তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করো এবং তাঁর উপর ঈমান আনো। কারণ, তিনি দয়াশীল করুণাময়। তবে তিনি তোমাদের গুনাহের দরুন শাস্তি দিবেন। নিজের আমলগুলোকে যথাযথ করে তাঁর নিয়ামতগুলোর কৃতজ্ঞতা আদায় করলে আর তাঁর উপর প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে ঈমান আনলে তিনি কখনোই তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন না। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিয়ামত স্বীকারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাই তিনি তাদেরকে এর সাওয়াব দিবেন। আর তিনি তাঁর সৃষ্টির ঈমান সম্পর্কে অবগত। তাই অচিরেই তিনি প্রত্যেককে তার আমলের প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• بيان صفات المنافقين، ومنها: حرصهم على حظ أنفسهم سواء كان مع المؤمنين أو مع الكافرين.
ক. মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্যাবলীর বর্ণনা। যার অন্যতম হলো নিজ স্বার্থের প্রতি লোভী হওয়া। চাই তা মু’মিনদের সাথে থেকেই হোক অথবা কাফিরদের সাথে।

• أعظم صفات المنافقين تَذَبْذُبُهم وحيرتهم واضطرابهم، فلا هم مع المؤمنين حقًّا ولا مع الكافرين.
খ. মুনাফিকদের আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাদের দোদুল্যমানতা, অস্থিরতা ও দ্বিধা-দ্ব›দ্ব। না তারা সত্যিকারার্থে মু’মিনদের সাথে আছে, না কাফিরদের সাথে।

• النهي الشديد عن اتخاذ الكافرين أولياء من دون المؤمنين.
গ. মু’মিনদেরকে বাদ দিয়ে কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

• أعظم ما يتقي به المرء عذاب الله تعالى في الآخرة هو الإيمان والعمل الصالح.
ঘ. যে জিনিসের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পরকালে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে পারে তার অন্যতম হলো ঈমান ও নেক আমল।

۞ لَّا يُحِبُّ ٱللَّهُ ٱلۡجَهۡرَ بِٱلسُّوٓءِ مِنَ ٱلۡقَوۡلِ إِلَّا مَن ظُلِمَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا
১৪৮. আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্যে খারাপ কথা বলা পছন্দ করেন না। বরং অপছন্দ করেন ও সে ব্যাপারে শাস্তির হুমকি দেন। যালিমের ব্যাপারে বিচার চাইতে গিয়ে ও তার ব্যাপারে বদদু‘আ করতে গিয়ে এবং তার সমপর্যায়ের কথার প্রতিদান দিতে গিয়ে অত্যাচারিত হলে তার জন্য জায়িয খারাপ কথাটি প্রকাশ্যে বলা। তবে এ বিষয়ে ধৈর্য ধারণই উত্তম। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কথাগুলো শুনেন এবং তোমাদের নিয়্যাতসমূহ জানেন। তাই তোমরা খারাপ কথা বলা ও তার ইচ্ছা করার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِن تُبۡدُواْ خَيۡرًا أَوۡ تُخۡفُوهُ أَوۡ تَعۡفُواْ عَن سُوٓءٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوّٗا قَدِيرًا
১৪৯. তোমরা যে কোন ভালো কথা বা কাজ প্রকাশ্যে করো অথবা গোপনে কিংবা তোমাদের প্রতি দুর্ব্যবহারকারীদেরকে ক্ষমা করে দাও নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল শক্তিধর। তাই ক্ষমা করাই তোমাদের চরিত্র হওয়া উচিত। আশা করা যায় আল্লাহও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُواْ بَيۡنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٖ وَنَكۡفُرُ بِبَعۡضٖ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُواْ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا
১৫০. যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের সাথে কুফরি করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করতে চায়, যে আল্লাহর উপর ঈমান আনবে আর তাঁর রাসূলদের সাথে কুফরি করবে। উপরন্তু তারা বলে: আমরা কিছু রাসূলের উপর ঈমান আনবো আর কিছুর সাথে কুফরি করবো। মূলতঃ তারা চায় ঈমান ও কুফরির মাঝে ভিন্ন একটি পথ সৃষ্টি করতে যা তাদের ধারণামতে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ حَقّٗاۚ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا
১৫১. যারা এ পথ অবলম্বন করে তারা সত্যিকারার্থেই কাফির। তা এ জন্য যে, যারা সকল রাসূলের সাথে কুফরি করে অথবা তাঁদের কারো সাথে সে যেন আল্লাহ ও তাঁর সকল রাসূলের সাথে কুফরি করলো। আর আমি কাফিরদের জন্য কিয়ামতের দিন লাঞ্ছনাকর আযাবের ব্যবস্থা রেখেছি। উপরন্তু অহঙ্কারবশত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের উপর ঈমান না আনার দরুন তাদের জন্য শাস্তির বিশেষ আয়োজনও রয়েছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَلَمۡ يُفَرِّقُواْ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّنۡهُمۡ أُوْلَٰٓئِكَ سَوۡفَ يُؤۡتِيهِمۡ أُجُورَهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
১৫২. যারা একমাত্র আল্লাহর উপর ঈমান আনে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে না উপরন্তু তাঁর সকল রাসূলকে বিশ্বাস করে ও কাফিরদের মতো তাঁদের কারো মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি না করে সকলের উপরই ঈমান আনে তাদেরকে ঈমান ও নেক আমলের প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তা‘আলা মহা পুরস্কার দিবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَسۡـَٔلُكَ أَهۡلُ ٱلۡكِتَٰبِ أَن تُنَزِّلَ عَلَيۡهِمۡ كِتَٰبٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِۚ فَقَدۡ سَأَلُواْ مُوسَىٰٓ أَكۡبَرَ مِن ذَٰلِكَ فَقَالُوٓاْ أَرِنَا ٱللَّهَ جَهۡرَةٗ فَأَخَذَتۡهُمُ ٱلصَّٰعِقَةُ بِظُلۡمِهِمۡۚ ثُمَّ ٱتَّخَذُواْ ٱلۡعِجۡلَ مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُمُ ٱلۡبَيِّنَٰتُ فَعَفَوۡنَا عَن ذَٰلِكَۚ وَءَاتَيۡنَا مُوسَىٰ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينٗا
১৫৩. হে রাসূল! ইহুদিরা আপনার নিকট চাইবে যেন পুরো কিতাবটি তাদের উপর এক বারে আকাশ থেকে নাযিল করা হয় যেমন তা মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর ব্যাপারে ঘটেছে। যা আপনার সত্যতার আলামত হবে। আপনি তাদের এ চাওয়াকে বেশি বড় মনে করবেন না। কারণ, তাদের পূর্ববর্তীরা মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর নিকট এর চেয়ে আরো বড় কিছু তথা আল্লাহকে প্রকাশ্যে দেখতে চায়। তখন তাদের অপকর্মের শাস্তিস্বরূপ তাদেরকে বজ্রপাতে মৃত্যু দেয়া হয়। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে আবারো জীবিত করেছেন। এরপর তাদের নিকট আল্লাহর সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী আসার পরও - যা আল্লাহর একত্ববাদ এবং রুবূবিয়্যাত ও উলূহিয়্যাতে তাঁর একক মালিকানা বুঝায় - তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে গো বাছুরের পূজা করে। এরপরও আমি তাদেরকে ক্ষমা করি আর মূসাকে তাঁর বংশের উপর সুস্পষ্ট প্রমাণ দেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَرَفَعۡنَا فَوۡقَهُمُ ٱلطُّورَ بِمِيثَٰقِهِمۡ وَقُلۡنَا لَهُمُ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡبَابَ سُجَّدٗا وَقُلۡنَا لَهُمۡ لَا تَعۡدُواْ فِي ٱلسَّبۡتِ وَأَخَذۡنَا مِنۡهُم مِّيثَٰقًا غَلِيظٗا
১৫৪. আমি তাদের কাছ থেকে শক্ত অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য তাদের মাথার উপর পাহাড় উঁচিয়ে ধরি। যাতে তারা ভয়ে তার উপর আমল করে। আর আমি তা উঁচিয়ে ধরার পর তাদেরকে বললাম: তোমরা বাইতুল-মাক্বদিসের দরজা দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে সাজদারত অবস্থায় তাতে প্রবেশ করো। তখন তারা পিঠ বাঁকিয়ে তাতে প্রবেশ করে। আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা শনিবার মাছ শিকারের হঠকারিতা দেখিও না। তখন তারা হঠকারিতা দেখিয়ে মাছ শিকার করে। অথচ আমি ইতোপূর্বে এ ব্যাপারে তাদের থেকে শক্ত ও কঠিন অঙ্গীকার নেই। কিন্তু তারা সে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• يجوز للمظلوم أن يتحدث عن ظلمه وظالمه لمن يُرْجى منه أن يأخذ له حقه، وإن قال ما لا يسر الظالم.
ক. মযলুমের জন্য জায়িয এমন ব্যক্তির নিকট যুলুম ও যালিমের কথা বলা যার কাছ থেকে তার অধিকারটুকু আদায় করিয়ে দেয়ার আশা করা যায়। যদিও সে এমন কথা বলে যা যালিমের পছন্দনীয় না।

• حض المظلوم على العفو - حتى وإن قدر - كما يعفو الرب - سبحانه - مع قدرته على عقاب عباده.
খ. মযলুমকে ক্ষমার ব্যাপারে উৎসাহিত করা। যদিও সে যালিম থেকে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা রাখে যেমনিভাবে আমাদের রব তিনি তাদেরকে শাস্তি দিতে সক্ষম হওয়া সত্তে¡ও তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন।

• لا يجوز التفريق بين الرسل بالإيمان ببعضهم دون بعض، بل يجب الإيمان بهم جميعًا.
গ. রাসূলদের কারো উপর ঈমান এনে এবং কারো উপর না এনে তাঁদের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করা জায়িয নয়।

فَبِمَا نَقۡضِهِم مِّيثَٰقَهُمۡ وَكُفۡرِهِم بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَقَتۡلِهِمُ ٱلۡأَنۢبِيَآءَ بِغَيۡرِ حَقّٖ وَقَوۡلِهِمۡ قُلُوبُنَا غُلۡفُۢۚ بَلۡ طَبَعَ ٱللَّهُ عَلَيۡهَا بِكُفۡرِهِمۡ فَلَا يُؤۡمِنُونَ إِلَّا قَلِيلٗا
১৫৫. ফলে আমি তাদেরকে আমার রহমত থেকে বিতাড়িত করেছি। কারণ, তারা নিজেদের শক্ত অঙ্গীকারটি ভঙ্গ করেছে, আল্লাহর আয়াতগুলোর সাথে কুফরি করেছে, নবীদেরকে হত্যা করার সাহসিকতা দেখিয়েছে এবং তারা মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলেছে: আমাদের অন্তরগুলো আচ্ছাদিত। আপনি যা বলেন তা বুঝতে সক্ষম নয়। অথচ ব্যাপারটি তেমন যা তারা বলেছে। বরং আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন ফলে তাতে কোন কল্যাণই পেঁছাবে না। তাই তারা সামান্যটুকুই ঈমান আনবে যা তাদের কোন উপকার করতে পারবে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَبِكُفۡرِهِمۡ وَقَوۡلِهِمۡ عَلَىٰ مَرۡيَمَ بُهۡتَٰنًا عَظِيمٗا
১৫৬. আমি তাদেরকে কুফরির কারণে এবং মারইয়াম (আলাইহাস-সালাম) কে ব্যভিচারের মিথ্যা ও অমূলক অপবাদ দেয়ার কারণে আমার রহমত থেকে বিতাড়িত করি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَقَوۡلِهِمۡ إِنَّا قَتَلۡنَا ٱلۡمَسِيحَ عِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ رَسُولَ ٱللَّهِ وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَٰكِن شُبِّهَ لَهُمۡۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ ٱخۡتَلَفُواْ فِيهِ لَفِي شَكّٖ مِّنۡهُۚ مَا لَهُم بِهِۦ مِنۡ عِلۡمٍ إِلَّا ٱتِّبَاعَ ٱلظَّنِّۚ وَمَا قَتَلُوهُ يَقِينَۢا
১৫৭. আর আমি তাদেরকে লা’নত করি। কারণ, তারা মিথ্যাভাবে অহঙ্কার করে বলে: আমরা আল্লাহর রাসূল মাসীহ ‘ঈসা বিন মারইয়ামকে হত্যা করেছি। অথচ তারা না হত্যা করেছে, না তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে। যা তাদের ধারণা। বরং তারা এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে যার উপর আল্লাহ তা‘আলা ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) এর সাদৃশ্য ঢেলে দিয়েছেন। তারা মূলতঃ তাকেই ক্রুশবিদ্ধ করেছে। অথচ তাদের ধারণা তারা ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) কেই হত্যা করেছে। যারা তাঁর হত্যার দাবি করছে তারা হলো ইহুদি। আর যারা তাঁকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে তারা হলো খ্রিস্টান। তারা উভয়ই তাঁর ব্যাপারে সন্দেহ ও অস্থিরতায় ভুগছে। তাদের কারোরই তাঁর সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তারা কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করছে। আর অনুমান কখনো সত্য উদঘাটনে কোন উপকারে আসে না। বস্তুতঃ তারা না ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) কে হত্যা করেছে। না তারা তাঁকে নিশ্চিত ক্রুশবিদ্ধ করেছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
بَل رَّفَعَهُ ٱللَّهُ إِلَيۡهِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمٗا
১৫৮. বরং আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে উদ্ধার করে শরীর ও রূহ সমেত তাঁর কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ক্ষমতায় পরাক্রমশালী। কেউ তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। তেমনিভাবে তিনি তাঁর শরীয়ত, ফায়সালা ও পরিচালনায় প্রজ্ঞাবান।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَإِن مِّنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ إِلَّا لَيُؤۡمِنَنَّ بِهِۦ قَبۡلَ مَوۡتِهِۦۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يَكُونُ عَلَيۡهِمۡ شَهِيدٗا
১৫৯. শেষ যুগে ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) এর অবতরণের পর তাঁর মৃত্যুর আগেই আহলে কিতাবের প্রত্যেকেই তাঁর উপর ঈমান আনবে। আর কিয়ামতের দিন ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) তাদের কর্মকাÐের সাক্ষী হবেন। তা শরীয়তের পক্ষে হোক অথবা বিপক্ষে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَبِظُلۡمٖ مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْ حَرَّمۡنَا عَلَيۡهِمۡ طَيِّبَٰتٍ أُحِلَّتۡ لَهُمۡ وَبِصَدِّهِمۡ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ كَثِيرٗا
১৬০. ইহুদিদের যুলুমের কারণেই আমি তাদের পূর্বের কিছু পবিত্র ও হালাল খাদ্য তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছি। আমি প্রত্যেক নখ বিশিষ্ট প্রাণী এবং গরু ও ছাগলের চর্বি তাদের উপর হারাম করে দিয়েছি। তবে সেগুলোর পিঠের চর্বি তাদের জন্য হালাল। যেহেতু তারা নিজেদের ও অন্যদেরকে আল্লাহর পথে চলতে বাধা প্রদান করেছে। এমনকি কল্যাণের পথে বাধা প্রদান তাদের চরিত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَأَخۡذِهِمُ ٱلرِّبَوٰاْ وَقَدۡ نُهُواْ عَنۡهُ وَأَكۡلِهِمۡ أَمۡوَٰلَ ٱلنَّاسِ بِٱلۡبَٰطِلِۚ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ مِنۡهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا
১৬১. যেহেতু তারা সুদের লেন-দেন করে; অথচ সুদ গ্রহণ করতে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে নিষেধ করেছেন। আর যেহেতু তারা শরীয়তের কোন অধিকার ছাড়া মানুষের সম্পদ গ্রাস করে নিচ্ছে। বস্তুতঃ আমি তাদের মধ্যকার কাফিরদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
لَّٰكِنِ ٱلرَّٰسِخُونَ فِي ٱلۡعِلۡمِ مِنۡهُمۡ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ يُؤۡمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَۚ وَٱلۡمُقِيمِينَ ٱلصَّلَوٰةَۚ وَٱلۡمُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ أُوْلَٰٓئِكَ سَنُؤۡتِيهِمۡ أَجۡرًا عَظِيمًا
১৬২. তবে জ্ঞানে দৃঢ় ও পরিপক্ক ইহুদিরা আর হে রাসূল! মু’মিনরা আল্লাহ তা‘আলার নাযিলকৃত কুর‘আনকে বিশ্বাস করে। তারা আপনার পূর্বেকার রাসূলদের উপর নাযিলকৃত কিতাব তাওরাত এবং ইঞ্জীলেও বিশ্বাস করে। উপরন্তু তারা সালাত কায়িম করে, নিজেদের সম্পদের যাকাত দেয়, আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করে। যাঁর কোন শরীক নেই। তেমনিভাবে তারা কিয়ামতের দিনকে বিশ্বাস করে। বস্তুতঃ এ বৈশিষ্ট্যাবলীর অধিকারীদেরকে আমি অচিরেই মহা প্রতিদান দেবো।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• عاقبة الكفر الختم على القلوب، والختم عليها سبب لحرمانها من الفهم.
ক. অন্তরের উপর মোহর মেরে দেয়া সেটি সত্যিকার বুঝ থেকে বঞ্চিত হওয়ার একটি বিশেষ কারণ।

• بيان عداوة اليهود لنبي الله عيسى عليه السلام، حتى إنهم وصلوا لمرحلة محاولة قتله.
খ. আল্লাহর নবী ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) এর সাথে ইহুদিদের শত্রæতার বর্ণনা। এমনকি তারা পরিশেষে তাঁকে হত্যা করার প্রচেষ্টার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

• بيان جهل النصارى وحيرتهم في مسألة الصلب، وتعاملهم فيها بالظنون الفاسدة.
গ. খ্রিস্টানদের মূর্খতা এবং ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) কে ক্রুশবিদ্ধ করার বিষয়ে তাদের অস্থিরতা উপরন্তু এ ক্ষেত্রে বাতিল ধারণার ভিত্তিতেই তাদের আচরণের বর্ণনা।

• بيان فضل العلم، فإن من أهل الكتاب من هو متمكن في العلم حتى أدى به تمكنه هذا للإيمان بالنبي محمد صلى الله عليه وسلم.
ঘ. জ্ঞানের ফযীলতের বর্ণনা। কারণ, আহলে কিতাবের মধ্যকার যারা জ্ঞানে পরিপক্ক তাদের এ জ্ঞানের পরিপক্কতা তাদেরকে নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর ঈমান আনা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে।

۞ إِنَّآ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ كَمَآ أَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ نُوحٖ وَٱلنَّبِيِّـۧنَ مِنۢ بَعۡدِهِۦۚ وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِيمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَعِيسَىٰ وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَٰرُونَ وَسُلَيۡمَٰنَۚ وَءَاتَيۡنَا دَاوُۥدَ زَبُورٗا
১৬৩. হে রাসূল! আমি আগের নবীদের মতো আপনার নিকটও ওহী পাঠিয়েছি। তাই আপনি নতুন কোন রাসূল নন। ইতোপূর্বে আমি নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর নিকট ওহী পাঠিয়েছি। আরো পাঠিয়েছি তাঁর পরবর্তী নবীদের নিকট। তেমনিভাবে ওহী পাঠিয়েছি ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) এর নিকট এবং তাঁর দু’ সন্তান ইসমাঈল ও ইসহাকের নিকট। অনুরূপভাবে ইয়া’কূব ইবনু ইসহাক ও তাঁর বংশধরের নিকট। তাঁরা হলেন ইয়া’ক‚ব (আলাইহিস-সালাম) এর সন্তানদের বারোটি ইসরাঈল গোত্রে প্রেরিত নবী। আর আমি দাঊদ (আলাইহিস-সালাম) কে যাবূর নামক কিতাব দিয়েছি।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
وَرُسُلٗا قَدۡ قَصَصۡنَٰهُمۡ عَلَيۡكَ مِن قَبۡلُ وَرُسُلٗا لَّمۡ نَقۡصُصۡهُمۡ عَلَيۡكَۚ وَكَلَّمَ ٱللَّهُ مُوسَىٰ تَكۡلِيمٗا
১৬৪. আমার প্রেরিত অনেক রাসূলের বর্ণনা আমি আপনার নিকট প্রেরিত কুর‘আনে দিয়েছি। আবার অনেক প্রেরিত রাসূলের বর্ণনা আমি আপনার কুর‘আনে দেইনি। কৌশলগত কারণে আমি তাঁদেরকে কুর‘আনে উল্লেখ করিনি। আর আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে সম্মানিত করার জন্য তাঁর সাথে কোন মাধ্যম ছাড়া নবুওয়াতের বাস্তব ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ কথা বলেছেন। তা ছিলো বাস্তব কথা যা তাঁর সাথে মানায় এবং তা ছিলো মূসা (আলাইহিস-সালাম)।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
رُّسُلٗا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى ٱللَّهِ حُجَّةُۢ بَعۡدَ ٱلرُّسُلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمٗا
১৬৫. মু’মিনদেরকে সম্মানজনক প্রতিদানের সুসংবাদ এবং কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ভয় দেখানোর জন্য আমি তাদেরকে পাঠিয়েছি। যাতে রাসূলদেরকে পাঠানোর পর আল্লাহর নিকট মানুষের জন্য এমন কোন কৈফিয়ত না থাকে যা তারা ওজর হিসেবে পেশ করবে। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মালিকানায় মহাপরাক্রমশালী ও তাঁর ফায়সালায় মহাবিজ্ঞানী।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
لَّٰكِنِ ٱللَّهُ يَشۡهَدُ بِمَآ أَنزَلَ إِلَيۡكَۖ أَنزَلَهُۥ بِعِلۡمِهِۦۖ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَشۡهَدُونَۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًا
১৬৬. হে রাসূল! ইহুদিরা আপনার সাথে কুফরি করলে আল্লাহ তা‘আলা আপনার প্রতি প্রেরিত কুর‘আনের বিশুদ্ধতার সত্যায়ন করছেন। তিনিই তাতে তাঁর এমন জ্ঞান নাযিল করেছেন যা তাঁর বান্দাদেরকে জানানোর তিনি ইচ্ছা পোষণ করেছেন। যা তিনি পছন্দ করেন ও যার উপর তিনি সন্তুষ্ট অথবা যা তিনি অপছন্দ করেন ও অস্বীকার করেন। তেমনিভাবে আল্লাহর পাশাপাশি ফিরিশতারাও আপনার আনীত কুর‘আনের সত্যতার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ নিজেই যথেষ্ট। তাতে অন্য কারো সাক্ষ্যর প্রয়োজন নেই।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّواْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ قَدۡ ضَلُّواْ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا
১৬৭. যারা আপনার নবুওয়াতকে অস্বীকার করেছে আর ইসলাম গ্রহণে মানুষকে বাধা দিয়েছে নিশ্চয়ই তারা সত্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَظَلَمُواْ لَمۡ يَكُنِ ٱللَّهُ لِيَغۡفِرَ لَهُمۡ وَلَا لِيَهۡدِيَهُمۡ طَرِيقًا
১৬৮. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরি করেছে এবং কুফরির উপর অটল থেকে নিজেদের উপর যুলুম করেছে আল্লাহ তা‘আলা তাদের এ কুফরিতে অবিচল থাকা ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাদেরকে না এমন পথ দেখাবেন যা শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٗا
১৬৯. তবে সে পথই দেখাবেন যা তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিবে। যাতে তারা সর্বদা থাকবে। আর এটি আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। কোন কিছুই তাঁকে অক্ষম করতে পারে না।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدۡ جَآءَكُمُ ٱلرَّسُولُ بِٱلۡحَقِّ مِن رَّبِّكُمۡ فَـَٔامِنُواْ خَيۡرٗا لَّكُمۡۚ وَإِن تَكۡفُرُواْ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا
১৭০. হে মানুষ! তোমাদের নিকট রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়েত ও সত্য ধর্ম নিয়ে এসেছেন। তাই তোমাদের কাছে আনা বিষয়ে ঈমান আনো তাহলেই দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের কল্যাণ হবে। আর আল্লাহর সাথে কুফরি করলে আল্লাহ তা‘আলা নিশ্চয়ই তোমাদের ঈমানের মুখাপেক্ষী নন। তোমাদের কুফরি তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আসমান, জমিন ও এতদুভয়ের মাঝে থাকা সবকিছুর মালিক শুধু আল্লাহ। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা জানেন কে হিদায়েতের উপযুক্ত। তখন আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য হিদায়েতের পথ সহজ করে দেন। আর অনুপযুক্তকে আল্লাহ তা‘আলা তা থেকে দূরে রাখেন। তিনি তাঁর কথা, কাজ, শরীয়ত ও তাক্বদীরে অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• إثبات النبوة والرسالة في شأن نوح وإبراهيم وغيرِهما مِن ذرياتهما ممن ذكرهم الله وممن لم يذكر أخبارهم لحكمة يعلمها سبحانه.
ক. নূহ, ইব্রাহীম ও তাঁদের বংশধরদের মাঝে নবুওয়াত ও রিসালাত নির্ধারিত। তাঁদের কারো কারো কথা আল্লাহ তা‘আলা উল্লেখ করেছেন আবার কারো কারো কথা তাঁর এলেমে থাকায় কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।

• إثبات صفة الكلام لله تعالى على وجه يليق بذاته وجلاله، فقد كلّم الله تعالى نبيه موسى عليه السلام.
খ. কথার গুণ আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করা। তাঁর সত্তার সাথে যেভাবে সাযোজ্য সেভাবেই। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর সাথে কথা বলেছেন।

• تسلية النبي محمد عليه الصلاة والسلام ببيان أن الله تعالى يشهد على صدق دعواه في كونه نبيًّا، وكذلك تشهد الملائكة.
গ. নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে এ বলে সান্ত¦না দেয়া যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী হওয়ার দাবির সত্যতার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তেমনিভাবে ফিরিশতারাও সাক্ষ্য দিয়েছেন।

يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ لَا تَغۡلُواْ فِي دِينِكُمۡ وَلَا تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلۡحَقَّۚ إِنَّمَا ٱلۡمَسِيحُ عِيسَى ٱبۡنُ مَرۡيَمَ رَسُولُ ٱللَّهِ وَكَلِمَتُهُۥٓ أَلۡقَىٰهَآ إِلَىٰ مَرۡيَمَ وَرُوحٞ مِّنۡهُۖ فَـَٔامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦۖ وَلَا تَقُولُواْ ثَلَٰثَةٌۚ ٱنتَهُواْ خَيۡرٗا لَّكُمۡۚ إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ سُبۡحَٰنَهُۥٓ أَن يَكُونَ لَهُۥ وَلَدٞۘ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلٗا
১৭১. হে রাসূল! আপনি ইঞ্জীলে বিশ্বাসী খ্রিস্টানদেরকে বলুন: তোমরা নিজেদের ধর্মীয় ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করো না। আর আল্লাহর উপর ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) এর ব্যাপারে সত্য ছাড়া অন্য কথা বলো না। নিশ্চয়ই মাসীহ ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম আল্লাহর রাসূল। যাঁকে আল্লাহ তা‘আলা সত্যসহ প্রেরণ করেন। তিনি তাঁকে সেই কালিমা দিয়ে সৃষ্টি করেন যাসহ তিনি জিব্রীল (আলাইহিস-সালাম) কে মারইয়ামের নিকট পাঠান। তা হলো তাঁরই বাণী “কুন” তুমি হয়ে যাও তখন তিনি হয়ে গেলেন। সেটি ছিলো মূলতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ফুঁ যেটি জিব্রীল (আলাইহিস-সালাম) আল্লাহর আদেশে দিয়েছেন। তাই তোমরা বিনা পার্থক্যে আল্লাহ ও তাঁর সকল রাসূলের উপর ঈমান আনো। আর তোমরা বলো না যে, ইলাহ হলো তিনজন। তোমরা এ জাতীয় মিথ্যা ও অসার কথা থেকে ফিরে আসো। তাহলে তোমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে মঙ্গল হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা এক ইলাহ। তিনি শরীক ও সন্তান থেকে পবিত্র। তিনি অমুখাপেক্ষী। আসমান, জমিন ও এতদুভয়ের মাঝের সব কিছুর মালিক তিনি। আর এ সব কিছুর তত্ত¡াবধায়ক ও পরিচালক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
لَّن يَسۡتَنكِفَ ٱلۡمَسِيحُ أَن يَكُونَ عَبۡدٗا لِّلَّهِ وَلَا ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ٱلۡمُقَرَّبُونَۚ وَمَن يَسۡتَنكِفۡ عَنۡ عِبَادَتِهِۦ وَيَسۡتَكۡبِرۡ فَسَيَحۡشُرُهُمۡ إِلَيۡهِ جَمِيعٗا
১৭২. ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম কখনো আল্লাহর গোলাম হওয়াকে না অস্বীকার করেন; না ঘৃণা করেন এবং ফিরিশতারাও না। কারণ, এরা আল্লাহ তা‘আলার নিকটবর্তী করেছেন এবং সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী আল্লাহর খাঁটি বান্দা। তাই তোমরা কীভাবে ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) কে ইলাহ বা মা’বূদ সাব্যস্ত করছো?! আর মুশরিকরাই বা কীভাবে ফিরিশতাগণকে ইলাহ সাব্যস্ত করে?! যারা মূলতঃ আল্লাহর ইবাদাত করা ঘৃণা করে এবং তা করা থেকে নিজকে আরো উঁচু মনে করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা শিগগীরই সকলকে কিয়ামতের দিন তাঁর নিকট একত্রিত করে প্রত্যেককে তার যথোপযুক্ত প্রতিদান দিবেন।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَيُوَفِّيهِمۡ أُجُورَهُمۡ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضۡلِهِۦۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱسۡتَنكَفُواْ وَٱسۡتَكۡبَرُواْ فَيُعَذِّبُهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرٗا
১৭৩. আল্লাহতে ঈমান এনে ও তাঁর রাসূলদেরকে সত্য জ্ঞান করে আল্লাহর শরীয়ত যথাযথ মেনে নিষ্ঠার সাথে নেক আমলকারীদেরকে তিনি কোন ঘাটতি ছাড়া তাদের আমলের অবারিত প্রতিদান দিবেন। তিনি তাঁর দয়া ও করুণায় তাদের সাওয়াব আরো বাড়িয়ে দিবেন। আর যারা আল্লাহর ইবাদাত ও তাঁর আনুগত্যে অবহেলাকারী অহঙ্কারী এবং দাম্ভিকদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন। আল্লাহ ছাড়া সেদিন তারা অভিভাবক হিসেবে এমন কাউকে পাবে না যে সাহায্যকারী হয়ে তাদের ক্ষতি প্রতিহত করবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدۡ جَآءَكُم بُرۡهَٰنٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكُمۡ نُورٗا مُّبِينٗا
১৭৪. হে মানুষ! তোমাদের নিকট তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে যা সকল ওজর বন্ধ করে ও সন্দেহ দূর করে। তিনি হলেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আর আমি তোমাদের উপর নাযিল করেছি পরিষ্কার আলো। তা হলো এ কুর‘আনুল-কারীম।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَٱعۡتَصَمُواْ بِهِۦ فَسَيُدۡخِلُهُمۡ فِي رَحۡمَةٖ مِّنۡهُ وَفَضۡلٖ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَيۡهِ صِرَٰطٗا مُّسۡتَقِيمٗا
১৭৫. সুতরাং যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে আর তাদের নবীর উপর অবতীর্ণ কুর‘আন মাজীদকে আঁকড়ে ধরেছে যা করা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে তাদের উপর দয়া করে তাদের সাওয়াব আরো বাড়িয়ে তাদের মর্যাদা আরো উন্নত করবেন। উপরন্তু তাদেরকে তিনি বক্রতাহীন সরল পথে চলার তাওফীক দিবেন। যে রাস্তা জান্নাতে আদন পর্যন্ত পৌঁছে দিবে।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• بيان أن المسيح بشر، وأن أمه كذلك، وأن الضالين من النصارى غلوا فيهما حتى أخرجوهما من حد البشرية.
ক. মাসীহ (আলাইহিস-সালাম) ও তাঁর মা মারইয়াম (আলাইহাস-সালাম) উভয়ই মানুষ। কিন্তু পথভ্রষ্ট খ্রিস্টানরা তাঁদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে তাঁদেরকে মানবজাতি থেকে বের করে দিয়েছে।

• بيان بطلان شرك النصارى القائلين بالتثليث، وتنزيه الله تعالى عن أن يكون له شريك أو شبيه أو مقارب، وبيان انفراده - سبحانه - بالوحدانية في الذات والأسماء والصفات.
খ. তৃত্ববাদের প্রবক্তা খ্রিস্টানদের শিরক বাতিল হওয়ার বর্ণনা। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কোন শরীক, সদৃশ ও নিকটবর্তী হওয়া থেকে পবিত্র। উপরন্তু তাঁর সত্তা এবং নাম ও গুণাবলীতে তিনি একক হওয়ার বর্ণনা।

• إثبات أن عيسى عليه السلام والملائكة جميعهم عباد مخلوقون لا يستكبرون عن الاعتراف بعبوديتهم لله تعالى والانقياد لأوامره، فكيف يسوغ اتخاذهم آلهة مع كونهم عبيدًا لله تعالى؟!
গ. এ কথা সাব্যস্ত করা যে, ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) এবং সকল ফিরিশতা আল্লাহর সৃষ্ট গোলাম। তাঁরা কখনো আল্লাহর গোলামির কথা স্বীকার ও তাঁর আদেশের আনুগত্য করাকে অহঙ্কারবশত প্রত্যাখ্যান করে না। তাহলে তাঁরা আল্লাহর গোলাম হওয়া সত্তে¡ও তাঁদেরকে ইলাহ বানানো কীভাবে সঙ্গত হতে পারে?!

• في الدين حجج وبراهين عقلية تدفع الشبهات، ونور وهداية تدفع الحيرة والشهوات.
ঘ. ধর্মে এমন অনেক বুদ্ধিগত দলীল ও প্রমাণ রয়েছে যা অনেক সন্দেহকে দূর করে দেয় এবং তাতে এমন আলো ও হিদায়েত রয়েছে যা মানুষের অস্থিরতা ও কুপ্রবৃত্তিকে প্রতিরোধ করে।

يَسۡتَفۡتُونَكَ قُلِ ٱللَّهُ يُفۡتِيكُمۡ فِي ٱلۡكَلَٰلَةِۚ إِنِ ٱمۡرُؤٌاْ هَلَكَ لَيۡسَ لَهُۥ وَلَدٞ وَلَهُۥٓ أُخۡتٞ فَلَهَا نِصۡفُ مَا تَرَكَۚ وَهُوَ يَرِثُهَآ إِن لَّمۡ يَكُن لَّهَا وَلَدٞۚ فَإِن كَانَتَا ٱثۡنَتَيۡنِ فَلَهُمَا ٱلثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَۚ وَإِن كَانُوٓاْ إِخۡوَةٗ رِّجَالٗا وَنِسَآءٗ فَلِلذَّكَرِ مِثۡلُ حَظِّ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۗ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ أَن تَضِلُّواْۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمُۢ
১৭৬. হে রাসূল! তারা আপনাকে কালালার মিরাসের বিষয়ে তাদেরকে ফতোয়া চাইবে। মৃত্যুর সময় সে তার কোন পিতা ও সন্তানহীন হলো কালালা। আপনি বলুন, আল্লাহ তার ব্যাপারে বিধান বর্ণনা করছেন। যদি এমন কোন ব্যক্তি মারা যায়। যার কোন পিতা ও সন্তান নেই। তবে তার একটি আপন বা বৈমাত্রেয় বোন রয়েছে। তখন সে তার নির্ধারিত পাওনা হিসেবে মৃতের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। আর তার আপন বা বৈমাত্রেয় ভাই আসাবা হিসেবে মৃতের রেখে যাওয়া সম্পত্তির পুরোটাই পাবে যদি তার সাথে নির্ধারিত কোন পাওনাদার না থাকে। যদি তার সাথে নির্ধারিত পাওনাদার কেউ থাকে তখন তার পাওনাটুকু বাদ দিয়ে বাকিটুকু মিরাস হিসেবে পাবে। আর যদি আপন বা বৈমাত্রেয় বোন দু’ বা ততোধিক থাকে তখন তারা তাদের নির্ধারিত পাওনা হিসেবে সম্পদের দু’ তৃতীয়াংশ পাবে। আর যদি তার আপন বা বৈমাত্রেয় ভাই-বোন উভয়ই থাকে তখন তারা আসাবা হিসেবে “ছেলে দু’ মেয়ের সমান অংশ পাবে” সূত্রের ভিত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে। তথা ছেলেকে মেয়ের অংশের দ্বিগুণ দেয়া হবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য কালালা ইত্যাদির মিরাসের বিধান বর্ণনা করেছেন যেন তোমরা তার ব্যাপারে পথভ্রষ্ট না হও। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু জানেন। তাঁর নিকট কোন কিছু লুক্কায়িত নয়।
تەفسیرە عەرەبیەکان:
سوودەکانی ئایەتەکان لەم پەڕەیەدا:
• عناية الله بجميع أحوال الورثة في تقسيم الميراث عليهم.
ক. মিরাস বন্টনের ক্ষেত্রে ওয়ারিশদের সার্বিক অবস্থার প্রতি গুরুত্বারোপ।

• الأصل هو حِلُّ الأكل من كل بهيمة الأنعام، سوى ما خصه الدليل بالتحريم، أو ما كان صيدًا يعرض للمحرم في حجه أو عمرته.
খ. মূল বিধান হলো সকল গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু খাওয়া হালাল। তবে শরীয়ত নির্ধারিত হারাম জন্তু এবং হজ্জ ও উমরাহর সময় ইহরামকারীর সামনে উপস্থিত শিকার ছাড়া।

• النهي عن استحلال المحرَّمات، ومنها: محظورات الإحرام، والصيد في الحرم، والقتال في الأشهر الحُرُم، واستحلال الهدي بغصب ونحوه، أو مَنْع وصوله إلى محله.
গ. হারাম বস্তুগুলোকে হালাল করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা। যেমন: ইহরাম অবস্থার নিষিদ্ধ কর্মকাÐ, হারাম এলাকায় শিকার করা, হারাম মাসগুলোকে হত্যাকাÐ এবং অপহরণ ইত্যাদির মাধ্যমে হাদিকে হালাল করা অথবা সেটিকে নিজ স্থানে পৌঁছুতে বাধা দেয়া।

 
وه‌رگێڕانی ماناكان سوره‌تی: سورەتی النساء
پێڕستی سوره‌ته‌كان ژمارەی پەڕە
 
وه‌رگێڕانی ماناكانی قورئانی پیرۆز - وەرگێڕاوی بەنگالی بۆ پوختەی تەفسیری قورئانی پیرۆز - پێڕستی وه‌رگێڕاوه‌كان

وەرگێڕاوی بەنگالی بۆ پوختەی تەفسیری قورئانی پیرۆز، بڵاوکراوەتەوە لە لایەن ناوەندی تەفسیر بۆ خوێندنەوە قورئانیەکان.

داخستن