പരിഭാഷ അദ്ധ്യായം സൂറത്തുൽ വാഖിഅഃ - തഫ്സീറുൽ മുഖ്തസർ ബംഗാളി പരിഭാഷ - വിശുദ്ധ ഖുർആൻ വിജ്ഞാനകോശം

সূরা আল-ওয়াকিয়াহ

സൂറത്തിൻ്റെ ഉദ്ദേശ്യങ്ങളിൽ പെട്ടതാണ്:

بيان أحوال العباد يوم المعاد.

কিয়ামত দিবস সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন, তা সংঘটিত হওয়া নিশ্চিত এবং সে ক্ষেত্রে মানুষের বিভিন্ন প্রকার ও প্রত্যেকের প্রতিদান সম্পর্কীয় বর্ণনা।

---

ആയത്ത്: 1

إِذَا وَقَعَتِ ٱلۡوَاقِعَةُ

১. যখন অবশ্যই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।

ആയത്ത്: 2

لَيۡسَ لِوَقۡعَتِهَا كَاذِبَةٌ

২. তখন এমন কোন সত্তা পাওয়া যাবে না যে সেটির প্রতি মিথ্যারোপ করবে। অথচ সে দুনিয়াতে সেটির প্রতি মিথ্যারোপ করতো।

ആയത്ത്: 3

خَافِضَةٞ رَّافِعَةٌ

৩. যা পাপিষ্ঠ কাফিরদের জন্য জাহান্নামে প্রবিষ্ট করার মাধ্যমে অবনমিতকারী হবে এবং মুমিনদের জন্য তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করার মাধ্যমে উন্নীতকারী হবে।

ആയത്ത്: 4

إِذَا رُجَّتِ ٱلۡأَرۡضُ رَجّٗا

৪. যখন যমীনকে কঠিনভাবে প্রকম্পিত করা হবে।

ആയത്ത്: 5

وَبُسَّتِ ٱلۡجِبَالُ بَسّٗا

৫. আর পাহাড়সমূহকে চ‚র্ণবিচ‚র্ণ করা হবে।

ആയത്ത്: 6

فَكَانَتۡ هَبَآءٗ مُّنۢبَثّٗا

৬. ফলে তা উড্ডীয়মান ধূলিকণার মতো হবে। যার কোন স্থিতিশীলতা নেই।

ആയത്ത്: 7

وَكُنتُمۡ أَزۡوَٰجٗا ثَلَٰثَةٗ

৭. আর তোমরা সে দিন তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হবে।

ആയത്ത്: 8

فَأَصۡحَٰبُ ٱلۡمَيۡمَنَةِ مَآ أَصۡحَٰبُ ٱلۡمَيۡمَنَةِ

৮. ডান হাতে আমলনামা গ্রহণকারীদের মর্যাদা কতোই না উচ্চতর।

ആയത്ത്: 9

وَأَصۡحَٰبُ ٱلۡمَشۡـَٔمَةِ مَآ أَصۡحَٰبُ ٱلۡمَشۡـَٔمَةِ

৯. পক্ষান্তরে বাম হাতে আমলনামা গ্রহণকারীদের স্তর কতোই না নি¤œমানের।

ആയത്ത്: 10

وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلسَّٰبِقُونَ

১০. দুনিয়ার জীবনে ভাল কাজে অগ্রণীরা পরকালেও সর্বাগ্রে জান্নাতে যাবে।

ആയത്ത്: 11

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلۡمُقَرَّبُونَ

১১. তারাই আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী।

ആയത്ത്: 12

فِي جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ

১২. তারা ভোগসামগ্রী দ্বারা পরিপূর্ণ উদ্যানসমূহে অবস্থান করবে। যথায় তারা নানারূপ ভোগসামগ্রী উপভোগ করবে।

ആയത്ത്: 13

ثُلَّةٞ مِّنَ ٱلۡأَوَّلِينَ

১৩. এ উম্মত ও পূর্বকালের উম্মতের একদল।

ആയത്ത്: 14

وَقَلِيلٞ مِّنَ ٱلۡأٓخِرِينَ

১৪. আর শেষ যুগের এমন কিছু মানুষ যারা অগ্রণী ও নৈকট্য লাভকারী।

ആയത്ത്: 15

عَلَىٰ سُرُرٖ مَّوۡضُونَةٖ

১৫. তারা স্বর্ণ খচিত খাটে থাকবে।

ആയത്ത്: 16

مُّتَّكِـِٔينَ عَلَيۡهَا مُتَقَٰبِلِينَ

১৬. মুখোমুখী হয়ে হেলান দিয়ে থাকবে। কেউ কারো ঘাড়ের দিকে দেখবে না।

ഈ പേജിലെ ആയത്തുകളിൽ നിന്നുള്ള പാഠങ്ങൾ:

• دوام تذكر نعم الله وآياته سبحانه موجب لتعظيم الله وحسن طاعته.

ক. সর্বদা আল্লাহর নিয়ামত ও নিদর্শনের কথা স্মরণ রাখা আল্লাহর মর্যাদা ও উত্তম পন্থায় তাঁর আনুগত্যের উপায়।

• انقطاع تكذيب الكفار بمعاينة مشاهد القيامة.

খ. কিয়ামত প্রত্যক্ষ করার মাধ্যমে কাফিরদের মিথ্যারোপ বন্ধ হবে।

• تفاوت درجات أهل الجنة بتفاوت أعمالهم.

গ. আমলের ব্যবধানের ভিত্তিতে জান্নাতবাসীদের মর্যাদার বিভিন্নতা।

ആയത്ത്: 17

يَطُوفُ عَلَيۡهِمۡ وِلۡدَٰنٞ مُّخَلَّدُونَ

১৭. তাদের সেবার উদ্দেশ্যে তাদের পার্শ্বে কিশোররা ঘোরাফেরা করবে। যাদেরকে বার্ধক্য কিংবা ক্ষয় স্পর্শ করবে না।

ആയത്ത്: 18

بِأَكۡوَابٖ وَأَبَارِيقَ وَكَأۡسٖ مِّن مَّعِينٖ

১৮. তারা এদের পার্শ্ব দিয়ে জান্নাতের অবারিত ঝর্না থেকে মদের কাপ, পেয়ালা ও বাটি নিয়ে প্রদক্ষিণ করবে।

ആയത്ത്: 19

لَّا يُصَدَّعُونَ عَنۡهَا وَلَا يُنزِفُونَ

১৯. এটি দুনিয়ার মদের মতো নয়। ফলে তা মাথা ব্যথা সৃষ্টি করবে না। আর না তাতে বিবেক লোপ পাবে।

ആയത്ത്: 20

وَفَٰكِهَةٖ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ

২০. এ সব কিশোররা তাদের সামনে তাদের পছন্দের ফলমূল নিয়ে ঘুরাফেরা করবে।

ആയത്ത്: 21

وَلَحۡمِ طَيۡرٖ مِّمَّا يَشۡتَهُونَ

২১. তারা ওদের পছন্দের পাখীর মাংস নিয়ে ওদের সামনে ঘুরে বেড়াবে।

ആയത്ത്: 22

وَحُورٌ عِينٞ

২২. তাদের উদ্দেশ্যে জান্নাতে রয়েছে পদ্মলোচন চেহারাবিশিষ্ট রমণী।

ആയത്ത്: 23

كَأَمۡثَٰلِ ٱللُّؤۡلُوِٕ ٱلۡمَكۡنُونِ

২৩. যারা হবে ঝিনুকে লুকিয়ে থাকা মুক্তা দানার ন্যায়।

ആയത്ത്: 24

جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

২৪. এটি তাদের দুনিয়ার জীবনে কৃত পুণ্যের প্রতিদান স্বরূপ।

ആയത്ത്: 25

لَا يَسۡمَعُونَ فِيهَا لَغۡوٗا وَلَا تَأۡثِيمًا

২৫. তারা জান্নাতে কোনরূপ অশ্লীল কথা শুনবে না। আর না কোনরূপ পাপের কথা শ্রবণ করবে।

ആയത്ത്: 26

إِلَّا قِيلٗا سَلَٰمٗا سَلَٰمٗا

২৬. তারা সেখানে কেবল তাদের উপর ফিরিশতাদের ও তাদের পরস্পরের সালামই শুনবে।

ആയത്ത്: 27

وَأَصۡحَٰبُ ٱلۡيَمِينِ مَآ أَصۡحَٰبُ ٱلۡيَمِينِ

২৭. আর ডানপন্থীরা কারা? আল্লাহর নিকট তাদের মান-মর্যাদা কতোই না মহান!

ആയത്ത്: 28

فِي سِدۡرٖ مَّخۡضُودٖ

২৮. এমন কুল বাগিচায়। যার কাঁটা কর্তিত হওয়ার ফলে তাতে কোনরূপ কষ্টের কারণ নেই।

ആയത്ത്: 29

وَطَلۡحٖ مَّنضُودٖ

২৯. তথায় রয়েছে ঘনীভূত হয়ে পরস্পর সারিবদ্ধ কলা।

ആയത്ത്: 30

وَظِلّٖ مَّمۡدُودٖ

৩০. আর এমন লম্বা ও স্থায়ী ছায়া যা শেষ হওয়ার নয়।

ആയത്ത്: 31

وَمَآءٖ مَّسۡكُوبٖ

৩১. তথায় রয়েছে প্রবাহমান পানি যা আদৗ নিঃশেষ হওয়ার নয়।

ആയത്ത്: 32

وَفَٰكِهَةٖ كَثِيرَةٖ

৩২. তথায় রয়েছে পর্যাপ্ত ফলমূল যা গণনা করে শেষ করার মতো নয়।

ആയത്ത്: 33

لَّا مَقۡطُوعَةٖ وَلَا مَمۡنُوعَةٖ

৩৩. তা তাদের কাছ থেকে কখনো ফুরাবে না। কেননা, এ সবের কোন মৌসম নেই। আর না এগুলোকে তাদের কাছ থেকে আদৗ বারণ করা হবে। যখনই তারা এগুলোর কামনা-বাসনা করবে।

ആയത്ത്: 34

وَفُرُشٖ مَّرۡفُوعَةٍ

৩৪. উন্নত মানের সুউচ্চ বিছানাসমূহ পালঙ্কের উপর সাজানো থাকবে।

ആയത്ത്: 35

إِنَّآ أَنشَأۡنَٰهُنَّ إِنشَآءٗ

৩৫. আমি নিশ্চয়ই উল্লিখিত হুরদেরকে অস্বাভাবিক নিয়মে সৃষ্টি করেছি।

ആയത്ത്: 36

فَجَعَلۡنَٰهُنَّ أَبۡكَارًا

৩৬. আমি তাদেরকে কুমারী বানিয়েছি। যাদেরকে ইতিপূর্বে কেউ স্পর্শ করে নি।

ആയത്ത്: 37

عُرُبًا أَتۡرَابٗا

৩৭. তারা নিজেদের স্বামীর নিকট প্রিয়তমা সমবয়স্কা।

ആയത്ത്: 38

لِّأَصۡحَٰبِ ٱلۡيَمِينِ

৩৮. আমি তাদেরকে ডানপন্থীদের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি। যাদেরকে সৌভাগ্যের নিদর্শন স্বরূপ ডান দিকে অবস্থান করতে দেয়া হবে।

ആയത്ത്: 39

ثُلَّةٞ مِّنَ ٱلۡأَوَّلِينَ

৩৯. তারা পূর্বের নবীগণের জাতিসমূহের এক দল।

ആയത്ത്: 40

وَثُلَّةٞ مِّنَ ٱلۡأٓخِرِينَ

৪০. আর অপর দল হলো উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্য থেকে; যারা শেষ উম্মত।

ആയത്ത്: 41

وَأَصۡحَٰبُ ٱلشِّمَالِ مَآ أَصۡحَٰبُ ٱلشِّمَالِ

৪১. আর বামপন্থীরা কারা? তাদের অবস্থা ও ঠিকানা কতোই না মন্দ।

ആയത്ത്: 42

فِي سَمُومٖ وَحَمِيمٖ

৪২. তারা প্রচÐ গরম বাতাস ও ফুটন্ত পানির মধ্যে অবস্থান করবে।

ആയത്ത്: 43

وَظِلّٖ مِّن يَحۡمُومٖ

৪৩. আর কালো ধুঁয়াবিশিষ্ট ছায়ায় অবস্থান করবে।

ആയത്ത്: 44

لَّا بَارِدٖ وَلَا كَرِيمٍ

৪৪. যার গতিবেগ ভালো নয়। আর না তার দৃশ্য সুন্দর।

ആയത്ത്: 45

إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَبۡلَ ذَٰلِكَ مُتۡرَفِينَ

৪৫. তারা এ শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পূর্বে দুনিয়াতে উপভোগে লিপ্ত ছিলো। নিজেদের প্রবৃত্তির চাহিদা মিটানো ব্যতীত তাদের আর কোন চিন্তা ছিলো না।

ആയത്ത്: 46

وَكَانُواْ يُصِرُّونَ عَلَى ٱلۡحِنثِ ٱلۡعَظِيمِ

৪৬. তারা আল্লাহর সাথে কুফরী করা ও তাঁকে বাদ দিয়ে মূর্তিদের ইবাদাতে বদ্ধপরিকর ছিল।

ആയത്ത്: 47

وَكَانُواْ يَقُولُونَ أَئِذَا مِتۡنَا وَكُنَّا تُرَابٗا وَعِظَٰمًا أَءِنَّا لَمَبۡعُوثُونَ

৪৭. আর তারা পুনরুত্থানকে অস্বীকার করতো। তাই তারা ঠাট্টা ও এটিকে দুস্কর মনে করে বলবে, আমরা যখন মারা গিয়ে মাটি হয়ে যাবো এবং আমাদের হাড়গুলো বিগলিত হয়ে যাবে তখন কি আবার আমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে?!

ആയത്ത്: 48

أَوَءَابَآؤُنَا ٱلۡأَوَّلُونَ

৪৮. না কি আমাদের মৃত পূর্বপুরুষদেরকে পুনর্বার উঠানো হবে?!

ആയത്ത്: 49

قُلۡ إِنَّ ٱلۡأَوَّلِينَ وَٱلۡأٓخِرِينَ

৪৯. হে রাসূল! আপনি এ সব পুনরুত্থানে অবিশ্বাসীদেরকে বলুন: নিশ্চয়ই পূর্ব ও পরের মানুষদেরকে।

ആയത്ത്: 50

لَمَجۡمُوعُونَ إِلَىٰ مِيقَٰتِ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ

৫০. অচিরেই হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে সমবেত করা হবে।

ഈ പേജിലെ ആയത്തുകളിൽ നിന്നുള്ള പാഠങ്ങൾ:

• العمل الصالح سبب لنيل النعيم في الآخرة.

ক. নেক আমল পরকালে নিয়ামত লাভের উপায়।

• الترف والتنعم من أسباب الوقوع في المعاصي.

খ. ভোগ-বিলাস পাপে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যম।

• خطر الإصرار على الذنب.

গ. পাপের উপর অবিচল থাকার ভয়াবহতা।

ആയത്ത്: 51

ثُمَّ إِنَّكُمۡ أَيُّهَا ٱلضَّآلُّونَ ٱلۡمُكَذِّبُونَ

৫১. অতঃপর হে পুনরুত্থান অস্বীকারকারী ব্যক্তিরা! যারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত।

ആയത്ത്: 52

لَأٓكِلُونَ مِن شَجَرٖ مِّن زَقُّومٖ

৫২. তোমরা যাক্কুম নামক নোংরা ও নিকৃষ্ট বৃক্ষ থেকে ফল ভক্ষণ করবে।

ആയത്ത്: 53

فَمَالِـُٔونَ مِنۡهَا ٱلۡبُطُونَ

৫৩. ফলে তোমরা এ বৃক্ষের তিক্ত ফল দিয়ে নিজেদের খালি উদর পূর্ণ করবে।

ആയത്ത്: 54

فَشَٰرِبُونَ عَلَيۡهِ مِنَ ٱلۡحَمِيمِ

৫৪. অতঃপর প্রচÐ উত্তপ্ত গরম পানি পান করবে।

ആയത്ത്: 55

فَشَٰرِبُونَ شُرۡبَ ٱلۡهِيمِ

৫৫. ফলে তারা প্রচুর পরিমাণে তা পান করবে। যেমন উট তীব্র পিপাসায় অধিক পরিমাণে পানি পান করে।

ആയത്ത്: 56

هَٰذَا نُزُلُهُمۡ يَوۡمَ ٱلدِّينِ

৫৬. উপরোল্লেখিত তিক্ত খাবার ও গরম পানীয় দিয়ে তাদেরকে প্রতিদান দিবসে অভ্যর্থনা জানানো হবে।

ആയത്ത്: 57

نَحۡنُ خَلَقۡنَٰكُمۡ فَلَوۡلَا تُصَدِّقُونَ

৫৭. হে মিথ্যারোপকারীরা! আমি তোমাদেরকে অনস্তিত্ব থেকে সৃষ্টি করেছি। তবে কি তোমরা এ কথা বিশ্বাস করো না যে, আমি তোমাদের মৃত্যুর পর আবারো তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করবো?!

ആയത്ത്: 58

أَفَرَءَيۡتُم مَّا تُمۡنُونَ

৫৮. হে লোক সকল! তোমরা কি ভেবে দেখেছো, যে বীর্য তোমরা স্ত্রীদের গর্ভাশয়ে নিক্ষেপ করো?!

ആയത്ത്: 59

ءَأَنتُمۡ تَخۡلُقُونَهُۥٓ أَمۡ نَحۡنُ ٱلۡخَٰلِقُونَ

৫৯. তোমরা কি এ বীর্য সৃষ্টি করো; না কি আমিই তা সৃষ্টি করি?!

ആയത്ത്: 60

نَحۡنُ قَدَّرۡنَا بَيۡنَكُمُ ٱلۡمَوۡتَ وَمَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوقِينَ

৬০. আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুর ফায়সালা করেছি। ফলে তোমাদের প্রত্যেকের জন্য এমন এক নির্ধারিত মেয়াদ রয়েছে যার আগে সে মরবে না। আর না তার পরে মরবে। আর না আমি মৃত্যু দিতে অপারগ।

ആയത്ത്: 61

عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ أَمۡثَٰلَكُمۡ وَنُنشِئَكُمۡ فِي مَا لَا تَعۡلَمُونَ

৬১. তোমাদের বর্তমান সৃষ্টি ও রূপ পরিবর্তন করে তোমাদের অজ্ঞাত অন্য সৃষ্টি ও রূপ প্রদান করতে।

ആയത്ത്: 62

وَلَقَدۡ عَلِمۡتُمُ ٱلنَّشۡأَةَ ٱلۡأُولَىٰ فَلَوۡلَا تَذَكَّرُونَ

৬২. তোমরা অবশ্যই জেনেছো কিভাবে আমি তোমাদের প্রথম সৃষ্টি সম্পন্ন করেছি। তবে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো না এবং এ কথা বিশ্বাস করো না যে, যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন তিনি তোমাদের মৃত্যুর পর পুনর্বার সৃষ্টি করতে সক্ষম?!

ആയത്ത്: 63

أَفَرَءَيۡتُم مَّا تَحۡرُثُونَ

৬৩. তোমরা মাটিতে যে বীজ বপন করো তা কি ভেবে দেখেছো?!

ആയത്ത്: 64

ءَأَنتُمۡ تَزۡرَعُونَهُۥٓ أَمۡ نَحۡنُ ٱلزَّٰرِعُونَ

৬৪. তোমরাই কি এর কলি উৎপন্ন করো; না কি আমি তা করি?!

ആയത്ത്: 65

لَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنَٰهُ حُطَٰمٗا فَظَلۡتُمۡ تَفَكَّهُونَ

৬৫. আমি যদি চাই তাহলে এই শস্যকে খড়কুটোয় পরিণত করে দিতে পারি। যা পরিপক্ব ও হাতে পাওয়ার নিকটবর্তী সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলো। ফলে তোমরা তা দেখে আশ্চর্যান্বিত হবে?!

ആയത്ത്: 66

إِنَّا لَمُغۡرَمُونَ

৬৬. তখন তোমরা বলবে, আমরা অবশ্যই যা ব্যয় করেছি এর ক্ষয়-ক্ষতির শাস্তি পোহাচ্ছি।

ആയത്ത്: 67

بَلۡ نَحۡنُ مَحۡرُومُونَ

৬৭. বরং আমরা রিযিক থেকে বঞ্চিত।

ആയത്ത്: 68

أَفَرَءَيۡتُمُ ٱلۡمَآءَ ٱلَّذِي تَشۡرَبُونَ

৬৮. তোমরা কি পিপাসার মুহূর্তে পানি পান করার বিষয়ে চিন্তা করেছো?!

ആയത്ത്: 69

ءَأَنتُمۡ أَنزَلۡتُمُوهُ مِنَ ٱلۡمُزۡنِ أَمۡ نَحۡنُ ٱلۡمُنزِلُونَ

৬৯. তোমরা কি একে আসমানের মেঘমালা থেকে অবতারণ করিয়েছো, না কি আমি অবতারণকারী?!

ആയത്ത്: 70

لَوۡ نَشَآءُ جَعَلۡنَٰهُ أُجَاجٗا فَلَوۡلَا تَشۡكُرُونَ

৭০. আমি যদি চাই সেটিকে প্রচÐ রকমের লবনাক্ত বানাতে যা পান করা যায় না, না সেচকার্যে ব্যয় হয় তাহলে আমি তা করতে পারি। তবে আল্লাহ যে তোমাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে সেটিকে সুমিষ্ট করে অবতরণ করলেন সে জন্য তোমরা কেন তাঁর শুকরিয়া আদায় করো না?!

ആയത്ത്: 71

أَفَرَءَيۡتُمُ ٱلنَّارَ ٱلَّتِي تُورُونَ

৭১. তোমরা কি সেই আগুনকে দেখেছো যেটিকে তোমরা নিজেদের উপকারার্থে প্রজ্বলিত করে থাকো?!

ആയത്ത്: 72

ءَأَنتُمۡ أَنشَأۡتُمۡ شَجَرَتَهَآ أَمۡ نَحۡنُ ٱلۡمُنشِـُٔونَ

৭২. তোমরাই কি প্রজ্বলিত করণের বৃক্ষটি সৃষ্টি করেছো, না কি আমি তোমাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তা সৃষ্টি করেছি?!

ആയത്ത്: 73

نَحۡنُ جَعَلۡنَٰهَا تَذۡكِرَةٗ وَمَتَٰعٗا لِّلۡمُقۡوِينَ

৭৩. আমি এ আগুনকে তোমাদের জন্য উপদেশ বানিয়েছি। যা তোমাদেরকে পরকালের আগুনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর সেটিকে তোমাদের মধ্যকার ভ্রমণকারীদের জন্য উপকারীও বানিয়েছি।

ആയത്ത്: 74

فَسَبِّحۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلۡعَظِيمِ

৭৪. তাই হে রাসূল! আপনি নিজ মহান প্রতিপালকের জন্য বেমানান এমন বস্তু থেকে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন।

ആയത്ത്: 75

۞ فَلَآ أُقۡسِمُ بِمَوَٰقِعِ ٱلنُّجُومِ

৭৫. আল্লাহ তারকারাজির অবস্থান ও স্থানের শপথ করেছেন।

ആയത്ത്: 76

وَإِنَّهُۥ لَقَسَمٞ لَّوۡ تَعۡلَمُونَ عَظِيمٌ

৭৬. তোমরা যদি এ সব অবস্থানের মর্যাদা জানতে তাহলে বুঝতে, এর কসম খাওয়া কতো মস্তবড় ব্যাপার। তাতে রয়েছে অগণিত নিদর্শন ও উপদেশাবলী।

ഈ പേജിലെ ആയത്തുകളിൽ നിന്നുള്ള പാഠങ്ങൾ:

• دلالة الخلق الأول على سهولة البعث ظاهرة.

ক. প্রথম বারের সৃষ্টি পুনরুত্থানের প্রমাণ বহনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট।

• إنزال الماء وإنبات الأرض والنار التي ينتفع بها الناس نعم تقتضي من الناس شكرها لله، فالله قادر على سلبها متى شاء.

খ. পানির অবতারণ, যমীনের উৎপাদন ও মানুষের উপকারে ব্যবহৃত আগুন হলো এমন সব নিয়ামত যা মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের দাবি রাখে। কেননা, আল্লাহ চাইলে তিনি তা হরণ করতে সক্ষম।

• الاعتقاد بأن للكواكب أثرًا في نزول المطر كُفْرٌ، وهو من عادات الجاهلية.

গ. বৃষ্টি বর্ষণে তারকার প্রভাবে বিশ্বাস রাখা কুফরী। যা জাহিলী যুগের প্রথা।

ആയത്ത്: 77

إِنَّهُۥ لَقُرۡءَانٞ كَرِيمٞ

৭৭. হে লোক সকল! তোমাদের সামনে পঠিত এ কুরআন হলো সম্মানিত কুরআন। যেহেতু তাতে রয়েছে বহু ধরনের মহা উপকারিতা।

ആയത്ത്: 78

فِي كِتَٰبٖ مَّكۡنُونٖ

৭৮. এমন এক কিতাবে যা মানুষের দৃষ্টি থেকে সংরক্ষিত। যা হলো লাওহে মাহফূজ।

ആയത്ത്: 79

لَّا يَمَسُّهُۥٓ إِلَّا ٱلۡمُطَهَّرُونَ

৭৯. পাপ ও দোষ থেকে পরিষ্কার ফিরিশতা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করতে পারে না।

ആയത്ത്: 80

تَنزِيلٞ مِّن رَّبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

৮০. যা সৃষ্টিকুলের ¯্রষ্টার পক্ষ থেকে স্বীয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর অবতীর্ণ।

ആയത്ത്: 81

أَفَبِهَٰذَا ٱلۡحَدِيثِ أَنتُم مُّدۡهِنُونَ

৮১. হে মুশরিকরা! তোমরা কি এ বাণীকে সত্যায়ন না করে অস্বীকার করছো?!

ആയത്ത്: 82

وَتَجۡعَلُونَ رِزۡقَكُمۡ أَنَّكُمۡ تُكَذِّبُونَ

৮২. আর আল্লাহ নিয়ামত স্বরূপ তোমাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছেন সেটির শুকরিয়া হিসেবে তোমরা সেটির প্রতি মিথ্যারোপ করছো। ফলে তোমরা বৃষ্টিকে তারকার প্রতি সম্বন্ধ করছো। তাই তোমরা বলছো যে, আমাদেরকে অমুক অমুক তারকার সাহায্যে বৃষ্টি প্রদান করা হয়েছে?!

ആയത്ത്: 83

فَلَوۡلَآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلۡحُلۡقُومَ

৮৩. তাই যখন আত্মা কণ্ঠনালীতে পৌঁছে।

ആയത്ത്: 84

وَأَنتُمۡ حِينَئِذٖ تَنظُرُونَ

৮৪. আর তোমরা নিজেদের সম্মুখের মুমূর্ষু ব্যক্তির প্রতি দেখতে থাকো।

ആയത്ത്: 85

وَنَحۡنُ أَقۡرَبُ إِلَيۡهِ مِنكُمۡ وَلَٰكِن لَّا تُبۡصِرُونَ

৮৫. তখন আমি আমার জ্ঞান, ক্ষমতা ও ফিরিশতাদের মাধ্যমে তোমাদের অপেক্ষা তোমাদের মৃতদের আরো নিকবর্তী হই। কিন্তু তোমরা এ সব ফিরিশতাদেরকে দেখতে পাও না।

ആയത്ത്: 86

فَلَوۡلَآ إِن كُنتُمۡ غَيۡرَ مَدِينِينَ

৮৬. তোমরা যদি ধারণা করো যে, তোমাদের কাজের প্রতিদানের উদ্দেশ্যে তোমরা পুনরুত্থিত হবে না।

ആയത്ത്: 87

تَرۡجِعُونَهَآ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

৮৭. তাহলে তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকলে নিজেদের মৃতদের থেকে বেরিয়ে যাওয়া আত্মাকে ফিরিয়ে আনো?! বস্তুতঃ তোমরা তা করতে সক্ষম নও।

ആയത്ത്: 88

فَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلۡمُقَرَّبِينَ

৮৮. যদি মৃত ব্যক্তি কল্যাণকর কাজে অগ্রসর হয়ে থাকে।

ആയത്ത്: 89

فَرَوۡحٞ وَرَيۡحَانٞ وَجَنَّتُ نَعِيمٖ

৮৯. তাহলে তার জন্য রয়েছে এমন শান্তি যার পর কোন ক্লান্তি থাকবে না। আরো রয়েছে উত্তম জীবিকা। সর্বোপরি জান্নাত। তথায় তার চাহিদানুযায়ী সে তা উপভোগ করতে থাকবে।

ആയത്ത്: 90

وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنۡ أَصۡحَٰبِ ٱلۡيَمِينِ

৯০-৯১. যদি মৃত ব্যক্তি ডানপন্থী হয় তাহলে তাদেরকে নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না। কেননা, তাদের জন্য রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা।

ആയത്ത്: 91

فَسَلَٰمٞ لَّكَ مِنۡ أَصۡحَٰبِ ٱلۡيَمِينِ

৯০-৯১. যদি মৃত ব্যক্তি ডানপন্থী হয় তাহলে তাদেরকে নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না। কেননা, তাদের জন্য রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা।

ആയത്ത്: 92

وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٱلضَّآلِّينَ

৯২. আর যদি মৃত ব্যক্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আনিত বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপকারী ও সরল পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে থাকে।

ആയത്ത്: 93

فَنُزُلٞ مِّنۡ حَمِيمٖ

৯৩. তাহলে তার মেহমানদারি হবে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে।

ആയത്ത്: 94

وَتَصۡلِيَةُ جَحِيمٍ

৯৪. আর সে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে।

ആയത്ത്: 95

إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ حَقُّ ٱلۡيَقِينِ

৯৫. হে নবী! আমি আপনাকে যে কাহিনী বর্ণনা করেছি তা এমন সত্য যাতে কোন সন্দেহ নেই।

ആയത്ത്: 96

فَسَبِّحۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلۡعَظِيمِ

৯৬. তাই আপনি নিজ রবের মহান নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁকে দোষ-ত্রæটি থেকে মুক্ত ঘোষণা করুন।

ഈ പേജിലെ ആയത്തുകളിൽ നിന്നുള്ള പാഠങ്ങൾ:

• شدة سكرات الموت وعجز الإنسان عن دفعها.

ক. মৃত্যুর যন্ত্রনার প্রচÐতা এবং মানুষের তা প্রতিহত করা থেকে অপারগতা।

• الأصل أن البشر لا يرون الملائكة إلا إن أراد الله لحكمة.

খ. মূল অবস্থা হলো, মানুষ ফিরিশতাদের দর্শনে অপারগ। হ্যাঁ, যদি আল্লাহ কোন কারণে তা চেয়ে থাকেন তাহলে সম্ভব।

• أسماء الله (الأول، الآخر، الظاهر، الباطن) تقتضي تعظيم الله ومراقبته في الأعمال الظاهرة والباطنة.

গ. আল্লাহর নাম (আল-আওওয়াল, আল-আখের, আজ্জাহির, আল বাতিন) ইত্যাদি তাঁর সম্মান এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কাজে তাঁকে স্মরণ রাখার ক্ষেত্রে প্রমাণ বহনকারী।