অৰ্থানুবাদ ছুৰা আশ্ব-শ্বুআৰা - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 376 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 207

مَآ أَغۡنَىٰ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يُمَتَّعُونَ

২০৭. তখন এ দুনিয়ার নিয়ামতগুলো তাদের কী ফায়েদায় আসবে?! বরং এ নিয়ামতগুলো তখন সম্পর্কহীন হয়ে পড়বে। যেগুলো তাদের কোন উপকারেই আসবে না।

আয়াত: 208

وَمَآ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ

২০৮. আমি যখনই কোন জাতিকে ধ্বংস করেছি তা কিন্তু তাদের নিকট রাসূল পাঠিয়ে এবং কিতাব নাযিল করে তাদের ওজর-আপত্তি বন্ধ করে দেয়ার পরই করেছি।

আয়াত: 209

ذِكۡرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَٰلِمِينَ

২০৯. যা মূলতঃ তাদের জন্য ওয়াজ এবং উপদেশই ছিলো। বস্তুতঃ আমি তাদের নিকট রাসূল পাঠিয়ে এবং কিতাব নাযিল করে তাদের ওজর-আপত্তি বন্ধ করে দেয়ার পর তাদেরকে শাস্তি দিয়ে কোন যুলুম করিনি।

আয়াত: 210

وَمَا تَنَزَّلَتۡ بِهِ ٱلشَّيَٰطِينُ

২১০. মূলতঃ এ কুর‘আন নিয়ে রাসূলের অন্তরের উপর কোন শয়তান নাযিল হয়নি।

আয়াত: 211

وَمَا يَنۢبَغِي لَهُمۡ وَمَا يَسۡتَطِيعُونَ

২১১. তাদের জন্য সম্ভবও নয় যে, তারা তাঁর অন্তরের উপর নাযিল হবে। আর তারা তা করতেও পারবে না।

আয়াত: 212

إِنَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّمۡعِ لَمَعۡزُولُونَ

২১২. তারা তা করতে পারবে না। কারণ, তারা আকাশের সেই জায়গা থেকে অনেক দূরে। অতএব, তারা কিভাবে সেই পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং তা নিয়ে নাযিল হবে?!

আয়াত: 213

فَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُعَذَّبِينَ

২১৩. তাই আপনি আল্লাহর সাথে অন্য মা’বূদকে শরীক করে তাঁর ইবাদাত করবেন না। তা না হলে সে জন্য আপনি শাস্তিপ্রাপ্ত হবেন।

আয়াত: 214

وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ

২১৪. হে রাসূল! আপনি নিজ সম্প্রদায়ের নিকটাত্মীয়দেরকে ভীতি প্রদর্শন করুন। যাতে তারা শিরকের উপর থাকার দরুন তাদের প্রতি আল্লাহর শাস্তি নেমে না আসে।

আয়াত: 215

وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

২১৫. আর যে মু’মিনরা আপনার অনুসরণ করে তাদের প্রতি নরম ও দয়াপরবশ হয়ে কথায় ও কাজে তাদের জন্য নিজ বাহু নরম করুন।

আয়াত: 216

فَإِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ إِنِّي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تَعۡمَلُونَ

২১৬. তারা যদি আপনার অবাধ্য হয় এবং আপনি তাদেরকে যে তাওহীদ ও আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ করেছেন তাতে যদি তারা সাড়া না দেয় তাহলে আপনি তাদেরকে বলে দিন: নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কৃত পাপ ও শিরক থেকে সম্পূর্ণরূপে দায়মুক্ত।

আয়াত: 217

وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ

২১৭. আর আপনি নিজের সকল ব্যাপারে সেই পরাক্রমশালীর উপর নির্ভরশীল হোন যিনি তাঁর শত্রæদের থেকে প্রতিশোধ নিতে পারেন। উপরন্তু যিনি তাঁর অভিমুখীদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু।

আয়াত: 218

ٱلَّذِي يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ

২১৮. যিনি আপনাকে দেখতে পান যখন আপনি সালাতের জন্য দাঁড়ান।

আয়াত: 219

وَتَقَلُّبَكَ فِي ٱلسَّٰجِدِينَ

২১৯. আরো তিনি দেখতে পান মুসল্লীদের মাঝে আপনার এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় পরিবর্তন। তাঁর নিকট আপনার কোন কৃতকর্মই গোপন নয়। না অন্যদের কোন কৃতকর্ম।

আয়াত: 220

إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ

২২০. নিশ্চয়ই আপনি নিজ সালাতে যে যিকির ও কুর‘আন তিলাওয়াত করেন তা সবকিছুই তিনি শুনেন। উপরন্তু তিনি আপনার নিয়্যাত সম্পর্কেও জানেন।

আয়াত: 221

هَلۡ أُنَبِّئُكُمۡ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَٰطِينُ

২২১. আমি কি তোমাদেরকে বলবো না যে, শয়তানরা মূলতঃ কার উপর নাযিল হয় যাদের ব্যাপারে তোমাদের এ ধারণা যে, তারাই এ কুর‘আন নিয়ে নাযিল হয়েছে?

আয়াত: 222

تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٖ

২২২. মূলতঃ জিনশয়তানরা নাযিল হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী মহাপাপী গণকদের উপর।

আয়াত: 223

يُلۡقُونَ ٱلسَّمۡعَ وَأَكۡثَرُهُمۡ كَٰذِبُونَ

২২৩. জিনশয়তানরা ফিরিশতাদের কাছ থেকে কথা চুরি করে নিজেদের গনক বন্ধুদের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়। আর গণকদের অধিকাংশই মিথ্যুক। যদি তারা একটি কথা সত্য বলে তাহলে তার সাথে একশত কথা মিথ্যা বলে।

আয়াত: 224

وَٱلشُّعَرَآءُ يَتَّبِعُهُمُ ٱلۡغَاوُۥنَ

২২৪. তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে যে কবিদের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করছো তাদেরকে তো অনুসরণ করে থাকে শুধুমাত্র তারাই যারা শরীয়ত বিমুখ ও সত্যপথভ্রষ্ট। তাই কবিরা যে কবিতাই বলে এরা তা বর্ণনা করতেই ব্যস্ত থাকে।

আয়াত: 225

أَلَمۡ تَرَ أَنَّهُمۡ فِي كُلِّ وَادٖ يَهِيمُونَ

২২৫. হে রাসূল! আপনি কি দেখেননি যে, তাদের ভ্রষ্টতার একটি নিদর্শন হলো এই যে, তারা প্রত্যেক প্রান্তে উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারা কখনো মানুষের প্রশংসা করে। আবার কখনো নিন্দা। আবার কখনো বা অন্য কিছু।

আয়াত: 226

وَأَنَّهُمۡ يَقُولُونَ مَا لَا يَفۡعَلُونَ

২২৬. তারা নিশ্চয়ই মিথ্যা বলে। তারা কোন জিনিস না করেও বলে: আমরা তা করেছি।

আয়াত: 227

إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَذَكَرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا وَٱنتَصَرُواْ مِنۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُواْۗ وَسَيَعۡلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ أَيَّ مُنقَلَبٖ يَنقَلِبُونَ

২২৭. তবে যে কবিরা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করছে উপরন্তু তারা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে এবং আল্লাহর শত্রæদের যুলুমের পর তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করে -যেমন: হাসসান ইবনু সাবিত- তারা অবশ্যই এ থেকে ভিন্ন। আল্লাহর সাথে শিরককারী ও তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যাচারী যালিমরা অচিরেই জানবে কোন্ গন্তব্যের দিকে তারা রওয়ানা করেছে। তারা বস্তুতঃ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি ও সূ² হিসাবের দিকে রওয়ানা করেছে।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• إثبات العدل لله، ونفي الظلم عنه.

ক. আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা সাব্যস্ত ও তাঁর পক্ষ থেকে যুলুম হওয়াকে অস্বীকার করা।

• تنزيه القرآن عن قرب الشياطين منه.

খ. জিনশয়তানরা কুর‘আনের নিকটবর্তীও হতে পারে না।

• أهمية اللين والرفق للدعاة إلى الله.

গ. আল্লাহর পথের দা‘য়ীদের ক্ষেত্রে দয়াপরবশ হওয়া ও ন¤্রতা প্রদর্শন করার গুরুত্ব।

• الشعر حَسَنُهُ حَسَن، وقبيحه قبيح.

ঘ. কবিতার ভালো অংশ ভালো। আর খারাপ অংশ খারাপই।