অৰ্থানুবাদ ছুৰা আশ্ব-শ্বুআৰা - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 375 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 184

وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلۡجِبِلَّةَ ٱلۡأَوَّلِينَ

১৮৪. যিনি তোমাদেরকে ও পূর্ববর্তী সম্প্রদায়গুলোকে সৃষ্টি করেছেন তোমরা সেই সত্তার প্রতি তাকওয়া অবলম্বন করো। এই ভয়ে যে, তাঁর আযাব তোমাদের উপর নাযিল হয়ে যেতে পারে।

আয়াত: 185

قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ

১৮৫. শু‘আইব (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় তাঁকে বললো: নিশ্চয়ই তুমি ওদেরই অন্তর্ভুক্ত যারা বারবার যাদুগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যাদু তোমার মেধার উপর ক্রিয়াশীল হয়ে তাকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করে দিয়েছে।

আয়াত: 186

وَمَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ

১৮৬. তাছাড়া তুমি আমাদের মতোই একজন মানুষ। আমাদের উপর তোমার কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য নেই। তাহলে তুমি কিভাবে রাসূল হবে? বস্তুতঃ আমরা তোমাকে রিসালাতের দাবিতে একজন মিথ্যুক বলেই মনে করি।

আয়াত: 187

فَأَسۡقِطۡ عَلَيۡنَا كِسَفٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ

১৮৭. তুমি নিজ দাবিতে সত্যবাদী হলে আমাদের উপর আকাশের কয়েটি টুকরো ফেলে দাও।

আয়াত: 188

قَالَ رَبِّيٓ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ

১৮৮. শু‘আইব (আলাইহিস-সালাম) তাদেরকে বললেন: আমার প্রতিপালক জানেন তোমরা যে শিরক ও গুনাগুলো করছো। তাঁর নিকট তোমাদের কোন আমলই গোপন নয়।

আয়াত: 189

فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمۡ عَذَابُ يَوۡمِ ٱلظُّلَّةِۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٍ

১৮৯. কিন্তু তারা তাঁকে অস্বীকার করতেই থাকলো। তাই এক মহা শাস্তি তাদেরকে পেয়ে বসলো। এক কঠিন গরমের দিনের শেষে কালো মেঘ তাদেরকে ঢেকে ফেললো উপরন্তু তাদের উপর আগুন বর্ষণ করে তাদেরকে জ্বালিয়ে দিলো। বস্তুতঃ তাদের ধ্বংসের দিনটি এক মহা ভয়ঙ্কর দিন ছিলো।

আয়াত: 190

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

১৯০. উল্লিখিত শু‘আইব (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায়ের ধ্বংসের মাঝে অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণকারীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিলো না।

আয়াত: 191

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

১৯১. হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক অত্যন্ত পরাক্রমশালী। যিনি তাঁর শত্রæদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেন এবং তিনি তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু।

আয়াত: 192

وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

১৯২. নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নাযিলকৃত এ কুর‘আন মূলতঃ সকল সৃষ্টির প্রতিপালকের কাছ থেকেই নাযিলকৃত।

আয়াত: 193

نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ

১৯৩. যা নিয়ে জিব্রীল আমীন (আলাইহিস-সালাম) অবতরণ করেছেন।

আয়াত: 194

عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ

১৯৪. হে রাসূল! জিব্রীল (আলাইহিস-সালাম) তা নিয়ে আপনার হৃদয়ের উপর নাযিল হয়েছেন যেন আপনি সেই রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন যাঁরা মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আল্লাহর আযাবের ভয় দেখান।

আয়াত: 195

بِلِسَانٍ عَرَبِيّٖ مُّبِينٖ

১৯৫. জিব্রীল (আলাইহিস-সালাম) সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় তা নিয়ে অবতরণ করেছেন।

আয়াত: 196

وَإِنَّهُۥ لَفِي زُبُرِ ٱلۡأَوَّلِينَ

১৯৬. নিশ্চয়ই পূর্ববর্তীদের কিতাবসমূহে এ কুর‘আনের উল্লেখ রয়েছে। পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহ এর সুসংবাদ দিয়েছে।

আয়াত: 197

أَوَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ ءَايَةً أَن يَعۡلَمَهُۥ عُلَمَٰٓؤُاْ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ

১৯৭. এ মিথ্যারোপকারীদের জন্য আপনার সত্যবাদিতার ব্যাপারে এটি কি একটি বিশেষ আলামত নয় যে, বনী ইসরাঈলের আলিমরা আপনার উপর নাযিলকৃত বিধানের বাস্তবতা জানতে পেরেছে। যেমন: আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম।

আয়াত: 198

وَلَوۡ نَزَّلۡنَٰهُ عَلَىٰ بَعۡضِ ٱلۡأَعۡجَمِينَ

১৯৮. আমি যদি এ কুর‘আনকে এমন এক অনারবের উপর নাযিল করতাম যে আরবী ভাষায় কথা বলতে পারে না।

আয়াত: 199

فَقَرَأَهُۥ عَلَيۡهِم مَّا كَانُواْ بِهِۦ مُؤۡمِنِينَ

১৯৯. অতঃপর সে তাদেরকে তা পড়ে শুনায় তখন তারা এর প্রতি কখনোই ঈমান আনবে না। কারণ, তারা অচিরেই বলবে: আমরা এটি বুঝি না। তাই তারা যেন এ মর্মে আল্লাহর প্রশংসা করে যে, তিনি তাদের ভাষায়ই কুর‘আন নাযিল করেছেন।

আয়াত: 200

كَذَٰلِكَ سَلَكۡنَٰهُ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ

২০০. এভাবেই আমি কুফরি ও মিথ্যারোপকে অপরাধীদের অন্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছি।

আয়াত: 201

لَا يُؤۡمِنُونَ بِهِۦ حَتَّىٰ يَرَوُاْ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَلِيمَ

২০১. তারা নিজেদের কুফরি থেকে একটুও পিছপা হবে না এবং ঈমানও আনবে না যতক্ষণ না তারা নিজেদের চোখে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবলোকন করে।

আয়াত: 202

فَيَأۡتِيَهُم بَغۡتَةٗ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ

২০২. ফলে হঠাৎ এ শাস্তি তাদের নিকট এসে পড়বে। অথচ তারা এর আগমন সম্পর্কে কিছুই জানতো না। বরং তা তাদের নিকট হঠাৎই এসেছে।

আয়াত: 203

فَيَقُولُواْ هَلۡ نَحۡنُ مُنظَرُونَ

২০৩. যখন তাদের উপর হঠাৎ শাস্তি নাযিল হবে তখন তারা অতি আফসোসের সাথে বলবে: হায়, আমাদেরকে কি আল্লাহর নিকট তাওবা করার একটু সুযোগ দেয়া হবে?!

আয়াত: 204

أَفَبِعَذَابِنَا يَسۡتَعۡجِلُونَ

২০৪. এ কাফিররাই কি আমার শাস্তি দ্রæত কামনা করে বলেছিলো না যে, আমরা আপনার উপর ঈমান আনবো না যতক্ষণ না আপনি নিজ ধারণা মাফিক আকাশকে টুকরো টুকরো করে আমাদের উপর ফেলবেন?!

আয়াত: 205

أَفَرَءَيۡتَ إِن مَّتَّعۡنَٰهُمۡ سِنِينَ

২০৫. হে রাসূল! আপনি আমাকে বলুন: আমি যদি আপনার আনীত বিধানের প্রতি ঈমান বিমুখ এ কাফিরদেরকে এক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিয়ামত ভোগ করাই।

আয়াত: 206

ثُمَّ جَآءَهُم مَّا كَانُواْ يُوعَدُونَ

২০৬. অনন্তর এ নিয়ামত প্রাপ্তির সময়ের পর তাদের নিকট সেই ওয়াদাকৃত শাস্তি নেমে আসে।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• كلما تعمَّق المسلم في اللغة العربية، كان أقدر على فهم القرآن.

ক. যখন কোন মুসলমান আরবী ভাষায় গভীরতা অর্জন করে তখন সে সত্যিই কুর‘আন বুঝতে সক্ষম হয়।

• الاحتجاج على المشركين بما عند المُنْصِفين من أهل الكتاب من الإقرار بأن القرآن من عند الله.

খ. ন্যায়পরায়ণ আহলে কিতাবের এ কথা স্বীকার করা যে, এ কুর‘আন মূলতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকেই নাযিলকৃত। এটি মুশরিকদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ প্রমাণ।

• ما يناله الكفار من نعم الدنيا استدراج لا كرامة.

গ. কাফিররা দুনিয়ার যে নিয়ামতগুলো পাচ্ছে তা কিন্তু তাদেরকে অপরাধের দিকেই টেনে নেয়ার উপায় মাত্র। তা কখনোই মর্যাদার কারণ নয়।