অৰ্থানুবাদ ছুৰা আশ্ব-শ্বুআৰা - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 373 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 137

إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا خُلُقُ ٱلۡأَوَّلِينَ

১৩৭. এসব পূর্ববর্তীদের ধর্ম, অভ্যাস ও চরিত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

আয়াত: 138

وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِينَ

১৩৮. আর আমাদেরকে কখনো শাস্তি দেয়া হবে না।

আয়াত: 139

فَكَذَّبُوهُ فَأَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

১৩৯. তারা নিজেদের নবী হূদ (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতি মিথ্যারোপ করার ক্ষেত্রে অটল থাকলো। ফলে আমি তাদেরকে এ মিথ্যারোপের দরুন কঠিন ঝড়ো হাওয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছি। মূলতঃ এ ধ্বংসের মাঝে শিক্ষা গ্রহণকারীদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিলো না।

আয়াত: 140

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

১৪০. হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক অত্যন্ত পরাক্রমশালী। যিনি তাঁর শত্রæদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেন এবং তিনি তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু।

আয়াত: 141

كَذَّبَتۡ ثَمُودُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ

১৪১. সামূদ সম্প্রদায় নিজেদের নবী সালিহ (আলাইহিস-সালাম) কে অস্বীকার করার মাধ্যমে মূলতঃ সকল রাসূলকেই অস্বীকার করেছে।

আয়াত: 142

إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ صَٰلِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ

১৪২. যখন তাদের বংশীয় ভাই সালিহ তাদেরকে বললেন: তোমরা কি আল্লাহর ভয়ে তিনি ভিন্ন অন্য কিছুর ইবাদাত ছেড়ে খাঁটি মুত্তাকী হয়ে যাবে না?!

আয়াত: 143

إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

১৪৩. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য একজন রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা আমাকে তোমাদের কাছেই পাঠিয়েছেন। আমি আল্লাহ তা‘আলার কাছ থেকে যা কিছু প্রচার করি তাতে একজন আমানতদারও বটে। আমি তার মধ্যে এতটুকুও বেশ-কম করি না।

আয়াত: 144

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

১৪৪. তাই তোমরা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকেই ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।

আয়াত: 145

وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

১৪৫. আমি নিজ প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট যা পৌঁছিয়ে দেই সে ব্যাপারে আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সকল সৃষ্টির মালিক আল্লাহর নিকটই; অন্য কারো নিকট নয়।

আয়াত: 146

أَتُتۡرَكُونَ فِي مَا هَٰهُنَآ ءَامِنِينَ

১৪৬. তোমরা কি মনে করছো যে, তোমরা যে কল্যাণ ও নিয়ামতে রয়েছো তাতে তোমাদেরকে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া হবে; তোমরা সে ব্যাপারে কোন ভয়ই করবে না?!

আয়াত: 147

فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ

১৪৭. উদ্যানরাজি ও চলমান ঝর্ণাসমূহের মাঝে।

আয়াত: 148

وَزُرُوعٖ وَنَخۡلٖ طَلۡعُهَا هَضِيمٞ

১৪৮. শস্যক্ষেতে ও খেজুর বাগানে। যার ফলগুলো কাঁচা ও পাকা।

আয়াত: 149

وَتَنۡحِتُونَ مِنَ ٱلۡجِبَالِ بُيُوتٗا فَٰرِهِينَ

১৪৯. তোমরা তো নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের জন্য পাহাড় কেটে বসবাসের জন্য ঘর বানাচ্ছো। আর তোমরা পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলে।

আয়াত: 150

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ

১৫০. তাই তোমরা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকেই ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করে চলো।

আয়াত: 151

وَلَا تُطِيعُوٓاْ أَمۡرَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ

১৫১. আর তোমরা পাপ কাজে নিজেদের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারীদের নির্দেশ মান্য করো না।

আয়াত: 152

ٱلَّذِينَ يُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا يُصۡلِحُونَ

১৫২. যারা পাপকর্ম ছড়িয়ে জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর আনুগত্যকে আঁকড়ে ধরে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করতে চায় না।

আয়াত: 153

قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ

১৫৩. তাঁর সম্প্রদায় তাঁকে বললো: তুমি তো বারংবার যাদুতে আক্রান্তদেরই একজন। যাদুর প্রভাব যাদের বিবেক-বুদ্ধিকে একেবারেই ধ্বংস করে দিয়েছে।

আয়াত: 154

مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ

১৫৪. তুমি তো কেবল আমাদের মতোই একজন মানুষ। আমাদের উপর তোমার এমন কোন বিশেষত্ব নেই যার ভিত্তিতে তুমি রাসূল হবে। তাই তুমি এমন কোন আলামত নিয়ে আসো যা এ কথা প্রমাণ করবে যে, নিশ্চয়ই তুমি একজন রাসূল। যদি তুমি নিজের রিসালাতের দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাকো।

আয়াত: 155

قَالَ هَٰذِهِۦ نَاقَةٞ لَّهَا شِرۡبٞ وَلَكُمۡ شِرۡبُ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ

১৫৫. সালিহ (আলাইহিস-সালাম) কে ইতিমধ্যে আল্লাহ তা‘আলা একটি আলামত দিলেন তথা আল্লাহ তা‘আলা পাথর থেকে একটি উষ্ট্রী বের করে আনলেন। অতঃপর সালিহ (আলাইহিস-সালাম) তাদেরকে বললেন: এই যে একটি উষ্ট্রী যা দেখাও যাচ্ছে আবার ধরাও যাচ্ছে। যার জন্য পানির একটি অংশ রয়েছে যেমনিভাবে তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি অংশ রয়েছে। সে তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট দিনে পান করবে না। তাই তোমরাও তার জন্য নির্দিষ্ট দিনে পান করো না।

আয়াত: 156

وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٖ فَيَأۡخُذَكُمۡ عَذَابُ يَوۡمٍ عَظِيمٖ

১৫৬. তোমরা তার জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করো না। যেমন: তাকে হত্যা করা কিংবা মারপিট করা। না হয় এর জন্য তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব পেয়ে বসবে। যার মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন। সে এক কঠিন দিন যাতে তোমাদের উপর সেই বিপদ নাযিল হবে।

আয়াত: 157

فَعَقَرُوهَا فَأَصۡبَحُواْ نَٰدِمِينَ

১৫৭. তদুপরি তারা তাকে হত্যা করার ব্যাপারে একমত হলো এবং তাদেরই একজন দুর্ভাগা তাকে হত্যা করলো। ফলে তারা যখন জানতে পারলো যে, নিশ্চয়ই আযাব তাদের উপর অবশ্যম্ভাবীরূপে নাযিল হবে তখন তারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হলো। কিন্তু আযাব দেখার সময় লজ্জা কোন ফায়েদায় আসে না।

আয়াত: 158

فَأَخَذَهُمُ ٱلۡعَذَابُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ

১৫৮. ফলে তাদের সাথে ওয়াদাকৃত আযাবই তাদেরকে পাকড়াও করলো। যা হলো বিকট আওয়াজ ও ভূমিকম্প। নিশ্চয়ই সালিহ (আলাইহিস-সালাম) ও তাঁর সম্প্রদায়ের উল্লিখিত ঘটনায় উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ রয়েছে। বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিলো না।

আয়াত: 159

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

১৫৯. হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক অত্যন্ত পরাক্রমশালী। যিনি তাঁর শত্রæদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেন এবং তিনি তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• توالي النعم مع الكفر استدراج للهلاك.

ক. কুফরি সত্তে¡ও নিয়ামতের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা মূলতঃ ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া।

• التذكير بالنعم يُرتجى منه الإيمان والعودة إلى الله من العبد.

খ. নিয়ামতকে স্মরণ করিয়ে দিলে বান্দার কাছ থেকে ঈমান ও আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার আশা করা যায়।

• المعاصي هي سبب الفساد في الأرض.

গ. পাপকর্ম জমিনে ফাসাদ সৃষ্টির মূল কারণ।